Pathao ki : বর্তমান সময়ে পাঠাও হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান টি ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো।
তবে শুরুতে পাঠাও বাইক রাইড সার্ভিস দিলেও। বর্তমানে তারা আরো বিভিন্ন সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছে।
আর আজকে আমরা সেই সার্ভিস এবং পাঠাও সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তো যদি আপনি পাঠাও সম্পর্কে সকল বিষয় গুলো জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচনায় চোখ রাখুন।
পাঠাও কি (What is Pathao in bangla)
আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে পাঠাও হলো জনপ্রিয় ডিজিটাল রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। যাকে ব্যবহার করে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারবেন।
আর পাঠাও নামক এই প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর ঢাকার বনানীর মধ্যে অবস্থিত।
পাঠাও নিয়ে আরোও দেখুন…
- পাঠাও বাইক ভাড়া | পাঠাও মোটরসাইকেল ভারা কত?
- পাঠাও ডেলিভারি সার্ভিস | পাঠাও কিভাবে ডেলিভারি সার্ভিস দেয়
- পাঠাও কুরিয়ার ট্র্যাকিং | কিভাবে পাঠাও কুরিয়ার ট্র্যাকিং করতে হয়
তবে আপনি বাংলাদেশের সকল স্থানে পাঠাও এর সার্ভিস লক্ষ্য করতে পারবেন না। কারণ, পাঠাও এখন ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে তাদের সেবা চালু রেখেছে।
তবে সারাদেশে পাঠাও সার্ভিস দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
পাঠাও কি কি সার্ভিস প্রদান করে?
জনপ্রিয় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। তখন তারা বাইক রাইড সার্ভিস দিয়ে শুরু করেছিলো। কিন্তুু বর্তমান সময়ে তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য, আরো বিভিন্ন সেবা চালূ করেছে।
তো এখন পর্যন্ত পাঠাও এর যতগুলো সার্ভিস চলমান আছে। সেগুলোর নাম নিচের তালিকায় দেওয়া হলো।
- কুরিয়ার,
- খাবার ডেলিভারি,
- অনলাইন শপিং ডেলিভারি,
মূলত আপনি পাঠাও এর মধ্যে উপরোক্ত সেবা গুলো দেখতে পারবেন। তবে পরবর্তী সময়ে পাঠাও আরো নতুন নতুন সেবা শুরু করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কিভাবে পাঠাও ব্যবহার করব?
পাঠাও কাকে বলে এবং পাঠাও এর কি কি সার্ভিস আছে। উক্ত বিষয় গুলো নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। তো এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে যে, কিভাবে পাঠাও ব্যবহার করবো।
আর আপনি যদি পাঠাও এর সার্ভিস ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আর রেজিষ্ট্রেশন করার পর আপনার যে নতুন একাউন্ট তৈরি হবে।
সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি পাঠাও এর সকল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।
সেজন্য আমাদের জানতে হবে যে, কিভাবে পাঠাও রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। যা নিচের আলোচনায় ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঠাও একাউন্ট খুলার Step to Step গাইড
আপনি মোট দুইটি উপায়ে পাঠাও এর একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। আর সে গুলো হলো,
- পাঠাও অ্যাপ থেকে আর
- পাঠাও এর ওয়েবসাইট থেকে।
আর আপনার বোঝার সুবিধার জন্য এবার আমি দুইটি উপায়ে পাঠাও একাউন্ট পদ্ধতি দেখাবো। সেজন্য নিচের স্টেপ গুলোতে চোখ রাখুন।
পাঠাও অ্যাপ/ওয়েবসাইট দিয়ে একাউন্ট তৈরি
অ্যাপস দিয়ে আপনি খুব সহজে পাঠাও একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে নিচে দেখানো স্টেপ গুলো মেনে কাজ করতে হবে। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনার ফোনে ডাটা কানেকশন অন করুন।
- এবার Pathao Apps টি ডাউনলোড করে নিন।
- আপনি Pathao Website থেকেও একাউন্ট খুলতে পারবেন।
যদি আপনার আগে থেকে পাঠাও অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকে। তাহলে আপনাকে আর নতুন করে ডাউনলোড করতে হবেনা। এরপর নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করুন
- পাঠাও অ্যাপসে প্রবেশ করুন।
- তারপর Create New Account অপশনে ক্লিক করুন।
- এখন আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
- Next বাটনে ক্লিক করুন।
- এবার আপনি আপনার City সিলেক্ট করুন।
- আপনি কি দিয়ে রাইড শেয়ারিং করবেন সেটি Select Vehicle থেকে সিলেক্ট করুন।
এবারের ধাপে আপনার নাম, জন্ম তারিখ সহো আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। তবে সেই তথ্য গুলোর সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য গুলোর মিল থাকতে হবে।
আর এবার আপনাকে যেসব তথ্য দিতে হবে সে গুলো হলো,
- আপনার নাম,
- জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার,
- আপনার লিঙ্গ,
- ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার,
- নিজের ছবি,
তো উপরের তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দেওয়ার পর আপনাকে সবার নিচে থাকা Signup বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনাকে এই অ্যাপস থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তারপর পুনরায় নতুন করে লগ ইন করতে হবে।
- লগ ইন করতে আবার অ্যাপসে প্রবেশ করুন।
- তারপর আপনার মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিন।
- এখন Log in এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনার ফোনের মধ্যে যেসব পারমিশন চাইবে। আপনাকে সেই পারমিশন গুলো Allow করে দিতে হবে। আর যখন আপনি উক্ত কাজটি করতে পারবেন।
তারপর আপনাকে Pathao Digital Payment এড করতে হবে।
- এবার আপনার দেওয়া মোবাইলে একটি অটিপি কোড যাবে।
- মোবাইলে সেই সিম চালু থাকলে অটো ভেরিফাই হবে।
- তারপর আপনাকে একটি ০৪ ডিজিটের পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
এই ধাপে আপনি সঠিক ভাবে ডিজিটাল পেমেন্ট এড করতে পারবেন। তবে এখানে আপনি যে পাসওয়ার্ড টি দিবেন, সেটি আপনাকে মনে রাখতে হবে।
এখন আপনি যদি এই অ্যাপসের সবার নিচের দিকে তাকান। তাহলে আপনি Verify Your Account নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
তো আমরা এখনও এনআইডি কার্ড ভেরিফাই করিনি। তাই এবার আমাদের সেটা ভেরিফাই করতে হবে। যেমন, আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের সামনের অংশ ও পেছনের অংশের পিক তুলে দিবেন।
বিশেষ বার্তা:
আপনি চাইলে ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন। তারপর আপনাকে একাউন্টের সকল ডকুমেন্টস সঠিক ভাবে সাবমিট করতে হবে।
আর যখন আপনি আপনার সকল তথ্য ও ডকুমেন্টস জমা করবেন। তারপর আপনাকে মোট ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, পাঠাও কর্তৃপক্ষ আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস গুলো যাচাই করবে।
আর যাচাই করার সময় যদি আপনার ডকুমেন্টেসে কেনো ধরনের সমস্যা থাকে। তাহলে আপনার মোবাইলে মেসেজ করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পাঠাও ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট খোলা যাবে?
হ্যাঁ, আপনি পাঠাও এর মূল ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে সেজন্য তাদের Pathao ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
তারপর আপনাকে আপনার যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। যে নিয়ম গুলোর উপরের আলোচনায় শেয়ার করা হয়েছে।
পাঠাও কোন দেশের কোম্পানি?
পাঠাও কোন দেশের কোম্পানি আপনারা অনেকেই এই বিষয়ে জানতে চান। কারণ, আমরা অধিকাংশ মানুষ জানিনা যে, পাঠাও হলো আমাদের বাংলাদেশের একটি কোম্পানি।
আর বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠতা হলেন, ফাহিম সালেহ, হুসেন ইলিয়াস এবং শিফাত আদনান।
তবে প্রথম থেকে পাঠাও এর সকল কার্যক্রম আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তুু তারা আন্তর্জাাতিক ভাবেও কাজ করা শুরু করেছে।
কেননা, আপনি বর্তমান সময়ে নেপালেও পাঠাও এর রাইড শেয়ার সার্ভিস ভোগ করতে পারবেন।
পাঠাও এর মালিক কে?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে পাঠাও এর মালিকা কে সেটি জানতে চান। তো জনপ্রিয় এই কোম্পানিটি কোনো একক ব্যাক্তি থেকে প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।
কেননা, মোট তিন জন ব্যক্তি আছেন যার পাঠাও এর প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর তারা হলেন, ফাহিম সালেহ, হুসেন ইলিয়াস এবং শিফাত আদনান।
পাঠাও কবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে?
সত্যি বলতে পাঠাও তাদের যাত্রা শুরু করার খুব বেশিদিন হয়নি। কারণ, জনপ্রিয় এই ডিজিটাল রাইড শেয়ার করার প্লাটফর্মটি শুরু হয়েছিলো ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে।
আর যখন এই কোম্পানির প্রথম পথচলা শুরু হয়েছিলো। তখন পাঠাও থেকে ডেলিভারি সেবা দেওয়া হয়েছিলো।
কিন্তুু সময়ের সাথে সাথে যখন এই অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তখন তারা বাইক রাইড সেবা চালু করেছে।
আর বর্তমান সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তারা তাদের সার্ভিস গুলো আন্তর্জাতিক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
পাঠাও কুরিয়ার ডেলিভারি চার্জ কত?
যখন আপনি পাঠাও কুরিয়ার এর মাধ্যমে ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করবেন। তখন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান ডেলিভারি চার্জ প্রদান করতে হবে।
তবে আপনার চার্জ এর পরিমান কত হবে। সেটি মূলত ওজনের উপর নির্ভর করবে। যেমন,
- ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত = ৭০ টাকা।
- (৫০০ গ্রাম – ১ কেজি) = ৮০ টাকা।
- (১ কেজি – ২ কেজি) = ৯০ টাকা।
আপনার পাঠাও ডেলিভারি চার্জ কত হবে সেটি উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে। তবে পাঠাও কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় তাদের ডেলিভারি চার্জ বাড়াতে কিংবা কমাতে পারে।
আপনি আরোও দেখুন…
- পাঠাও রাইডার : পাঠাও রাইড শেয়ারিং নীতিমালা সংক্রান্ত তথ্য
- পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন : পাঠাও বাইক রেজিস্ট্রেশন করে আয় করুন
পাঠাও কুরিয়ার কি হোম ডেলিভারি দেয়?
বর্তমান সময়ে পাঠাও সারাদেশে তাদের সার্ভিস চালু করার জন্য কাজ করছে। কিন্তুু হোম ডেলিভারি শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যে চলমান আছে।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি ঢাকার মধ্যে বসবাস করেন। তাহলে আপনি পাঠাও হোম ডেলিভারি সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
তবে আমরা বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকা গুলোতেও খুব দ্রুত পাঠাও হোম ডেলিভারি সেবা ভোগ করতে পারবো।
পরিশেষে পাঠাও নিয়ে আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে পাঠাও সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। যে বিষয় গুলো আপনার জেনে নেওয়া দরকার।
তো আমরা প্রতিনিয়ত এমন ধরনের অজানা বিষয় গুলো এই ওয়েব সাইটে শেয়ার করি।
আপনি যদি সেই তথ্য গুলো বিনামূল্যে জানতে চান। তাহলে আমাদের infoportal bd তে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।