বিশ্বযাত্রা এখন আর স্বপ্ন নয়! বাংলাদেশ সরকার এমআরপি পাসপোর্টের স্থানে চালু করেছে ই-পাসপোর্ট। এই নতুন পাসপোর্ট আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এবং বহনকারীর জন্য অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে।
আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ অনেক আগেই পাসপোর্ট করেছেন। তাদের সবার কাছে এমআরপি পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।
তাই এখন আপনাকে অবশ্যই ই পাসপোর্ট এর ব্যবহার করতে হবে। কিন্তুু কিভাবে আপনি আপনার এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্টে রুপান্তর করবেন।
আপনার যদি এমআরপি পাসপোর্ট থাকে এবং আপনি ই-পাসপোর্টে আপগ্রেড করতে চান, চিন্তা নেই! এই ব্লগ পোস্টে আমি আপনাকে ধাপে ধাপে নিয়মাবলী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানাবো।
এছাড়াও, ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। তাহলে আজকের আলোচনা টুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেস্টা করুন। তাহলে আপনি সকল কাজ গুলো খুব সহজে বুঝতে পারবেন।
তো আর দেরী না করে, চলুন সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক MRP থেকে E Passport করার নিয়ম।
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
কিভাবে এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্ট করা যাবে?
আমাদের কাছে যাদের ই পাসপোর্ট আছে। তারা অনেকেই মনে করি যে, এই ধরনের এমআরপি পাসপোর্ট গুলোকে ই পাসপোর্টে রুপান্তর করা অনেক ঝামেলার কাজ।
কিন্তুু বিষয়টা আসলে এতো কঠিন নয়। কারন আপনি যদি মাত্র কয়েকটি ধাপ ফলো করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্ট করতে পারবেন। যেমন,
- সবার আগে আপনি আপনার আঞ্চলিক অফিসে খোজ খবর নিন। যে আপনার এলাকা তে ই পাসপোর্ট সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে কিনা।
- তারপর আপনাকে অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
- এরপর যখন আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন। তারপর আপনাকে অনলাইন থেকে আবেদন ফি পরিশোধ করে দিতে হবে।
- যথন আপনি উপরের কাজ গুলো সঠিকভাবে করতে পারবেন। এরপর আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।
- সবশেষে আপনাকে পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে হবে।
তো এখন মানুষ আসলে কোন কোন পদ্ধতি গুলো ফলো করে। তার এমআরপি পাসপোর্ট ই পাসপোর্ট করতে পারবে। তা উপরে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
তবে যখন আপনি এই কাজ গুলো করতে যাবেন। তখন আপনাকে আরো বেশ কিছু কাজ করতে হবে। আর সেগুলো নিয়ে নিচের আলোচনা তে বিস্তারিত বলা হলো।
এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
আমি উপরের আলোচনা তে একটি কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো, আপনি মাত্র কয়েকটি ধাপ ফলো করে এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্ট করতে পারবেন।
তবে তার জন্য আপনাকে যে সকল কাজ করতে হবে। এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে সেই কাজ গুলো দেখিয়ে দিবো।আর আপনি অবশ্যই সেই ধাপ গুলো সঠিকভাবে ফলো করবেন।
ধাপঃ১- সবার আগে আপনার আঞ্চলিক অফিসে যোগাযোগ করুন
তো আমরা বেশ ভালো করে জানি যে, আমাদের দেশে এখন ই পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে সব এলাকা তে এই ধরনের ই পাসপোর্ট সুবিধা প্রদান করা হয়নি।
তাই সবার আগে আপনাকে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর মধ্যে যোগযোগ করতে হবে। যে আপনি কি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন কিনা।
তো যদি তারা আপনাকে বলে যে, আপনার এলাকাতে এখন ই পাসপোর্ট এর সুবিধা চালু রয়েছে। তারপর আপনাকে বাকি কাজ গুলো করতে হবে।
কিন্তুু আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যদি এখনও ই পাসপোর্ট সুবিধা চালু না হয়। তাহলে আপনাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
ধাপঃ২- ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করুন
যদি আপনি খোজ নেওয়ার পর জানতে পারেন যে, আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
তাহলে আপনাকে এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর আপনি যদি ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে যে সকল কাজ গুলো করতে হবে।
এবার আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ সেই কাজ গুলো দেখিয়ে দিবো। যেন, আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
- যখন আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। তখন সবার আগে আপনাকে তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
- তো আপনি গুগলে গিয়ে “Epassport” লিখে সার্চ করলেই সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। নতুবা আপনি এখানে ক্লিক করেও উক্ত ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন।
- আর যখন আপনি উক্ত ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করবেন। তারপর আপনি “অনলাইনে আবেদন করুন” নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেখানে ক্লিক করতে হবে।
তো যখন আপনি “অনলাইনে আবেদন করুন” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার সামনে বেশ কিছু অপশন চলে আসবে।
আর আপনাকে সেই অপশন গুলোতে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনি আপনার District প্রদান করার একটি অপশন দেখতে পারবেন। তো এখানে আপনি আপনার ডিসট্রিক এর নামটি উল্লেখ করে দিবেন।
- তার ঠিক নিচেই আপনি আপনার থানার নাম দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার থানার নামটি বসিয়ে দিবেন।
- আর যখন আপনি উপরের তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে Continue নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর উক্ত বাটন এর মধ্যে যখন আপনি ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে পুনরায় একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আপনাকে আপনার ইমেইল এড্রেস টি দিতে হবে। মনে রাখবেন, এখানে আপনি সেই ইমেইল আইডিটা দিবেন।
যেটা আপনি সচারচর ব্যবহার করেন। এবং আপনার ইমেইল এড্রেস টি দেওয়ার পর পুনরায় আপনাকে “Continue” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
তো উপরের বাটনে ক্লিক করার পর যখন আপনাকে নতুন আরেকটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই পেজ এর মধ্যে আপনি আপনার পারসোনাল ইনফরমেশন দেওয়ার একটি ফরম দেখতে পারবেন।
আর এই ইনফরমেশন গুলো আপনি নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরন করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন,
- এবার উপরে আপনি দুইটি পাসওয়ার্ড দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার নিজের মতো করে পাসওয়ার্ড দিবেন।
- প্রথমে আপনি আপনার পুরো নাম টি বসিয়ে দিবেন। মনে রাখবেন, এখানে আপনি আপনার সেই নাম টি দিবেন। যেটি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যে আছে।
- এরপর আপনি আপনার যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বর দেওয়ার একটি বক্স দেখতে পারবেন। তো আপনি আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রদান করবেন।
- তারপর আপনাকে একটি ক্যাপচা কোড দেওয়া হবে। আপনি সেই ক্যাপচা কোড টি পূরন করার পর আবার “Continue” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।
আর যখন আপনি উপরের কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন। তারপর আপনি যে ইমেইল আইডি দিয়েছেন।
সেই ইমেইল এড্রেস টি ভেরিফাই করে নিতে হবে। এই ভেরিফাই করার কাজ শেষ হওয়ার পর আপনি সফল ভাবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
এখন আপনাকে পুনরায় আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় লগ ইন করতে হবে।
আর যখন আপনি আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করবেন। তারপর আপনি “Apply for a new passport” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন।
তো আপনাকে এই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। আর উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করার পর আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো অনুসরন করতে হবে। যেমন,
- প্রথমে আপনাকে “Passport Type” এর মধ্যে থেকে “Ordinary Passport” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনাকে “Save and Continue” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এবার আপনি আপনার পারসোনাল ইনফরমেশন দেওয়ার অপশন গুলো দেখতে পারবেন।
- তো যখন আপনি সবার উপরের অপশনে থাকা “I Apply For Myself” এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি পূর্বে যে সকল তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো অটোমেটিক ভাবে পূরন হয়ে যাবে।
- আর যেসকল তথ্য অটোমেটিক ভাবে পূরন হবেনা। সেগুলো আপনাকে নিজে থেকে প্রদান করতে হবে।
- যেমন, আপনার পেশা কি, সেটি আপনাকে নির্বাচন করে দিতে হবে। কিন্তুু যদি আপনি কোন পেশার সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনাকে সেই পেশার সনদ প্রদান করতে হবে।
- এরপর আপনি কোন ধর্মের অনুসারী তা সিলেক্ট করে দিবেন।
- তো আপনি যখন উপরের এই যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে “Birth Date” দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন।
- তো এখানে থাকা প্রত্যেকটি তথ্য একবারে নির্ভূলভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেন আপনার দেওয়া তথ্য গুলো তে কোন ধরনের ভুল না থাকে।
যেমন, সবার উপরে আপনি আপনার দেশের নাম সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর আপনি আসলে কোন ডিসট্রিক এর মধ্যে জন্মগ্রহন করেছেন তা উল্লেখ করে দিবেন।
তার ঠিক নিচের অপশন এর মধ্যে আপনি আপনার জন্ম তারিখ দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন।
সেখানে আপনি আপনার সঠিক জন্ম তারিখ বসিয়ে দিবেন। আর এইসব যাবতীয় তথ্য গুলো দেওয়ার পর আপনি “Save and Continue” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।
এবার আপনাকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। সেজন্য আপনার স্থায়ী ঠিকানা যদি গ্রামে হয়। তাহলে আপনি আপনার গ্রামের ঠিকানা প্রদান করবেন। কিন্তুু যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা শহরে হয়।
তাহলে আপনি আপনার বাসা নম্বর, রোড নম্বর ইত্যদি তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করবেন। তো যখন আপনি ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার সময় আপনার ঠিকানা প্রদান করবেন।
এরপর আপনাকে “ID Documents” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। আর যখন আপনি উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে “Yes, I have a Machine Readable Passport” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করার পরে। আপনি একটু নিচের দিকে আরো বেশ কিছু অপশন দেখতে পারবেন। যেমন,
- প্রথমে আপনাকে “Select issue reason” থেকে আপনার পাসপোর্ট ইস্যু এর কারন টি উল্লেখ করে দিন।
- তারপর আপনি আপনার পূর্বের পাসপোর্ট নাম্বার টি সঠিকভাবে প্রদান করুন। খেয়াল রাখবেন, এই পাসপোর্ট নাম্বার এর মধ্যে যেন কোন ধরনের ভুল না থাকে।
- এখন আপনাকে আপনার পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ গুলো প্রদান করতে হবে।
- আর উক্ত স্থানে আপনি যে দিন তারিখ গুলো দিবেন। সেগুলো অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এর সাথে মিল রেখে দেওয়ার চেস্টা করবেন।
আর আপনি যখন “ID Documents” থেকে আপনার পাসপোর্ট এর সকল তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে পুনরায় “Personal Information” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর উক্ত অপশন এর মধ্যে আপনাকে নিজের পিতা ও মাতার যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনি আপনার পিতার নাম দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। তো উক্ত অপশনে আপনি আপনার পিতার নামটি বসিয়ে দিবেন।
- তারপর আপনি আপনার পিতার পেশা নির্বাচন করে দিবেন।
- আর আপনি চাইলে আপনার পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বরটি প্রদান করতে পারবেন। অথবা যদি আপনি না দিতে চান, তাহলেও কোন সমস্যা হবেনা।
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। সেটি হলো, যদি আপনার পিতা বা মাতা মৃত হয়। তাহলে আপনি এই অপশন গুলোতে পিতার পেশা হিসেবে “Other” সিলেক্ট করে দিবেন। মনে রাখবেন, আপনি ভুলেও আপনার মৃত পিতা ও মাতার নামের পূর্বে “Later” শব্দটির ব্যবহার করবেন না।
এবার আপনি “Spouse Information” নামের যে অপশন টি দেখতে পারবেন। সেই অপশনে যদি আপনি অবিবাহিত হয়ে থাকেন।
তাহলে আপনাকে সিঙ্গেল এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। কিন্তুু যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার স্বামী/স্ত্রী এর নাম প্রদান করতে হবে।
তবে এখানে আপনি স্বামী বা স্ত্রী এর জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। আর উক্ত অপশনে আপনি চাইলে জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর দিতে পারবেন। আর যদি আপনি না দিতে চান, তাহলেও কোন সমস্যা হবেনা।
এখন আপনাকে আপনার “Emergency Contact” প্রদান করতে হবে। তো উক্ত অপশন এর মধ্যে আপনার যে ইমেইল এড্রেস টি আছে সেটি প্রদান করবেন।
এর পাশাপাশি আপনি আপনার একটি সচল ফোন নাম্বার প্রদান করবেন। যাতে করে পরবর্তী সময়ে যেন সেই ফোন নম্বরে কল দিলে আপনার সাথে যোগযোগ করা যায়।
তো এবার আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর অপশন গুলো সিলেক্ট করে দিতে হবে। যেমন, আপনার পাসপোর্ট টি আসলে কত পৃষ্ঠার, তা আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
এরপর আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কতদিনের তা আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।আর যখন আপনি উক্ত অপশন গুলো সিলেক্ট করে দিবেন। তারপর আপনার পাসপোর্ট করার জন্য কত টাকা দিতে হবে।
তার একটি সঠিক হিসেব আপনি নিচের অপশন এর মধ্যে দেখতে পারবেন। সেই সাথে আপনি আসলে কিভাবে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে চান। তা আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
এখন উপরের কাজ গুলো করার পরে আপনি “Confirm and proceed to payment” নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন।
আর যখন আপনি এই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর কিন্তুু আপনি আপনার দেওয়া তথ্য গুলো আর এডিট করতে পারবেন না।
তাই এই বাটনে ক্লিক করার আগে পুনরায় আপনার দেওয়া তথ্য গুলো আরেক বার ভালো করে চেক করে নিবেন। তারপর আপনি পেমেন্ট করার অপশন দেখতে পারবেন।
তো এখানে আপনি মূলত দুইটি উপায়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
একটি হলো, অনলাইন পদ্ধতি এবং অপরটি হলো, অফলাইন পদ্ধতি। আর আপনি আসলে যে মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান। তা আপনি এখান থেকে সিলেক্ট করে দিবেন।
ধাপঃ৩- ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন
আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর যখন আপনি সফল ভাবে সব তথ্য দিয়ে আবেদন করবেন। এরপর আপনাকে ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে দিতে হবে।
আর আপনি যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করুন না কেন। আপনার ফি পরিশোধ করার ডকুমেন্টস গুলো নিজের কাছে সংগ্রহ করে রেখে দিবেন।
কেননা, ফি প্রদান করার রশিদ গুলো পরবর্তী সময়ে দেখানোর প্রয়োজন হবে।
ধাপঃ৪- ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আর আপনি যখন সফলভাবে ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এবং সঠিক ভাবে আপনার ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করবেন। তারপর আপনাকে ই পাসপোর্ট এর অনলাইন কপি সহো।
যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে, সেগুলো নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। কেননা, সেখানে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের আইরিশ এর যাবতীয় তথ্য গুলো নেওয়া হবে।
আর যখন আপনি এই যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তারপর আপনি নির্ধারিত সময়ে আপনার ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
ধাপঃ৫- ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন
তো যখন আপনি যাবতীয় কাগজ পত্র গুলো আপনার পাসপোর্ট অফিস এর মধ্যে প্রদান করবেন। তারপর সেখান থেকে আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে।
আর সেই স্লিপ এর মধ্যে একটি ডেট দেওয়া থাকবে। যেই ডেট এর মধ্যে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
আপনি আরোও পড়তে পারেন…
- ই পাসপোর্ট আবেদনে নামে ডট ব্যবহার করা যাবে কিনা (সঠিক সমাধান)
- পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা পূরণ করার নিয়ম
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
আমাদের শেষকথা
আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষের নিকট এমআরপি পাসপোর্ট আছে। তারা কিভাবে তাদের এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্ট করতে পারবে।
সেগুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, উপরের পদ্ধতি গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে এরপরও যদি আপনার কোন ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সু্স্থ থাকুন।