Affiliate marketing হল এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে এবং সেই প্রচার থেকে প্রাপ্ত বিক্রির জন্য কমিশন লাভ করে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি : আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি (What is affiliate marketing).
কিভাবে affiliate marketing করে টাকা আয় করবেন। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম। মূলত বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন।
যে মানুষ গুলো ফুল টাইম হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসছে। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতি কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে।
এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। হয়তোবা আপনার নিকট একটি ব্লগ কিংবা একটি ওয়েবসাইট অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে পারে।
যদি আপনার নিকট এই বিষয় গুলো থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি নিশ্চিন্তে এফিলেট মার্কেটিং করতে পারবেন।
এর আগের আলোচনা গুলো তে আমি আপনাকে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা, ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কে বিভিন্ন উপায় শেয়ার করেছি।
এবং সেই আর্টিকেল গুলো তে আমি আপনাকে দেখিয়ে দিয়েছি। যে কিভাবে এডসেন্স কে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি আরোও পড়তে পারেন…
- কনটেন্ট মার্কেটিং কি? কিভাবে Content Marketing করতে হয়
- অনলাইন মার্কেটিং কি? কেন এবং কিভাবে Online Marketing করতে হয়
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন
তবে আজকের আর্টিকেলে আমি একটু ভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করব। আর সেই টপিক টি হল, এফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing ki), আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ নিয়ে।
মূলত Affiliate marketing কাকে বলে, কেন আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো নিয়ে আজকে বিশদ ভাবে আলোচনা করব।
তাই affiliate marketing earn money এই কথা বাস্তব করার আগে অবশ্যই আপনি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।
এফিলিয়েট কি ?
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন যে, এফিলেট মার্কেটিং কাকে বলে। তবে এই বিষয় টি জানার আগে আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
আর সেই বিষয় টি হল, এফিলিয়েট কি। কারণ যখন আপনি জানতে পারবেন যে, এফিলিয়েট কাকে বলে। তখন আপনার আজকের আলোচিত এই পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে এফিলিয়েট কি। যখন আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে কোন একটি দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর উৎপাদিত পণ্য কাস্টমারদের নিকট বিক্রি করে দিবেন।
তখন আপনার এই বিক্রি করে দেয়ার পদ্ধতি কে বলা হবে, এফিলিয়েট। যেমন ধরুন, আমার একটি সাবানের কোম্পানি আছে।
এখন আপনি আমার কোম্পানি তে থাকা এই সাবান গুলো বিভিন্ন কাস্টমারের নিকট বিক্রি করে দিলেন। এবং আপনি যে আমার কোম্পানি তে তৈরি হওয়া সাবান গুলো বিক্রি করে দিলেন।
এর বিনিময়ে আমি আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা কমিশন হিসাবে প্রদান করলেন করলাম। এখন আপনি যে আমার সাবান বিক্রি করে দিলেন।
এবং আমি আপনাকে সেই সাবান বিক্রি করার বিনিময়ে কমিশন প্রদান করলাম। মূলত এই পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, এফিলিয়েট।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি (What is affiliate marketing in bengali)
উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, এফিলিয়েট কাকে বলে। আশা করি আপনি যদি উপরের আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।
তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস আছে যে, এই স্বল্প আলোচনা থেকে আপনি এফিলিয়েট কাকে বলে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে এফিলিয়েট এর সঙ্গে যখন মার্কেটিং নামক শব্দটা যুক্ত হবে। তখন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংজ্ঞাটা একটু আলাদা হবে।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা affiliate marketing examples. উপরের আলোচনায় আপনি জানতে পেরেছেন যে, যখন আপনি কোন কোম্পানি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য।
বিভিন্ন কাস্টমারের নিকট বিক্রি করে দিবেন। তখন সেই বিক্রি করে দেয়ার পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে, এফিলিয়েট। কিন্তু এই পণ্য গুলো মানুষ এমনিতেই আপনার কাছ থেকে কিনে নিবে না।
বরং মানুষ যাতে আপনার সেই পন্য সম্পর্কে জানতে পারে। সেজন্য আপনাকে এই ধরনের এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলোর প্রচার করতে হবে।
যখন আপনি আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন কাস্টমারের নিকট প্রচার করবেন। তখন সেই কাস্টমার গুলো আপনার সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।
এবং তারা আপনার উক্ত প্রোডাক্ট টি কিনতে আগ্রহী হবে। আর যখন কাস্টমারেরা আপনার বিজ্ঞাপন দেখে এই ধরনের প্রোডাক্ট গুলো কিনবে।
এবং এই প্রোডাক্ট সেল করার ফলে আপনি উক্ত কোম্পানি কিংবা ব্যবসা থেকে কমিশন পাবেন।
মূলত এই প্রোডাক্ট এর প্রচার করা, প্রোডাক্ট সেল করা এবং সেল করার বিনিময়ে কোম্পানি কিংবা ব্যবসা থেকে কমিশন পাওয়া। এই পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকেন তাদের কী বলা হয়
আর্টিকেলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আপনি জানতে পেরেছেন, এফিলিয়েট কাকে বলে এবং affiliate marketing কি। আশা করি এতক্ষণে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা চলে এসেছে।
তো যখন আপনি এফিলিয়ে মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তখন আপনার সামনে আরও একটি প্রশ্নের উদ্ভব হবে।
আর সেই প্রশ্ন টি হল, এফিলেট মার্কেটিং এ যারা অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকেন তাদের কি বলা হয়। চলুন এবার তাহলে এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়া যাক।
দেখুন এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে মূলত তিনটি স্তর থাকে। একটি হল কোম্পানি কিংবা ব্যবসা, যাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট রয়েছে।
অপরটি হল কাস্টমার, অর্থাৎ যারা এই কোম্পানি কিংবা ব্যবসা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট গুলো কিনে নিবে। এবং সর্বশেষ স্তরের নাম হলো, এফিলিয়েট মার্কেটার।
অর্থাৎ আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। তাহলে আপনাকে বলা হবে, এফিলিয়েট মার্কেটার। কারণ এখানে আপনি মূলত একজন মধ্যস্থকারী হিসেবে কাজ করছেন।
এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট কে কাস্টমার এর নিকট অনলাইন এর মাধ্যমে প্রচার করছেন। এবং যখন কাস্টমাররা এই ধরনের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখে।
তখন তাদের মধ্যে উক্ত প্রোডাক্ট টি কেনার আগ্রহের সৃষ্টি হয়। আর সে কারণেই এই এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে যারা মধ্যস্তকারী হিসেবে কাজ করে। তাদের কে বলা হয়ে থাকে, এফিলিয়েট মার্কেটার।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো (Why You Should Do affiliate marketing)
এতক্ষণ ধরে আপনি জানতে পারলেন affiliate marketing কি। এবং যারা এই এফিলেট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকে, তাদের কে আসলে কি বলা হয়।
তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে হবে। আর সেটি হল যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব।
অর্থাৎ আপনি অনলাইনে আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন। তাহলে সেই কাজ গুলো কে বাদ দিয়ে আপনি কি কারণে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত। প্রতিটা কাজের কিছু না কিছু সুবিধা গত দিক থাকে।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি নিজেকে একজন এফিলেট মার্কেটার হিসেবে পরিচিত করতে পারেন। এবং আপনি যদি এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
তাহলে কিন্তু আপনি এই সেক্টর থেকে বিভিন্ন ভাবে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কারণ গুলো কি কি।
বিশ্ব এখন অনলাইন মুখি
সবার আগে আপনার নিজের কথা চিন্তা করে দেখুন। যখন আপনি ঘুম থেকে উঠেন, তখন সবার প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল কে খোঁজার চেষ্টা করেন।
এবং আপনার দিনের শুরুটা কিন্তু মোবাইল দিয়েই হয়। এখন আপনি অন্যান্য মানুষের কথা চিন্তা করে দেখুন। পৃথিবীতে থাকা প্রায় অধিকাংশ মানুষ ঠিক আপনার মতই ঘুম থেকে ওঠার পরেই মোবাইল খুঁজতে শুরু করে।
কারণ শুধুমাত্র এই মানুষ গুলো কিংবা আপনি নয়। বরং এই গোটা বিশ্বের মানুষ এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে।
এখন আপনি যদি এই অনলাইন নির্ভর হওয়া মানুষ গুলো কে কাজে লাগাতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে নজর রাখতে হবে।
কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি এই সব মানুষ গুলোর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
যার কারণে এই মানুষ গুলো নিজের ঘরে থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে কিনে নিতে পারবে।
অনলাইনে পণ্য কেনার চাহিদা
এই গোটা বিশ্ব যতটা উন্নত হচ্ছে, ঠিক ততটাই মানুষ হিসেবে আমরা অলস হয়ে পড়ছি। আর সে কারণেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব কেনাকাটা করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সেই কেনাকাটা গুলো এখন অনলাইনের মাধ্যমেই করা হয়ে আসছে। আপনি যদি উন্নত দেশ গুলোর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে।
সেই দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুলো তাদের জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো সরাসরি মার্কেট থেকে যতটা কেনাবেচা করে। তার থেকে অধিক কেনাবেচা করে এই ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো থেকে।
কারণ এই মানুষ গুলো যদি অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করে। তাহলে তাদের কে আর ঘরের বাইরে গিয়ে মার্কেট করার প্রয়োজন পড়বে না।
বরং তারা নিজের ঘরে থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কে অনলাইনের মাধ্যমে কিনে নিতে পারবে। যার ফলে মানুষ এখন এই অনলাইনে মাধ্যমেই কেনাকাটা করে আসছে।
আর এর ফলেই মূলত বর্তমান সময়ে এফিলেট মার্কেটিং এর এত বেশি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনলাইন কেনাকাটায় বিশ্বস্ততা
যদিও বা অনলাইন কেনাকাটার দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশ এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশ গুলোর কথা চিন্তা করেন।
তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই দেশ গুলো তে ইতিমধ্যেই অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অনলাইন কেনাকাটা করার মাধ্যমে বিশ্বস্ত তা অর্জন করতে পেরেছে।
যেমন আপনি যদি amazon কিংবা Alibaba এর কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো প্রায় বিশ্বের অনেক দেশে। তাদের কাস্টমারদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে।
আর মানুষ যখন কোন কিছু তে বিশ্বাস অর্জন করতে পারে। তখন তার সেই কাজ টি করতে অনেক সহজ হয়। যে কারণে বর্তমান সময়ে মানুষ এখন নিশ্চিন্তে তাদের অর্থ ব্যয় করার মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করে আসছে।
আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশে দারাজ কিংবা বিডি শপ এর কথা চিন্তা করেন।
তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটা দেশেও, কিন্তু এখন অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কিনে থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অসুবিধা
কেন আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত। সে সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি উপরের এই আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।
তাহলে এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, একজন ব্যক্তি হিসেবে কেন আপনার এবলেট মার্কেটিং করতে হবে।
তবে আপনি এ্যাফিলেট মার্কেটিং করুন, তার আগে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নিতে হবে।
কারণ আপনি যদি নিজেকে একজন এফিলেট মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তাহলে আপনি এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ভোগ করার পাশা পাশি, বিশেষ কিছু অসুবিধা দেখতে পারবেন।
তো আমার এটা নৈতিক দায়িত্ব যে, একজন পাঠক হিসেবে আপনাকে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জানিয়ে দেয়া।
চলুন তাহলে এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। তবে আলোচনার শুরুতে আমি আপনাকে এফিলেট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।
এবং এর পরবর্তীতে আমি আপনাকে এফিলেট মার্কেটিং এর অসুবিধা গুলো জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনি এমন অনেক ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
চলুন এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এবং আপনি অবশ্যই এই সুবিধা গুলো একটু হলেও মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন।
সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক কাজ
যেহেতু এই পদ্ধতি টি অনলাইন কেনাবেচার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
বরং আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে এই ধরনের এফিলেট মার্কেটিং এর যাবতীয় কাজ গুলো করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার হাতে যদি একটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ থাকে।
তাহলে আপনি খুব সহজেই এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকা। সকল ধরনের কাজ গুলো আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।
খুব বেশি ব্যয় হয় না
যখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। কারণ মার্কেটিং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন কাজের উপর সীমাবদ্ধ থাকে না।
বরং সময় অনুযায়ী আপনাকে মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা পাওয়ার জন্য। অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। এখন যদি আপনি সেই কাজ গুলো নিজে থেকেই করতে পারেন।
তাহলে আপনাকে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য খুব বেশি একটা ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না।
ঘর কিংবা জায়গার প্রয়োজন হয় না
দেখুন আপনি যদি কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন হবে।
এবং সেই জায়গা তে আপনার ঘরের প্রয়োজন হবে। কিন্তু যখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনার এই জাতীয় কোন বিষয়ের প্রয়োজন হবে না।
কারণ আপনি অন্য একটি অনলাইন শপ কিংবা কোম্পানির পন্য সেল করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কোন ঘরের প্রয়োজন পড়বে না। এবং আপনার কোন জায়গার প্রয়োজন পড়বে না।
কম ইনভেস্টে বেশি লাভ
যদি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। কারণ এফিলেট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
কিংবা আপনার বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগ থাকতে হবে। এখন এই ধরনের প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে।
কিন্তু আপনি যদি সঠিক ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তবে মার্কেটিং থেকে আপনি যে পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। সেই টাকার পরিমাণ আপনার ইনভেস্ট এর থেকে অনেক বেশি লাভ হবে।
অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা
যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করবেন। তখন অবশ্যই আপনার উক্ত কাজ সম্পর্কে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম নিবে।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে যখন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনার এই অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হবে।
মূলত এই অভিজ্ঞতা থেকে আপনি নিজেও একটা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ এই অনলাইন ব্যবসা করার জন্য যে সব দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
সে গুলো আপনি আগে থেকেই রপ্ত করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা
উপরের আলোচনা থেকে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এই সুবিধা গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
কারণ যখন আপনি নিজে থেকে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টর এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।
চলুন এবার তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কমিশন কমে যাওয়া
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রধান শর্ত হলো। আপনি অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ধরনের শপ কিংবা কোম্পানি থেকে উৎপাদিত প্রোডাক্ট গুলো কে সেল করে দিবেন।
এবং আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট সেল করবেন। আপনার কমিশন এর পরিমাণ ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এই কমিশনের পরিমাণ যদি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে বিপাকে পড়ে যেতে হবে।
কারণ আপনি প্রোডাক্ট সেল করলেন এবং প্রোডাক্ট সেল করে যদি ২০% এর জায়গায় ১০% কমিশন পান। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আশানুরূপ ইনকাম করতে পারবেন না।
পর্যাপ্ত প্রোডাক্ট সেল না হওয়া
দেখুন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি তখনই টাকা আয় করতে পারবেন। যখন আপনি ভালো পরিমান কমিশনে প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি সেই প্রোডাক্ট গুলো কাস্টমারের নিকট সেল করতে না পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার পরিমাণ অনেক অংশে কমে যাবে।
কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সময় আপনার ইনকাম ঠিক ততটা হবে, ততটা আপনি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।
যদি উপরের আলোচনায় আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন রকম সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে সেই সুবিধা গুলোর দিক থেকে আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার অসুবিধা গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন।
তাহলে দেখতে পারবেন যে, সুবিধার থেকে অসুবিধার পরিমাণ অনেক অংশে কম রয়েছে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো (How You Do affiliate marketing)
যখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।
আর আপনি যদি সেই নিয়ম গুলো কে সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
তবে এখন জানার বিষয় হলো যে, সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার নিয়ম গুলো কি কি, কোন ধরনের affiliate marketing companies থেকে affiliate marketing করবেন।
চলুন এবার তাহলে how to start affiliate marketing with no money সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক (how to start affiliate marketing).
- সবার প্রথমে আপনাকে আপনার নিজস্ব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অধিক প্রচুর পরিমাণে অডিয়েন্স থাকবে।
- এই প্লাটফর্ম এর জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
- এরপর আপনাকে এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। এবং আপনাকে খুঁজে নিতে হবে যে। আপনি আসলে কোন প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
- বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক ধরনের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম যুক্ত আছে, এমন প্রতিষ্ঠানের নাম দেখতে পারবেন।
- এখন আপনি আপনার পছন্দমত একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান কে বেছে নিতে পারবেন। এবং সেই প্রতিষ্ঠানে থাকা নির্দিষ্ট একবার একাধিক প্রোডাক্ট কে মার্কেটিং করতে পারবেন।
- সবশেষে আপনি সেই প্রোডাক্ট গুলোর মার্কেটিং করবেন। এবং উক্ত প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন ধরনের কাস্টমারের নিকট বিক্রি করে কমিশন লাভ করতে পারবেন।
মূলত আপনি যদি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সে পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই অবশ্যই আপনি এই ৬ টি পদ্ধতি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।
কিভাবে ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো?
এতক্ষণ ধরে আপনি affiliate marketing কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে উপরের আলোচনায় আমি একটি কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল যে, আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
এখন হয়তোবা আপনার মাথায় একটু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, কিভাবে ফেসবুকে মার্কেটিং করব। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
দেখুন আপনি চাইলে ফেসবুকে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনি যদি একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেন।
এবং আপনার সেই পেজে যদি প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার থাকে। তাহলে আপনি সেই পেজের মাধ্যমেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। অথবা আপনার যদি একটি ফেসবুক গ্রুপ থাকে।
এবং সেই ফেসবুক গ্রুপে বিপুল পরিমাণে মেম্বার থাকে। তাহলে ও কিন্তু আপনি আপনার সেই গ্রুপের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট নাম
এতক্ষণ থেকে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে আপনি আসলে কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোন কিছু বলা হয়নি। কিন্তু এই বিষয়টি জেনে নেয়াটা আপনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিডিও মার্কেটিং কি? কেন এবং কিভাবে Video Marketing করবেন
- ইমেইল মার্কেটিং কি? কেন এবং কিভাবে Email marketing করতে হয়
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কিভাবে Social media marketing করবেন
কারণ আপনি যদি না জেনে থাকেন যে, কোন কোন ওয়েবসাইট গুলো তে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। তাহলে কিন্তু আপনি কোন ভাবেই মার্কেটিং করতে পারবেন না।
চলুন এবার তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট নাম গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
- amazon
- flipkart
- ebay
- go daddy
- hostgator
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি গুগলে এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট লিখে সার্চ করেন। তাহলে আপনার সামনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট চলে আসবে।
তবে বর্তমান সময়ে যেসব ওয়েবসাইট জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। সেই এফিলিয়েট করার সাইট গুলো আমি আপনার সামনে উল্লেখ করে দিয়েছি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
এখন হয়তো বা অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় কি কি। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।
তাহলে আমি আপনাকে খুব সহজ ভাবে বলব যে, আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আলাদা ভাবে কোন ইনকাম করার উপায় নেই।
বরং আপনি বিভিন্ন সোর্স এবং প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে যখন কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর পণ্য বা প্রোডাক্ট সেল করে দিবেন। তখন সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে পণ্য সেল করার বিনিময়ে কমিশন প্রদান করবে।
আর এভাবে আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার পরিমাণ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
FAQs
Affiliate marketing কি সহজ কথায়
সহজ কথায়, Affiliate marketing হল এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন লাভ করে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা কত টাকা আয় করা যাবে?
মূলত আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে মোট কত টাকা আয় হবে। সেটা নির্ভর করবে আপনি আসলে কি পরিমান পণ্য সেল করতে পারছেন। আপনি যদি বেশি পরিমাণে পণ্য সেল করতে পারেন। তাহলে আপনার কমিশনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর আপনার কমিশনের পরিমাণ যখন বেড়ে যাবে।
তখন আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল?
দেখুন এফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম। সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। কারণ এখানে আপনি প্রোডাক্ট সেল করবেন। এবং সেখান থেকে কমিশন পাবেন। এখন আপনি যদি হারাম পণ্যে নিয়ে কাজ করেন। তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য হারাম। আবার আপনি যদি হালাল পণ্য নিয়ে কাজ করেন।
তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য আলাদা হালাল।
এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশ এ করা যাবে?
এখন হয়তোবা অনেকেই ভাবছেন যে, আমাদের বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যাবে কিনা। তো আপনার মনে যদি এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় উত্তর দিব যে, হ্যাঁ! আপনি বাংলাদেশ থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। কারণ আজকের দিনে আমি আপনাকে এমন অনেক মানুষের উদাহরণ দিতে পারব।
যারা মূলত আমাদের বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘদিন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসছে।
Affiliate marketing কাকে বলে উদাহরণ দাও
ধরুন আপনি একজন ইনফ্লুয়েন্সার। আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছেন যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রচার করেছেন। আপনি সেই ব্র্যান্ডের লিঙ্কটিও আপনার পোস্টে শেয়ার করেছেন। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়াররা যদি সেই লিঙ্কটিতে ক্লিক করে পণ্যটি অর্ডার করে, তাহলে আপনি সেই বিক্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হল, এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি সঠিক ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে কাজে লাগাতে পারেন।
তাহলে আপনি আপনার সফল ক্যারিয়ার এই প্লাটফর্মের মাধ্যমেই তৈরি করতে পারবেন।
তবে তার আগে আপনাকে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি (Affiliate marketing ki) এবং কিভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।