পাঠাও বাইক ভাড়া : বিভিন্ন সময়ে আমাদের খুব দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। আর দ্রুত অন্য স্থানে যাওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো পাঠাও।
যা কারণে আমরা অনেকেই পাঠাও রাইড শেয়ার এর মাধ্যমে নিজের গন্তব্যে যেতে পছন্দ করি।
তবে যখন আপনি পাঠাও বাইক রাইড সার্ভিস ব্যবহার করবেন। তখন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।
মূলত সে কারণে আমরা অনেকেই পাঠাও বাইক ভাড়া সম্পর্কে জানতে চাই। আর আজকে আমি আপনাকে পাঠাও মোটরসাইকেল ভাড়া কত সেটি জানিয়ে দিবো।
পাঠাও বাইক ভাড়া কত?
যদি আপনি পাঠাও বাইক রাইডিং সার্ভিস ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার বেইজ ভাড়া হিসেবে মোট ২০ টাকা দিতে হবে।
তারপর আপনাকে প্রতি কিলোমিটার হিসেবে ১০ টাকা করে দিতে হবে। কিন্তুু স্থান ভেদে এই ভাড়ার পরিমান কিছুটা কম বা বেশি রয়েছে।
আর সেই পাঠাও বাইক ভাড়ার তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,
- ঢাকা: প্রতি কিলোমিটার: ১৫ টাকা। (সর্বনিম্ন ভাড়া: ৫০ টাকা),
- চট্টগ্রাম: প্রতি কিলোমিটার: ১২ টাকা ৫০ পয়সা। (সর্বনিম্ন ভাড়া: ৪০ টাকা),
- সিলেট: প্রতি কিলোমিটার: ৮ টাকা ৫০ পয়সা। (সর্বনিম্ন ভাড়া: ৩০ টাকা)
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন স্থানভেদে পাঠাও এর যে বাইক ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে। সেই ভাড়ার পরিমান উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে।
তবে পরবর্তী সময়ে যদি পাঠাও কর্তৃপক্ষ এই ভাড়ার পরিমান কম বা বেশি করে। তাহলে এই ভাড়ার তালিকাটি আপডেট করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের কোথায় পাঠাও সার্ভিস চালু আছে?
আমরা সকলেই জানি যে, পাঠাও হলো আমাদের বাংলাদেশের একটি কোম্পানি। যেটি প্রায় ২০১৫ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলো।
কিন্তুু তারা এখন সারাদেশে তাদের সার্ভিস চালু করতে পারেনি। তবে বর্তমান সময়ে যেসব এলাকায় পাঠাও এর সার্ভিস চালু আছে সেগুলো হলো, ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট।
পাঠাও আরোও জানতে পারবেন…
- পাঠাও রাইডার : পাঠাও রাইড শেয়ারিং নীতিমালা সংক্রান্ত তথ্য
- পাঠাও কুরিয়ার ট্র্যাকিং | কিভাবে পাঠাও কুরিয়ার ট্র্যাকিং করতে হয়
- পাঠাও অফিস : সকল পাঠাও অফিসের ঠিকানা
আর ভবিষ্যৎ সময়ে সারাদেশে Pathao সার্ভিস চালু করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও নিজের দেশের পাশাপাশি নেপালেও পাঠাও সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
বাইক শেয়ারিং প্রোগ্রাম ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক গুলো কি কি?
দেখুন, বাইক শেয়ারিং প্রোগ্রাম গুলোর বেশ কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে। আর যেহুতু আজকে আমরা পাঠাও বাইক ভাড়া সম্পর্কে জানলাম।
সেহুতু আমাদের উক্ত বিষয়টি সম্পর্কেও জেনে রাখা উচিত। যেগুলো নিচের আলোচনায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,
বাইক শেয়ারিং প্রোগ্রামের ইতিবাচক দিক
- বাইক শেয়ারিং এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিমান কমে যায়।
- এই প্রোগ্রামের ফলে মানুষ দ্রুততার সাথে গন্তেব্য স্থানে যেতে পারে।
- উক্ত প্রোগ্রামের জন্য বাইকাররা অর্থ উপার্জন করতে পারে।
- এছাড়াও যাত্রীরাও সাশ্রয়ী মূল্যে নিজের গন্তব্যে যেতে পারে।
বাইক শেয়ারিং প্রোগ্রামের নেতিবাচক দিক
- বাইক দিয়ে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যদি অতিরিক্ত পরিমানে বাইক শেয়ার করা হয়, তাহলে রাস্তায় জ্যাম দেখা দিবে।
- বাইক যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তো বাইক শেয়ারিং এর যেসব ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে। সেগুলো উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে।
পাঠাও চালিয়ে কত টাকা ইনকাম করা যায়
সত্যি বলতে পাঠাও থেকে আয় করার একটি ধারনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে আপনি যদি একমাসে প্রতিদিন বাইক শেয়ার করেন।
তাহলে আপনি প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে আমার দৃষ্টিকোন থেকে যদি আপনি প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সময় রাইড শেয়ারিং করার কাজে ব্যয় করেন। তাহলে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার উপরে আয় করতে পারবেন।
যদিওবা আপনার পাঠাও এর ইনকাম নির্ভর করবে রাইড শেয়ার করার উপর। তাই উপরের আয় এর পরিমান অনুমান করে বলা হয়েছে।
পাঠাও নিয়ে আরোও দেখুন…
- পাঠাও ডেলিভারি সার্ভিস | পাঠাও কিভাবে ডেলিভারি সার্ভিস দেয়
- পাঠাও কুরিয়ার নাম্বার : পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস হেল্পলাইন
- পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন : পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন করে আয় করুন
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
বর্তমান সময়ে যাত্রীদের জন্য পাঠাও বাইক ভাড়ার পরিমান নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তো আশা করি, এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
আর যদি আপনি এমন ধরনের উপকারী তথ্য গুলো সবার আগে পেতে চান। তাহলে Info Portal BD এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।