ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম : আমরা অনেকেই E passport এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। কেননা যখন আপনি এক দেশ থেকে অন্য আরেক টি দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করার চিন্তা করবেন।
তখন অবশ্যই আপনাকে বর্তমান সময়ে ই পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। আর আজকের দিনে অন্যান্য উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে।
আমাদের বাংলাদেশের মধ্যেও ই পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। আর যখন আপনি এই ধরনের ই পাসপোর্ট তৈরি করার চিন্তা করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করার ফি প্রদান করতে হবে।
তবে যেহেতু এই ধরনের ই পাসপোর্ট এর আবেদন নিজের ঘরে বসে করা যায়। সেহেতু আমরা বুঝতে পারি না যে, কিভাবে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে হয়।
আর যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু আপনার ই পাসপোর্ট এর যাবতীয় কাজ গুলো সম্পন্ন হবে না।
আর আজকে আমি এই বিষয় টি নিয়েই বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। মূলত আপনি যদি ই পাসপোর্ট জমা দিতে নতুন নিয়ম গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে চান।
তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গা তে চলে এসেছেন। কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে স্টেট বাই স্টেপ দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব.
যে আপনি কিভাবে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিবেন। তবে আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা নিতে চান।
আপনি আরোও দেখে নিন…
- বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
- সরকারি চাকরিজীবিদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
তাহলে আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। যাতে করে আপনার ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার সময় কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
কিভাবে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে হয়?
আপনি যদি আগেকার দিন গুলোর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই সময় কিন্তু পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নিতো।
আর সেই সব ব্যাংক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ট্রাস্ট ব্যাংক। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এই টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রেও সরকারি ভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করেছে।
কেননা এখনকার দিনে আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট তৈরি করার টাকা গুলো আপনার ইচ্ছামত। যে কোনো ধরনের সরকারি অথবা বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।
এর পাশাপাশি এখন আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন। যেমন, আপনার যদি একটি বিকাশ একাউন্ট থাকে।
সে ক্ষেত্রে আপনি নিজের ঘরে বসে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে পারবেন। তবে আপনি যে কোন মাধ্যমেই এই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারলেও।
আপনাকে অবশ্যই টাকা জমা দেওয়ার সকল নিয়ম গুলো কে সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আর এবার আমি আপনাকে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য যা লাগবে
আমি শুরুতেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হলো, আপনি যে কোন মাধ্যমেই ই পাসপোর্ট এর ফি জমা দিতে পারবেন।
তবে এই টাকা জমা দেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই সকল নিয়ম গুলো কে সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে হবে। আর এইসব নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো যে।
ই পাসপোর্ট এর ফি জমা দেওয়ার জন্য কি কি লাগবে। কেননা যখন আপনি টাকা জমা দিতে যাবেন।
তখন কিন্তু আপনার কাছে বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য কি কি লাগে।
- আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর এর প্রয়োজন হবে।
- আপনি আপনার পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন পত্রে যে ঠিকানা উল্লেখ করেছেন। সেই বর্তমান ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
- আপনার পাসপোর্ট এর আবেদন পত্রে যে নাম উল্লেখ করেছেন। সেই ইংরেজি নামের প্রয়োজন হবে।
- যদি আপনি আবেদন পত্রের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিতে হবে।
- অথবা আপনি যদি জন্ম নিবন্ধনের নম্বর দিয়ে থাকেন। তাহলে সেই নম্বরের দরকার হবে।
- আপনি আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির ধরন যেটা রেখেছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে। যেমন, সাধারণ অথবা জরুরী কিংবা অতি জরুরী। তা সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আপনার ই পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠার সংখ্যা কত এবং আপনার সেই ই পাসপোর্ট কত বছর মেয়াদী। সেটা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
যদিও বা ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ডকুমেন্টস প্রদান করার প্রয়োজন হয় না।
তবে আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন সেই আবেদন পত্রে থাকা বেশ কিছু তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে।
মূলত এ গুলোই প্রয়োজন হয় যখন ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিবেন।
অনলাইনে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
যেহেতু বর্তমান সময়ে অনলাইন এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা যায়। সেহেতু এই যাবতীয় কাজ গুলো আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে করতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি পাসপোর্ট এর জন্য টাকা জমা দিতে চান। তাহলে প্রথমত আপনাকে A Challan এর মূল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
এবং এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই কিন্তু আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে হবে। মূলত যখন আপনি এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করবেন।
তখন আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। যেমন আপনার পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠার সংখ্যা কত। আপনার পাসপোর্ট কত বছর মেয়াদী।
এবং আপনি সেই পাসপোর্ট টি কত দ্রুততার সাথে ডেলিভারি করতে চান তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
তবে এই কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে আপনার যাতে কোন প্রকার ভুল না হয়। সে জন্য এবার আমি অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার প্রতি টি ধাপ কে আমি এবার স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব।
এবং আপনি অবশ্যই এই ধাপ গুলো পূরণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কেননা আপনি যদি এই টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভুল করেন।
তাহলে কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। চলুন এবার তাহলে সেই টাকা জমা দেয়ার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
E passport টাকা জমা নিয়ম: ০১
টাকা জমা দেয়ার প্রথম ধাপ টি অনেক সহজ। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার যে কোন একটি ডিভাইস থেকে একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে।
এবং সেই ব্রাউজার থেকে আপনাকে A Challan (Automated Challan System Bangladesh) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
যদি আপনি google এ সার্চ করে খুঁজে না পান। তাহলে আপনি সরাসরি এখানে ক্লিক করে উক্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
E passport টাকা জমা নিয়ম: ০২
যখন আপনি উপরের লিংক থেকে A Challan এর অফিসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তখন আপনার সামনে একটা নতুন পেজ চলে আসবে।
এবং সেই পেজের মধ্যে আপনি সবার উপরে বাম পাশে ই পাসপোর্ট ফি নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
E passport টাকা জমা নিয়ম: ০৩
উপরের নতুন পেজ থেকে যখন আপনি ই পাসপোর্ট ফি নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তখন আপনার সামনে আরো বেশ কিছু অপশন চলে আসবে।
যেমন, প্রথমত আপনি দেখতে পারবেন যে, আবেদনের প্রকৃতি। মূলত এই অপশন এর মধ্যে আপনি আসলে কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট তৈরি করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে।
এরপরের অপশনে আপনি দেখতে পারবেন বিতরণের প্রকৃতি। মূলত এখান থেকে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে।
আর যখন আপনি এই অপশন গুলো সিলেক্ট করবেন। তখন আপনার ই পাসপোর্ট করার জন্য কত টাকা দিতে হবে। তা আপনি উক্ত পেজ থেকেই দেখতে পারবেন।
E passport টাকা জমা নিয়ম: ০৪
এরপরের আপশনে আপনি আসলে যে ব্যক্তির নামে পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ করতে চান। তার ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর কিংবা জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর প্রবেশ করাতে হবে।
যাতে করে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই ব্যক্তি কে শনাক্ত করা যায়। এর পাশাপাশি আপনাকে আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
যেমন, সেই ব্যক্তির নাম, সেই ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। সবশেষে আপনি ইমেইল এড্রেস দেওয়ার একটি অপশন দিতে পারবেন।
আপনি চাইলে এই ইমেইল এড্রেস টি দিতে পারবেন আবার এই ইমেইল এড্রেসটি না দিলেও চলবে।
E passport টাকা জমা নিয়ম: ০৫
সর্বশেষ ধাপে আপনাকে পেমেন্ট মেথড সিলেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি ই পাসপোর্ট এর টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে চাইলে। আপনাকে উপরে উল্লেখিত ব্যাংক সিলেক্ট করতে হবে।
এবং আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর অপশন টি সিলেক্ট করতে হবে।
এর পাশাপাশি আপনি চাইলে কার্ড এর মাধ্যমেও টাকা জমা দিতে পারবেন। তবে আপনি আপনার সুবিধা মতো যে মাধ্যমে টাকা দিতে পারবেন, সেই মাধ্যম টি সিলেক্ট করবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
আপনি যদি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে।
এবং উক্ত অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি এই টাকা জমা দেওয়ার কাজটি খুব সহজ ভাবেই করতে পারবেন। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ এপ্স এর নাম হল A Challan.
তবে আপনি যদি কোন প্রকার অ্যাপস ইনস্টল করতে না চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ফোনের ব্রাউজার থেকে A Challan ওয়েবসাইট এর মধ্যে ভিজিট করতে হবে।
এবং তারপরে উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে টাকা জমা দিতে হবে। আর আপনি আসলে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিবেন। সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে।
পাসপোর্ট নিয়ে আরোও দেখুন…
- হারানো পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার উপায়
- ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
- ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না?
নগদ, রকেট ও বিকাশের মাধ্যমে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেয়ার নিয়ম
উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে বলেছি যে। বর্তমান সময়ে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
তো যখন আপনি উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করার সময় পেমেন্ট মেথডে যাবেন। তখন আপনি বিভিন্ন প্রকারের পেমেন্ট মেথড দেখতে পারবেন। তো সেখান থেকে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং নামক অপশন টি সিলেক্ট করতে হবে।
আর এই অপশন টি সিলেক্ট করার পরে আপনি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং দেখতে পারবেন। যেমন, নগদ, রকেট এবং বিকাশ।
এরপরে আপনাকে আপনার সুবিধা মত যে কোন একটি মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করতে হবে।
তারপরে আপনি যে নম্বর থেকে টাকা দিতে চান সেটি বসিয়ে দিতে হবে। এরপরে আপনার সেই মোবাইল ব্যাংকিং এর পিন দেয়ার পরেই আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হবে।
পাসপোর্ট ফি পরিশোধের পর চালান ডাউনলোড করতে না পারলে যা করবেন
যখন আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিবেন। তখন অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কারণে আপনার উক্ত পেমেন্ট টি সাকসেসফুল নাও হতে পারে।
তো যদি কোনো কারণে আপনি পেমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু পেমেন্ট করার পরে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া টি সাকসেস না হয়। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। যেমন:
- আমি যে পেজ এর মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়েছেন সেই পেজ টি আপনি ভুলেও ব্রাউজার থেকে ক্লোজ করে দিবেন না।
- এবং পেমেন্ট করার পরে সাকসেস না হলে আপনাকে ওই ওয়েবসাইটের থাকা পেজটির লিঙ্ক কপি করে নিতে হবে।
- প্রয়োজন হলে আপনি সেই পেজের লিংক টি কোন খানে নোট করে রেখে দিবেন।
- এরপরে আপনি সেই লিংক এর মধ্যে 2344-4567547865 এই ধরনের যে নম্বর টি খুঁজে পাবেন। মূলত সেই লিংকে থাকা এই নম্বর টি হল আপনার চালান নম্বর।
যখন এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার চালান নম্বর টি সংগ্রহ করতে পারবেন। তখন এই নম্বরটি কে কাজে লাগিয়ে আপনাকে আরো বেশ কিছু কাজ করতে হবে। যেমন:
- প্রথমত আপনাকে অনলাইন চালান ভেরিফিকেশন করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে সরাসরি অনলাইন চালান ভেরিফিকেশন করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
- আর আপনি যখন উপরোক্ত লিংক থেকে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তখন আপনি আপনার চালান নম্বর দেয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন।
- সেই অপশনের মধ্যে মূলত দুটি ফাঁকা বক্স থাকবে। প্রথম বক্সে চার ডিজিটের সংখ্যা বসাতে হবে এবং পরবর্তী বক্সে ১১ ডিজিটের সংখ্যা বসাতে হবে।
- আর এখানে যদি আপনি আপনার চালান নম্বরটি বসিয়ে ভেরিফাই নামক অপশনে ক্লিক করেন। তাহলে আপনার চালান পেয়ে যাবেন।
- সবশেষে আপনার চালান এর ফাইল টি সেভ করবেন। এবং পরবর্তী সময়ের ফাইল টি প্রিন্ট করে নিবেন।
তো যদি কোন কারনে ই পাসপোর্ট এর টাকা প্রদান করার পরে আপনার চালান সাকসেসফুল না হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজ গুলো করতে হবে।
তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তবে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
এ চালানে ই পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট করার নিয়ম
অনেক সময় দেখা যায় যে, আপনি ৪৮ পৃষ্ঠার ই পাসপোর্ট এর জন্য যে ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আপনি সেটি পরিশোধ করেছেন।
এবং পরবর্তী সময়ে আপনাকে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর জন্য ফি প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি টাকা ফি হিসাবে দিতে হবে।
এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। কিভাবে এই যে এ চালানে ই পাসপোর্ট এডজাস্টমেন্ট করা যায়। তো যদি আপনিও এই ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকেন।
তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। কারণ এবার আমি এই বিষয় টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
যদি কখনো আপনার এ চালান এর ই পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে এই কাজটা আপনি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে পারবেন।
আবার আপনি যদি চান যে নিজে থেকেই এই কাজ টি করবেন। তাহলে আপনাকে অনলাইন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
তো এবার আমি আপনাকে সেই অনলাইন পদ্ধতি তে ই পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট করার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।
- প্রথমত আপনাকে এ চালান (A Challan) এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- এরপর আপনাকে ই পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট নামক অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
- আর যখন আপনি উক্ত অপশন টি সিলেক্ট করবেন। তখন আপনাকে আপনার চালান নম্বর টি প্রবেশ করাতে হবে।
- এর পরবর্তী সময়ে আপনার পাসপোর্ট টি কত পৃষ্ঠার তা উল্লেখ করে দিতে হবে।
- এর পরবর্তীতে আপনাকে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
তো কখনো যদি আপনার এ চালান ই পাসপোর্ট এডজাস্টমেন্ট করার প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনাকে যে পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করা করতে হবে।
সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে আমি উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আর আপনি যদি সে গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করে করতে পারেন।
তাহলে আপনি খুব সহজেই এ চালান ই পাসপোর্ট এডজাস্টমেন্ট করতে পারবেন।
ব্যাংক কাউন্টার থেকে এ চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
আপনি চাইলে খুব সহজেই ব্যাংক কাউন্টার থেকে এ চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি এই কাজ টি করতে চান।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি ব্যাংকে যেতে হবে। এবং ব্যাংকে যাওয়ার পরে আপনাকে এ চালান এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে হবে।
কিন্তু যদি আপনি এই কাজ টি করেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই Application Summary এবং Registration Form জমা দিতে হবে।
এবং আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদন পত্রে থাকা যাবতীয় ডকুমেন্টস গুলো সঠিক ভাবে দিতে হবে।
যেমন, পাসপোর্ট ধারী ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, কিংবা জন্ম সনদের নম্বর। পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠার সংখ্যা, উক্ত পাসপোর্ট এর মেয়াদ।
এবং মোবাইল নম্বর সঠিক ভাবে দিতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে যেন, প্রদান করা তথ্য গুলো তে কোন প্রকার ভুল না থাকে।
যখন আপনি এই সব গুলো কাজ সঠিক ভাবে করতে পারবেন। তখন আপনি ব্যাংক অফিসারের কাছ থেকে একটি চালান ফরম পাবেন।
আপনাকে সেই ফর্ম টি প্রিন্ট করতে হবে। এবং পরবর্তী সময়ে প্রিন্ট করা এই কপি টি আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে প্রদান করতে হবে।
এ চালানের মাধ্যমে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার ব্যাংক
আর্টিকেলের শুরুতেই আমি আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম। আর সেই কথা টি হলো যে, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়া যায়।
তবে বাংলাদেশের মধ্যে এমন কোন ধরনের ব্যাংক গুলো আছে। যার মাধ্যমে আপনি ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
সে সম্পর্কে আমি উপরে কোন কিছু বলিনি। তো এবার আমি আপনার জন্য সেই ব্যাংক এর নাম গুলো একটা লিস্ট আকারে প্রদান করব।
যেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে, বর্তমান সময়ে এমন কোন ব্যাংক গুলো রয়েছে। যে গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
- Premier Bank
- Krosi bank
- Sonali Bank
- One Bank
- Islami Bank
- Eastern Bank
- Dutch Bangla Bank
- A B Bank
- Agrani Bank
- Bangladesh Commerce Bank
- Brac Bank
- First Security islami Bank
- Midland Bank
- NRB Commercial Bank
- Southeast Bank
তো বর্তমান সময়ে আপনি এ চালান এর মাধ্যমে যে সকল ব্যাংকের সাহায্য ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
সেই ব্যাংক গুলোর নাম আমি উপরের লিস্টে উল্লেখ করেছি। এবং এই ব্যাংক গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- অনলাইনে সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করার নিয়ম
- ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
বিদেশ থেকে ই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
যদি আপনি বিদেশে থেকে ই পাসপোর্ট এর ফি জমা দিতে চান। সেক্ষেত্র আপনার জন্য একটা ভালো খবর এই যে।
এখন আপনি চাইলে বিদেশ থেকে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন। তবে বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার সেবা চালু হয়নি।
বরং বেশ কিছু দেশ রয়েছে যে দেশ গুলো থেকে আপনি ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আমিরাত ইত্যাদি।
আর যারা সিঙ্গাপুর থেকে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে চান। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে, এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুর থেকে সরাসরি পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার সেবা চালু হয়নি।
Faqs
পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়?
পাসপোর্ট আবেদনের ৭ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়। আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি আবেদনপত্র দেওয়া হবে, যেখানে আপনার আবেদনের তারিখ এবং টাকা জমা দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের মধ্যে আপনাকে নির্দিষ্ট ব্যাংকে আপনার ফি জমা দিতে হবে।
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট 2023 কত টাকা?
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্টের ফি ৫৭৫০ টাকা (সাধারণ), ৮০৫০ টাকা (জরুরি) এবং ১০৩৫০ টাকা (অতি জরুরি)।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে 2024?
পাসপোর্ট করতে হলে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)
- পেশাগত সনদ (যদি থাকে)
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে)
বাংলাদেশে জন্ম সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করা যাবে কি?
হ্যাঁ, বাংলাদেশে জন্ম সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করা যাবে। তবে, জন্ম সনদটি অবশ্যই সরকারীভাবে সার্টিফাইড হতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকেই ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। আর আপনি যাতে ই পাসপোর্ট এর ফি জমা দেওয়ার নিয়ম গুলো সহজ ভাবে জানতে পারেন। সে জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।
এবং এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাকে যে সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে। তার প্রত্যেক টি নিয়ম কে আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি। আশা করি আলোচিত এই আলোচনা থেকে আপনি ই পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন।