Amp কাকে বলে? আপনি কি কখনও AMP (Accelerated Mobile Pages) এর কথা শুনেছেন? AMP হলো গুগলের তৈরি একটি প্রযুক্তি, যা মোবাইল ব্রাউজারে দ্রুততম ব্রাউজিং সুবিধা দেয়। এটি বিশেষভাবে ওয়েবসাইটের মোবাইল ভার্সনের লোডিং টাইম কমাতে সাহায্য করে।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে AMP ফিচারটি যুক্ত করা হয়, তখন মোবাইল ব্যবহারকারী ভিজিটররা দ্রুত এবং সুবিধাজনকভাবে ওয়েব পেজ লোড করতে পারেন। এর ফলে, আপনার সাইটের একটিভ ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে, যা ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, যদি আপনি এখনও AMP কী, এবং কিভাবে এটি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে পারে তা জানেন না, তবে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আমি এখানে AMP প্রযুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং কিভাবে এটি ওয়েবসাইটের জন্য উপকারী হতে পারে তাও তুলে ধরবো।
এছাড়া, আপনার ওয়েবসাইটে AMP যোগ করার পরে আপনি কী কী সুবিধা পাবেন এবং কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন, সে বিষয়েও স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হবে।
তাহলে, কোনো প্রকার স্কিপ না করে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো অনেক অজানা তথ্য জানুন।
Amp কি বা Amp কাকে বলে?
চলুন এবার আমরা মূল আলোচনায় ফিরে আসি। সবার শুরুতে জানবো, AMP কী? এরপর বাকি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
AMP এর পূর্ণরূপ হলো Accelerated Mobile Pages, যার অর্থ হলো, যদি আপনার ওয়েবসাইটকে একটি পেজ হিসেবে ধরা হয়, তবে AMP প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই পেজকে মোবাইল ডিভাইসের জন্য দ্রুত লোডযোগ্য করা হয়।
এটি মূলত গুগল কর্তৃক তৈরি করা একটি উন্নত প্রযুক্তি, যার উদ্দেশ্য মোবাইল ডিভাইসে ব্রাউজিংয়ের সময় স্পিড আরও দ্রুত করা।
আপনি আরো পড়ুন:
- প্রোগ্রামিং ভাষা কি? কেন এবং কিভাবে প্রোগ্রামিং ভাষা শিখবেন?
- মাইক্রো নিস ব্লগ কি? কিভাবে মাইক্রো নিস ব্লগ থেকে ইনকাম করবেন?
- নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
হয়তো বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারছেন না, তাই না?
এবার একটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি। আপনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করবেন, তখন একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন কিছু ওয়েবসাইটে ক্লিক করার সাথে সাথে সাইটে প্রবেশ করা যায়।
এই যে আপনি ক্লিক করার সাথে সাথে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন, এটি মূলত AMP প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব।
এটি বিশেষভাবে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হলেও, ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারেন, তবে তাদের জন্য এটি একটু ভিন্নভাবে কাজ করে।
Amp কিভাবে কাজ করে?
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, AMP মোবাইল ওয়েবের পারফর্মেন্সকে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করে দেয়। তবে এটি আমার নিজস্ব অভিমত নয়, গুগল নিজেই এক প্রতিবেদনে এটি স্বীকার করেছে।
এটার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হলো, AMP মূলত বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন: AMP HTML, AMP JS, এবং AMP Web Cache সহ বিভিন্ন টেকনোলজি।
এগুলো একসাথে কাজ করার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটকে AMP HTML ভার্সনে রূপান্তরিত করে, যা ওয়েবসাইটের লোডিং প্রক্রিয়াকে দ্রুততর এবং আরও দক্ষ করে তোলে।
এভাবে, AMP ওয়েবসাইটের সবচেয়ে বেশি লোড নেওয়া অংশগুলোকে সম্পূর্ণভাবে Simplify করে ফেলে।
উদাহরণস্বরূপ, আমরা যখন আমাদের ওয়েবসাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট বা অন্যান্য Third Party Script ব্যবহার করি, তখন এগুলো ওয়েবসাইটের লোডিং টাইমকে ধীর করে দেয়। কিন্তু AMP এর মাধ্যমে, এই স্ক্রিপ্টগুলোকে সরিয়ে বা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের লোডিং সময় কমানো সম্ভব হয়।
যখন মোবাইল থেকে বড় বড় ওয়েবসাইট ভিজিট করা হয়, তখন তা অনেক সময় নিয়ে থাকে। কিন্তু AMP প্রযুক্তি এতোটাই উন্নত যে, এটি বড় বড় ওয়েবসাইটের সকল লোডিং স্ক্রিপ্ট ডিজেবল করে দেয়। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের Loading Speed কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
সাধারণত, AMP বিহীন ওয়েবসাইটগুলোর তুলনায় AMP যুক্ত ওয়েবসাইটের স্পিড ২০%-৮৫% বৃদ্ধি পায়। এর ফলে, ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারবে এবং মোবাইল ইন্টারনেট ইউজার তাদের MB খরচও অনেক কমে যাবে।
কারণ, যখন আপনি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করেন, তখন সেই স্ক্রিপ্টগুলো পুরোপুরি লোড হওয়ার জন্য অনেক বেশি সময় নেয় এবং ইউজারদের প্রচুর মেগাবাইট খরচ করতে হয়।
কিন্তু AMP ব্যবহার করলে এই স্ক্রিপ্টগুলো Simplify হয়ে যায়, ফলে ইউজারদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় অতিরিক্ত মেগাবাইট খরচ হয় না।
এই কারণে, ইউজাররা দুই দিক থেকে সুবিধা পায়—প্রথমত, তারা খুব দ্রুত আপনার সাইট ব্রাউজ করতে পারবে, এবং দ্বিতীয়ত, তাদের অতিরিক্ত MB খরচ হবে না।
কেন Amp ব্যবহার করবেন?
যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে অবশ্যই আপনাকে AMP ফিচারটি ব্যবহার করা উচিত।
কারণ, আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে, AMP শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, এবং এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পেতে পারেন।
এখন, আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, “কেন শুধুমাত্র মোবাইল ইউজারদের জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করবেন?” যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন আসে, তবে আপনাকে আরও কিছু তথ্য জানাতে হবে।
যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের Analytics ডেটা দেখেন, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে, আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরের মধ্যে প্রায় ৭০%-৮০% ভিজিটরই মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এত বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী হওয়ার কিছু মূল কারণ রয়েছে:
- প্রথম কারণটি হলো, এখনও পৃথিবীর সব বাড়িতেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ পৌঁছায়নি, যার কারণে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইনে ব্রাউজিং করে।
- দ্বিতীয় কারণ, গুগল নিজেই এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে, মানুষ ব্রাউজিং এর জন্য সবচেয়ে বেশি মোবাইল ডিভাইসকেই প্রাধান্য দেয়।
এছাড়া, অনেক মানুষ যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপও ব্যবহার করেন, তারা মোবাইল ডিভাইস দিয়েই ব্রাউজিং করতে বেশি পছন্দ করেন।
তাহলে, আপনি যদি এই মোবাইল ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে আপনার ওয়েবসাইটে AMP ফিচারটি যুক্ত করেন, তাহলে আপনি অনেক বেশি পরিমাণে ভিজিটর আনতে সক্ষম হবেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের Traffic বৃদ্ধি এবং User Experience উন্নত করতে সাহায্য করবে।
Amp ব্যবহার করার সুবিধা কি কি?
যদি আপনি আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটে AMP ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনি শুধুমাত্র লোডিং স্পিডের দিক থেকেই সুবিধা পাবেন না, বরং আরও অনেক দিক থেকে আপনি অনেক বেশি বেনিফিট পেতে পারেন।
এবার চলুন, এই সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। AMP ব্যবহারের আগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
AMP যুক্ত ওয়েবসাইটে পাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা:
- Increase Loading Speed
- Mobile Friendly
- Decrease Bounce Rate
তো এবার উপরোক্ত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার একটা ধারনা নেয়া যাক।
Increase Loading Speed
কোনো ওয়েবসাইটে AMP ব্যবহার করার সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হলো আপনার সাইটের লোডিং স্পিড পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি বর্তমানে Loading Speed Checker দিয়ে আপনার সাইটের স্পিড চেক করেন, তাহলে আপনার সাইটের স্পিড কমপক্ষে ৫ সেকেন্ড, ৭ সেকেন্ড অথবা ১০ সেকেন্ড হতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি সেই সাইটে AMP যুক্ত করেন, তাহলে আপনি অনেক উন্নতি দেখতে পাবেন।
সাধারণত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিকে আর্কষণীয় করতে নানা ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করি, যার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিপ্টও লাগে।
এই স্ক্রিপ্টগুলো লোডিং স্পিড বাড়াতে সাহায্য করে, কিন্তু এসব স্ক্রিপ্ট যখন অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়, তখন ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে আসা এবং দীর্ঘ সময় ধরে থাকার প্রবণতা কমে যায়। এতে SEO তে নেগেটিভ ইফেক্ট পড়ে।
তবে AMP ব্যবহারে এই স্ক্রিপ্টগুলোকে পুরোপুরি সহজ ও সরল করা হয়, যার ফলে লোডিং টাইম দ্রুত হয়। AMP ব্যবহারের ফলে আপনার সাইটের স্ক্রিপ্টগুলো ডিজেবল হয়ে যায়, যার ফলে আপনার সাইটের লোডিং স্পিড পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবহারকারীরা দ্রুত ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারে।
Mobile Friendly
কোনো ওয়েবসাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি আপনি SEO করতে চান এবং আপনার ওয়েবসাইটটিকে ভালো র্যাঙ্কিং পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার সাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
গুগল তাদের অ্যালগরিদমের আপডেটগুলিতে Mobile Friendly ওয়েবসাইটগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়।
বর্তমানে মোবাইল ইউজারের সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক জায়গায় এখনও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি, কিন্তু মোবাইল একটি ছোট ডিভাইস হওয়ায়, সবাই এটি সহজে ব্যবহার করে এবং সবসময় কাছে রাখে।
তাই, গুগল মোবাইল ইউজারদের জন্য ওয়েবসাইটগুলিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আপনি যদি আপনার সাইটে AMP ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার সাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠবে, এবং গুগল এটি প্রাধান্য দেবে।
Decrease Bounce Rate
যখন আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট (Bounce Rate) বেশি থাকে, তখন আপনার সাইটের র্যাঙ্কিং কমতে থাকে, যা SEO তে নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ” এই Bounch Rate কি?
Bounce Rate হলো, যখন কোনো ভিজিটর একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এবং দ্রুত সাইটটি ছেড়ে চলে যায়।
ধরা যাক, আপনি একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন কোনো তথ্য জানার জন্য, কিন্তু সাইটের লোডিং টাইম অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।
আপনি যদি দ্রুত তথ্য পেতে চান, তাহলে কি অপেক্ষা করবেন, নাকি অন্য সাইটে চলে যাবেন? নিশ্চয়ই অন্য সাইটে চলে যাবেন, এবং এটি একটি Bounce Rate।
বাউন্স রেট বেশি হলে, গুগল মনে করে যে আপনার সাইটে গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট নেই, যা ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে পারে। এর ফলে গুগল আপনার সাইটের র্যাঙ্কিং কমিয়ে দেয়।
তবে AMP ব্যবহার করলে সাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত হয়ে যায়, ফলে বাউন্স রেট কমে যায় এবং গুগল আপনার সাইটকে প্রাধান্য দেয়।
[NOTE: গুগল তাদের এলগরিদমে যতো প্রকার Update নিয়ে এসেছে। সেই সব গুলো আপডেটে মোবাইল ফেন্ডলি এর কথা উল্লেখ করা আছে। ]
AMP ব্যবহারের অসুবিধা কি কি?
যদিও AMP ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে, তবে এর কিছু অসুবিধাও আছে, যা আপনি জানতে চান। আসুন, সেগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
ডিজাইন পরিবর্তন
AMP ওয়েবসাইটের সমস্ত জাভাস্ক্রিপ্টকে ডিজেবল (অক্ষম) করে দেয়, যার ফলে পূর্বে আপনি যেসব ডিজাইন ব্যবহার করেছিলেন, সেগুলো আর সাইটে কিছু কিছু দেখা যাবে না।
এই পরিবর্তন আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং আপনার ইউজারের উপরে ইফেক্ট পড়তে পারে। আপনি যদি অনেক সময় নিয়ে ডিজাইন করা কোনো ওয়েবসাইটে কাজ করে থাকেন, তাহলে AMP ব্যবহারের ফলে সেই ডিজাইনের কিছু এলিমেন্ট কাজ না করতে পারে বা পরিবর্তিত হতে পারে।
Google AdSense সমস্যা
যদি আপনি Google AdSense ব্যবহার করেন, তবে AMP ব্যবহারের ফলে কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন না হতে পারে। AMP ব্যবহারে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়, তবে সেই দ্রুত লোডিংয়ের কারণে অনেক সময় বিজ্ঞাপনগুলি সঠিকভাবে লোড হয় না।
এর ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনগুলি ভিজিটরদের কাছে দেখানো না হলে, আপনার ইনকাম কমে যেতে পারে। এ কারণে আপনি যদি AdSense ব্যবহার করেন, তবে AMP সেটআপের সময় এটি খেয়াল রাখতে হবে।
ডুপ্লিকেট কনটেন্ট
AMP ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের কিছু পেজে ডুপ্লিকেট কনটেন্ট তৈরি হতে পারে। যদি আপনি এই ডুপ্লিকেট কনটেন্টের দিকে নজর না দেন, তবে এটি আপনার SEO এর জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
গুগল ডুপ্লিকেট কনটেন্টকে পছন্দ করে না এবং এটি আপনার সাইটের র্যাঙ্কিংয়ে নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, AMP ব্যবহার করার সময় আপনাকে আপনার পেজগুলো ঠিকভাবে কনফিগার করে ডুপ্লিকেট কনটেন্টের সমস্যা এড়াতে হবে।
কিভাবে AMP ইনস্টল করবেন?
আমরা জানি, ওয়ার্ডপ্রেস হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, এবং বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই এটি ব্যবহার করে তৈরি হয়। তাই আজ আমরা শিখবো, কিভাবে আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটে AMP ইনস্টল করবেন।
আপনি যদি নিচের স্টেপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করেন, তবে খুব সহজেই AMP ইনস্টল করতে পারবেন।
স্টেপ ১: প্লাগইন ডাউনলোড এবং ইনস্টল
প্রথমে AMP প্লাগইনটি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর, প্লাগইনটি ইনস্টল করে একটিভেট করুন।
স্টেপ ২: সাধারণ সেটিংস কনফিগার করা
এবার, AMP প্লাগইন ইনস্টল করার পর আপনি কিছু সেটিংস দেখতে পাবেন। প্রথমে General Setting অপশনটি নির্বাচন করুন। এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লোগো আপলোড করতে পারবেন।
স্টেপ ৩: ইউজার এক্সপিরিয়েন্স কাস্টমাইজ করা
এখন, আপনি ওয়েবসাইটের যেসব ইউজার এক্সপিরিয়েন্স পরিবর্তন করতে চান, সেগুলো কাস্টমাইজ করুন। যেমন, আপনি মোবাইল পেজের জন্য আলাদা কালার সিলেক্ট করতে পারেন অথবা ফুডার ক্রেডিট সেট করতে পারেন।
স্টেপ ৪: নোটিফিকেশন সেটিংস
Notification Menu অপশনটি দেখতে পাবেন, সেখানে আপনি যেসব ধরনের নোটিফিকেশন পেতে চান, তা সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৫: গুগল এডসেন্স কনফিগার করা
সবশেষে, আপনি আপনার চাহিদামত AMP সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন বসিয়ে নিতে পারবেন।
এভাবেই আপনি সহজভাবে AMP ইনস্টল এবং কনফিগার করতে পারবেন।
আমাদের শেষকথা
আশা করছি আপনি AMP সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে, যদি এখনও কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে কমেন্টে জানাতে পারেন।
এছাড়া, অনলাইন ইনকাম এবং ব্লগিং সম্পর্কিত আরো অনেক আর্টিকেল আমার ওয়েবসাইটে রয়েছে। আপনি চাইলে সেগুলো পড়ে আরও অনেক মূল্যবান ধারনা পেতে পারেন।
সাথে থাকুন। ধন্যবাদ!
এছাড়াও, আপনি আরো দেখতে পারেন:
একদাম পানির মতো ক্লিয়ার করে বুজালেন,ধন্যবাদ প্রিয়।
আশা রাখি সামনে আরও ভাল মানের পোস্ট পাবো।
পাশে আছি
আপনার মত পজেটিভ কমেন্ট দেখলে আমাদের ও ভাল লাগে … ধন্যবাদ