শেয়ার বাজার কি? কিভাবে শেয়ার বাজার ব্যবসা করতে হয় ?

শেয়ার বাজার কি : শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ হলো এমন একটি মাধ্যম। যেখানে আপনি শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করার মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

শেয়ার বাজার কি? কিভাবে শেয়ার বাজার ব্যবসা করতে হয় ?
শেয়ার বাজার কি

বর্তমানে এমন অনেক বিনিয়োগ কারী আছেন। যারা মূলত শেয়ার মার্কেটে ইনভেষ্ট করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। অপরদিকে শেয়ার মার্কেট এ বিনিয়োগ করে নিজের ক্যারিয়ার কে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

এমন মানুষ এর সংখ্যাও কিন্তুু মোটেও কম নয়। আপনাকে এমন অনেক মানুষ এর উদাহরন দিতে পারবো। যারা মূলত শেয়ার মার্কেটে মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করে নিজের সমস্ত টাকা হারিয়ে একেবারে নিস্ব হয়ে পড়েছেন।

তবে প্রশ্ন হলো যে, কোন মানুষ শেয়ার মার্কেট এ বিনিয়োগ করে কোটি টাকা আয় করছেন। আবার কিছু মানুষ শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে নিজের ক্যারিয়ার কে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর প্রধান কারন গুলো কি কি? 

হ্যালো ভিয়ার ওয়েলকাম টু  Infoportalbd ব্লগের “শেয়ার বাজার কি“- নিয়ে লেখা নতুন একটি আর্টিকেলে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে আপনি ” শেয়ার বাজার” রিলেটেড যা খুটিনাটি আছে। সে সবকিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এবং সবশেষে আপনি যদি শেয়ার মার্কেট এর ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে। সে সম্পর্কেও একটা পরিস্কার ধারনা পেয়ে যাবেন।

সকল প্রশ্নের উওর আপনি আজকের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। যেগুলো কে আমি পর্যায়ক্রমে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

তো যদি আপনার শেয়ার মার্কেট নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে। আপনি যদি জানতে চান যে, “শেয়ার বাজার কি” তাহলে এই সম্পূর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

তাহলে আজ থেকে আপনি শেয়ার মার্কেট রিলেটেড অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

শেয়ার বাজার কি (What is share bazar in bangla)

আমরা শেয়ার বাজার রিলেটেড অন্যান্য বিষয় গুলো নিয়ে অবশ্যই বিস্তারিত জানবো। তবে সবার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে যে, শেয়ার বাজার কি। এরপর বাকি বিষয় গুলো সম্পর্কে বিষদভাবে জেনে নিবো।

তো যখন আপনি কোনো শেয়ার এ যুক্ত হয়ে নিজের অর্থ কে ইনভেষ্ট করবেন। এবং সেই শেয়ার কেনা বেচা করার মাধ্যমে বাড়তি টাকা আয় করবেন ৷ এই সমস্ত প্রক্রিয়াকে বলা হয় শেয়ার বাজার।

যার মূল অর্থ হলো, কোনো একটি কোম্পানির শেয়ারে যুক্ত হওয়ার পর পরবর্তীতে সেই শেয়ার থেকে যে পরিমান লাভ আসবে। সেগুলো কে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়া।

যেমন ধরুন, আপনি কোনো একটা পরিচিত কিংবা অপরিচিত কোম্পানির সাথে শেয়ারে যুক্ত হলেন। এখন সেই কোম্পানির মোট ১০,০০০ শেয়ার রয়েছে। এখন আপনি সেখান থেকে ১০০০ শেয়ার এ ইনভেষ্ট করলেন।

এবার আপনি কিন্তুু সেই কোম্পানির ১০% মালিক হয়ে গেলেন। এরপরে উক্ত কোম্পানি টি যদি বিক্রি করা হয়। এবং সেখান থেকে কোনো লাভ আসে ৷ তাহলে আপনিও সেই লাভ থেকে ১০% টাকা নিজের কাছে পেয়ে যাবেন।

Read More About business:

একটি কোম্পানি কেন শেয়ার বিক্রি করে?

“শেয়ার বাজার কি”- এ সম্পর্কে জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, একটি কোম্পানি কিসের জন্য তাদের শেয়ার বিক্রি করে। তারা একাই বেশি টাকা লাভ না করে, সেটা কেন অন্যদের সাথে শেয়ার করে?

চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো।

একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন। একটি বড় মাপের কোম্পানি তৈরি করার জন্য দুটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। একটি হলো বিস্তার করা এবং অন্যটি হলো মুলধন ৷ কারন যতক্ষন না আপনি আপনার কোম্পানি কে বিস্তার করতে পারবেন না।

ততক্ষন আপনার কোম্পানি সম্পর্কে কেউ জানতে পারবে না। অপরদিকে একটি কোম্পানি এর বিস্তার এর জন্য আপনার অবশ্যই বড় অংকের বাজেট বা মুলধন এর প্রয়োজন হবে।

এখন এমন অনেক ব্যক্তি আছেন। যারা চায় একটা বৃহৎ আকারের কোম্পানি তৈরি করার জন্য। কিন্তুু তাদের কাছে তেমন মুলধন থাকে না। সেজন্য তারা আরও কিছু মানুষকে সেই কোম্পানির সাথে যুক্ত করে। এবং তাদের কে কোম্পানির কিছু পার্সেন্ট (%) শেয়ার বিক্রি করে।

এখন আপনি যদি কোনো কোম্পানির ১০% শেয়ার কিনে নেন। তাহলে সেই কোম্পানি যখন কোটি কোটি টাকা ইনকাম করবে। অর্থ্যাৎ, কোম্পানি থেকে লাভ আসবে ৷

তখন আপনি ঐ মোট লাভের অংশ থেকে ১০% লাভ নিজের কাছে পেয়ে যাবেন।

আর এই কারনেই মূলত বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো। তাদের মূল কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে থাকে। এবং যারা মূলত অর্থশালী ব্যক্তি। তারা এসব শেয়ারকে কিনে বাড়তি মুনাফা লাভ করে। 

শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে?

আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ” শেয়ার বাজার কি” – সে সম্পর্কে পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন। এবং কেন শেয়ার মার্কেট বিক্রি করা হয়। সে সম্পর্কেও আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, এই যে শেয়ার মার্কেট। সেটি আসলে কিভাবে কাজ করে। আর আপনি একজন নতুন মানুষ হিসেবে এখানে কিভাবে কাজ করবেন। চলুন এবার সে বিষয়ে হালকা ধারনা নেয়া যাক।

দেখুন, বর্তমান বিশ্বে যেসব বড় বা উন্নত দেশ আছে। তার প্রত্যেকটা দেশে কিন্তুু শেয়ার মার্কেট রয়েছে। যেমন, আমাদের বাংলাদেশেও কিন্তুু শেয়ার মার্কেট রয়েছে।

আমাদের দেশ বাংলাদেশ শেয়ার বাজার এর নাম হলো, Dhaka Stock Exchange এবং Chittagong Stock Exchange. ঠিক একইভাবে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ও শেয়ার বাজার আছে।

আর ভারতের শেয়ার বাজার এর নাম হলো, National Stock Exchange in Indiaআর এভাবে আপনি অন্যান্য দেশ গুলোতেও নিজস্ব শেয়ার মার্কেট দেখতে পারবেন ৷ যে দেশ গুলো মূলত বর্তমান সময়ে উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল অবস্থাতে আছে। যার বাস্তব উদাহরন হলো আমাদের দেশ বাংলাদেশ।

কারন বাংলাদেশের শেয়ার বাজার পূর্বেই তুলনায় অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যার কারনে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা বেশ ভালোই বলা যায়।

তো প্রশ্ন হলো যে, এই শেয়ার মার্কেট গুলো কাজ কিভাবে করে, তাইতো?  এবার সে সম্পর্কে জেনে নিন…

মনে করুন আপনি আপনার কোনো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে নিজ দেশের Stock Exchange এর কাছে যেতে হবে। এরপর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

কেউ যদি আপনার শেয়ার কিনতে আগ্রহী হয়। তাহলে তারা পুনরায় সেই Stock Exchange এর সাথে যোগাযোগ করে তারাও আপনার কোম্পানির শেয়ারে রেজিষ্ট্রেশন করবে। ঠিক এভাবে মূলত শেয়ার মার্কেট গুলো কাজ করে থাকে। 

শেয়ার বাজার কত প্রকার? 

এতোকিছু জানবেন অথচ শেয়ার বাজার কত প্রকারের সেটা জানবেন না, এটা তো সম্ভব নয়। বরং আপনাকে এ বিষটাও জেনে নিতে হবে ৷

নাহলে শেয়ার মার্কেট এর অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য আপনার কাছে অজানাই থেকে যাবে। তবে অন্যান্য দেশের শেয়ার বাজার কত প্রকার সেটা আমি বলবো না।

কারন অন্যান্য দেশ গুলোর শেয়ার মার্কেট ভিন্ন ধরনের হতে পারে ৷ কিন্তুু আমাদের দেশ বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের শেয়ার মার্কেট রয়েছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশে যে শেয়ার কেনাবেচা করা হয়।

সেগুলো মূলত এই দুই ধরনের শ্রেনীর মাধ্যমেই শেয়ার ব্যবসা করে থাকে।

তার মধ্যে প্রথম শেয়ার মার্কেট এর নাম হলো, 

1. প্রাইমারি শেয়ার (Primary Share)

সত্যি বলতে, অনেক আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত। প্রাইমারি শেয়ার ব্যবসার প্রতি মানুষের একটা অন্যরকম আগ্রহ দেখা গেছে। তাই অধিকাংশ মানুষ শেয়ার কেনা বেচা করার সময় Primary Share থেকেই নিজের ব্যবসাটি শুরু করে থাকে।

কারন এখানে যে কোম্পানি শেয়ার বিক্রি করে। সেই ব্যক্তি শেয়ার ক্রেতাদের নিকট থেকে একটা মোটা অংকের টাকা নিজের কাছে নিতে পারে।

অপরদিকে যারা প্রাইমারি শেয়ার নিজের মুলধন কে ইনভেস্ট করে। তারাও কিন্তুু একটা মোটা অংকের টাকা লাভ করে নিতে পারে। মানে বিষয়টা দুদিক থেকে দু পক্ষই লাভবান হতে পারছে।

চলুন এ বিষয়টা একটু উদাহরন দিয়ে বোঝার চেস্টা করি।

মনে করুন, আপনার কোনো একটি কোম্পানি আছে ৷ এখন আপনি সেই কোম্পানি কে ১০০০ টি শেয়ারে বিভক্ত করলেন। এবং আপনি বললেন যে, প্রতি শেয়ার এর জন্য ক্রেতাদের কে ১০০ টাকা করে দিতে হবে।

এখন যারাই আপনার কোম্পানি শেয়ার কিনবে। তাদেরকে কিন্তুু প্রতি শেয়ার এর বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। এখন আপনি প্রাইমারি শেয়ার এর ক্ষেএে প্রিমিয়াম হিসেবে আরও ৫০/- বেশি করে যুক্ত করলেন।

অর্থ্যাৎ যারা আপনার শেয়ার কিনবে। তাদেরকে প্রিমিয়াম এর জন্য আরও বাড়তি ৫০ টাকা করে দিতে হবে। তাহলে আপনি প্রতি শেয়ার বিক্রি করার বিনিময়ে পাবেন মোট ১৫০/- টাকা।

আর উপর এর এই পদ্ধতি অনুযায়ী শেয়ার বাজার কাজ করে থাকে। যদি আপনিও প্রাইমারি শেয়ার কিনতে চান। তাহলে আপনাকেও ঠিক এইভাবেই কাজ করতে হবে। 

2. Secondary Share ( সেকেন্ডারি শেয়ার)

সত্যি বলতে প্রাইমারি শেয়ার এর থেকে কিছুটা ভিন্ন হলো, সেকেন্ডারি শেয়ার বাজার। আর সেজন্য আপনি যদি সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে এসে আগের মতো পদ্ধতিতে কাজ করতে চান।

তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ বিপাকে পড়ে যেতে হবে।

আর আপনি যদি শেয়ার বাজার থেকে বেশি টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে একটু চতুর হতে হবে। কেননা, এখানে যদি আপনি টেকনিকালি কাজ করতে না পারেন ৷

তাহলে আপনার সফলতা পাওয়ার চান্স একবারে কম থাকবে।

তো উপরে আমরা দেখলাম যে, প্রাইমারি শেয়ারে আপনি একজন ক্রেতা হিসেবে সরাসরি কোনো কোম্পানির কাছ থেকে তা কিনে নিতে পারবেন।

কিন্তুু সেকেন্ডারি তে আপনি সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে না কিনে আপনি কোনো শেয়ার হোল্ডার এর কাছ থেকে কিনে নিবেন। আর আপনি যে এভাবে কোনো শেয়ার হোল্ডার এর কাছ থেকে শেয়ার কিনে নিলেন।

এজন্যই এই পদ্ধতিকে বলা হয়, সেকেন্ডারি শেয়ার বাজার। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আপনি সরাসরি কোম্পানি এর কাছ থেকে শেয়ার না কিনে অন্য কোনো হোল্ডার এর কাছ থেকে কেনো শেয়ার কিনে নিবেন?

তাহলে শুনুন…

আমরা জানি যে, কোনো একটি কোম্পানির শেয়ার কিনে নেয়ার জন্য একটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো মুলধন। আবার কিছু কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা শেয়ার এর দামের পাশাপাশি প্রিমিয়াম এর রেট অনেক বেশি রাখে।

যার কারনে আপনি অনেক সময় শেয়ার কিনতে ব্যর্থ হয়ে পড়বেন ৷ এখন আপনি যদি কোনো শেয়ার হোল্ডার এর কাছ থেকে কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে নেন। তাহলে কিন্তুু আপনি এই প্রকার ঝামেলা থেকে অনেকখানি মুক্তি পেয়ে যাবেন।

Check Out More:

শেয়ার বাজার এর দাম কম বেশি হয় কেন? 

শেয়ার বাজার কি” এবং “শেয়ার বাজার এর প্রকারভেদ”- জানার পর আপনাকে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হলো, কখনও শেয়ার বাজার এর দাম তুলনামূলক কম থাকে।

আবার কখনও বা এর বাজার মুল্য অনেক গুন বেশি হয়ে থাকে। এর কারন কি? এবার সে নিয়ে হালকা আলোকপাত করবো।

যখন আপনি কোনো কোম্পানি থেকে তাদের শেয়ার যুক্ত হবেন। তখন আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন ৷ সেটি হলো, কখনও শেয়ার দাম অনেক কম থাকে।

আবার কখনও একই কোম্পানির শেয়ার এর দাম পূর্বের তুলনায় অনেক গুন বেশি হয়ে যায়। এর কিছু কারন রয়েছে যেমন,

মনে করুন কোনো একটি কোম্পানি তার শেয়ার কে ৫০ টি ভাগে ভাগ করলো। এখন সে দেখতে পেলো যে খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক গুলো শেয়ার বিক্রি হয়ে গেছে। এবং এর মানে হলো, শেয়ার এর তুলনায় ক্রেতার পরিমান অনেক বেশি।

তখন সেই কোম্পানি টি আরও বেশি লাভ করার আশায় সে পুনরায় তার কোম্পানির শেয়ার এর দাম কে বাড়িয়ে দিলো। আর ঠিক তখনি চলমান কোনো শেয়ার বাজার এর দাম হঠাৎ করেই উর্ধমুখী হয়ে থাকে। 

আবার, আপনি যদি আরেকটু চিন্তা করে দেখেন। তাহলে শেয়ার বাজার এর দাম কমবেশি হওয়ার কারনটা একেবারে পরিস্কার হয়ে যাবে। এবার আমরা শেয়ার এর দাম কম হওয়ার কারনটি জেনে নিবো।

মনে করুন কোনো একটা কোম্পানি তাদের শেযার কে কয়েকটি অংশে ভাগ করলেন। এবং তিনি নির্ধারন করে দিলেন যে, প্রতি ১ ভাগ শেয়ার এর জন্য ৫০০/- টাকা করে দিতে হবে ৷

তখন তিনি দেখলেন যে, তার শেয়ার কেনার প্রতি মানুষ তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তখন তিনি তার কোম্পানির শেয়ার কে বিক্রি করার উদ্দেশ্য শেয়ার এর দামকে কমিয়ে দিবেন।

অর্থ্যাৎ, ৫০০/- টাকা থেকে তখন ৩০০ টাকা তে নামিয়ে নিবেন। ঠিক তখনি কিন্তুু শেয়ার এর দাম অনেক গুন কমে আসবে।তবে আবার এটা ভাববেন না যে, প্রত্যেকটা কোম্পানির শেয়ার এর দাম এভাবে উঠানামা করে।

বরং সব কোম্পানির ক্ষেএে এমনটা হয়না। কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার দর এমন উঠানামা করতে থাকে। তবে এর জন্য ভিন্ন কিছু কারন রয়েছে। এবার সেই কারন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো। 

শেয়ার বাজার এর দাম কিসের উপর নির্ভর করে?

প্রত্যেকটা ব্যবসার ক্ষেত্রে কিন্তুু দুটি দিক থাকে। একটি হলো লাভ করা এবং অন্যটি হলো ব্যবসা তে লোকসান করা। এখন আপনি যদি শেয়ার ব্যবসা কিনে নেন।

তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে, টাকা দিয়ে কেনা সেই কোম্পানির শেয়ার নেয়া লাভ হচ্ছে নাকি লস হচ্ছে? তো কোনো কোম্পানি থেকে শেয়ার কেনা লাভ হবে নাকি লস হচ্ছে। সেটা বোঝার জন্য এমন অনেক উপায় আছে।

এখন আপনাকে এই উপায় গুলোর সাথে তুলনা করে নিজে থেকেই বুঝে নিতে হবে যে, সেই কোম্পানি থেকে শেয়ার কেনা লাভ হবে নাকি লস হবে। যেমনঃ 

১. কোম্পানি শেয়ার ইস্যু 

কোনো একটা কোম্পানির শেয়ার কিনে নেয়ার আগে আপনাকে সেই কোম্পানির শেয়ার ইস্যু সম্পর্কে জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি আপনি সেই ইস্যু সমন্ধে না জানেন।

তাহলে কিন্তুু আপনার পরবর্তী সময়ে অনেক বাধা বিপওি আসবে। তাই আপনি যে কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনতে ইচ্ছুক। সেই কোম্পানি উক্ত শেয়ার এর সমস্ত ইস্যু গুলো জেনে নিবেন। সেখানে যারা ক্রেতা আছেন, তাদের লিষ্ট আছে কিনা।

তাদের পরিমান কত, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দাম ঠিক আছে কিনা। এসব কিছু আপনাকে কোম্পানির শেয়ার ইস্যু থেকে জেনে নিতে হবে। 

শেয়ার বাইব্যাক (Share Buy Back)

এটা মুলত মালিকের জন্য প্রযোজ্য। কারন যারা মূলত কোনো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে। তখন তারা এই উপায়ে শেয়ার বাজার এর মূল্য অনেক উর্ধমুখী করে দেয়। চলুন বিষয়টি একটু উদাহরন দিয়ে বোঝার চেস্টা করি।

মনে করুন, আপনি কোনো একটা কোম্পানির শেয়ার হিসেবে ১০ টি ভাগ করলেন। এবার সেই ১০ ভাগের মধ্যে আপনি নিজেই ৫ ভাগ কিনে নিলেন। এরফলে শেয়ার এর পরিমান অনেক গুন কমে আসলো।

এখন এই পরিমান কমার কারনে কিন্তুু হঠাৎ করেই শেয়ার এর দাম বেড়ে যেতে পারে ৷

তো যদি আপনি কখনও আপনার কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেন। তাহলে আপনি অবশ্যই এই টেকনিক গুলো ফলো করবেন। আর আপনি যদি কোনো শেয়ার কিনতে যান।

তাহলে কিন্তুু এই দিকটা তে বিশেষভাবে নজর দিবেন। তো এমন অনেক বিষয় আছে। যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, কোনো শেয়ার কে কেনার সময় আপনার লাভ হবে, নাকি আপনার লস হবে? 

কখন শেয়ার বাজার কেনা উচিত? 

যাইহোক, শেয়ার কেনার সময় আপনার লাভ হোক কিংবা লস হোক৷ সেটা পরবর্তী বিষয়, আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, যদি আপনিও কোটি টাকা লাভের আশায় কখনও শেয়ার বাজার কিনেন।

তাহলে কখন আপনার এই কাজটি করা একেবারে উপযুক্ত হবে। অর্থ্যাৎ, কখন আপনি শেয়ার কিনলে লাভ বেশি পাবেন। আর কখন আপনার শেয়ার কিনে নেয়া ঠিক হবে না। এবার তাহলে সে বিষয়ে একটু বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন এমন বেশ কিছু টেকনিক আছে। যেগুলো শেয়ার বাজার কেনার সময় যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া উচিত। যেমন,

কোম্পানির ব্যাকগ্রাউন্ড

আপনি যে কোম্পানির শেয়ার কিনবেন। অবশ্যই তার ব্যাকগ্রাউন্ড ভালোভাবে চেক করবেন। কারন যেসব কোম্পানি মানুষের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে।

সেই কোম্পানি গুলোর ভবিষ্যৎ শেয়ার এ অনেক লাভ করার সম্ভবনা থাকে। তাই এমন কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনবেন। যারা আমজনতার কাছে যথেষ্ট বিশ্বাসী। আর এজন্য আপনি শেয়ার বাজার নিউজ গুলো দেখে নিলে আপনার সুবিধা হবে।

আর্থিক সচ্ছলতা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শেয়ার বাজার করার জন্য আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো হতে হবে। কারন এই ব্যবসাতে যেমন কোটি টাকায় লাভ করা যায়। তেমনি আপনার কোটি টাকা নিমিষেই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

কারন এমন কোনো মানুষ আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না যে, কোন কোম্পানির শেয়ার কিনলে আপনি লাভ করতে পারবেন। তাই কপাল খারাপ থাকলে আপনি যে টাকা গুলো শেয়ার কেনার জন্য ব্যয় করবেন।

তা নিমিষেই খোয়া যাবে। আর আপনাকে একেবারে অর্থহীন বানিয়ে ফেলবে। তাই এমন সময়ে শেয়ার কেনা উচিত। যখন আপনি আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকবেন। যেন সেই টাকা গুলো চলে গেলে পরিবারকে নিয়ে রাস্তায় নামতে না হয়।

যথেষ্ট নজর রাখুন

শেয়ার বাজার থেকে বেশি টাকা আয় করার একটা গোপন সূএ হলো, নজর রাখা। আপনি যদি এই সূএকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার বিনিয়োগ থেকে প্রচুর পরিমান টাকা চলে আসবে।

তো কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে আপনাকে বিভিন্ন মাধ্যম গুলোতে দেখতে হবে। যে,মানুষ কি ধরনের কোম্পানির শেয়ার কিনে থাকে। আর তারা যে এই ধরনের শেয়ার গুলো কিনে নেয়।

পরবর্তীতে তারা কি এখান থেকে লাভ করতে পারে কিনা। মোটকথা শেয়ার বাজারে কি হচ্ছে, সেটার তদারকি করতে হবে। আর আপনি এই কাজটা যতো বেশি সময় করবেন। আপনার অভিজ্ঞতা ঠিক ততো পরিমান বৃদ্ধি পাবে।

আপনার নিজের ই একটা আইডিয়া চলে আসবে যে, কখন কিভাবে কোন কোম্পানির শেয়ার কেনা উচিত।

শেয়ার এর কম দাম 

এটা সত্য যে আপনি তখনি কোনো শেয়ার কিনবেন। তখন সর্বদাই চেস্টা করবেন যে, যেসব শেয়ার এর দাম কম। এবং সেই শেয়ার গুলো থেকে পরবর্তী সময় লাভ করার চান্স থাকবে ৷ সেই শেয়ার গুলো কিনে নেয়ার চেস্টা করবেন।

কারন আপনি যতো কম দাম দিয়ে শেয়ার করবেন। আপনার ইনভেষ্ট করার পরিমান ঠিক ততো কমে যাবে। এরফলে আপনি যদি কোনো শেয়ার কিনে নেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে যদি উক্ত শেয়ার থেকে কোনো লাভ না আসে।

অর্থ্যাৎ, আপনার সেখানে লোকসান হয়। তাহলে কিন্তুু আপনার ততোটা ক্ষতি হবে না, যতোটা বেশি ইনভেস্ট করার সময় একটা রিস্ক থাকে।

Pro Tips:
শেয়ার বাজারের সকল কোম্পানির সাথে জড়িত খবর গুলো জানার একমাএ মাধ্যম হলো, newspaper. কোনো কোম্পানির খারাপ খবর হোক কিংবা ভালো খবর। সেগুলো কিন্তুু প্রতি শুক্রবার করে এই নিউজপেপার গুলো। তাই আপনি প্রতি শুক্রবার এর Paper গুলো থেকে যে কোনো কোম্পানির সকল ধারনের ভালো এবং খারাপ খবর সমন্ধে জানতে পারবেন। 

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা শেয়ার বাজার কি থেকে শুরু করে এই রিলেটেড অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। এবার আপনার জন্য জরুরি একটা তথ্য দেয়ার চেস্টা করবো ৷

সেটা হলো আপনি যদি শেয়ার বাজারে কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে নিতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে। দেখুন যদি আপনি শেয়ার বিজনেস করে বেশি মুনাফা আয় করতে চান।

তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। অন্যান্য সেক্টরে কাজ করার জন্য যেমন বিভিন্ন ধাপ এগিয়ে যেতে হয়।  ঠিক তেমনি শেয়ার ব্যবসা তে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমন…….

 STEP-1: যেহুতু আপনি এখানে লেনদেন করবেন। সেহুতু এখানে আপনাকে একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে। ব্যাংক একাউন্টে যেমন আমরা নিজেদের টাকা জমা করে রাখি। ঠিক তেমনভাবে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। যাকে বলা হয়, Demat Account.

আপনি যদি এই একাউন্টটি খুলতে চান, তাহলে আপনি Offline কিংবা Online এ এমন অনেক Stock-broker এর নিকট থেকে উক্ত একাউন্টটি তৈরি করে নিতে পারবেন।

STEP-2: এরপর আপনি শেয়ার ট্রেডিং থেকে পরিমান টাকা লাভ করবেন। সেগুলো মূলত সরাসরি আপনার কোনো ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে না। কারন এই টাকা গুলো প্রথমে Demat Account এ গিয়ে জমা হবে। এরপর আপনি এখান থেকে লাভ করা টাকা গুলো নিজের যে কোনো ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন। 

STEP-3: মনে রাখবেন, যখন আপনি শেয়ার বাজারে যুক্ত হবেন। তখন আপনার Demat Account তৈরি করার সময় অনেক প্রয়োজনীয় তথ্যর দরকার হবে। যেমন, আপনার Nid, Address Proof, Tex Id ইত্যাদি। তো যখন আপনি এই একাউন্টটি তৈরি করবেন ৷ তখন আপনি শেয়ার বাজারে নিজের টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এবং আপনি আপনার চাহিদা মতো সেই বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে অন্যান্য যে কোনো কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনে নিতে পারবেন। 

শেয়ার বাজার সম্পর্কে কি কি জানতে পারলাম? 

আমি আর্টিকেল এর শুরুতে বলেছিলাম যে, আজকের আর্টিকেলে শেয়ার বাজার কি থেকে শুরু করে যে সমস্ত বিষয় আছে। তার প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে আজকে বিষদভাবে আলোচনা করবো।

আর আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন। তাহলে আশা করা যায়, আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে অনেক তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তো এই আর্টিকেলে আমি কি কি আলোচনা করেছি। এবং আপনি এই আর্টিকেল থেকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে কি কি জানতে পারলেন। সেগুলো আরেকবার রিপিড করবো।

  • সবার আগে আমরা জেনেছি যে, শেয়ার বাজার কি এবং শেয়ার বাজার বলতে কি বুঝায়। 
  • শেয়ার বাজার থেকে লাভ করার উপায় এবং কিভাবে শেয়ার বাজার থেকে ইনকাম হয়। 
  • শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা সহো ঢাকা শেয়ার বাজার সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কিছু আলোচনা করেছি। যেগুলো আপনার শেয়ার ব্যবসা করার কাজে অনেক গুন সাহায্য করবে।

শেয়ার বাজার নিয়ে আমাদের শেষকথা

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি ম্যানেজ করার জন্য বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়া, সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা, এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা জরুরি। শেয়ার বাজারে সাফল্য পেতে হলে কেবল তাত্ক্ষণিক মুনাফা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য স্থির করতে হবে।

আশা করি আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে শেয়ার বাজার কি সে সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়েছেন। এরপরও যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে। আপনি যদি শেয়ার বাজার সম্পর্কে কিছু জানতে চান। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

Info source:

https://bn.wikipedia.org

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top