গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক এবং জনপ্রিয় ব্যবসার মধ্যে একটি। বিশেষ করে রেডিমেড গার্মেন্টসের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে, কারণ মানুষ এখন সময় বাঁচানোর জন্য প্রস্তুত পোশাক কিনতে বেশি আগ্রহী।
এই ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা জরুরি। আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন, তবে এটি আপনার জন্য একটি সফল ও লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে।
হ্যালো ভিয়ার ওয়েলকাম টু infoportalbd.com এর ” রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা ” নিয়ে লেখা নতুন একটা এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে একটা ভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করবো।
যেখান থেকে আপনি গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা রিলেটেড অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখন আপনিও যদি এই ধরনের গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করতে চান। এবং এই ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করে নিতে চান।
তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা কি (What is Readymade Garments Business)
যেহুতু আজকে আমাদের মুল টপিক হল রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা। তাই সবার আগে আপনাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা নিতে হবে। তাহলে আপনি পরবর্তী আলোচনা গুলো সহজেই বুঝে নিতে পারবেন।
সাধারন অর্থে যেখানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাক আশাক উৎপাদ করা হয়। সেগুলো কে বলা হয় গার্মেন্টস। অপরদিকে আপনি যখন সেই গার্মেন্টস গুলো থেকে তাদের উৎপাদিত পন্য গুলোকে কিনে নেয়ার পর।
আপনি সেগুলোকে খুচরো কিংবা পাইকারি দামে বিক্রি করে বাড়তি কিছু মুনাফা লাভ করবেন। তখন এই পদ্ধতিকে বলা হবে রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা।
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারন, বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মূলত এই ধরনের রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা করে বিপুল পরিমান টাকা আয় করে আসছে।
কেন আপনি রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা করবেন?
এখন উপরোক্ত আলোচনা গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বর্তমান সময়ে এতো বেশি ব্যবসা করার আইডিয়া রয়েছে। তাহলে কেন আপনি গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করবেন? –
তো এবার সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
আমি এ নিয়ে উপরের অংশে একটু আলোচনা করেছি। সেটি হলো, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের অনেক বেশি পরিমানে অবদান রয়েছে।
আপনি যদি আমাদের দেশের Economic Stats দেখেন। তাহলে দেখবেন মোট আয়ের প্রায় বেশিরভাগ অংশ আসে পোশাক খাত থেকে। মূলত এই বিষয়টি জানার পর হয়তবা আপনি অনুমান করতে পেরেছেন যে, আমাদের দেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জল রয়েছে।
আর এই কারনে আপনি কোনো দিক চিন্তা না করে সরাসরি এই ধরনের গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।
অপরদিকে আরও একটি বিশেষ দিক আছে যার কারনে আপনি এই ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। সেটি হলো, কাপড় হলো আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় বস্তুু।
যাকে ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারবো না। আর এই পোশাকের অভাব পূরনের জন্য আপনার নিশ্চিন্তে গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করা উচিত বলে আমি মনে করি।
কারা গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবে?
আচ্ছা একটা কথা বলুন তো, সবাই কি সব ধরনের কাজ করতে পারে? – না, বরং উপযুক্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমেই কোনো কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। ঠিক তেমনি আপনি যদি গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করতে চান।
তাহলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু গুনাবলি থাকা আবশ্যক। তো চলুন এবার আমরা জেনে নেই যে, যদি একজন ব্যক্তি গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করতে চায়। তাহলে তার মধ্যে কি কি বিশেষ গুনাবলি থাকা আবশ্যক।
০১| ইনভেস্ট করার মতো মুলধন
দেখুন আপনি যদি কোনো ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনার প্রথম যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে। সেটি হলো মুলধন। কেননা, আপনার যদি মুলধন না থাকে ৷ তাহলে আপনি ইনভেস্ট করতে পারবেন না।
আর আপনি যদি ইনভেস্ট করতে না পারেন। তাহলে আপনি কোনো ব্যবসাকে শুরু করতে পারবেন না।
আর আপনি যখন কোনো ব্যবসা তে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনভেস্ট করতে পারবেন ৷ তখন আপনি যে কোনো ধরনের ব্যবসাকে শুরু করে দিতে পারবেন ৷
ঠিক তেমনি আপনি যদি নিজেকে গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা এর মধ্যে নিযুক্ত করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট ইনভেস্ট করার মতো পর্যাপ্ত মুলধন থাকতে হবে।
০২| ব্যবসায় নিজের আইডিয়া বা ধারনা
উপরে আমরা জানলাম যে, ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রথম প্রয়োজন হবে মুলধন এর। কিন্তুু এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, মুলধন থাকলেই কি যে কেউ ব্যবসাতে সফলতা অর্জন করতে পারবে? –
তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি কি বলবেন?
থাক আপনাকে বলতে হবে না, বরং আমি বলছি। দেখুন যদি ইনভেস্ট করার মতো অর্থ থাকলেই ব্যবসাতে সফলতা পাওয়া যেত। তাহলে আজকে সবাই এই কাজের সাথে নিজেকে নিযুক্ত করত।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সবার কাছে অর্থ থাকলেও সবাই ব্যবসাতে সফলতা অর্জন করতে পারবে না। যদি আপনি কোনো ব্যবসাতে সফলতা অর্জন করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনার সেই ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। কিভাবে আপনি ব্যবসা থেকে সফলতা আনতে পারবেন। সে নিয়ে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করার মতো দক্ষতা থাকতে হবে।
তাহলেই আপনি গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
০৩| হতাশা থেকে বিরত থাকা
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে যেমন আনন্দ কষ্ট নিয়ে পরিচালিত হয় ৷ ঠিক তেমনি ব্যবসার ক্ষেএেও একই চিএ লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা, ব্যবসায় যে সবসময় লাভ করবেন।
বিষয়টা আসলে তেমন নয়, বরং এখানেও আপনাকে লাভ এবং লস দুটো বিষয়কে আগলে রেখে সামনে যেতে হবে। হয়তবা দেখা যাবে কোনো সময় আপনি ব্যবসা থেকে অধিক পরিমান লাভ করতে পারছেন।
আবার দেখা যাবে আপনি কোনো সময় ব্যবসা থেকে অধিক পরিমানে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এখন এই ক্ষতির কারনে আপনি যদি একেবারে হতাশ হয়ে পড়েন ৷
আপনি যদি একেবারে হাল ছেড়ে দেন তাহলে কিন্তুু আপনি নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবেন। তাই ব্যবসা তে ক্ষতি হওয়ার কারনে হতাশ হওয়া যাবে না।
বরং যখন আপনি কোনো ব্যবসাতে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তখন আপনাকে আপ্রাণ চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আপনি যে কোনো ব্যবসা তে সফলতা অর্জন করতে পাবরেন
গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার জন্য কি করা লাগবে ?
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা কি এবং এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য আপনার মধ্যে কি কি গুনাবলি থাকতে হবে। আশা করি সে বিষয়ে পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন।
আর যদি না বুঝে থাকেন তাহলে পুনরায় আরেকবার পড়ার জন্য রিকুয়েষ্ট করবো। তো ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য এবার আমরা আমরা আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো।
যেমন, আপনি যদি গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে আপনার প্রাথমিক অবস্থা থেকে সফলতা পর্যন্ত কি কি করতে হবে। এবং সেজন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।
এবার চলুন তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। তো আপনি যদি এই ধরনের ব্যবসা করতে চান। তাহলে এই ব্যবসা করার জন্য এমন অনেক কিছুর প্রয়োজন হবে। যেমনঃ
নং-১ঃ ব্যবসার জন্য টাকা প্রস্তুত রাখুন
আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি যে, কোনো ব্যবসা করার জন্য অপরিহার্য একটি অংশ হলো মুলধন ৷ কারন ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় হোক, আপনাকে প্রথম দিকে সেই ব্যবসা তে ইনভেষ্ট করার প্রয়োজন হবে।
যাকে ছাড়া আপনি কোনো ভাবে একটি ব্যবসা কে কন্টিনিউ করতে পারবেন না। এখন হয়তবা আপনি ভাবছেন যে, একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য কি পরিমান মুলধন থাকতে হবে।
যেগুলো আপনি ব্যবসার কাজে ইনভেষ্ট করবেন। তবে এই ধরনের প্রশ্ন গুলোর অনেক রকমের উওর রয়েছে। যেমন আপনাকে কি পরিমান মুলধন ইনভেস্ট করতে হবে।
তা কিন্তুু সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনি আসলে কোন ধরনের ব্যবসা করতে চান। এখন আপনি যদি স্বল্প পরিসরে কোনো বিজনেস করতে চান। তাহলে আপনার মুলধন কম লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তুু আপনি যদি বড় পরিসরে কোনো ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে মোটা অংকের মুলধন নিয়ে নামতে হবে।
নং-২ঃ ব্যবসার / দোকানের লোকেশন ঠিক করুন
কোনো একটি ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আরও একটি বিষয়ে ভাবতে হবে। সেটি হলো আপনি কোন স্থানে ব্যবসা করবেন। সেই লোকেশনটি আপনাকে পূর্বে থেকেই নির্ধারন করতে নিতে হবে।
তবে এই বিষয়টি শুধুমাত্র রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিষয়টা আসলে তেমন নয়। বরং আপনাকে প্রতিটি ব্যবসার ক্ষেএে লোকেশন কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
সেটা হতে পারে গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা কিংবা অন্যান্য কোনো ব্যবসা। কারন আপনি যদি সঠিক লোকেশনে আপনার ব্যবসা করার স্থানটি নির্ধারন করতে না পারেন ৷
তাহলে আপনি আপনার বিজনেস সম্পর্কে মানুষের কাছে খুব দ্রুত পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারবেন না। কিন্তুু আপনি যদি সঠিক লোকশনে আপনার কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তাহলে কিন্তুু আপনি খুব দ্রুততার সাথে আপনার বিজনেস এর পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আর আপনি এই পরিচিতি বৃদ্ধি করার কাজটি যতো দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবেন৷ আপনার সেই বিজনেস এ সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা ততো গুন বেশি থাকবে ৷
নং-৩ঃ ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন করুন
সচারাচর আমরা যানবাহন এর ক্ষেএে লাইসেন্স করার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে থাকি। মূলত যেসব যানবাহন গুলো লাইসেন্স করা থাকে।
সেগুলোকে কোনো প্রকার আইনি ঝামেলা পোহাতে হয় না। কিন্তুু যাদের লাইসেন্স করা থাকে না। তাদের কিন্তুু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি ব্যবসার কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে কিন্তুু আপনি একই রুপ দেখতে পারবেন। কেননা ব্যবসার ক্ষেত্রেও কিন্তুু আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করার প্রয়োজন হবে।
কারন যখন আপনি নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করবেন। এবং সেই ব্যবসাটি যখন ধীরে ধীরে বৃহৎ আকার ধারন করবে। তখন আপনাকে আপনার ব্যবসাটি কে সরকার কতৃক লাইসেন্স করে নিতে হবে।
যেন পরবর্তী সময়ে আপনার চলমান ব্যবসা তে কোনো রুপ আইনি ঝামেলা না হয়। সেজন্য আপনার ব্যবসার রেজিষ্ট্রেশন করা হবে অতি বুদ্ধিমানের মতো একটা কাজ।
নং-৪ঃ দোকান সেটআপ করুন
আমরা সবাই জানি যে, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ৷ আর আমরাও সবাই চাই নিজেকে সর্বদা পরিস্কার রাখতে। কিন্তুু আপনি যখন কোনো বিজনেস শুরু করার কথা ভাববেন ৷
তখন এই কথাটির গুরুত্ব আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন।
মনে করুন, আপনি কোনো একটা হোটেলে খেতে গেলেন ৷ কিন্তুু হোটেল এর ভিতরে গিয়ে দেখলেন হোটেলের পরিবেশ একেবারে নোংরা এবং সব কিছু এলোমেলো হয়ে আছে ৷
এখন আপনি কি সেই হোটেলে খেতে চাইবেন? – না! বরং আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে সেই হোটেল থেকে বেড়িয়ে এসে অন্য কোনো হোটেলে প্রবেশ করবেন।
এখন আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে কাস্টমারদের কথা চিন্তা করে দেখুন। মনে করুন আপনি ব্যবসা করার জন্য একটি স্থান নির্বাচন করার পর সেখানে একটি বড়সড় দোকান দিলেন ৷
কিন্তুু আপনার সেই দোকানটি যদি অপরিস্কার থাকে, কোনো ভালো সেটআপ না থাকে ৷ তাহলে কি কাস্টমার আপনার কাছ থেকে পন্য কিনতে আগ্রহী হবে?
না! ঠিক হোটেল এর মতো আপনার দোকান থেকে অন্য কোনো দোকানে কাস্টমার চলে যাবে। এরফলে আপনি মাঝখান থেকে কাস্টমার এর মতো একটা লক্ষী জিনিসকে হারিয়ে ফেলবেন।
তাই কোনো ব্যবসাতে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই পরিচ্ছন্নতা এবং মানসম্মত সেট আপ এর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়ার চেস্টা করবেন।
নং-৫ঃ প্রতিযোগীদের এনালাইসিস করুন
সর্বদা একটা বিষয় মাখায় রেখে চলবেন। সেটি হলো প্রতিযোগীতা ছাড়া কোনো স্থানে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি প্রতিযোগীতা ছাড়াই কোথাও জয় লাভ করেন।
তাহলে কিন্তুু আপনি সফলতার আসল স্বাদ গ্রহন করতে পারবেন না। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন কোনো ব্যবসা শুরু করবেন। তখন ব্যবসা চলাকালীন আপনাকে প্রতিযোগীদের দিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখতে হবে।
তবে এরমানে এই নয় যে আপনি আপনার প্রতিযোগীদের সাথে খারাপ আচরন করবেন। কিংবা তাদের ক্ষতি করার চেস্টা করবেন। না এই কাজ গুলো আপনার কখনই করা উচিত হবে না।
বরং আপনাকে অন্য কোনো দিকে ফোকাস রাখতে হবে। যেমন, যারা আপনার মতো একই পন্য নিয়ে ব্যবসা করছে। তারা আসলে সফলতা পাওয়ার জন্য কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
তারা কিভাবে ব্যবসার আইডিয়া গুলো খুজে পাচ্ছে। এই জাতীয় বিষয় গুলো নিয়ে আপনাকে যথেষ্ট এনালাইছিস করতে হবে।
নং-৬ঃ গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে চেষ্টা করুন
আপনি যেকোনো ধরনের ব্যবসা করুন না কেন। আপনি যদি গ্রাহকদের চাহিদা বুঝতে না পারেন। তাহলে আপনার ব্যবসা থেকে সফলতা নিয়ে আসাটা অনেক বেশি মুশকিল হয়ে পড়বে।
কেননা, প্রত্যেকটি ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা বোঝাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই কথা গুলো বলার বেশ কিছু কারন রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারন হলো, আপনি কার উদ্দেশ্যে বিজনেস করতে চাচ্ছেন? –
নিশ্চই কাস্টমারদের উদ্দেশ্যে, তাইনা? এখন আপনি যদি এটা বুঝতে না পারেন যে, কাস্টমারদের আাসলে কোন পন্যের পন্য গুলোর প্রতি চাহিদা রয়েছে। তাহলে কিন্তুু ব্যবসা করার প্রতিটা ধাপে আপনাকে প্রচুর বেগ পেতে হবে।
যেমন উদাহরন হিসেবে আপনি একটা কাপড়ের দোকানের কথা চিন্তা করে দেখুন। মনে করুন আপনি একটা ছোটোখাটো কাপড়ের দোকান দিলেন।
এখন আপনি যদি গরমের সময় ঠান্ডার কাপড় এবং ঠান্ডার সময় গরমের কাপড় বিক্রি করেন। তাহলে কি কাস্টমার আপনার থেকে কোনো পন্য কিনবে? –
না, কারন গরমের সময় তো তারা আর সুয়েটার পরে থাকবে না, তাইনা? ঠিক একইভাবে সবার আগে আপনাকে আপনার কাস্টমারদের চাহিদা সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে।
আপনার ব্যবসা রিলেটেড পন্য গুলো আপনি কোন সময়ে বিক্রি করলে বেশি পরিমানে কাস্টমার পাবেন। কখন আপনার পন্যের প্রতি কাস্টমারদের চাহিদা কম বা বেশি থাকে।
এসব কিছু বোঝার মতো যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
নং-৭ঃ অনলাইন মার্কেটিং করুন
হয়তবা আপনি ভাবছেন যে, ব্যবসা নিয়ে আলোচনার মধ্যে আমি কেন আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং এর কথা বলছি, তাইতো? মূলত ব্যবসার ক্ষেত্রেও Online Marketing নিয়ে কথা বলার বেশ কিছু কারন আছে।
চলুন এবার সেই কারন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
দেখুন আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে আমরা প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। আর সেই কারনে আমরা ক্রমাগত ভাবে পুরোপুরি অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি।
আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা থেকে শুরু করে লেখাপড়া পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের কাজ এখন অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করছি।
এখন আপনি যদি এই সুযোগকে কেন্দ্র করে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনি যদি অনলাইন কে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনি অন্যদের তুলনায় অনেক গুন বেশি পরিমানে বেনিফিট পাবেন ৷
কেননা, বর্তমানে বাস্তবিক লাইফের মতো মানুষ অনলাইনে প্রচুর পরিমানে একটিভ থাকে। যা আপনার ব্যবসাতে সফলতা এনে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা দিয়ে শুরু করা যাবে?
তো দেখতে দেখতে আমরা আর্টিকেল এর প্রায় মাঝামাঝি অংশে চলে এসেছি। আর উপরে আমরা গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
তো এই বিষয় গুলো জানার পর আপনারও গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা করার ইচ্ছে জাগতে পারে। আর তখনি আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে যে, রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা করার জন্য কত টাকা ইনভেষ্ট করার প্রয়োজন পড়বে।
তো এবার চলুন তাহলে সে বিষয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করা যাক।
দেখুন ব্যবসার ক্ষেএে এটা নির্দিষ্টভাবে বলা খুব কঠিন একটি বিষয়। যে কোন ব্যবসাতে কত টাকা ইনভেষ্ট করলে আপনি উক্ত বিজনেসটি শুরু করতে পারবেন।
কেননা, এটা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনার বিজনেস এর আইডিয়া এবং সেই বিজনেস এর পরিধির উপর। এখন আপনি স্বল্প পরিসরে কোনো বিজনেস শুরু করেন।
তাহলে কিন্তুু আপনি অনেক কম পরিমান টাকা ব্যয় করে উক্ত বিজনেসটি পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তুু আপনি যদি বেশ বড়সড় ভাবে কোনো একটি বিজনেস শুরু করতে চান। তাহলে আপনাকে মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করে ব্যবসা শুরু করতে হবে।
কিন্তুু প্রশ্নটা এখানে থেকেই গেলো যে, একজন ব্যক্তি রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা করতে গেলে তাকে কি পরিমান টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে। তো এবার সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক ৷
দেখুন গার্মেন্টস ব্যবসাটি কে এক কথায় প্রকাশ করা গেলেও আপনি গার্মেন্টেস রিলেটেড ব্যবসা কে আরও বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারবেন।
কেননা গার্মেন্টস এর অনেক গুলো সেক্টর রয়েছে। তবে আপনি যদি গার্মেন্টস সেক্টর এর কোনো ধরনের ব্যবসা করতে চান।
তাহলে কিন্তুু আপনাকে মিনিমাম ৩-৪ লক্ষ অথবা একটু বড় পরিসরে বিজনেস করতে চাইলে কমপক্ষে ৮-২০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে।
স্টকলট কি?
উপরের হেডিংটি দেখার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই গার্মেন্টস ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করতে করতে স্টকলট নিয়ে কেন আলোচনা করছেন? এটি আবার কি জিনিস? –
তাহলে নিচের অংশটুকু তে একটু চোখ রাখুন।
দেখুন স্টকলট হলো গার্মেন্টস ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক একটি বিজনেস আইডিয়া। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই গার্মেন্টস ব্যবসা থেকে সফলতা অর্জন করে নিতে পারবেন।
আর সেজন্যই আমি মূলত এই বিষয়টিকে এখানে যুক্ত করে রেখেছি। তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, স্টকলট কি বা স্টকলট কাকে বলে?
তাহলে চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। যেহুতু আপনি গার্মেন্টস ব্যবসা সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহুতু গার্মেন্টস সমন্ধে আপনার অনেক কিছু জানা থাকবে।
এবং প্রতিটা গার্মেন্টেসে যে শিপমেন্ট করা হয়। সে সম্পর্কে তো অবশ্যই আপনি জেনে থাকবেন৷ কেননা শিপমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের দেশে উৎপাদিত পোশাক গুলো বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
কিন্তুু যখন কোনো একটি গার্মেন্টস থেকে কোনো কারনে শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যায়। তখন কিন্তুু বাতিল হওয়া শিপমেন্ট এর পন্য গুলো কোনো ভাবে আর বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয় না।
যার কারনে সেই পোশাক গুলোকে আমাদের দেশের মধ্যে কিছুটা কম রেটে সেল করা হয়ে থাকে। এখন আপনি সেখান থেকে কম দামে বেশি পরিমানে কাপড় কিনে নিবেন।
এবং পরবর্তী সময়ে সেই কাপড় গুলোকে বেশি দামে পাইকারি কিংবা খুচরো বাজারে বিক্রি করে দিবেন। এবং সেখান থেকে আপনি অধিক মুনাফা লাভ করতে পারবেন। মূলত এটিই হলো স্টকলট ব্যবসার মুল প্রক্রিয়া।
স্টকলট ব্যবসার বাজার সম্ভাবনা কেমন?
যদি আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকে যে, স্টকলট ব্যবসার বাজার সম্ভাবনা কিংবা ভবিষৎ চাহিদা কেমন হবে। তাহলে বলবো, স্টকলট বিজনেস এর বর্তমান থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ পর্যন্ত অনেক বেশি পরিমানে চাহিদা থাকবে।
অর্থ্যাৎ বলা যায় যে, আপনি যদি এই ব্যবসার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। তাহলে আপনি অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন।
হয়তবা আমার এই কথাটি শুনে আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তুু আপনি যদি একটু গভীরভাবে বিবেচনা করে দেখেন। তাহলে কিন্তুু আপনি কোনো ভাবে আমার কথার সাথে দ্বিমত পোষন করতে পারবেন না।
একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, সাধারনত গার্মেন্টেসে যেসব কাপড় তৈরি করা হয়। সেগুলো কি বাংলাদেশে বিক্রি করার জন্য তৈরি করা হয়? – না,
কারন সেই কাপড় গুলোর দাম এতো বেশি হয় যে ওগুলো আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ দাম শুনলেই নাক ছিটকাবে। কিন্তুু গার্মেন্টেসে যেসব কাপড় তৈরি করা হয়।
সেগুলো কিন্তুু শতভাগ কোয়ালিটি মেইনটেইন করেই তৈরি করা হয়ে থাকে। আর সেকারেনই মূলত এই ধরনের কাপড় গুলোর দাম এতো বেশি হয় যে আমাদের দেশের মানুষের একবারে নাগালের বাইরে চলে যায়।
এখন আপনি যদি স্টকলেট ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই পোশাক গুলোকে অনেক কম দামে কিনে নেয়ার পর। সেগুলোকে কম দামে পাইকারি কিংবা খুচরো ক্রেতারদের নিকট বিক্রি করেন।
তাহলে কিন্তুু কাপড়ের কোয়ালিটি দেখে কাস্টমাররা সেই কাপড় গুলো কিনতে আগ্রহী হবে। এবং আপনি কম দামে সেই কাপড় গুলো কিনে বিক্রি করার পর অধিক পরিমানে লাভ করতে পারবেন।
স্টকলটের কাপড় কোথায় পাওয়া যায়?
স্টকলট কি এবং স্টকলট ব্যবসার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানার পর আপনার মনেও এই ধরনের ব্যবসা করার ইচ্ছে জাগতে পারে। এখন যদি আপনার এই ধরনের ব্যবসা করার ইচ্ছে জেগে থাকে।
তাহলে আপনাকে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যেমন, আপনি যে স্টকলট এর বিজনেস করবেন। সেই বিজনেস করার কাপড় গুলো কোথায় থেকে সংগ্রহ করবেন? –
এবার সে নিয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করবো। তো দেখুন আপনি মূলত দুইভাবে স্টকলট বিজনেস এর কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন।
যেমন, আপনি সরাসরি গার্মেন্টস থেকে কাপড় কিনে নিতে পারবেন। আবার কোনো হোলসেলার এর মাধ্যমেও কাপড় কিনে নিতে পারবেন। কিন্তুু এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।
যেমন আপনি যদি সরাসরি গার্মেন্টস থেকে স্টকলট এর কাপড় কিনেন। তাহলে আপনাকে একসাথে অনেক বেশি পরিমানে কাপড় কিনতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে। কিন্তুু আপনি যে গার্মেন্টস থেকে সরাসরি কাপড় কিনবেন। এরফলে আপনি অনেক কম দাম দিয়ে উক্ত কাপড় গুলো কিনে নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করতে না চান। তাহলে আপনাকে বিভিন্ন হোলসেলের মাধ্যমে কাপড় গুলো কিনে নিতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি এই পদ্ধতিতে কাপড় কিনে নেন। তাহলে গার্মেন্টেস এর চাইতে কিছু টাকা বেশি দিযে সেই কাপড় গুলো কিনে নিতে হবে।
কিন্তুু এখানে আপনি একটি বিশেষ সুবিধা পাবেন। সেটি হলো গার্মেন্টস এর মতো এখানে একসাথে অনেক গুলো কাপড় না কিনলেও চলবে।
আমরা কি কি জানলাম?
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি কি কি শিখতে পারলেন। এবার সে নিয়ে আরেকবার রিপিড করবো। যেন আপনি কোনো ভাবে ভুলে না যান।
তো আজকে আমরা রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমনঃ
- গার্মেন্টস স্টক লট এর ব্যবসা
- রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা
- বাচ্চাদের কাপড়ের ব্যবসা
- কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
- গার্মেন্টস স্টকলট ব্যবসা
- পোশাকের মার্কেটিং ব্যবসা
- গার্মেন্টস বিজনেস
- রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা
রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা নিয়ে আমাদের শেষকথা
আজকের আর্টিকেলে আমি রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা এবং গার্মেন্টস কাপরের ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের ব্লগে ব্যবসা নিয়ে আরো অনেক আর্টিকেল আছে বিজনেস আইডিয়াতে । আপনি সময় নিয়ে ব্লগের সব আর্টিকেল গুলা পড়ে নিয়েন। এরপরও কোনো কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন।