প্রিন্টার কি : What is printer in bengali ? প্রিন্টার কাকে বলে ? প্রিন্টার হলো, এমন একটা উন্নত প্রযুক্তি বিশেষ একটা ডিভাইস।
যার মাধ্যমে আপনি আপনি একটি কম্পিউটার থেকে কোনো Text, Image, Character কে কাগজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়।
আর সে কারনে প্রিন্টার কে কম্পিউটার এর আউটপুট ডিভাইস (Output Device) বলা হয়ে থাকে।
আজকের দিনে ব্যাপক হারে Printer এর ব্যবহার হয়ে আসছে। যা রিতীমত অবাক করে দেয়ার মতো।
কেননা, এখন আপনি বাজারের দোকান থেকে শুরু করে নিজের বাড়ি স্কুল,কলেজ,দপ্তরের আশেপাশে প্রায় সব জায়গাতেই প্রিন্টার দেখতে পারবেন।
কিন্তুু এখনও অনেক মানুষ আছেন, যারা এখনও জানেনা প্রিন্টার কি।
তো যদি আপনি না জেনে থাকেন যে, প্রিন্টার কি (What is ptinter in bangla) প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি অথবা প্রিন্টার এর কাজ কি ?
তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মন দিয়ে পড়বেন। তাহলে আপনার মনে থাকা প্রিন্টার কি নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো স্টেপ বাই স্টেপ জানতে পারবেন ৷
তাহলে চলুন সরাসরি আজকের মূল টপিক Printer কি যাওয়া যাক ।
প্রিন্টার কি ? (What Is Printer in Bangla)
সহজ ভাষায় বলতে গেলে প্রিন্টার হলো এক ধরনের উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস। যা কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত থাকে।
এবং কম্পিউটার এর মাধ্যমে এই ডিভাইস এর সাহায্য কোনো প্রকার Text কে একটি কাজগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার হয়।
আর সে কারনে প্রিন্টারকে বলা হয়, কম্পিউটার আউটপুট ডিভাইস।
আপনি আরো দেখতে পারেন…
- ফটওয়্যার কি ? সফটওয়্যার এর কাজ কি ও কত প্রকার?
- ব্লগিং কি ? কেন এবং কিভাবে ব্লগিং শুরু করব ?
- সিস্টেম সফটওয়্যার কি? সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ কি?
যখন কোনো text, character অথবা image কে একটি ব্ল্যাংক পেপারের উপরে প্রিন্ট করার দরকার হয়ে থাকে। তখন মূলত এই প্রিন্টার নামক ডিভাইসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রিন্টার এর ইতিহাস – (History of printers in Bangla)
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রতিটা আবিস্কারের পেছনে কোনো না কোনো ইতিহাস আছে। ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আমরা যাকে প্রিন্টার হিসেবে জানি সেটি আবিস্কারের পেছনেও বিরাট একটা ইতিহাস রয়েছে।
তবে আমরা অধিকাংশ মানুষ প্রিন্টার কি সে সম্পর্কে জানলেও প্রিন্টার এর ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা। তো চলুন এবার History of Printer সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
যদি অনলাইন এর বিভিন্ন সোর্সে প্রিন্টার এর ইতিহাস সম্পর্কে খোজাখুজি করেন। তাহলে আপনি জানতে পারবেন যে, প্রিন্টার এর সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ১৮০০ সালে।
সেই সময়ে Charles Babbage নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন। যিনি সর্বপ্রথম মেকানিক্যাল প্রিন্টার এর ডিজাইন করেছিলেন। কিন্তুু প্রিন্টার এর প্রথম আবিস্কার হয়েছিলো ১৯৩৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
উক্ত সময়ে Chester Carison নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম Electro Photography নামে পরিচিত এক ধরনের Dry Printing Process আবিস্কার করেছিলেন।
কিন্তুু প্রিন্টার হলো ইতিহাসের এমন একটি ডিভাইস। যাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ নানা ভাবে ডেভলপ করার কাজ করেছে। যেমনঃ
- ১৯৮৮ সালে FDM = Fused Deposition Modeling এর সাহায্য এই টেকনোলোজি কে আরো বেশি উন্নত করা হয়। যাকে মূলত থ্রিডি প্রিন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- ১৯৮৪ সালে আবার HP তাদের লেজার প্রিন্টার কে আবিস্কার করে।
- ১৮৬৮ সালে Christopher Sholes এর মাধ্যমে টাইপরাইটার ইভেন্ট তৈরি করা হয়। যাকে মূলত প্রিন্টার এর অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
- ১৯৫৭ সালে IBM নামের একটি বিশেষ কোম্পানি Dot matrix Printer কে পুনরায় আরো উন্নতভাবে ডেভলপ করা হয়ে থাকে।
- ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম Centronix এর সাহায্য Dot metrix Printer কে আরো উন্নত ভাবে ডেভলপ করা হয়।
তো, আপনি যদি বিষদভাবে প্রিন্টার এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান।
তাহলে এ বিষয়ে অনেক কিছু লিখতে হবে। তবে আপনি শুধু এটুকু জেনে রাখেন যে, প্রিন্টার এর উদ্ভাবন এবং ডেভলপিং এর পেছনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের হাত রয়েছে।
প্রিন্টারের কাজ কি ?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি Printer কি এবং প্রিন্টার এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি সে সম্পর্কে পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন।
তো এবার আপনাকে আরো একটি বিষয়ে জানতে হবে। সেটি হলো প্রিন্টার এর কাজ কি। তো চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
তো দেখুন, আসলে প্রিন্টার যেভাবে কাজ করে। সেগুলোর উপর ভিওি করে Printer এর কাজ কে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
যেমন, একটি হলো Impact Printer এবং অন্যটি হলো Non impact printer. তো আপনি যদি একান্তভাবে প্রিন্টার কিভাবে কাজ করে তা জানতে চান।
তাহলে আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে।
প্রিন্টার এর স্পেসিফিকেশন গুলো কি কি ?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি প্রিন্টার কি এবং প্রিন্টার এর কাজ কি। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তো এবার আপনি Printer Specification নামের আরো একটি বিষয়ে জানতে পারবেন।
যা কোনো একটি প্রিন্টার এর সাথে গভিরভাবে সম্পর্ক যুক্ত।
তাই প্রিন্টার কি সেটি জানার পাশাপাশি আপনাকে প্রিন্টার স্পেসিফিকেশন সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
তবে শুরুতে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, কোনো একটি Printer এর স্পেসিফিকেশন মূলত প্রিন্টিং এর কাজের উপর নির্ভর করে থাকে।
এবার আমি সেই প্রিন্টিং Specification সম্পর্কে বিষদভাবে আলোচনা করা যাক।
০১| Colour Specification
কোনো একটি প্রিন্টার এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কালার (Colour). কারন, এর মাধ্যমে আমরা প্রিন্ট করার পর কাগজে কোনো লেখা বা ইমেজ কে দেখতে পাই।
আর সে কারনে একটি প্রিন্টার কি এই সম্পর্কে জানতে গেলে সবার আগেই Printer Colour সম্পর্কে জেনে নিতে হবে ৷ তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যদি আপনার কালার প্রিন্ট এর প্রয়োজন না হয়ে থাকে।
তবে আপনার Monochrome printer ব্যবহার করা উচিত। কারন, এর সাহায্য আপনি কেবল সাদা এবং কালো প্রিন্ট করতে পারবেন৷
০২| Speed Specification
যখন আপনার একাধিক প্রিন্ট করার দরকার হবে। তখন আপনাকে সেই Printer এর Speed এর উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারন আপনি যদি লো স্পিডের প্রিন্টার কিনে নেন।
তাহলে সেই প্রিন্টার দিয়ে আপনি বেশি পরিমান Documents প্রিন্ট করতে পারবেন না। সচরাচর আমরা যেসব লো বাজেটের প্রিন্টার দেখতে পাই।
সেগুলো শুধুমাত্র ৩ থেকে ৬ টা শিট প্রতি মিনিটে প্রিন্ট করা যায়। তাই যদি আপনার Print করার চাহিদা থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো মানের দামি প্রিন্টার কিনতে হবে।
০৩| Memory Specification
আপনি কি জানেন, আমাদের ব্যবহার করা প্রিন্টার গুলোর মধ্যে স্বল্প পরিমানে মেমোরি (Memory) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
হুমম! বর্তমান সময়ে আমরা যেসব Printing Machine ব্যবহার করি ৷ তার সবগুলোতে এই ধরনের কম পরিমানে মেমোরি ব্যবহার করা হয়।
আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই ধরনের Printing Memory গুলো আপনি আপনার চাহিদা মতো বাড়িয়ে নিতে পারবেন। তবে এগুলোর সাইজ খুব একটা বড় হয়না।
০৪| Resolution Specification
সত্যি বলতে কোনো একটি প্রিন্টার এর সাথে রেজুলেশন এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কারন, আমরা যেসব Text, image কে ব্ল্যাংক পেজে প্রিন্ট করি।
সেগুলোর কোয়ালিটি কে সংক্ষেপে বলা হয়, Resolution. আর কোনো একটি প্রিন্টার থেকে কেমন কোয়ালিটির প্রিন্ট হবে। সেটি মাপা হয় Dot per inch হিসেবে। যাকে সংক্ষেপে বলা হয়, (DPI).
প্রিন্টার কত প্রকারের ও কি কি ? (Types of printer)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি প্রিন্টার কি (Printer ki) এবং প্রিন্টার এর স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
তো এবার আপনাকে আরো একটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। সেটি হলো, প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি। কারন, আমরা যেসব Printer দেখি। সেগুলো মূলত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ
- impact printer ও
- Non impact printer
তবে শুরুতেই একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, আমরা যেসব প্রিন্টার ব্যবহার করি। সেই ব্যবহার উপর নির্ভর করে আপনি মোট ২ ধরনের প্রিন্টার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন,
- inkjet printer এবং
- Laser Printer
কিন্তুু প্রিন্টার আসলে কত প্রকার, তা এই ব্যাবহারিক দিক থেকে বিবেচনা করা ঠিক হবেনা। কেননা, প্রতিটা কম্পিউটার এর সাথে যুক্ত থাকা প্রিন্টার গুলোকে মোট ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন,
- impact printer ও
- Non impact printer
তো এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ধারনা না থাকলে তেমন কিছুই বুঝতে পারবেন না। তাই চলুন এবার এই দুই রকমের প্রিন্টার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
# impact printer কি ?
যখন কোনো একটি প্রিন্টার তার প্রিন্টিং করার কাজটি কোনো টাইপরাইটার এর মতো করে থাকে। তখন তাকে বলা হবে, impact printer.
আর সাদা কাগজের উপর প্রিন্ট করার জন্য ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। প্রথমত এটি কোনো কিছুকে প্রিন্ট করার জন্য ছাপার কালির রিবন এর উপর জোড়ে জোড়ে চাপ দেয়।
আর এই চাপের প্রভাবে ছাপার কালির সাহায্য কোনো text বা image কে কাগজের উপর প্রিন্ট করা সম্ভব হয়। আর সে কারনে এটি ink ribbon এবং Paper এর মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।
তবে আপনি যদি Printing করার জন্য impact printer ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন,
- এই ধরনের ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার গুলো অনেক সস্তা দামের হয়ে থাকে। যার কারনে, আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে এই ধরনের প্রিন্টার কিনতে পারবেন।
- যখন আপনি impact printer দিয়ে কোনো কিছুকে প্রিন্ট করবেন। তখন আপনি একটা বিষয় খেয়াল করতে পারবেন। সেটি হলো, প্রিন্ট করার সময় এই প্রিন্টার গুলো থেকে শব্দ বের হয়।
Impact printer এর কাজ কি ?
আপনি যদি একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, impact printer গুলো অনেকটা টাইপরাইটার এর মতোই কাজ করে থাকে।
আর এই কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য কোনো text, letter বা image কে পেপার এর মাধ্যমে প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আর সেই পেপারে প্রিন্ট করার জন্য বিশেষ এক ধরনের Hammer ব্যবহার করা হয়। যার সাহায্য ink ribbon এর মাধ্যমে স্ট্রাইক করা হয়ে থাকে।
এবং ink ribbon কে উক্ত পেপার এর মধ্যে দাবানো হয়। আর এভাবে মূলত কোনো একটি পেপারের মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় অংশ গুলো কে প্রিন্ট করা হয়ে থাকে।
আর impact printer এর বাস্তব একটি উদাহরন হলো, Dot matrix printer.
আপনার জন্য আরো লেখা…
- ওয়েবসাইট (Website) কি ? অনলাইনে ওয়েবসাইট কত প্রকার ?
- Ram কি ? Ram এর কাজ কি? কিভাবে কাজ করে
- সার্ভার কি ? Server কত প্রকার ও কি কি – What is Server in Bangla
তবে গুনগত মানের উপর ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার কে আবার বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। চলুন এবার সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
# Impact Printer কত প্রকার ও কি কি ?
কাজের বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে impact printer কে আবার বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা সম্ভব। কেননা, এই ধরনের ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার কে আবার মোট ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন,
- Dot Matrix
- Character Printer
- Line Printer
- Drum Printer
চলুন এবার এই চার প্রকারের ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।
০১| Dot Matrix printer
সর্বপ্রথম ১৯৫৭ সালে IDM এর সাহায্য তৈরি করা বিশেষ একটি প্রিন্টার এর নাম হলো, Dot Matrix Printer.
তবে গুনগন মানের উপর নির্ভর করে এই ধরনের ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার এর ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে কমে এসেছে।
এর প্রধান কারন হলো, বর্তমান সময়ে অন্যান্য প্রিন্টার গুলোর তুলনায় Dot Matrix printer অনেক কম স্পিডে কাজ করতে পারে।
তাছাড়া যখন আপনি কোনো লো কোয়ালিটি সম্পন্ন প্রিন্ট এর কাজ করবেন। তখন এই ধরনের ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে এখনও বিভিন্ন ব্যবসার কাজ এবং নানা ধরনের কোম্পানি গুলোতে Dot Matrix Printer ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
০২| Character Printer
যেসব প্রিন্টার দিয়ে একাবারে শুধুমাত্র একটি করে অক্ষর প্রিন্ট করা হয়। তাকে বলা হয়, Character Printer. এই ধরনের প্রিন্টার গুলো দামের দিক থেকে অনেক সস্তা।
কিন্তুু আপনি যেমন এই ধরনের Printer গুলোকে কম দামে কিনতে পারবেন। অপরদিকে এর প্রিন্টিং কোয়ালিটিও অনেক লো হবে।
কারন, এটি খুব ধীর গতিতে প্রিন্টিং করে থাকে। যার কারনে, আজকের দিনের বেশিরভাগ মানুষ এই ধরনের প্রিন্টার ব্যবহার করতে চায়না।
আর এই ধরনের Character Printer গুলোকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন,
A) Dot matrix printer এবং
B) Daisy Wheel Printer.
০৩| Line Printer
এই ধরনের বিশেষ প্রিন্টার গুলো পুরো একটি Line of Text কে প্রিন্ট করতে পারে। আর সে কারনে এই ধরনের প্রিন্টার গুলোকে বলা হয় Line Printer.
এটি অনেক দ্রুত গতিতে প্রিন্ট করতে পারে এবং এর প্রিন্টিং কোয়ালিটিও অনেক ভালো মানের। সে কারনে উপরে আলোচিত ২ প্রকারের প্রিন্টার এর চেয়ে Line Printer কে অধিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
০৪| Drum Printer
এই ধরনের প্রিন্টার গুলো অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। কেননা, এটি প্রতি মিনিটে ৩০০ থেকে ২০০০ ক্যারেক্টার পর্যন্ত প্রিন্ট করতে পারে।
আর এটি দেখতে কিছুটা ড্রাম এর মতো। যার কারনে একে বলা হয়, Drum Printer. আর এই ড্রাম আকারের বস্তুুটি খুব দ্রুতগতিতে ঘুরার ফলে কাগজের উপরে কোনো Text কে প্রিন্ট করা হয়ে থাকে।
# No-Impact Printer কি ?
যেসব প্রিন্টার গুলো মূলত Laser Technique এর সাহায্য কাজ করে থাকে। তাকে বলা হয়, নন ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার। এই ধরনের Non-impact Printer গুলোর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট আছে।
যার কারনে আজকের দিনে অধিক সংখ্যক মানুষ এই ধরনের প্রিন্টার গুলো ব্যবহার করে থাকে।
যেমন, আপনি যদি এই ধরনের প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করেন। তাহলে এই সময়ে আপনি কোনো প্রকার শব্দ শুনতে পারবেন না। এবং এর মাধ্যমে প্রিন্টিং এর অনেক ভালো কোয়ালিটি পাবেন।
তবে এতোকিছু সুবিধা থাকার কারনে এই Non impact printer গুলো অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়।
No impact printer এর কাজ কি ?
যদি আপনি নন ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার সম্পর্কে জানতে চান। তবে আপনাকে আরো দুটো ভাগ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারন এই মাধ্যমে মূলত আরো দুটি পদ্ধতিতে কাজ করা হয়ে থাকে।
প্রথমটির নাম হলো, inkjet printer এবং অন্যটি হলো Laser Printer.
তো inkjet printer এর মাধ্যমে নজেল এর সাহায্যে ink এর ভেতরে থাকা ছোট ছোট ফোটার মাধ্যমে বিশেষভাবে স্প্রে করা হয়ে থাকে।
এবং এই Spray করা হয় বলেই আমরা কোনো ক্যারেক্টার বা ইমেজকে কাগজের উপরে প্রিন্ট করা দেখতে পাই।
কিন্তুু আপনি যদি কোনো কিছুকে স্প্রে করে প্রিন্ট করতে না চান। তবে আপনাকে Leaser Printer ব্যবহার করতে হবে।
কেননা, প্রিন্টিং কাজের সুবিধার জন্য এই লেজার প্রিন্টার কে আরো উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রিন্টিং এর কাজ গুলো একটু ভিন্নভাবে হয়ে থাকে।
এই ধরনের Leaser এর সাহায্য বিশেষভাবে কাজ করা হয়ে থাকে।
যেমন, একটি Mirror এর মাধ্যমে laser beams এর মধ্যে দিয়ে Drums নামক একটি মেটাল সিলিন্ডার এর মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আরো কিছু বিশেষ কাজের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হয়ে থাকে।
# No-Impact Printer কত প্রকার
আপনি যদি জানতে চান যে No-Impact Printer কত প্রকার ও কি কি তাহলে এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।
ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার কে দুইটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন,
- Laser Printer
- Inkjet Printer
চলুন এবার এই দুটি ভাগের প্রিন্টার সম্পর্কে একটু ধারনা নেয়া যাক।
১. Laser Printer
১৯৭০ সাল থেকে প্রিন্টিং কাজের জন্য ব্যবহার করা একটি প্রিন্টার এর নাম হলো, Laser Printer.
আজকের দিনে যারা নতুন নতুন প্রিন্টার কিনবেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ ই এই ধরনের Printer ব্যবহার করে থাকেন। এই ধরনের প্রিন্টার গুলো বিশেষ একটা গুন আছে।
সেটি হলো এরা খুব দ্রুততার সাথে অধিক Page Print করতে পারে।
২. Inkjet Printer
এই প্রিন্টারের মাধ্যমে আপনি নানা ফরম্যাটের ফাইল গুলো প্রিন্ট করতে পারবেন। আর সেই কারনে inkjet printer কে CMYK Printer বলা হয়ে থাকে।
নিজের ঘর কিংবা অফিস প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রিন্টার কি নিয়ে আপনি কি কি শিখলেন?
ছোট্ট এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। নিচে সেগুলোর লিস্ট দেয়া হলো।
- প্রিন্টার কি উত্তর
- প্রিন্টার কি কত প্রকার
- প্রিন্টার কি ডিভাইস
- ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার কি
- লেজার প্রিন্টার কি
- ইঙ্কজেট প্রিন্টার কি
- প্রিন্টার এর ব্যবহার
- ইন্টার প্রিন্টার কি
উপরোক্ত বিষয় গুলো নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
Printer কি নিয়ে শেষ কিছুকথা
প্রিন্টার কি, printer কিভাবে কাজ করে এবং কত প্রকার তা এই আর্টিকেলে সহজভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আশা করি এরপর থেকে আর Printer ki নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন থাকবে না।
আপনি আরো পড়তে পারেন…
- ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
- অনলাইনে লুডু খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
তার পরে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে এখানে কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। অথবা আপনি অন্য কিছু জানতেই চাইলেও নতুন আর্টিকেল লিখে শেয়ার করব।
আর Bangla it blog সর্বদাই এভাবে নানা বিষয়ে নতুন নতুন লেখা পোস্ট করে। আর নতুন কিছু জানতে আমাদের সাথে থাকুন।