যদি আপনি সরকারি কোনো চাকরিতে জয়েন করতে চান কিংবা আপনি যদি পাসপোর্ট অথবা ভিসার মাধ্যমে বিদেশে যেতে চান। তাহলে আপনার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আর সেজন্য আজকের আলোচনায় আমি আপনাদের জানিয়ে দিবো যে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কাকে বলে। এবং কিভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে হয়।
এর পাশাপাশি এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সম্পর্কে যে সকল অজানা তথ্য রয়েছে। তার প্রত্যেক টি তথ্য কে আজকে সঠিক ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তো আপনি যদি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকে পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়তে হবে।
আপনি আরোও দেখতে পারবেন…
- অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ
- অনলাইনে সঞ্চয়পত্রের আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ করার নিয়ম
- অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কাকে বলে?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হল একটি প্রত্যয়ন পত্র, যা পুলিশ কর্তৃক প্রদান করা হয়। এই সার্টিফিকেটে আপনার সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকবে, যেমন আপনি একজন বাংলাদেশী সুনাগরিক, এবং আপনার অতীত বা বর্তমান সময়ে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার প্রমাণ।
যদি আপনি বাংলাদেশে বসবাসকারী একজন নাগরিক হয়ে কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ করেন, তবে পুলিশ আপনাকে এই সার্টিফিকেট প্রদান করবে না।
কারণ, এই সার্টিফিকেট মূলত তাদেরকেই প্রদান করা হয় যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত এবং বাংলাদেশের সুনাগরিক।
এখন আশা করি, আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। তাই চলুন, এবার জেনে নেওয়া যাক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে?
উপরের আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কি। এবার যদি আপনি এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন, তবে আপনার কাছে কিছু ডকুমেন্টস থাকতে হবে।
এসব ডকুমেন্টস কী কী হবে, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. অনলাইন আবেদনের কপি
২. পাসপোর্ট (বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে তিন মাস থাকতে হবে এবং আপনার পাসপোর্টে থাকা স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার সঙ্গে আবেদনকারীর ঠিকানার মিল থাকতে হবে)
৩. বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য:
- সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত পাসপোর্ট কপি
- “জাস্টিস অফ পিস” থেকে সত্যায়িত পাসপোর্ট স্ক্যান কপি
৪. ফি পরিশোধের প্রমাণ: বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের চালান কোডসহ ৫০০ টাকার ফি পরিশোধের প্রমাণপত্র
এগুলো ছাড়া, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য অন্যান্য কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। তবে উল্লিখিত ডকুমেন্টসগুলি আপনার কাছে থাকা অত্যন্ত জরুরি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবো?
যখন আমাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়, তখন সবার আগে আমাদের মনে একটি প্রশ্ন আসে—কিভাবে আমরা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবো?
আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেওয়া হলো:
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এই আবেদনটি আপনি অনলাইনে বা সরাসরি আপনার নিকটস্থ থানায় গিয়ে করতে পারবেন।
যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করেন, তবে আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট উপজেলার থানায় পাঠানো হবে।
এরপর আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস নিয়ে নিকটস্থ থানায় যেতে হবে।
সেখানে আপনার ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর, পুলিশ কর্তৃক ভেরিফিকেশন শেষে যদি আপনি অপরাধমুক্ত নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হন, তবে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
তবে, যদি আপনি কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন, তবে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে না।
অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম
যেমন আমি আগে বলেছি, আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে।
এখন, এই আবেদন করার সময় আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই নিয়মগুলো আমি আপনাকে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেব।
যদি আপনি আজকের আলোচনা অনুসরণ করেন এবং সঠিকভাবে নিয়মগুলো মেনে চলেন, তাহলে আপনি সহজেই অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নাম্বার-১ঃ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর মূল ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
আর এই ওয়েবসাইটের মধ্যে একাউন্ট তৈরি করার প্রক্রিয়াটি খুব সহজ। সে জন্য আপনাকে নিচের ধাপ গুলো ফলো করতে হবে।
সবার প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর মূল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে সরাসরি উক্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
এরপর আপনি নতুন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করবেন। যেখানে সবার বাম পাশে “Registration” নামক অপশন এর মধ্যে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
আর রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে ছোটখাটো একটা ফর্ম চলে আসবে। এখানে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।
যেমন, আপনার নাম, ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নম্বর ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর ইত্যাদি। এরপর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করে দিতে হবে।
সবশেষে আপনাকে ক্যাপচা কোড অথবা ছোট যোগ-বিয়োগ পূরণ করার পর কন্টিনিউ নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে।
আর যখন আপনি উপরের এই তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করার পর কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
আর কিভাবে আপনি আপনার মোবাইল ভেরিফিকেশন করবেন, সেটি নিচে দেখিয়ে দেওয়া হলো।
নাম্বার-০২ঃপুলিশ ক্লিয়ারেন্স মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন
উপরের ফর্ম এর মধ্যে আপনি যে মোবাইল নম্বরটি দিয়েছেন। সেই মোবাইল নুম্বার থেকে আপনাকে ২৬৯৬৯ এ ফরমে দেওয়া কোডটি মেসেজ করে দিতে হবে।
মেসেজে যে কোড দিবেন তা আপনার স্কিনে লেখা থাকবে। ঠিক সেভাবেই আপনাকে মেসেজে লিখে সেন্ড করলেই ভেরিফাই হয়ে যাবে।
যার মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। আর কিভাবে মোবাইল ভেরিফিকেশন করতে হয় তার নিচে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হলো। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনি আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে প্রবেশ করুন।
- তারপর নিচে উল্লেখ করা ফরমেটে একটি মেসেজ টাইপ করুন।
- PCC<space> AV<space> Your CODE
- এরপর মেসেজ টি আপনাকে ২৬৯৬৯ নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে।
যদি আপনি উপরের পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করে নিতে পারবেন।
আর মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করার পরে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পরবর্তী ধাপগুলো ফলো করতে হবে। তার পর My Account এ ক্লিক করে আবার লগিন করলেই আপনার একাউন্টে চলে যাবেন।
নাম্বার-৩ঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের উদ্দেশ্য বাছাই
আপনি যখন সঠিক ভাবে আপনার মোবাইল ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করবেন। তারপর আপনি পুনরায় সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনার একাউন্টের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আর আপনি যখন আপনার একাউন্টের মধ্যে লগইন করবেন। তারপর মেনু অপশন থেকে “Apply” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।
এখন আপনি আসলে কোন কাজের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে চান। সেটি আপনাকে সঠিক ভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। যেমন, আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর অন্য কোন দেশ অর্থাৎ বিদেশে যেতে চান।
তাহলে আপনি “Go abroad” এর মধ্যে টিক মার্ক প্রদান করবেন। এর পাশাপাশি আপনি যে দেশে যেতে চান, সেই দেশের নাম সিলেক্ট করে দিবেন।
কিন্তু আপনি যদি অন্যান্য কোন কারনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে চান। তাহলে কিন্তু আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে লিখিত আবেদন করতে হবে।
নাম্বার-৪ঃ ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ
এখন আপনি যেহেতু বিদেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে।
মনে রাখবেন, এখানে প্রদান করা তথ্য গুলোর সাথে যেন আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা তথ্য গুলোর মিল থাকে। এছাড়াও যখন আপনি এই অপশনের মধ্যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো প্রদান করবেন।
তখন খেয়াল রাখবেন যেন, সেই তথ্য গুলো তে কোনো ধরনের ভুল না থাকে। আর উক্ত তথ্য গুলো প্রদান করার পর আপনাকে আপনার সদ্য তোলা ছবি দিতে হবে।
মনে রাখবেন, এই ছবির সাইজ ১৫০ কেবির কম হলে ভালো হয়। তবে এর বেশি সাইজ হলে আপনার ছবিটি আপলোড করা সম্ভব হবে না।
নাম্বার-৫ঃ জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনাকে আপনার জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
এখানে আপনি অবশ্যই আপনার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক ভাবে উল্লেখ করবেন। যাতে করে যে কোন প্রয়োজনে পুলিশ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
নাম্বার-৬ঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন
যখন আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস গুলো আপলোড করে দিতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনার নিকট থাকা পাসপোর্ট কিংবা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান করা ছবি আপলোড করে দিতে হবে।
তবে আপনার যদি এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে। তাহলে আপনি আপনার জন্ম সনদ এর স্ক্যান করা ছবি আপলোড করে দিতে পারবেন।
নাম্বার-৭ঃ তথ্য যাচাই করে আবেদন সাবমিট করুন
উপরের পদ্ধতি গুলো ফলো করে আপনি এতক্ষণ পর্যন্ত যে সকল তথ্য ও ডকুমেন্টস প্রদান করছেন। সে গুলো পুনরায় আরেকবার চেক করে নিবেন।
যেন সেই তথ্য বা ডকুমেন্ট গুলো তে কোন প্রকারের ভুল না থাকে। এর পাশাপাশি আপনি যখন একবার আপনার এই তথ্য গুলো সাবমিট করবেন।
তারপরে কিন্তু আপনি কোন ভাবেই সে গুলো পুনরায় সংশোধন করে নিতে পারবেন না। আর যখন আপনি যাবতীয় তথ্য গুলো চেক করার পর যখন নিশ্চিত হবেন যে সে গুলো তে কোন প্রকারের ভুল নেই।
তখন আপনাকে “সাবমিট” অপশনে ক্লিক করতে হবে। আর এই অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইন আবেদন টি সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
নাম্বার-৮ঃ চালান পরিশোধ করুন
এবার আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পরে চালান পরিশোধ করতে হবে। আর আপনার আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনি যে পেজের মধ্যে অবস্থান করে থাকবেন।
সেই পেজের মধ্যেই আপনি চালান পরিশোধ করে দিতে পারবেন। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা বিকাশ নগদ কিংবা রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্য আপনি আপনার চালান পরিশোধ করে দিতে পারবেন।
আর চালান পরিশোধ করার পর আপনি অবশ্যই সেই রিসিভ কপিটি ডাউনলোড করে রাখবেন।
নাম্বার-৯ঃ চালান ডাউনলোড ও আপলোড করুন
উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার পর যখন আপনি আপনার চালান এর রিসিভ কপি ডাউনলোড করবেন। তারপর আপনাকে সেই ডাউনলোড করা চালানের রিসিভ কপি টি আপলোড করতে হবে।
সেজন্য আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের মধ্যে প্রবেশ করবেন। তারপর আপনাকে Upload Challan নামক অপশনের মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনাকে ব্যাংকের নাম, ডিস্ট্রিকের নাম এবং ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করে দিতে হবে। উক্ত কাজ গুলো করার পর যখন আপনি আপনার চালান চেক করবেন।
এবং চেক করার পরে যদি আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো দেখতে পারেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার চালান সফল ভাবে পরিশোধ হয়েছে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কত দিনে পাওয়া যায়?
আমরা এতক্ষনের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম যে, কিভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা যায়। তো এই আবেদন করার পরে আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।
সেটি হল, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কতদিনে পাওয়া যায়। মূলত আপনি যখন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনার প্রদান করা তথ্য গুলো তে যদি কোন প্রকারের ভুল না থাকে।
এবং আপনি যদি কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত না থাকেন। তাহলে আপনি মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
কিন্তু যদি আপনার প্রদান করা তথ্য গুলোর মধ্যে ভুল থাকে। এবং আপনি যদি এর আগে কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে সাথে যুক্ত থাকেন।
এবং আপনার নামে বিভিন্ন প্রকারের মামলা থাকে। তাহলে কিন্তু আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আসবে না। এবং এই বিষয়টি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে হলে আপনাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার নিয়ম
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করার পর বিভিন্ন সময় সেই আবেদন টি চেক করার দরকার হয়। তো আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করতে চান। তাহলে আপনাকে সরাসরি এখানে ক্লিক করতে হবে।
আর উপরের লিংকে ক্লিক করার পরে আপনি সার্চ মেনু থেকে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের রেফারেন্স নম্বরটি টাইপ করুন।
তারপর সেখান থেকে View Certificate অপশন থেকে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন?
আপনি যখন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করবেন। এবং আপনার নিকট যখন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আসবে।
তখন সেই সার্টিফিকেটের মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ 90 দিন পর্যন্ত। আর আপনি যদি বিদেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই বিদেশে যেতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নমুনা
একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেখতে আসলে কেমন হয়। সেটি যেন আপনি আগে থেকেই বুঝতে পারেন। সে কারণে নিচের ছবি তে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নমুনা শেয়ার করা হলো।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
যখন আপনি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।
আসলে অনলাইনে আবেদন করার সময় আপনাকে আসলে কোন তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। সেই তথ্য গুলো সম্পর্কে নিচে স্বল্প আকারে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। যেমন,
- Purpose: আপনি কোন উদ্দেশ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করছেন।
- Country of Travel: বিদেশের কোন দেশের মধ্যে যেতে চান।
- Passport No: আপনার নিকট থাকা পাসপোর্ট এর নম্বর।
- Issue Date/Issue Place/Expiry Date:আপনার পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ, প্রদানের সময় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ।
- Mobile/Email/NID No: আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর, ইমেইল এড্রেস এবং ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর।
- Full Name: আপনার সম্পূর্ণ নামটি উল্লেখ করে দিতে হবে।
- Father’s/Mother’s Name: আপনার পিতা ও মাতার নাম।
- Date of Birth: জন্ম সনদ এবং ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে থাকা জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- Salutation: যে ব্যক্তির জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করা হচ্ছে। তিনি পুরুষ না মহিলা তা উল্লেখ করে দিতে হবে।
- Photo Upload: আপনার সদ্য তোলা ছবি আপলোড করে দিতে হবে।
তো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন আবেদন ফর্মে যে সকল তথ্য থাকে। সেই তথ্য গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে আমাদের শেষকথা
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। অর্থাৎ আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করবেন।
সে পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিয়েছি। আর আপনি যদি আজকের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
তবে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে যদি আপনার আরো কোন অজানা বিষয় থাকে।
কিংবা আবেদন করতে কোন ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।