নিস সম্পর্কে জানতে চান? যাক, অবশেষে আপনার মতো বুদ্ধিমান একজনকে পেলাম। যে কিনা ব্লগ সাইট বানানোর আগে niche সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। সত্যি বলতে নিস এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যা সম্পর্কে আপনি যদি প্রোপার স্ট্যাডি না করেন। তাহলে আপনার ব্লগিং সেক্টর থেকে ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।
কিন্তুু সমস্যা হলো, যে মানুষ গুলো নতুন ব্লগিং সেক্টরে পদার্পন করে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়টিকে স্কিপ করে যায়।
কিন্তুু ব্লগিং হোক কিংবা ইউটিউবিং, সবার আগে কিন্তুু নিস সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা নেওয়া উচিত। কিন্তুু এই ধারনা ক’জনই বা নিতে চায় বলুন? আমরা তো শুরু থেকেই “ইনকাম”- এর দিকে ফোকাস রেখে দৌড়াতে থাকি।
কিন্তুু সবাই কি এই দৌড় প্রতিযোগীতায় সফল হতে পারে? -না, শুধুমাএ সেই ব্যক্তিরাই সফল হয়। যারা শুরু থেকেই সব ধরনের গাইডলাইন জেনে কাজ করে।
যেহুতু আপনিও নিস সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহুতু ধরে নিবো যে, আপনিও নতুন হিসেবে ব্লগিং সেক্টরে পা রেখেছেন। তাই আপনাকেই উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি। ভাই, আজকের আর্টিকেলটি কিন্তুু আপনার ভীষন গুরুত্বপূর্ণ।
কারন আজকের আর্টিকেলে আমি নিস রিলেটেড যাবতীয় বিষয়গুলো কে স্টেপ বাই স্টেপ বলব। যা একজন নতুন ব্লগারের অবশ্যই জানা উচিত।
তাই ৮-১০ টি আর্টিকেল নয়, বরং আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি ১০ মিনিট সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো যে, নিস রিলেটেড অনেক তথ্য সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
ব্লগিং নিয়ে আরোও দেখুন…
- ওয়েব হোস্টিং কি? Web Hosting কত প্রকার এবং কি কি (Web Hosting in Bangla) A-Z
- ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলার নিয়ম? ব্লগসাইট বানানোর সহজ উপায়
- কিভাবে ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত Domain Name সিলেক্ট করতে হয়?
নিস মানে কি (What is Niche In Bangla)
তো সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, নিস কাকে বলে ? এবং কেন আপনার নিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত? সত্যি বলতে নিস এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনি যদি প্রোপার স্ট্যাডি না করেন।
তাহলে আপনার ব্লগিং সেক্টর থেকে ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে। এখন নিস’ কে যদি আমি সংঙ্গায়িত করি। তাহলে সংঙ্গাটি হবে এমন যে, ” যখন আপনি বিশাল কোনো প্লাটফর্ম থেকে নির্দিষ্ট কোনো সেক্টরকে বেছে নিবেন।
বেছে নেওয়া সেই সেক্টরকেই বলা হয় নিস”। এটা শুধুমাএ একটা সংঙ্গা। তবে বিষয়টিকে যদি উদাহরন দিয়ে আলোচনা করি। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।
মনে করুন, আপনি ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে একটা ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছেন। কিন্তুু ফ্রীল্যান্সিং হলো বিশাল একটি প্লাটফর্ম। এখন আপনি যদি এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে ব্লগিং করতে চান। তাহলে আপনাকে অনেক বেশি প্রতিযোগীতা করতে হবে।
কারন, আপনার আগেই এই বিষয় নিয়ে অনেক গুলো ব্লগ তৈরি করা হয়েছে। এবং সেই ব্লগ গুলো অলরেডি সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে অথোরিটি তৈরি করে ফেলেছে।
এখন আপনি যদি তাদের সাথে প্রতিযোগীতা করতে যান। তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমানে শ্রম ও সময় ব্যয় করতে হবে। এবং এরপরেও যে আপনি সফলতা পাবেন কিনা। তারও কোনো নিশ্চয়তা পাবেন না।
কিন্তুু আপনি যদি সম্পূর্ন ফ্রীল্যান্সিংকে টার্গেট না করে স্পেসিফিক একটি টপিক নিয়ে ব্লগিং করেন। তাহলে কিন্তুু আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে বেড়ে যাবে।
যেমন, ফ্রীল্যান্সিং যদি একটি প্লাটফর্ম হয়। তাহলে সেই প্লাটফর্মের অনেক গুলো সেক্টর আছে। যেমন, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এপ ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি।
তো এই যে স্পেসিফিক একটি বিষয়কে যখন আপনি ব্লগিং করার বেছে নিবেন। মূলত তাকেই বলা হয়, নিস। যেমন আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ব্লগিং করেন। তাহলে আপনার নিস হলো, গ্রাফিক্স ডিজাইন।
কেন নিস বাছাই করবেন ?
আমি শুরুর দিকে বলেছিলাম যে, আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে Niche Related যাবতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আশা করা যায়, উপরের আলোচনা থেকে “নিস কি”- সে সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। তাই এবার আপনি জানবেন, ” কেন আপনার নিস বাছাই করা উচিত” ?
তো এই নিস বাছাইকরণ এর অনেক গুলো কারন রয়েছে। আমার দৃষ্টিকোন থেকে আপনাকে মোট ৩ টি কারনে নিস বাছাই করা উচিত। যথাঃ
- For Competition
- For Audience
- For Income
মূলত এই তিনটি কারনে আপনাকে নিস বাছাই করা উচিত। চলুন এবার এই তিনটি কারন সম্পর্কে ছোট্ট করে আলোচনা করা যাক।
Filtering Niche For Competition
মনে করুন, আপনি একটা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। যেমন, ফেসবুক, টুইটার এর মতো। অর্থ্যাৎ, আপনি Social media niche নিয়ে কাজ করতে চান।
এখন কিছু বিষয় চিন্তা করে দেখুন। আপনি যখন ফেসবুকের মতো একটি সোশ্যাল কমিউনিটি তৈরি করবেন। তখন মানুষ কি আপনার সেই কমিউনিটিতে যোগদান করবে?
কারন, আপনার আগেই ফেসবুক কিন্তুু সবার কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। এখন মানুষ কিসের জন্য ফেসবুক ছেড়ে আপনার তৈরি করা প্লাটফর্মে আসবে?
তবে আমি এটা বলছি না যে, ফেসবুকের চেয়ে ভালো সোশ্যাল প্লাটফর্ম তৈরি করা অসম্ভব। কিন্তুু যদি আপনি এই নিশে কাজ করেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে স্বয়ং ফেসবুকের সাথে প্রতিযোগীতা করতে হবে।
যার অর্থ হলো, এই নিসটি খুবই প্রতিযোগীতামূলক। এবং আপনার বা আমার মতো আমজনতার জন্য এই নিশে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
অপরদিকে আপনি যদি ফেসবুক সম্পর্কে একটি ব্লগ তৈরি করেন। এবং সেই ব্লগে ফেসবুক সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করেন। যেমন, কিভাবে একটি ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করা যায়, কিভাবে একটি গ্রুপ তৈরি করতে হয়,
কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। তাহলে কিন্তুু আপনাকে আর ফেসবুকের সাথে প্রতিযোগীতা করতে হবে না।
তো কোন টপিকে কাজ করলে প্রতিযোগীতা কম আবার কোন টপিকে কাজ করলে প্রতিযোগীতা বেশি। এইসব বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্যই আপনাকে নিশ বাছাই করতে হবে।
Filtering Niche For Audience
একটা প্রশ্নের উওর দিন তো, টিভিতে যেসব হিন্দি সিরিয়াল দেখানো হয়। সেই সিরিয়াল গুলোকে কে দেখে?
থাক, আপনাকে বলতে হবেনা, বরং আমিই বলছি। টিভিতে দেখানো হিন্দি সিরিয়াল গুলো বেশিরভাগ মেয়ে/মহিলারা দেখে, তাইনা? আর সত্যি বলতে, এইসব সিরিয়াল গুলো শুধুমাএ মেয়ে/মহিলাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
তো এইসব হিন্দি সিরিয়াল দেখানো চ্যানেল গুলোর টার্গেট কিন্তুু মহিলারা। ঠিক একইভাবে এবার আপনি ব্লগিংয়ের দিক থেকে চিন্তা করে দেখুন।
আপনি একটা ব্লগ বা না তৈরি করবেন। তার আগে আপনি কোন অডিয়্যান্সকে টার্গেট করছেন। আর এই অডিয়্যান্সের উপরেই নির্ভর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট আসলে কোন ধরনের ভিজিটর আসবে।
যেমন, আপনি যদি টেকনোলজি নিয়ে ব্লগ তৈরি করেন। তাহলে আপনার ব্লগে শুধুমাএ সেইসব ভিজিটররা আসবে। যারা মূলত টেক যাতীয় বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট। আবার আপনি যদি হেলথ নিয়ে ব্লগিং করেন।
তাহলে কিন্তুু সব ধরনের মানুষ আসবে। কারন স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য সব মানুষের ই প্রয়োজন হয়। তাই যেহুতু নিস বাছাইকরণ এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্সকে পাওয়া যাবে। সেহুতু একটি ব্লগ তৈরি করার আগে আপনাকে অবশ্যই নিস বাছাইকরণ করতে হবে।
Filtering Niche For Income
আপনি জানলে অবাক হবেন, কারন আপনি মূলত ব্লগিং থেকে কি পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। তা কিন্তুু এই নিস বাছাইয়ের মাধ্যমে কিছু হলেও অনুমান করতে পারবেন।
কি বিশ্বাস হচ্ছেনা? তাহলে একটু মনোযোগ দিন….
মনে করুন, আপনি টেকনোলোজি নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করলেন। এখন সেই ব্লগ থেকে আপনি ভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, Adsense, Other Ad network, Affiliates, Sponser.
অর্থ্যাৎ, টেকনোলজি নিসে ব্লগিং করলে আপনার ইনকাম করার অনেক গুলো পথ খোলা থাকবে। আপনি যদি চান যে, শুধুমাএ এডসেন্স ব্যবহার করে ইনকাম করবেন। তাহলে আপনি খুব ইজিলি ইনকাম করতে পারবেন।
আবার যদি আপনি চান যে, এডসেন্সের পাশাপাশি এফিলিয়েট করেও ইনকাম করবেন। সেটাতেও আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
কিন্তুু অপরদিকে আপনি যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (Job Circular) নিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি খুব কম উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। হয়তবা এডসেন্স, খুব বেশি হলে এফিলিয়েট করতে পারবেন।
কিন্তুু টেকনোলজি নিসে যেমন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পন্সার পাওয়া যায়। জব সার্কুলার ওয়েবসাইটে কিন্তুু তেমন স্পন্সার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন কম থাকবে।
কারন, যারা নিয়োগ প্রকাশ করে। তাদের সেই নিয়োগের জন্য কিন্তুু কোনো প্রকার প্রচারের (বিজ্ঞাপন) দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মানুষ সেগুলোকে নিজে থেকেই খুজে নেয়।
তাই ইনকামের তারতম্য পরিলক্ষিত করার জন্যও কিন্তুু আপনাকে নিস বাছাইকরণ এর প্রয়োজন পড়বে।
কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করবেন?
এবার মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি এতোক্ষনে জানলেন, নিস কি এবং কেন আপনাকে নিস বাছাই করতে হবে। এবার আপনি জানবেন, যখন আপনি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।
তখন কিভাবে সেই ব্লগের জন্য নিস বাছাই করবেন।
তো নিস বাছাই করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আপনাকে প্রত্যেকটি উপায় গুলো অনুসরন করতে হবে। নাহলে, আপনি যদি ভুল Niche নিয়ে কাজ শুরু করেন ৷ তাহলে কিন্তুু আপনাকে এই সেক্টরে কিছুদুর যাওয়ার পরে ছিটকে পড়তে হবে।
তাই চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, “আপনি কোন উপায়ে নিস বাছাই করবেন”?
#01- Find Amazon
যদি আপনার মূল ফোকাস হয়, এমাজন এফিলিয়েট। তাহলে আপনাকে সরাসরি Amazon এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
এরপর আপনাকে এমাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যথেষ্ট রিসার্চ করতে হবে। যেমন, এমাজনে তো অনেক ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে। তাই সবার আগে আপনাকে ক্যাটাগরি থেকে বিভিন্ন প্রডাক্ট সম্পর্কে জানতে হবে।
এরপর আপনার যে প্রোডাক্টটি ভালো লাগবে। সেই প্রডাক্ট সম্পর্কে পূর্নাঙ্গভাবে রিসার্চ করতে হবে। যেমন ধরে নিলাম আপনি Electronics এর প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট করতে চান। এখন আপনাকে সেই ইলেকট্রনিকস এর পন্যগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট রিসার্চ করতে হবে।
সেই পন্যের বাজারমূল্য কেমন, পন্যের দাম অনুযায়ী কাস্টমাররা কিনতে আগ্রহী হবে কিনা। এইসব পন্য কোন দেশের মানুষরা বেশি ব্যবহার করে।
এছাড়াও এই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে যারা এফিলিয়েট করছে, তারা কতটুকু সফলতা পেয়েছে ইত্যাদি বিষয় গুলোকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে রিসার্চ করতে হবে।
তো রিসার্চ করার পরে যদি আপনার কোনো প্রোডাক্টকে এফিলিয়েট করার জন্য উপযোগী বলে মনে হয়।তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
#02- Yahoo Answer
এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান খোজার জন্য এসে থাকে। আপনি সরাসরি Yahoo Answer এ যাবেন। তারপর একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। এরপরে আপনি যেটি সম্পর্কে জানতে চান।
সেটি লিখ পাবলিশ করবেন। এরপর কেউ না কেউ এসে আপনার সমস্যার সমাধান সম্পর্কে অবগত করবে। কিন্তুু আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, “এখানে আপনি কিভাবে নিস খুজে পাবেন?”
দেখুন আপনি যদি এখান থেকে নিস খুজে নিতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করতে হবে। এবং অন্যান্য মানুষেরা কি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করছে আপনাকে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এই প্লাটফর্মে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বেশি প্রশ্ন করা হয়। তারা সেই প্রশ্ন গুলো কিন্তুু একবার হলেও গুগলে সার্চ করবে। এখন আপনি যদি সেই প্রশ্ন গুলোর উওর গুলো লিখে আপনার ব্লগে পাবলিশ করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি প্রচুর পরিমানে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
#03- QnA Website
দেখুন, আপনি আসলে কোন নিসে কাজ করবেন। সেটি খুজে বের করার সহজ মাধ্যম হলো, বিভিন্ন QnA ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া। আর আপনাকেও এই সুযোগটির সৎ ব্যবহার করতে হবে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ” QnA ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে নিস খুজে পাবো? “
সেজন্য আপনাকে কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত আপনাকে বিভিন্ন Question & Answer ওয়েবসাইট গুলোতে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। এর পাশাপাশি মানুষ কোন টপিকে বেশি প্রশ্ন করছে, সেই টপিক গুলোকে নোট করে রাখতে হবে।
যখন আপনার মনে হবে যে, আপনি পর্যাপ্ত পরিমানে নোট করেছেন। তখন আপনাকে খুজে নিতে হবে এমন কোন টপিক আছে। যেই টপিকে মানুষ সবচেয়ে বেশি জানতে চায়।
তো আপনাকে এমন একটি টপিক খুজে নিতে হবে। তারপর সেই টপিকে ব্লগিং করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত অডিয়্যান্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
আরোও পড়ে নিন…
কোন নিস নিয়ে শুরু করবেন ?
যখন আপনি নির্দিষ্ট একটি নিস নিয়ে কাজ শুরু করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। মনে রাখবেন, হুটহাট করে যেকোনো নিস নিয়ে কাজ শুরু করা নিছক বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
আমরা বেশিরভাগ সময় সেইসব Niche নিয়ে কাজ করি। যে নিস গুলো খুব জনপ্রিয় এবং অনেকেই সেই নিস নিয়ে কাজ করে। কিন্তুু এমনটা করা কখনই উচিত নয়।
তাই ব্লগিং শুরুর আগে নিস বাছাইকরণে আপনাকে ২ টি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। যথাঃ
- As a passion
- Low competition
হুমমম, নিস বাছাইকরণের সময় আপনাকে অবশ্যই এই দুইটি বিষয়ে যথেষ্ট নজর রাখতে হবে। তাই চলুন এবার এই দুইটি বিষয় সম্পর্কে ক্লিয়ার একটা ধারনা নেয়া যাক।
Select Niche As A Passion
দেখুন আপনাকে এমন একটি নিস বাছাই করতে হবে। যে Niche এর প্রতি আপনার নিজের আগ্রহ আছে। আপনার যে বিষয়ের প্রতি আগ্রহ নেই, ভুলেও সেই নিস নিয়ে কাজ শুরু করবেন না।
মনে করুন, আপনার এসইও সম্পর্কে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। এখন আপনি যদি এসইও নিস নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাহলে দেখা যাবে শুরুর দিকে ভালোভাবেই কাজ করতে করবেন। কিন্তুু কোনো একটা সময়ে আপনার আগ্রহ চলে যাবে।
এভাবে চলতে চলতে একটা সময় দেখা যাবে, আপনাকে আর এই নিস নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছে করবে না। এবং ঠিক এই সময়ে আপনি এই সেক্টর থেকে ছিটকে পড়বেন। যার ফলে আপনার সময় ও শ্রম দুটোই জলে ভেসে যাবে।
Select Low Competition Niche
দেখুন আপনি নতুন হোন কিংবা পুরাতন। আপনাকে কম্পিটিশন এর দিকে যথেষ্ট নজর রাখতে হবে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
যদি আপনি হাই কম্পিটিশন নিস নিয়ে কাজ করেন। তাহলে আপনাকে দুই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
- কম্পিটিশন বেশি থাকার কারনে আপনার সাইটকে Rank করানোটা খুব কষ্টকর হয়ে পড়বে।
- সাইটকে Rank করানোর জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। যার ফলে আপনি অনেক দেরীতে ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া যেসব নিস এ কম্পিটিশন বেশি। সেই Niche যারা কাজ করে। তারা বেশিরভাগই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর একজন নতুন মানুষ হিসেবে আপনি তাদের টেকনিক এর কাছে পেরে উঠতে পারবেন না।
আমাদের শেষকথা
দেখুন, আমি আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা কথা বারবার বলছি, “নিস”- খুবই সেনসিটিভ একটি বিষয়। আপনি যদি Niche কে তেমন গুরুত্ব না দেন। তাহলে আপনি নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
যা আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারকে হতাশ করে ফেলবে। তাই আপনি যদি আর্টিকেলটির কোনো অংশ স্কিপ করে থাকেন। তাহলে পুনরায় পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
আর যদি নিস রিলেটেড কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি যথাসাধ্য চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার। কারন আপনার প্রয়োজন সমাধান,আর আমার প্রয়োজন আপনাদের ভালোবাসা।