বর্তমান সময়ে আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইন থেকে ফরম পূরন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি অনলাইন থেকে সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন এর ফরম পূরন করার পর। সেটি কোনো প্রিন্টার এর দোকান থেকে প্রিন্ট করে সেই আবেদন কপিটি আয়কর রিটার্ন অফিস এর মধ্যে দাখিল করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে যে সকল কাজ করতে হবে, কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে। আজকে আমি আপনাকে সেগুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
সঞ্চয়পত্রের আয়কর রিটার্নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা যারা সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। তাদের রিটার্ন দাখিল করার সময় বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর আপনার আসলে কোন কোন কাগজ পত্র এর দরকার হবে। এবার আমি আপনাকে সেই কাগজ পত্র গুলোর একটি তালিকা প্র্রদান করবো। আপনি আপনার সঞ্চয় পত্র আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় অবশ্যই এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো আপনার সাথে রাখবেন। যেমন,
- আপনার নিকট যে সঞ্চয় পত্র ক্রয় এর অর্থ উৎস রয়েছে। আপনাকে সেই অর্থের উৎসের প্রমাণ পত্র দেখাতে হবে। (তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়)।
- আপনার আয়বর্ষ এর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
- আপনার কাছে থাকা সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও উৎস এর আয়কর কর্তন করার পর যে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হয়। আপনাকে সেই প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করতে হবে।
তো যখন আপনি আপনার সঞ্চয়পত্র এর আয়কর রিটার্ণ করবেন। তখন আপনার নিকট যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এর দরকার হবে। সেই কাগজপত্র গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হলো। যে গুলো সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় প্রদান করতে হবে।
সঞ্চয়পত্রের আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ
যখন আপনি আপনার সঞ্চয়পত্র এর আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। তখন আপনাকে একটি ফরম পূরন করতে হবে। আর সেই ফরম টি আপনি অনলাইন থেকে ই রিটার্ন এর ওয়েবসাইট থেকেও সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর আপনি যদি অনলাইন থেকে এই ফরম টি সংগ্রহ করতে চান। তাহলে প্রথমে আপনাকে E Return এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এবং তারপর আপনার যে আইডি এবং একটি পাসওয়ার্ড রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে সফল ভাবে লগ ইন করতে হবে।
আর আপনি যখন আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করবেন। তারপর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। এবং সেই পেজ এর মধ্যে থাকা Return Submission নামক যে অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনাকে পুনরায় Heads of income অপশন এর মধ্যে থাকা আরো একটি Interest on securities নামক অপশন এর মধ্যে টিক মার্ক দিতে হবে।
তো এরপর আপনি Income Details নামের আরো একটি অপশন দেখতে পারবেন। মূলত .এই অপশন এর মধ্যে আপনাকে আপনার কর কর্তনের পরিমান, মোট সুদ এর পরিমান, ইস্যু করার সঠিক তারিখ সহো রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও মূল্য উল্লেখ করে ফরম পূরন করতে হবে।
তবে আপনি যখন অনলাইন থেকে এই সঞ্চয়পত্র এর আবেদন পূরন করবেন। তখন আপনার নিকট অবশ্যই যে টিন সার্টিফিকেট রয়েছে, সেই টিন সার্টিফিকেট টি থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি যেন উক্ত কাজ টি সঠিক ভাবে করতে পারেন। সে কারণে এবার আমি আপনাকে পিকচার এর মাধ্যমে সকল ধাপ গুলো স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিবো। যেন আপনি খুব সহজেই সঞ্চয়পত্রের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
ধাপ ১: ই রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করুন
আপনি যদি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান কিংবা সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন ফরম পূরন করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ই রিটার্ন ওয়েবসাইট এর মধ্যে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তো যদি আপনার পূর্বেই উক্ত ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করা থাকে। তাহলে আপনাকে আর নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবেনা। তবে যদি আপনার কোনো ধরনের একাউন্ট না থাকে।
তো যদি আপনার রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে। তাহলে আপনাকে এই লিংক এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে। যেমন,
Loading Image, Please wait………
- আপনি যদি উপরের লিংক এর মধ্যে ক্লিক করেন। তাহলে আপনি বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড এর মূল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
- এবার আপনি সবার ডানপাশে লক্ষ্য করলে “Registration” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
- তো যখন আপনি উপরে দেখানো অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তখন আপনার সামনে ছোট্ট একটি ফরম আসবে। এবং উক্ত ফরম এর মধ্যে আপনাকে আপনার তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে।
- এখানে প্রথমেই আপনি আপনার “Tin Number” দেওয়ার একটি ফাঁকা বক্স দেখতে পারবেন। তো এখানে আপনাকে আপনার টিন নম্বর টি বসিয়ে দিতে হবে।
- তার ঠিক নিচের অপশনে আপনি আপনার “Mobile Number” দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রদান করবেন।
- সবার নিচে আপনি একটি ক্যাপচা কোড দেখতে পারবেন। এখানে যে কোড টি থাকবে, সেই কোড টি আপনাকে নির্ভুল ভাবে পূরন করতে হবে।
আপনি যদি উপরের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে ফলো করেন। তারপর আপনাকে সবার নিচে থাকা “Verify” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। আর যখন আপনি ভেরিফাই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।
তারপর আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে ০৬ সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড নাম্বার যাবে। আপনাকে সেই কোড টি সঠিক ভাবে বসিয়ে দিয়ে তারপর পাসওয়ার্ড সেট করে দিতে হবে। এবং সবশেষে আপনাকে নিচে থাকা “Submit” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ২: Assessment ও Income সম্পর্কিত তথ্য দিন
যখন আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি ফলো করে নতুন একাউন্ট তৈরি করবেন। এবং আপনি সেই নতুন তৈরি করা একাউন্ট এর মাধ্যমে লগ ইন করবেন। তারপর আপনাকে আপনার Assessment ও Income সম্পর্কিত তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে, উক্ত অপশনে Assessment Year হিসেবে কত বছর উল্লেখ করতে হবে।
তো যারা আসলে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারেন না। তাদের বলে রাখি যে, আপনি আসলে যে অর্থ বছর এর রিটার্ন দাখিল করবেন। আপনাকে Assessment Year হিসেবে সেই সাল টি উল্লেখ করে দিতে হবে। আর আপনি যেন উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে আরো পরিস্কার ধারনা নিতে হবে। সে কারণে এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার চেস্টা করবো। যেমন,
Assessment Information
সবার প্রথমে আপনি একটি বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। যেখানে ষ্পষ্টভাবে লেখা থাকবে যে, Any taxable income in the above-mentioned income year. তো এখানে আসলে আপনার নিকট জানতে চাওয়া হবে যে, আপনার করযোগ্য আয় আছে কিনা। এখন আপনি যেহুতু আপনার সঞ্চয়পত্র এর আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। সেহুতু অবশ্যই আপনার করযোগ্য আয় থাকবে। তাই এই অপশন এর মধ্যে আপনাকে “Yes” অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
Heads of Income
এবার আপনাকে আপনার আয় এর উৎস সিলেক্ট করে দিতে হবে। এখন আপনি যদি কোনো ব্যাবসা করেন, তাহলে আপনাকে এখানে সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে। এর পাশাপাশি যদি আপনি অন্যান্য কোনো পেশার সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে সেই পেশার সঠিক তথ্যটি এখানে নির্ভুল ভাবে প্রদান করে দিতে হবে। তবে আপনি আসলে যে পেশার সাথে যুক্ত আছেন, সেই পেশাটি এখানে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
কিন্তুু এখানে থাকা তালিকা তে যদি আপনার পেশা বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো অপশন দেখতে না পান। তাহলে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই বরং এখন আপনাকে “Income from other sources” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর যখন আপনি উপরের সকল কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন। তারপর আপনাকে “Save and Continue” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। এবং উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করার পর আপনার দেওয়া তথ্য গুলো জমা হয়ে যাবে।
ধাপ ৩: অন্যান্য তথ্য দিন
উপরের তথ্য গুলো প্রদান করার পাশাপাশি আপনাকে আরো কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। এবং যদি এই তথ্য গুলোর সাথে আপনার সংশ্লিষ্টতা থাকে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই তথ্য গুলো দিতে হবে। তো এখানে অন্যান্য তথ্য হিসেবে যেগুলো প্রদান করতে হয়। সেই তথ্য গুলোর তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- আপনার কোনো কোম্পানির সাথে শেয়ার আছে কিনা।
- আপনার মোট সম্পদ এর পরিমান ৪০ লাখ টাকা বা তারও বেশি টাকা কিনা।
- আপনার যদি মোটর কার থাকে, তাহলে সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে।
- নির্দিষ্ট কোনো কারনে আপনার কর ছাড় থাকলে সেটি জানিয়ে দিতে হবে।
- আপনি যে পেশা বা কাজের সাথে যুক্ত, সেই লোকেশন উল্লেখ করে দিতে হবে।
মূলত উক্ত অপশনে অন্যান্য তথ্য হিসেবে আপনাকে যে সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। সেই তথ্য গুলো উপরে উল্লেখ করা হলো। কিন্তুু এখানে একটা বিষয় রয়েছে, সেটি হলো আপনার আয় বা সম্পদ এর পরিমান যদি ৪০ লাখ টাকার বেশি হয়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্যয় এর বিবরনী প্রদান করতে হবে।
ধাপ ৪: সঞ্চয়পত্রের আয়ের তথ্য দিন
আপনি যখন উপরের ধাপে আপনার আয় এর তথ্য প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে সেই আয় এর উৎস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন, আপনি যদি কোনো ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে এই অপশনে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। অথবা আপনি যদি অন্যান্য কোনো পেশা বা চাকরির সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনাকে সেই পেশা সম্পর্কে যে সকল বিষয় রয়েছে। সেই বিষয় গুলো এই অপশন এর মধ্যে সঠিক ভাবে প্রদান করে দিতে হবে।
ধাপ ৫: ব্যয়ের তথ্য দিন
উপরের ধাপ গুলোতে আপনি আপনার আয় এর উৎস প্রদান করলেও। এবার আপনাকে আপনার মোট আয় থেকে যে সকল কাজে ব্যয় হয়। এবার আপনাকে সেই ব্যয় এর বিবরনী গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। যেমন ধরুন, আপনার মোট সম্পদের পরিমান যদি ৪০ লাখ টাকা বা তারও বেশি টাকা হয়। তাহলে আপনার আসলে কোন কোন খাতে ব্যয় হয়। সেই ব্যয় এর সঠিক তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। যদিওবা এই বিষয় টি বাধ্যতামূলক নয়, তবে আপনি আপনার ব্যয় এর তথ্য গুলো প্রদান করলে আপনার সুবিধা হবে।
Loading Image, Please wait………
কেননা, আপনি হয়তবা বেশ ভালো করেই জানেন যে, অনেক সময় আয়কর অফিসে ব্যয় এর হিসেব চায়। তো তখন যদি আপনি এই তথ্য গুলো আগে থেকেই প্রদান করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যয় এর হিসেব গুলো আয়কর অফিস এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখাতে পারবেন।
ধাপ ৬: সম্পদ ও দায় বিবরণী পূরণ করুন
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবেন। যারা আসলে একবারেই নতুন করদাতা হিসেবে কর প্রদান করবেন। তো এই ধাপে যখন আপনি আপনার সম্পদ ও দায় বিবরণী প্রদান করবেন। তখন লক্ষ্য রাখবেন যেন আপনার দেওয়া তথ্য গুলো তে কোনো ধরনের ভুল না হয়। কেননা, এখানে আপনাকে আরো বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- আপনার স্বণলংকার এর পরিমান।
- ফার্নিচার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পরিমান।
- নগদ অর্থের পরিমান ও ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমান।
- সকল ধরনের ডিপিএস এর তথ্য।
- সঞ্চয়পত্র এর মোট টাকার পরিমান।
তো এই ধাপে আপনাকে আপনার সম্পদ ও দায় বিবরণী তে যে সকল তথ্য দিতে হবে। সেই তথ্য গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই তথ্য গুলো দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখবেন, যেন কোনো প্রকারের ভুল না হয়।
নতুন করদাতা যেভাবে সম্পদ ও দায় বিবরনী প্রস্তুত করবেন
আপনারা যারা নতুন ব্যক্তি হিসেবে কর প্রদান করবেন। তারা তাদের সম্পদ ও দায় বিবরনী কিভাবে সাজাবেন। তার একটি নমুনা নিচে প্রদান করা হলো। আপনি চাইলে নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার সম্পদ ও দায় বিবরনী প্রস্তুত করতে পারবেন। যেমন,
নতুন করদাতা সম্পদ ও দায় বিবরনী প্রস্তুতকরন |
|
নীট সম্পদের পরিমাণ (মোট সম্পদ – দায় ও ঋণ) | XXX (মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
(+) আয়বর্ষে আপনার মোট ব্যয় (জীবনযাপন, লোকসান, দান ও অন্যান্য সকল) | XXX(মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
(-) আয়বর্ষে আপনার মোট আয় (করযোগ্য ও কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত সকল আয়) | XXX(মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
(=) গত আয়বর্ষের শেষে সঞ্চিত অর্থ (অন্যান্য প্রাপ্তিতে দেখাবেন) | XXX(মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
পুরাতন করদাতা যেভাবে সম্পদ ও দায় বিবরনী প্রস্তুত করবেন
যেহুতু আপনি এর আগেও আপনার রিটার্ন দাখিল করেছেন। সেহুতু এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার অবশ্যই পূর্ব ধারনা থাকবে। তারপরও আমি আপনাদের একটি সম্পদ ও দায় বিবরনী প্রস্তুত করার একটি নমুনা প্রদান করলাম। যাতে করে আপনার বুঝতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। আর সেই নমুনা টি নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,
পুরাতন করদাতা সম্পদ ও দায় বিবরনী প্রস্তুতকরন |
|
গত আয়বর্ষের নীট সম্পদ (যা পূর্বের রিটার্নে নিট সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছিল) | XXX (মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
(+) আয়বর্ষে আপনার মোট আয় (করযোগ্য ও কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত সকল আয়) | XXX(মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
(-) নীট সম্পদের পরিমাণ (মোট সম্পদ – দায় ও ঋণ) | XXX(মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
(=) আপনার মোট ব্যয় (জীবনযাপন, লোকসান, দান ও অন্যান্য সকল) | XXX(মোট পরিমাপ উল্লেখ করুন) |
সম্পদ ও দায় বিবরণী সামারি
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে বুঝতে পারেনা যে, কিভাবে সম্পদ ও দায় বিবরনী এর মিল রাখতে হয়। তো যারা আসলে উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে বুঝতে পারেন না। তাদের জন্য আমি একটি সম্পদ ও দায় বিবরণী এর সামারি প্রদান করলাম। যা আপনি নিচের তালিকা তে দেখতে পারছেন।
মোট সম্পদ | পরিমান |
(-) দায় ও ঋণ | XXX |
নীট সম্পদ (Net Wealth) | XXX |
(-) গত বছরের নীট সম্পদ (Net Wealth of Previous Year | XXX |
সম্পদ বৃদ্ধি/ হ্রাস (Change in Wealth) | XXX |
(+) ব্যয়, লোকসান ও দান (মোট ব্যয়) (Total Expense and Loss) | XXX |
মোট অর্থের বহিঃর্গমন (Total Outflow) | XXX |
(-) মোট আয় (Source of Fund) | XXX |
০ | |
*মনে রাখবেন, এখানে যে পার্থক্য থাকবে। সেটি অবশ্যই শূণ্য (০) হতে হবে। |
আর যখন আপনি উপরের তথ্য গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করবেন। এবং সকল তথ্য গুলো নির্ভুল ভাবে প্রদান করবেন। তারপর আপনি “Save & Continue” নামক একটি বাটন দেখতে পারবেন। এবার আপনাকে সেই বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ৫: Tax & Payment তথ্য
এই ধাপে আপনাকে আপনার মোট আয় এর ভিত্তি করে কি পরিমান কর প্রদান করতে হবে। সেই কর এর পরিমান দেখানো হবে। এবং আপনাকে আসলে কত টাকা কর প্রদান করতে হবে। সেই কর এর পরিমান “Total Amount Payable” নামক অপশন এর মধ্যে দেখতে পারবেন।
Loading Image, Please wait………
তো এবার আপনি উপরে দেখানো পিকচার এর মতো কিছু অপশন দেখতে পারবেন। আর সবার প্রথমে আপনি ”Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for (XXXX-XXXX) Assessment Year?” অপশন এর মধ্যে ”Yes“ এর মধ্যে টিক মার্ক দিয়ে দিন।
তার ঠিক নিচের দিকে “Do you need to update your tax payment status?” এই অপশন এর মধ্যে “No” তে ক্লিক করুন। মূলত এখানে আপনি আপনার অগ্রিম কর প্রদান এর স্ট্যাটাস আপডেট করতে চান কিনা, সেটি জিজ্ঞেস করা হবে।
ধাপ ৫: সঞ্চয়পত্রের আয়কর রিটার্ন ফরম প্রিন্ট করুন
তো দেখতে দেখতে আপনি সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন এর সর্বশেষ ধাপে চলে এসেছেন। তো এখন আপনাকে যে পেজে নিয়ে আসা হবে। সেই পেজটি আপনাকে pdf ফাইল হিসেবে সেভ করে রাখতে হবে। তো যখন আপনি এই পেজটি পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করবেন। তখন আপনাকে হলুদ কালারে থাকা “Proceed to offline (paper) return” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনি আপনার সঞ্চয়পত্র এর আয়কর রিটার্ন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। এবং পরবর্তী সময়ে সেটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন সম্পর্কে আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাকে সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পদ্ধতি গুলো দেখিয়ে দিয়েছি। তো আজকের দেখানো পদ্ধতি ফলো করে শুধুমাত্র তারাই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
তবে আজকের দেখানো পদ্ধতি গুলো বুঝতে যদি আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি যথাসাধ্য চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। ধন্যবাদ এতক্ষন থেকে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।