আমরা সকলেই জানি যে, আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে ঠিকানা উল্লেখ করা থাকে।
আর যদি কোনো কারণে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই ভুল ঠিকানা সংশোধন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা এই ধরনের ভুল ঠিকানা সংশোধন করার জন্য আপনাকে কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হবে, তা এখানে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া অনেকেই থাকার জায়গা পরিবর্তন করার পর সেই নতুন জায়গাতে থাকার কারণে অনলাইনে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের নিয়ম খুঁজে থাকেন।
এবার আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দেবো ভোটার এলাকা স্থানান্তরের নিয়ম এবং ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়েও আপনি জনাতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আরোও দেখুন…
- হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড- সর্বশেষ আপডেট
- ভোটার আইডি কার্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
- কিভাবে আয়কর কম দেয়া যায় সেগুলো জানুন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে কি?
যখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভোটার নিবন্ধন করবেন, তারপর যদি কোনো কারণে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে থাকা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান, তবে আপনি মোট দুটি পদ্ধতিতে ভুল ঠিকানা সংশোধন করতে পারবেন।
এগুলো হলো:
- আপনি অনলাইনে ঠিকানা সংশোধন করতে পারবেন।
- অথবা আপনি সরাসরি আবেদন মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
তবে এখানে একটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো, আপনি যদি অনলাইনে আপনার এনআইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে চান, তবে আপনি শুধুমাত্র আপনার বাড়ির নম্বর এবং পোস্ট অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
কেননা, অনলাইনে আপনি আপনার জেলা কিংবা থানা সংশোধন করতে পারবেন না।
তবে যদি আপনার একান্তভাবে ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে থাকা থানা কিংবা জেলা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনাকে সরাসরি নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনাকে লিখিত আবেদন করতে হবে।
যখন আপনি সরাসরি এই কাজগুলো করবেন, তখন আপনি ভোটার আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ ঠিকানা সংশোধন/পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
কেন ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করবেন?
সত্যি বলতে, একজন ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে আপনার আসলে কী কারণে এই সংশোধন করার দরকার হবে, সেটা আমার থেকে আপনি ভালো বলতে পারবেন।
তবে এবার আমি কিছু সাধারণ কারণ বলবো, যেগুলোর জন্য মানুষ ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে চায়, যেমন:
- বিভিন্ন সময় আমাদের বাসা পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে।
- আবার অনেক মানুষ আছেন, যাদের বিয়ের পর ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়।
- এছাড়া চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ট্রান্সফারের কারণেও ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়।
এগুলোর পাশাপাশি আরো অনেক কারণ রয়েছে, যার জন্য আমাদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়।
আর আপনারও যদি এই ঠিকানা সংশোধন করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি নিচের আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার স্থানান্তর করার নিয়ম
দেখুন, আমরা যতটা সহজভাবে আমাদের ভোটার নিবন্ধন করি, ঠিক ততটাই কঠিনভাবে আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের ভুলগুলো সংশোধন করতে হয়।
আর যদি কোনো কারণে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে ঠিকানা ভুল হয়ে থাকে, কিংবা আপনি যদি নিজের প্রয়োজনে আপনার ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান, তবে আপনাকে অনেক নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।
তবে এই সকল নিয়মের মধ্যে অন্যতম হলো, আপনার কাছে কিছু ডকুমেন্ট থাকতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।
তাহলে সবার আগে জেনে নিতে হবে যে, ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।
এছাড়া NID স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম লাগবে কিনা, তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
ভোটার আইডি কার্ড ঠিকানা পরিবর্তন করতে কী কী লাগে?
আমি উপরের আলোচনায় আপনাকে একটি কথা বলেছি, সেটি হলো, যখন আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে থাকা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করবেন, তখন আপনার কাছে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। আর সেই ডকুমেন্টগুলো হলো:
- প্রথমত, আপনার পুরানো এনআইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
- বর্তমান সময়ে আপনি যে এলাকায় অবস্থান করছেন, সেই এলাকার নাগরিকত্বের সনদ প্রদান করতে হবে।
- আপনার বর্তমানে অবস্থান করা স্থানের বিদ্যুৎ বিল / পানি বিল / ট্যাক্স রশিদ / জমির খতিয়ান অথবা আপনাকে উক্ত এলাকার বাড়ি ভাড়ার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
- সেই সঙ্গে, আপনি যে এলাকাতে বসবাস করছেন তা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে এলাকার স্থানীয় মেম্বার বা কাউন্সিলরের এনআইডি নম্বরের প্রয়োজন হবে।
- সেই সাথে, উক্ত জনপ্রতিনিধির নাম, সিগনেচার এবং সিলের সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে।
- স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।
তবে, উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো ছাড়াও আপনার আরও কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের দরকার হতে পারে। মূলত সেটা নির্ভর করবে আপনার উপজেলা কিংবা থানা নির্বাচন অফিসের চাহিদার উপর।
আর যখন আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করবেন, তখন কিন্তু আপনি নতুন কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন না।
তবে, আপনি যদি ঠিকানা পরিবর্তনের পর পুনরায় নতুন এনআইডি কার্ড নিতে চান, তাহলে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৩০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এরপর, আপনার এনআইডি কার্ড রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনি আরও বিস্তারিত জানতে পারেন এখান থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কী কী লাগে?
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার এলাকা স্থানান্তর ফরম
যদি আপনি আমার এই লেখাটি শুরু থেকে পড়ে থাকেন, তাহলে দেখবেন যে, উপরে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছিলাম।
আর সেটি হলো, যখন আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইবেন, তখন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে।
এই ফরমকে বলা হয় ভোটার মাইগ্রেশন ফরম-১৩ অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম-১৩। অনেকেই এটিকে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার ফরম হিসেবেও চেনে।
তাহলে এই ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম-১৩ দেখতে কেমন এবং এর মধ্যে কী কী তথ্য প্রদান করতে হবে? এবার আমি আপনাকে একটি নমুনা ফরম দেখাবো, যেন আপনি আগে থেকেই এই ফরম সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।
উপরে আপনি একটি নমুনা ফরম দেখতে পাচ্ছেন। যখন আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইবেন, তখন আপনাকে ঠিক এই ধরনের একটি ফরম পূরণ করতে হবে।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
অনেক সময় আমরা অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাই। তবে যদি আপনি এই কাজটি অনলাইন থেকে করতে চান, তাহলে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
অনলাইনে আপনি শুধুমাত্র আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা বাসা নম্বর এবং পোস্ট অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে থানা বা জেলা পরিবর্তন করার জন্য সরাসরি নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।
এটি করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আমি নিচে অনলাইনে ভোটার স্থানান্তরের নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিয়েছি।
ধাপ ০১: এনআইডি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন – NID Wing Account Registration
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ঠিকানা সংশোধন করতে চান, তাহলে প্রথমে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইট থেকেই আপনি ভোটার স্থানান্তর অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
যদি আপনি এর আগে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করে থাকেন, তাহলে প্রথমবার লগইন করার আগে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
তবে, যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করা থাকে, তাহলে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই।
যারা নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান, তাদের জন্য প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। আপনার নাম, জন্ম তারিখ, ভোটার আইডি নম্বর, ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে খুব সহজেই নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
ধাপ ০২: জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন
যদি আপনার অ্যাকাউন্ট আগে থেকেই রেজিষ্ট্রেশন থাকে, তাহলে ভোটার আইডি নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
লগইন করার পর আপনাকে আপনার “প্রোফাইল” পৃষ্ঠায় যেতে হবে। প্রোফাইলের ভেতরে আপনি একটি “ঠিকানা” নামক অপশন দেখতে পাবেন।
এই ঠিকানা অপশনে ক্লিক করলে আপনি ঠিকানা সংশোধন বা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম ও ধাপগুলো দেখতে পারবেন।
ধাপ ০৩: আপনার ঠিকানা এডিট করুন
উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করার পর আপনি আপনার ভোটার নিবন্ধনের সকল ঠিকানার তালিকা দেখতে পারবেন।
এবার, তালিকার উপরের অংশে থাকা “এডিট” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনি ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম এবং এডিট করার অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে আপনি শুধুমাত্র বাসা নম্বর এবং পোস্ট অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনার ঠিকানার বিস্তারিত তথ্যের উপরে “এডিট” বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্যগুলো সম্পাদনা করতে পারবেন।
ধাপ ০৪: জাতীয় পরিচয়পত্র ফি প্রদান করুন
আপনি উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে ঠিকানা পরিবর্তনের তথ্য এডিট করার পর, সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নিন।
যদি আপনার প্রদান করা তথ্য সঠিক থাকে, তাহলে “Next” বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে ঠিকানা সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য বর্তমানে ২৩০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আপনি এই ফি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। যেমন:
- বিকাশ
- রকেট
- অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক পদ্ধতি
বিকাশের মাধ্যমে ফি প্রদান করার পদ্ধতি:
আপনি Bkash App-এ লগইন করে Bill Pay অপশনে যান এবং সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফি পরিশোধ করুন। একইভাবে রকেট বা অন্য ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করেও ফি জমা দেওয়া সম্ভব।
এটি একটি সহজ এবং দ্রুত প্রক্রিয়া। আপনি এখান থেকে দেখে নিতে পারেন ভোটার আইডি কার্ড এর সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
ধাপ ৪: আপনার ডকুমেন্ট বা প্রমাণপত্র আপলোড করুন এবং আবেদন জমা দিন
এটি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ। এই ধাপে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে আপলোড করতে হবে।
আপনার কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন, তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (services.nidw.gov.bd) উল্লেখ থাকে। তবে যেহেতু এটি একটি অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া, তাই আপনাকে অবশ্যই নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করে ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে:
- পুরোনো ভোটার আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি।
- নাগরিক সনদপত্র।
- ঠিকানার প্রমাণপত্র, যেমন—বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, জমির খতিয়ান, বা বাড়ি ভাড়ার রশিদ।
- স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সনদপত্র।
আপলোড করার সময়:
- ডকুমেন্টগুলো PDF ফরম্যাটে রাখুন।
- ফাইলের আকার সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে উল্লেখিত সীমার মধ্যে রাখুন।
- ডকুমেন্টগুলো স্পষ্টভাবে স্ক্যান করুন।
ডকুমেন্ট আপলোড করার পর, আপনার সব তথ্য যাচাই করে দেখে নিন। এরপর “Submit” বাটনে ক্লিক করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। আবেদন জমা দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
আপনার প্রক্রিয়া শেষ হলে, আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার এলাকা স্থানান্তর ফরম
যখন আপনি ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত এবং এটি “ভোটার এলাকা স্থানান্তর ফরম” বা “ফরম-১৩” নামে পরিচিত।
আপনার সুবিধার জন্য, ফরমটির একটি নমুনা আপনি ডাউনলোড করতে পারেন।
ভোটার এলাকা স্থানান্তর ফরম PDF Download
উপরের নমুনা ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এটি পূরণ করুন।
ফরম পূরণ করার পর, সেটি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিন অথবা অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এটি আপলোড করুন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে?
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের সময়কাল সাধারণত সরকারি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এবং আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।
এই সময়সীমা নির্বাচন কমিশনের নীতি এবং কাজের পরিমাণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণ সময়কাল:
সাধারণত, ভোটার এলাকা পরিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস সময় লাগে।
নির্ভরশীল বিষয়:
আবেদনকারীর সমস্ত ডকুমেন্ট ঠিকঠাক এবং সঠিকভাবে জমা দেওয়া হলে এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে। যদি কোনো ডকুমেন্ট বা তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়, তবে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে।
আবেদন অনলাইনে করলে এবং স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে সরাসরি না গিয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে, এটি কিছুটা দ্রুত হতে পারে।
আমাদের শেষকথা
যারা ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান বা ভোটার এলাকা স্থানান্তর করার নিয়ম জানতে চান, তাদের জন্য আজকের আলোচনায় প্রয়োজনীয় সব তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন করবেন, তা ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের বিশ্বাস, এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে। আরো এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং বিনামূল্যে তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।