IELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সেরা দেশসমূহ

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য যায়। তবে এমন অনেক দেশ আছে যে দেশ গুলোতে যেতে হলে আপনাকে বাধ্যতামূলক IELTS করতে হবে।

IELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সেরা দেশসমূহ
IELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সেরা দেশসমূহ

আবার অনেক দেশের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে IELTS ছাড়াই পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করা হয়। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে সেইসব দেশের নাম জানিয়ে দিবো যে দেশ গুলো IELTS ছাড়াই বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।

ইনফো পোর্টাল বিডি ব্লগের আজকের টপিক Ielts ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় বা ELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সেরা দেশসমূহ নিয়ে লেখা আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।

এখন চলুন এবার তাহলে IELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সেরা দেশ সমূহের নাম জেনে নেওয়া যাক। 

Table of Contents

Ielts পরীক্ষা কে পরিচালনা করে?

IELTS পরীক্ষা পরিচালনা করে ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি ইংলিশ এবং ক্যামব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইংল্যান্ড। এই তিনটি সংস্থা বিশ্বব্যাপী IELTS পরীক্ষা পরিচালনা করে।

বিদেশে পড়াশোনার জন্য IELTS করতে হয় কেন?

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যাওয়া যায় তা জানার আগে আপনাকে কিছু ছোট তথ্য দিতে চাই।

দেখুন আপনি যদি বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চান তাহলে আপনার IELTS করার দরকার হবে। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ IELTS করার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক হিসেবে নির্ধারন করে দিয়েছে।

তবে ইতি মধ্যে আপনি হয়ত জেনে গেছেন IELTS মানে কি? আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে, বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য IELTS কেন করতে হয়। আর যদি আপনার মনেও এমন প্রশ্ন জাগে তাহলে শুনুন….

বর্তমান বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশের মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। যার কারণে ইংরেজি ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষাও বলা হয়।

আর যখন আপনি ইংরেজি ভাষায় কথা বলা দেশ গুলোতে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে আগে ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে।

মনে করুন আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক আর আপনি বাংলা ভাষায় কথা বলেন। এখন আপনি যদি আমেরিকাতে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান আর যদি আপনার ইংরেজি ভাষা জানা না থাকে। তাহলে আপনি সেই দেশে গিয়েও পূর্ণাঙ্গভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন না।

কেননা, সেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইংরেজি ভাষায় সকল শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। আর যদি আপনি ইংরেজি ভাষা বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি কতটা বিপদে পড়বেন সেটা তো বুঝতেই পারছেন।

মুলত এই কারণেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য আমাদের IELTS করার দরকার হয়। 

IELTS ছাড়া কি বিদেশে পড়াশোনা করা যাবেনা?

হয়তবা আমাদের অনেকের ধারনা যে, IELTS ছাড়া বিদেশে কোনো ভাবেই উচ্চ শিক্ষা অর্জন করা যাবেনা। তো যারা আসলে এমনটা মনে করেন তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

কেননা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে IELTS ছাড়াও পড়াশোনা করা যায়। যেমন আপনি আমেরিকার কথা চিন্তা করে দেখুন। সেই দেশে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

কিন্তুু তারপরও সেই দেশের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের IELTS ছাড়াও উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ দেয়। তবে এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক কম।

ঠিক একইভাবে আপনি প্রতিটা দেশের মধ্যে গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পারবেন যারা এমন সুযোগ দেয়। তাই আমার দৃষ্টিকোন থেকে যেহুতু আপনি বিদেশে পড়াশোনা করবেন সেহুতু আপনার অবশ্যই IELTS করা উচিত।

যাতে করে আপনি গোটা বিশ্বব্যাপীর মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। 

IELTS ছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সেরা দেশ সমূহ

যদিওবা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পড়াশোনা করতে হলে IELTS করতে হয়। তবে এবার আমি আপনাকে এমন কিছু দেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।

যে দেশ গুলোতে আপনি কোনো প্রকার IELTS না করেও উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবেন। আর সেই দেশ গুলোর নাম নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন, 

  1. সুইজারল্যান্ড (Switzerland),
  2. লুক্সেমবার্গ (Luxembourg),
  3. স্পেন (spain),
  4. সুইডেন (Sweden),
  5. পর্তুগাল (Portugal),
  6. অস্ট্রেলিয়া (Australia),
  7. নরওয়ে (Norway),
  8. নেদারল্যান্ডস (Netherlands),
  9. ডেনমার্ক (Denmark),
  10. জার্মানি (Germany),
  11. গ্রিস (Greece),
  12. আয়ারল্যান্ড (Ireland),
  13. ফিনল্যান্ড (Finland),
  14. আইসল্যান্ড (Iceland),
  15. ইতালি (Italy),
  16. ফ্রান্স (France),

উপরের তালিকায় আপনি মোট ১৬ টি দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। তো আপনারা যারা IELTS ছাড়া বিদেশে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন তারা উপরের দেশ গুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

কেননা, এই দেশ গুলোর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা IELTS না করা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে IELTS ছাড়াই পড়াশোনা করা যায়?

এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা সেই দেশের নাম জানলাম যেসব দেশে IELTS ছাড়াই পড়াশোনা করা সম্ভব। তো এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি বিষয় জেনে রাখতে হবে।

সেটি হলো, কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে IELTS ছাড়া ভর্তি হওয়া যায়। তাই এবার আমি আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রদান করবো। যে গুলোতে আপনি IELTS ছাড়াই ভর্তি হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।

আর যদি আপনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জানতে চান, তাহলে নিচের তালিকা গুলোতে চোখ রাখুন।

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – মালয়েশিয়া

  1. Asia Pacific University
  2. Curtin University Malaysia campus
  3. Swinburne University Malaysia campus
  4. Manipal International University

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – ইতালি

  1. University of Bologna
  2. University of Milan
  3. University of Florence
  4. University of Pisa
  5. University of Padua
  6. University of Naples Federico II

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – আয়ারল্যান্ড

  1. National University of Ireland, Galway
  2. University College Cork
  3. University of Limerick
  4. Royal College of Surgeons
  5. University College Dublin
  6. Maynooth University

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – জার্মানি

  1. University of Siegen
  2. Ruhr University Bochum
  3. Chemnitz University of Technology
  4. Technical University of Braunschweig
  5. University of Bonn

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – যুক্তরাজ্য

  1. University of Bristol
  2. The University of Bolton
  3. London South Bank University
  4. Robert Gordon University

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – কানাডা

  1. Brock University
  2. Carleton University
  3. University of Winnipeg
  4. University of Regina
  5. Memorial University
  6. Concordia University

IELTS ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় – অস্ট্রেলিয়া

  1. The University of Queensland
  2. The University of Adelaide
  3. The University of New South Wales
  4. Macquarie University
  5. Bond University
  6. The University of South Australia
  7. The University of Southern Queensland
  8. Swinburne University of Technology

উপরের তালিকায় আপনি বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম দেখতে পাচ্ছেন।

তো আপনারা যারা কোনো প্রকার IELTS ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে চান। তারা উপরের তালিকায় থাকা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। 

Ielts ছাড়া কোন দেশে পড়তে ভালো?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আসলে জানতে চান যে, Ielts ছাড়া কোন দেশে পড়তে ভালো হবে। তো আপনার ক্ষেত্রে আসলে কোন দেশে পড়া ভালো হবে সেটা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে।

যেমন, আপনি কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান, আপনি পড়াশোনার জন্য কেমন খরচ করতে চান ইত্যাদি।

তো আমার দৃষ্টিকোন থেকে আপনারা যারা IELTS ছাড়া বিদেশে লেখাপড়া করতে চান। তাদের জন্য নিচে উল্লেখিত দেশ গুলো ভালো হবে। যেমন, 

  1. অস্ট্রেলিয়া, 
  2. যুক্তরাজ্য, 
  3. কানাডা, 
  4. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, 
  5. মালয়েশিয়া, 
  6. নিউজিল্যান্ড, 
  7. জার্মানি, 
  8. নরওয়ে, 
  9. সুইডেন, 
  10. সুইজারল্যান্ড, 
  11. ডেনমার্ক, 
  12. স্পেন, 
  13. ইতালি, 
  14. ফ্রান্স, 
  15. পর্তুগাল এবং 
  16. অন্যান্য ইইউ দেশ

যদি আপনি IELTS ছাড়াই পড়াশোনা করার জন্য ভালো দেশের নাম জানতে চান। তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত দেশ গুলোতে পড়াশোনার জন্য যেতে পারেন। কেননা, অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশ গুলো তে IELTS ছাড়াও অনেক ভালোমানের শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব।

ইউসিএএস কি টোফেল গ্রহণ করে?

হ্যাঁ, ইউসিএএস টোফেল গ্রহণ করে। ইউসিএএস হলো যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি সংস্থা। ইউসিএএসের মাধ্যমে আবেদন করলে আপনি আপনার TOEFL স্কোরগুলি আপলোড করতে পারেন।

ইউসিএএসের বেশিরভাগ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় TOEFL স্কোরের জন্য ন্যূনতম 80 স্কোরের প্রয়োজন। তবে, কিছু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় 90 বা তারও বেশি স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে

106 একটি ভাল toefl স্কোর?

106 একটি ভাল TOEFL স্কোর। TOEFL স্কোর 0 থেকে 120 পর্যন্ত হয়। 80 এর উপরে স্কোর করা ভাল বলে বিবেচিত হয়। 106 স্কোর প্রমাণ করে যে আপনি ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ করতে এবং বুঝতে সক্ষম। এটি আপনাকে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্মসংস্থান সুযোগের জন্য যোগ্য করে তুলবে।

এখন কি যুক্তরাজ্যে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ?

এটা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং লক্ষ্যগুলির উপর। যুক্তরাজ্য একটি উন্নত দেশ যেখানে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগগুলি ভাল। তবে, যুক্তরাজ্যের জীবনযাত্রার খরচও বেশি।

বর্তমানে, যুক্তরাজ্যে অনেক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। এই কারণে, কিছু লোক যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে। তবে, যুক্তরাজ্য এখনও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য এবং এটি অনেকের জন্য একটি ভাল জীবনযাপনের সুযোগ প্রদান করতে পারে।

Toefl কি ইউরোপে প্রয়োজন?

উত্তরটি নির্ভর করে আপনি কী করতে চান তার উপর। যদি আপনি ইউরোপের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে TOEFL বা IELTS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কেবলমাত্র IELTS পরীক্ষা গ্রহণ করে।

আপনি যদি ইউরোপে চাকরি খুঁজতে চান, তাহলে অনেক কোম্পানি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য TOEFL বা IELTS পরীক্ষা গ্রহণ করে। তবে, কিছু কোম্পানি কেবলমাত্র IELTS পরীক্ষা গ্রহণ করে।

কেমব্রিজ আইইএলটিএস বই কি আইইএলটিএসের চেয়ে কঠিন?

কেমব্রিজ আইইএলটিএস বইগুলি আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য একটি ভাল প্রস্তুতি। তবে, এই বইগুলি আইইএলটিএস পরীক্ষার চেয়ে কঠিন নয়।

কেমব্রিজ আইইএলটিএস বইগুলি পরীক্ষার প্রশ্নগুলির অনুরূপ প্রশ্নগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। এই বইগুলি আপনাকে পরীক্ষার প্রশ্নগুলির ধরন এবং শৈলী সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।

আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আপনি কেমব্রিজ আইইএলটিএস বই ছাড়াও অন্যান্য সংস্থার বই এবং অনলাইন রিসোর্সগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

FAQs

Toefl কোন কোন দেশে গ্রহণ করা হয়?

TOEFL বিশ্বের 165 টিরও বেশি দেশে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এবং জাপান।

Toefl কি ইউরোপে প্রয়োজন?

না, Toefl ইউরোপের জন্য প্রয়োজনীয় নয়। তবে, বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ তাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ চায়। এই প্রমাণের জন্য Toefl ছাড়াও অন্যান্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, যেমন IELTS, Cambridge English Language Assessment (CAE) এবং British Council Certificate in Proficiency in English (CPE)।

পোল্যান্ড কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাদান করে?

হ্যাঁ, পোল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাদান করে। তবে, এই সুবিধা শুধুমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রযোজ্য। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়।

পোল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা মিনিমাম ব্যাংক ব্যালেন্স কত?

পোল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার জন্য মিনিমাম ব্যাংক ব্যালেন্স প্রতি মাসে 700 ইউরো। তবে, আপনার শিক্ষার সময়কাল এবং আপনার ভ্রমণের খরচের উপর নির্ভর করে এই পরিমাণ বেশিও হতে পারে।

Ielts কত পেলে স্কলারশীপ পাওয়া যায়?

শুধুমাত্র আইইএলটিএস স্কোর এর উপর ভিত্তি করে স্কলারশীপ প্রদান করা হয়না। বরং স্কলারশীপ পাওয়ার জন্য আপনার আরো অন্যান্য যোগ্যতার দরকার হবে। কিন্তুু আপনি যদি ৮.০ কিংবা ৮.৫ স্কোর অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনার স্কলারশীপ পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিবে।

Ielts ছাড়া কানাডা যাওয়া যাবে কি?

কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য IELTS বাধ্যতামূলক নয় । কারণ, আপনি IELTS ছাড়াও কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।

আমি কি ielts ছাড়া পর্তুগালে পড়াশোনা করতে পারি?

হ্যাঁ,বর্তমান সময়ে আপনি আইইএলটিএস ছাড়াও পর্তুগালের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন। আর সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।

প্রস্তুতি নিতে কত দিন লাগে?

এটা আসলে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব হবেনা। এর কারণ হলো, ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিয়ে ভিন্ন সময়ের দরকার হয়। তবে আপনি যতো তাড়াতাড়ি ইংরেজি ভাষাকে রপ্ত করতে পারবেন আপনার আইইএলটিএস প্রস্তুতি নিতে ততো কম সময়ের দরকার হবে।

আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য পর্তুগাল কেমন?

আপনার জন্য পর্তুগালে পড়াশোনা করা অনেক ভালো হবে। কেননা, অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবেন।

আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব?

বিদেশে শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়া অনেক কঠিন। তবে আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব। 

Ielts কি ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য প্রয়োজনীয়?

না, Ielts ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য প্রয়োজনীয় নয়। তবে, বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ তাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ চায়। এই প্রমাণের জন্য Ielts ছাড়াও অন্যান্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, যেমন টোফেল, কেমব্রিজ এএলইটিএস এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল সিবিপিই।

স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সহজ দেশ কোনটি?

স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সহজ দেশ নির্ভর করে আপনার পছন্দ, আর্থিক সামর্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। তবে, সাধারণভাবে বলতে গেলে, ইউরোপীয় দেশগুলির তুলনায় উত্তর আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা পাওয়া সহজ। কারণ, এই দেশগুলিতে ভিসার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ এবং ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

পোল্যান্ডের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি?

পোল্যান্ডের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় হলো ওয়ার্সা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি 1816 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি পোল্যান্ডের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়ার্সা বিশ্ববিদ্যালয় সাতটি অনুষদে প্রায় 50,000 ছাত্র পড়াশোনা করে।

বায়োমেট্রিক্সের পর ইউকে ভিসা অনুমোদন হতে কতদিন লাগে?

সাধারণত, বায়োমেট্রিক্সের পর ইউকে ভিসা অনুমোদন হতে 3-6 সপ্তাহ লাগে। তবে, ভিসার ধরন, আপনার আবেদনের জটিলতা এবং ভিসা অফিসের চাপের উপর নির্ভর করে এই সময়সীমা কম বা বেশি হতে পারে।

আপনার জন্য লেখকের কিছুকথা

বর্তমান সময়ে বিশ্বের যেসব দেশে আইইএলটিএস ছাড়াও উচ্চশিক্ষা লাভ করা যায়। সেই দেশ ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নাম শেয়ার করা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে।

তো আপনারা যারা বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য আজকের লেখা আর্টিকেল টি অনেক হেল্পফুল হবে। আর আপনি যদি বিভিন্ন দেশ বিদেশের পড়াশোনা বিষয়ক অজানা তথ্য গুলো বিনামূল্যে জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার অবসর সময় গুলোতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top