জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যাংক হিসাব খোলা, ভোটদান, চাকরির আবেদন, মোবাইল সিম কার্ড ক্রয়, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে NID প্রয়োজন হয়।
তথ্য ভুল থাকলে, NID সংশোধন করা প্রয়োজন হয়। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা NID সংশোধন আবেদন বাতিল করতে চাইতে পারেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে একটি লিখিত আবেদন প্রদান করতে হবে।
এই আর্টিকেলে, আমি NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোচনা করবো। এবং তার সাথে এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিলের দরখাস্তের নমুনা দেখতে পারবেন।
আপনি আরোও দেখুন…
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?
- অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম
- হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড- সর্বশেষ আপডেট
কতদিনের মধ্যে এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করতে হবে?
আপনার যদি মনে হয় ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, তাহলে দ্রুত আবেদন বাতিল করা উচিত। কারণ, আবেদন গ্রহণের পর সংশোধন করা সম্ভব নাও হতে পারে।
কতদিনের মধ্যে আবেদন বাতিল করতে হবে? আবেদন বাতিল করার সুযোগ আবেদন জমা দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে থাকে। তবে, যত দ্রুত সম্ভব আবেদন বাতিল করা উচিত।
NID সংশোধন আবেদন বাতিল করতে কত টাকা লাগে?
ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করে ফেলেছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই! আপনি সহজেই আপনার আবেদন বাতিল করতে পারবেন এবং এর জন্য কোন টাকাও লাগবে না।
NID (এনআইডি) সংশোধন আবেদন বাতিল করতে কোন টাকা লাগে না। অনলাইনে বা অফলাইনে যেভাবেই আবেদন বাতিল করুন না কেন, আপনাকে কোন ফি প্রদান করতে হবে না।
তবে, মনে রাখবেন, আবেদন বাতিল করার পর আপনার NID কার্ড বাতিল হবে না। আপনার যদি NID কার্ড বাতিল করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আলাদা আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
NID সংশোধন আবেদন বাতিল হতে কত দিন লাগে?
NID সংশোধন আবেদন বাতিল হতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কীভাবে আবেদন করেছেন তার উপর। সাধারণত ৭-১৫ দিনের মধ্যে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে আবেদন বাতিল হতে ১৫ দিনের বেশি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ, আবেদন যাচাই-বাছাই করার জন্য কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কিছু সময় লাগবে।
তবে, যত দ্রুত সম্ভব আবেদন বাতিল করার জন্য আপনার উচিত সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যোগাযোগ করা।
NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
ভুল তথ্যের জন্য NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার প্রয়োজন হতে পারে। বাতিল করার প্রক্রিয়া সহজ, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করা প্রয়োজন।
তবে NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনার আবেদন বাতিলের আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আপনি যদি NID সংশোধন আবেদন বাতিল করতে চান তাহলে আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে লিখিত আকারে আবেদন জমা দিতে হবে।
আর সেই আবেদন পত্রে আপনার সঠিক নাম, আপনার জন্ম তারিখ, আপনার এনআইডি নাম্বার এর তথ্য দিয়ে আপনি কি কারনে আবেদন বাতিল করতে চাচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে।
আর আবেদন করার সময় আপনি যদি সুন্দর করে হাতে লিখতে না পারেন। তাহলে কম্পিউটারে টাইপ করে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। আর জমা দেওয়ার সময় আপনি স্বশরীরে থেকে দিতে হবে। অন্য কেউ আপনার হয়ে জনা দেয় তাহলে গ্রহন হবে না।
তাহলে চলুন আবেদন করার নমুনা বা আবেদন করার ডেমো দেখা নেওয়া যাক।
এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিলের দরখাস্তের নমুনা
তারিখ : ০২/০৪/২০২৪
বরাবর,
উপজেলা নির্বাচন অফিসার,
গাজীপুর, ঢাকা – ২১২০
বিষয়: NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে আমি নিলয় হাসান , পিতা: আব্দুল হাসান, গ্রাম/মহল্লা: XXXXX, ডাকঘর: XXXXX, জেলা: XXXXX, বিগত ০৭/০৬/২০২৪ তারিখে অনলাইনে আমার এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য একটি আবেদন করেছিলাম। আমার NID নম্বর XXXX , জন্মতারিখ: ১১/০২/২০০৪ ইং। আর আমার আবেদনটি এখনো অনুমোদিত হয়নি।
আর এই সমস্যার কারণে আমার এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য যে আবেদন করেছিলাম তা সমাধান হয়েছে, তাই আমি সংশোধনের আবেদনটি বাতিল করতে ইচ্ছুক।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আমারে বিনীত অনুরোধ এই যে আমার NID সংশোধন আবেদনটি বাতিল করে আমাকে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক –
নাম: নিলয় হাসান
NID: XXXXXXX
মোবাইল: XXXXXXXX
উপরের নমুনার মত করে আবেদন পত্র কম্পিউটারে টাইপ করে XXXX এর জায়গাতে আপনার তথ্য লিখে দিবে। তার পর প্রিন্ট করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে NID সংশোধন আবেদন বাতিল করতে হয়। তার সাথে আপনি আবেদন করার নমুনা কপিও দেখেছেন।
আশা করি এখন আপনি NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম নিয়ে আর কিছু জানার বাকি নাই। তার পরোও যদি আরোও কিছু জানার থাকে নিচে কমেন্ট করুন।