আমরা যখন নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করি। তখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে, আমাদের যে নাম রয়েছে। পাসপোর্ট এর মধ্যে সেই নাম দেওয়ার সময় (.) ডট ব্যাবহার করা যাবে কিনা। তো আজকে আমি এই বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আর এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন, পাসপোর্ট এর মধ্যে নামে ডট ব্যবহার করলে কি কি অসুবিধা হয়।
এবং সেই সাথে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, যদি কোন কারনে আপনার নামে (.) ব্যবহার করার পর সমস্যা হয়। তাহলে কিভাবে আপনি সেই সমস্যার সমাধান করবেন।
তো আর দেরি না করে, চলুন সরাসির মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক।
পাসপোর্টে নামের মধ্যে ডট (.) এর ব্যবহার
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি। তারা তাদের ব্যবহার করা জন্ম নিবন্ধন এর মধ্যে যে নাম দেই। সেই নামের শুরুতে বা নামের মাঝখানে ডট ব্যবহার করি।
কেননা, অনেক সময় আমাদের নাম অনেক বড় হওয়ার কারণে, এই (.) ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তুু যখন আমরা পাসপোর্ট এর মধ্যে এই ডট এর ব্যবহার করতে যাই।
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার নিয়ম
- লাল, নীল ও সবুজ পাসপোর্ট কাদের জন্য
- পাসপোর্ট রিনিউ করার পর পুরাতন পাসপোর্ট কি করবেন?
তখনি আমাদের মাথায় প্রশ্ন জাগে যে, পাসপোর্ট এর মধ্যে নামে ডট ব্যবহার করা যাবে কিনা। তবে সবাই যে নামের সংক্ষিপ্ত রুপ দেওয়ার জন্য ডট ব্যবহার করে বিষয়টা এমন নয়। বরং আপনি এমন অনেক মানুষকে খুজে পাবেন।
যাদের জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড এর মধ্যে নামে ডট রয়েছে। তো যদি আপনারও এমনটা হয়, তাহলে আপনি কি করবেন?
আপনার করার মতো অনেক কিছু আছে। আর আপনার কি কি করা উচিত, আর কিভাবে কাজ করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সেগুলো নিয়ে এখন ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। তাই অবশ্যই আপনি আজকের আলোচিত বিষয় গুলো মনযোগ দিয়ে পড়ার চেস্টা করবেন। তাহলে উক্ত সমস্যাটি সম্পর্কে আপনি সকল তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
পাসপোর্টে নামে ডট ব্যবহার করার অসুবিধা
তো যদি আপনার নামের মধ্যে ডট থাকে। তাহলে নতুন পাসপোর্ট করতে গিয়ে আপনার কি কি অসুবিধা হতে পারে। সবার আগে আপনাকে সে সম্পর্কে জানতে হবে।
আর সে কারণে সবার শুরুতেই আমি আপনাকে নামের মধ্যে ডট থাকার অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। আর সেই অসুবিধা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
দেখুন সাধারন ভাবে একটি মানুষের নামের মোট ৩ টি অংশ থাকে। যেমন, নামের প্রথম অংশ, নামের মধ্যম অংশ এবং নামের শেষের অংশ।
যা আপনি পাসপোর্ট এর মধ্যে, First Name, Middle Name, Last Name এর মধ্যে উক্ত বিষয়টি দেখতে পারবেন। যেমন ধরুন, আমার নাম হলো, শ্রী নিরন্জন রায়।
তো এখানে, ”শ্রী” হলো আমার নামের প্রথম অংশ। যা পাসপোর্ট এর দিক থেকে আমার নামের First Name. এবং “নিরন্জন” হলো আমার নামের মধ্যেম অংশ।
এবং “রায়” হলো আমার নামের শেষের অংশ। আর এভাবে একটি মানুষের নামের ৩ টি করে অংশ থাকে। আর পাসপোর্ট করার সময় আপনাকে অবশ্যই এই তিনটি অংশ সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে।
কিন্তুু এখানে আমরা যে নামের মধ্যম অংশ দেখতে পাচ্ছি, তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। অর্থ্যাৎ, আপনি আপনার পুরো নামটি First Name এবং Last Name এর মধ্যে দিতে পারবেন।
তবে এগুলো তে আসলে কোন ধরনের সমস্যা নেই। কেননা, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যাদের নামের মধ্যে একাধিক (.) রয়েছে। যেমন, A.H.M Niloy Hasan.
তো উপরের এই নামটির দিকে একটু খেয়াল করুন, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন? – এখানে নামের সংক্ষিপ্ত রুপ দেওয়ার জন্য মোট ২ টি ডট ব্যবহার করা হয়েছে।
কারন, উক্ত ব্যাক্তির পুরো নাম হলো, Abdul Hasib Muhammad Niloy Hasan.
এখন আপনি একটা বিষয় ভেবে দেখুন, প্রথম পাসপোর্ট এর মধ্যে নামের সংক্ষিপ্ত রুপ দেওয়ার মতো কোন সুযোগ নেই। এর পাশাপাশি উক্ত নামে একের অধিকবার ডট ব্যবহার করা হয়েছে।
আর যখনি আপনি এমন নামে পাসপোর্ট করবেন। তখনি কিন্তুু ঝামেলার শুরু হবে। কেননা, আপনি যখন এমন নামে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
কেননা, পাসপোর্ট এর নিয়ম অনুযায়ী একটি নামের প্রথম অংশ এবং শেষের অংশ সংক্ষিপ্ত করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে নামের যে মধ্যম অংশ রয়েছে।
সেটিতে আপনি চাইলে একটি সাধারন লেটার ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তুু নামের প্রথম অংশ ও শেষের অংশে অবশ্যই আপনার পুরো নামটি থাকতে হবে।
এমআরপি তে নামে ডট নেই কিন্তু এনআইডিতে ডট আছে
এটি হলো, পাসপোর্ট আর এনআইডি নিয়ে আরো নতুন একটি সমস্যা। কারন, আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ অনেক আগে পাসপোর্ট করেছিলো।
তাদের এমআরপি পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছিলো। তো সেই সময় এমআরপি পাসপোর্ট এর বিশেষ একটা নিয়ম ছিলো। সেটি হলো, উক্ত সময় যদি কোন মানুষ তার নামের মধ্যে ডট ব্যবহার করতো।
তাহলে পাসপোর্ট অফিস অটোমেটিক ভাবে সেই ডট গুলোকে বাদ দিত। কেননা, তাদের নিয়ম হলো, এমআরপি পাসপোর্ট এর মধ্যে নামে কোন ধরনের ডট ব্যবহার করা যাবেনা।
আর একটা বিষয় তো আমরা বেশ ভালো করেই জানি। সেটি হলো, যখন আমাদের দেশের মধ্যে নতুন ভোটার নিবন্ধন করা হয়।
তখন তার যাবতীয় তথ্য গুলো উক্ত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে সংগ্রহ করা হয়। আর যদি জন্ম নিবন্ধন এর মধ্যে আপনার নামে ডট থাকে।
তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যেও অটোমেটিক ভাবে ডট চলে আসবে।
কিন্তুু যদি আপনার নামের মধ্যে ডট থাকে। তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারন, যখন আপনি নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন।
তখন আপনি এই ডট ছাড়াই আপনার পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। কারন, সেই সময় শুধু আপনাকে আপনার নামের মধ্যে থাকা ডট বাদ দিতে হবে।
ই পাসপোর্ট আবেদনে নামে ডট ব্যবহার করা যাবে কিনা
দেখুন, যাদের নামের মধ্যে ডট রয়েছে। তারা সর্বদা একটা কথা মাথায় রাখবেন। আর সেটি হলো, আপনি পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট যাই করুন না কেন।
আপনি কোনভাবেই আপনার নামের মধ্যে ডট ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই যখন আপনি অনলাইন থেকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টির দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।কেননা, যখন আপনার পাসপোর্ট এর আবেদন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। তখন অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যে যে নাম, বয়স দেওয়া আছে।
সে গুলো অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে সকল তথ্য গুলো কাউন্ট করা হবে। আর সে জন্য আবার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যে থাকা তথ্য গুলোই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় প্রদান করতে হবে।
তবে আপনার নাম যদি হয়, MD. Alom Hasan তাহলে আপনি কি করবেন? এখন আপনার কি কি সমস্যা হবে?
দেখুন, আগের দিন গুলো তে যখন আমরা এমআরপি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতাম। এবং যখন আমরা উক্ত পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতাম।
তখন পাসপোর্ট অফিস থেকে এমআরপি পাসপোর্ট করার সময় অটোমেটিক ভাবে সেই নামের ডট গুলোকে বাদ দিতো।
কিন্তু সময় অনেক বদলে গেছে। তাই এখন যদি আপনি ই পাসপোর্ট করতে চান। এবং আপনি যদি আবেদন করার সময় আপনার নামের মধ্যে ডট দেন।
তখনি যতো ঝামেলার শুরু হবে। কেননা, বর্তমান সময়ে ই পাসপোর্ট করার সময় যদি আপনি আপনার নামে ডট ব্যবহার করেন।
তাহলে পাসপোর্ট অফিস আপনার সেই আবেদন কে গ্রহনযোগ্যতা দিবেনা। এটা হলো, অন্যতম একটি সমস্যা।
নামে ডট (.) দিয়ে পাসপোর্ট আবেদন করা হলে সংশোধন করার নিয়ম
তো অনেক সময় আমাদের একটা কমন সমস্যা হয়। সেটি হলো, আমার ভুলবশত যখন নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করি।
তখন নামের মধ্যে থাকা ডট গুলো দিয়ে ফেলি। আর যখন আমরা এমন ভুল করি, তখন পাসপোর্ট অফিস থেকে আমাদের আবেদন গুলো আর নিতে চায়না।
আর তখনি আমরা বেশ চিন্তায় পড়ে যাই, কারন সেই সময়ে আমরা কি করবো বুঝতে পারিনা।
তবে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। কারন, আমি বারংবার একটি কথা বলি। সেটি হলো, যতোদিন সমস্যা থাকবে, ততদিন সেই সমস্যার সমাধানও থাকবে।
আর যখন আপনি দেখবেন যে, আপনার নামের মধ্যে ডট ব্যবহার করার ফলে পাসপোর্ট অফিস সেই আবেদন জমা নিচ্ছে না।
আপনার জন্য আরোও আছে…
- ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনার যা জানা প্রয়োজন
- ই পাসপোর্ট আবেদনের পূর্ব প্রস্তুতি?
- e passport কতদিন পর পাওয়া যায়??
তখন আপনাকে সেই আবেদন টি বাতিল করতে হবে। এবং পরবর্তীতে আপনাকে পুনরায় নতুন করে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে আপনি একবার পাসপোর্ট এর আবেদন করার পর, যতক্ষন না সেই আবেদন বাতিল করবেন না। ততক্ষন আপনি কোনভাবেই নতুন করে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আর এই ভুলে ভরা আবেদন বাতিল করা এবং আবার নতুন করে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে কিছুটা সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হবে।
আর উক্ত কাজটি করার জন্য মোট ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে।
কিন্তুু আপনি যদি আপনার ভুল তথ্য প্রদান করা আবেদন সংশোধন করার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনি উক্ত কাজটি আরো সহজ ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আর এই আবেদন সংশোধন করার জন্য আপনাকে আপনার নিজের অঞ্চলের মধ্যে থাকা পাসপোর্ট অফিস বরাবর আবার লিখিত আবেদন দিতে হবে।
সেই সাথে উক্ত লিখিত আবেদন এর মধ্যে সংশোধন এর আসল কারণটি সঠিকভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। তো যেহুত আপনার নামের ডট নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
সেহুতু আপনাকে অবশ্যই সেই কারন টি উল্লেখ করে দিতে হবে। এবং এরপরে যখন আপনি সংশোধন আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনি আপনার নামটি ডট ছাড়াই লিখে দিবেন।
আর যখন আপনি এই কাজটি করবেন। তারপর আপনার পাসপোর্ট আবেদন টি গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন করার দরখাস্তের নমুনা
তো যখন আপনি আপনার পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন করার জন্য লিখিত আবেদন জমা দিবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তারপর আবেদন জমা দিতে হবে।
আর এই কাজটি করতে যেন আপনার কোন ধরনের সমস্যা না হয়। সে কারণে এবার আমি আপনারকে একটি পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন করার দরখাস্তের নমুনা প্রদান করলাম।
তারিখ-
বরাবর,
সহকারী পরিচালক,
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস,
দিনাজপুর,
বিষয়ঃ ই পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি (আপনার নাম) ………., পিতাঃ (পিতার নাম)………., মাতাঃ (মাতার নাম)……..,। আমি গত (তারিখ)…./…../….. তারিখে অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করেছি। উক্ত আবেদন এর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর হলো, ……………..। কিন্তুু আমি ভুলবশত পাসপোর্ট আবেদন এর মধ্যে আমার নামের মধ্যে (.) ব্যবহার করেছি। আমার নাম হলো, MD Alom Hasan, কিন্তুু ভুল করে MD. Alom Hasan লেখা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমার এই ই পাসপোর্ট আবেদন টি সংশোধন করা প্রয়োজন।
অতএব, মহোদয় এর নিকট আকুল আবেদন। উপরে উল্লেখিত সমস্যার কথা বিবেচনা করে। আমার ই পাসপোর্ট আবেদন টি সংশোধন করতে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।
বিণীত নিবেদক-
(আপনার নিজের নাম),
(আপনার ঠিকানা),
(আপনার মোবাইল নম্বর),
FAQ – E Passport / Name Dot (.)
Q:ই-পাসপোর্ট এ মোঃ/Md/Md. নাকি মোহাম্মদ/MOHAMMAD কোনটি?
A: যখন আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনি আপনার নামের প্রথম অংশটুকু সম্পূর্ণ লেখার চেস্টা করবেন। সেজন্য আপনাকে MD. ব্যবহার না করে, সরাসরি MD দিতে হবে। এবং কোন ভাবেই নামের মধ্যে (.) ব্যবহার করা যাবেনা। তাছাড়া আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যে যে নামটি আছে। আপনাকে সেই নাম টি দিতে হবে।
Q: ই পাসপোর্ট এ নামের মধ্যে ডট দেওয়া যাবে নাকি // Md এর পরে dot?
A: আপনি যখন ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইন আবেদন করবেন। তখন আপনি কোনভাবেই আপনার নামের মধ্যে ডট ব্যবহার করবেন না। কেননা, যখন আপনি আপনার নামে ডট দিয়ে আবেদন করবেন। তখন পাসপোর্ট অফিস আপনার আবেদন টি গ্রহন করতে চাইবে না। তাই আপনাকে নামের মধ্যে ডট ছাড়াই আবেদন করতে হবে।
Q: নাম-এর মধ্যে ডট থাকলে কি ভিসা অথবা পাসপোর্ট এ কোনো সমস্যা হয়?
A: হুমম, অবশ্যই সমস্যা হবে। কারন, আপনি ই পাসপোর্ট এর আবেদনে যদি নামের মধ্যে ডট ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন টি গ্রহন করা হবেনা। আর পাসপোর্ট ছাড়া আপনি ভিসা করতে পারবেন না। সেজন্য অবশ্যই আপনার নামের মধ্যে থাক ডট বাদ দিয়ে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
Q: পাসপোর্ট আবেদনে ডট (.) এর সঠিক ব্যবহার
A: আসলে পাসপোর্ট এর মধ্যে নামের সাথে ডট ব্যবহার করার কোন সঠিক নিয়ম নাই। কারন, আপনাকে ডট ছাড়াই নাম দিয়ে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আপনাদে যাদের পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা ডট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ছিলো। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, আপনি এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে নামের মধ্যে (.) এর ব্যবহার করলে কি কি সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও যদি আপনার নামের মধ্যে ডট থাকে। তাহলে আপনি কিভাবে তা সমাধান করবেন।
সেটি উপরের আলোচনা তে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
আরোও জানতে পারবেন…
- কিভাবে পুনরায় জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করবেন
- জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম
- পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
তো এরপরও যদি আপনার কোন কিছু জানার থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে হলে, আমাদের সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে infoportalbd.comএর সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আমার NID তে বাবার নাম MD. MONIR HOSSAIN
আমি ই পাসপোর্ট এর আবেদনে বাবার নামে (MD. এইভাবে দিয়ে ফেলেছি)
আমার নিজের নামে ডট ব্যবহার করিনি। বাবার নামে ডট ব্যবহার করেছি। এখন এটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে??
সব একই রকম হলে সমস্যা হবে না।
সব কিছু সেম সেম হলে সমস্যা হবে না।
আমার নিজের, বাবা-মায়ের প্রতিটা নামের পরেই MD. & MST. ব্যবহার করেছি, এক্ষেত্রে করণীয় কি?
Dot use করবেন না।