নিস সাইট কি | কিভাবে নিস সাইট থেকে ইনকাম করবেন (What Is Niche Site)

নিস সাইট এর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কম পরিমানে শ্রম ও সময় ব্যয় করেই যদি Niche Site থেকে ইনকাম করা যায়। তাহলে কেন আপনি এই সুযোগকে হাতছাড়া করবেন?

নিস সাইট কি | কিভাবে নিস সাইট থেকে ইনকাম করবেন (What is niche)
নিস সাইট কি

যদিও প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট এর শুরুটা হয় নিশ সাইট থেকে। এবং পরবর্তীতে কোনো একটা সময়ে সেই সাইট গুলো অথোরিটি সাইটে পরিনত হয়। 

তাছাড়া নিস সাইট এ আপনি অনেক রকমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট একটা সময়ে কাজ করবেন। এবং সেই কাজের বিনিময়ে আপনি লং টাইম ধরে ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি এসইও এর দিকে তাকান। তাহলে অন্যান্য সেক্টরের থেকে নিস সাইটে আপনি খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট কে Rank করাতে পারবেন।

হ্যালো ভিউয়ার, স্বাগতম আপনাকে InfoportalBD ব্লগের নতুন একটি এপিসোডে। আজকের আর্টিকেলে আমি Niche Site (Niche ব্লগিং ) রিলেটেড যাবতীয় বিষয় গুলোকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

যদি আপনি নিস সাইট নিয়ে কাজ করতে চান। কিংবা অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনো প্রকার স্কিপ না করে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

এসিও নিয়ে জানতে দেখুন…

নিস সাইট কি (What is niche site in bangla)

যখন আপনি কোনো স্পেসিফিক টপিক নিয়ে পুরো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। তখন সেই ওয়েবসাইট কে বলা হয়, নিস সাইট।

যেমন ধরুন, আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন। এবং সেই ওয়েসাইটে শুধমাএ Baby Troller নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করলেন। তাহলে কিন্তুু আপনার সেই এফিলিয়েট ওয়েবসাইট কে একটি Niche Site বলা যেতে পারে।

ঠিক এভাবেই আপনি যখন নির্দিষ্ট একটি টপিককে কেন্দ্র করে গোটা ওয়েবসাইট কে পূর্নতা দিবেন। তখন সেই ওয়েবসাইট কে বলা হবে, নিশ সাইট।

PRO TIPS:
নিস সাইট কি সেটি জানার আগে আপনাকে ” নিস মানে কি ?”- সে সম্পর্কে জানতে হবে। আর এই নিস সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে একটি পূর্নাঙ্গ আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। নিশ মানে কি? এখানে ক্লিক করে অবশ্যই সেই আর্টিকেল পড়বেন। তাহলে আজকের আলোচিত বিষয় গুলো আপনার বুঝতে সুবিধা হবে

নিশ সাইটের প্রকার ও কি কি?

নিশ সাইটের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকার নেই, কারণ নতুন নতুন বিষয় ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সাথে সাথে নিশ সাইটের ধরনও বদলাতে থাকে। তবে সাধারণত নিশ সাইটকে কয়েকটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:

কন্টেন্টের ভিত্তিতে:

  • ব্লগ: নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করে পাঠকদের আকৃষ্ট করা।
  • ই-কমার্স: নির্দিষ্ট পণ্য বিক্রি করা।
  • সার্ভিস প্রদান: কোনো নির্দিষ্ট সার্ভিস প্রদান করা (উদাহরণ: ফ্রিল্যান্সিং, কনসাল্টিং)।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অন্য কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে কমিশন আয় করা।
  • সামাজিক মিডিয়া: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কন্টেন্ট তৈরি করা।
  • ভিডিও: ইউটিউব বা অন্যান্য ভিডিও প্ল্যাটফর্মে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করা।
  • পডকাস্ট: অডিও কন্টেন্ট তৈরি করা।

কেন নিস সাইট তৈরি করা উচিত? 

যখন আপনি একটি নিস সাইট তৈরি করবেন। তখন এর সুবিধা সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। কারন আপনি যে কাজের পেছনে সময় ও শ্রম ব্যয় করবেন। সেই কাজের লাভজনক দিক সম্পর্কে যদি না জানেন।

তাহলে সেটা নিছক বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। দেখুন, শুধুমাত্র আপনি একা নন, বরং আপনার মতো অনেকেই Niche Site নিয়ে কাজ করে আসছে। কারন এই কাজে আপনি নানান ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন,

এককালীন পরিশ্রম

একটি Niche Site তৈরি করলে অন্যান্য সুবিধার চাইতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনাকে শুধমাএ নির্দিষ্ট একটা সময়ে পরিশ্রম করতে হবে। এবং পরবর্তীতে আপনাকে তেমন কোনো শ্রম দিতে হবে না।

তবে আবার এটা ভাইবেন না যে, শুধুমাএ একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। আর অটোমেটিক ইনকাম হতে থাকবে। সত্যি বলতে বিষয়টা এমন নয়।

দেখুন সেহুতু নিশ সাইট হলো নির্দিষ্ট একটি টপিককে কেন্দ্র করে ওয়েবসাইট তৈরি করা। সেহুতু আপনি যে নিসে কাজ করতে চান। আপনাকে সেই নিসের যাবতীয় টপিক গুলোকে কাভার করতে হবে। এবং যখন আপনি সেই টপিককে কভার করবেন।

এরপর আর আপনাকে কোনো প্রকারের শ্রম ব্যয় করতে হবে না। যেমন ধরুন, আপনি অন পেজ এসইও নিসে একটি সাইট তৈরি করলেন। এবার আপনি সেই সাইটে অন পেজ এসইও নিয়ে সবকিছু টপিক নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করলেন।

তো এরপর আপনাকে আর কিছু করতে হবে না। কারন আপনি ঐ সাইটের মূল টপিক একেবারে কভার করে ফেলেছেন। 

সহজেই টপ পজিশনে অবস্থান করা

একটি নিশ সাইট তৈরি করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন হলো, সহজেই ওয়েবসাইট কে Rank করানো যায়। যদি আপনি একটি নিস সাইটকে একটি অথোরিটি সাইটের সাথে তুলনা করা যায়।

তাহলে আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন যে, যেগুলো অথোরিটি ওয়েবসাইট। সেই সাইট গুলো Rank করানোর জন্য অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।

কিন্তুু অপরদিকে আপনি যদি একটি Niche Site কে সার্চ ইঞ্জিনে Rank করাতে চান। তাহলে কিন্তুু অথোরিটি সাইটের তুলনায় একটি নিস সাইট কে খুব দ্রুত টপ পজিশনে নিয়ে আসা সম্ভব।

আবার একই কিওয়ার্ড নিয়ে যদি একটি নিস সাইট এবং অথোরিটি সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। তাহলে কিন্তুু অথোরিটি সাইটের তুলনায় একটি নিস সাইট খুব দ্রুত Rank করবে। 

প্যাসিভ ইনকাম থেকে প্যাসিভ ইনকাম

একটি নিস সাইট তৈরি করার আরও একটি সুবিধা হলো, এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, “প্যাসিভ ইনকাম কি“? যখন আপনি নির্দিষ্ট কোনো সময়ে একটি কাজ করবেন। এবং পরবর্তীতে সেই কাজের বিনিময়ে অটোমেটিক ইনকাম জেনারেট হবে। তখন সেই ইনকামকে বলা হবে, প্যাসিভ ইনকাম।

যেমন, আপনি একটি নিস সাইটে কোনো একটি স্পেসিফিক বিষয়কে কভার করবেন। এরপর সেই ওয়েবসাইটে আর আপনাকে তেমন কোনো শ্রম দিতে হবে না।

কিন্তুু আপনার সেই ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসতে থাকবে। এবং আপনারও ইনকাম জেনারেট হতে থাকবে। 

কিভাবে নিস সাইট তৈরি করবেন ? 

আপনি নিস সাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন ৷ তাহলে আপনাকে এই সেক্টরে স্বাগতম। তবে এই কাজটি শুরু করার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

কারন একটি নিস সাইট কিন্তুু সেনসেটিভ একটি বিষয়৷ যদি আপনি এই কাজ সম্পর্কে প্রোপার স্ট্যাডি না করেন ৷ তাহরে কিন্তুু আপনাকে মাঝপথে গিয়ে ধরা খেতে হবে।

তো একটি Niche Site তৈরি করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। চলুন এবার সেই ধাপ গুলো নিয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করে নেই ৷ 

ধাপ ১- ডোমেইন হোস্টিং

তো প্রথম ধাপ হলো, আপনাকে একটি Domain এবং Hosting নিতে হবে। আর একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি উপযুক্ত কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিতে হবে।

তবে যখন আপনি ডোমেইন কিনবেন। তখন ডোমেইনের নামের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবেন ৷ আপনাকে এমন একটি ডোমেইন কিনতে হবে, সেটি আপনার আপনার নিস রিলেটেড হয়।

Worning:
দেখুন আমরা অনেকেই মনে করি যে, আমরা যদি মূল কিওয়ার্ডে ডোমেইন কিনি। তাহলে খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে Rank করাতে পারবো। কিন্তুু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, ডোমেইনে কিওয়ার্ড থাকার কারনে গুগল আপনাকে পেনাল্টি দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তবে যখন আপনি ডোমেইন কিনবেন। তখন লক্ষ্য রাখবেন, সেই ডোমেইনটিতে যেন সরাসরি সরাসরি আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড না থাকে। এবং চেস্টা করবেন যেন, সেই ডোমেইনটি যেন আপনার কিওয়ার্ডের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয়। 

এবং হোস্টিং এর কথা না বললেই নয়। কারন হোস্টিং হলো একটি ওয়েবসাইট এর ফুসফুস ৷ তাই আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং নিবেন। সেই কোম্পানির রিভিউ দেখে তারপর সিন্ধান্ত নিবেন।

ধাপ ২- পরিকল্পনা করা

যখন আপনি একটি নিস সাইটের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনবেন ৷ তারপর আপনাকে সুনির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা করতে হবে। আর সব কাজের শুরুতে একটা সুনির্দিষ্ট পরকল্পনা মানে হলো, সেই কাজের সফলতার দ্বাড়প্রান্তে পৌঁছানো।

তাই একটি Niche Site তৈরি আপনাকে বেশ কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সর্বমোট কত গুলো কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। কখন এবং কোন সময়ে সেই কন্টেন্ট গুলোকে পাবলিশ করা ঠিক হবে।

যখন কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন, তখন আপনাকে এসইও নিয়ে ভাবতে হবে। অর্থ্যাৎ, আপনি যে কিওয়ার্ড গুলোকে ফোকাস করে কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন ৷

সেই কিওয়ার্ডের জন্য আপনি কিভাবে অন পেজ এসইও করবেন, কিভাবেঅফ পেজ এসইও করবেন ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে আগে থেকেই একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে।  

ধাপ ৩- কিওয়ার্ড রিসার্চ করা

তৃতীয় ধাপে আপনাকে Proper Keyword Research করতে হবে ৷ অর্থ্যাৎ, আপনি যদি সঠিকভাবে এই ধাপটিকে সম্পন্ন করতে না পারেন ৷ তাহলে আপনার সময় ও শ্রম দুটোই বৃথা যাবে।

এখন প্রশ্ন হলো যে, আপনি আসলে কোন ধরনের কিওয়ার্ড গুলোকে সিলেক্ট করবেন?

তো যখন আপনি একটি নিস সাইটের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন। তখন সবার আগে আপনাকে সেই কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। অর্থ্যাৎ আপনাকে এমন কিওয়ার্ড গুলোকে খুজে নিতে হবে।

যে কিওয়ার্ড গুলো সম্পর্কে মানুষ সবচেয়ে বেশিবার সার্চ করে।

PRO TIPS:
PRO TIPS: কিওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে আমার ওয়েবসাইট একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। সেখানে Keyword Research কি? কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় এর সমস্ত খুটিনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি অবশ্যই সেই আর্টিকেল থেকে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নিবেন।

ধাপ ৪- কন্টেন্ট পাবলিশ করা

অন্যান্য ওয়েবসাইটে কি হয়, সেটা বড় কথা নয়। কিন্তুু নিস সাইটের ক্ষেএে একটা কথা সর্বদাই মাথায় রাখবেন। সেটি হলো, Content is king.

হুমম, একটি নিস সাইটের প্রান হলো কন্টেন্ট৷ আর আপনাকে এই বিষয়টিকে তুরুপের তাস হিসেবে গন্য করতে হবে। এবং আপনার ওয়েবসাইটের মূল প্রডাক্ট হলো, আপনার পাবলিশ করা কন্টেন্ট।

যেহুতু আপনি দ্বিতীয় ধাপে নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা করেছেন। সেহুতু সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আপনাকে সামনে এগুতে হবে। আপনার পরিকল্পনা মত রেগুলার কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে।

আর নিস সাইটের কন্টেন্ট পাবলিশ করার সময় Content Quality এর দিকে যথেষ্ট নজর রাখবেন। আপনার পাবলিশ করা কন্টেন্টের মান যেন এক’শ তে একশ হয়। সেই দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন।

ভিজিটররা কি জানতে চায়, কেন তারা আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, আপনার ওয়েবসাইটে আসার পর যেন ভিজিটররা পূর্নাঙ্গ তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে। আপনাকে সেই দিক গুলো নজরে রাখতে হবে।   

ধাপ ৫- এসইও করা

একটি Niche Site তৈরি করার পঞ্চম ধাপ অর্থ্যাৎ সর্বশেষ ধাপ হলো এসইও করা ৷ আর এর মাধ্যমে আপনার লেখা কন্টেন্ট গুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে Rank করাতে হবে।

প্রথমদিকে ON Page SEO এর দিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখবেন। যখন আপনার মনে হবে আপনি সঠিকভাবে অন পেজ এসইও এর কাজ গুলো সম্পন্ন করেছেন। তখন আপনি অফ পেজ এসইও করা শুরু করবেন।

OFF Page SEO করার সময় ব্যাকলিংককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন। আর আপনার তৈরি করা ব্যাকলিংক গুলো যেন কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়। এবং হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে। 

PRO TIPS:
এসইও কি, কিভাবে এসইও করতে হয় এবং OFF page seo, On Page Seo নিয়ে আমার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমানে আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি সেই আর্টিকেল গুলো পড়লে এসইও রিলেটেড অনেক কিছু জানতে পারবেন।

নিস সাইট এর কিছু সমস্যাবলি

আপনি এতোক্ষন ধরে নিস সাইট এর গুনাবলি সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তুু একটি Niche Site তৈরি করার সময় আপনার সামনে বেশ কিছু সমস্যা উন্মোচিত হবে। হয়তবা কারো কাছে এই সমস্যা গুলো তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।

আবার কারো কাছে গলায় কাঁটার মতো বিঁধে যাবে। তো সব সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো বাজেট। দেখুন একটি নিস সাইট তৈরিতে কিন্তুু বড় এমাউন্টের বাজেট নিয়ে নামতে হয়।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, “ভাই বড় এমাউন্ট এর বাজেট নিয়ে নামতে হয় কেন”?

তবে বড় বাজেট লাগার বেশ কিছু কারন আছে। প্রথমত আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং এ কিছু পরিমান প্রাথমিক ব্যয় করতে হবে। যা একটা কমন ব্যাপার।

তবে মূল ব্যয় হবে, কন্টেন্ট এবং এসইও করার পেছনে। আপনি ইতি মধ্যে জেনে গেছেন Niche সাইট কি। যেহুতু আপনি নিশ সাইট তৈরি করবেন। সেহুতু আপনার নিস রিলেটেড যতো টপিক আছে। সেই সবগুলো টপিক সম্পর্কে আপনাকে কন্টেন্ট কালেক্ট করতে হবে।

আর এই কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হবে। আর আপনি যদি কন্টেন্ট এর জন্য একজন Writer কে হায়ার করেন ৷ তাহলে কিন্তুু সেই রাইটার এর ডিমান্ড অনুযায়ী আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে।

যেমন, আমার পরিচিত এমন অনেক রাইটার আছে যারা প্রতি 1K ওয়ার্ডের Content এর জন্য 500BDT-1000BDT টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

আর একটি নিস সাইটের জন্য কিন্তুু আপনার পাবলিশ করা কন্টেন্ট গুলো 1K বা 2K Word এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। বরং আপনার যারা কম্পিটিটর তাদের থেকে বেশি শব্দের আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

যখন আপনার কন্টেন্টের বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। তখন আপনাকে এসইও করার জন্য প্রচুর পরিমানে অর্থ ব্যয় করতে হবে। আপনি যদি একজন দক্ষ এসইও এক্সপার্টকে দিয়ে এই কাজটি করিয়ে নেন।

তাহলে কিন্তুু সেই এসইও এক্সপার্টের ডিমান্ড অনুযায়ী আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে। মূলত এই কয়েকটি ক্ষেএে আপনাকে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হবে।

যার কারনে আপনি যদি নিশ সাইট তৈরি করতে চান। তাহলে অবশ্যই এর পেছনে আপনাকে মোটা অংকের বাজেট নিয়ে নামতে হবে। 

নিস সাইট তৈরিতে উল্লেখিত সমস্যার সমাধান 

যেহুতু উপরে একটি সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেহুতু এই সমস্যার সমাধান খুজে বের করা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে “ভাই আমার তো সেরকম বাজেট নাই। তাহলে কি আমি নিস সাইট তৈরি করতে পারবো না?

হ্যাঁ! ভাই আপনিও পারবেন। তবে আপনাকে পূর্বের তুলনায় একটু ক্রিয়েটিভ হতে হবে। দেখুন অনলাইন হলো এমন একটি সেক্টর। যার কোনো মানবিকতা নেই।

বাস্তবে যদি আপনি একদিন না খেয়ে থাকেন। তাহলে কেউ না কেউ আপনাকে একবার হলেও খেতে ডাকবে। কিন্তুু অনলাইন এমন একটি সেক্টর, যেখানে কেউ আপনাকে কোনো প্রকারের সহানুভূতি প্রদর্শন করবে না।

যদি আপনি এই অনলাইন সেক্টরে টিকে থাকতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার মধ্যে কিছুনা কিছু ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। আর এই সেক্টরে কেউ আপনাকে সফলতা এনে দিবে না। বরং আপনাকে নিজেই সেই সফলতার দুয়ারে পদার্পন করতে হবে।

তো এই Niche Site তৈরিতে যে বাজেটের সমস্যা হয়। এটা শুধুমাএ আপনার নয়, বরং অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকে। কিন্তুু আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে, তাহলে এই সমস্যাকে এক চুটকিতে উড়িয়ে দিতে পারবেন।

একটু ভেবে দেখুন, একটি নিস সাইট তৈরিতে আপনাকে কোন কোন জায়গা গুলোতে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। 

  • কন্টেন্টের জন্য এবং
  • এসইও এর জন্য 

এখন আপনি যদি এই কাজ গুলো নিজে থেকেই করতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে তেমন অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না। একজন কন্টেন্ট রাইটার এর পিছনে আপনি যে টাকা ব্যয় করবেন।

সেই কন্টেন্ট গুলো যদি আপনি নিজেই লিখতে পারেন। তাহলে আপনার পুরো টাকা কিন্তুু সেভ হয়ে গেলো। অপরদিকে যদি আপনার এসইও সম্পর্কে দক্ষতা থাকে। তাহলেও কিন্তুু আপনি আলাদা ভাবে বেনিফিট পাবেন।

একজন SEO Expert কে আপনি যে পরিমান টাকা দিবেন ৷ সেই এসইও এর কাজ গুলো যদি আপনি নিজেই করতে পারেন ৷ তাহলেও কিন্তুু আপনার সম্পূর্ন টাকা সেভ হয়ে গেলো।

এখানেও আবার অনেকের সমস্যা হতে পারে। এমন অনেকেই আছেন যারা নিজে থেকে কন্টেন্ট লিখতে পারে না এবং এসইও করতে পারে না। তো তারা এখন কি করবে?

যদি আপনিও এই সমস্যায় পড়েন, তাহলে আপনাকে আরও সময় ও শ্রম করতে হবে। কারন আপনাকে যেকোনো একটি উপায় বেছে নিতে হবে, হয় আপনি অর্থ ব্যয় করবেন নতুবা আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে।

যদি উপরের কোনো উপায় আপনার কাজে না লাগে। তাহলে আপনাকে শেখার কাজে যথেষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে।

যদি আপনি জানতে চান যে কিভাবে কন্টেন্ট লিখতে হয়। তাহলে আপনি নিচের লিংক থেকে আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

আর আপনি যদি এসইও সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচে দেওয়া লিংক গুলোতে ক্লিক করুন। এবং আর্টিকেল গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে এসইও সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

তো যদি আপনি উপরের আর্টিকেল গুলো পড়েন। তাহলে আশা করা যায়, আপনার নিস সাইট তৈরিতে যে সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হবেন। আপনি খুব সহজেই সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করতে পারবেন। 

কিভাবে নিস সাইট এর জন্য কন্টেন্ট লিখবেন?

তো আপনার Niche Site এর জন্য আপনি নিজেও কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। আবার অন্য কোনো রাইটার এর মাধ্যমেও লেখিয়ে নিতে পারবেন। এটা সম্পূর্ন আপনার উপরে নির্ভর করবে।

তবে আমার দৃষ্টিকোন থেকে আপনি যদি এই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজটি নিজে থেকেই করেন। তাহলে আপনি আলাদা বেনিফিট পাবেন।

কারন, ওয়েবসাইটের জন্য শুধু কন্টেন্ট লিখলেই হবে না। বরং সেই কন্টেন্ট টি যেন SEO Friendly হয়, সেই দিকেও নজর রাখতে হয়। আর এই কন্টেন্ট লেখার কাজটি যদি আপনি নিজে থেকেই করেন ৷ তাহলে এসইও এর বিষটি নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হবে না।

তবে আপনি যদি নিজে কন্টেন্ট লিখতে না পারেন। তাহলে আপনাকে অন্য কোনো রাইটারকে দিয়ে লেখাতে হবে। কিন্তুু কন্টেন্ট লেখার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমন,

  • কন্টেন্ট কত শব্দের হবে? 
  • কতবার Keyword Placement করবেন?
  • আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড কোথায় কোথায় রাখবেন? 
  • কিওয়ার্ড স্টাফিং হচ্ছে কিনা 
  • কন্টেন্ট কতটুকু রিডায়েবল 
  • সবশেষে কন্টেন্ট এর এসইও স্কোর কত

তো একটি এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট এ মূলত এই বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রাখলেই যথেষ্ট।

PRO TIPS:
কন্টেন্ট রাইটিং আমার ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা আছে। সেই আর্টিকেলটি পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং

নিস সাইট থেকে ইনকাম করার উপায়

এবার আসবো মূল টপিকে ৷ আসলে যখন আপনি একটি নিশ সাইট তৈরি করবেন। তখন আপনি সেই সাইট থেকে কি পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

দেখুন যেহুতু আমাদের মূল ফোকাস থাকে ইনকামের দিকে। সেহুতু এই বিষয়টি নিয়ে একটু খোলামেলা আলোচনা করি উচিত। এমন অনেকেই আছেন যারা অন্যের ইনকাম দেখে নিজেও একটি নিস তৈরি করার চিন্তা করে থাকে।

তবে ইহা কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেস্টাকে আমিও সমর্থন করছি।

তো এই নিস সাইট থেকে আপনি যে ইনকাম করবেন। সেই ইনকামকে বলা হয়, Passive income. যার অর্থ হলো, আপনি এককালীন পরিশ্রম করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন ৷ এবং সেই ওয়েবসাইট কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন।

এরপর আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটে কোনো প্রকার কাজ নাও করেন। তারপরেও কিন্তুু অটোমেটি ইনকাম জেনারেট হতেই থাকবে।

তবে আপনি কি পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। সেটি নির্ভর করবে আসলে আপনি কোন নিস নিয়ে কাজ করছে। সাধারনত যারা Niche Site নিয়ে কাজ করে। তারা বেশিরভাগ সময় Adsense, Affiliate কিংবা স্পন্সর থেকে ইনকাম করে থাকে।

তো এগুলো হলো শুধুমাএ ইনকাম করার উপায়। এখন আপনি এই উপায় গুলোকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনি ছোট্ট একটা সাইট থেকে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এমন অনেকেই আছেন, যারা শুধুমাত্র এফিলিয়েট থেকেই অনেক টাকা ইনকাম করে। আবার কেউ এডসেন্সকে ব্যবহার করেও টাকা ইনকাম করে।

এখন আপনি কোন উপায়কে কিভাবে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করবেন। তা সম্পূর্ন আপনার উপরেই নির্ভর করবে।

নিশ মার্কেটিং কি?

নিশ মার্কেটিং হল একটি মার্কেটিং কৌশল যেখানে কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্য একটি খুব নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বিক্রি করা হয়।

এই গ্রাহক গোষ্ঠীটি সাধারণত অন্যদের তুলনায় এই পণ্য এর প্রতি বেশি আগ্রহী থাকে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ক্যাট ফুড কোম্পানি কেবলমাত্র পার্সিয়ান বিড়ালের মালিকদের লক্ষ্য করে মার্কেটিং করতে পারে।

Niche Site নিয়ে আমাদের শেষকথা

নিশ সাইট একটি দুর্দান্ত উপায় অনলাইনে আয় করার এবং নিজের জ্ঞানকে অন্যদের সাথে শেয়ার করার। তবে সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

দেখতে দেখতে আর্টিকেলের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। তো এই পর্যায়ে আপনাকে কিছু বলবো না। বরং আপনার যদি নিস সাইট রিলেটেড আরও কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

আর যদি আপনাদের কমেন্ট পাই। তাহলে আমি চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার। Infoportalbd ব্লগের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top