আপনি যদি নতুন ই পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। কারন, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ সরকার ই পাসপোর্ট কে অধিক পরিমানে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এখন আপনি যদি নতুন ই পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে আপনাকে আবেদন করার সকল ধাপ গুলো নির্ভুল ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
কারন, বর্তমান সময়ে যদি আপনি নতুন ই পাসপোর্ট করার সময় ভুল করেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনাকে অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে।
এছাড়াও আমরা অনেকেই ঘুষ দিয়ে ই পাসপোর্ট করতে চাই। আসলে এইসবের কোন কিছুর প্রয়োজন হবেনা, যদি আপনি ই পাসপোর্ট আবেদনের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারেন।
কেন ই পাসপোর্ট আবেদনে সতর্ক থাকবেন?
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন আপনিই পাসপোর্ট করার সতর্ক থাকবেন। তো যদি আপনার মনে এই প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে শুনন….
দেখুন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের দেশের এমআরপি পাসপোর্ট এর বদলে ই পাসপোর্ট সুবিধা চালু করেছে। যার মাধ্যমে আমরা এখন অনলাইন থেকেই ই পাসপোর্ট আবদেন করতে পারি।
আর বর্তমান সময়ে ই পাসপোর্ট এর মধ্যে কোন ধরনের ভুল হলে। আমরা পরবর্তীতে সেই ভুল থাকা তথ্য গুলো কে সংশোধন করতে পারি।
আপনি আরোও জনাতে পারবেন…
- পাসপোর্ট রিনিউ করার পর পুরাতন পাসপোর্ট কি করবেন?
- ই পাসপোর্ট কি? ই পাসপোর্টের সুবিধা কি
- বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
কিন্তুু এই সংশোধন প্রক্রিয়া থাকার কারনে। অন্যান্য দেশের কাছে আমাদের বাংলাদেশ এর ই পাসপোর্ট এর মান অনেক কমে আসছে। সে কারণে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সরকার ই পাসপোর্ট এর সংশোধন করার সুবিধা বন্ধ করে দিতে পারে।
তাই যখন আপনি নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনি যে তথ্য ও ডকুমেন্টস গুলো দিবেন। সেগুলো অবশ্যই নির্ভুল ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
যেন পরবর্তী সময়ে আপনার প্রদান করা তথ্য গুলো সংশোধন করার প্রয়োজন না হয়। সেই দিকে আপনাকে যথেস্ট সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়াও যদি কোন কারনে আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময়। প্রদান করা তথ্য গুলো তে কোন ধরনের ভুল থাকে। তাহলে সেগুলো সংশোধন করার সময় অনেক ঝামেলা ও অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হয়।
তো আপনি যদি সেই ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে চান। এবং আপনি যদি বাড়তি টাকা ব্যয় করতে না চান। তাহলে অবশ্যই নিচের সতর্কতা গুলো মেনে চলবেন।
ই পাসপোর্ট আবেদনের পূর্ব প্রস্তুুতি গুলো কি কি?
তো এবার আমরা ই পাসপোর্ট আবদেন এর পূর্ব প্রস্তুুতি গুলো সম্পর্কে জানবো। অর্থ্যাৎ, যখন আপনি নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন।
তখন আপনাকে যে যে বিষয় গুলোর দিকে সতর্ক থাকতে হবে। সেই বিষয় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- আপনার কাছে যে সকল স্মার্ট কার্ড বা আইডি কার্ড থাকবে। তার আসল কপি আপনার নিজের কাছে রাখাবেন। কারন, আমরা জানি, ই পাসপোর্ট করতে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র এর দরকার হবে।
- তবে যদি ই পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর এর কম হয়। তাহলে অবশ্যই সেই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ এর দরকার হবে।
- তবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই পাসপোর্ট করতে হলে। চেস্টা করবেন, বাংলা ও ইংরেজি এই দুই ভার্সনে জন্ম নিবন্ধন করার। তাহলে আপনার কাজের সুবিধা হবে।
- কিন্তুু কোন কারণে যদি আপনি দেশের ভেতরে না থাকেন। এবং যদি আপনার কাছে জাতীয় পরিচিয় পত্র না থাকে। তাহলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে বিদেশে থেকে বাংলাদেশি মিশন এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।
- যদি ই পাসপোর্ট আবদেনকারীর বয়স অপ্রাপ্ত বয়স্ক হয়। তাহলে সেই ব্যক্তির পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র নিজের কাছে রাখবেন। যেন, সেখানে কোন প্রকার তথ্যে ভুল না হয়।
- যদি আপনি কোন পেশার সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার পেশার সনদ নিজের কাছে সংগ্রহ করে রাখবেন। কারন, ই পাসপোর্ট করার সময় এই সনদ এর প্রয়োজন হবে।
- ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা থেকে আপনার নাগরিক সনদ সংগ্রহ করে রাখবেন।
- আপনার বাসার যে সকল বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কিংবা ইউটিলিটি বিল এর কাগজ নিজের কাছে জমা করে রাখবেন।
- যদি আপনি কোন সন্তান দত্তক নেন এবং তার ই পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে অবশ্যই তার প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র গুলো নিজের কাছে রাখবেন।
- আপনার যদি পূর্বেই এমআরপি পাসপোর্ট করা থাকে। তাহলে আপনাকে নতুন ই পাসপোর্ট আবদেন করার সময়। সেই এমআরপি পাসপোর্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
- আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কলেজের আইডি কার্ড এবং কলেজ এর সনদ পত্র অনেক সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে।
তো যখন আপনি নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে পূর্বে থেকে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই বিষয় গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনি নতুন ই পাসপোর্ট আবদেন করাার সময় অবশ্যই সেই নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট কোনটি?
যেহুতু ই পাসপোর্ট এর আবেদন অনলাইন থেকে করতে হয়। সেহুতু সবার আগে আপনাকে ই পাসপোর্ট এর মূল ওয়েবসাইট খুজে নিতে হবে।
তারপর সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিতে হবে। কিন্তুু আমরা অনেকেই জানিনা যে, ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট কোনটি। তো আপনি যদি ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট খুজে থাকেন। তাহলে সবার প্রথমে আপনি গুগলের মধ্যে যাবেন।
এরপর আপনাকে “E passport” লিখে সার্চ করতে হবে। আর যখন আপনি ই পাসপোর্ট লিখে সার্চ করবেন।
তখন সবার প্রথমে আপনি www.epassport.gov.bd নামের একটি ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই লিংক এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর উক্ত ওয়েবসাইট থেকে আপনি অনলাইন থেকেই আপনার ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। অথবা আপনি আপনার ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে চান। তাহলে আপনাকে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করার পর Check Status এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
তারপর আপনার যে রেজিষ্ট্রেশন আইডি আছে সেটি প্রদান করতে হবে। এবং তারপর আপনার আসল জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
আপনার জন্য আরোও লেখা…
- e passport কতদিন পর পাওয়া যায়
- বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায়
- ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
আর এই সব যাবতীয় তথ্য গুলো দেওয়ার পর যখন আপনি সেখানে থাকা ক্যাপচা পূরণ করবেন। তখন আপনি আপনার ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবেন।
আশা করি, এখন থেকে আপনি খুৃব সহজে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট খুজে নিতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট ফরম পূরনের নির্দেশনাবলী
যারা নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। তাদের জন্য বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আর আপনাকে অবশ্যই সেই নির্দেশনা গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করতে হবে। যেমন,
- ই পাসপোর্ট আবেদন অনলাইন থেকে করা সম্ভব।
- ই পাসপোর্ট করার জন্য কোন ডকুমেন্টস সত্যায়িত করার দরকার হবেনা।
- ই পাসপোর্ট এর ফরম এর মধ্যে কোন ধরনের ছবি যুক্ত করার দরকার হবেনা।
- আবদেন করার সময় যে স্থান গুলোতে তারকা চিহ্ন থাকবে। সেই স্থানগুলো অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে পূরন করতে হবে।
- যদি আপনি কোন পেশার সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে অবশ্যই সেই পেশার সনদ প্রদান করতে হবে।
- যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক তাদের জন্ম সনদ এর প্রয়োজন হবে।
- আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো জাতীয় পরিচয় পত্র এর সাথে মিল থাকতে হবে।
তো এর বাইরেও ই পাসপোর্ট করার আরো অনেক নির্দেশনা আছে। যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এখানে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনি ই পাসপোর্ট এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ই পাসপোর্ট এর সকল নির্দেশনাবলী দেখে নিতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট নিয়ে আমাদের কিছুকথা
তো যখন একজন মানুষ নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবে। তখন সেই ব্যক্তিকে কোন কোন বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম
- সরকারি চাকরিজীবিদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
- ই পাসপোর্ট ফি কত? পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
সেগুলো বলার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। আর আশা করি, আপনি ই পাসপোর্ট আবেদনের পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে পরিস্কার তথ্য জানতে পেরেছেন।
আর আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাবে শেয়ার করি। যদি আপনি সেই তথ্য গুলো সবার আগে জানতে চান।
তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে Infoportalbd.comএর সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।