প্রসেসর কি বা প্রসেসর কাকে বলে : আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই প্রসেসসর এর নাম শুনে থাকবো ৷ কেননা, বর্তমান সময়ে আমাদের হাতের স্মার্টফোন গুলোতেও প্রসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর এটা আমরা সবাই জানি যে, একটি ফোনের Processor যদি ভালো না হয়। তাহলে সেই ফোনটি চালিয়ে তেমন সুবিধা পাবেন না।
তবে শুধু ফোনের ক্ষেত্রেই প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। বিষয়টা আসলে এমন নয়, বরং মোবাইল ডিভাইস ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ইলেকট্রিক্স ডিভাইস গুলোতে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তো এটা থেকে অবশ্যই অনুমান করতে পেরেছেন যে, কোনো একটি Electronics Device এর জন্য প্রসেসর কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেজন্যই মূলত আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
যেন আপনি প্রসেসর কি থেকে শুরু করে এই রিলেটেড যতো অজানা বিষয় রয়েছে। তার সবগুল সম্পর্কে জানতে পারেন।
হ্যালো ভিয়ার, ওয়েলকাম টু Infoportalbd.com এর প্রসেসর নিয়ে লেখা নতুন আরো একটি আর্টিকেলে । আজকের আর্টিকেলে আপনি প্রসেসর কি (Processor ki) থেকে শুরু করে Processor রিলেটেড যা অজানা বিষয় আছে।
সে সব গুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
যদি আপনার মনেও Processor সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে ৷ আপনি যদি জানতে চান যে, প্রসেসর কি, প্রসেসর এর গঠন কি, প্রসেসরের কয়টি অংশ থাকে।
তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ৷ তাহলে আজ থেকে আপনি Processor রিলেটেড অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রসেসর কি (What is processor)
আমরা অন্যান্য বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করবো ৷ তবে সবার আগে আপনাকে ” প্রসেসর কি ” সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। তাহলে পরবর্তী আলোচনা গুলো আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।
এটা তো আমরা সবাই জানি যে, আমাদের যেসব ডিভাইস ব্যবহার করি। সেগুলো কিন্তুু বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।
তাহলে আপনার আরও একটা বিষয় জানতে হবে। সেটি হলো, এই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার গুলো কিন্তুু নিজে থেকে কাজ করে না ৷ বরং এগুলো কে নির্দেশনার মাধ্যমে কাজ করানো হয়ে থাকে।
আর কোনো একটি ডিভাইসে থাকা Hardware এবং Software গুলো কে কাজ করানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়ার পর যার মাধ্যমে এই নির্দেশনা পৌঁছানো হয়। মূলত তাকেই বলা হয় প্রসেসর।
অপরদিকে আরও একভাবে বলা যায় যেমন, কোনো একটি ডিভাইস এর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মাঝখানে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য যেসব চিপ/সার্কিট ব্যবহার করা হয়। তাকেই বলা হয় হয়, Processor.
প্রসেসর কেন ব্যবহার করা হয়?
প্রসেসর কি -এটি জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই প্রসেসর আসলে কি কারনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর আমরা যদি একটি ডিভাইসে প্রসেসর ব্যবহার না করি।
তাহলে কি সেই ডিভাইসটি রান করতে পারবো না? এবার সে নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
দেখুন, আপনি মোবাইল ব্যবহার করুন কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করুন ৷ সেই ডিভাইস গুলো কিন্তুু এমনি এমনি চলতে পারে না ৷ বরং সেগুলোকে কেউ নির্দেশনা দেয়। এবং তারা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমার ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করে।
তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো তো মানুষের কথা বুঝতে পারে না। তাহলে কিভাবে তারা মানুষের দেয়া নির্দেশনা গুলো মেনে চলে ৷ এবং সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে?
হুমম! এই ধরনের ডিভাইস গুলো মানুষের কথা বুঝতে পারে না। কিন্তুু এরা মানুষের দেওয়া নির্দেশনা গুলো কে Machine Language এ কনভার্ট করতে পারে।
এরপর সেই নির্দেশনায় কি বলা আছে সে সম্পর্কে ডিভাইস গুলো বুঝতে পারে। আর এই যে নির্দেশনা আদান প্রদান থেকে শুরু করে কাজ করার যে Precessing রয়েছে। তার সবগুলোই কিন্তুু প্রসেসর করে থাকে।
প্রসেসর এর কাজ কি ?
উপরের আলোচনা থেকে যদি আপনি প্রসেসর কি এবং কেন ।চ ব্যবহার করা হয় ৷ সে সম্পর্কে যদি ভালোভাবে বুঝে থাকেন ৷ তাহলে এতক্ষনে আপনি হয়তবা এটা জেনে গেছেন যে, প্রসেসর এর মূল কাজ হলো আউটপুট প্রদান করা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই Output (আউটপুট) আবার কি জিনিস? তাহলে শুনুন…. মনে করুন আপনি আপনার মোবাইল ফোনটিতে গান শুনতে চান ৷ সেজন্য আপনি মোবাইলটি অন করার পর কোনো একটি Player চালু করলেন।
এবং প্লে লিস্টের কোনো একটি গান চালু করলেন। এরপর আপনার মোবাইলে গান বাজতে থাকলো। এই যে আপনি মোবাইলকে নির্দেশনা দেয়ার পর যে আপনার মোবাইলে গান বাজলো। মূল একেই বলা হয় আউটপুট।
অর্থ্যাৎ, কোনো ডিভাইস যখন নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। সেই কাজের ফলাফল কে বলা হয় আউটপুট। আর যেকোনো Device এর সঠিক আউটপুট প্রদান করাই হলো প্রসেসর।
আর এই আউটপুট এর কারনেই মূলত আমরা আমাদের ডিভাইস কে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারি। যেমন, আমরা ইচ্ছে করলে কোনো ডিভাইস কে On করতে পারি ৷ আবার আমরা ইচ্ছে করলে যে কোনো একটি ডিভাইস কে OFF করতে পারি।
প্রসেসর কিভাবে কাজ করে ? (How Processor Works)
আপনি এই আর্টিকেল এর শুরু থেকে এখন অবধি শুনে আসছেন যে, Processor মূলত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার এর মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। এবং কোনো একটি ডিভাইস এর আউটপুট প্রদান করার জন্য কাজ করে থাকে।
এখন উপরোক্ত বিষয় গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই প্রসেসর আসলে কিভাবে কাজ করে? – তো এবার সে নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
তাহলে আপনার আরও অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানা থাকবে। যখন আমরা কোনো ডিভাইস কে ব্যবহার করি। তখন কিন্তুু আমরা সেই ডিভাইস গুলোতে নির্দেশ প্রদান করে থাকি।
এখন সমস্যা হলো যে, এই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কিন্তুু আমাদের কথা গুলো বুঝতো পারে না। আর সেজন্যই মূলত আমাদের দেয়া এই নির্দেশনা গুলি কোনো ডিভাইসে গিয়ে সেই Programme, Data, File গুলো অস্থায়ী ভাবে জমা হয়ে যায়।
এরপর উক্ত ডিভাইসে যেসব ডাটা অস্থায়ী ভাবে জমা হয়ে থাকে। সেগুলো তখন প্রসেসর গননা করে রাখে। এরপর সেই নির্দেশনা বা ইনপুটে কি বলা হয়েছে।
প্রসেসর সেটি বোঝার জন্য আমাদের ইনপুটে প্রদান করা নির্দেশনা গুলি মেশিন ল্যাংঙ্গুয়েজ এ রুপান্তর করে ফেলে। এবং সেগুলো কে বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার এর নিকট পৌঁছে দেয়।
এরপর যখন আমাদের প্রদান করা Input গুলো মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ এ রুপান্তর করার পর সফটওয়্যার গুলো আমাদের নির্দেশনা সম্পর্কে বুঝতে পারে। তখন তারা সেই অনুযায়ী কাজ প্রসেস করে।
এবং তারা আবার সেই নির্দেশনা গুলি Software এর নিকট পৌঁছে দেয়। আর তখন সেই সফটওয়্যার থেকে আসা কমান্ড অনুযায়ী হার্ডওয়্যার গুলো কাজ করে থাকে।
আর যে কারনে আমরা মোবাইলে গান শুনতে চাইলে গান শুনতে পাই, ভিডিও দেখতে চাইলে ভিডিও দেখতে পাই, আবার নেট ব্রাউজিং করতে চাইলে নেট ব্যবহার করতে পারি।
এই মোবাইলের মতো কম্পিউটার নামক ডিভাইস এ আপনি একইভাবে কাজ করতে পারবেন।
Processor core মানে কি?
আপনি প্রসেসর সম্পর্কে জানবেন, অথচ Processor Core সম্পর্কে জানবেন না। এটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। কারন এ সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
কারন যে প্রসেসর এর কোর যতো বেশি হবে। সেই প্রসেসর ততো বেশি কর্মক্ষম হবে। হুমমম আপনি ঠিকি দেখেছেন, আমরা যে ডিভাইস গুলো ব্যবহার করি। সেই প্রত্যেকটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলোতে Processor ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর যে ডিভাইস এর প্রসেসর কোর যতো বেশি থাকে। সেই ডিভাইসটি ততো বেশি দ্রুত কাজ করতে পারে। তবে জানার বিষয় হলো, এই Processor Core মানে কি?
আর এই প্রসেসর কোর এ এমন কি থাকে, যার ফলে কোনো একটি ডিভাইস অন্য ডিভাইস এর তুলনায় অনেক বেশি স্পিডে কাজ করতে পারে? এবার সে নিয়ে জেনে নেয়া যাক।
এখানে মূলত, Core শব্দটির অর্থ বলতে কোনো একটি প্রসেসর এর কাজ করার ক্ষমতা বা ক্যাপাসিটি (Capacity) কে বোঝানো হয়েছে। অর্থ্যাৎ কোনো একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকা প্রসেসর এর মোট কাজ করার যে পরিমান ক্যাপাসিটি আছে।
তার একটা পরিমান কে বলা হয়, Core (কোর) আর আপনার জানা উচিত যে, একেকটা ডিভাইসে কিন্তুু একেক রকমের প্রসেসর কোর থাকে। যেমন, কোনো ডিভাইসে একটি মাএ কোর থাকে। যাকে আমরা বলে থাকি, Single Core Processor.
অর্থ্যাৎ, এই ডিভাইসে থাকা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার গুলোকে পরিচালনা করার জন্য একটিমাএ চিপ বা সার্কিট থাকে। অপরদিকে আপনি আরও এক ধরনের ডিভাইস দেখতে পারবেন কিছু কিছু ডিভাইসে ২ কোর এর প্রসেসর দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলো কে বলা হয়, Duel Core Processor.
অর্থাৎ এই ধরনের ডিভাইস গুলোর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার গুলোকে পরিচালনা করার জন্য দুইটি চিপ বা সার্কিট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর এজন্যই মূলত যেসব ডিভাইসে সিঙ্গেল কোর প্রসেসর যুক্ত করা থাকে। সেই ডিভাইস গুলো তুলনামুলক কম কাজ করবে। যেগুলোতে ডুয়েল কোর প্রসেসর আছে।
কারন যে ডিভাইসে Duel Core Processor আছে৷ তারা অন্যান্য প্রসেসর এর তুলনায় ২ গুন বেশি স্পিডে কাজ করতে পারবে। অর্থ্যাৎ, কাজের দিক থেকে এরা দুই গুন বেশি শক্তিশালি।
তবে আমরা তো শুধু Single Core Processor এবং Duel Core Processor সম্পর্কে জানতে পারলাম। কিন্তুু এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের শক্তিসম্পন্ন প্রসেসর দেখতে পারবেন।
কি কি ধরনের প্রসেসর আছে ?
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি প্রসেসর কি সে সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। এখন আপনার আরও একটি বিষয় জেনে নেয়া উচিত ৷
সেটি হলো, প্রসেসর কত প্রকার এর হয়। কারন এই প্রকারভেদ এর কারনেই মুলত প্রসেসর এর ক্ষমতা কম বেশি হয়ে থাকে. কারন বিভিন্ন প্রকার Processor এ বিভিন্ন মাএায় কোর প্রদান করা হয়ে থাকে।
কোনো প্রসেসরে সিঙ্গেল কোর দেওয়া হয়ে থাকে। যেগুলো মূলত কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু প্রসেসর আছে যেগুলোতে একাধিক কোর দেয়া থাকে। যেগুলো তে আপনি কয়েক গুন স্পিডে কাজ করা দেখতে পারবেন।
তো সেজন্যই এবার আমরা কিছু প্রসেসর সম্পর্কে জানবো। যেগুলো তে ভিন্ন ভিন্ন পরিমানে কোর প্রদান করা হয়ে থাকে। আর আপনি যদি এই ধরনের প্রসেসর গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি যেকোনো প্রসেসর দেখামাএই তার কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
প্রসেসর এর প্রকারভেদ
তো বর্তমান সময়ে কর্ম ক্ষমতা এবং কোর ভেদে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসর দেখতে পারবেন। এবং এই প্রসেসর গুলোর কোর ভেদে ভিন্ন মাএায় চিপ বা সার্কিট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন,
Single Core Processor: এই ধরনের প্রসেসর গুলোতে মাএ একটি করে Core থাকে। এই কোর গুলো সাধারনত অনেক কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।
Duel Core Processor: এই ধরনের প্রসেসর গুলোতে আপনি দুইটি করে core দেখতে পারবেন। যেখানে আলাদা করে দুটি চিপ লাগানো থাকে। যার তুলনায় এই ধরনের প্রসেসর গুলো সিঙ্গেল কোর প্রসেসর এর তুলনায় বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।
Quad Core Processor: সিঙ্গেল কোর প্রসেসর এর তুলনায় আরও ৪ গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে Quad Core Processor. কারন এই ধরনের প্রসেসর গুলো মোট ৪ টি কোর থাকে।
অর্থ্যাৎ, কোয়াড কোর যুক্ত প্রসেসর গুলোতে আলাদা আলাদা ভাবে ৪ টি চিপ লাগানো থাকে।
Hexa Core Processor: উপর এর সবগুলো প্রসেসর এর তুলনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর হলো Hexa Core Processor. যেখানে আপনি মোট ৬ টি অধিক শক্তি সম্পন্ন কোর দেখতে পারবেন।
যা অন্যান্য প্রসেসর এর তুলনায় প্রায় ৬ গুন বেশি স্পিডে কাজ করতে পারবে।
Octa Core Processor: আমরা উপরের আলোচনায় জেনেছি যে, যে প্রসেসর এর অধিক পরিমানে কোর থাকে। সেই প্রসেসরটিও আরও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।
আর এটি আপনি তখনি বুঝতে পারবেন, যে ডিভাইস গুলোতে মূলত Octa Core Processor. কারন এই ধরনের প্রসেসর গুলোতে প্রধানত ৮ টি করে কোর আছে।
Deca Core Processor: বর্তমান সময়ে অন্যান্য যতগুলো প্রসেসর আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর হলো Deca Core Processor. যেখানে আপনি অন্যান্য প্রসেসর এর তুলনায় অধিক মাএায় কোর দেখতে পারবেন।
এই ধরনের প্রসেসর গুলোতে আপনি মোট ১০ টি কোর দেখতে পারবেন। যা অন্যান্য প্রসেসর এর তুলনায় প্রায় ১০ বেশি স্পিডে কাজ করতে পারবে।
তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, আপনি যতো বেশি কোর যুক্ত Processor কিনবেন। তার বাজারদর কিন্তুু এই কোর অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকবে। আপনি যদি কম কোর এর প্রসেসর কিনেন।
তাহলে আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে সেগুলো কিনতে পারবেন। আবার আপনি যদি অনেক দ্রুত কাজ করার জন্য বেশি Core যুক্ত প্রসেসর কিনেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে অনেক বেশি পরিমানে টাকা ব্যয় করতে হবে।
Processor clock speed মানে কি?
সাধারনভাবে আমরা যদি Processor Clock Speed কে ক্লক রেট বলি। তাহলেও কিন্তুু আমাদের কোনো প্রকার ভুল হবে না। কারন এটা আমরা সবাই জানি যে, একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কিরকম পারপরমেন্স দিবে তা কিন্তুু অনেক কিছু বিষয় এর উপর নির্ভর করে থাকে।
যেমন কোনো একটি ডিভাইস এ কিন্তুু বিভিন্ন ধরনের কম্পোনেন্ট থাকে। যেমন, Ram, Rom, Hard Drive, Motherboard ইত্যাদি। আর একটি ডিভাইস কি পরিমান গতিতে আউটপুট প্রদান করবে।
সেগুলো কিন্তুু এইসব কম্পোনেন্ট এর উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তুু প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, Processor clock speed মানে কি? -তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
সাধারন অর্থে যখন কোনো প্রসেসর তার প্রসেসিং করার কাজটি সম্পন্ন করার জন্য CPU এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই সিপিইউ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, Fixed Number Of Clock Tricks. যাকে এক কথায় বলা হয়ে থাকে প্রসেসর ক্লক স্পিড।
আর এই Processor Clock Speed যতো বেশি হবে। আপনার সেই ডিভাইসটি ততো বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। আর এর ফলে আপনি এই ডিভাইস গুলো দিয়ে অধিক পরিমান কাজ অনেক কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন।
তো কোনো একটি ডিভাইসে থাকা প্রসেসর গুলো ইনপুট থেকে আসা কমান্ড গুলোকে Execute করার জন্য যে পরিমান Clock Speed এ কাজ করবে।
সেই কাজের উপর ভিওি করে এই ক্লক স্পিড কে আবার দুইটি ভাগে ভাগ করা সম্ভব। যেমন,
MHz: এখানে মূলত 1 Million Cycle Per Second অনুযায়ী ক্লক স্পিডকে এক্সিকিউট করা হয়ে থাকে।
GHz: এখানে মূলত 1 Thousand Cycle Per Second অনুযায়ী ক্লক স্পিডকে এক্সিকিউট করা হয়ে থাকে।
আর এটা বলা বাহুল্য যে, আপনার সিপিইউ যতো বেশি স্পিডে কাজ করতে পারবে। আপনি সেই ডিভাইস টি ততো বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। অর্থ্যাৎ আপনি সেই ডিভাইস দিয়ে অনেক গুন বেশি পরিমানে কাজ করতে পারবেন।
প্রসেসর তৈরি করে এমন কিছু বিখ্যাত কোম্পানির নাম
যেহুতু আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে প্রসেসর কি বা প্রসেসর কাকে বলে – সে সম্পর্কে জানতে পারলেন৷ সেহুতু আপনার Processor তৈরি করে, এমন কিছু কোম্পানির সাথে পরিচিত হওয়া উচিত।
তাহলে আপনার জানা থাকবে যে, বর্তমান বিশ্বে এমন কোন ধরনের কোম্পানি আছে। যারা মূলত প্রসেসসর তৈরি করার কাজ করে থাকে।
তো পূর্বের তুলনায় আজকের দিনে আপনি এমন অনেক ধরনের কোম্পানি দেখতে পারবেন। যারা মূলত দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ডিভাইস এর জন্য প্রসেসর তৈরি করে আসছে। যেমনঃ
- Intel
- AMD
- Qualcomm
- Motorola
- Samsung
- IBM
হুমমম আপনি বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ডিভাইসে যেমন বিভিন্ন ধরনের প্রসেসর দেখতে পান। সেগুলো কিন্তুু উপরে থাকা কোম্পানি গুলো তৈরি করে থাকে।
আর যেগুলো আমরা আমাদের ডিভাইস গুলো তে ব্যবহার করার ফলে অনেক কাজ করতে পারি।
প্রসেসর এর দাম কেমন হয়?
চলুন এবার আমরা প্রসেসর এর দাম নিয়ে কিছুটা ধারনা নেয়ার চেস্টা করি। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি যদি কোনোদিন মার্কেটে Processor কিনতে যান।
তাহলে যেন আপনাকে ঠকতে না হয়। তাই আগে থেকে এর দাম গুলো জেনে নেয়াটা আপনার জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। তো বর্তমান বাজারে আপনি বিভিন্ন ধরনের দাম এর প্রসেসর দেখতে পারবেন।
এই দাম গুলো মূলত তাদের কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে হয়। এখন আপনি যতো বেশি কোর যুক্ত প্রসেসর কিনবেন। আপনাকে ততো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে।
অপরদিকে আপনি যদি কম Core যুক্ত প্রসেসর কিনতে চান। তাহলে আপনি অনেক কম দামে পেয়ে যাবেন। তো দামের তারতম্যের উপর নির্ভর করে আপনি এমন অনেক ধরনের প্রসেসর দেখতে পারবেন। যেমনঃ
AMD Processor Price: বর্তমান সময়ে মার্কেট গুলোতে যেসব AMD প্রসেসর দেখা যায়। সেগুলো মূলত ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজার মূল্য হয়ে থাকে।
আর আপনি তো অলরেডি জেনে গেছেন যে আজকের দিনে AMD হলো জনপ্রিয় একটি প্রসেসর তৈরি করার কোম্পানি। যেখান থেকে আপনি অনেক ভালো মানের Processor কিনতে পারবেন।
Intel Core i7 Price : বর্তমান মার্কেটে অন্যতম একটি প্রসেসর হলো intel core i7. যা আপনি মার্কেট থেকে কিনলে ৩৬,০০০/- টাকা ব্যয় করে কিনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসে অধিক কাজ করতে পারবেন।
Intel Duel Core: আমরা জানি যে, যেসব প্রসেসর গুলো দুই কোর বিশিষ্ট হয়। তাকে বলা হয় ডুয়েল কোর প্রসেসর। সাধারন এই ধরনের দুই কোর বিশিষ্ট প্রসেসর মার্কেট থেকে ২,৫০০/- টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারবেন ৷
Processor i9: আমার দিক থেকে অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি প্রসেসর হলো i9.যার অধিক পরিমানে কোর রয়েছে। এবং এই ধরনের প্রসেসর দিয়ে আপনি আপনার ডিভাইস এর কাজের গতিকে কয়েক গুন বাড়িয়ে নিতে পারবেন ৷
আর এই প্রসেসরটি অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ার কারনে এর বর্তমান মার্কেট প্রাইজ হলো ১,৪৫,০০০/- টাকা।
Processor কি নিয়ে আমাদের শেষকথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমি প্রসেসর কি সেই নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছি। আশা করি আপনিও প্রসেসর কি বা প্রসেসর কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এরপরও আপনার প্রসেসর নিয়ে যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে ছোট্ট করে একটা Comment করবেন। আমি আপনার কমেন্টের উত্তর দ্রুত দিব। আর আর্টিকেল কেমন হয়েছে জানাবেন।
আপনার একটি ভাল কমেন্ট লেখার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়। InfoportalBD.com ব্লগের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ…