সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের সরকারি ব্যাংক রয়েছে। তবে এইসব সরকারি ব্যাংক গুলোর মধ্যে প্রথমে যে নামটি আসে, সেটি হল বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক।
যে ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি একজন গ্রাহক হিসেবে যে কোন দেশ থেকে অথবা দেশের মধ্যে থেকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।
আর যে কারণে আজকের দিনে সোনালী ব্যাংক এর মাধ্যমে লেনদেন করার চাহিদা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবং ক্রমাগত ভাবে সোনালী ব্যাংক নামক এই সরকারি ব্যাংকের গ্রাহক চাহিদা বেড়ে উঠছে। আর আজকের আর্টিকেল টি মূলত এই সোনালী ব্যাংক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন, যারা সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম (How to create sonali bank account) গুলো সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা।
এই কারণে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ টাকা লেনদেন করার জন্য সোনালী ব্যাংকে ব্যবহার করতে পারছে না। তো আপনি যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
কেননা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি দেখাবো যে কিভাবে সোনালী ব্যাংক খোলা যায় এবং সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে।
এর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম (how to open Sonali Bank account) গুলোকে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ব্যাংকিং নিয়ে আরোও দেখুন…
- সোনালী ব্যাংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার
- সোনালী ব্যাংক ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
- সোনালী ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার
তো আপনি যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চান। তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার।
এবং আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলে আলোচিত সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা গুলো সম্পূর্ণ ভাবে পড়েন।
তাহলে আমার বিশ্বাস যে এরপর থেকে আধুনিক খুব সহজেই আপনার টাকার লেনদেন করার জন্য সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। তাহলে চলুন এবার মুল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
সোনালী ব্যাংক কি ?
আজকের দিনে আপনি আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ব্যাংক দেখতে পারবেন। তবে সোনালী ব্যাংক হলো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক।
মূলত এই সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় 1972 সালে। এই ব্যাংকের বর্তমান অনুমোদিত মূলধন এর সংখ্যা হল 6000 কোটি টাকা এবং সোনালী ব্যাংকের সর্বমোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ হলো 4130 কোটি টাকা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সরকারি ব্যাংক এর প্রধান কার্যালয় হল মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ঢাকায় অবস্থিত। সোনালী ব্যাংকের বিরাট সংখ্যক দক্ষ জনবল রয়েছে।
এই দক্ষ জনবল নিয়ে সোনালী ব্যাংক তাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কে গতিশীল করে থাকে।
বর্তমান সময়ে সোনালী ব্যাংক এর মোট কর্মচারীর সংখ্যা হল 18167 জন, অবাক করার মত বিষয় হলো বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করার উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড দীর্ঘদিন থেকেই আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করে আসছে।
আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষি ও শিল্প প্রকল্প ঋণ, আমদানি।
এবং রপ্তানি কারক ঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ঋণ, বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় স্ক্রিমের মাধ্যমে ঋণ এর মাধ্যমে শহর থেকে গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত সব স্থানীয় জনগণকে সহায়তা প্রদান করে আসছে।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি ?
এবার অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি। কেননা বর্তমান সময়ে আপনি সোনালী ব্যাংক সহ অন্যান্য যেসব ব্যাংক রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট দেখতে পারবেন।
তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে বাংলাদেশের অন্যতম সরকারি সোনালী ব্যাংক এর একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি।চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য যেসব ব্যাংক রয়েছে, সে গুলোতে আপনি মোট চার প্রকারের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন:
চলতি একাউন্ট
সচরাচর এই ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলো যেকোনো ধরনের ব্যক্তি খুলতে পারবে। সাধারণত আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকে, কিংবা আপনি যদি একজন পাবলিক এন্টারপ্রাইজ কিংবা কম্পানি এর মালিক হয়ে থাকেন।
তাহলে আপনি খুব সহজেই এই ধরনের চলতি অ্যাকাউন্ট গুলো খুলতে পারবেন। তবে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলো কিন্তু বিনিয়োগ করা কিংবা সঞ্চয় করার জন্য ব্যবহার করা হয় না।
আর এই ধরনের চলতি একাউন্ট গুলোতে ডিপোজিট কিংবা লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার সীমাবদ্ধতা থাকে না।
আপনি যদি কোনো চলতি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন, সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে লেনদেন কিন্তু অর্থের উপর কোন প্রকার সুদ দেওয়া হবে না। আর এই ধরনের চলতি অ্যাকাউন্ট গুলো তে কোন ধরনের নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই।
সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট বা সেভিং একাউন্ট
যখন আপনি আপনার ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে সঞ্চয় করতে চাইবেন, এবং আপনি যখন কোন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইবেন।
তখন আপনার জন্য সবচেয়ে অন্যতম একটি অ্যাকাউন্ট হবে সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট। মূলত এই ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলো কোন একজন ব্যক্তি বা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে এই ধরনের সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেতন ভোগী ব্যক্তি কিংবা পেনশন কারী ব্যক্তি অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তাদের অর্থকে সঞ্চয় করার জন্য এই ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে থাকে।
আপনি যদি আপনার অর্থকে সঞ্চয় করে রাখার জন্য ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি দৈনিক সুদের হার কিংবা সাপ্তাহিক অথবা মাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে নিতে পারবেন।
সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে জমাকৃত অর্থ কে উত্তোলন করে নিতে পারবেন। এই ধরনের সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার জমাকৃত অর্থের 4% থেকে শুরু করে 6% পর্যন্ত সুদ গ্রহণ করতে পারবেন।
ডিপোজিট একাউন্ট
উপরে আপনি যে দুই ধরনের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, সেগুলো থেকে একটু ভিন্ন হলো ডিপোজিট একাউন্ট।
কারণ এই ধরনের ডিপোজিট একাউন্ট মূলত নির্দিষ্ট একটি সময়সীমার কথা উল্লেখ করে একাউন্ট চালু করা হয়ে থাকে। যেখানে আপনি কোন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার অর্থ কে জমা করে রাখতে পারবেন।
এবং যখন আপনি আপনার সেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টাকা জমা করবেন, তখন সেই সময় শেষ হওয়ার পরে ব্যাংক থেকে আপনাকে আপনার জমাকৃত অর্থ এবং অর্থ সুদসহ প্রদান করবে।
সচরাচর ক্ষেত্রে এই ধরনের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট গুলো মূলত 6 মাস থেকে শুরু করে সর্বাধিক 10 বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এবং এই সময়কাল পর্যন্ত আপনার জমাকৃত অর্থের উপর কি পরিমাণ সুদ প্রদান করা হবে, সেটা মূলত বিভিন্ন ব্যাংক এর উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে।
সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকের ডিপোজিট একাউন্ট এ ভিন্ন ভিন্ন রকমের সুদ দেওয়া হয়ে থাকে।
ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট
ডিপোজিট একাউন্ট এর সাথে কিছুটা মিল রয়েছে ফিক্সট ডিপোজিট একাউন্ট এর। কেননা এখানে আপনি আপনার নির্দিষ্ট একটা সময় অবধি অর্থ জমা করে রাখতে পারবেন।
এবং সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে আপনি আপনার অর্থকে উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
এবং যখন আপনি আপনার সেই জমা করা টাকা গুলো উত্তোলন করবেন, তখন ব্যাংক থেকে আপনাকে সেই টাকার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করা হবে।
তবে ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট এর আরও একটা বিষয় রয়েছে, সেটি হল এই ধরনের ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট গুলোতে আপনি তখনই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন, যখন আপনার টাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু এর আগে যদি আপনার জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করার জন্য আবেদন করেন, তবে সে আবেদনপত্র কতটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটা মূলত সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করবে।
এবং আপনার সেই জমাকৃত অর্থের কি পরিমাণ টাকা সুদ দেওয়া হবে, সেটাও কিন্তু ব্যাংক এর উপর নির্ভর করে থাকে।
সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট
এখন থেকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ “স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট” খুলতে পারবেন এবং আরোও বেশি সঞ্চয়ী হয়ে উঠবে। সোনালী ব্যাংক ছাত্রছাত্রীদের আরোও সঞ্চয়ী হয়ে উঠার জন্য এ ব্যাংক এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।
অন্য ব্যাংক একাউন্ট হিসাবের মত এ হিসাবে একাউন্টস মেইনটেইন্স ফি খুব একটা বেশি হবে না। অন্য ধরণের হিসাব একাউটের কম পক্ষে ৫০০-১০০০ টাকা জমা রেখে বাকি টাকা তুলা যায়।
কিন্তু স্টুডেন্ট হিসাব একাউন্টে ২০০ টাকা রেখেই বাকি টাকা উত্তোলন করা যায় সহজেই।
সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
যদি আপনি জনপ্রিয় সরকারি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করেন, সেক্ষেত্রে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন।
তবে জানার বিষয় হল যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সরকারি ব্যাংক সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে আসলে কি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।
চলুন এবার তাহলে সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- সোনালী ব্যাংক এর মধ্যে কোন মেইনটেন্যান্স ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- যদি আপনার একটি সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি সেই একাউন্টের মধ্যে মাত্র দুইশত টাকা রেখে দিয়ে, বাকি সকল টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
- সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এটিএম কার্ড অথবা ভিসা কার্ড পাবেন, যার বাৎসরিক ফি তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। কেননা এই ধরনের কার্ড ব্যবহার করার জন্য বাৎসরিক ফি হিসেবে মাত্র 232 টাকা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
- যদি আপনি একটি সোনালী ব্যাংক থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন, সেক্ষেত্রে আপনার এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা নেয়ার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র বছরে 116 টাকা প্রদান করার প্রয়োজন হবে।
- আপনি আপনার সোনালী ব্যাংক থেকে তৈরি করা সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে ই ওয়ালেট ব্যবহার করতে পারবেন।
- যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, স্টেটমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার ইত্যাদি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
- যদি আপনার একটি সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি সেই একাউন্ট কে আপনার বিকাশ একাউন্টের সাথে লিংক করে নিতে পারবেন।
- এবং আপনি বিকাশ থেকে বিনামূল্যে আপনার সোনালী ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
- সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই ধরনের সোনালী ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্ট গুলো মূলত 18 থেকে 23 বছর বয়সে যে কোন ধরনের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক, সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট ব্যবহার করার ফলে আপনি আসলে কি কি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সেগুলো নিয়ে আমি ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন।
তো চলুন এবার তাহলে অন্য বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
উপরের আলোচনা থেকে আপনি সোনালী ব্যাংক এর সেভিংস একাউন্ট এর যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সেই সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
তবে এবার আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই বিষয়টি হল যে, আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি যদি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরী করেন।
তাহলে আপনি সেই সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট থেকে কি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি।
- সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে আপনি এই ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলোর মাধ্যমে খুব কম পরিমাণ চার্জ প্রদান করে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।
- এবং বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আপনি সেগুলো বিনামূল্যে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন। আবার বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের সোনালী ব্যাংক এর স্টুডেন্ট একাউন্ট গুলোতে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মেইনটেনেন্স করতে পারবেন। তবে বলে রাখা ভালো যে এ ধরনের বিনামূল্যে মেইনটেনেন্স করার সুবিধা সবসময় প্রদান করা হয় না।
- এর পাশাপাশি এই ধরনের স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার উপবৃত্তির টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। এবং বিভিন্ন ধরনের রেমিটেন্স এর টাকা এই ধরনের স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারবেন
তো উপরের আলোচিত সুবিধা গুলো ছাড়াও সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর আরও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার নিকটস্থ কোনো সোনালী ব্যাংক এর শাখা যেতে হবে।
কেননা তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে।
সে ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্টে আসলে কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে, সেগুলো আপনি সরাসরি সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন।
আরোও দেখুন ব্যাংকিং সম্পর্কে…
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে ?
উপরের আলোচিত আলোচনা গুলো জানার পরে এবার আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আপনি যদি একজন সাধারণ গ্রাহক হয়ে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে।
অর্থাৎ সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে এমন কোন ধরনের ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হয় যখন আপনি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যাবেন।
- প্রথমত আপনি যে ব্যক্তির নামে সোনালী ব্যাংক এর একাউন্ট খুলবেন সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন/ জাতীয় এনআইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- এসবের পাশাপাশি যে ব্যক্তির নামে সোনালী ব্যাংক এর একাউন্ট খোলা হবে সেই ব্যক্তির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- প্রত্যেকটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়ে নমিনি এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। এবং যখন আপনার সোনালী ব্যাংক এর একাউন্ট তৈরি করবেন, তখন আপনার সেই একাউন্টের যে নমিনি থাকবে তার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- এর পাশাপাশি যে ব্যক্তির নামে নমিনি করা হবে সেই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে।
- উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো দেওয়ার পরে আপনি যে বাসায় থাকেন, সে বাসার বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিল কিংবা পানির বিল এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, আপনি যে বাসাতে থাকেন, সে বাসার গত তিন মাসের কারেন্ট বিল, গ্যাস বিল অথবা পানির বিল এর ডকুমেন্টস প্রধান করলেই যথেষ্ট।
- কোন একজন রেফারেন্স কৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর এবং সেই ব্যক্তির 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- যদি আপনি সঞ্চয়ী হিসাব খুলেন সেক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাব খোলার জন্য আপনাকে 1000 থেকে 1500 টাকা প্রদান করতে হবে।
তো আপনি যদি একটি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করতে চান, তাহলে আপনার যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করার প্রয়োজন হবে।
সেগুলো নিয়ে আমি উপরে আলোচনা করেছি। এবং যখন আপনি আপনার আর্থিক লেনদেন কিংবা সঞ্চয় করার জন্য কোন সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যাবেন।
তখন অবশ্যই এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো আপনার সাথে নিয়ে যাবেন। নতুবা আপনার সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
সোনালী ব্যাংক খোলার জন্য কোন সাক্ষী বা নমনি লাগে কি ?
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে থাকতে পারে যে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কোনো সাক্ষী বা নমিনি এর প্রয়োজন হয় কি না।
তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে হ্যাঁ যদি আপনি একটি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান।
তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সেই ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য একজন নমিনি এর প্রয়োজন হবে।
এবং যখন আপনি নতুন একটি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন, তখন আপনাকে আপনার সেই একাউন্টের নমিনি থাকা ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র সহ এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
আর সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসারে অবশ্যই আপনার সেই একাউন্টের একজন নমিনি এর প্রয়োজন হবে। আশা করি এ বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে ?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি সোনালী ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে এইসব অজানা তথ্য গুলোর মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না।
আর যখন আপনি সোনালী ব্যাংক এর একাউন্ট করতে যাবেন, তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে।
তবে এখন জানার বিষয় হল যে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসারে একটি নতুন একাউন্ট খুলতে গেলে আসলে কত টাকা প্রদান করার প্রয়োজন হয়।
তো চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
যদি আপনি জনপ্রিয় সোনালী ব্যাংক এর একাউন্ট খুলতে যান এবং আপনার একাউন্টের ধরন যদি সেভিং কিংবা সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট হয়।
সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এক হাজার টাকা প্রদান করতে হবে এবং এই 1000tk আপনার নতুন তৈরি করা একাউন্টে যোগ করে দেওয়া হবে।
এবং যখন আপনি এই ধরনের সেভিংস একাউন্ট তৈরি করবেন, তখন আপনাকে সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি চেক বই প্রদান করবে। এর পাশাপাশি আপনি আরো একটি পাস বই পাবেন।
এবং এরপর থেকে আপনি সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই রেমিটেন্স আনতে পারবেন, এর পাশাপাশি সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আর্টিকেলের এতক্ষণ ধরে আপনি সোনালী ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যে তথ্য গুলো আমাদের অনেকের কাছেই অজানা রয়েছে।
তো এই অজানা তথ্য গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি ছিল সেটি সম্পর্কে কিন্তু এতক্ষণ পর্যন্ত কোনো কথা বলা হয়নি। তবে উপরোক্ত বিষয় গুলো জানার পর এবার সেই তথ্যটি আপনাকে জেনে নিতে হবে।
আর সেটি হল যে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি।
অর্থাৎ যখন আপনি একটি সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তখন আসলে কি কি নিয়ম অনুসরণ করে সেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
মূলত এবার সে সম্পর্কে কথা বলা হবে যে বিষয়টি জানার জন্য আপনি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে।
- সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যে ব্যক্তির একাউন্ট তৈরি করবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের সনদ কিংবা সেই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট এর মধ্যে যেকোনো একটি ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে।
- যখন আপনি উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো প্রদান করবেন। এর পরে আপনি যে ব্যক্তির নামে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই ব্যক্তির সদ্য তোলা 2 কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি প্রদান করতে হবে।
- প্রথম ধাপে যখন আপনি যে ব্যক্তির নামে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন সে ব্যক্তির ছবি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিবেন এর পরবর্তীতে আপনাকে আপনার সেই অ্যাকাউন্টের জন্য যে ব্যক্তি নমিনি হিসেবে থাকবে সেই ব্যক্তির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
যখন আপনি উপরোক্ত ডকুমেন্টস এবং ছবি গুলো প্রদান করবেন তখন আপনার পরবর্তী কাজ গুলো করতে হবে। এবং পরবর্তী কাজ গুলোর মধ্যে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে।
এবং সেই ফরমটি অবশ্যই আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে ফিলাপ করে নিতে হবে।
তবে আপনি চাইলে এই ফরমটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। যদি আপনি সেটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে চান তাহলে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে।
এবং এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি একটি ফরম দেখতে পারবেন। সেই ফরমটি আপনাকে ডাউনলোড করে নিয়ে তা সঠিক ভাবে ফিলাপ করে নিতে হবে। কেননা এটি হলো সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ওপেনিং ফরম।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম/ Sonali Bank Account Create Form
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো তে আপনি জানতে পেরেছেন যে একটি নতুন সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
যখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো প্রদান করবেন তখন আপনাকে একটি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম দেওয়া হবে।
মনে রাখবেন এই ফরমটি তে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। এখন আপনি চাইলেই একাউন্ট খোলার ফরম টি অনলাইনের মাধ্যমে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা অনলাইনে মাধ্যমে এই ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন না।
তাদের সুবিধার জন্য নিচে আমি একটি লিংক প্রদান করছি এই লিঙ্ক থেকে আপনি খুব সহজেই সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এবং সেই ফরমটি তে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে পারবেন।
Sonali Bank Account Open Form: Download
সোনালী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট খোলার নিয়ম
উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানলেন যে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসারে প্রথমত আপনাকে সোনালী ব্যাংকের কোন ব্যাংকিং শাখা তে যেতে হবে।
এবং সেখানে গিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে খুব সহজেই একটি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
তবে এবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে কিভাবে সোনালী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট খোলা যায়। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, আপনি একজন গ্রাহক হিসেবে কিভাবে সোনালী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট খুলবেন।
- যদি আপনি অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন এর প্রয়োজন হবে এবং সেই ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন এর দরকার হবে।
- এর পরবর্তী ধাপে আপনার যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেওয়ার প্রয়োজন হবে, যেমন ব্যক্তির নামে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন সে ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন জন্ম সনদ কিংবা ভোটার আইডি কার্ড এর মূলকপি ও ফটোকপি গুলো থাকতে হবে বা স্ক্যান কপি থাকতে হবে।
- এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি অ্যাপস ইন্সটল করে নিতে হবে এবং সেই অ্যাপস এর নাম হলো “সোনালী ই সেবা”- এবং এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করার পর সেটি আপনার ফোনে ইন্সটল করে নিতে হবে।
- যখন আপনি সেই অ্যাপটি আপনার ফোনে ডাউনলোড করে ইন্সটল করবেন এবং এই অ্যাপসটিতে প্রবেশ করার পর আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- যখন আপনি উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর দেয়ার প্রয়োজন হবে এবং যখন আপনি আপনার মোবাইল নম্বরটি প্রবেশ করাবেন তখন আপনার ফোনে একটি ওটিপি কোড আসবে সে কোডটি প্রদান করতে হবে।
- যখন আপনি আপনার মোবাইল নম্বরটি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করবেন এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম সনদ এর যাচাই করে নিতে হবে।
- উপরোক্ত ধাপটি সঠিকভাবে অনুসরণ করার পরে এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে কিছু মৌলিক তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন আপনার বর্তমান ঠিকানা আপনার গ্রামের নাম আপনার পোস্ট অফিস আপনার জেলা-উপজেলা ইত্যাদি তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।
- এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রথম অংশের ছবি এবং পরবর্তী অংশের ছবি তুলতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তোলার পরে আপনার সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যে ব্যক্তি নমিনি হিসেবে থাকবে সেই ব্যক্তির কিছু তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন পড়বে।
তো যদি আপনি উপযুক্ত ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনার মোবাইল ফোনে একটি ম্যাসেজ আসবে সেটি অবশ্যই গুরুত্বের সাথে সংরক্ষণ করে রাখবেন।
এবং অনলাইনে মাধ্যমে একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আপনি আপনার নির্বাচিত সোনালী ব্যাংকের শাখায় সশরীরে যাবেন।
এবং সেখানে গিয়ে আপনার নিজস্ব স্বাক্ষর সহ আরো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার অনলাইনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেট
যখন আপনার সোনালী ব্যাংকের অধীনে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন, তখন সেই একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারেস্ট রেট প্রযোজ্য হবে।
এবং সে সম্পর্কে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার ভাবে একটি তথ্য প্রদান করেছেন তার সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য।
তো এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই সোনালী ব্যাংক এর অধীনে কোনো একটি ব্যাংক একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর আসলে এই ইন্টারেস্ট রেট কত হয়ে থাকবে।
তো যদি আপনার মনে এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে নিচে আমি একটি লিংক প্রদান করছি আপনি এই লিংক থেকে খুব সহজেই সোনালী ব্যাংকের সকল ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
Sonali Bank Interest Rate: Click Here
যদি আপনি উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনার একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড হবে।
এবং সেই পিডিএফ ফাইলটি মূলত কয়েক পৃষ্ঠা হয়ে থাকবে এবং সেই পৃষ্ঠা গুলোতে আপনি সোনালী ব্যাংকের সকল ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ সম্পর্কে আপনার জানা অজানা রয়েছে তার সব গুলোই জানা হয়ে যাবে।
FAQs
সোনালী ব্যাংক কি সরকারি ব্যাংক?
হ্যাঁ, সোনালী ব্যাংক একটি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক। এটি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
কোন ব্যাংকে অনলাইন একাউন্ট খোলা যায়?
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংকই বর্তমানে অনলাইন একাউন্ট খোলার সুযোগ প্রদান করে। কয়েকটি জনপ্রিয় ব্যাংক হল: আইএফআইসি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংক একাউন্টে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখতে হয়?
সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন ধরণের সাধারণ হিসাবের জন্য সর্বনিম্ন ব্যালেন্সের প্রয়োজনীয়তা আলাদা।
- সঞ্চয়ী হিসাব: ৳৫০০
- চলতি হিসাব: ৳১,০০০
- মেয়াদী হিসাব: ৳৫,০০০
ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায়?
ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে চেক বই পাওয়া যায়। তবে, ব্যাংক এবং হিসাবের ধরণ অনুযায়ী এই সময়সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত বয়স লাগে?
বাংলাদেশে, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। তবে, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, ১৮ বছরের কম বয়সীরাও ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারে।
আমাদের শেষকথা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অন্যান্য সব সরকারি ব্যাংক গুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংক হল সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অন্যতম।
যার কারণে সময়ের সাথে সাথে সোনালী ব্যাংক এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। আর সে কারণে অনেকের মনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে।
তো যদি আপনার সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে তবে আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো কে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলের সে নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনি খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এবং আপনি যদি আজকের আলোচিত এই সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আমার বিশ্বাস যে এরপর থেকে আপনার সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সময় কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
আর আপনি যদি এরকম অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে খুব সহজ ভাষায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।