নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি | কিভাবে Network Marketing করবেন | Network Marketing in bengali

 নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি : online network marketing আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি | কিভাবে Network Marketing করবেন | Network Marketing in bengali
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি

এবং কেন আপনার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করা উচিত। এর পাশাপাশি আপনি জানতে পারবেন যে। একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে কিভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করবেন।

network marketing ki প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে আজ আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি network marketing কি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। তাই অবশ্যই আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।

দেখুন আপনি হয়তো বা এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা রেফারেল প্রোগ্রাম সম্পর্কে জেনে থাকবেন। মূলত এই ধরনের পদ্ধতি গুলো তে আপনি যত সংখ্যক মানুষ কে নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট কিংবা কোম্পানি তে যুক্ত করতে পারবেন।

আপনার তত বেশি কমিশন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ঠিক তেমনি ভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিন্তু একই ভাবে কাজ করে থাকে।

মূলত এই পদ্ধতি তে শুরুর দিকে একজন মানুষ দিয়ে সূচনা হলেও। পরবর্তী সময়ে সেই একজন থেকে দুজন মানুষ এবং দুজন থেকে পাঁচজন করে এভাবে ক্রমাগত ভাবে লোকসংখ্যা বাড়তে থাকে।

আর বর্তমান সময়ে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশেও কিন্তু বর্তমানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অনলাইন মার্কেটিং নিয়ে আরোও দেখুন…

কিন্তু আপনি যদি নতুন ব্যক্তি হিসেবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি, network marketing strategy এবং কিভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করা যায়।

তার প্রত্যেকটা বিষয়ে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। চলুন তাহলে মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি ? (What Is Network Marketing in bengali)

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি যদি আমি এই বিষয়টি কে সংজ্ঞায়িত করতে চাই। তাহলে বলব যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হলো বিশেষ এক ধরনের ব্যবসায়িক মডেল।

যেখানে মূলত একজন ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তি কে যুক্ত করা হয় ব্যবসায়িক কাজের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য।

আর সে কারণেই মূলত এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কে অনেক সময় এম এল এম অথবা রেফারেল মার্কেটিং ও বলা হয়ে থাকে।

তবে যখন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি থেকে অন্য আরেক জন ব্যক্তি। এবং সেই ব্যক্তি থেকে আরও অন্যান্য ব্যক্তি পর্যন্ত ব্যবসায়ী কাজকর্ম করা হয়ে থাকে।

এবং এই ব্যবসায় প্রত্যেকটা পর্যায়ে পরিমিত পরিমাণে কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে। তখন সেই পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং।

হয়তো বা উপরের এই আলোচনা থেকে আপনি পরিষ্কার ধারণা নাও পেতে পারেন। চলুন বিষয়টি কে আরেকটু উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলা যাক।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি সে বিষয়টি কে সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য। আপনি একটা গাছের উদাহরণ দিয়ে চিন্তা করুন। মনে করুন আপনি একটি গাছ রোপণ করলেন।

এবং সেই গাছটি রোপন করার সময় শুধুমাত্র দুটি পাতা ছিল। এবং পরবর্তী সময় যখন সেই গাছ টি ক্রমাগত ভাবে বড় হতে থাকে।

তখন উক্ত গাছের আরো অনেক ডালপালা শাখা প্রশাখা তৈরি হয়। এভাবে ধীরে ধীরে সেই গাছটির শাখা প্রশাখা বাড়তে থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাজ করে থাকে। মূলত এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শুরুর দিকে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দিয়ে উদ্বোধন করা হলেও।

পরবর্তী সময়ে একজন ব্যক্তি থেকে অন্য আরেকজন ব্যক্তি। এবং সেই ব্যক্তি থেকে আরও অনেক ব্যক্তি এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হয়।

এবং যুক্ত হওয়ার পরে প্রত্যেক জন ব্যক্তি উত্তর নেটওয়ার্ক মার্কেটিং থেকে কমিশন লাভ করতে সক্ষম হয়। মূলত এই সকল পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং।

আবার অনেকেই জানতে চায়, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কি – মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) একটি সরাসরি বিক্রয় পদ্ধতি যা পণ্য বিক্রি করার জন্য পরিবেশকদের একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।

পণ্যগুলি একটি মূল কোম্পানি থেকে ক্রয় করা হয় এবং তারপর পরিবেশকদের দ্বারা বিক্রি করা হয়।

যারা শুধুমাত্র তাদের উৎপন্ন বিক্রয়ের জন্যই নয় বরং তাদের ডাউনলাইনের অন্যান্য সদস্যদের বিক্রয়ের জন্যও ক্ষতিপূরণ পায়।

উদাহরণস্বরূপ কমিশনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের পণ্য কিনতে উৎসাহিত করা হতে পারে এবং নতুন সদস্য নিয়োগের জন্য তারা আলাদাভাবে মুনফা পাবে।

যাইহোক সমস্ত MLM প্রোগ্রাম পিরামিড স্কিম নয় এবং অনেক বৈধ ব্যবসা এই ধরনের কাঠামো ব্যবহার করে।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ইতিহাস

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনায় বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং আমি আপনাদের উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি যে, network marketing কি

তো এ বিষয় টি জানার পাশাপাশি এখন আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ইতিহাস এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনক কে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারণা রাখতে হবে।

চলুন এবার তাহলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ইতিহাস সম্পর্কে একটু আলোক পাত করা যাক।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিছুটা এমএলএম ব্যবসার সাথে সম্পর্ক যুক্ত। অর্থাৎ এম এল এম ব্যবসা যেভাবে কাজ করে থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে কিন্তু এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাজ করে থাকে। আর এই এম এল এম ব্যবসাটি মূলত সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে।

আর যে দুটো সংস্থার মাধ্যমে এই এম এল এম ব্যবসার উদ্বোধন হয়েছিল। সেই দুটো সংস্থার নাম হল গ্লোবাল গার্ডিয়ান নেটওয়ার্ক এবং টং চং।

আর এই দুটো সংস্থার হাত ধরেই আমাদের বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম এই এম এল এম ব্যবসা এর উদ্ভাবন হয়।

তবে আধুনিক এম এল এম এর সূচনা হয়েছিল ১৯৩০ সালে। আর যে ব্যক্তি টি এই ব্যবসার সূচনা করেছিল। তার নাম হলো ডক্টর কার্ল রেইনবর্গ।

এই ব্যক্তি মূলত শুরুর দিকে একটি ভিটামিন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবং পরবর্তী সময়ে এই প্রতিষ্ঠান টি ভিটামিন পরিপূরক বিক্রি করা শুরু করে দেন।

এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৫৮ সালে এই প্রতিষ্ঠান টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় ভোটে আইনি ভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। এবং যখন এই স্বীকৃতি লাভ করে তার পরবর্তী সময়ে ব্যাপক পরিমাণে এই ব্যবসাটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

আর তারপরে শ্রী নারায়ণ দাস নামের একজন শ্রীলংকান বংশধূত। ১৯৫৮ সালে আমাদের বাংলাদেশে এম এল এম ব্যবসার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

তবে তিনি যখন আমাদের বাংলাদেশে এই এম এল এম ব্যবসার অনুশীলন করছিলেন। সেই সময়ে তার সংস্থা টি হঠাৎ করেই ভেঙে যায়।

এবং উক্ত সময়ে টং চং নামের আরও একটি নতুন সংস্থার সাথে যুক্ত হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই নতুন সংস্থাটিও বেশিদিন টিকতে পারেনি। বরং কয়েকদিন পরেই সেই সংস্থা টি আবার বন্ধ হয়ে যায়।

তবে এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ডেসটিনি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ লিমিটেড নামের আরো দুটো সংস্থার মাধ্যমে এম এল এম ব্যবসা এর উত্থান শুরু হয়।

কিন্তু শুরুর দিকে আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষ উক্ত ব্যবসা টি কে সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারছিল না। তবে ধীরে ধীরে আমাদের দেশের প্রায় সকল মানুষ এই ব্যবসা কে বুঝতে শুরু করে।

আর তখন থেকেই আমাদের বাংলাদেশে এই এম এল এম ব্যবসা টি বেশ ভালো ভাবেই চলছিল। কিন্তু ২০১২ সালে এসে আবার নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।

কিন্তু এরপরেও আমাদের বাংলাদেশের ২০১৩ সালে এই ব্যবসা কে আবার নতুন করে আইনি পাশ করে। এবং ২০১৪ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানি কে উক্ত ব্যবসা টি করার জন্য স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, ২০১৪ সালের সেই কোম্পানি গুলো কে এম এল এম ব্যবসার জন্য স্বীকৃতি প্রদান করা হলেও।

২০১৫ সালে তাদের কাছ থেকে সকল প্রকার স্বীকৃতি এবং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। আর তারপর থেকে আমাদের বাংলাদেশ stay order এর মাধ্যমে উক্ত ব্যবসা টি চলে আসছে।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাকে বলে উদাহরণ দাও

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হল এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে এবং তার অধীনস্থদের বিক্রির উপর কমিশন পায়। এটি একটি সরাসরি বিক্রয় মডেল যা মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের বাদ দেয়।

উদাহরণ: ধরো তুমি একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটার। তোমার কাছে একটি কোম্পানির পণ্য আছে। তুমি তোমার বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, পরিচিতজনদের কাছে এই পণ্যগুলির প্রচার করে বিক্রি করো। যদি তুমি একজন নতুন সদস্যকে এই ব্যবসায় যোগ করাতে পারো, তাহলে তুমি সেই নতুন সদস্যের বিক্রির উপরও কমিশন পাবে।

এইভাবে, তুমি তোমার ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে এবং নতুন সদস্যদের যোগ করানোর মাধ্যমে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারো।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করব ? কি লাভ হবে

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি। এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ইতিহাস সম্পর্কে। আশা করি আপনি যদি উপরের আলোচিত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে এই বিষয় সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, বর্তমান সময়ে তো মার্কেটিং করার জন্য অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। তাহলে সেই সকল প্রক্রিয়া কে বাদ দিয়ে কেন আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করবেন।

তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে নিচের আলোচনা নজর রাখতে হবে। তো আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করেন।

তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর সেই সুবিধা গুলো হলো:

  1. মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হল, ব্যবসার একটি লাভজনক উপায়। যেটি আপনি নিজের ঘরে থেকেই করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনাকে আর ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
  2. আবার আমাদের মত যারা মূলত পার্ট টাইম হিসেবে কোন কাজ করতে চান। তাদের জন্য এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হবে উপযুক্ত একটি মাধ্যম।
  3. কেননা এখানে আপনি দৈনিক দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় দিয়েই কাজ করতে পারবেন।
  4. যখন আপনি কাজ করবেন তখন অবশ্যই আপনার আন্ডারে বেশ কিছু লোক কাজ করবে। আর তারা যত বেশি সেল করতে পারবে। আপনার কমিশনের পরিমাণ ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
  5. আমাদের মধ্যে যে মানুষ গুলো মূলত চাকরি করতে পছন্দ করে না অথচ ব্যবসা করতে চায়। তাদের জন্য এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হবে উপযুক্ত এটি প্রক্রিয়া। এবং আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।
  6. সবচেয়ে ভালো লাগার মত বিষয় হলো, আপনি আপনার আন্ডারে আরও নতুন নতুন ব্যক্তিদের উক্ত ব্যবসার কাজে যোগদান করাতে পারবেন।
  7. তাদের তাদের উপর যে কমিশন আসবে। সেখান থেকে আপনি বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।
  8. যখন আপনি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করা এবং মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
  9. আপনি যদি চাকরি জীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসেবে এই ধরনের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন।
  10. আরো একটি ভালো লাগার মতো বিষয় হলো। এখানে আপনি নিজে নিজের বস হয়ে কাজ করতে পারবেন।

মূলত যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

সে গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর এই সুবিধা গুলো আপনি তখনই ভোগ করতে পারবেন। যখন আপনি সরাসরি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি  (Types of network marketing)। অর্থাৎ আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকেন।

তাহলে আপনি আসলে কি কি কাজ করবেন তা নিয়ে আপনাকে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে হবে। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি।

যদি আমি সহজ কথায় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কে বর্ণনা করতে যাই। তাহলে বলব যে, এই পদ্ধতি তে মূলত নির্দিষ্ট কোন একটি প্রোডাক্ট কে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে মার্কেটে ছাড়া হয়ে থাকে।

এবং সেই প্রোডাক্ট কে বিক্রি করা হয়ে থাকে। আর এই প্রক্রিয়ায় যে একটি প্রোডাক্ট কে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে মার্কেটে বিক্রি করা হয়। এর ফলে প্রত্যেকটা মানুষ নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পায়।

এবং একজন ব্যক্তি অপর আরেকজন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত হয়। যেমনটা আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা রেফার প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রে দেখতে পারবেন।

মূলত এই মার্কেটিং প্রক্রিয়া তে যেভাবে প্রোডাক্ট সেল করার বিনিময়ে কমিশন পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একই ভাবে কাজ করে করতে পারবেন।

এর ফলে সকল পর্যায়ের ব্যক্তিরা মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক ভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর যেসব কাজ রয়েছে সেই কাজ গুলো করতে সক্ষম হয়।

কিভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করবেন | How to start network marketing

What is network marketing and how does it work? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি আশা করি সে নিয়ে আপনার মনে আর কোন ধরনের প্রশ্নের অবকাশ নেই।

কারণ উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি। সে বিষয়টি কে খুব সহজভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি।

তবে এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে যে। কিভাবে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করবেন। কেননা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়।

আর একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে অবশ্যই আপনাকে সেই ধাপ গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার প্রথম যে ধাপটি রয়েছে।

সেটি হল, আপনাকে বিভিন্ন প্রকারের কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। যে কোম্পানি গুলো মূলত এই ধরনের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের পণ্য গুলো কে সেল করে থাকেন।

কেননা বর্তমান সময়ে সব ধরনের কোম্পানি তাদের কোম্পানি তে উৎপাদিত পণ্য গুলো কে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মধ্যে বিক্রি করতে চায় না।

তাই আপনাকে এমন সব কোম্পানি কে খুঁজে নিতে হবে। যে কোম্পানি গুলো তাদের প্রোডাক্ট কে এই ধরনের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি তে সেল করে থাকে।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত বেশ চিন্তায় পড়ে যান যে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত কোম্পানি খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা।

তো যদি আপনি এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে আমি আপনাকে বলব যে। আপনি একটু খোঁজ করলেই এমন অনেক ধরনের কোম্পানি খুঁজে পাবেন।

যারা মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত আছে। অথবা আপনি চাইলে খুব সহজে গুগল এর মাধ্যমে আপনার আশেপাশে থাকা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে সংযুক্ত কোম্পানি গুলোর তালিকা খুঁজে নিতে পারবেন।

আর যখন আপনি এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনাকে একটা বিষয়ের উপর বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে।

আর সেই বিষয় টি হলো, আপনার আন্ডারে কাজ করে এমন লোকের সংখ্যা অধিক হতে হবে। কারণ এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার আন্ডারে যত বেশি লোকের সংখ্যা থাকবে।

আপনি তত বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাই অবশ্যই আপনি এই মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হওয়ার আগে। আপনার আন্ডারে কাজ করবে এমন লোকের সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

তো যখন আপনার আন্ডারে অধিক পরিমাণ লোক থাকবে। এবং আপনি নির্দিষ্ট কোন একটি কোম্পানি তে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন।

তখন আপনার প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে উক্ত কোম্পানি তে থাকা প্রোডাক্ট গুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করা। আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং করতে হবে।

যাতে করে সেই প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। এবং উক্ত প্রোডাক্ট গুলো কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। আর এই কাজটি করার জন্য আপনি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

এবং সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উক্ত প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে পারবেন। অথবা অন্যান্য মানুষদের মতো আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সেই প্রোডাক্ট গুলোর মার্কেটিং করতে পারবেন।

আর এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট এর সেল করতে পারবেন। আপনার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং থেকে টাকা আয় করার পরিমাণ ঠিক ততটাই বৃদ্ধি পাবে।

কিভাবে ভালো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানির বাছাই করবেন

এতক্ষণের আলোচনায় আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন। তবে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে যে।

কিভাবে ভালো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানি বাছাই করব। কারণ আপনি যদি ভাল কোন কোম্পানি বাছাই করতে না পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার সময় যে সময় এবং শ্রম ব্যয় করবেন।

তার সবগুলো বৃথা যাবে। যদিও বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য কোন লুকানো টিপস নেই। তবে এবার আমি আপনাকে ভালো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানি বাছাই করার কিছু টিপস দেয়ার চেষ্টা করব।

  1. যখন আপনি কোন একটি কোম্পানির আওতায় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে চাইবেন। তখন অবশ্যই সেই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং হেড অফিস ভালো ভাবে যাচাই করে নিবেন।
  2. যে কোম্পানির প্রোডাক্ট মানুষ পছন্দ করে। এবং উক্ত কোম্পানির প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে এমন একটি কোম্পানির সাথে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার চিন্তা ভাবনা করবেন।
  3. এতে করে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
  4. আপনি যে কোম্পানির আওতায় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করবেন। সেই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এবং সেই কোম্পানি টি কোন কারণে বন্ধ হওয়ার প্রবণতা আছে কিনা। সে সম্পর্কে অবশ্যই যাচাই বাছাই করবেন।
  5. নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হওয়ার আগে উক্ত কোম্পানির টি সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে কিনা। তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
  6. আপনি যে কোম্পানির আন্ডারে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করবেন। তাদের যেসব প্রোডাক্ট রয়েছে, সেই প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে আপনি কতটুকু অভিজ্ঞ তা জেনে নিতে হবে।

উপর আমি বেশ কিছু টিপস দেয়ার চেষ্টা করেছি। যেগুলো অবশ্যই আপনার মাথায় রাখা উচিত। এবং এই বিষয় গুলোর উপর খেয়াল রাখলে আপনি খুব সহজেই। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য ভালো কোম্পানি বাছাই করতে পারবেন।

FAQs

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনক কে?

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনক হলেন ডক্টর কার্ল রেইনবোর্গ। তিনি ১৯৪৫ সালে “Nutrilite” নামে একটি মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনটি ডাইরেক্ট সেলিং কোম্পানির মালিক কে?

  • Amway: Jay Van Andel এবং Rich DeVos
  • Herbalife: Mark Hughes
  • Mary Kay: Mary Kay Ash

কোন মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি মিলিয়নেয়ার তৈরি করে?

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি মিলিয়নেয়ার তৈরি করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিশ্বের অনেক মানুষ তাদের জীবনে সাফল্য অর্জন করেছে। তবে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায়িক মডেল। সফল হওয়ার জন্য, নেটওয়ার্ক মার্কেটারদের দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ অর্জন করা এবং কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতি প্রদান করা প্রয়োজন।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি জায়েজ

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বৈধতা নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু স্কলার মনে করেন যে এটি জায়েজ, কারণ এটি একটি বৈধ ব্যবসা মডেল। অন্যদিকে, কিছু স্কলার মনে করেন যে এটি জায়েজ নয়, কারণ এটি প্রতারণা বা অন্যায়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আর সে কারণে মূলত আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের খুব সহজভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি।

যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাকে বলে। আশা করি এই আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি।

এরকম বাংলাতে আরো ভাল ভাল লেখা পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার জন্য বলা হলো ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top