ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম : আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন নিজের নামে চেক বই লেখার নিয়ম, ক্রস চেক লেখার নিয়ম, একাউন্ট পে চেক লেখার নিয়ম। যদি আপনি একজন ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার একটা বিষয় জানা থাকবে যে। ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে চেক এর ব্যবহার করতে হবে।
মূলত এই চেক প্রদান করে আপনি কোন একটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এবং এই চেকের মাধ্যমে কিন্তু আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করে রাখতে পারবেন।
তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা মূলত এই ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম, নিজের নামে চেক লেখার নিয়ম, একাউন্ট পে চেক লেখার নিয়ম এবং চেক থেকে টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা।
কিন্তু আপনি যদি একজন ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম এবং চেক থেকে টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে না জানেন।
সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করার সময় নানা প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর সে কারণেই মূলত একজন ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে আপনাকে এই বিষয় গুলো জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
এর পাশাপাশি ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি চেক এর গুরুত্ব আপনি যদি বুঝতে না পারেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সেই চেকের মাধ্যমে অপরিচিত কোন ব্যক্তি অসৎ উপায়ে অনুসরণ করে।
আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে। আর সে কারণেই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। একটি ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে চেক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি ব্যাংক নিয়ে আরোও দেখুন…
এবং ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কি কি সেই বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি চেক থেকে টাকা তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। তাই আপনি যদি ব্যাংকিং চেক সম্পর্কিত এই অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান।
তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার। তাহলে আজকের পর থেকে আপনার ব্যাংকের চেক সম্পর্কিত কোনো অজানা বিষয় থাকবে না।
ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কি?
সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম গুলো কি কি। কেননা যখন আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানতে পারবেন।
তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। তো এই বিষয়টি কে সহজ ভাবে বলার জন্য প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে যে।
একটি ব্যাংকে লেনদেন করার সময় আপনাকে অবশ্যই একটি চেক বই দেওয়া হবে। মূলত আপনি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়।
প্রত্যেকটা গ্রাহককে ব্যাংক থেকে একটি চেক বই প্রদান করা হয়। যে চেক বই মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি এই চেক বই এর মাধ্যমে আপনার ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
কেননা আপনি যদি নিয়ম মাফিক সেই চেক বই লিখতে না পারেন। তাহলে কিন্তু কোন ভাবেই আপনি আপনার একাউন্ট তৈরিকৃত ব্যাংক থেকে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন না।
তবে এখন জানার বিষয় হল যে ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কি। এখন আপনি যদি জানতে চান যে ব্যাংক চেক লেখার সঠিক নিয়ম কি। তাহলে আপনাকে নিজের আলোচিত আলোচনায় একটু নজর রাখতে হবে।
তো আপনি যদি ব্যাংক চেক লিখতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ব্যাংক থেকে একটি চেক বই সংগ্রহ করতে হবে।
আমি উপরে একটা কথা বলেছি যে, একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় প্রত্যেক টি ব্যাংক থেকে একটি চেক প্রদান করা হয়ে থাকে। তো যখন আপনি আপনার সেই চেক বই টি খুলবেন। তখন আপনার চেক বই এর মধ্যে বেশ কিছু ইনফরমেশন দেখতে পারবেন।
মূলত একটি চেক বইয়ের ভেতরে থাকা এই ইনফরমেশন গুলো পূরণ করে ব্যাংকে জমা দেওয়ার মাধ্যমে, আপনি আপনার ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে এই চেক বই এর মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ যখন আপনি সেই চেক বই লিখবেন।
তখন আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম মানতে হবে। আর সে নিয়ম গুলো জানার জন্য আপনাকে নিচের আলোচনায় নজর রাখতে হবে। কারন নিচে আমি ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিশদ ভাবে আলোচনা করব।
ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কি ?
যখন আপনি নতুন কোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করবেন। তখন আপনাকে একটি চেক প্রদান করা হবে। তো যখন আপনি আপনার চেক বইটি ওপেন করবেন।
তখন সেই চেক বইয়ের ভিতরে বেশ কিছু ইনফরমেশন দেখতে পারবেন। মূলত কিভাবে আপনি সেই ইনফরমেশন গুলো পূরণ করে ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করবেন, এবার সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
Date: যখন আপনি আপনার চেক বইয়ের কোন পৃষ্ঠা ওপেন করবেন। তখন আপনি সেই চেকের সবার উপরে Date নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন।
মূলত এখানে আপনাকে আপনার আর্থিক লেনদেন করার সঠিক তারিখ প্রদান করতে হবে। তবে এখানে তারিখ দেওয়ার সময় একটা বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
আর সেই বিষয়টি হলো যে, এই চেক বই আপনি যে তারিখ দেবেন। সে তারিখ অবশ্যই তিন মাসের মধ্যে হতে হবে।
কেননা এখানে প্রদান করা তারিখ টি যদি তিন মাসের বাইরে চলে যায়। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সেই চেক টি অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় জেনে নিতে হবে।
সেই বিষয়টি হলো যে, চেক বইয়ের মধ্যে আপনি যে তারিখ দিবেন, সেটি অবশ্যই ইংরেজিতে দিতে হবে। তাই যখন আপনি এই চেক বইয়ের মধ্যে তারিখ উল্লেখ করবেন। তখন কোন ভাবেই বাংলায় তারিখ দেয়ার চেষ্টা করবেন না।
Pay To: মূলত যখন আপনি সেই চেকের মাধ্যমে আপনার অন্য কোন ব্যক্তিকে টাকা পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে আপনি চেক বইয়ের মধ্যে Pay To নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন।
তো এখানে আপনি আসলে যাকে চেকের মাধ্যমে টাকা দিতে চান, সেই সংস্থা অথবা সেই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজের একাউন্টে সেই চেক এর মাধ্যমে টাকা দিতে চান।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্য কোনো ব্যক্তির নাম লেখার প্রয়োজন পড়বে না। বরং সেখানে আপনি Self লিখে দিবেন। অর্থাৎ এই Self কথাটির লেখার অর্থ হল, আপনি নিজেই নিজের একাউন্টে টাকা দিতে চাচ্ছেন।
The Sum of taka: তো চেক বইয়ের মধ্যে আপনি আরও একটি অপশন দেখতে পাবেন। আর সেটি হল The Sum of taka.
তো আপনি আসলে আপনার সেই চেক এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি কে মোট কত টাকা দিতে চাচ্ছেন, সেটির মান এখানে লিখে দিতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনি আপনার কোন কাছের মানুষ কে 5000 টাকা দিতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আপনি এই অপশনে উল্লেখ করে দিবেন, Five Thousands Only.
কিন্তু আপনি যদি এর থেকে বেশি কিংবা এর থেকে কম টাকা প্রদান করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই টাকার পরিমাণ কে ইংরেজি তে লিখে দিতে হবে।
শুধু একটা কথা মাথা রাখবেন, যেন এই টাকার পরিমাণ লেখার সময় কোন ধরনের ভুল না হয়।
TK: তো আপনি আপনার সেই চেক এর যে প্রান্তে টাকার পরিমাণ কে ইংরেজিতে লিখেছিলেন। তার ঠিক ডানপাশে আপনি আরো একটি ফাঁকা বক্স দেখতে পারবেন।
আপনার জন্য ব্যাংকিং নিয়ে লেখা…
- সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তোলার নিয়ম
- এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে জানুন
মূলত এই ফাকা বক্সে আপনি যে টাকার পরিমান কে ইংরেজি তে লিখেছিলেন। সেই টাকার পরিমাণ কে অংকে লিখতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনি যদি আপনার চেক বইয়ের মধ্যে থাকা The Sum of taka এর অপশন এ Five Thousands Only লিখে থাকেন। তাহলে সেই অপশন এর পাশে থাকা ফাকা বক্সে আপনাকে 5000 কথাটি ইংরেজিতে লিখে দিতে হবে।
Signature: একটি চেক বইয়ের মধ্যে থাকা সর্বশেষ অপশন এর নাম হলো সিগনেচার। অর্থাৎ যখন আপনি উপরের সমস্ত কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন।
তখন আপনি আপনার নিজের স্বাক্ষর বসিয়ে দিবেন। মূলত যখন আপনি এই স্বাক্ষর বসিয়ে দিবেন, তখন আপনার এই চেক বইটি আর্থিক লেনদেন করার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এবং যখন আপনি আপনার ব্যাংকে চেক শো করবেন। তখন ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ আপনাকে এই চেক বইয়ের মাধ্যমে লেনদেন করার অনুমতি প্রদান করবে।
ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম
যদি আপনি নতুন চেক বই তোলার জন্য ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম খুঁজে থাকেন। তাহলে প্রথমত আপনাকে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যাংকিং রিলেটেড কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট গুলো তে আপনার একটি পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার প্রয়োজন হয়ে থাকবে।
তো আপনি যখন সেই ওয়েব সাইট গুলোতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। তখন সেই একাউন্ট এর অপশনে আপনি রিকুয়েস্ট চেকবুক নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন।
আপনাকে মূলত সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। আর যখন আপনি আপনার একাউন্ট থেকে রিকুয়েস্ট চেকবুক নামের অপশন এ ক্লিক করবেন।
তখন আপনাকে পরবর্তী 7 থেকে 10 কার্যদিবসের মধ্যে আপনার চেক বই চলে আসবে। তবে কিছু কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম পূরণ করার প্রয়োজন হবে।
আপনি যখন সেই ফরম টি পূরণ করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্যাংকিং রিলেটেড তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন হবে।
চেক বই তোলার নিয়ম
যদি কখনো কোনো সময়ে আপনার নতুন চেক বই তোলার প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি সরাসরি সেই ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করে।
সরাসরি ফোন কলের মাধ্যমে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে আপনার ব্যাংকের রেজিস্টার কৃত মোবাইল নাম্বারে কল করতে হবে।
যখন আপনি তাদের মোবাইল নাম্বারে কল করবেন। তখন আপনার ব্যাংকের ইনফর্মেশন দিতে হবে। আপনি আপনার ব্যাংকের ইনফর্মেশন দিবেন।
তারপরে আপনি ফোন কলের মাধ্যমে তাদের কে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং তারা পরবর্তী নির্ধারিত কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে আপনার নতুন চেক বই পাঠিয়ে দিবে।
নিজের নামে চেক লেখার নিয়ম
ইতিপূর্বে আমাদের ওয়েবসাইটে ব্যাংকিং রিলেটেড অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করেছি এবং অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে চেক বই দিয়ে কিভাবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হয়।
চেক বই দিয়ে বেশ কয়েকটি উপায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়। তার মধ্যে সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হয় নিজের নামে চেক বই লেখার।
আমি এর আগের আর্টিকেলে আপনাদেরকে দেখিয়েছি কিভাবে সোনালী ব্যাংক থেকে চেক বই দিয়ে টাকা তুলতে হয়। আসলে চেক বই দিয়ে টাকা তোলার সকল সিস্টেম একই।
শুধুমাত্র Pay To এর তার নাম থাকবে যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলবে। এখন আপনি যদি নিজে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চেক বই এর মাধ্যমে টাকা তুলতে চান।
তাহলে অবশ্যই Pay To এর জায়গায় লিখতে Self. অর্থাৎ আপনি নিজেই আপনার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চেক বই মাধ্যমে টাকা তুলতে আগ্রহী।
আর বাকি খালি জায়গা গুলো অন্যান্য উপায়ে টাকা তোলার মতো ফিলাপ করে জমা দিলে আপনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ক্রস চেক লেখার নিয়ম
ক্রস চেক কথাটির অর্থ হল যখন কোন চেক এর মধ্যে ক্রস থাকে। তখন কিন্তু আপনি সেই চেকের মাধ্যমে নগদ কোন আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না।
কেননা যখন আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের চেক প্রদান করবেন। তখন তারা আপনাকে সেই চেকের মাধ্যমে নগদ আর্থিক লেনদেন করার অনুমতি প্রদান করবে না।
এই ধরনের cross-check গুলোর মধ্যে সবার উপরের ডান কোনায় বিভিন্ন ভাবে দাগ টেনে দেয়া হয়। মূলত এই ধরনের চেকের মাধ্যমে সরাসরি আর্থিক লেনদেন করা হয় না।
তবে আপনি আপনার নিজের একাউন্ট এর মাধ্যমে এই ক্রস চেক এর মাধ্যমে টাকা টান্সফার করে নিতে পারবেন।
একাউন্ট পে চেক লেখার নিয়ম
কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসাকে অর্থ প্রদানের জন্য একটি চেক লেখার সময়, চেকটি সঠিকভাবে এবং দ্রুত প্রক্রিয়া করা হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে কয়েকটি মৌলিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
প্রথমত, নিশ্চিত করুন যে আপনি তারিখ ক্ষেত্রে সঠিক তারিখটি লিখেছেন। এই দিনে চেকটি ব্যাঙ্কের দ্বারা প্রক্রিয়া করা হবে। এর পরে, “পে টু দ্য অর্ডার অফ” ক্ষেত্রে প্রাপকের নাম লিখুন।
এটি একটি ব্যক্তি বা একটি ব্যবসা হতে পারে। সবশেষে, যথাযথ ক্ষেত্রে সংখ্যা এবং শব্দ উভয় ক্ষেত্রেই আপনি যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করছেন তা লিখুন।
একবার আপনি এই পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করলে, চেকে স্বাক্ষর করুন এবং মেমো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মেমো লিখুন।
কিভাব চেক দিয়ে টাকা তোলা যায়?
এবার অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে থাকতে পারেন যে, কিভাবে চেক দিয়ে টাকা তোলা যায়। আসলে এ কাজটি আপনি খুব সহজভাবে করতে পারবেন।
আর এই কাজটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রদত্ত যে কোন চেক বইটি সংগ্রহ করতে হবে।
এবং সেই চেক বইয়ে আপনাকে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন গুলো পূরণ করতে হবে। যেমন, আপনি কত টাকা উত্তোলন করতে চান, এবং তারিখ এর পাশাপাশি আপনার সিগনেচার দিতে হবে।
তো যখন আপনি আপনার চেক বইয়ের এইসব তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তখন আপনি সরাসরি সেই চেক টি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
অথবা আপনি সেই চেকটি অন্য কাউকে দিয়ে সেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
চেক লেখার সময় সর্তকতা
যখন আপনি চেক লিখবেন তখন আপনাকে বেশ কিছু সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে। কারণ এই চেক লেখার সময় আপনি যদি ভুলবশত কোনো কিছু করে ফেলেন।
তাহলে কিন্তু আপনার সেই চেকটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তাই অবশ্যই আপনাকে চেক লেখার সময় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
এবং সেই সতর্কতার সহিত আপনাদের সেই চেক গুলো পূরণ করতে হবে। চলুন এবার তাহলে সেই সতর্কতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- যখন আপনি আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করবেন। তখন চেক জমা করার সময় ফরমের দুটি অংশ থাকবে। মূলত একটি অংশও আপনাকে দেওয়া হবে এবং আরেকটি অংশ ব্যাংকে জমা রাখবে।
- এখন আপনাকে দেওয়া অংশটি আপনি কখনোই ফেলে দিবেন না।
- যখন আপনি চেক লেখার সময় টাকার অংক প্রকাশ করবেন। তখন এই টাকার অংক প্রকাশ করার শেষে আপনাকে (/-) এই চিহ্নটি দিতে হবে।
- যদি আপনি এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার চেকের মাধ্যমে জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
কেননা যদি আপনি আপনার টাকার অংকের শেষে এই চিহ্নটি ব্যবহার না করেন। সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি আপনার এই চেকের মাধ্যমে যে পরিমাণ টাকার অংক লেখা থাকবে।
তার থেকে আরও বেশি লেখার সুযোগ পাবে। মূলত ব্যাংকিং লেনদেন করার সময় অবশ্যই আপনাকে এই বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট নজর রাখতে হবে।
এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকে জমা দেয়ার নিয়ম
এবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আপনি ব্যাংকের চেক দিয়ে কি অন্য কোন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব কিনা।
যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে। অতীতের দিন গুলোতে এরকম কোন পদ্ধতি চালু ছিলনা।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি একটি ব্যাংকের চেক এর মাধ্যমে অন্য একটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে যখন আপনি আপনার চেকের মাধ্যমে যে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করবেন। তখন অবশ্যই সেই ব্যাংকে আপনাকে যেতে হবে।
এবং সেই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার জন্য যেসব নিয়ম রয়েছে, সে নিয়ম গুলো আপনাকে জেনে নিতে হবে।
এবং এই নিয়ম গুলো জানার পরে আপনাকে সেই অনুসারে কাজ করতে হবে। তাহলেই আপনি একটি ব্যাংকের চেক এর সাহায্যে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
FAQs
চেক কী?
চেক হল একটি লিখিত নির্দেশনা যা একজন ব্যাক্তি তার হিসাব থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়।
চেকের তারিখ কী?
চেকের তারিখ হল সেই তারিখ থেকে চেকটি বৈধ হবে। চেকের তারিখের আগে চেকটি জমা দেওয়া হলে তা গ্রহণ করা হবে না।
চেকের বাহক মানে কী?
চেকের বাহক হল সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যা চেকের অর্থ গ্রহণ করতে পারে। চেকের বাহকের নামটি চেকের উপর বড় হাতের অক্ষরে লিখতে হবে।
চেক জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক চার্জ কী?
চেক জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক চার্জ দিতে পারে। চার্জের পরিমাণ ব্যাংকের নীতির উপর নির্ভর করে।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, যদি আপনি বাংলাদেশের কোন একটি ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার অবশ্যই ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।
এর পাশাপাশি যখন আপনি কোন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন। তখন আপনাকে নিয়মিত সেই ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে হবে।
আর সেজন্য আপনাকে চেক থেকে টাকা তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। আর আজকের আর্টিকেলে আমি সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
কারণ আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম এবং চেক থেকে টাকা তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।