ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য কি কি লাগে অথবা ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জনাতে পারবেন।
আপনি আমাদের বাংলাদেশ এর দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। এখন আমাদের বাংলাদেশ এর প্রত্যেক টি জেলা তে ই পাসপোর্ট সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
আর আপনি যদি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। মূলত ই পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো কি কি, ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড পিডিএফ এবং পাসপোর্ট কতদিন পর পাওয়া যাবে।
আপনি আরোও জনাতে পারবেন…
- ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়?
- ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম (E passport check online)
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ওমানের ভিসা চেক করার নিয়ম
সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলার জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে e-passport আবেদন করতে কি লাগে।
আর আপনি যদি ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য যা জানার প্রয়োজন সে গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিজের লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য কি কি জানতে হবে?
যেহেতু আপনি ই পাসপোর্ট করবেন, সেহেতু অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট অফিস এরে দেওয়া সকল নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
এবং আপনি যদি সেই নির্দেশনাবলী গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে না পারেন। তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনাকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।
কারণ ছোট খাটো ভুল থেকেই অনেক বড় ভুলের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তাই আপনি যখন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন।
তখন অবশ্যই পাসপোর্ট অফিস থেকে দেওয়া নির্দেশনা বলি গুলো ফলো করবেন। আর এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রদান করা নির্দেশনা গুলি গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।
সেই সাথে জানতে পারবেন ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলা কি কি ।
ই পাসপোর্ট আবেদন নির্দেশনাবলি ২০২৩
দেখুন, আজকে আপনি যে সকল ই পাসপোর্ট আবেদনের নির্দেশনা বলি দেখতে পারবেন। সে গুলো বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস এর মূল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে কোন কারনে যদি এই নির্দেশনা এর মধ্যে পরিবর্তন আসে। তাহলে আপনি সেই পরিবর্তিত নির্দেশ গুলো ই পাসপোর্ট এর ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন।
০১- যে ব্যক্তি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবে। সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র এর সাথে, তার জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য গুলো মিল থাকতে হবে ।
এর পাশাপাশি আপনি যখন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের থাকা তথ্য গুলো ই পাসপোর্ট আবেদন এর সময় প্রদান করবেন।
০২- যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে যে সকল কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস দিতে হবে।
সে গুলোর সত্যায়িত করার প্রয়োজন হবে না। সেইসাথে আপনি যখন ই পাসপোর্ট করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে ফর্ম পূরণ করবেন।
তখন আপনার কোন ধরনের পাসপোর্ট কিংবা স্টাম্প সাইজের ছবি দরকার হবে না।
০৩ – একজন ব্যক্তি চাইলে সরাসরি অনলাইন থেকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে কোনো কারণে যদি অনলাইনে আবেদন করতে ব্যর্থ হয়।
তাহলে ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে। তারপর উক্ত ফর্মে যাবতীয় তথ্য গুলো দিয়ে, সেটি জমা দিতে হবে।
০৪ – ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনকারীদের বয়সের উপর ভিত্তি করে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে।
আর কোন বয়সের মানুষের জন্য কোন ধরনের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। তা আপনি নিচের তালিকা থেকে দেখতে পারবেন।
- যদি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর এর কম হয়। তাহলে তার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর প্রয়োজন হবে।
- কিন্তু যদি ই পাসপোর্ট আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর থেকে ২০ বছর এর মধ্যে হয়। তাহলে অবশ্যই সেই ব্যক্তি কে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন প্রদান করতে হবে।
- তবে আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স যদি ২০ বছর এর বেশি হয়। তাহলে সেই ব্যক্তি কে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে।
- আপনি যদি পড়াশোনা করেন অর্থাৎ ছাত্র অথবা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন সেই প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড লাগবে।
- আপনার পেশা যদি স্টুডেন্ট দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশংসা পত্র অর্থাৎ সনদপত্র একটি কপি পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজের সাথে জমা দিতে হবে।
- অনেক সময় পাসপোর্ট অফিস আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে কাবিননামার কপি যুক্ত করতে বলে।
তো বয়স অনুসারে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করার সময়। কোন ধরনের মানুষের কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।
তার তালিকা উপরে দেখতে পাচ্ছেন। এবং ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হলে। আপনি আপনার বয়স ভেদে অবশ্যই এই ডকুমেন্ট গুলো সাথে রাখবেন।
০৫ – যে সকল আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর এর কম। যাদের এখনও জাতীয় পরিচয় পত্র হয়নি। তারা তাদের পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে পারবে। কেননা ই পাসপোর্ট এর জন্য সেই সকল আবেদনকারীর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর টির প্রয়োজন হবে।
০৬ – কিন্তু যে সকল আবেদনকারী ব্যক্তিরা দত্তক কিংবা অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন। তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত আদেশ দাখিল করার প্রয়োজন হবে।
০৭ – যারা ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তাদের অবশ্যই বর্তমান ঠিকানায় থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পাসপোর্ট এর অফিসে আবেদন দাখিল করতে হবে।
অথবা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর মধ্যে আবেদন দাখিল করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি বিদেশে থাকেন, তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ মিশনে আবেদন প্রদান করতে হবে।
০৮ – আপনি যদি বিদেশে থাকেন এবং বিদেশ থেকেই ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার আবেদন পত্রের মধ্যে থাকা স্থায়ী ঠিকানার বাংলাদেশ এর স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
০৯- যে সকল ই পাসপোর্ট আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর এর নিচে। এবং যে সকল ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর এর উপরে। সেই সকল ব্যক্তিদের পাসপোর্ট এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
এবং তারা যে সকল পাসপোর্ট করতে পারবে, সেই পাসপোর্ট গুলো মূলত ৪৮ পৃষ্ঠার হবে।
১০ – যদি কোন সরকারি চাকরিজীবী ব্যক্তি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে। তাহলে সেই চাকরিজীবী ব্যক্তির ই পাসপোর্ট এর মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।
১১ – কোন ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার অথবা ড্রাইভার কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পেশার সাথে যুক্ত আছেন এমন ব্যক্তিরা যখন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন।
তখন তাদের প্রাসঙ্গিক কাজের সনদ জমা দিতে হবে। অথবা অনলাইনে আবেদন করার সময় সেই সনদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না?
- ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম (ways for Pay E passport fee)
- ই পাসপোর্ট ফি কত | পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
১২ – কাজের প্রয়োজনে একজন ই পাসপোর্ট এর আবেদনকারী ব্যক্তির বিবাহ সনদ, বিবাহ বিচ্ছেদ কিংবা তালাক নামা সনদ প্রদান করতে হবে। তবে এই ধরনের ডকুমেন্টস গুলো সকল আবেদনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
১৩ – যখন একজন ব্যক্তি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবে। তখন অবশ্যই পাসপোর্ট অফিস থেকে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
এবং যারা বিদেশে থেকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তাদের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক যে পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রদান করতে হবে।
১৪ – আপনি যদি কূটনৈতিক পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের যে প্রধান কার্যালয়ে রয়েছে। সেই কার্যালয় এর মধ্যে আবেদন করতে হবে।
১৫ – যদি কোন আবেদনকারী ব্যক্তি অতি জরুরী ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে। তাহলে সেই ব্যক্তি কে নিজ দায়িত্বে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করতে হবে।
এবং সেই সনদ সংযুক্ত করে আবেদন পত্রে জমা দিতে হবে। আর আপনি যদি আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সহ আবেদন জমা দেন। তাহলে আপনার ই পাসপোর্ট টি মাত্র দুই দিন এর মধ্যে পেয়ে যাবেন।
১৬ – আপনি অনলাইন অথবা অফলাইন যে কোন মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময়। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের টেকনিকেল সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
যদি কোন আবেদনকারী ব্যক্তি এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো প্রদর্শন করতে না পারে। তাহলে তার ই পাসপোর্ট কার্যক্রম সম্পূর্ণ হবে না।
১৭ – যখন একজন ব্যক্তি তার পাসপোর্ট রিনিউ করবে কিংবা পাসপোর্ট ইস্যু করবে। তখন অবশ্যই সেই ব্যক্তির পুরাতন পাসপোর্ট টি প্রদর্শন করতে হবে।
আর যখন সে ব্যক্তি পুরাতন পাসপোর্ট প্রদান করবে। তখন সেই ব্যক্তির পাসপোর্ট রিনিউ বা রি ইস্যু করা হবে।
FAQ – E passport Apply online
Q: পাসপোর্ট আবেদন ফরম ২০২৪ কিভাবে ডাউনলোড করবো?
A: আমরা অনেকেই ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে চাই। তো আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে সরাসরি ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন। এবং উক্ত ফর্ম এর মধ্যে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো দিয়ে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Q: ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা?
A: বিভিন্ন মেয়াদ এবং পৃষ্ঠার উপর বিবেচনা করে ই পাসপোর্ট ফি সর্বনিম্ন ৪,০২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৩,৮০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ই পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
Q: ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে 2024
A:যখন আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনার নিকট বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর সে গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্কুল বা কলেজ আইডি কার্ড এবং কাজের সনদ।
মূলত এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলোর সাহায্য আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Q: ই পাসপোর্ট করার নিয়ম 2024
A: আপনি মোট দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। একটি হলো, অনলাইন থেকে এবং আরেক টি হলো, সরাসরি পাসপোর্ট অফিস এর মধ্যে আবেদন করে। তো আপনি যদি অনলাইন থেকেই পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে আপনাকে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
আর যখন আপনি উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তখন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট নিয়ে আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, বিভিন্ন সময় আমাদের ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজন হয়। আর যখন আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয় জানতে হবে।
আর ই পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে কোন কোন বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। সে গুলো আজকের আর্টিকেলে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনি আরোও দেখতে পারবেন…
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
- পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়
- ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম
তো আপনি যদি নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। সেই সাথে আপনি যদি পাসপোর্ট বা ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় আপডেট তথ্য গুলো সবার আগে পেতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।