কোনো একটি ওয়েবসাইটের জন্য গুগল পেনাল্টি হলো সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি বিষয়। একজন ব্লগার তার ওয়েবসাইটকে নিয়ে যতো স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্নকে নিমিষেই ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেয়ার জন্য একটি Google Plenty যথেষ্ট।
তিলে তিলে গড়া ওয়েবসাইটটি যখন গুগল পেনাল্টির আওতায় পড়ে। তখন যে কতটা খারাপ লাগে, সেটা শুধুমাএ সেই বুঝবে। যার কোনো ওয়েবসাইটকে একবার হলেও গুগল পেনাল্টি দিয়েছে।
হ্যালো বন্ধু, স্বাগতম আপনাকে infoportalbd ব্লগের নতুন একটি এপিসোডে। আজকে আলোচনার মূল বিষয় হলো, গুগল পেনাল্টি। মূলত, google pelanty কি, কেন একটি ওয়েবসাইট কে গুগল পেনাল্টি দেয়, এর ফলে ওয়েবসাইটে কিরকম প্রভাব পড়বে এবং কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
এই সবগুলো বিষয় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো। তো যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে কিংবা অলরেডি আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল পেনাল্টি দিয়েছে।
তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারন এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই লেখা হয়েছে।
গুগল পেনাল্টি কি? (what is google pelanty in bangla)
সহজ কথায় আপনার ওয়েবসাইটের যতোগুলো Data কে গুগল ইনডেক্স করেছিলো। সেই ডাটা গুলোকে পুনরায় ডিলেট করে দেয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় গুগল পেনাল্টি।
ধরুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। সেই ওয়েবসাইট এর বেশ কিছু Keyword Ranking এ আছে। এবং সেই কিওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ভিজিটরও আসে।
কিন্তুু হঠাৎ করে দেখলেন যে, আপনার সাইট আর আগের মতো পারফর্ম করছে না। অর্থ্যাৎ, আপনার যে কিওয়ার্ড গুলো পূর্বে Rank করছিলো। সেগুলো পর্যায়ক্রমে সার্চ রেজাল্ট এর পিছনে চলে যাচ্ছে। আবার কখনওবা সার্চ রেজাল্টে সেই কিওয়ার্ডে আপনার সাইটকে খুজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
এর পাশাপাশি আপনার সাইটে পূর্বের তুলনায় অনেক কম ভিজিটর আসছে। অথবা কোনো ভিজিটর ই আসছে না। তাহলে বুঝে নিবেন আপনার সেই ওয়েবসাইট কে গুগল পেনাল্টি দিয়েছে।
এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর যে তথ্য গুলো Google Search Console এ ইনডেক্স করা ছিলো। তার সবগুলো তথ্যকে ম্যানুয়ালি কিংবা রোবোটলি Delete করে দেওয়া হয়।
যার কারনে, আপনার Rank করা কিওয়ার্ড এবং ভিজিটর দুটোই ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে কোনো একটা সময় আপনার স্বপ্নের সেই ওয়েবসাইটটি death হয়ে পড়বে। যা আর কোনো কাজে আসবে না।
গুগল পেনাল্টি কত প্রকার?
এই পেনাল্টির কাজ একি রকম হলেও, এটি কিন্তুু দুই প্রকার এর হয়ে থাকে। যথাঃ
- ম্যানুয়ালি পেনাল্টি
- রোবোটিক পেনাল্টি
আপনার ওয়েবসাইট টি যদি উপরের যেকোনো একটির আওতায় পড়ে। তাহলে বুঝে নিবেন যে, আপনার সেই সাইটটি ক্রমাগত Ranking Drop করা শুরু করবে।
তো এবার আমাদের জেনে নেয়া উচিত যে, Manually এবং Robotic Planty কাকে বলে? এবং এই সমস্যার সমাধান কিভাবে বের করা যায়।
ম্যানুয়ালি গুগল পেনাল্টি কি?
সাধারনত যে কাজগুলো কোনো রোবোটিক সাহায্য ছাড়াই মানুষ স্বয়ং যে কাজ গুলো করে। তাকে বলা হয়, Manually. তো যখন গুগল এলগরিদম এর কোনো আপডেট আসে।
তখন সেই এলগরিদম অনুযায়ী যদি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো প্রকার ত্রুটি থাকে। কিংবা আপনি গুগল গাইডলাইন এর বাইরে কেনো কাজ করে থাকেন।
তাহলে গুগল কর্তৃপক্ষ নিজে থেকেই আপনার ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি প্রদান করবে। এবং এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ম্যানুয়ালি গুগল পেনাল্টি।
রোবোটিক গুগল পেনাল্টি কি?
Robotic শব্দটি শোনার পরেই হয়তবা আপনি কিছুটা অনুমান করতে পেরেছেন। তো আমি বেশ কয়েকটি আর্টিকেলে বলেছি যে, গুগল/ইউটিউব হলো একটি Programming Robot. যার অর্থ হলো, এখানে পূর্বে থেকেই কোনো প্রোগ্রাম সেট করা থাকে।
এবং সেই Programme অনুযায়ী অটোমেটিক কাজ চলতে থাকে। ঠিক একইভাবে, যখন গুগল তাদের এলগরিদমে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসে। তখন যেভাবে প্রোগ্রাম সেটআপ করা থাকে। সেই প্রোগ্রামের সাথে যদি আপনার ওয়েবসাইটটি ম্যাচিং না করে ৷
তাহলে সেই প্রোগ্রামিং রোবোট আপনার ওয়েবসাইট কে পেনাল্টির লিস্টে ফেলে দেয়। এবং এই কাজের প্রক্রিয়াকে বলা হয়, রোবোটিক গুগল পেনাল্টি।
কখন ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দেওয়া হয়?
তো আশা করি, Google Planty কি এবং এটি কত প্রকার। সে সম্পর্কে ক্লিয়ার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এবার আপনাকে জানতে হবে যে, একটি ওয়েবসাইটকে গুগল কখন পেনাল্টি দেয়?
এর কোনো নির্দিষ্ট সময় আছে? নাকি গুগল যখন চাইবে তখনি পেনাল্টি দিবে? এবার এসব নিয়ে আলোচনা করবো। এইসব গুলো প্রশ্নের জবাবে বলবো, যখন গুগলের কোনো আপডেট আসে। ঠিক তখনি এই সমস্যায় পড়তে হয়।
এবং এই সমস্যার মূল কারন হলো, Google Algorithm Update. এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই গুগল এলগরিদম আপডেট আবার কি জিনিস? আর এই আপডেট দেয়ার প্রয়োজনীয়তা কি? আর গুগল কখন এই আপডেট গুলো দেয়?
যেহুতু আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। সেহুতু আপনি SEO সম্পর্কে জেনে থাকবেন। যার পূর্নরুপ হলো, Search Engine Optimization. যার মানে হলো, আপনি এমন কিছু কাজ করবেন। যেন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের টপ পজিশনে অবস্থান করে।
তো SEO সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানলেও, আজকে নতুন একটা কথা জেনে নিন। সেটি হলো, কোনো একটি ওয়েবসাইটকে গুগল পেনাল্টি দেয়ার মূল কারন হলো, এসইও।
কি ভাই! অবাক হলেন, তাইনা? মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে এসইও এক্সপার্টদের হায়ার করে। আবার আমি বলছি এসইও করার কারনেই ওয়েবসাইট পেলান্টি খায়। তো আমি এই বিষয়টি বুঝিয়ে বলবো, তবে তার আগে আমাকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিন।
একজন এসইও এক্সপার্টের কাজ কি ?
উত্তরে হয়তবা বলবেন যে, আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইন্জিনের ফাস্ট পজিশনে নিয়ে আসাই হলো এসইও এক্সপার্টের মূল কাজ। কিন্তুু আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কারন আপনি এমন কোনো SEO Expart কে খুজে দিতে পারবেন না।
যে আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে আপনার কোনো কিওয়ার্ডকে ১০০% Rank করাতে পারবে। তো যারা SEO Spacelist তাদের মূল কাজ হলো, সার্চ ইন্জিনের রুলস অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইট এবং কন্টেন্টকে সাজিয়ে তোলা।
এবং কোনো প্রকার ত্রুটি থাকলে তা সমাধান করে নেয়া। কিন্তুু আসল সমস্যা হলো অন্য জায়গায়। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটকে জোরপূর্বক Rank করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যাই।
হয়তবা দুই একটা ব্লগ থেকে জানতে পারি Backlink করলে সাইট দ্রুত Rank করে। তখন উরাধুরা ব্যাকলিংক তৈরি করা শুরু করি। অর্থ্যাৎ, আমরা যাই করিনা কেন, সব কাজের মূল উদ্দেশ্য হলো, ওয়েবসাইটকে Rank করানো।
কিন্তুু আপনি যে জোরপূর্বক Rank করানোর চেস্টা করছেন। সেটাকে গুগল একচোখেও দেখতে পারে না। কারন গুগল কখনই চাইবে না যে, কোনো Low Quality Content ফাষ্ট পজিশনে থাকুক। আর ভিজিটররা সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভ্রান্তি বোধ করুক।
তাই যখনি কেউ গুগলের এলগরিদম এর ১% সম্পর্কে জানতে পারে। এবং Low Quality Content গুলো ক্রমাগত Rank করতে থাকে। ঠিক সেই সময়েই গুগল তাদের নিজস্ব এলগরিদমে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসে। যাকে বলা হয়, গুগল এলগরিদম আপডেট।
এবং এর পাশাপাশি যে যে ওয়েবসাইট গুলো অবৈধ পন্থা অনুসরণ করে Rank এ আসার চেস্ট করছে। অথবা ইতিমধ্যেই সার্চ রেজাল্টে Rank করে আছে। সেই ওয়েবসাইট গুলোকে পর্যায়ক্রমে পেনাল্টি দিতে থাকে।
গুগল পেনাল্টি দেওয়ার কারন কি কি?
তো উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনার মনে যদি কোনো প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এখন থেকে একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ৷ কারন এবার আপনি জানবেন, গুগল কি কি কারনে একটি ওয়েবসাইট কে পেনাল্টি দিয়ে থাকে।
সত্যি বলতে গুগল পেনাল্টি দেওয়ার অনেক গুলো কারন আছে। যদি আপনি সবগুলো কারন সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এ নিয়ে আরও একটি আর্টিকেল লেখা যাবে।
কিন্তুু আমি অনেক খোজাখুজি করে কিছু মেজর কারনকে লিষ্ট করে রেখেছি। এবং সেই কারন গুলো পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করার চেস্টা করবো। এবং তারসাথে আপনিও লক্ষ্য রাখুন যে এই কাজগুলো আপনিও করছেন কিনা।
ব্যাকলিংক কিনে নেওয়া
আমরা যারা ব্লগিং করি কিংবা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি। তাদের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ মনে করি যে, এসইও করার জন্য Backlink অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আসলে ব্যাকলিংক করার কারনে ওয়েবসাইট Rank করে কিনা, সে প্রসঙ্গে যাবো না। বরং আপনি যদি কোনো সোর্স থেকে এই Backlink কিনে নেন। তাহলেই কিন্তুু যতো বিশাল বিপওির সূচনা ঘটবে।
কারন গুগল যদি কোনো প্রকারে জেনে যায়, আপনার ওয়েবসাইটে যে Linking গুলো করা হয়েছে। সেগুলো Paid Service এর মাধ্যমে নেয়া হয়েছে ৷ তাহলে কিন্তুু গুগল আপনাকে জামাই আদর করতে ছাড় দিবে না।
যার ফলে আপনি Ranking করানোর আশায় ব্যাকলিংকের পেছনে যে সময় ও অর্থ ব্যয় করবেন। তার সবকিছুই বৃথা যাবে। কারন পেনাল্টি খাওয়া ওয়েবসাইট কখনও Rank করেনা। বরং ক্রমে ক্রমে Ranking ডাউন হতে থাকে।
অন্যের কন্টেন্ট কপি করা
ব্লগিংয়ের সাথে যুক্ত থাকলে আপনি Plagrisum সম্পর্কে জেনে থাকবেন। যার অর্থ হলো, আপনার লেখা কন্টেন্ট যদি অন্য কোনো কন্টেন্টের সাথে ম্যাচিং করে। তাহলে তাকে বলা হয়, প্লাগরিজম কন্টেন্ট।
কিন্তুু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে, যারা এই বিষয় গুলোকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। অন্য কোনো ওয়েবসাইট এর Rank করা কন্টেন্টকে সরাসরি কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে পোষ্ট করে দেয়।
কিন্তুু আপনার জানা উচিত যে, গুগল কিন্তুু Copy Content কে কোনোভাবেই প্রাধান্য দেয় না। কারন গুগল চায়, ভিজিটররা যেন কোনো বিষয়ে সার্চ করার পর নতুন নতুন তথ্য পায়।
উদাহরন হিসেবে আপনি যদি আপনি যেকোনো Keyword লিখে গুগলে সার্চ দিন। তারপর একই কন্টেন্ট আলাদা আলাদা ওয়েবসাইটে খুজে বের করার চেস্টা করুন।
কিন্তুু আপনার প্রচেস্টা বারবার ব্যর্থ হবে৷ কারন গুগল কখনই Duplicate কন্টেন্টকে Allow করেনা। আর যদি এমন কোনো ডুব্লিকেট কন্টেন্ট খুজেও পান। তাহলে লিখে রাখুন যে, সেই Duplicate Content টি বেশিদিন স্থায়ী হবেনা।
কিওয়ার্ড স্টাফিং করা
এসইও শেখার খাতিরে আপনি কখনওবা Keyword Placement সম্পর্কে জেনে থাকবেন। যার অর্থ হলো, আপনি যে কিওয়ার্ডকে ফোকাস রেখে কন্টেন্ট লিখবেন। সেই কন্টেন্টে অবশ্যই আপনার Focus Keyword থাকতে হবে।
কিন্তুু এই সুযোগটাকে অনেকেই অসৎ উপায়ে ব্যবহার করে। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও সম্পর্কে তেমন ধারনা না থাকলেও অনেকেই ভুলবশত Keyword Staffing করে থাকে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, Keyword Staffing আবার কি?
যখন আপনি আপনার কন্টেন্টে ফোকাস কিওয়ার্ডকে মাএাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলা হয়, কিওয়ার্ড স্টাফিং। অর্থ্যাৎ, আপনি যদি 1K Word এ কন্টেন্টে ৩০-৪০ বার আপনার মূল কিওয়ার্ডকে ব্যবহার করেন। তাহলে সেই কন্টেন্টকে বলা হবে, Keyword Staffing Content.
ব্ল্যাক হ্যাট মেথড অনুসরণ করা
এসইও শেখার সময় আপনি কোনো না কোনোভাবে Black Hate SEO সম্পর্কে জেনে থাকবেন। আপনার ওয়েবসাইট পেনাল্টির আওতায় পড়ার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখবে, এই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও।
তো প্রশ্ন হলো যে, এই Black Hate SEO আসলে কি?
দেখুন আমি শুরুতেই একটা কথা বলেছিলাম যে, আপনার ওয়েবসাইট কে Rank করার জন্য আপনি যদি গুগলকে চাপ প্রয়োগ করেন। তাহলে কিন্তুু হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। কারন গুগল কিন্তুু এই চাপকে নেগেটিভ সিগন্যাল হিসেবে ধরে নেয়।
আর Black Hate SEO এর যতোগুলো টেকনিক আছে। সেই সবগুলো টেকনিকের মূল কাজ হলো, গুগলকে বোকা বানানোর চেস্টা করা। এবং অবৈধ উপায়ে আপনার ওয়েবসাইট কে Ranking প্রদান করা ৷
তো একটি ওয়েবসাইট পেনাল্টি খাওয়ার আরও বেশ কিছু কারন আছে। সেই সবগুলো কারন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলে আর্টিকেলটি অনেক বৃহৎ হয়ে যাবে। তাই নিচে মূল টপিক গুলো দেওয়া হলো। যেমন,
- Beware of quick fixes
- Using a content farm
- Prominent ads
- Content theft
- Domain has a bad rep
- Few outbound links
- Poor mobile websites
- Smuggled links
- Malicious backlinks
- Too many outbound links
- Robots.txt flaws
- Hiding your sponsors etc
তো উপরোক্ত কারনে একটি ওয়েবসাইট কে গুগল পেনাল্টি দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি উল্লেখিত কোনো অবৈধ পন্থা অবলম্বন করার চেস্টা করেন।
তাহলে আজ থেকে সেই চিন্তাভাবনা মাথা থেকে মুঝে ফেলুন। এবং চেস্টা করুন, বৈধভাবে আপনার সাইটকে Rank করানোর।
গুগল পেলান্টি দেওয়ার পর কি করতে হয়?
দেখুন গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে penalized করছে ৷ তারমানে এই নয় যে আপনার ওয়েবসাইট আজীবনের জন্য আর Rank করবে না। যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।
কারন উদাহরন এমন অনেক ওয়েবসাইটকে দেখেছি, যারা penalized হওয়ার পরেও একটা সময় রিকভার করতে পেরেছে। তো এবার আমরা জানবো যে, গুগল যখন আপনার কোনো ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দিবে। তখন সেই সাইটকে রিকভার করার জন্য আপনাকে আসলে কি কি করতে হবে।
#01- Check Your Search Console
তো আগে আপনাকে ম্যানুয়ালি কিছু কাজ করতে হবে। শুরুর দিকে কোনো টুলসের উপর ডিপেন্ড না করে বরং আপনাকে নিজে থেকেই একটু স্ট্যাডি করতে হবে।
সেজন্য আপনি সরাসরি আপনার Search Console এ চলে যাবেন। এবং সেখানে গিয়ে চেক করবেন যে, গুগল আপনাকে কোনো প্রকার মেসেজ বা নোটিফিকেশন দিয়েছে কিনা।
যদি আপনি কোনো মেসেজ বা নোটিফিকেশন পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কে Penalized করার মূল কারনটি উল্লেখ করা থাকবে।
এখন আপনাকে সেই কারনটি খুজে নিতে হবে। এবং গুগল আপনার সাইটকে যে কারনে penalized করেছে। সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করতে হবে।
#02- Check Google Algorithm Update
অনেক সময় গুগল তাদের নিজস্ব এলগরিদম এর কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই পরিবর্তনের কারনেও কিন্তুু আপনার ওয়েবসাইট penalized হতে পারে। তাই গুগলের কোনো আপডেট আসছে কিনা সে সম্পর্কে খোজখবর রাখতে হবে।
আপনার সুবিধার জন্য আমি কিছু সোর্স উল্লেখ করলাম। যেখানে থেকে আপনি গুগলের কোনো আপডেট আসামাএই সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তো উপরোক্ত এই সোর্স গুলোতে নিয়মিত নজর রাখবেন। তাহলে গুগলের কোনো আপডেট আসামাএই আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
#03- Work Continueslly
দেখুন, আমি আবারও একটা কথা বলবো যে, একটি ওয়েবসাইট কে গুগল পেনাল্টি দিয়েছে। তারমানে এই নয় যে সেই ওয়েবসাইটটি আজীবনের জন্য অকেজো হয়ে পড়বে।
বরং আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটে সময় ও শ্রম ব্যয় করেন। তাহলেও কিন্তুু সেই সাইটকে পুনরায় রিকভার করা সম্ভব হবে। সেজন্য প্রথমে আপনার পূর্বে করা ভুল গুলোকে শুধরে নিতে হবে।
এবং এর পাশাপাশি আপনি আগে যেভাবে কাজ করেছিলেন। ঠিক সেভাবেই কাজ করে যেতে হবে। যেমন, ওয়েবসাইট কে সবসময় আপডেট রাখতে হবে। নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।
পূর্বে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলোকে আরও তথ্য যুক্ত করে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করতে হবে। এর পাশাপাশি Search Engine Optimization এর যে কাজগুলো করা দরকার। সেই কাজগুলো আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে।
তাহলে আপনার Penalized হওয়া ওয়েবসাইটটি পুনরায় Ranking ফিরে পাবে।
আমাদের শেষকথা
সবশেষে কিছু কথা বলবো, আপনি এসব পেনাল্টি নিয়ে না ভেবে। বরং কিভাবে সঠিক উপায়ে একটি ওয়েবসাইট কে Rank করানো যায়। সেই বিষয়ে যথেষ্ট পরিমানে Study করুন।
মনে রাখবেন, আপনি যতোদিন পর্যন্ত সৎ পথে কাজ করবেন ৷ ততোদিন আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। কারন গুগলের সাথে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। যার কারনে সে আপনার ওয়েবসাইটকে নিজের ইচ্ছায় Penalized করবে।
আর যদি কোনো কারনে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল পেনাল্টি দিয়েও থাকে। তাহলে প্লিজ হতাশ হবেন না। কারন উপরোক্ত টেকনিক গুলো ফলো করলে খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট কে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
যদি এরপরও আপনার সমস্যার সমাধান না হয়। তাহলে আমি তো আছিস। প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করবো আপনার হেল্প করার।
বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকুন৷ ধন্যবাদ