পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন : পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন করে আয় করুন

পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন : আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান সময়ে পাঠাও হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বাইক রাইডিং কোম্পানি।

পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন : পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন করে আয় করুন
পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন

তবে এই কোম্পানি থেকে শুধু বাইক রাইড নয় বরং এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে।

আর উক্ত সার্ভিস গুলোতে যুক্ত হয়ে আপনার বা আমার মতো মানুষদের আয় করার নতুন পথ সৃষ্টি হয়েছে। তো আপনার নিকট যদি একটি বাইক থাকে।

তাহলে কিভাবে আপনি পাঠাও থেকে আয় করতে পারবেন। সেই বিষয় গুলো নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কিভাবে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করে আয় করা যাবে?

যদিওবা আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে পাঠাও বাইক রাইড শেয়ারিং হিসেবে জনপ্রিয়। তবে পাঠাও আর আরো অন্যান্য সার্ভিস আছে।

তার মধ্যে অন্যতম হলো, পাঠাও ফুড। যেখানে আপনি আপনার ঘরে বসে অর্ডার করা খাবার হোম ডেলিভারি নেওয়ার মতো সুবিধা পাবেন।

আর এই ধরনের সার্ভিস গুলোকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক জনবল এর দরকার হয়।

যেমন, রাইড শেয়ারিং করার জন্য একজন দক্ষ বাইক রাইডার ও বাইকের দরকার হয়। ঠিক তেমনি ভাবে ফুড ডেলিভারি দেওয়ার জন্য দক্ষ লোকের দরকার হয়।

আপনার জন্য আরোও আছে… 

তো আপনি যদি একজন কর্মক্ষম ব্যক্তি হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি পাঠাও এর বাইক রাইড সার্ভিস কিংবা ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

তারপর আপনি তাদের সার্ভিসের আন্ডারে কাজ করে পাঠাও থেকে আয় করতে পারবেন।

কেন পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়?

যদি আপনি আয় করার জন্য পাঠাও এর সাথে যুক্ত হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টস জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

কিন্তুু আমরা অনেকেই মনে করি যে, পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করা হয়তবা অনেক কঠিন একটা কাজ।

কিন্তুু যারা আসলে এমনটা মনে করেন, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, আপনি মাত্র কয়েকটি ধাপ ফলো করার মাধ্যমে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

আর কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সেই উপায় গুলো নিচে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হলো। 

পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করার উপায় কি?

যদি আপনার নিকট একটি মোবাইল অথবা কম্পিউটার থাকে। তাহলে আপনি অনলাইন থেকে মাত্র কয়েকটি ধাপ ফলো করে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

সেজন্য আপনাকে যেসব নিয়ম ফলো করতে হবে। সেই নিয়ম গুলো হলো, 

  1. সবার প্রথমে আপনাকে এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে। 
  2. তারপর আপনি উপরের একটি পেজ দেখতে পারবেন। 
  3. এবার “নামের প্রথম অংশ” এর জায়গাতে আপনার নাম বসিয়ে দিন। 
  4. ”নামের শেষ অংশ” তে আপনার নামের পদবী যুক্ত করুন।
  5. এবার আপনি আপনার সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করুন। 
  6. আপনি কোথাও কাজ করতে চান সেটি “শহর” অপশন থেকে সিলেক্ট করুন।
  7. এবার আপনি “আপনি কি সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন” তা সিলেক্ট করুন। 
  8. তারপর আপনাকে “পরবর্তী ধাপ” নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তো আপনি যখন উপরের নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে ফলো করবেন। তারপর আপনাকে আরো একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।

আর সেই পেজে যাওয়ার পর আপনাকে আরো কিছু তথ্য ও ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। যেমন, 

  1. সবার প্রথমে আপনাকে আপনার লিঙ্গ সিলেক্ট করে দিতে হবে। 
  2. তারপর আপনার জন্মতারিখ দিতে হবে।
  3. জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন করার জন্য এনআইডি অথবা পাসপোর্ট সিলেক্ট করুন। 
  4. তারপর আপনি আপনার পাসপোর্ট/এনআইডি নাম্বার প্রদান করুন। 
  5. যদি আপনার কাছে রেফারেল কোড থাকে তাহলে সেটি বসিয়ে দিবেন।
  6. এবার আপনাকে আপনার নিজের সদ্য তোলা ছবি আপলোড করতে হবে।

এখন আপনি যদি বাইক রাইডার হিসেবে যোগ দিতে চান। তাহলে আপনাকে আপনার বাহন এর বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে হবে।

আর কিভাবে আপনি আপনার বাইকের তথ্য প্রদান করবেন। সেগুলো নিচের আলোচনায় দেখিয়ে দেওয়া হলো। যেমন,

  1. এবার আপনাকে বাইকের ব্রান্ড সিলেক্ট করতে হবে।
  2. তারপর আপনাকে বাইকের মডেল সিলেক্ট করতে হবে। 
  3. এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে “রেজিস্ট্রেশন নাম্বার” দিতে হবে। 
  4. একইভাবে আপনাকে বছর, ট্যাক্স টোকেন নাম্বার ও ফিটনেস নাম্বার দিতে হবে। 
  5. সবশেষে আপনাকে “Submit” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তো যদি আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তাহলে আপনি সফল ভাবে পাঠাও বাইক রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। 

পাঠাও বাইকার রেজিষ্ট্রেশন করতে কি কি লাগে?

যখন আপনি একজন বাইকার হিসেবে পাঠাও এর সাথে যুক্ত হতে চাইবেন। তখন পাঠাও বাইক রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর দরকার হবে।

আর সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা নিচে শেয়ার করা হলো। যেমন, 

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র মূল কপি
  2. ড্রাইভিং লাইসেন্স (পেশাদার / অ-পেশাদার)
  3. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কাগজ
  4. যানবাহন ট্যাক্স টোকেন
  5. যানবাহন বীমা কাগজ (ঐচ্ছিক)
  6. মালিক এনআইডি (যদি গাড়ির মালিক না হয়)

মূলত আপনারা যারা বাইক রাইডার হিসেবে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করতে চান।

তাদের আসলে যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। 

পাঠাও ফুডম্যান রেজিষ্ট্রেশন করতে কি কি লাগে?

বর্তমান সময়ে পাঠাও এর ফুড ডেলিভারি হলো অন্যতম একটি সার্ভিসের নাম। তো যদি আপনি পাঠাও এর সাথে ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করতে চান।

তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আর রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনার কাছে যেসব ডকুমেন্টস থাকতে হবে। সেই ডকুমেন্টস গুলো নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো।

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র মূল কপি এবং সাথে ১টি ফটোকপি।
  2. রেফারেন্সের জাতীয় পরিচয়পত্র মূল কপি এবং সাথে ১টি ফটোকপি। রেফারেন্স হিসেবে শুধুমাত্র বাবা-মা, ভাই-বোন গ্রহনযোগ্য হবে।
  3. রেজিস্টার্ড নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
  4. সিভি,
  5. সম্প্রতি তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

আপনারা যারা পাঠাও ফুড ডেলিভারি করার কাজ করতে চান। তাদের আসলে কোন ধরনের ডকুমেন্টস দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। উক্ত ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। 

পাঠাও বাইকার হয়ে মাসে কত টাকা আয় করা যাবে?  

আপনার নিকট যদি একটি বাইক থাকে, তাহলে আপনি পাঠাও বাইকার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা আসলে জানতে চায় যে, পাঠাও বাইকার হয়ে মাসে কত টাকা আয় করা যাবে।

আর আপনি আসলে পাঠাও বাইক রাইডার হিসেবে মোট কত টাকা আয় করতে পারবেন। সেই আয় করার পরিমান নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

কেননা, আপনার আসলে নির্ভর করবে যাত্রীর উপর। সেক্ষেত্রে আপনি যদি বেশি যাত্রীকে রাইড দিতে পারেন। তাহলে আপনার আয়ের পরিমান বেশি হবে।

কিন্তুু স্বাভাবিক ভাবে যদি আপনি নিয়মিত পাঠাও রাইড করতে পারেন। তাহলে আপনার প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

পাঠাও ডেলিভারি ম্যান বেতন কত টাকা?

যখন কোনো একজন ব্যক্তি পাঠাও ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করবে। তখন তার নির্দিষ্ট কোনো বেতনসীমা নির্ধারন করা থাকবে না।

কেননা, আপনি যতো বেশি অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি দিতে পারবেন। আপনার আয় ততো বেশি হবে।

তবে ডেলিভারির ক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করা হবে। যেমন, আপনি যখন ৩ কিলোমিটার এর মধ্যে কোথাও ডেলিভারি দিবেন।

তখন আপনার ডেলিভারি করার বিনিময়ে আয় হবে ৬০ টাকা। আর ৩ কিলোমিটার এর বাড়তি দুরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে আরো ৫ টাকা করে যোগ হবে। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

যারা নতুন হিসেবে পাঠাও বাইক রাইড কিংবা ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে চায়। তারা আসলে কিভাবে অনলাইনে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করবেন।

আজকে সেই রেজিষ্ট্রেশন করার পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তো আজকের পদ্ধতি গুলো ফলো করতে যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়।

তাহলে আপনার সমস্যাটি নিচে কমেন্ট করবেন। আর এতক্ষন ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top