আইইএলটিএস (IELTS) কি | কেন আইইএলটিএস করবেন?

বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের মধ্যে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমানের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো IELTS. যেখানে আপনি আপনার ভাষা দক্ষতার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট স্কোর পাবেন। আর উক্ত স্কোরের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।

আইইএলটিএস (IELTS) কি | কেন আইইএলটিএস করবেন?
আইইএলটিএস কি

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে IELTS সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

হ্যালো ইনফো পোর্টাল রিডার, আজকের টপিক আইইএলটিএস কি নিয়ে লেখা আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন IELTS কি, কেন আপনি আইইএলটিএস করবেন এবং কিভাবে আইইএলটিএস করতে পারবেন।

আশা করি এই লেখা থেকে আপনি আপনার আইইএলটিএস (IELTS ki) সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় জানতে পারবেন। 

আইইএলটিএস (IELTS) কি

IELTS হল International English Language Testing System এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি হলো বিশেষ এক ধরনের মাধ্যম যার সাহায্য একজন ব্যক্তির ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর উক্ত পরীক্ষার পর সেই ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমান স্কোর প্রদান করা হয়।

এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি যতো বেশি IELTS Score পাবেন। সেই ব্যক্তির ইংরেজি দক্ষতা ততো ভালো বলে বিবেচিত হবে।

কেন IELTS করবেন বা কাদের জন্য আইইএলটিএস?

এবার আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, আমরা কেন আইইএলটিএস করবো। আর যদি আমরা এটি করি তাহলে আমরা কি কি সুবিধা পাবো।

তো যদি আপনি বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান। তাহলে আপনার জন্য কিছুটা বাধ্যতামূলক IELTS করার প্রয়োজন হবে। কারণ, যেসব দেশে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার রয়েছে। সেই দেশ গুলোতে পড়াশোনা করতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হয়।

এছাড়াও এমন অনেক দেশ আছে যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে ভালো IELTS Score এর দরকার পড়ে। যেমন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি এমন দেশ গুলোতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চান। তাহলে আপনাকে বাধ্যতামূলক IELTS করতে হবে।

তবে শুধুমাত্র বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য আইইএলটিএস করতে হয় বিষয়টা এমন নয়। বরং বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে। যে দেশ গুলোতে চাকরি করার জন্যও আইইএলটিএস করার দরকার হয়। মূলত আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনারও IELTS করতে হবে। 

আইইএলটিএস পরীক্ষা পদ্ধতি গুলা কি কি?

কোনো একজন ব্যক্তি যখন আইইএলটিএস করার জন্য ভর্তি হবেন। তারপর নির্ধারিত সময়ে আপনার ইংরেজি দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর এই পরীক্ষাতে আপনি যতো ভালো পারফর্ম করতে পারবেন। আপনার IELTS Score এর পরিমান ততো বেশি হবে।

মূলত সে কারণে আমরা অনেকেই আইইএলটিএস পরীক্ষা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। তো বর্তমান সময়ে একজন ব্যক্তির বেশ কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে আইইএলটিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর সেই পদ্ধতি গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,

০১ – লিসেনিংঃ এই ধাপে একজন ব্যক্তির ইংরেজি শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। 

০২ – রিডিংঃ বিশেষ এই পদ্ধতির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইংরেজি পড়ার দক্ষতার পরীক্ষা করা হয়।

০৩ – রাইটিংঃ আপনি ইংরেজি কতটুকু ভালো লিখতে পারেন। সেটি আপনাকে রাইটিং পরীক্ষায় প্রমাণ করতে হবে।

০৪ – স্পিকিংঃ আপনি কতটা সাবলিল ভাবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারছেন। সেটি স্পিকিং পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।

শর্ট নোটঃ এই সকল পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। আর পরীক্ষা চলাকালীন কোনো প্রকার বিরতি দেওয়া হবেনা।

তো বর্তমান সময়ে কোনো একজন ব্যক্তির কি কি পদ্ধতির মাধ্যমে আইইএলটিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি গুলো উপরে শেয়ার করা হয়েছে।

আর আপনারা যারা নতুন ব্যক্তি হিসেবে IELTS করতে চান, তাদেরও ঠিক একই পদ্ধতি মেনে পরীক্ষা দিতে হবে। 

Ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে (কারা দিতে পারবে?)

আমরা সকলেই জানি যে, বিদেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে যখন আপনি নিজেই আইইএলটিএস করতে যাবেন তখন আপনার নির্ধারিত কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার পড়বে না।

তবে যদি আপনি IELTS করতে চান, তাহলে আপনার বয়স ১৬ বছর বা তারও বেশি হতে হবে। আর একবার যখন আপনি আইইএলটিএস পরীক্ষার পর সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবেন। তখন আপনার সেই সার্টিফিকেট এর মেয়াদ থাকবে ০২ বছর।

আইইএলটিএস (IELT) আবেদন পদ্ধতি

এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা আইইএলটিএস সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারলাম। তো এবার আমি আপনাকে Ielts Registration করার পদ্ধতি গুলো দেখিয়ে দিবো।

আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে, কিভাবে আইইএলটিএস আবেদন করতে হয়। তো আপনি এখন অনলাইন থেকে আইইএলটিএস আবেদন করতে পারবেন। আর সেই আবেদন করার পদ্ধতি গুলো নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো। যেমন,

০১ – একাউন্ট তৈরি করুনঃ সবার প্রথমে আপনাকে “British Council website” এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনাকে এই ওয়েবসাইট থেকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনাকে সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দিতে হবে।

০২ – আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুনঃ নতুন একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনি যে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন। সেগুলোর মাধ্যমে আপনাকে পুনরায় একাউন্টে লগ ইন করতে হবে।

০৩ – আইইএলটিএস টেষ্ট সিলেক্ট করুনঃ আপনি মোট ০২ ধরনের আইইএলটিএস টেষ্ট দেখতে পারবেন। আর সেগুলো হলো, IELTS Academic এবং IELTS General Training. তো আপনি যেভাবে টেস্ট দিতে চান, সেটি আপনাকে এখানে সিলেক্ট করে দিতে হবে।

০৪ – টেস্ট সার্চ করুনঃ এই ধাপে আপনাকে Test Search করতে হবে। কিন্তুু তার আগে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য দিতে হবে যেমন, দেশের নাম, শহরের নাম, এক্সাম ফরম্যাট ইত্যাদি।

০৫ – “Book for 18,750 BDT” সিলেক্ট করুনঃ এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের সিরিজ ও ভেন্যু দেখতে পারবেন। তো আপনার চাহিদামতো এটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।

০৬ – আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিনঃ এবার আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন, আপনার নাম, ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট, ঠিকানা ইত্যাদি। মনে রাখবেন, এখানে দেওয়া তথ্য গুলোতে কোনো ভুল করা যাবেনা।

০৭ – প্রোফাইল পরিপূর্ণ করুনঃ আপনাকে আপনার প্রোফাইলে মধ্যে সকল ইনফো দিতে হবে। সেজন্য প্রথমে আপনাকে Profile এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে যে যে তথ্য গুলো দিতে বলবে, আপনাকে সেগুলো দিতে হবে।

০৮ – সবকিছু Review করুনঃ এবার আপনি সব কিছুর রিভিউ দেখতে পারবেন। যেমন, আপনার দেওয়া তথ্য, পাসপোর্ট নাম্বার, টেস্ট এর তারিখ ইত্যাদি। আর আপনি সেগুলো পুনরায় চেক করে নিবেন। যদি সে গুলোতে কোনো ভুল থাকে, তাহলে আপনি পুনরায় এডিট করে নিবেন।

০৯ – পেমেন্ট সম্পন্ন করুনঃ সবশেষে আপনাকে পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে। আর আপনি চাইলে বিকাশ ও নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং দিয়েও উক্ত পেমেন্ট দিতে পারবেন।

ব্যাস, যদি আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তাহলে আপনি সফলভাবে আইইএলটিএস রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে রেজিষ্ট্রেশন করতে যদি আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে আপনার সমস্যাটি নিচে কমেন্ট করবেন। 

IELTS এর পরিক্ষা ফি কত টাকা?

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ জানতে চান যে, IELT এর পরিক্ষা ফি কত টাকা। তো এই পরীক্ষার ফি এর পরিমান স্থানভেদে ভিন্ন হয়।

তাই এবার আমি আপনাকে একটি লিংক প্রদান করবো। যেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার লোকেশন সিলেক্ট করবেন। তারপর আপনি আপনার IELTS এর পরিক্ষা ফি জানতে পারবেন।

উপরের লিংকে ক্লিক করার পর আপনাকে একটু নিচের দিকে স্ক্রল করতে হবে। যেখান থেকে আপনি সারা দেশের আইইএলটিএস পরীক্ষার সঠিক ফি সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

আইইএলটিএস (IELTS) এর ফলাফল কতদিন পর দেয়?

যখন আমরা IELTS Exam দিবো তারপর আমরা সবাই ফলাফলের আশায় থাকবো। আর সে কারণে আমরা জানতে চাই যে, আইইএলটিএস (IELTS) এর ফলাফল কতদিন পর দেয়। তো আপনারা যারা কাগজ নির্ভর পরীক্ষা দিবেন, তাদের ফলাফল পেতে মোট ১৩ দিন সময় লাগবে।

আর আপনি যদি কম্পিউটার নির্ভর পরীক্ষা দেন। তাহলে আপনার ফলাফল পরবর্তী ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। তবে একটা কথা বলে রাখা দরকার, IELTS পরীক্ষার ফলাফল ফোনে বা ইমেইল এর মধ্যে প্রদান করা হবেনা। 

কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে?

উপরের আলোচনাতে আমি আপনাকে একটি কথা বলেছি। সেটি হলো, বিশ্বের যেসব দেশে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার আছে। সেই দেশ গুলোতে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আইইএলটিএস করতে হবে।

এছাড়াও এমন অনেক দেশ আছে, যে দেশ গুলোতে যাওয়ার জন্য বেশি IELTS Score এর দরকার হয়।

তো এবার আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান করবো। যে তালিকায় আপনি দেখতে পারবেন যে, কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে। আর উক্ত তালিকাটি নিচে শেয়ার করা হলো।

  1. Australia (6.0 – 7.0),
  2. Canada (6.0 – 6.5),
  3. France (5.5 – 7.5),
  4. Ireland (6.0 – 6.5),
  5. New Zealand (6.0 – 6.5),
  6. UK (6.0 – 6.5),
  7. US (6.5 – 7.0),

বর্তমান সময়ে বিশ্বের কোন দেশে যেতে কত আইইএলটিএস স্কোর দরকার হয়। তার মধ্যে কিছু দেশের নাম উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে। তবে এই তালিকাটি পরবর্তীতে আপডেট করে দেওয়া হবে। 

IELTS ফলাফল কতদিন কার্যকর থাকে?

যখন কোনো একজন ব্যক্তি IELTS স্কোর পরীক্ষার দিন থেকে পরবর্তী ০২ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। আর সেই স্কোর এর মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন।

কিন্তুু যদি সেই স্কোর এর মেয়াদ ০২ বছর এর চেয়েও বেশি পুরোনো হয়। তাহলে আপনাকে আবার Test Report Form পেতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে। 

কিভাবে আইইএলটিএস (IELTS) পরীক্ষা প্রস্তুতি নিবেন?

আমরা সবাই জানি যে, আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। আর আপনার পরীক্ষা বিভিন্ন ধাপে নেওয়া হবে। যেমন,

  1. Listening Section,
  2. Reading Section,
  3. Writing Section,
  4. Speaking Section

আর আপনি যদি এই পরীক্ষাতে ভালো স্কোর পেতে চান। তাহলে আপনাকে আপনাকে হিডেন কিছু কৌশল ফলো করতে হবে। যেগুলো নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা হলো।

০১ – ইংরেজি স্পিকিং দক্ষতা বাড়ানঃ আপনি যখন IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন। তখন আপনাকে মোট ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হবে। যেখানে আপনাকে ইন্টারভিউ নেওয়া ব্যক্তির সাথে ইংরেজিতে কথোপকথন করতে হবে।

তাই আপনাকে সুন্দরভাবে ইংরেজিতে কথা বলা প্রাকটিস করতে হবে। সেটা আপনি আয়নার সামনে নিজে প্রাকটিস করতে পারবেন। অথবা আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে কথা বলেও অনুশীলন করতে পারবেন।

০২ – ইংরেজি রিডিং দক্ষতা বাড়ানঃ যারা আইইএলটিএস পরীক্ষা দিবেন, তারা সবাই ইংরেজি ভোকাবুলারি ভালোভাবে শিখে নিবেন। তবে এর পাশাপাশি আপনাকে আরো অনেক কাজ করতে হবে। যেমন, আপনাকে প্রচুর ইংরেজি আর্টিকেল, নিউজ, ম্যাগাজিন, জার্নাল, এগুলো পড়তে হবে।

০৩ – ইংরেজি শোনার দক্ষতা বাড়ানঃ শুধুমাত্র ইংরেজি পড়তে পাড়লেই হবেনা বরং আপনাকে ইংরেজি শুনে অর্থ বুঝতে হবে। সেজন্য আপনাকে ইংরেজি ডায়লগ শুনতে হবে সেগুলো প্রাকটিস করতে হবে।

FAQs

Q: কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে?

A: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ielts স্কোর এর প্রয়োজন হয়। যেমন, Australia (6.0 – 7.0), Canada (6.0 – 6.5), France (5.5 – 7.5), Ireland (6.0 – 6.5), New Zealand (6.0 – 6.5), UK (6.0 – 6.5), US (6.5 – 7.0).

Q: আইইএলটিএস খরচ কত টাকা?

A: দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছুটা ভিন্ন খরচ এর দরকার হয়। তবে আপনি britishcouncil.org.bd এই ওয়েবসাইট থেকে দেশের সকল স্থানের আইইএলটিএস খরচ দেখতে পারবেন।

Q: Ielts কি কি কাজে লাগে?

A: বিভিন্ন কারণে আপনার IELTS করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য, বিদেশে চাকরি করার জন্য অথবা আরো অন্যান্য উদ্দেশ্যে Ielts করার দরকার হতে পারে। 

Q: Ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে?

A: যদি আপনি আইইএলটিএস করতে চান তাহলে আপনার স্পেশিফিক কোনো যোগ্যতার দরকার হবেনা। তবে আপনার সর্বনিন্ম বয়স ১৬ বছর হতে হবে।

Q:Ielts এর সুবিধা কি?

A: যদি আপনি আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর নিতে পারেন। তাহলে আপনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও বিশ্বের ইংরেজি ভাষাভাষি দেশ গুলোতে চাকরি করার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।

Q: Ielts করতে কতদিন লাগে?

A: সত্যি বলতে আইইএলটিএস করতে কতদিন লাগবে সেটা আপনার শেখার দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। তবে স্বাভাবিক ভাবে Ielts করতে ৩ মাস থেকে ৬ মাস এর প্রয়োজন হয়। 

Q: Ielts কত নাম্বারে কত স্কোর?

A: সাধারনত আইইএলটিএস স্কোর ০-৯ এর মধ্যে হয়। এখন আপনি ০.৫ পেতে পারেন আবার ৭.০০ পেতে পারেন। 

Q: Ielts কেন বেছে নেবেন?

A: বর্তমান সময়ে বিশ্বের প্রায় ১৪০ টিরও বেশি দেশ আইইএলটিএস সমর্থন করে। তাই আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমানের উপযুক্ত একটি মাধ্যম হবে আইইএলটিএস। 

Q: আইইএলটিএস একাডেমিক বা জেনারেল কোনটি ভাল?

A: একাডেমিক বা জেনারেল দুটোই আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। কিন্তুু আপনার ক্ষেত্রে যেটির প্রয়োজন হবে আপনাকে সেটির উপর আইইএলটিএস করতে হবে। 

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

যারা আইইএলটিএস করার চিন্তা করছেন, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক হেল্পফুল হবে। তো আপনার যদি IELTS সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে।

তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিচে কমেন্ট করবেন। আর এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top