Ielts কি কি কাজে লাগে | What are the uses of IELTS

আজকের বিশ্বে ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। ব্যবসা, শিক্ষা, গবেষণা, এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ইংরেজির গুরুত্ব অপরিসীম। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা থাকলে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আপনার ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন।

Ielts কি কি কাজে লাগে | What are the uses of IELTS
Ielts কি কি কাজে লাগে

আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাই করার জন্য একটি বিশ্বস্ত পরীক্ষা হল আইইএলটিএস (International English Language Testing System)। আইইএলটিএস পরীক্ষায় চারটি দক্ষতা যাচাই করা হয়

বর্তমান সময়ে এই পৃথিবীতে যে সকল ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশ রয়েছে। আপনি যদি সেই দেশ গুলো তে যেতে চান, তাহলে আপনাকে বাধ্যতামূলক IELTS করতে হবে।

তবে শুধুমাত্র IELTS করলেই হবে না বরং এমন অনেক দেশ রয়েছে যে দেশ গুলো তে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান IELTS স্কোর এর সীমা রয়েছে।

তবে আপনি কি জানেন IELTS কি কি কাজে লাগে? – হয়তোবা আমরা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা। তো সে কারণে আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিব যে, IELTS কি কি কাজে লাগে।

আর সেজন্য আপনাকে নিচের আলোচনা গুলোতে চোখ রাখতে হবে। আর তার সাথে আপনি আরোও অনেক তথ্য পাবেন যা আপনাকে আইইএলটিএস সম্পর্কে অনেক হেল্প করবে।

Table of Contents

IELTS কি কি কাজে লাগে?

আমরা সবাই জানি আইইএলটিএস হল ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাই করার বিশেষ এক ধরনের মাধ্যম। যেখানে আপনি খুব সহজে যাচাই করে নিতে পারবেন যে, আপনি আসলে ইংরেজি ভাষায় কতটা অভিজ্ঞ।

আর যখন আপনি সফলভাবে IELTS পরীক্ষা দিবেন এবং আপনার পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে IELTS স্কোর পাবেন। তখন আপনি বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সেই স্কোর ব্যবহার করতে পারবেন।

তো বর্তমান সময়ে আইইএলটিএস যেসব কাজে লাগে সে গুলো নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো। কেননা এমন অনেক কাজ রয়েছে যে গুলোর ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর এর দরকার পড়ে। যেমন, 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার কাজে

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা মূলত নিজের দেশে শিক্ষা অর্জন করার পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চায়। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশ গুলো তে গিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে বাধ্যতামূলক IELTS করতে হবে।

কেননা বিশ্বের এমন অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তে লেখাপড়া করতে হলে তাদের দেওয়া নির্ধারিত আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে।

তবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য আপনার কত IELTS স্কোর এর দরকার হবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন তার উপর। 

বিদেশে গবেষণা করার কাজে

যখন আপনি নিজের দেশ থেকে অন্য কোন দেশে গবেষণা করার কাজে যাবেন, ঠিক তখনও আপনার IELTS এর দরকার হবে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, বিদেশে গবেষণা করার জন্য আমাদের কত IELTS স্কোর এর দরকার হবে।

তো এটা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় যে আপনি বিদেশে গবেষণা করতে গেলে আপনার কত স্কোর দরকার হবে। কেননা সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে যাচ্ছেন তার উপর।

এর কারণ হলো ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন পরিমানে IELTS স্কোর দরকার হয়।

বিদেশে চাকরি করার কাজে

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ বিদেশে চাকরি করার জন্য যায়। তবে আপনি যদি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশ গুলো তে চাকরি করতে চান, তাহলে কিন্তু আপনার IELTS করার প্রয়োজন পড়বে।

সেক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ এটা নির্ধারণ করে দিয়েছে যে, তাদের দেশে চাকরি করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ IELTS অর্জন করতে হবে।

তো আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন যে IELTS কি কি কাজে লাগে আশা করি তারা সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন। কেননা বর্তমান সময়ে একজন ব্যক্তি তার অর্জন করা IELTS স্কোর যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারবে।

সেই কাজ গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

Ielts করতে কতদিন লাগে?

আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটিতে চারটি দক্ষতা যাচাই করা হয়: লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, এবং স্পিকিং।

আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে কতদিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনার বর্তমান ইংরেজি ভাষার দক্ষতা এবং আপনার প্রস্তুতির তীব্রতার উপর।

আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় অন্তত প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে আপনি মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। তবে, যদি আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা খুব দুর্বল হয়, তাহলে আপনাকে আরও সময় দিতে হবে।

আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি নিজে নিজে পড়াশোনা করতে পারেন, কোর্স নিতে পারেন, বা টিউটর নিতে পারেন।

আপনি যদি নিজে নিজে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে আপনাকে একটি ভালো গাইডবুক এবং অনুশীলন প্রশ্নপত্রের সংগ্রহ সংগ্রহ করতে হবে। আপনি অনলাইনে বিভিন্ন রিসোর্সও খুঁজে পেতে পারেন।

কোর্স নিলে একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে নির্দেশনা পাবেন। কোর্সগুলি বিভিন্ন সময়সীমার মধ্যে হয়, তাই আপনি আপনার সময়সূচির সাথে মানানসই একটি কোর্স বেছে নিতে পারেন।

টিউটর নিলে একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত attention পাবেন। টিউটর আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট দুর্বলতাগুলিতে মনোযোগ দিতে এবং আপনার দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারেন।

আপনি যেভাবেই প্রস্তুতি নিন না কেন, আপনার নিয়মিত পড়াশোনা করা এবং অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন, তত ভালো স্কোর করার সম্ভাবনা থাকবে।

Ielts করলে কি কি সুবিধা?

আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, IELTS করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে। তো যখন আপনি IELTS   করবেন তখন আপনি আসলে ইংরেজি ভাষাতে কতটা দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেটি যাচাই করে নিতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি আমাদের দেশ থেকে বিদেশে চাকরি করতে যান, তাহলে আপনি সেই IELTS   স্কোর ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়াও যদি আপনার IELTS করা থাকে তাহলে আপনি নিজের ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে আরো মজবুত করতে পারবেন। আর উক্ত দক্ষতার মাধ্যমে আপনি বিশ্বব্যাপী মানুষের সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে পারবেন।

মূলত এই সুবিধা গুলোর জন্যই মানুষ IELTS করে থাকে।

Ielts করতে কি পাসপোর্ট লাগে?

আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হলে আপনার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট হল আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এর মত । এটি আপনার নাগরিকত্ব এবং বয়স প্রমাণ করে।

আইইএলটিএস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে। পাসপোর্টের পাশাপাশি, আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ছবি এবং একটি ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের (ID) কপি জমা দিতে হবে।

ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের মধ্যে হতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বা জন্ম নিবন্ধন।

আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজনের কারণ হল:

  • আইইএলটিএস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা: পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে আপনি আপনার আইইএলটিএস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে পারেন।
  • আপনার পরিচয় যাচাই করা: আইইএলটিএস পরীক্ষার কেন্দ্রে আপনার পরিচয় যাচাই করার জন্য আপনার পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে।
  • আপনার পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া: আইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে আপনার পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে।

তাই, আপনি যদি আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

Ielts করে কি কি করা যায়?

আমাদের মাঝে অনেকেই জানে না আসলে Ielts করে কি কি করা যায় আর যদিও জানে তা হলো বিদেশে পড়াশুনা করার জন্য। কিন্তু এর বাইরে আরোও অনেক কাজে লাগে এই Ielts দিয়ে।

তাহলে চলুন জেনে নেয় IELTS পরীক্ষায় পাস করলে আপনি যে সুযোগ-সুবিধাগুলি পেতে পারেন তা হল:

  • বিদেশে উচ্চশিক্ষা: IELTS স্কোর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় IELTS স্কোর 6.0 বা তার বেশি প্রয়োজন।
  • বিদেশে অভিবাসন: অনেক দেশ ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য IELTS স্কোরের প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অভিবাসনের জন্য IELTS স্কোর 6.0 বা তার বেশি প্রয়োজন।
  • বিদেশে চাকরি: অনেক বহুজাতিক কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য IELTS স্কোরের প্রয়োজন হয়।

এছাড়াও, IELTS পরীক্ষায় পাস করলে আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সম্পর্কে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। এটি আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আরও সফল হতে সাহায্য করবে।

Selt এবং ielts মধ্যে পার্থক্য?

SELT এবং IELTS দুটিই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরিমাপের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষার মধ্যে কিছু মিল এবং অমিল রয়েছে।

মিল

  • উভয় পরীক্ষাই ইংরেজি ভাষার চারটি দক্ষতা – লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং এবং স্পিকিং – পরিমাপ করে।
  • উভয় পরীক্ষার স্কোর 0 থেকে 9 পর্যন্ত হয়।
  • উভয় পরীক্ষার স্কোর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৪০টিরও বেশি দেশে স্বীকৃত।

অমিল

  • SELT পরীক্ষাটি UKVI (UK Visas and Immigration) দ্বারা প্রদান করা হয়, যেখানে IELTS পরীক্ষাটি Cambridge Assessment English দ্বারা প্রদান করা হয়।
  • SELT পরীক্ষাটি মূলত যুক্তরাজ্যে অভিবাসন এবং কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়, যেখানে IELTS পরীক্ষাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন এবং কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • SELT পরীক্ষাটি সাধারণত IELTS পরীক্ষার তুলনায় কম ব্যয়বহুল।

কোন পরীক্ষাটি আপনার জন্য উপযুক্ত?

আপনি যদি যুক্তরাজ্যে অভিবাসন বা কাজের জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে চান, তাহলে SELT পরীক্ষাটি আপনার জন্য একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আপনি যদি বিশ্বের অন্য কোথাও উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন বা কাজের জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে চান, তাহলে IELTS পরীক্ষাটি আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

কোন ielts অনলাইন নাকি অফলাইন ভালো?

IELTS পরীক্ষার দুটি পদ্ধতি রয়েছে: অনলাইন এবং অফলাইন। অনলাইন পরীক্ষাটি বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে নেওয়া যেতে পারে, যেখানে অফলাইনে পরীক্ষাটি নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

অনলাইন IELTS-এর সুবিধা

  • স্বাধীনতা: আপনি আপনার নিজের সময় এবং স্থানে পরীক্ষা দিতে পারেন।
  • উপযুক্ততা: আপনি যেকোনো স্থান থেকে পরীক্ষা দিতে পারেন, এমনকি আপনি যদি আপনার দেশের বাইরে থাকেন।
  • খরচ: অনলাইন পরীক্ষা সাধারণত অফলাইন পরীক্ষার চেয়ে সস্তা।

অনলাইন IELTS-এর অসুবিধা

  • তথ্যপ্রযুক্তি: আপনাকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি ভাল কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।
  • অপ্রত্যাশিত সমস্যা: পরীক্ষা চলাকালীন প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে।
  • নিরাপত্তা: অনলাইন পরীক্ষার নিরাপত্তাকে নিয়ে কিছু  আতংক থাকতে পারে।

অফলাইনে IELTS-এর সুবিধা

  • নিরাপত্তা: অফলাইনে পরীক্ষার নিরাপত্তাকে নিয়ে আতংক কম।
  • প্রযুক্তিগত সমস্যা: অফলাইনে পরীক্ষার সময় প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্ভাবনা কম।
  • পরিচিত পরিবেশ: আপনি একটি পরিচিত পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারেন।

অফলাইনে IELTS-এর অসুবিধা

  • স্বাধীনতা: আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে হবে।
  • উপযুক্ততা: আপনি যদি আপনার দেশের বাইরে থাকেন তবে আপনি অফলাইন পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
  • খরচ: অফলাইনে পরীক্ষা সাধারণত অনলাইন পরীক্ষার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।

কোন IELTS পদ্ধতিটি আপনার জন্য ভালো?

আপনার জন্য কোন IELTS পদ্ধতিটি ভালো তা আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে।

আপনি যদি স্বাধীনতা পছন্দ করেন এবং আপনার নিজের সময় এবং স্থানে পরীক্ষা দিতে চান, তাহলে অনলাইন IELTS আপনার জন্য ভালো হতে পারে।

আপনি যদি নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্ভাবনা কমাতে চান, তাহলে অফলাইনে IELTS আপনার জন্য ভালো হতে পারে।

ইন পার্সন স্পিকিং এক্সাম ও অনলাইন স্পিকিং এক্সাম এর মধ্যে পার্থক্য কি?

ইন পার্সন স্পিকিং এক্সাম এবং অনলাইন স্পিকিং এক্সাম হল IELTS পরীক্ষার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দুটি পরীক্ষার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।

ইন পার্সন স্পিকিং এক্সাম

  • এই পরীক্ষাটি একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয়।
  • পরীক্ষার্থীকে একজন শিক্ষকের সাথে মুখোমুখি কথা বলতে হয়।
  • পরীক্ষার সময়কাল ১১-১৪ মিনিট।
  • পরীক্ষার প্রশ্নগুলি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হতে পারে।

অনলাইন স্পিকিং এক্সাম

  • এই পরীক্ষাটি একজন শিক্ষক দ্বারা একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
  • পরীক্ষার্থীকে একজন শিক্ষকের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে হয়।
  • পরীক্ষার সময়কাল ১৫-১৭ মিনিট।
  • পরীক্ষার প্রশ্নগুলি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য ইন পার্সন স্পিকিং এক্সাম অনলাইন স্পিকিং এক্সাম
পরীক্ষা পরিচালনাকারী পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন শিক্ষক একজন শিক্ষক (কম্পিউটারের মাধ্যমে)
পরীক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ মুখোমুখি ভিডিও কলের মাধ্যমে
পরীক্ষার সময়কাল ১১-১৪ মিনিট ১৫-১৭ মিনিট
পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে

Ielts ফলাফল প্রকাশ করতে কত সময় লাগে?

IELTS ফলাফল প্রকাশ করতে সাধারণত 13 দিন সময় লাগে। কাগজের পরীক্ষার জন্য, ফলাফল পরীক্ষার তারিখের 13 দিন পরে লগ ইন করে অনলাইনে পাওয়া যাবে। কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষার জন্য, ফলাফল পরীক্ষার তারিখের 3 থেকে 5 দিন পরে অনলাইনে পাওয়া যাবে।

আপনি আপনার ফলাফলের জন্য একটি অনলাইন প্রিভিউও দেখতে পারেন। প্রিভিউ পরীক্ষার তারিখের 3 থেকে 5 দিন পরে পাওয়া যাবে। প্রিভিউতে আপনার মোট স্কোর এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য আপনার স্কোর দেখানো হবে।

IELTS ফলাফল টেস্ট রিপোর্ট ফর্ম (TRF) আকারে প্রেরণ করা হয়। TRF একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নথি যা আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতার স্তরকে প্রতিনিধিত্ব করে। TRF পরীক্ষার তারিখের 13 দিন পরে পাওয়া যাবে।

Faqs

IELTS পরীক্ষা কত দিন পর পর হয়?

IELTS পরীক্ষা প্রতি মাসে একবার হয়। পরীক্ষার তারিখগুলি পরীক্ষা কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

কানাডা কি ইউকেভিআই আইএলটিএস গ্রহণ করে?

হ্যাঁ, কানাডা ইউকেভিআই আইএলটিএস গ্রহণ করে। ইউকেভিআই আইএলটিএস হল একটি সংক্ষিপ্তকৃত IELTS পরীক্ষা যা 115 মিনিটে সম্পন্ন হয়।

Ielts ছাড়া কি অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করা যায়?

হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়ায় কিছু ক্ষেত্রে IELTS ছাড়াই কাজ করা যেতে পারে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ প্রয়োজন হয়।

প্রস্তুতি ছাড়া কি ielts দেওয়া যাবে?

হ্যাঁ, প্রস্তুতি ছাড়াই IELTS দেওয়া যেতে পারে। তবে, প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

Ielts কম্পিউটার না পেপার কোন পরীক্ষা ভালো?

কোন পরীক্ষাটি ভালো তা পরীক্ষার্থীর পছন্দ এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে। কম্পিউটার পরীক্ষাটি আরও দ্রুত এবং সহজ হতে পারে, তবে পেপার পরীক্ষাটি আরও পরিচিত এবং আরও অনেক পরীক্ষা কেন্দ্রে উপলব্ধ।

আমি কি যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য ielts সাধারণ ব্যবহার করতে পারি?

হ্যাঁ, যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য IELTS সাধারণ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় IELTS একাডেমিক পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

Ielts পরীক্ষা কোন মাসে দেওয়া যায়?

IELTS পরীক্ষা প্রতি মাসে একবার হয়। পরীক্ষার তারিখগুলি পরীক্ষা কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

আপনারা যারা IELTS করবেন তারা আসলে সেই IELTS কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন সে গুলো নিয়েই আজকের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের লেখা এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের উপকারী তথ্য গুলো বিনামূল্যে পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top