কনটেন্ট মার্কেটিং কি : কন্টেন্ট মানে কি (What is Content Marketing) বা কনটেন্ট মার্কেটিং কাকে বলে এর উত্তর সহজ কথায় বলতে গেলে।
যখন আপনি নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বস্তু কে সুক্ষ পরিকল্পনা এবং দক্ষ সৃজনশীলতার মাধ্যমে ঐ সম্পূর্ণ বিষয় বস্তু কে কনটেন্ট এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
তখন তাকে বলা হবে কনটেন্ট মার্কেটিং। আর এই ধারণা থেকে আমরা বলতে পারি যে, আমরা যখন আমাদের কোন প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করার জন্য কাস্টমারের নিকট বিভিন্ন ধরনের দক্ষ এবং সৃজনশীল কনটেন্ট তুলে ধরি।
এর পাশাপাশি আমাদের প্রোডাক্ট গুলো প্রমোশন করি। মূলত এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট প্রমোশন করার প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে, কনটেন্ট মার্কেটিং।
আর বর্তমান সময়ে আপনি যেখানেই প্রমোশন এর কাজ করতে যান না কেন। আপনাকে অবশ্যই একটি ভাল মানের কনটেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
বর্তমান সময়ে যদি আপনার কোন একটি কোম্পানি থাকে। এবং সেই কোম্পানি তে তখন অবশ্যই অনেক গুলো প্রডাক্ট থাকবে।
কিন্তু আপনার সেই কোম্পানির প্রসার তখনই হবে। যখন আপনি আপনারা সেই প্রোডাক্ট টি কিংবা কোম্পানির প্রচার করবেন।
অনলাইনে মার্কেটিং নিয়ে আরোও দেখুন…
- অনলাইন মার্কেটিং কি? কেন এবং কিভাবে Online Marketing করতে হয়
- ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং কি? কেন এনং কিভাবে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করা যায়
- পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কি? কিভাবে Pinterest Marketing করা যায়
আপনি যদি শুধুমাত্র প্রমোশন করার মাধ্যমে আপনার কোম্পানি কিংবা প্রোডাক্ট এর প্রসার করতে চান। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার আশানুরূপ কাস্টমারের নিকট রিচ করতে পারবেন না।
বরং আপনি যদি আপনার কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারের নিকট রিচ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট অনেক ভালো মানের কনটেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
কেননা প্রমোশন করান করানোর ক্ষেত্রে যদি আপনার নিকট মানসম্মত কন্টেন্ট না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি আশানুরূপ ফলাফল পাবেন না।
মূলত আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব যে, কনটেন্ট মার্কেটিং কি (what is Content Marketing in Bengali).
আপনি কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন, কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব এর পাশাপাশি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং করার বেশ কিছু কৌশল সম্পর্কে বলে দিব।
যে কৌশল গুলো আপনার একান্ত ভাবেই জেনে নেওয়া উচিত। আর আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং রিলেটেড এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চান।
তবে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার। কেননা তার তার সাথে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কিছু জানতে পারবেন।
কনটেন্ট মানে কি (What is content)
কনটেন্ট হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য বা ধারণা। এটি বিভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যেমন টেক্সট, ছবি, ভিডিও, অডিও, বা মিশ্র মাধ্যমে। কনটেন্টের উদ্দেশ্য হতে পারে শিক্ষা, বিনোদন, বা মার্কেটিং।
কনটেন্ট সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে, সেই কনটেন্ট পাঠকদের কাছে নানা রকম তথ্য প্রদান করতে পারবে, তাদের বিনোদন দিতে পারবে, বা তাদের পণ্য বা প্রডাক্ট সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন। এবং এসব থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
কনটেন্ট মার্কেটিং কি (What is Content Marketing)
কনটেন্ট হলো বিভিন্ন রকম বস্তুর সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এক ধরনের বিশেষ মাধ্যম। যেখানে আপনি বিভিন্ন রকম বস্তুর ব্যবহার করতে পারবেন।
যেমন সেটি হতে পারে আপনার নিজের বলা কোন বাক্য, আবার সেই কনটেন্টটি কোন লেখা, ভিডিও অথবা গ্রাফিক এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
তো এই বিভিন্ন রকম বস্তুর সমন্বয়ে যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয় কে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। মূলত সেই প্রকাশিত বিষয় গুলো কে বলা হয়ে থাকে কন্টেন্ট।
এই কথাগুলা আমি উপরে আগেই বলেছিলাম। কনটেন্ট কাকে বলে বা কন্টেন্ট কি ? সে সম্পর্কে আমরা বুঝলাম। কিন্তু এই Content Marketing ki অথবা কনটেন্ট মার্কেটিং কাকে বলে।
চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেখুন যখন আপনি এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার কোন প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করাবেন। আর সেই প্রমোশন করার কাজে মানসম্মত একটি কনটেন্ট কে ব্যবহার করবেন।
তখন সেই কনটেন্ট এর ব্যবহার করার প্রক্রিয়া কে বলা হবে, কন্টাক্ট মার্কেটিং। মূলত এই মার্কেটিং এর ফলে আপনি আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেক গুলো কাস্টমারের নিকট রিচ করতে পারবেন।
যার ফলে আপনি খুব দ্রুততার সাথে আপনার কোম্পানি এর প্রসার করতে পারবেন।
কেন কনটেন্ট মার্কেটিং করব (Why content marketing is important)
Content Marketing কি – সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। তবে এই বিষয়টি জানার পরে অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।
যে কেন একজন ব্যক্তির কনটেন্ট মার্কেটিং করা উচিত। তবে আপনার মনে যদি এই প্রশ্নটি জেগে থাকে। তাহলে আমি সেই প্রশ্নের উত্তরে বলব যে, বর্তমান সময়ে আপনি যে কোনো প্রডাক্টের প্রমোশন করাতে চাইলে।
অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হবে। কেননা একটি কনটেন্ট বিহীন অবস্থায় আপনি কোনো ভাবেই আপনার কোন প্রোডাক্ট প্রমোশন করার পারবেন না।
যেমন ধরুন, আপনি যদি কোন একটি ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে আপনার কোন প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে চান। তাহলে অবশ্যই কিন্তু আপনাকে টেক্সট কনটেন্ট (Text Content) এর ব্যবহার করতে হবে।
কিংবা আপনি যদি ভিডিও এর মাধ্যমে আপনার কোন প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে চান। তাহলে অবশ্যই সেই ভিডিও টি তৈরি করার জন্য আপনার একটি মানসম্মত কন্টেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
তবে এর বাইরেও ও কনটেন্ট মার্কেটিং করার জন্য আরও বেশকিছু কারণ রয়েছে। আর আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই কারণ গুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে। তবে এবার আমি সেই কন্টেন্ট মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে গুলো নিয়ে নিচে একটু আলোচনা করবো।
আপনি অবশ্যই সেই আলোচিত আলোচনা গুলো মন দিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন।
আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানার জন্য
মনে করুন, আপনার নতুন কোন একটি কোম্পানি রয়েছে। এবং সেই কোম্পানি তে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে। এখন একটা বিষয় চিন্তা করুন, যখন আপনার একটি নতুন কোম্পানি থাকবে।
তখন আপনার সেই কোম্পানি সম্পর্কে মানুষ জানবে না, এটাই স্বাভাবিক। তো আপনি যখন মানুষ কে আপনার কোম্পানি সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রমোশন করতে চাইবেন।
তখন কিন্তু আপনার একটি ভালো মানের কনটেন্ট এর প্রয়োজন হবে। এবং এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে মানুষকে আপনার কোম্পানি তে থাকা প্রডাক্ট সম্পর্কে সঠিক ভাবে ধারণা দিতে হবে।
কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক স্থাপন
কনটেন্ট মার্কেটিং করার আরও একটি বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। আর সেই উদ্দেশ্য টি হলো আপনি খুব সহজ ভাবে আপনার কাঙ্খিত কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন।
এর পাশাপাশি আপনি খুব সহজ ভাবে আপনার প্রোডাক্টের জন্য কোন ধরনের কাস্টমার রয়েছে। এবং আপনার কাঙ্খিত কাস্টমার গুলো কোন প্লাটফর্মে সবচেয়ে বেশির ভাগ সময় একটিভ থাকে।
সে সম্পর্কে আপনি খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন। এবং আপনি আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া কে উক্ত প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
কাস্টমারের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান
দেখুন যখন আপনার কোন প্রোডাক্ট থাকবে এবং সেই প্রোডাক্ট যখন বিভিন্ন ধরনের কাস্টমার ব্যবহার করবে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন রকম কাস্টমারের নানা ধরনের সমস্যা থাকবে।
কিন্তু যখন আপনি আপনার সেই নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর কনটেন্ট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনি কাস্টমারের মধ্যে থাকা সেই সমস্যা গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এর পাশাপাশি কিভাবে সেই সমস্যা গুলো সমাধান করা যায়। সে সম্পর্কে আপনি আপনার কাস্টমারদের সঠিক ধারণা দিতে পারবেন।
আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াবে
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন শপ হল, দারাজ। এবং আজকের দিনে আমাদের বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ এই অনলাইন শপ সম্পর্কে জানে।
কিন্তু আপনি একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, যখন এই দারাজ নামক অনলাইন শপ এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন কিন্তু তাদের কে এত বেশি মানুষ চিনত না, যতটা আজকের দিনে চিনতে পারে।
কারণ তারা কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজেদের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করতে পেরেছে। এবং আপনিও চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার সদ্য নতুন তৈরি করা কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে নিতে পারবেন
অডিয়েন্স থেকে কাস্টমারের রূপান্তর
কনটেন্ট মার্কেটিং করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে। আর সেটি হলো, আপনার কনটেন্ট দেখার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মানুষদের কে অডিয়েন্স থেকে আপনার বিশ্বস্ত কাস্টমার হিসেবে গড়ে তুলে নিতে পারবেন।
যেমন ধরুন, আপনি যদি আপনার প্রডাক্ট সম্পর্কিত ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন। এবং সেই কনটেন্ট টি ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মাধ্যমে পাবলিশ করেন।
তখন কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই আপনার কনটেন্ট বিভিন্ন রকমের মানুষ দেখবে। আর যদি আপনার সেই পাবলিশ করা কনটেন্ট অনেক মানসম্মত হয়।
এবং সেই কনটেন্ট যদি দর্শকদের মন জয় করে নিতে পারে। তাহলে কিন্তু তারা অডিও থেকে আপনার কাস্টমারের রূপান্তর হতে খুব বেশি একটা সময় লাগবে না।
কিভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হয় ?
উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, কনটেন্ট মার্কেটিং কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি যে।
একজন ব্যক্তি হিসেবে কেন আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং করা উচিত। তো এবার আপনাকে মূল বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেটি হল যে, কিভাবে আপনি এই কনটেন্ট মার্কেটিং করবেন।
তবে আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনার কেউ বিশেষ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। চলুন এবার সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাক।
এবং আপনি যদি এই জানতে চান যে ,কিভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হয়। তাহলে অবশ্যই নিচের আলোচনা গুলো মন দিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন।
অডিয়েন্সের পছন্দের দিক লক্ষ্য করা
যদি আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে চান। এবং কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার কোন প্রোডাক্টের প্রমোশন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম অডিয়েন্সের পছন্দের দিক গুলো কে নির্বাচন করে নিতে হবে।
এবং আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, আপনার যেসব টার্গেটেড অডিয়েন্স রয়েছে। তাদের পছন্দ গুলোকে পূরণ করতে করা। এর পাশাপাশি কোন ধরনের কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট করা অর্ডিন্যান্সের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
সে বিষয়টিও আপনাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
রেফারেন্স যুক্ত তথ্যবহুল কন্টাক্ট পাবলিশ করা
একটি কনটেন্ট কে যখন বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স এর সাথে যুক্ত করে তৈরি করা হয়। তখন সেই কনটেন্ট অনেক বিশ্বাস যোগ্যতা পায়।
ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি আপনার কোনো প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য একটি মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে সেই কনটেন্ট কে রেফারেন্স যুক্ত করতে হবে।
এর পাশাপাশি আপনি যেসব তথ্য আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে চাইবেন। সেই তথ্য গুলো একেবারে নির্ভুল হতে হবে।
আর এই বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রাখলে আপনি খুব সহজেই আপনার কাংখিত কাস্টমারের কাছে বিশ্বাস অর্জন করে নিতে পারবেন।
রিসার্চ করে কনটেন্ট তৈরি করা
আপনি যদি একটু ভালো ভাবে লক্ষ্য করেন, তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে। বর্তমান সময়ে এমন কোন বিষয় নেই যে বিষয় গুলোতে পূর্বে কোন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়নি।
বরং আপনি এখন গুগলে যেকোনো বিষয় লিখে সার্চ করুন না কেন। আপনি গুগল থেকে সেই বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারবেন।
কিন্তু এর পরও যখন আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রমোশন করার জন্য কনটেন্ট তৈরি করবেন। তখন আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ করে নিতে হবে।
আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে, এর পূর্বে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষদের কাছে যেসব কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।
সে গুলো তে কি কি ঘাটতি রয়েছে, এবং সে গুলো খোঁজার পরে সেই ঘাটতি গুলো কে আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে পূরণ করে দিতে হবে।
ভাল কনটেন্ট প্রকাশকদের ফলো করা
যখন আপনি কোন প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করার জন্য কন্টেন্ট ব্যবহার করবেন। তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
মূলত এমন অনেকেই আছেন যারা আপনার মত প্রোডাক্ট নিয়ে বিভিন্ন রকম ভালো ভালো কনটেন্ট প্রকাশ করে আসছে। তো আপনাকে সেই ব্যক্তি গুলো কে নিয়মিত ফলো করতে হবে।
এবং তারা যেসব কন্টেন্ট তৈরি করছে। সেই কনটেন্ট গুলো কে আরো ভালো ভাবে রিসার্চ করতে হবে। তারা তাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য যেভাবে কাজ করছে।
আপনাকে সেই কাজগুলোর দিকে খুব মনোযোগ সহকারে ফলো করতে হবে।
কনটেন্ট মার্কেটিং করার প্ল্যাটফর্ম সিলেক্ট করা
কিভাবে আপনি কনটেন্ট মার্কেটিং শুরু করবেন -এই প্রসঙ্গে সর্বশেষ আলোচিত বিষয় হলো আপনাকে নির্ধারিত প্ল্যাটফর্ম সিলেক্ট করে নিতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কন্টেন্ট রেডি করতে হবে।
অর্থাৎ আপনি আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য কোন প্লাটফর্ম থেকে সর্বাধিক লাভ করতে পারবেন। সেটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
সেজন্য আপনাকে দেখতে হবে যে, আপনার প্রোডাক্টের যেসব কাঙ্খিত কাস্টমার রয়েছে। তারা আসলে কোন ধরনের প্লাটফর্মে বেশি সময় একটিভ থাকে।
এবং সেই প্লাটফর্ম টি আপনাকে খুঁজে নিতে হবে। এবং উক্ত প্লাটফর্মে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত প্রমোশন এর কাজ পরিচালনা করতে হবে।
কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি (Content marketing strategy)
যখন আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে যাবেন। তখন আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। মূলত আজকের দিনে যারা কনটেন্ট মার্কেটিং সেক্টরের সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
তারা বিশেষ কিছু কৌশল অনুসরণ করেছে এবং content marketing এর strategy কয়টি ফলো করেছে। আর আপনি যদি সেই কৌশল গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন।
এবং আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং করার সময় সেই কৌশল গুলো কে প্রয়োগ করেন। তাহলে আপনার ও সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
তবে এখন জানার বিষয় হল যে, সেই কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি গুলো কি কি। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মার্কেটিং রিলেটেড আরোও দেখুন…
- লিংকডিন মার্কেটিং কি? Linkedin কিভাবে কাজ করে
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি? কিভাবে Network Marketing করবেন
- Twitter marketing কি? কিভাবে টুইটার মার্কেটিং করবেন
মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করা
কোন একটি প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য যখন আপনি কন্টেন্ট তৈরি করবেন। তখন আপনাকে যথেষ্ট চেষ্টা করতে হবে সেই কনটেন্ট টি যেন মানসম্মত হয়।
এবং যারা আপনার সেই কনটেন্ট গুলো দেখবে, তাদের কাছে যেন অনেক আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। তবে এই ধরনের মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পূর্ব থেকে যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ করতে হবে।
আর একটি কনটেন্ট রিসার্চ করে তৈরি করার সময় বেশ কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন:
- পূর্বে যারা আপনার প্রডাক্ট সম্পর্কিত কনটেন্ট পাবলিশ করেছে। তারা আসলে তাদের কনটেন্ট এর মধ্যে কি কি প্রদান করেছে এবং সেই কনটেন্ট গুলো তে কি কি ঘাটতি রয়েছে। তা আপনাকে খুঁজে বের করে নিতে হবে।
- আপনি কনটেন্ট রিসার্চ করার সময় যদি তাদের পূর্বে পাবলিশ করা কনটেন্ট গুলো তে যেসব ঘাটতি রয়েছে। সেগুলো অবশ্যই আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে পূরণ করার চেষ্টা করবেন।
- আপনাকে অবশ্যই ওয়েব অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করতে হবে। মূলত এই ওয়েব অ্যানালিটিক্স থেকে আপনি জানতে পারবেন যে। আপনার কনটেন্ট গুলো ভিজিটরদের কাছে কিরকম ফলাফল প্রদান করছে।
- এখানে অ্যানালিটিক্স বলতে আমি আপনাকে বুঝিয়েছি যে, যদি আপনি গুগলের কোন প্লাটফর্ম থেকে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করেন।
- সে ক্ষেত্রে আপনাকে গুগল এনালাইটিক্স কিংবা গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাহলে আপনাকে ফেসবুক এনালাইটিক্স ব্যবহার করতে হবে।
- যখন আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য কনটেন্ট পাবলিশ করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে স্পেসিফিক চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
- এবং আপনাদের প্রোডাক্ট এর জন্য কাস্টমারের বয়স, স্থান এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করে উক্ত চ্যানেলে কন্টাক্ট পাবলিশ করতে হবে।
- আপনি যে কোন প্লাটফর্মে আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং করুন না কেন। আপনাকে অবশ্যই সেই কনটেন্ট তৈরি করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। যেন সেই কনটেন্ট গুলো এসইও ফ্রেন্ডলি হয়।
- কন্টেন্ট মার্কেটিং করার সময় আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করে নিতে হবে।
- অর্থাৎ আপনি মার্কেটিং করার সময় কখন কোন সময়ে মোট কতগুলো কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। তা আপনাকে পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে।
একজন পাবলিশার হিসেবে যখন আপনি আপনার নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করার জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ব্যবহার করবেন।
তখন আপনাকে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট পরিমাণ নজর রাখতে হবে। এবং আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যেন, এই নিয়ম গুলো মেনে কনটেন্ট মার্কেটিং কাজ করতে পারেন।
Content marketing এর strategy কয়টি?
কনটেন্ট মার্কেটিং হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী বিক্রয় কৌশল, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষক কন্টেন্ট তৈরি এবং প্রচার করে আপনার নানা রকম প্রডাক্ট মানুষের মাঝে জানাতে পারবেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে, আপনি আপনার ব্যবসা বা পণ্য/সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বা চাহিদা তৈরি করতে পারবেন, আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন এবং আপনার বিক্রয় বা সার্ভিসগুলা বাড়াতে পারবেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং এর কৌশল সাধারণত চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়:
অ্যাট্রাকশন (Attraction): এই পর্যায়ে, আপনার লক্ষ্য হলো আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার ব্যবসা বা পণ্য/সেবার প্রতি আগ্রহী করে তোলা। এটি করার জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরনের আকর্ষনীয় কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, যেমন:
-
- ব্লগ পোস্ট
- ভিডিও
- ইমেল
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
ইম্প্রেশন (Impression): এই পর্যায়ে, আপনার লক্ষ্য হলো আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার ব্যবসা বা পণ্য/সেবা সম্পর্কে সচেতন করা। এটি করার জন্য, আপনি আপনার কনটেন্টকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন, যেমন:
-
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং
- ইমেল মার্কেটিং
ইন্টারঅ্যাকশন (Interaction): এই পর্যায়ে, আপনার লক্ষ্য হলো আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ শুরু করা এবং তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটি করার জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করতে পারেন, যেমন:
-
- সোশ্যাল মিডিয়া কথোপকথন
- লাইভ ইভেন্ট
- ইনবক্স মার্কেটিং
কনভার্সন (Conversion): এই পর্যায়ে, আপনার লক্ষ্য হলো আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার পণ্য বা সেবা কেনার জন্য রাজি করানো। এটি করার জন্য, আপনি বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করতে পারেন, যেমন:
-
- অফার
- ল্যান্ডিং পেজ
- ট্র্যাকিং
এই চারটি পর্যায়ের মধ্যে, প্রতিটি পর্যায়ে আপনার কৌশলগুলিকে আপনার লক্ষ্য এবং দর্শকদের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা উচিত।
এছাড়াও, কনটেন্ট মার্কেটিং এর কৌশলগুলিকে বিভিন্ন উপায়ে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কনটেন্ট মার্কেটিং কে প্রায়শই প্রচারমূলক এবং শিক্ষামূলক কৌশল হিসাবে বিভক্ত করা হয়।
প্রচারমূলক কৌশলগুলির লক্ষ্য হলো আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বা চাহিদা তৈরি করা, যেখানে শিক্ষামূলক কৌশলগুলির লক্ষ্য হলো আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের তথ্য প্রদান করা।
কনটেন্ট মার্কেটিং এর সুবিধা কি ?
কনটেন্ট মার্কেটিং কি এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং করার কৌশল গুলো কি কি। সে সম্পর্কে আপনি উপরে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পেরেছেন।
তবে এ বিষয়ে বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেটি হল যে, আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করার জন্য কন্টাক্ট মার্কেটিং করেন।
তাহলে আপনি আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর নিচের আলোচনায় এবার আমি আপনাকে সেই কনটেন্ট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।
- যদি আপনি সঠিকভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার সেই কনটেন্ট এর দর্শকদের আপনার কাস্টমারে রূপান্তর করে নিতে পারবেন।
- সঠিকভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করার ফলে আপনি আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমারদের নিকট বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন।
- কনটেন্ট মার্কেটিং করার ফলে আপনি একসাথে অধিক পরিমাণ কাস্টমারদের আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারবেন।
- খুব দ্রুততার সাথে আপনি আপনার কোম্পানির একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করতে পারবেন।
- কনটেন্ট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আরও একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। সেটি হল আপনার কোম্পানির সাথে কাস্টমারদের একটা গভীর সম্পর্ক তৈরি হবে।
- প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার কাস্টমারদের কি কি সমস্যা হচ্ছে এবং কিভাবে সেই সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারবেন। সে সম্পর্কে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
- যখন আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন তখন আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ অডিয়েন্স তৈরি হবে। এবং সেই অডিয়েন্স কে আপনি কাস্টমার হিসেবে তৈরি করার পাশাপাশি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন আপডেট আপনি তাদের নিকট খুব দ্রুততার সাথে পৌঁছে দিতে পারবেন।
- কনটেন্ট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি বিজ্ঞাপন প্রদান করা সহো, ইমেইল মার্কেটিং, ফেসবুক বুস্ট, ইউটিউব ভিডিও সবকিছুতেই আপনার নির্ধারিত কাস্টমারদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারবেন।
সত্যি বলতে আপনি যদি জানতে চান যে, কনটেন্ট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো কি কি। তাহলে আমি আপনাকে লিখে শেষ করতে পারবো না।
বরং যখন আপনি সরাসরি এই কনটেন্ট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই আরও বিশেষ কিছু সুবিধা করতে পারবেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ?
কনটেন্ট মার্কেটিং কি সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেটি হলো কনটেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি (Types of Content Marketing).
কেননা আপনি যদি এখন আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনার সামনে বেশ কিছু প্রকারের কনটেন্ট মার্কেটিং করার মাধ্যম তৈরি হবে।
চলুন এবার তাহলে সেই সকল প্রকার মার্কেটিং করার মাধ্যম গুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক। যাতে করে এই বিষয়ে আপনার কোন কিছু অজানা না থাকে।
০১| সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে আপনি এমন খুব কম মানুষ কে খুঁজে পাবেন যারা মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না। বরং আপনি যদি এই গোটা বিশ্বের হিসেব করেন।
তাহলে দেখতে পারবেন যে বর্তমান সময়ে প্রায় 370 কোটি মানুষ বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আসছে। হয়তোবা এই মানুষ গুলোর মধ্যে কিছু কিছু মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে।
আবার কিছু মানুষ টুইটার ব্যবহার করে। তবে এই ব্যবহারকারী দিক থেকে আরও বিভিন্ন রকমের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
আর এত বেশি ইউজারকে কাজে লাগানোর জন্য আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রমোশন করার জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে এই ধরনের বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারবেন।
০২| ব্লগ কনটেন্ট মার্কেটিং
যদি আপনি আপনার কাস্টমারদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম হবে ব্লগ।
সত্যি কথা বলতে, আপনার কাস্টমার কে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত তথ্য দেয়ার জন্য ব্লগ এর কোন বিকল্প নেই।
তবে আপনি যদি এই ব্লগের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট এর কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে টেক্সট কনটেন্ট এর দিকে নজর রাখতে হবে।
এবং এই ধরনের কনটেন্ট এর মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার কাস্টমারদের নিকট বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন। সে সম্পর্কে আপনাকে যথেষ্ট রিসার্চ করে নিতে হবে।
০৩| ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং
আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্টের প্রমোশন করার জন্য ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে আমার মতে আপনার অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলোর পাশাপাশি ভিডিও কনটেন্ট এর দিকে আরো জোরদার হওয়া উচিত।
কেননা সময় যতো অতিবাহিত হচ্ছে, আমাদের মধ্যে ঠিক ততো বেশি ভিডিও কনটেন্ট দেখার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। আর আপনি যদি এই আগ্রহ কে আপনার নিজের তৈরি করা কনটেন্ট এর মাধ্যমে পূরণ করে দিতে পারেন।
তাহলে কিন্তু আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন এর ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
আর আপনি যদি ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনার জন্য অনেক ধরনের প্লাটফর্ম থাকবে।
যেমন, আপনি চাইলে ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবন। অথবা আপনি যদি চান তাহলে, আপনি ফেসবুক নামক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন।
ঠিক এরকম ভাবে আপনি আরো ভিন্ন রকমের ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং করার প্লাটফর্ম খুঁজে পাবেন।
০৪| ইমেইল কন্টেন্ট মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে কনটেন্ট মার্কেটিং করার অন্যতম একটি উপায় হলো ইমেইল মার্কেটিং। কারণ প্রথমত আপনি আপনার কাস্টমারদের ইমেইল সংগ্রহ করবেন।
এবং পরবর্তী সময়ে আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য সেই সংগ্রহ করা ইমেইল গুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন।
এবং সেই ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের আপডেট আপনার কাস্টমারের নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন।
Content marketing এর উদাহরণ
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আমার বিশ্বাস যে এতক্ষণে আপনার মধ্যে কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কিত অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে গেছে।
কারণ সবার শুরুতে আমি আপনাকে বলছি যে, কনটেন্ট মার্কেটিং কি। এবং এর পরবর্তীতে আমি আপনাকে ধাপে ধাপে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, কনটেন্ট মার্কেটিং করলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এবং আপনি যদি আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং শুরু করতে চান। তাহলে কিভাবে আপনি কাজ করবেন।
তবে এইসব যাবতীয় বিষয় গুলো জানার সাথে সাথে আপনাকে ছোট্ট একটি বিষয় জেনে নিতে হবে আর।
সেই ছোট্ট বিষয়টি হল যে, এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু কনটেন্ট মার্কেটিং এর উদাহরণ এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। চলুন এবার তাহলে সেই Content marketing এর উদাহরণ সম্পর্কে একটু ধারনা নিয়ে যাক।
Text / Articles marketing (টেক্সট মার্কেটিং কি)
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারণ কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে টেক্সট মার্কেটিং হল অন্যতম একটি মাধ্যম। যার সাহায্যে আপনি অধিক পরিমাণ ভিজিটরদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এর পাশাপাশি আপনি প্রচুর পরিমান ভিজিটরদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর আগ্রহ তৈরি করতে পারবেন। মূলত এই ধরনের কনটেন্ট গুলো তৈরি করার জন্য টেক্সট এর ব্যবহার করতে হয়।
আর আপনি চাইলে নিজে থেকে এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। অথবা ভাল কনটেন্ট লিখতে পারে এমন কাউকে হায়ার করে আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রমোশন করার জন্য টেক্সট মার্কেটিং করতে পারবেন।
Video Marketing (ভিডিও মার্কেটিং কি)
বর্তমান সময়ে ক্রমাগত ভাবে ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ মানুষ এখন লিখিত আকারে কনটেন্ট পড়ার চাইতে ভিডিওতে কনটেন্ট দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে।
সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার কোম্পানি তে থাকা কোন প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন। তাহলে কিন্তু আপনি আরও অধিক বেশি লাভবান হবেন।
কিন্তু আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যে ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুলো খুব ভালো ভাবে তুলে ধরার।
Image marketing (ইমেজ মার্কেটিং কি)
প্রডাক্ট প্রমোশনের জন্য অন্যান্য সব কন্টেন্ট মার্কেটিং পদ্ধতি গুলোর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ইমেজ মার্কেটিং।
যার মাধ্যমে বর্তমান সময়ে প্রায় অধিকাংশ কোম্পানি তারা তাদের প্রোডাক্ট এর কনটেন্ট মার্কেটিং করে আসছে। যদি আপনি ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে।
বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপ গুলো ফেসবুকের মাধ্যমে ইমেজ মার্কেটিং করে আসছে। তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, একটি অথবা দুইটি ইমেজ এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায়।
এতে করে আপনি অধিক পরিমান লাভবান হবেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং কেন জরুরি ?
এখন যদি আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, এই কন্টেন্ট মার্কেটিং আসলে কেন এতটা জরুরী। তবে এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে।
এমন বিশেষ কিছু বিষয় আছে যেগুলো জানতে পারলে আপনার কাছে মনে হবে যে। একটি প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং এতটা জরুরি কেন। যেমন:
- আপনার কোম্পানিতে তৈরি করা প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলে কাস্টমারদের কি কি সমস্যা হচ্ছে। সেটি অবশ্য আপনাকে জেনে নিতে হবে।
- কারণ আপনি যদি সে সম্পর্কে না জানেন, তাহলে কিন্তু আপনি আপনার কাস্টমারদের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন না।
- কনটেন্ট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ করার সুযোগ পাবেন। যেমন ধরুন, আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কত বয়সের মানুষের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ রয়েছে।
- সেই মানুষ গুলো কোন কোন স্থানে বসবাস করে। এর পাশাপাশি তাদের লিঙ্গ সম্পর্কে আপনি ধারণা নিতে পারবেন।
- যখন আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন। তখন মার্কেটিং করার সময় আপনার কোন ধরনের পণ্য গুলো কে মানুষ অধিকাংশ সময় কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছে, সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- এসব কিছুর বিচার বিবেচনা করা পাশাপাশি মানুষ আপনার কোম্পানি থেকে আরো কি কি ধরনের নতুন পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
উপরে আপনি যে বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন। সে গুলোর কারণে অবশ্যই আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং করা উচিত।
আর আমার মতে এই বিষয় গুলো হল কোন একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়। আর এই সব কিছুর জন্য অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হবে।
কেননা বর্তমান সময়ে প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই।
Content Marketing এর জন্য কি ধরনের Skill বা Qualification দরকার হয়ে থাকে?
এখন হয়তবা অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, কনটেন্ট মার্কেটিং করার জন্য কি রকম যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।
তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে। এটি হলো সম্পূর্ণ অনলাইন একটি প্লাটফর্ম। তাই এখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন একটা গুরুত্ব বহন করবে না।
কিন্তু আপনি যদি এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলো তে কনটেন্ট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং করার স্ট্রাটেজি গুলো কে সঠিকভাবে জানতে হবে।
এবং সেই স্ট্রাটিজি গুলো কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সে সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে। যদি আপনার নিকট এই ধরনের দক্ষতা থাকে।
তাহলে এই দক্ষতা কাছে আপনার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন একটা গুরুত্ব বহন করবে না। বরং আপনি আপনার ভেতরে থাকা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট মার্কেটিং করে অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারবেন।
Content marketing এর ভবিষ্যত
আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং এর ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় বলে দিব যে, কনটেন্ট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।
কারণ সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে, আমরা মানুষ ঠিক ততটাই অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। আর আপনি যদি এই অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে আপনার কোম্পানিতে থাকা প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করাতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং জানতে হবে। এবং সে দিক থেকে বলা যায় যে, সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথেই কনটেন্ট মার্কেটিং এর চাহিদা আরো অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে।
কনটেন্ট মার্কেটিং নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আপনার কোন প্রোডাক্টের প্রমোশন করাতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং এর দিকে যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্ব দিতে হবে।
কেননা প্রডাক্ট প্রমোশন এর ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ার মূল চাবিকাঠি হল কনটেন্ট মার্কেটিং।
আর সে কারণে আজকের আর্টিকেলে আমি কনটেন্ট মার্কেটিং কি, কিভাবে আপনি কনটেন্ট মার্কেটিং করবেন। এবং আপনি যদি কন্টেন মার্কেটিং করেন, তাহলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সে বিষয় গুলো নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি এই আলোচিত আলোচনাগুলো থেকে আপনার ভেতরে থাকা কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কিত সমস্ত অজানা বিষয় জানা হয়ে গেছে এবং আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে