ডিপিএস কি – আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ডিপিএস কি (what is dps in bengali) এবং বর্তমান সময়ে মোট কত ধরনের ডিপিএস আছে।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমি ডিপিএস কি নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ডিপিএস সম্পর্কিত যেসব অজানা বিষয় রয়েছে।
সে সব বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তো আপনি যদি জানতে চান যে ডিপিএস কি বা DPS ki তাহলে চেষ্টা করবেন আজকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার।
তাহলে আজকের পর থেকে আপনার মনে আর ডিপিএস সম্পর্কিত কোন বিষয় অজানা থাকবে না। তাহলে চলুন এবার সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের মনে ডিপিএস সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। যেমন, অনেকেই প্রশ্ন করেন যে বর্তমান সময়ে কোন ব্যাংকে ডিপিএস থেকে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকে যে, ডিপিএস কি হারাম নাকি হালাল। তো সত্যি বলতে এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনি খুব সহজভাবে পাবেন না।
আপনি আরোও দেখতে পারবেন…
কারণ এই তথ্য গুলো বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলা ব্লগ গুলোতে তেমন স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে ডিপিএস সম্পর্কিত এই বিষয় গুলো জানা আমাদের জন্য ভীষণ জরুরি একটা বিষয়। আর ডিপিএস এর টাকা জমা রাখার আগে অবশ্যই আপনাকে এই জরুরী বিষয় গুলো জেনে নিতে হবে।
এবং এই জরুরী বিষয় গুলো জানার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
ডিপিএস কি ? What is dps in bengali?
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক ভিত্তিক একটি আর্থিক সঞ্চয় এর বিশেষ পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে ডিপিএস।
এই ডিপিএস মূলত একটি শব্দ সংক্ষেপ এবং এই ডি পি এস এর ফুল মিনিং হল ডিপোজিট পেনশন স্কিম। মূলত এই ধরনের আর্থিক সঞ্চয় করার স্কিম গুলো মাসিক ভিত্তিক হয়ে থাকে।
অর্থাৎ আপনি এক মাসে নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ অর্থ আপনার নিজস্ব একাউন্টে জমা করে রাখতে পারবেন।
এর পাশাপাশি আপনি যে ব্যাংকের একাউন্টে আপনার আর্থিক সঞ্চয় করবেন, সেই ব্যাংক থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের কিংবা মাসিক ভিত্তিতে সুদ অথবা মুনাফা প্রদান করবে।
মূলত এই পদ্ধতিকে সহজ ভাষায় বলা হয়ে থাকে ডিপিএস।
তো ডিপিএস কি সেই বিষয়টি কে যদি আরেকটু সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করি, তাহলে বলব যে, কোন একটি ব্যাংকের বিশেষ এক ধরনের স্কিম যেখানে সেই ব্যাংকের ব্যবহারকারী তার একাউন্টে প্রতি এক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কে জমা করে রাখতে পারবে।
এবং সেই জমাকৃত অর্থের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ব্যাংক ভেদে উক্ত অর্থের উপর মুনাফা প্রদান করা হবে।
তবে কিছু কিছু ব্যাংক আছে যে গুলোতে প্রতি মাসিক ভিত্তিতে জমাকৃত অর্থের উপর সুদ প্রদান করা হয়।
আবার কিছু কিছু ব্যাংক আছে যে গুলোতে আপনার জমাকৃত অর্থের প্রতি এক বছরের সুদ প্রদান করা হবে, কেননা এটা ব্যাংক ভেদে ভিন্নতা রয়েছে।
কেন ডিপিএস করবেন ?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ডিপিএস কি। এই বিষয় টি জানার পর এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, একজন মানুষ আসলে কেন ডিপিএস করবে।
যদি সেই ব্যক্তি ডিপিএস করে তাহলে সেখান থেকে সেদিন কি কি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, আপনার ভবিষ্যত এর জন্য অবশ্যই ডিপিএস করা উচিত।
কেননা আপনি বর্তমানে যা কিছু আয় করছেন, আপনার যতটুকু অর্থ আয় হচ্ছে, সেই অর্থের মধ্যে কিছু পরিমাণ আপনি একটি ব্যাংকে জমা রাখতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য।
এবং আপনি যখন কোন একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলে সেটিতে আপনার জমা কৃত অর্থ রাখবেন, তখন আপনি নির্দিষ্ট একটা সময়ে সেই জমা করা অর্থের উপর ভিত্তি করে সুদ গ্রহণ করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা থাকলেও সে টাকার পরিমান কিন্তু বেড়ে যাবে।
আর জীবনে চলার পথে আমাদের সবার উচিত সঞ্চয়ী হওয়া, যা আমাদের সবার ভবিষ্যতের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
আর সে কারণেই মূলত আপনার, আমার এবং আমাদের সবার ডিপিএস করা উচিত।
ডিপিএস এর কাজ কি ?
আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার পর আপনার মধ্যে ডিপিএস কি এবং কেন আপনার ডিপিএস করা উচিত, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা চলে এসেছে।
কেননা উপরের আলোচনা থেকে আমি এই বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তো এখন আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আর সেই বিষয়টি হলো যে, ডিপিএস এর কাজ কি। অর্থাৎ আমরা যে ডিপিএস করব, আসলে এটার কাজ কি, সেটা জেনে নেওয়াটা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, ডিপিএস এর কাজ কি।
যখন কোন একটি ব্যাংক থেকে ডিপিএস সিস্টেম চালু করা হয়, তখন সেই ব্যাংক এর আওতাধীন গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব অর্থকে সঞ্চয় করে রাখতে পারবে।
এবং এই ধরনের অর্থ সঞ্চয় করার স্কিম গুলো বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে। যেমন কিছু কিছু ডিপিএস এর মেয়াদ 3-5 বছর, আবার কিছু কিছু ডিপিএস এর মেয়াদ 10 বছর।
যখন আপনি কোন একটি ব্যাংকের আওতায় নিজস্ব একটা ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তখন আপনি আপনার নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ অর্থ সেই একাউন্টে জমা করে রাখতে পারবেন।
এবং আপনি সেই জমাকৃত অর্থ থেকে যখন নির্দিষ্ট সময়ে আপনার ডিপিএস টি ভেঙ্গে ফেলবেন। তখন সেই ব্যাংক থেকে আপনাকে আপনার জমাকৃত অর্থ সহ সেই অর্থের নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করবে।
অর্থাৎ আপনার জমাকৃত অর্থের থেকে আরও বেশি টাকা লাভ করে নিতে পারবেন। মূলত এটাই হল ডিপিএস এর মূল কাজ, যা মুলত আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের সব গুলো ব্যাংক এই পদ্ধতি চালু করেছে।
কত ধরনের ডিপিএস আছে বা ডিপিএস কত প্রকার?
ডিপিএস কি সে বিষয় টি জেনে নেওয়াটা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ বিষয়টির মত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, সেটি হলো যে বর্তমান সময়ে কিন্তু আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিপিএস দেখতে পারবেন।
তবে জানার বিষয় হল যে, বর্তমানে আসলে মোট কত ধরনের ডিপিএস আছে। যে গুলো আমাদের মত সাধারণ গ্রাহকরা ব্যবহার করতে পারবে।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো তে মোট কত ধরনের ডিপিএস আছে এবং সেই ডিপিএস গুলোর নাম কি কি।
তবুও যদি আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকে যে বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোতে মোট কত ধরনের ডিপিএস রয়েছে?
তাহলে আমি আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে বলব যে বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রধানত দুই ধরনের ডিপিএস দেখতে পাওয়া যায় আর সেই দুই ধরনের ডিপিএস হলো:
01- মাসিক ভিত্তিক ডিপিএস
আপনি প্রতি মাসে যে পদ্ধতিতে কিস্তির মত করে যেসব ডিপিএস এর মধ্যে আপনার অর্থকে জমা করে রাখবেন।
সেই ধরনের ডিপিএস গুলো কে বলা হয়ে থাকে মাসিক ভিত্তিক ডিপিএস। অর্থাৎ এই ধরনের ডিপিএস গুলোতে আপনাকে পুরো 30 দিন অন্তর অন্তর টাকা জমা করে রাখতে হবে।
এবং এই ধরনের মাসিক ভিত্তিক ডিপিএস গুলোর নির্দিষ্ট একটা সময় সীমা থাকে। যখন আপনি সেই সময়সীমা পর্যন্ত আপনার সেই ডিপিএস এর টাকা জমা করে রাখবেন।
তখন আপনাকে সেই ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা করে রাখার জন্য কিছু পরিমাণ সুদ প্রদান করবে।
আর এই ধরনের মাসিক ভিত্তিক ডিপিএস গুলো তে আপনি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকার ডিপিএস পর্যন্ত জমা করে রাখতে পারবেন।
02- এককালীন ডিপিএস
উপরের আলোচনা থেকে আপনি ডিপিএস এর প্রথম ভাগ অর্থাৎ মাসিক ভিত্তিক ডিপিএস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে এটি ছাড়াও কিন্তু আরো এক ধরনের ডিপিএস রয়েছে, যাকে বলা হয়ে থাকে এককালীন ডিপিএস।
তবে জানার বিষয় হল যে এই এককালীন ডিপিএস আসলে কি। এই ধরনের বিশেষ ডিপিএস গুলোতে আপনি একবার মোটা অংকের টাকা জমা করে রাখতে পারবেন।
এবং সেই টাকা আপনি নির্দিষ্ট কোন একটা সময়ে পর্যন্ত কোন একটি ব্যাংকে জমা রাখবেন। আর যখন সেই নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন আপনি আপনার জমাকৃত সেই অর্থের উপর ব্যাংক থেকে সুদ গ্রহণ করবেন।
অর্থাৎ আপনি যদি 2 লক্ষ টাকা এককালীন ডিপিএস হিসেবে কোন ব্যাংকে জমা করে রাখেন।
সে ক্ষেত্রে সেই ব্যাংক থেকে আপনাকে ওই নির্দিষ্ট সময় পর 2 লক্ষ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি, সেই 2 লক্ষ টাকার উপরে উপরে যে সুদ আসে এটি সহ আপনাকে প্রদান করবে।
কোন ব্যাংকগুলি ডিপিএস পরিষেবা দিচ্ছে?
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে সরকারী এবং বেসরকারী ভাবে অনেক ধরনের ব্যাংক রয়েছে।
তবে জানার বিষয় হল যে এই সব ডজন ডজন ব্যাংক এর মধ্যে আপনি আসলে কোন ব্যাংকের মাধ্যমে ডিপিএস এর সুবিধা নিতে পারবেন।
আর সে বিষয়টি জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, বর্তমানে বাংলাদেশে কোন ব্যাংক ডিপিএস পরিসেবা দিচ্ছে।
তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে কোন ব্যাংক গুলি ডিপিএস পরিসেবা দিচ্ছে। বর্তমান সময়ে যে ব্যাংক গুলো ডিপিএস পরিসেবা দিচ্ছে, সেই ব্যাংক গুলোর একটা লিস্ট আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
আপনি সেই লিস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন যে কোন কোন ব্যাংক গুলো ডিপিএস পরিসেবা দিচ্ছে।
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
- আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
- জনতা ব্যাংক লিমিটেড
- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে যেসব ব্যাংক গুলো ডিপিএস পরিসেবা দিচ্ছে, সেই ব্যাংক গুলোর একটা লিস্ট আমি উপরে দিয়েছি।
আশা করি আপনি এই লিস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন যে বর্তমান সময়ে কোন কোন ব্যাংকের মধ্যে ডিপিএস সিস্টেম চালু করা আছে।
এবং আপনি আপনার পছন্দমত এর মধ্যে যেকোনো একটি বা অধিক ব্যাংকে আপনার ডিপিএস একাউন্ট চালু করে নিতে পারবেন।
কোন ব্যাংক কি পরিমান মুনাফা/সুদ দিয়ে থাকে?
ডিপিএস কি এবং বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে কোন কোন ব্যাংক গুলোর ডিপিএস পরিসেবা দিচ্ছে, সে বিষয় গুলো জানার পর এবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে।
যে, কোন ব্যাংক থেকে আপনি আসলে ডিপিএস করে বেশি পরিমাণ মুনাফা নিতে পারবেন।
তবে এ বিষয়টি আসলে এক কথায় বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়। তাই চলুন এই বিষয়টা কে একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
যেন আপনার ভালভাবে জানা থাকে যে আসলে কোন ব্যাংক সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মুনাফা অথবা দিয়ে থাকে। এবং আমি চেষ্টা করব এবার প্রত্যেকটা ব্যাংক সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করার।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ডিপিএস চালু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সেই ডিপিএস এর মেয়াদ কমপক্ষে তিন থেকে দশ বছর হতে হবে।
- অর্থাৎ আপনি চাইলে তিন বছর পাঁচ বছর আট বছর কিংবা দশ বছর মেয়াদী ডিপিএস চালু করতে পারবেন।
- ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করে আপনার ইচ্ছামত টাকা জমা রাখতে পারবেন।
- এবং যখন আপনি একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখন আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে শতকরা হারে 7.5 টাকা করে প্রদান করা হবে।
- আর আপনি যদি এই ডাচ বাংলা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য শুধু হিসেবে 4 টাকা করে পাবেন।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- যদি আপনি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড থেকে ডিপিএস চালু করতে চান তাহলে আপনার সেই ডিপিএস এর মেয়াদ কমপক্ষে চার বছর থেকে দশ বছর পর্যন্ত হতে হবে।
- প্রথম ধাপে আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড এর সুদের হার শতকরা 6, 7, 8, 8.5 8.75, 9, 9.5 টাকা।
- যদি আপনি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় সঞ্চয়ী হিসাব করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদের হার 4 টাকা করে পাবেন।
সিটি ব্যাংক লিমিটেড
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস এর মেয়াদ হল তিন থেকে দশ বছর পর্যন্ত।
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস একাউন্টে আপনি সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর সুদের হার শতকরা 8.5% এবং আপনি যদি সঞ্চয়ী হিসাব খুলুন সে ক্ষেত্রে আপনি শতকরা 4 টাকা করে সুদ পাবেন।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় আপনি যদি ডিপিএস খোলার চিন্তা ভাবনা করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ পাঁচ ধরনের মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস চালু করতে হবে।
- যেমন আপনি চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস একাউন্টে 500 ও 1000, 2000, 5000 এবং সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস এর মেয়াদকাল হল তিন থেকে দশ বছর পর্যন্ত।
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস সুদের হার শতকরা 7.75 থেকে শুরু করে 9.5 টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে এবং সঞ্চয়ী হিসাব খোলার জন্য শতকরা 4.5 টাকা পর্যন্ত সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে।
আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড
- আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় আপনি যদি ডিপিএস খুলেন সে ক্ষেত্রে আপনি সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করে আপনার নিজের ইচ্ছামত টাকা সঞ্চয় করে রাখতে পারবেন।
- আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় আপনার ডিপিএস একাউন্টে জমাকৃত অর্থের উপর ভিত্তি করে সুদের হার শতকরা 9.5% করে প্রদান করা হবে।
- মূলত আইএফআইসি ব্যাংক এর মেয়াদকাল হলো 3 থেকে 5 বছর পর্যন্ত। এবং এই ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য শতকরা সুদের হার 5 টাকা করে প্রদান করা হয়।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর মাধ্যমে আপনি ডিপিএস করলে সেই ডিপিএস এর মেয়াদকাল 3 থেকে 10 বছর পর্যন্ত হবে।
- মূলত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস একাউন্টে আপনি মুনাফা হিসেবে শতকরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দেওয়া অর্থ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে কি পরিমান সুদ দেওয়া হবে সেটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে।
- কিন্তু আপনি যদি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় ডিপিএস চালু করেন সেক্ষেত্রে আপনি সঞ্চয়ী হিসাবে শতকরা 4 টাকা করে মুনাফা পাবেন।
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় ডিপিএস এর কিস্তির হার হল 500 টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত এবং এই কিস্তি মূলত মাসিক পদ্ধতিতে দিতে হবে।
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর মেয়াদকাল হল তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এবং পূবালী ব্যাংকের সুদের হার 8.25 শতাংশ। এবং সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদের হার 4.5 শতাংশ প্রদান করা হবে।
প্রিয় পাঠক, উপরের আলোচনায় আমি বেশ কিছু ব্যাংক এর ডিপিএস সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি।
তবে এগুলো ছাড়াও আরও যেসব ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংক গুলোর আলাদা আলাদা সুদের হার রয়েছে। তো যখন আপনি কোন একটি ব্যাংকে গিয়ে ডিপিএস করতে চাইবেন।
তখন অবশ্যই সেই ব্যাংকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শুনে নিবেন যে, তারা আসলে আপনার ডিপিএস এ থাকা জমাকৃত অর্থের উপর কি পরিমাণ সুদের হার প্রদান করবে।
এবং সেটি জানার পরে আপনি সেই ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন।
কত বছরের জন্য ডিপিএস করা যায়?
যেহেতু আপনি ডিপিএস কি সেটি জানার জন্য গুগলের সার্চ করেছেন, সেহেতু আমি ডিপিএস কি সে বিষয়ে বিষয়টি নিয়ে সবার উপরেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তো এই আলোচনা থেকে ডিপিএস কি সেটা জানার পরে আপনি ডিপিএস রিলেটেড আরো অনেক অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তবে আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার পরে এখন আপনার মনে একটি বিশেষ প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোতে আসলে কত বছরের জন্য ডিপিএস করা যায়।
অর্থাৎ আপনি যখন একটি ডিপিএস খুলবেন তখন সেটি আসলে কত বছর মেয়াদী হবে। তো যদি আপনার মনে এই প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনায় নজর রাখুন।
দেখুন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যেসব সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে, সেই ব্যাংক গুলোর নির্দিষ্ট একটা ডিপিএস এর মেয়াদ রয়েছে।
সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাংকের ডিপিএস এর মেয়াদকাল হলো 3 থেকে 10 বছর। আবার কিছু কিছু ব্যাংকের ডিপিএস এর মেয়াদকাল হলো 4 থেকে 10 বছর পর্যন্ত।
তবে সচরাচর ক্ষেত্রে প্রায় সব গুলো ব্যাংকের ডিপিএস এর মেয়াদ কাল সর্বোচ্চ 10 বছর পর্যন্ত এবং সর্বনিম্ন তিন বছর পর্যন্ত।
এবং আপনি যদি কোন একটি ব্যাংকে ডিপিএস করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে 3 বছর থেকে 10 বছর পর্যন্ত যেকোনো একটি সময় নির্ধারণ করে আপনাকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
ডিপিএস অ্যাকাউন্ট করতে কি কি লাগে ?
যখন আপনি আপনার অর্থ কে সঞ্চয় করে রাখার জন্য কোন একটি ব্যাংকে ডিপিএস খোলার জন্য যাবেন। তখন আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্ট এবং আপনাকে বেশ কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে।
যদি আপনি সেই ডকুমেন্টস গুলো দিতে ব্যর্থ হন কিংবা আপনি যদি সেই পদক্ষেপ গুলো কে সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে না পারেন।
তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। তবে জানার বিষয় হল যে একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট করতে কি কি লাগে।
চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। যাতে করে আপনার ডিপিএস একাউন্ট খোলার সময় কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
- যদি আপনি বাংলাদেশের কোন ব্যাংক এর আওতায় ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে শর্তটি আছে, সেটি হল যে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আপনি যে ব্যাংকের আওতায় ডিপিএস করবেন সেই ব্যাংক থেকে প্রদত্ত একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে।
- যে ব্যক্তির নামে ডিপিএস খোলা হবে সেই ব্যক্তির ছবি এবং তার অন্য একাউন্ট এর সত্যায়িত প্রদান করতে হবে।
- এর পাশাপাশি যে ব্যক্তির নামে ডিপিএস খোলা হবে সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম সনদ কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
- উক্ত ব্যক্তির ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ড সহ অন্যান্য সব ডকুমেন্টস গুলো অবশ্যই গ্রাহক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
- যখন আপনি আপনার ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখন অবশ্যই আপনার সদ্য তোলা দুই কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
- তবে সেই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট টি যদি কোন কম বয়সী মানুষের হয়ে থাকে এবং যদি তার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে। সে ক্ষেত্রে তার জন্ম সনদ প্রদান করতে হবে।
তো যদি আপনি একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, সে বিষয় গুলো নিয়ে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এবং যখন আপনি এরকম ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখন অবশ্যই এই ডকুমেন্ট গুলো সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। নতুবা একটি ডিপিএস একাউন্ট খোলার সময় আপনাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কি ডিপিএস ভাংগা যায়?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা প্রশ্ন করে থাকেন যে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কি ডিপিএস ভাঙ্গা যায় কি না।
অর্থাৎ মনে করুন যে আপনি দশ বছর মেয়াদী ডিপিএস চালু করলেন, কিন্তু কোন একটা সময়ে গিয়ে আপনার মনে হল যে পাঁচ বছর বা চার বছর পরে আপনি সেই ডিপিএস টি ভেঙ্গে ফেলবেন।
এবং আপনার সেই সময় পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা জমা হয়েছে সেই টাকা গুলো উত্তোলন করবেন। এই কাজটা আসলে করা যাবে কি না।
আর এই বিষয় টি জানার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। তো যদি আপনার প্রশ্নটি এটি হয়ে থাকে, তাহলে নিচের আলোচনাটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তো যদি আপনি প্রশ্ন করে থাকে যে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কি ডিপিএস ভাঙ্গা যায় কি না। তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর আমি বলবো যে হ্যাঁ, আপনি চাইলে আপনার সময় ও সুবিধা মত ডিপিএস ভাঙতে পারবেন।
কিন্তু সমস্যা হল যে, যদি আপনি মেয়াদ না হওয়া পর্যন্ত আপনার ডিপিএস কে ভেঙে ফেলেন। সেক্ষেত্রে আপনি যে পরিমাণ মুনাফা পাওয়ার কথা ছিল, সেই মুনাফা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার কোন প্রকার মুনাফা প্রদান করা হবে না। এবং আপনি শুধুমাত্র আপনার জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন, যা আপনার জন্য লস হয়ে যাবে।
তাই আমার যুক্তি মতে আপনার ডিপিএস তখনই ভাঙা উচিত, যখন আপনার ডিপিএস এর মেয়াদ পূর্ণ হবে।
ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম কি ?
যখন আপনার ডিপিএস এর মেয়াদ পূর্ণ হবে, তখন আপনাকে সেই ডিপিএস ভেঙে ফেলতে হবে। এবং আপনার জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করে নিতে হবে।
তবে জানার বিষয় হল যে যখন আপনার ডিপিএস এর মেয়াদ পূর্ণ হবে তখন আপনি আসলে কিভাবে আপনার সেই ডিপিএস ভাঙবেন।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক, কিভাবে ডিপিএস ভাঙতে হয়। তো যখন আপনার ডিপিএস এর মেয়াদ পূর্ণ হবে তখন আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট যাবেন।
এবং তাদেরকে আপনি জানাবেন যে আপনি আপনার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ডিপিএস টি ভাঙতে চান। এবং আপনার জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করে নিতে চান।
তাহলে তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার সেই ডিপিএস এর যাচাই বাছাই করে আপনি যে পরিমান লভ্যাংশ অর্থাৎ মুনাফা পাবেন সেটি সহ আপনার জমাকৃত অর্থ আপনাকে ফেরত দিবে।
আর এভাবেই আপনি আপনার ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন।
ডিপিএস কি হারাম ?
দেখুন এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে ডিপিএস এর মাধ্যমে যেহেতু মুনাফা প্রদান করা হয় সে ক্ষেত্রে এ ধরনের পদ্ধতি আসলে হালাল নাকি হারাম।
যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আমি সরাসরি আপনাকে বলব যে আপনার এ ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন না করাই উত্তম।
কেননা এখানে আপনি সুদ গ্রহণ করবেন অর্থাৎ আপনি যদি 1000 টাকা জমা রাখেন সে ক্ষেত্রে আপনার একহাজার টাকার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করা হবে ।
আসলে কোন ধর্মে সুদ বৈধ নয় অর্থাৎ হালাল নয়।সেক্ষেত্রে আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে সুদ গ্রহণ করেন, তাহলে সেটি হবে আপনার জন্য সম্পূর্ণ হারাম একটি পদ্ধতি।
কিন্তু এরপরও যদি আপনার একান্তভাবেই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই আপনি যে ব্যাংকের মাধ্যমে ডিপিএস করতে চাচ্ছেন, সেই ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন।
তারা যে সুদ প্রদান করবে সেটি আসলে কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়াটি আপনাকে প্রদান করবে।
আর সেটি জানার পর যদি আপনার মনে হয় যে এটি হালাল পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে, তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে সেই ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।
কিন্তু যদি আপনার মনে হয় যে তারা আপনাকে হারাম পদ্ধতিতে লাভাংশ অর্থাৎ মুনাফা প্রদান করবে। তাহলে আপনি সেখান থেকে অনেকটা দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
ডিপিএস এর সুবিধা কি
যদি আপনি আপনার অর্থকে সঞ্চয় করে রাখার জন্য ডিপিএস খুলে থাকেন তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। চলুন এবার তাহলে সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার কিংবা আমার মত যে কোন ধরনের মানুষ এই ধরনের ডিপিএস খুলতে পারবেন।
- যদি আপনি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং সেই চাকরির বেতন যদি উক্ত ব্যাংক একাউন্টের সাথে সংযুক্ত করা থাকে তাহলে অটোমেটিকভাবে তারা আপনার দিকে এসে টাকা সেই বেতন থেকে কেটে নিবে।
- আপনি যে কোন সময় আপনার সেই ডিপিএস কে ভেঙে ফেলতে পারবেন।
- যদি কোন কারণে আপনি ডিপিএস এর টাকা দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে কখনোই আপনার সেই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে না।
- একটি ডিপিএস এ আপনি যত বেশি টাকা রাখবেন সে টাকার উপর ভিত্তি করে ডিপিএস ভাঙ্গার সমান আপনি মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
তো এগুলো ছাড়াও ডিপিএস এর আরও বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা আছে। যখন আপনি একটি ডিপিএস তৈরি করবেন তখন অবশ্যই আপনি সেই সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে অবগত থাকবেন।
ডিপিএস এর অসুবিধা কি
ডিপিএস এর বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা থাকার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।
চলুন এবার তাহলে সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এতে করে আপনার ডিপিএস সম্পর্কিত কোন বিষয় অজানা থাকবে না।
- যদি আপনি কোন কারণে চলতি মাসের ডিপিএস এর টাকা দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে আপনার এই ডিপিএস টি বন্ধ হয়ে যাবে না কিন্তু পরবর্তী মাসে আপনাকে মোট দুই মাসের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
- কিন্তু আপনি যদি পরপর তিন মাস আপনার ডিপিএস এর টাকা দিতে না পারেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সেই ডিপিএস টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
- আবার কোন কারণে যদি আপনার ডিপিএস বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে এবং আপনাকে জরিমানা প্রদান করার পর সেই ডিপিএস কে পুনরায় চালু করতে হবে।
তো ডিপিএস এর সুবিধা গুলোর পাশাপাশি যেসব অসুবিধা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আমি আলোচনা করলাম। আশা করি এই আলোচিত আলোচনা গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আপনার অর্থকে সঞ্চয় করে রাখতে চান এবং সেই সঞ্চিত অর্থ থেকে বাড়তি কিছু টাকা লাভ করতে চান তাহলে আপনার জন্য অন্যতম একটি পদ্ধতি হবে ডিপিএস।
কেননা আপনি আপনার অর্থকে স্বল্প মেয়াদী কিংবা দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতিতে জমা করে রাখতে পারবেন এবং সেই জমা করা অর্থের বিনিময় আপনি সুদ গ্রহণ করে বেশি টাকা লাভ করতে পারবেন।
আর সে কারণেই আজকের আর্টিকেলে আমি ডিপিএস কি এবং ডিপিএস রিলেটেড যেসব বিষয় রয়েছে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আর আপনি যদি ব্যাংকিং রিলেটেড আরো অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।