হয়তবা আপনি কোনো একটা সময় কপিরাইটিং সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং আপনি এটাও জেনেছেন যে, বর্তমানে Copywriting এর জনপ্রিয়তা অনেক গুন বড়ে গেছে।
আর এই Copy Writing থেকে মানুষ প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করছে। এতো কিছু জানার পরে আপনি সরাসরি চলে গেছেন গুগল মামার কাছে। এবং Google এ গিয়ে সার্চ করছেন, “কপি রাইটিং কি“?- এরপর গুগল আপনাকে এই ওয়েবসাইটে নিয়ে এসেছে, তাইনা?
সত্যি বলতে আমি আপনার মতো একজন মানুষকে খুজছিলাম। যে মানুষটা এই কপি রাইটিং সম্পর্কে জানাতে চায়। তো যেহুতু আপনার মতো একজন মানুষকে পেয়ে গেছি।
সেহুতু আপনার সাথেই আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এটা তো আমরা সবাই জানি যে, বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা শুধুমাত্র অনলাইন এ কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছে।
কিন্তুু Copy Writing হলো এমন একটি পেশা। যা আপনি চাইলে অনলাইনে ও করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে অফলাইনেও করতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, আপনি যদি একজন দক্ষ কপিরাইটার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এই কাজের মাধ্যমে আপনার নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।
কপি রাইটিং বলতে কি বুঝায় এবং কিভাবে কপিরাইটিং এর সাথে যুক্ত হবেন। তার জন্য আপনার কি কি দক্ষতা লাগবে। এবং এই কাজটি করে আপনি মোট কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এ সব কিছু নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই খুব বেশি নয়, আপনার হাতে শুধুমাত্র অল্প সময় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ৷
তাহলে কথা দিচ্ছি, Copy Writing কি (Copy Writing ki) নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না।
কপি রাইটিং কি (What is copywriting in Bangla)
সাধারন অর্থে আমরা পূর্বলিখিত কোনো লেখাকে কপি করাকে কপিরাইটিং মনে করি। কিন্তুু বাস্তবিক অর্থে এর মানেটা অন্য কিছু।
মূলত কপি রাইটিং হলো কিছু লেখার সমন্বয়। যে লেখার মাধ্যমে কোনো পন্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোনো পন্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যা কিছু লেখা হয়ে থাকে। তাকেই বলা হয়, কপি রাইটিং।
বোঝেন নাই, তাইনা? ওকে আর একটু মনোযোগ দিন। তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে কপি রাইটিং বলতে কি বুঝায়।
দেখুন আমরা যখন টিভিতে কোনো প্রোগ্রাম দেখি। তখন একটু পর পর আমাদের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে হয়। এবং এই বিজ্ঞাপন গুলোতে নানা ধরনের আর্কষনীয় কথা বলা হয়ে থাকে।
যেমন, Sunslik শ্যাম্পু ব্যবহারে ৭ দিনেই চুল পড়া বন্ধ হবে আবার কখনওবা শুনতে হয় Lifeboy সাবান ব্যবহার করলে সর্বদা জীবানু মুক্ত থাকা যাবে। এমন অনেক কোম্পানি তাদের পন্যের প্রচার করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
তো এই বিজ্ঞাপন গুলোতে যেসব চটকদার কথা গুলো বলা হয়। যে ব্যক্তি এই কথা গুলো লিখে থাকে। মূলত সেই ব্যক্তিকে বলা হয় কপি রাইটার। আর যে কথা গুলো লেখা হয়, তাকে বলা হয় Copy Writing.
কপিরাইটিং জব কি?
কপি রাইটিং এর কাজ কি? কপিরাইটিং জব মূলত লেখালেখির কাজ যেখানে একজন কপিরাইটার বিভিন্ন ধরণের মার্কেটিং এবং প্রমোশনাল কাজের কনটেন্ট লিখে থাকে।
এই কনটেন্টের উদ্দেশ্য হলো প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডকে প্রচার করা এবং গ্রাহকদের আকর্ষণ করা। কপিরাইটিং জবের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ হয়ে থাকে, যেমন:
- অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কপি
- ওয়েবসাইট কন্টেন্ট
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
- ইমেইল মার্কেটিং
কপিরাইটিং কাজের জন্য সৃজনশীলতা, গ্রামার এবং ভাষার ভালো জ্ঞান, এবং পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার দক্ষতা প্রয়োজন।
কেন কপি রাইটিং করবেন?
আচ্ছা টিভির বিজ্ঞাপন এর কথা না হয় বাদ দিলাম। কিন্তুু আপনি তো অবশ্যই ফেসবুক, বা ইউটিউব ব্যবহার করেন। তো যখন আপনি Facebook বা Youtube ব্রাউজিং করেন।
তখনও কিন্তুু আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোম্পানি বা পন্যের বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন। এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, কেন এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হয়? এতে কোম্পানিদের লাভ কি?
হয়তবা এর উত্তরে আপনি বলবেন যে, কোম্পানির পন্য বিক্রির উদ্দেশ্যে এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হয়ে থাকে। হ্যাঁ! আপনার কথা একদম ঠিক।
কারন, আমরা যেসব বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। সেগুলো কোনো না কোনো কোম্পানি থেকে প্রচার করা হয়ে থাকে। কারন কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রসারের জন্য প্রচার করার কোনো বিকল্প নেই।
কিন্তুু ভাই সব কিছুই তো বুঝলাম, কিন্তুু কেন আমরা কপি রাইটিং করবো সে সম্পর্কে একটু বলে দিন।
দেখুন বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পেশা রয়েছে। আর আপনি জানলে অবাক হবেন কারন, আজকের দিনে Copy Writing ও এক ধরনের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে।
আর যতোই দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এই পেশার ডিমান্ড ঠিক ততোটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারন, আমরা যেসব বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। সেগুলোতে বিভিন্ন চটকদার কথা বলা হয়ে থাকে।
এখন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা এই কথা গুলো কিন্তুু এমনি এমনি আসেনা বরং কেউ না কেউ এই চটকদার কথা গুলো লিখে দিয়ে থাকে। এবং যে ব্যক্তিরা এই কথা গুলো লিখে থাকে।
তারা এই লেখালেখির বিনিময়ে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করে থাকে। তবে পেশাটি শুধুমাত্র ইনকাম জেনারেট এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন দক্ষ কপি রাইটার প্রায় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।
এখন আপনিও যদি তাদের মতো কপিরাইটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি পেশা হবে কপিরাইটিং।
যে পেশাতে যুক্ত থেকে আপনি নিজের জন্য একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন ৷
কারা কারা কপি রাইটিং করতে পারবেন?
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই সবাই কি এই পেশার সাথে যুক্ত হতে পারবে? -এর উওরে বলবো না! সবাই এই পেশার সাথে যুক্ত হতে পারবে না। বরং এখানেও দক্ষ ব্যক্তিরাই কাজ করতে পারবে।
তবে জানার বিষয় হলো, কোন কোন ব্যক্তিরা কপি রাইটিং নামক এই পেশার সাথে যুক্ত হতে পারবে। তো যদি আপনিও নিজেকে এই পেশার সাথে যুক্ত হতে চান। তাহলে আপনার ভেতরে বেশ কিছু গনাবলি থাকতে হবে। যেমন,
মানসম্মত লেখনি
যদি আপনিও নিজেকে এই পেশার সাথে যুক্ত করতে চান। তাহলে আপনার ভিতরে মানসম্মত লেখা লেখি করার দক্ষতা থাকতে হবে।
কারন আপনার লেখার মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে কোনো পন্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। তাই আপনার লেখার মাধ্যমে কোনো একটি পন্যকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেন সেই পন্যের সকল গুনাবলি সবার সামনে ভেসে উঠে।
এবং যাদেরকে এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হবে, তারা যেন উক্ত পন্য সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে যায়।
ক্রেতার মনোভাব বোঝার ক্ষমতা
দেখুন, শুধু লেখালেখি করার দক্ষতা থাকলেই আপনি একজন কপি রাইটার হতে পারবেন না। বরং এর পাশাপাশি আপনার ক্রেতাদের মনোভাব বোঝার মতো ক্ষমতা থাকাটা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
মনে করুন, আপনাকে একটি সাবান এর বিজ্ঞাপন লিখতে দেওয়া হলো। এখন আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে, এমন কোন কথা গুলো উল্লেখ করলে মানুষ আপনার কোম্পানির সাবান কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে।
কারন, আপনি যতোক্ষন না ক্রেতাদের মনোভাব বুঝতে পারবেন না। ততোক্ষন আপনার কোম্পানির পন্যের প্রতি কেউ আকৃষ্ট হবে না। তাই সবার আগে আপনাকে ক্রেতাদের মনোভাব বুঝে নিতে হবে।
এবং এর পরে আপনাকে সেই পন্যের বিজ্ঞাপন লিখতে হবে।
ক্রিয়েটিভ চিন্তা ভাবনা থাকা
সব কাজের ক্ষেএে ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আপনি যদি একজন দক্ষ Copy Writer হতে চান ৷ তাহলে আপনাকে ও যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ হতে হবে।
ছোট্ট কোনো বিষয়কে আপনাকে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেন সেই ছোট্ট আলোচনা থেকে কোনো পন্যের সমস্ত গুনাবলি কে ফুটিয়ে তোলা যায়।
এর পাশাপাশি আপনার রাইটিং এর শব্দ চয়ন করার মতো যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
একজন কপি রাইটার কি কি কাজ করেন?
যদি আপনি উপরোক্ত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আপনার মনে অবশ্যই একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, একজন কপি রাইটার কি শুধুমাএ তেল আর সাবানের বিজ্ঞাপন লেখেন?
যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এর উত্তরে বলবো, না! একজন কপিরাইটার শুধু তেল আর সাবান এর বিজ্ঞাপন লিখেন না। বরং এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের কাজ করে থাকেন।
তো আপনি যদি একজন দক্ষ কপি রাইটার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমন,
JOB NO- 1: আপনি বিভিন্ন বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান (NGO) এর নানা রকম পন্যের প্রচারের উদ্দেশ্য কাজ করতে পারবেন।
JOB NO- 2: আমরা সবাই জানি যে, বর্তমান সময়ে ই-কমার্স এর প্রচুর পরিমানে চাহিদা রয়েছে। তো আপনি যদি একজন দক্ষ কপি রাইটার হতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোতে কাজ করতে পারবেন।
JOB NO- 3: সত্যি বলতে আজকের দিনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। আর সেই তাগিদে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি গুলোর পরিমানও তুমুল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর একজন কপিরাইটার এই সুযোগকে খুব সহজেই কাজে লাগিয়ে এই Digital Marketing Agency গুলোতে জব করে বিপুল পরিমানে অর্থ ইনকাম করে আসছে।
JOB NO- 4: বর্তমান সময়ে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রবের মার্কেটিং নজরে পড়ে থাকে। আপনি যদি একজন দক্ষ কপি রাইটার হয়ে থাকেন। তাহলে এসব খাদ্য দ্রব্যের প্রতিষ্ঠান গুলোতে কাজ করতে পারবেন।
JOB NO- 5: বর্তমান সময়ে আমরা পুরোপুরি অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। আর সেই সুবাদে আজকের দিনে বিভিন্ন অনলাইন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।
আপনি চাইলে এসব Online Community গুলোতে কাজ করে বিপুল পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন?
তো এবার আমরা কপি রাইটিং শেখার উপায় গুলো সম্পর্কে জানবো। যেগুলো আপনি অনুসরন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শিখে নিতে পারবেন। এবং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা প্রতিষ্ঠানে এই পেশায় কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যখন এই পেশার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে চাইবেন। তখন সবার আগে আপনাকে বেশি কিছু বিষয়ের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
যদি আপনি এই বিষয় গুলোর দিকে গুরুত্ব দেন। তাহলে আমার বিশ্বাস আপনি খুব দ্রুততার সাথে এই বিষয়টিকে রপ্ত করতে পারবেন। একজন দক্ষ কপি রাইটার হতে হলে এমন অনেক বিষয়ের দিকে ফোকাস রাখতে হয়। যেমন,
#No-1: Improve Writing Skill
যেহুতু এই কাজটি লেখালেখির আওতায় পড়ে। সেহুতু আপনার এই দক্ষতাকে নিপুন ভাবে তৈরি করতে নিতে হবে। আপনি যা কিছু লিখবেন, সেই লেখার মধ্যে যেন যথেষ্ট ফ্লো থাকে, আপনাকে সেই দিকটা যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
আর কপি রাইটার এর কাজ হলো, কোনো পন্য বা প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত আলোচনা কে স্বল্প আকারে প্রকাশ করা। অর্থ্যাৎ, আপনাকে বিরাট বড় আকারে কোনো কিছু লিখতে হবে না।
বরং আপনাকে বিরাট কোনো বিষয়কে ছোট্ট আকারে প্রকাশ করতে হবে। তাই আপনাকে সবার আগে লেখালেখি করার দক্ষতাকে রপ্ত করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ইমপ্রুভ করতে পারবেন।
#No-2: Improve Your Reading Skill
একজন লেখক হতে হলে আগে আপনাকে পড়া শিখতে হবে। এটা আমার কথা নয়, বরং যারা বিজ্ঞ লেখক তারা এই কথা বলে থাকে। আর এ কথার সাথে আপনিও দ্বিমত পোষন করতে পারবেন না ৷
তাই আপনি যদি একজন কপি রাইটার হতে চান ৷ তাহলে সবার আগে আপনাকে বিভিন্ন লেখা পড়তে হবে ৷ সেগুলো থেকে ধারনা নিতে হবে। এরপর সেই ধারনা গুলোকে নিজের কাজে প্রয়োগ করতে হবে।
তাহলে আপনি নিজেকে আরও দক্ষ করতে তুলে নিতে পারবেন।
#No-3: Research Everything
যখন আপনি আপনার লেখালেখি করার দক্ষতা কে ইমপ্রভ করবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করা জানতে হবে। যেমন, কোন কোন কোম্পানি গুলো কি কি পন্যের মার্কেটিং করে।
তারা মার্কেটিং করার জন্য কপি রাইটার কে হায়ার করছে কিনা। এসব কিছু আপনাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে রিসার্চ করতে হবে।
এর পাশাপাশি আপনি যখন কোনো পন্যের বিজ্ঞাপন লিখবেন৷ সেই বিজ্ঞাপনে এমন কোন কথা গুলো বললে কাস্টমারদের উক্ত পন্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা যাবে। এসব কিছু আপনাকে নিজে থেকেই রিসার্চ করতে হবে।
#No-4: Continue With This
সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনাকে কখনই হতাশ হওয়া যাবে না। হয়তবা অনেক সময় দেখা যাবে যে, কাজ শিখতে শিখতে নিজের প্রতি একটা বিরক্তি ভাব আসবে ৷ কিন্তুু কখনই এই কাজে বিরক্ত প্রকাশ করা যাবে না।
আবার অনেকেই আপনাকে বলবে যে, এই গুলো কোনো কাজ হলো! এসব কাজে ভবিষ্যত কিছুই করতে পারবে না। কিন্তুু আপনাকে তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না।
মনে রাখবেন সমালোচকরা সর্বদাই সমালোচনা করবে। তাই বলে তাদের কথা শুনে মন খারাপ করা যাবে না।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি যখন কপিরাইটিং শিখবেন ৷ তখন নতুন অবস্থাতে কাজ পাওয়া যাবে না। তবে কাজ না পাওয়াটা স্বাভাবিক একটা ব্যপার।
এটাতে কখনই হতাশ হওয়া যাবে না। বরং আপনাকে এই কাজে লেগে থাকতে হবে।
কিভাবে কপিরাইটিং করে আয় করবেন?
ধরে নিলাম যে আপনি দক্ষতার সাথে কপিরাইটিং করতে পারেন। এবং আপনি নিজেকে একজন দক্ষ কপি রাইটার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছেন। তো এবার আপনার কাজের দরকার যেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
তো আপনি যদি কপিরাইটিং থেকে আয় করা শুরু করতে চান। তাহলে আপনাকে দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমন,
TIPS-1: Make A Portfolio
যদি আপনি কপিরাইটিং থেকে আয় করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনি আপনার বিভিন্ন কাজের ডেমো রাখতে পারবেন।
এবং সেই কাজ গুলো অন্যদের দেখাতে পারবেন। কারন যখন আপনি কাজ করার জন্য ক্লায়েন্টদের কাছে Knock করবেন। তখন তারা আপনার পূর্ব দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইবে।
আর ঠিক তখনি আপনি আপনার নিজের পোর্টফোলিও কে সাজেষ্ট করতে পারবেন। যা আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।
TIPS-2: Go To Marketplace
বর্তমানে এই কাজ গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজেই করা হয়ে থাকে। শুধু কপিরাইটিং নয় বরং অনলাইনে এমন হাজার হাজার মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা কাজ দিয়ে থাকে।
তো আপনাকে এসব মার্কেটপ্লেস গুলোতে নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। এবং কোন ক্লায়েন্ট কি কি জব পোষ্ট করছে। সেগুলোতে নজর রাখতে হবে।
এর পাশাপাশি অফলাইনে কোনো কাজ পাওয়া যায় কিনা। সেগুলোর দিকে যথেষ্ট নজর রাখতে হবে।
বাংলাদেশে কপিরাইটিং এর গুরুত্ব কেমন?
আমরা সবাই জানি যে বাংলাদেশে এখন অনলাইন ভিওিক ব্যবসা বানিজ্যের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ আর সেই তুলনায় এসব ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের প্রসারের লক্ষ্যে কপিরাইটার দের চাহিদাও এখন আকাশচুম্বী।
আর এই সুযোগকে আপনিও কাজে লাগাতে পারবেন। এবং বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে একজন কপি রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
সেজন্য আপনি যদি ফেসবুকে বিভিন্ন জব পোষ্ট কিংবা বিভিন্ন Fb Group গুলোতে নিয়মিত চোখ রাখেন। তাহলে আপনি এই রিলেটেড অনেক ধরনের কাজ দেখতে পারবেন।
তো এইসব কিছু দিক থেকে অনুমান করা যায় যে, বর্হিবিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশ বাংলাদেশেও কপিরাইটিং এর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।
কপি রাইটিং করে ইনকাম করা যাবে ?
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই কপিরাইটিং করে ইনকাম করা যাবে কি? – যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে। তাহলে এই প্রশ্নের উওরে বলবো, হ্যাঁ! অবশ্যই যাবে।
আপনাকে এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো। যারা মূলত কপিরাইটিং করে আয় করে আসছে। আবার এমন অনেক সফল কপিরাইটার আছেন, যারা এই কাজে নিজেকে নিযুক্ত করা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পেরেছেন।
তো আপনি সবার আগে ইনকাম এর দিকে ফোকাস না রেখে আপনার কাজের দিকে ফোকাস রাখুন ৷ যখন আপনি দক্ষতার সাথে এই কাজটি করতে পারবেন ৷
তখন আপনাকে আর বসে থাকতে হবে না। বরং আপনিও অন্যদের মতো লক্ষ লক্ষ টাকা কপিরাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
কপিরাইটিং আর কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য
তো এমন অনেকেই আছেন, যারা Copy Writing এবং Content Writing কে একই বিষয় মনে করে ৷ কিন্তুু আদতে এই দুটো বিষয় কখনই এক নয় ৷ এ দুটো সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়।
দেখুন, আপনি বর্তমানে যে লেখাটি পড়ছেন। মূলত এটি হলো একটি কন্টেন্ট। আর যারা এই ধরনের কন্টেন্ট লিখে থাকে, তাদেরকে বলা হয় কন্টেন্ট রাইটার।
অপরদিকে Copy Writing কিন্তুু সম্পূর্ন আলাদা একটি বিষয় ৷ এখানে আপনাকে বৃহৎ কোনো বিষয়কে ছোট্ট একটি বা একাধিক স্লোগানে রুপান্তর করতে হবে।
এবং এই ছোট্ট স্লোগানের মধ্যেই পুরো বিষয়টিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেমন, “কপিরাইটিং শিখুন, লক্ষ টাকা ইনকাম করুন “।
FAQS
কপিরাইটিং কি এক শব্দ নাকি দুটি?
“কপিরাইটিং” একটাই শব্দ। এটি “কপি” এবং “রাইটিং” এই দুটি শব্দ থেকে এসেছে।
কপিরাইটিং কাজ পাওয়া কি সহজ?
কপিরাইটিং কাজ পাওয়া কতটা সহজ তা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং নেটওয়ার্কের উপর। প্রতিযোগিতা বেশি হলেও, ভালো কপিরাইটারদের জন্য সবসময় চাহিদা থাকে।
কপিরাইটিং কাজের উদাহরণ?
কপিরাইটিং কাজের অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেমন:
- বিজ্ঞাপনের কপি
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
- ইমেইল মার্কেটিং কপি
- প্রেস রিলিজ
Copywriting এর মালিক কে?
Copywriting এর মালিক সাধারণত যে ব্যক্তি বা সংস্থা কপিটি তৈরি করার জন্য কপিরাইটারকে নিযুক্ত করে। কপিরাইটার কেবল কপিটি লেখার কাজ করে।
কপিরাইটার কি মামলা করতে পারে?
হ্যাঁ, একজন কপিরাইটার তার কাজের জন্য মামলা করতে পারে। যদি কোনো ক্লায়েন্ট কপিরাইটারের কাজ চুরি করে বা কপিরাইটারকে ঠিকমতো পারিশ্রমিক না দেয়, তাহলে কপিরাইটার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে।
ব্লগিং নাকি কপিরাইটিং এর মধ্যে কোনটি ভালো?
ব্লগিং এবং কপিরাইটিং দুটিই ভিন্ন কিন্তু সম্পর্কিত কাজ। ব্লগিংয়ে আপনি নিজের মতামত, অভিজ্ঞতা বা কোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেন, আর কপিরাইটিংয়ে আপনার মূল লক্ষ্য হল একটি পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা। কোনটি ভালো, তা নির্ভর করে আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতার উপর।
কপিরাইটিং করা কি সহজ?
কপিরাইটিং করা সহজ মনে হলেও, এটি একটি দক্ষতা যা অর্জন করতে সময় এবং অনুশীলন লাগে। ভালো কপিরাইটিংয়ের জন্য আপনার ভালো লেখার দক্ষতা, ক্রিয়েটিভিটি এবং গ্রাহকের মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি।
কপিরাইটিং নিয়ে আমাদের শেষকথা
তো বন্ধু, আশা নয় বিশ্বাস করি আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে কপিরাইটিং কি সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।
তবে এরপরও যদি আপনার মনে Copy Writing সমন্ধে কোনো কিছু জানার বাকি থাকে। তাহলে দেরী কেন এক্ষুনি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আমি আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো।
আজ আর নয় দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। ধন্যবাদ