বর্তমান সময়ে YouTube যে সবচেয়ে বৃহৎ একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, সে বিষয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
আর আজকের দিনে যে ইউটিউব থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়, সে বিষয়টিও আমাদের কারো অজানা নয়।
আর সেই কারণে আপনি একজন নতুন মানুষ হিসেবে ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য কী কী পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, সে নিয়ে পূর্বের অনেক আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আপনি চাইলে সেগুলো একনজরে দেখে নিতে পারেন।
তো YouTube Income করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলো, ইউটিউব নিস।
মূলত ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে, কোন ধরনের ভিডিও মানুষ বেশি দেখে, ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও কোন গুলো।
যখন এই দিকগুলোকে বিশেষভাবে বিচার-বিবেচনা করে কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে আপনি ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরি করবেন, তখন ভিডিও তৈরি করার সেই বিষয়কে বলা হবে, YouTube Niche (ইউটিউব নিস)।
কিন্তু আজকের দিনে যারা নতুন ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে আসে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই YouTube Niche কে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। যার ফলে কোনো এক সময় গিয়ে তারা আর ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে সফল হতে পারেন না।
কেননা, নিস সিলেকশন হলো এমন একটি ধাপ, যা আপনার বর্তমান ব্যয় করা শ্রমকে ভবিষ্যতে সফলতার দিকে ধাবিত করবে। সেই কারণে নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য YouTube Niche এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আজকে আমি ইউটিউব নিস নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কেননা, যখন আপনি YouTube Niche কে সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন, ঠিক তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যে ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে।
এর পাশাপাশি আপনি আরো একটি বিষয়ে ধারণা পাবেন, সেটি হলো কোন ধরনের ভিডিও মানুষ বেশি দেখে। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক।
আর এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে অবশ্যই পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন।
ইউটিউব নিস কি (What is youtube niche)
যখন আমরা আমাদের ফোন বা কম্পিউটার থেকে ইউটিউবে প্রবেশ করি, তখন বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাই। যেমন, কোনো YouTube চ্যানেলে শিক্ষামূলক ভিডিও, কোনো চ্যানেলে নাটক, আবার কোনো চ্যানেলে সমসাময়িক খবরা-খবর দেখতে পাই।
এই যে একেকটা ইউটিউব চ্যানেল একেক বিষয় নিয়ে অনবরত ভিডিও তৈরি করে আসছে, এই প্রত্যেকটি বিষয় হলো একেক রকমের YouTube Niche (ইউটিউব নিস)।
নিস বলতে আমরা আসলে বুঝি নির্দিষ্ট একটি বিষয় বা বিষয়ের গুচ্ছ, যা নিয়ে একটি চ্যানেল ভিডিও তৈরি করে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি রান্না ভালোবাসেন এবং রান্নার বিভিন্ন রেসিপি নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে চান। তাহলে আপনার চ্যানেলের নিস হবে ‘রান্না’ বা ‘কুকিং’।
উদাহরণ:
টেকনোলজি নিস: যেকোনো টেকনোলজি সম্পর্কিত চ্যানেল, যেমন গ্যাজেট রিভিউ, টেক টিউটোরিয়াল, সফটওয়্যার গাইড।
কোন বিষয়ে ইউটিউব ভিডিও বানানো লাভজনক ?
পুরো পৃথিবীটা যখন লাভ আর লসের হিসেবে আবদ্ধ, তখন ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার সময়েও আপনাকে লাভ ও লসের হিসেবটা বেশ শক্তপোক্ত ভাবে করতে হবে।
কেননা, আজকের দিনে Youtube Platform এ আসা প্রত্যেকটা নতুন ইউটিউবার এর মনে একটাই উদ্দেশ্য থাকে, সেটি হলো ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা। তবে আপনি যদি শখের বসে Youtubing করে থাকেন, তাহলে আপনার ক্ষেত্রে এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
কিন্তুু আপনার উদ্দেশ্যে যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা হয়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে অবশ্যই লাভ ক্ষতির হিসেবটা বেশ ভালোভাবে কষে নিতে হবে।
কেননা, একটি Youtube Channel কে গ্রো করার জন্য যে কতটা শ্রম আর সময় ব্যয় করতে হয়, তা সেই মানুষ গুলো বেশ ভালো করেই জানে। যে মানুষ গুলো দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তার ইউটিউব চ্যানেল এর জন্য ভিডিও তৈরি করে।
কারন, ইউটিউব আপনাকে তখনি টাকা দিবে, যখন আপনার Youtube Video তে হিউজ পরিমানে ভিউ আসবে। আর সে কারনে, ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে, তা প্রত্যেকটা ইউটিউবার এর জেনে নেয়া উচিত।
সেই কারনে এবার আমি ইউটিউব নিস কে এমনভাবে প্রকাশ করবো, যা থেকে আপনি পরিস্কার ভাবে জানতে পারবেন যে, মানুষ আসলে ইউটিউবে কোন ধরনের ভিডিও বেশি দেখে।
তো চলুন তাহলে সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে ?
আজকের দিনে আপনি Youtube এ বিভিন্ন রকমের ভিডিও টপিক দেখতে পারবেন। তবে সব ধরনের ভিডিও তে যে সমান View হয়, বিষয়টা কিন্তুু এমন নয়।
কেননা, আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে, এমন কিছু ইউটিউব টপিক আছে যেগুলো নিয়ে তৈরি করা ভিডিও তে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ আসে।
আবার এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে তৈরি করা ভিডিওতে খুব বেশি ভিউ আসেনা। যদিওবা Youtube Video View নিয়ে আসার পেছনে বেশ কিছু কন্ডিশন আছে। তারপরেও আপনি যদি ইউটিউব নিস কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন।
তাহলে আপনিও আপনার Youtube Channel এ আপলোড করা ভিডিও তে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ নিয়ে আসতে পারবেন। তো এবার আমি আপনাকে এমন কিছু ইউটিউব নিস বা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার টপিক এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।
যে টপিক গুলো কে কেন্দ্র করে ভিডিও তৈরি করলে আপনার ইউটিউবে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুন বেড়ে যাবে। চলুন এবার সেই টপিক গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়াটা যাক।
০১| Motivational videos
কোনো কাজে সফলতার পাওয়ার নিমিত্তে যেসব নীতিবাক্য প্রকাশ করে ভিডিও তৈরি করা হয়। সেই ধরনের ভিডিও কে বলা হয়, Youtube Motivational videos.
সচারচর এই ধরনের ভিডিও গুলো দেখলে আমাদের মনের ভেতরে থাকা মনোবল কে জাগ্রত করা সম্ভব। আর সেই কারনে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের ভেতরে থাকা ঘুমন্ত মনোবল কে জাগ্রত করার জন্য এই ধরনের ভিডিও গুলো দেখে থাকেন।
আপনার মনে থাকা শত শত ব্যার্থতার গ্লানি, ডিপ্রেশন কে কাটিয়ে তোলার জন্য ইউটিউব মোটিভেশনাল ভিডিও গুলো অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
আজকের দিনে এমন অনেক ধরনের Youtube Channel আছে, যেমনঃ
তো চাইলে উপরে দেয়া ইউটিউব চ্যানেল লিংক থেকে আপনি ইউটিউব মোটিভেশনাল ভিডিও সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন। কিন্তুু সমস্যা হলো, আপনি আপনার YT Channel এ মোটিভেশনাল ভিডিও আপলোড করলেই যে আপনার ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ আসবে, বিষয়টা এমন নয়।
বরং আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যেমন,
- আপনার তৈরি করা মোটিভেশনাল ভিডিও কন্টেন্টে এমন একটা ফ্লো থাকতে হবে। যেন আপনার Video তে থাকা ভয়েস শুনে মানুষের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি হয়।
- ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ভয়েস এর পাশাপাশি আপনার ভালো মানে Video Clip ব্যবহার করতে হবে।
তো আপনার যদি যদি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে । তাহলে বলবো আপনার মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করা উচিত।
০২| Cartoon Video
কথায় আছে, ১৬ থেকে ৮০, আমরা সবাই কার্টুন দেখতে ভালোবাসি। আর তার প্রমান আপনি তখনি পাবেন, যখন আপনি ইউটিউবে Cartoon Video Niche এ কাজ করে, এমন ইউটিউব চ্যানেল গুলোকে দেখবেন।
কেননা, ইউটিউবে আপলোড করা কার্টুন ভিডিও গুলো তে হিউজ পরিমানে ভিউ হয়ে থাকে। এখন আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউবে কার্টুন কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান।
সেক্ষেত্রে আপনার নিকট অবশ্যই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। এবং সেই কম্পিউটার এর কনফিগারেশন অনেক উন্নত মানের হতে হবে।
তবে বর্তমান সময়ে Android Mobile এর জন্য এমন অনেক Cartoon Making Apps বের হয়েছে। যা দিয়ে আপনি আপনার ফোন থেকেই কার্টুন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
উপরে আমি কিছু ইউটিউব চ্যানেল এর নাম দিয়েছি যে চ্যানেল গুলো প্রফেশনাল ভাবে কার্টুন ভিডিও নিয়ে কাজ করে। তবে আপনি যদি Cartoon Youtube Niche এ কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন,
- কার্টুন ভিডিও তৈরি করার জন্য যদি আপনার নিকট টিম থাকে। তাহলে আপনার কাজের দিক থেকে অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
- যদি টিম থাকে তাহলে আপনি, Cartoon Character Maker, Animetor, Vocal, Script ইত্যাদিতে দক্ষ ব্যক্তিদের কথা বলেছি।
- তবে আপনি চাইলে একাই টিমওয়ার্ক এর কাজ গুলো করতে পারবেন।
যদি আপনি প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। তাহলে আপনি একবার হলেও কার্টুন ভিডিও নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিতে পারবেন।
০৩| Gaming videos
ফেসবুক বলুন কিংবা ইউটিউব বলুন, আজকের দিনে গেমিং কন্টেন্ট ব্যাপক হারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর তার প্রমান আপনি তখনি দেখতে পারবেন, যখন কোনো কন্টেন্ট এর Video Content দেখবেন।
কেননা, আপনি যদি একজন ভালো গেমার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ফলোয়ার নিয়ে আসতে পারবেন।
আজকের দিনে আপনি এমন YouTube Channel দেখতে পারবেন। যারা ফ্রি ফায়ার, পাবজি সহো বিভিন্ন ধরনের গেমিং কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করে আজকে লাখ লাখ টাকা ইউটিউব থেকে আয় করতে পেরেছে। যেমন,
আপনি যদি ইউটিউবে গেমিং নিসে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের উপরে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন,
- আপনাকে এমন সব গেম নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। যে Games গুলোর অনেক বেশি জনপ্রিয়তা আছে।
- আপনার গেমপ্লের মধ্যে এমন কিছু থাকতে হবে যা দেখে দর্শকরা যেন নতুন কিছু খুজে পায়। কেননা, গেম তো দর্শকরাও খেলতে পারবে।
- সেজন্য আপনার মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে।
তবে গেমিং কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভাল গেমার হতে হবে। তাহলে আপনি আপনার YouTube Channel এর ভিডিও তে পর্যান্ত পরিমানে ভিউ আনতে পারবেন।
০৪| Drama / Comedy video
ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার যতোগুলো নিস আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি Youtube Niche হলো কমেডি ভিডিও তৈরি করা।
কারন, আপনি এমন কোনো মানুষ কে খুজে পাবেন না, যারা হাসতে ভালোবাসে না। আমরা সবাই নিজের ব্যস্ততম জীবনের মধ্যে একটু সুখ খোজার চেস্টা করে থাকি।
আর সে কারনে আজকের দিনে Drama / Comedy video নিয়ে তৈরি করা ইউটিউব ভিডিও গুলো তে হিউজ পরিমানে ভিউ হয়ে থাকে।
আর বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের চ্যানেল আছে যারা কমেডি ভিডিও তৈরি করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যেমন,
উপরে আমি বেশ কিছু ইউটিউব ফানি চ্যানেল এর নাম উল্লেখ করছি। আপনি সেগুলো থেকে ধারনা নিতে পারবেন। এবং সেই ধারনা থেকে আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি Funny Video Content নিয়ে ইউটিউব প্লাটফর্মে কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিক থেকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন,
- চেস্টা করবেন টিম ওয়ার্ক নিয়ে ক্যামেরা কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে। কারন, আজকের দিনে ক্যামেরা কন্টেন্টে ভিউ বেশি আসে।
- আপনার Yt Video Content এর জন্য অবশ্যই ভালো মানের স্ক্রিপ্ট থাকতে হবে। সেজন্য আপনি নিজে অথবা ভালো কোনো Script Writer এর কাছ থেকে ম্যানেজ করতে হবে।
তো আমার মতে যারা ইউটিউব প্লাটফর্ম কে সিরিয়াসলি নিতে চান। তাহলে আপনার ফানি কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করা উচিত।
০৫| Unboxing videos
সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আমরাও নিজেকে অনেকখানি পরিবর্তন করে ফেলেছি। আর সেই কারনে যখন আমরা কোনো নতুন পন্য কিনতে যাই, তখন সবার আগে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো তে উক্ত পন্যের রিভিউ গুলো দেখি।
কেননা, এই Product Review থেকে কোনো একটি পন্যের গুনাগুন সম্পর্কে ধারনা নেয়া যায়। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই চ্যানেলে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন Product Unboxing Video তৈরি করতে পারবেন।
আর ইতিমধ্যেই এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা আজকের দিনে প্রোডাক্ট আনবক্সিং ভিডিও তৈরি করে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। যেমন,
আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আনবক্সিং ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান। তাহলে উপরে থাকা চ্যানেল গুলো থেকে বেশ ভালো আইডিয়া নিতে পারবেন।
আর এই ধরনের Youtube Video Content Niche নিয়ে কাজ করতে চান। তবে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন,
- আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন Product নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
- চেস্টা করবেন প্রোডাক্ট এর রিয়েল রিভিউ করার। আপনি যদি কোম্পানি থেকে প্রমোশনাল পেইড টাকা নিয়ে মিথ্যা Review করেন। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত অডিয়্যান্স কে হারিয়ে ফেলবেন।
তো আপনি যদি ইউটিউবে সহজ কোনো YT Niche নিয়ে কাজ করতে চান। তাহলে আপনার আনবক্সিং ভিডিও নিস হবে উপকৃত একটি টপিক।
০৬| Vlog Video
ভ্রমনপিপাসু মানুষের জন্য চমৎকার একটি Youtube Video Niche হলো ভ্লগ ভিডিও তৈরি করা। কারন, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিভিন্ন বিখ্যাত বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে জানতে চায়।
তো আপনি সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এমন সেই স্থান গুলো সম্পর্কে মানুষ কে দেখাতে পারবেন।
আজকের দিনে এমন অনেক Youtube Channel আছে যারা অলরেডি এই নিসে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।
যেমন, আমাদের দেশের তৌহিদ আফ্রিদি। তিনি তার পারসোনাল চ্যানেলে Vlog নিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে মিলিয়ন মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার নিতে সক্ষম হয়েছেন।
তাই চাইলে আপনিও এই ভ্লগ নিসে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
০৭| YouTube tutorial & tips
বর্তমানে বিপুল পরিমানে নতুন নতুন ইউটিউবার আসছে। আর যারা একবারে নতুন মানুষ হিসেবে এই প্লাটফর্মে কাজ করছে।
তারা শুরুর দিকে Youtube এর খুঁটিনাটি বিষয় গুলো সম্পর্কে জানে না। আর সেজন্য তারা ইউটিউব এর সকল বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার জন্য প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখতে হয়।
যেমন, Youtube SEO, Youtube Terms & Conditions, Youtube Policy, Copyright, Strike ইত্যাদি। তো যদি আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে থাকেন।
তাহলে এই YouTube tutorial & tips নিয়ে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুততার সাথে আপনার শখের ইউটিউব চ্যানেল কে গ্রো করতে পারবেন।
এবং আপনার ভিডিও তে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ নিয়ে আসতে পারবেন ৷
Top Youtube Niche in 2024
তো বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের নিস আছে। যেগুলো আজকের দিনে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে সেই সবগুলো বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলে আর্টিকেল টি অনেক বেশি বড় হয়ে যাবে।
তাই এবার আমি আপনাকে একটা ইউটিউব নিস এর লিষ্ট দিয়ে দিবো। যেখান থেকে আপনি পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে যাবেন।
- Educational videos
- Technology Video
- Recipe making video
- Informational videos
- Blogging tutorial & tips
এখন আপনি যদি নতুন মানুষ হিসেবে ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত নিস গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এবং আপনি দ্রুততার সাথে আপনার চ্যানেল কে গ্রো করতে পারবেন ৷
ইউটিউব বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
এবার আমি Youtube রিলেটেড কিছু প্রশ্নের উওর দিবো। যেগুলো মানুষ প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকে। কিন্তুু এখন পর্যন্ত বাংলা ব্লগ গুলোতে তেমন সঠিক উওর দেয়া নেই।
তাই এবার আমি সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দেয়ার চেস্টা করবো। তো চলুন শুরু করা যাক……..
০১| মায়াজাল কিভাবে ভিডিও তৈরি করে?
উত্তর : মায়াজালের বেশিরভাগ Video Footage গুলো হলো পেইড যা বড় বড় ভিডিও ক্রিয়েটর কোম্পানি থেকে কিনে নেয় ৷ তাছাড়া মায়াজালের বেশ কিছু ভিডিও Copyrighted. কিন্তুু তারা ক্রিয়েটিভ কমন এর আন্ডারে সেই কপিরাইটেড ভিডিও গুলো কে ব্যবহার।
০২| কপিরাইট ভিডিও আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করুন কোন কপিরাইট নোটিশ ছাড়া।
উত্তর : সত্যি বলতে Google এ সার্চ করতে গিয়ে দেখলাম যে অনেকেই এই কথাটি লিখে সার্চ করে। তো আসল কথা হলো ভাই, আপনি অন্যের কপিরাইট ভিডিও ব্যবহার করে খুব বেশিদুর যেতে পারবেন না। হয়তবা অন্যের ভিডিও চুরি করে আজকে ধরা খাবেন না।
কিন্তুু কোনো না কোনো সময়ে ভিডিওর আসল মালিক অবশ্যই বুঝতে পারবে। আর তখনি যতো ধরনের বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে।
০৩| ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় ?
উত্তর : ভাই আপনি কি মুখে ভাত না নিয়েই পেটে ভাত নিয়ে যেতে পারবেন ?- না, আপনি কখনই তা করতে পারবেন না। ঠিক তেমনি ভাবে ইউটিউব আপনাকে তখনি টাকা দিবে, যখন আপনি তাদের প্লাটফর্মে ভিডিও শেয়ার করবেন।
সবসময় একটা কথা মাথায় রাখবেন, টাকা আয় করার কোনো পদ্ধতিই সহজ নয় ভাই।
Youtube নিস নিয়ে আমাদের শেষকথা
Youtube নিয়ে অনেকের মনে অনেক রকমের প্রশ্ন জেগে থাকে। আর সেই কারনে আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আর্টিকেলে আলাদা আলাদা করে সেই প্রশ্নের উওর দেয়ার চেস্টা করছি।
ঠিক একইভাবে আজকে আমি ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে, তা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি। এখন এই বিষয়ে যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনার সমস্যা সমাধান করার infoportalbd.com এর পুরো টিম সর্বদাই একটিভ থাকবে। ধন্যবাদ।