আমরা সকলেই জানি যে, বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়স হলেই ভোটার হওয়া সম্ভব। কিন্তুু যদি আপনার বয়স ১৬ বছর হয়। তারপরেও আপনি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এবং আপনি এই আবেদন করার প্রক্রিয়া টি সম্পূর্ণ অনলাইন এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
তো আজকের আলোচনায় আমি আপনাদের দেখিয়ে দিবো যে, কিভাবে আপনি ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এবং তার জন্য আপনাকে কি কি নিয়ম ফলো করতে হবে। তার প্রত্যেক টি বিষয় কে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো। চলুন এবার সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
জাতীয় পরিচয়পত্র/ ভোটার আইডি করার জন্য যা প্রয়োজন
আপনি যদি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি যেকোনো সময় অনলাইন এর মধ্যে ভোটার তালিকায় রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।
তবে সেজন্য আপনাকে অনলাইন থেকে আবেদন করতে হবে। আর আপনি যদি এই অনলাইন মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান। তবে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর হতে হবে।
আপনি আরোও জানতে পারবেন…
- ঘরে বসে অনলাইনে এ চালান পরিশোধ করার নিয়ম
- কিভাবে আয়কর কম দেয়া যায় সেগুলো জানুন
- টিন সার্টিফিকেট থাকলেই কি কর দিতে হবে?
কেননা, আপনি আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে এমন অনেক মানুষ কে খুজে পাবেন। যারা মূলত ভোটার নিবন্ধন করেনি।
কিন্তুু তাদের বয়স ১৬ বা তার থেকেও বেশি বছর বয়স হয়ে গেছে। মূলত তাদের জন্য এই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করার সুবিধা টি প্রদান করা হয়েছে।
আর উক্ত আবেদন প্রক্রিয়ায় রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য যে সকল যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আপনার বয়স কোনো ভাবেই ১০ বছরের কম হওয়া যাবেনা।
- এবং পূর্বে আপনার কোনো ভোটার নিবন্ধন থাকা যাবেনা।
তো আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে চান। তাহলে আপনার যে সকল যোগ্যতা দরকার হবে। সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর যদি আপনার সেই দক্ষতা গুলো থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?
দেখুন, আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান। তাহলে আপনার যে সকল যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।
সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে যদি আপনার সেই যোগ্যতা থাকে। তাহলে আপনি যখন অনলাইনে আবেদন করবেন। তখন আপনার নিকট আরো বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর সেই ডকুমেন্টস গুলো হলো,
- আপনার নাগরিকত্বের সনদ প্রয়োজন হবে।
- আপনি যখন অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তার প্রিন্ট কপি এর দরকার হবে।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ প্রয়োজন হবে। সেজন্য SSC বা তার সমমান সার্টিফিকেট এর দরকার হবে। যার মাধ্যমে আপনি আপনার বয়স প্রমাণ করতে পারবেন।
- আপনার নিকট থাকা জন্ম সনদ এর ফটোকপি দরকার হবে।
- যদি আপনার নিকট পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে। তাহলে সেই ডকুমন্টেস গুলো বয়স প্রমাণে ব্যবহার করতে পারবেন।
- আপনার পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি দরকার হবে।
এগুলো ছাড়াও আপনার ইউটিলিটি বিল বা বাসা ভাড়ার রসিদ অথবা ট্যাক্স রসিদ দিতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ঠিকানার প্রমাণ দিতে পারবেন।
আর যখন আপনি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন। তারপর আপনার নিকট যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হলো।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম | Online NID Registration
আমরা অনেকেই মনে করি যে, নতুন ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া টি মনে হয় খুব কঠিন কিছু। তো যারা এমনটা ভাবেন, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।
কারণ, আপনি খুব সহজেই আপনার নতুন ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। কেননা, এই কাজ টি করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
তারপর সেই আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এরপর আপনার যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এর দরকার হবে।
সেগুলো নিয়ে আপনার নিকস্থ নির্বাচন কমিশন অফিস এর মধ্যে গিয়ে জমা দিতে হবে।
আর যখন আপনি সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিবেন। এরপরে পুনরায় আপনাকে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি দেওয়ার জন্য ডাকা হবে।
এবং যখন এই যাবতীয় কাজ গুলো সম্পন্ন হবে। তারপর আপনাকে সেখান থেকে একটি ভোটার স্লিপ দেওয়া হবে।
তো যখন আপনাকে আপনার নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার স্লিপ দেওয়া হবে। তারপর আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
কেননা, আপনি যে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সেটি পুনরায় যাচাই বাচাই করা হবে। এবং সেই যাচাই শেষে তারা যদি আপনার আবেদন টি গ্রহন করে।
তখন থেকে আপনি অনলাইনে আপনার জাতীয় পরিচয় ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া
মূলত আপনি যখন নতুন ভোটার তালিকায় রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু ধাপ ফলো করে কাজ করতে হবে।
তবে এটা শুধুমাত্র আপনার জন্য নয়, বরং যারাই নতুন ভোটার নিবন্ধন করবে। তাদের সবাইকে এই ধাপ গুলো ফলো করতে হবে। আর সেগুলো হলো,
- প্রথমে আপনাকে Bangladesh NID application system এর মধ্যে নতুন একটা একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
- তারপর আপনাকে সেই একাউন্ট থেকে সঠিক ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
- এরপরে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে।
- এখন আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে।
- তারপর আপনার আবেদন ভেরিফিকেশন করা হবে।
- আপনাকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সকল তথ্য দিতে হবে। যেমন, আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট, ছবি সহো আরো বিভিন্ন ধরনের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে।
- সবশেষে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
তো এগুলো হলো, নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র এর ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া। আর এবার আমি আপনাকে এই ধাপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। যেন, আপনি এই কাজ গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা নিতে পারেন।
প্রথম ধাপঃ অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন
সবার শুরুতে আপনাকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর সেজন্য আপনার নিকট একটি মোবাইল অথবা একটি কম্পিউটার এর প্রয়োজন হবে।
আর আপনি সর্বদা এই অনলাইন থেকে আবেদন করার চেষ্টা করবেন। এর কারণ হলো, আপনি যদি অনলাইন থেকে আবেদন করেন।
তাহলে কিন্তুু আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা তথ্য গুলো ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।
কারণ, যখন আপনি অনলাইনে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তখন আপনি সেই তথ্য গুলো বারবার চেক করে দিতে পারবেন।
আর উক্ত তথ্য গুলোই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যে সরাসরি প্রিন্ট করা হবে। আর অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে যে সকল ধাপ ফলো করতে হবে। সেগুলো নিয়ে নিচে বিষদভাবে আলোচনা করা হলো। যেমন,
০১| সবার প্রথমে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করুন
যেহুতু আপনি অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করবেন। সেহুতু আপনাকে বাংলাদেশ এনআইডি এপ্লিকেশন সিস্টেম এর মূল ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
আর যখন আপনি উপরের লিংকে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার সামনে ঠিক নিচের পিকচারের মতো একটি পেজ ওপেন হবে।
আর উক্ত পেজ এর মধ্যে আপনি মোট দুইটি অপশন দেখতে পারবেন। সেগুলো হলো, রেজিষ্টার করুন এবং আবেদন করুন।
তো এবার আপনাকে “আবেদন করুন” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। তারপর পুনরায় আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
যখন আপনি নতুন পেজে প্রবেশ করবেন। তারপর আপনার সামনে ছোট্ট একটা ফরম চলে আসবে। যে ফর্ম এর মধ্যে আপনাকে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। তো সেই ফর্ম টি আসলে দেখতে কেমন হবে, তা নিচে দেখতে পারছেন।
আর এখানে সবার শুরুতে আপনাকে আপনার নাম লিখতে হবে। তারপর আপনার যে জন্ম তারিখ আছে সেটি বসিয়ে দিতে হবে।
এরপর আপনাকে একটি ক্যাপচা কোড দেওয়া হবে, যেটি আপনাকে সঠিক ভাবে পূরন করতে হবে। তো এই যাবতীয় তথ্য গুলো দেওয়ার পর যখন আপনি “বহাল” এর মধ্যে ক্লিক করবেন।
তারপর আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, এখানে আপনি অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর টি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
যখন আপনি আপনার মোবাইল নম্বর প্রদান করবেন। তারপর আপনার সেই নম্বরে একটি কোড নম্বর আসবে। যেটাকে বলা হয়, ভেরিফিকেশন কোড।
আর উক্ত কোডটি আপনাকে বসিয়ে দিতে হবে। এবং আপনাকে পুনরায় “বহাল” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনার একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করে দিতে হবে। তো যখন আপনি আপনার একাউন্টের ইউজারনেম দিবেন।
সেটা অবশ্যই নিজের কাছে সংগ্রহ করে রাখবেন। কারন, পরবর্তী সময়ে লগ ইন করার জন্য সেই ইউজারনেম এর দরকার হবে।
এরপর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। আর এখানে দেওয়া পাসওয়ার্ড টি অবশ্যই কঠিন করার চেষ্টা করবেন।
আপনি আরোও দেখতে পারবেন…
- জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
- পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার নিয়ম
- অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
এবং এই ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড গুলো প্রয়োজনে কোথাও লিখে রাখবেন। আর উক্ত কাজ গুলো করার পরে আপনাকে পুনরায় “বহাল” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
তারপর আপনি সফলভাবে একটি একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে সক্ষম হবেন।
২| ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন
যদি আপনি উপরের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তারপর আপনি সফলভাবে নতুন একটি একাউন্ট তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
আর এই একাউন্ট তৈরি করার পর সবার উপরে আপনি আপনার ইউজারনেম দেখতে পারবেন। তো আপনি যখন আপনার ইউজারনেম এর মধ্যে ক্লিক করবেন।
তারপর আপনি “প্রোফাইল” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। এবার আপনাকে সেই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনি সবার উপরে ডানপাশে থাকা ”এডিট বাটন” এর মধ্যে ক্লিক করবেন। আর যখন আপনি উপরে দেখানো অপশনে ক্লিক করবেন।
তখন আপনার সামনে একটা বড় ফরম চলে আসবে। যেখানে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে।
যেমন উপরে আপনি মোট ০৩ ধরনের তথ্য দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন। যেমন, ব্যক্তিগত তথ্য, অনান্য তথ্য এবং ঠিকানা।
তো যখন আপনি ”ব্যক্তিগত তথ্য” এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে আপনার বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- আপনার নাম (বাংলা, ইংরেজি),
- লিঙ্গ,
- রক্তের গ্রুপ,
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর,
- জন্ম তারিখ,
- পিতা ও মাতার নাম,
- জন্মস্থান ও জাতীয়তা,
- ভাই বোন এবং স্বামী/স্ত্রী এর তথ্য
আর এখানে আপনি যে সকল তথ্য প্রদান করবেন। সেই প্রদান করা তথ্য গুলোতে যেন কোনো ধরনের ভুল না হয়। কারণ, আপনি যদি এখানে ভুল তথ্য দেন।
তাহলে কিন্তুু এই ভুল তথ্য গুলোই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর মধ্যে প্রিন্ট করা হবে। এখন আপনাকে আবার “অন্যান্য তথ্য” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর যখন আপনি উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তখন আপনাকে আরো বেশ কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন,
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা,
- আপনার পেশার নাম,
- সনাক্তকরন চিহ্ন,
- অসমর্থতা,
- টিন নম্বর (যদি থাকে),
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে),
- পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে),
- ধর্ম,
- টেলিফোন নম্বর,
- মোবাইল নম্বর,
মূলত এখানে অনেক তথ্য দেওয়ার অপশন থাকলেও। যদি আপনার নিকট এখানে থাকা সব তথ্য থাকে। তবে আপনি সেগুলো প্রদান করার চেষ্টা করবেন।
আর যদি না থাকে, তাহলে এগুলো ফাঁকা রেখে দিবেন। কিন্তু কখনই কোনো ধরনের ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
সবশেষে আপনাকে ”ঠিকানা” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। আর এখানে আপনি সঠিক ভাবে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করে দিবেন।
আর এই ঠিকানা প্রদান করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- জেলার নাম,
- উপজেলার নাম,
- ইউনিয়ন,
- বাসা বা হোল্ডিং নাম্বার,
- বিভাগের নাম,
- সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নাম,
- ভোটার এড়িয়া,
আর যখন আপনি সঠিক ভাবে উপরে থাকা যাবতীয় তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে আপনার যেসকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আছে।
সেই কাগজ পত্র গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে আপলোড করে দিতে হবে। আর সেজন্য আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে।
৩. কাগজপত্র আপলোড ও আবেদন জমা
আপনি যখন নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। এবং সেই সময় যে সকল কাগজ পত্র দিবেন।
সেই কাগজ পত্র গুলো অনলাইনে আপলোড করার জন্য আগে আপনাকে স্ক্যান করে নিতে হবে। আর তার আগে আপনি অনলাইনে যে সকল তথ্য প্রদান করবেন।
সেই তথ্য গুলো সাবমিট করার সময় বারবার চেক করে নিবেন। মনে রাখবেন, এখানে দেওয়া তথ্য গুলো কোনো ধরনের ভুৃল হওয়া চলবে না।
আর আপনি যে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো প্রিন্ট করবেন। সে গুলো অবশ্যই A4 সাইজের করে নিবেন।
তো এই যাবতীয় কাজ গুলো করার পর সেই কাগজ পত্র গুলো নিয়ে আপনাকে আপনার নিকট ভোটার অফিস বা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।
যখন আপনি এই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো নির্বাচন অফিস এর মধ্যে গিয়ে জমা দিবেন। তারপর আপনাকে আর তেমন কিছু করতে হবেনা।
বরং পরবর্তী সময়ে আপনার যেসকল কাজ থাকবে। সে গুলো আপনাকে মেসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এবং তখন আপনাকে কি কি করতে হবে। সেই কাজ গুলো নিয়ে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। যে গুলো নিচের আলোচনা তে উল্লেখ করা হলো।
দ্বিতীয় ধাপঃ ভেরিফিকেশন করতে হবে
তো এই ভেরিফিকেশন করার কাজে আপনাকে তেমন কিছু করতে হবেনা। বরং যখন আপনি অনলাইন থেকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন।
এবং আপনার যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে সেগুলো ভোটার অফিসে গিয়ে জমা দিবেন। তারপর সেই নির্বাচন অফিস থেকে আপনার করা আবেদন টি যাচাই করা হবে।
এবং যখন তারা আপনার সকল তথ্য গুলো যাচাই করবে। তখন সেখান থেকে আপনার সাথে বিভিন্ন কারণে যোগাযোগ করতে পারে।
এবং তারা যখন আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাইবে। তখন আপনি তাদের সঠিক তথ্য গুলো দিয়ে সহযোগীতা করার চেষ্টা করবেন।
তৃতীয় ধাপঃ বায়োমেট্রিক প্রদান
আর যখন নির্বাচন অফিস থেকে আপনার সকল তথ্য গুলো যাচাই করার কাজ শেষ করবে। তারপর আপনাকে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
যেমন, প্রথমত আপনার ছবি দিতে হবে। যদিওবা সেই ছবি তোলার জন্য আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। তারপর আপনার আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।
এসব যাবতীয় কাজ শেষ করার পর আপনাকে মোট ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবং এই অপেক্ষার প্রহর শেষে যখন তারা আপনার আবেদন গ্রহন করবেন।
তারপর থেকে আপনি অনলাইন হতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড
যখন আপনার উপরের সকল কাজ সম্পন্ন হবে। তারপর যখন আপনি আপনার রেজিষ্ট্রেশন করা একাউন্ট এর মধ্যে প্রবেশ করবেন।
তারপর আপনি সেখান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আপনার জন্য আরোও লেখা…
- কিভাবে পুনরায় জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করবেন
- বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ওমানের ভিসা চেক করার নিয়ম
তবে সেজন্য আপনাকে আপনার একাউন্ট এর ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এবং তারপর আপনার প্রোফাইল এর ড্যাশবোর্ডে যেতে হবে।
তারপর সেখান থেকে আপনি আপনার সদ্য তৈরি হওয়ার জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে যে সকল পদ্ধতি ফলো করতে হবে।
সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর আপনি যদি সেই পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ফলো করেন।
তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজের ঘরে বসে ভোটার হওয়ার জন্য আবেনদ করতে পারবেন। আর আপনি যদি ভোটার সম্পর্কিত আরো কোনো তথ্য জানতে চান।
তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। এবং আপনার প্রশ্ন গুলো নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।