প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় (Passive income in Bangladesh)

কখনো শুনেছেন? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। এটাই হল প্যাসিভ ইনকামের জাদু। আপনি যখন ঘুমাচ্ছেন, বেড়াচ্ছেন বা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত আছেন, তখনও আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে! কেমন লাগছে?

প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় (Passive income in Bangladesh)
প্যাসিভ ইনকাম কি

আজকের এই ব্যস্ত জীবনে সবারই একটু অতিরিক্ত আয়ের প্রয়োজন। প্যাসিভ ইনকাম এই প্রয়োজনটাকেই পূরণ করে। নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অনেকেই প্রচলিত ৯-৫ চাকরির বাইরে কিছু অতিরিক্ত আয়ের উপায় খুঁজছেন, যেখানে নিজস্ব সময় ও প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করার পরেও আয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না। এই ক্ষেত্রে প্যাসিভ ইনকাম একটি চমৎকার সমাধান। কিন্তু, প্যাসিভ ইনকাম আসলে কি?

এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব Passive income নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে নিই, Passive income কি, কেন প্যাসিভ ইনকাম করা প্রয়োজন এবং কিভাবে আপনিও এই Passive income আয়ের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

অনলাইন ইনকাম নিয়ে আরোও দেখুন…

প্যাসিভ ইনকাম কি (What is Passive income in bangla)

প্যাসিভ ইনকাম হল এমন এক ধরনের আয় যা আপনাকে সবসময় ধরে কাজ করতে হয় না। একবার সেটআপ করে দিলে বা কাজ করে রেখে দিলেই হয়, এই  ইনকাম আপনার কাছে নিয়মিত আসতে থাকবে।

একে অন্যভাবে বলতে গেলে, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিই হল প্যাসিভ ইনকাম। বোঝতে পারতেছেন না ? তাহলে আরোও সহজ করে বলা যায়।

আপনি যদি একজন গ্রাফিক ডিজাইন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে ক্লায়েন্ট কাজ দিলে এবং তার কাজ পছন্দ হওয়ার পর ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিবে।

আপনি যদি কাজ না করেন, তাহলে টাকা পাবেন না। কিন্তু আপনি যদি আপনার কাজ গুলা কোন মাইক্রোস্টোক সাইটগুলাতে আপলোড করে রাখেন। তাহলে আপনার ডিজাইন কেউ ক্রয় করলে আপনার ইনকাম হবে।

আর সে ডিজাইন যতদিন থাকবে আর যতদিন ক্রয় করবে। ততদিন আপনি ইনকামের অংশ পাবেন। তাহলে প্যাসিভ ইনকাম বলতে কি বোঝায় জেনে গেছেন।

মনে রাখবেন
প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য প্রথমে কিছু সময় এবং প্রচেষ্টা দিতে হবে। একবার সেটআপ হয়ে গেলে, আপনি নিয়মিত আয় করতে পারবেন।

কেন প্যাসিভ ইনকাম করা প্রয়োজন?

আমাদের কার না টাকা লাগে? জিবনে ভালো করে চলতে গেলে টাকা অনেক দরকারি। কে না চাইবে বাড়তি টাকা আয় করতে? তা যদি হয় একটিভ ইনকামের পাশা-পাশি করা যায়?

অনলাইনে বলেন বা অফলাইনে বলেন, প্যাসিভ ইনকাম বলেন বা একটিভ ইনকাম বলেন যা-ই করেন টাকা ইনকাম করা সহজ না। তবে কেমন লাগবে কোন কারণ বসত ২-৩ দিন কাজ করতে পারলেন না। কিন্তু আপনার টাকা একা একাই আপনার ইনকাম হয়ে গেলো কাজ না করেই?

হ্যা, ২-৩ দিন কাজ না করেই। আপনার আগের কাজ করা থেকে ইনকাম করলেন। যা দিয়ে আপনার ব্যস্ততার মাঝেও টাকা ইনকাম হয়ে গেল। কথাটা এমন হবে, একবার কাজ করে সাজিয়ে রাখলেন আর সে কাজ থেকে প্রতিনিয়ত ইনকাম হতে থাকল।

আমার মনে হয়, কেন প্যাসিভ ইনকাম করা প্রয়োজন এই সম্পর্কে আপনার আর কোন দ্বিধা নেই। আপনি জানতে পারবেন, ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে ।

কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়?

প্যাসিভ ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে, যা আপনার সময় ও প্রচেষ্টার সঠিক ব্যবহার এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। Passive income এর জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু সময় কাজ করতে হবে। তার কিছু দিন পর আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

প্যাসিভ ইনকাম করার অনেক উপায় আছে। তবে আজকে বেশ কিছু সহজ প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় নিয়ে কথা বলবো। যা সব গুলাই অনলাইনে করতে পারবেন। তাহলে চলুন, অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় নিয়ে জেনে নেই।

অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

উপরের লেখা থেকে আপনি জেনে গেছেন, প্যাসিভ ইনকাম কি বা প্যাসিভ ইনকাম কাকে বলে। তার সাথে আরো জেনে গেছেন আপনাকে কেন প্যাসিভ ইনকাম করতে হবে।

আসলে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় অনেক মাধ্যম রয়েছে কিন্তু বুঝতে পারে না কিভাবে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে হয়।

তবে অনেক গুলার মাঝে আপনাকে বেস্ট কিছু প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। যার মাধ্যমে প্যাসিভলি মাসে মাসে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কি কি উপায়ে প্যাসিভ ইনকাম করা যায় এর বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো;

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

ব্লগিং হল আজকের দিনে প্যাসিভ ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার যদি কোন বিষয়ে আগ্রহ থাকে এবং সেই বিষয়ে লেখার দক্ষতা থাকে, তাহলে ব্লগিং করে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন।

একবার আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে গেলে, আপনি ঘুমিয়ে থাকাকালীনও আপনার ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তার মাঝে আমি কিছু কমন উপায় নিয়ে জানাবো।

ব্লগিং করে কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করবেন তার কিছু তালিকা দিলাম। যেমন,

  • গুগল অ্যাডসেন্স: আপনার ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন এর দ্বারা আয় করতে করতে পারবেন।
  • স্পনসর্ড পোস্ট: কোনো কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিয়ে লেখা পোস্টের জন্য টাকা নিতে পারবেন।
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি: ই-বুক, কোর্স, বা অন্য কোন ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করা।
  • মেম্বারশিপ: আপনার ব্লগের কনটেন্টের জন্য সদস্যদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি এর দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কারণ এই বিষয়গুলা ঠিক কিভাবে করতে হয় বা কত দিন সময় লাগতে পারে। তার কিছু বেসিক আইডিয়া জানতে পারবেন।

  • নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড/আপডেট: আপনাকে নিয়মিত ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং প্রকাশ করতে হবে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার উপরে দেখানোর জন্য SEO ফ্রেইন্ডলি আর্টিকেল ব্যবহার করতে হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনার ব্লগকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে যাতে আপনার ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারে।
  • ধৈর্য: ব্লগিং থেকে আয় করতে সময় লাগতে পারে। ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। কম পক্ষে ১ বছর সময় নিয়ে আসবেন।

যদি আপনার কোন বিষয়ে জ্ঞান থাকে এবং লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত প্যাসিভ ইনকামের উৎস হতে পারে ব্লগিং করা।

ইউটিউবিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

ইউটিউব আজকের দিনে শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জায়গা নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে অনেকের জন্য আয়ের একটি প্রধান উৎস। ইউটিউবিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব, যা হলো একবার ভিডিও তৈরি করে দিলে পরবর্তীতে তা থেকে ক্রমাগত আয় করা।

কীভাবে এটা সম্ভব? একবার আপনার ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড হয়ে গেলে, তা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। যত বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে, তত বেশি বিজ্ঞাপন দেখবে এবং তত বেশি আপনি আয় করবেন। এছাড়াও, আপনি আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন পণ্য প্রচারণা করেও আয় করতে পারেন।

কিন্তু সফল ইউটিউবার হতে হলে কী করা জরুরি? সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করা, নিয়মিত আপলোড করা, দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং ইউটিউবের নীতিমালা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং, যদি আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা আছে এবং আপনি ভিডিও তৈরি করতে ভালোবাসেন, তাহলে ইউটিউবিং আপনার জন্য একটি দারুণ প্যাসিভ ইনকামের পথ হতে পারে।

ফেসবুক ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়োটর হয়ে

ফেসবুক ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকরী একটি উপায়। ফেসবুকে নিজের পেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করলে ধীরে ধীরে আপনার ফলোয়ার বেস গড়ে উঠবে।

ফেসবুকের “In-stream Ads” প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভিডিও কন্টেন্ট থেকে আয় করা সম্ভব, যেখানে আপনার ভিডিওর মাঝে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এছাড়া ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ, প্রোডাক্ট রিভিউ, এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আয় করা যায়।

একবার আপনার কন্টেন্ট ভাইরাল হলে এবং ফলোয়ার বেস বড় হলে, আপনার আপলোড করা ভিডিওগুলো থেকে নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম আসতে শুরু করবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইনে আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায়। এটি এমন একটি মার্কেটিং মডেল যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা সার্ভিস বিক্রয় করে কমিশন আয় করতে পারবেন।

আপনাকে শুধুমাত্র সেই পণ্য বা সার্ভিসের ইউনিক লিঙ্ক শেয়ার করতে হবে আপনার এইফিলিয়েট ব্লগ আর্টিকেলে। যখন কেউ সেই লিঙ্কের মাধ্যমে কেনাকাটা করে, তখন আপনি সেই বিক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ হিসেবে কমিশন পাবেন।

এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের চমৎকার উপায় একবার আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটি ব্লগে সেট করে দিলে, এটি ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে ৭ দিন কাজ করতে থাকে একবার কাজ শেষ করলে।

আপনি ঘুমিয়ে থাকার সময়ও আপনি আয় করতে পারেন। যদি আপনার লিংক থেকে কেউ কেনা কাটা করে। আর এইভাবে যতদিন কেউ কেনা কাটা করবে ততদিন ইনকাম পেতেই থাকবেন।

ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করে ইনকাম করা

ইনস্টাগ্রাম আজকের দিনে শুধু ছবি শেয়ার করার জায়গা নয়, এটি একটি বিশাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আপনি প্যাসিভ ইনকামের একটি চমৎকার উৎস তৈরি করতে পারেন।

কিভাবে?

  • ইনফ্লুয়েঞ্চার মার্কেটিং: আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট ফলোয়ার থাকলে, আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রডাক্ট সম্পর্কে প্রচার করে আয় করতে পারেন। এই প্রচারের জন্য কোম্পানিগুলো আপনাকে পেমেন্ট করে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট হয়ে তাদের পণ্যের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন আপনার ব্লগে। যখন কেউ সেই লিঙ্কের মাধ্যমে কেনাকাটা করবে, তখন আপনি কমিশন পাবেন।
  • নিজের প্রডাক্ট বিক্রয়: আপনি যদি কোনো প্রডাক্ট তৈরি করেন বা সার্ভিস দেন, তাহলে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তা বিক্রয় করতে পারেন।
  • স্পনসরড পোস্ট: অনেক কোম্পানি ইনস্টাগ্রামে স্পনসরড পোস্টের মাধ্যমে তাদের প্রডাক্ট প্রচার করে। আপনি যদি জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রামার হন, তাহলে আপনাকে এই ধরনের পোস্ট করার জন্য অনুরোধ করা হতে পারে।

আর এইভাবেই আপনি ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

গ্রাফিক ডিজাইন একটি সৃজনশীল পেশা যা থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। আপনি একবার ডিজাইন তৈরি করে বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে বিক্রির জন্য আপলোড করতে পারেন, যেমন Shutterstock, Adobe Stock, বা Creative Market।

এই ডিজাইনগুলো হতে পারে লোগো, ভেক্টর, আইকন, টেমপ্লেট, বা ফন্ট যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কিনতে পারে। একবার ডিজাইনগুলো আপলোড করার পর, তা থেকে ক্রেতাদের প্রতিটি ক্রয়ের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়াও, আপনি প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাইটগুলোতে আপনার ডিজাইন আপলোড করতে পারেন, যেখানে টি-শার্ট, মগ, বা পোস্টারের মতো পণ্যগুলোর উপর আপনার ডিজাইন প্রিন্ট করা হয় এবং বিক্রি হলে আপনি রয়্যালটি পেয়ে থাকেন।

এর ফলে একবারের পরিশ্রম দীর্ঘ সময় ধরে প্যাসিভ ইনকাম আনতে সক্ষম হয়।

ড্রপশিপিং বা ই-কমার্স থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

ড্রপশিপিং বা ই-কমার্স হলো প্যাসিভ ইনকাম অর্জনের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেখানে বিনা স্টক বা প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টের ঝামেলা ছাড়াই আপনি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ড্রপশিপিং মডেলে, আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে তৃতীয় পক্ষের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। যখন একজন ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোনো পণ্য কেনে, তখন সেই পণ্য সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে ক্রেতার ঠিকানায় পাঠানো হয়।

আর এভাবে, আপনাকে স্টক ব্যবস্থাপনা, প্যাকেজিং, বা শিপিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। একবার সঠিক পণ্য বাছাই করে, ওয়েবসাইট সেটআপ এবং মার্কেটিং কৌশল তৈরি করে ফেললে, এই প্রক্রিয়া থেকে প্যাসিভ ইনকাম তৈরি হতে থাকে, কারণ সিস্টেমটি প্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে।

প্যাসিভ মার্কেটপ্লেস কি

প্যাসিভ মার্কেটপ্লেস হলো এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি একবার আপনার কাজ অনলাইনে তুলে ধরে সেট করার পর আপনাকে একটিভ কাজ করতে হবে না। এটি এক ধরনের প্যাসিভ ইনকামের উপায় হতে পারে।

প্যাসিভ মার্কেটপ্লেস: একটি সহজ ব্যাখ্যা

প্যাসিভ মার্কেটপ্লেস হলো এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি একবার আপনার পণ্য বা সেবা তুলে ধরলে, সেটি বিক্রি হওয়া অবধি আপনাকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে না। এটি এক ধরনের প্যাসিভ ইনকামের উৎস হতে পারে।

প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে আমাদের শেষ

আশা করি, এই আর্টিকেলটি প্যাসিভ ইনকামের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিষ্কার করেছে। মনে রাখবেন, প্যাসিভ ইনকাম একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। ধৈর্য ধরে কাজ করলে আপনি নিশ্চিতভাবে সফল হবেন।

প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে আপনার প্রশ্ন থাকলে কমেন করে জিজ্ঞাসা করেন। আর অনলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন এই সম্পর্কে আমার ব্লগের এই ক্যাটাগরি থেকে অনলাইন আয় নিয়ে লেখা গুলা পড়তে পারেন।

Article Source:

https://en.wikipedia.org/wiki/Passive_income

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top