অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম : আমরা সবাই জানি যে, ২০২০ সালের শুরুর দিকে আমাদের বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট সেবা চালু হয়।
কেননা এই ধরনের ই পাসপোর্ট এর মধ্যে মূলত ৩৮ প্রকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। কারণ এই ধরনের ই পাসপোর্ট এর মধ্যে এক ধরনের বিশেষ মাইক্রোপ্রসেসর অথবা ছোট্ট চিপের থাকে।
যার মধ্যে একজন পাসপোর্ট ধারী ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য গুলো সুরক্ষিত থাকে। আর এই ধরনের ই পাসপোর্ট আসার কারণে কোন দেশে ভ্রমণ করার সময়।
আর ভিসা চেকিং করার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন হয় না। এর প্রধান কারণ হলো যদি আপনার নিকট ই পাসপোর্ট থাকে।
সেক্ষেত্রে আপনি ই গেটের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা চেক করতে পারবেন। আর সে কারণেই মূলত এই যাবতীয় সুবিধা গুলো ভোগ করার জন্য।
অনেক মানুষ তাদের এমআরপি পাসপোর্ট কে নবায়ন করে ই পাসপোর্ট ব্যবহার করতে চাইছেন।
যদিও বা আমরা অনেকেই ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে চাই কিন্তু আমরা অধিকাংশ সময় এই কাজটি করার জন্য দালাল এর সহায়তা নেই।
তবে আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন তাহলে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার এই পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন।
আপনি আরোও দেখুন…
- ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম
- ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না?
মূলত আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব যদি আপনি একান্তভাবেই দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চান।
তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয় তাই এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।
তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনাতে ফিরে যাওয়া যাক।
পাসপোর্ট রিনিউ করার সাধারণ নিয়ম
যদিও বা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলব।
তবে তার আগে আপনাকে আমি পাসপোর্ট এর রিনিউ করার সাধারণ নিয়ম গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। কেননা আপনি যখন এই সাধারণ নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তখন আপনার আজকের পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। তাই চলুন সবার প্রথমে জেনে নেওয়া যাক যে, পাসপোর্ট রিনিউ করার সাধারণ নিয়ম গুলো কি কি।
তো পাসপোর্ট রিনিউ করার সাধারণ নিয়ম এর ক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে অনলাইন এর মধ্যে আবেদন করতে হবে। যখন আপনি অনলাইন এর মধ্যে আবেদন করবেন।
তখন আপনার সেই আবেদন পত্র টি একটি A4 সাইজ এর কাগজের মধ্যে তা প্রিন্ট করে নিতে হবে। যখন আপনি উক্ত আবেদন পত্র টি একটি কাগজের মধ্যে প্রিন্ট করবেন। তখন আপনাকে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি প্রদান করতে হবে।
এর পাশাপাশি আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলোর ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। সবশেষে আপনি যে পুরাতন পাসপোর্ট টি রিনিউ করতে চান।
সেটি আপনাকে প্রদর্শন করাতে হবে। মূলত এটি হলো পাসপোর্ট রিনিউ করার সাধারণ নিয়ম। যা আমরা আগে থেকে অনুসরণ করে আমাদের প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট রিনিউ করতাম।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
যেহেতু আপনি দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। সেহেতু এই যাবতীয় কাজ গুলো আপনাকে নিজে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে।
আর আপনি যদি এই কাজ গুলো নিজে থেকে করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে।
আর এবার আমি আপনাকে সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো কি কি।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপ-০১
সর্ব প্রথম আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অথবা আপনি চাইলে সেই আবেদন করার ফাইল টি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন।
এবং পরবর্তী সময়ে আপনাকে উক্ত ফাইল টি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এবং অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে সরাসরি বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপ-০২
তো যখন আপনি উপরোক্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করবেন। তখন সবার উপরের বাম পাশে আপনি ID Documents নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন।
আপনাকে সেই অপশন এ ক্লিক করতে হবে। এবং উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করার পরে আপনি Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP) নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনটি তে টিক মার্ক দিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপ-০৩
তার ঠিক নিচেই আপনি What is the reason for your passport request? নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন।
মূলত এখানে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে যে, আপনি আসলে কেন আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে চাচ্ছেন। তবে এখানে আপনি আপনার আসল কারণ টি উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন।
কেননা উক্ত অপশন এর মধ্যে আপনি বিভিন্ন ধরনের কারণ দেখতে পারবেন। যেমন:
- যদি কোন অনাকাঙ্খিত কারণে আপনার পাসপোর্ট নষ্ট হয়ে যায় কিংবা ছিড়ে যায়। তাহলে আপনি Unusable অপশন টি সিলেক্ট করবেন।
- আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে Data Change অপশন টি সিলেক্ট করতে হবে।
- আপনার প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট টি যদি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায়। তাহলে আপনাকে Lost/Stolen অপশন টি সিলেক্ট করতে হবে।
- আর আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে। অবশ্যই আপনাকে Expired অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এর বাইরেও যদি আপনার অন্য কোনো কারণ থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি Other এই অপশনে ক্লিক করবেন।
তবে আপনি আসলে কোন কারণে আপনার পাসওয়ার্ড রিনিউ করতে চান। সেটা কিন্তু অবশ্যই পূরণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কেননা এখানে কোন প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া একবারেই সমীচীন হবে না।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপ-০৪
এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর নম্বর টি লিখতে হবে। তারপরে আপনার পাসপোর্ট এর গ্রহণ করার তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
মূলত এইসব তারিখ গুলো আপনি পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা পেজের মতো দেখতে পারবেন। এবং উক্ত ডাটা গুলো সঠিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপ-০৫
সর্বশেষ ধাপে আপনাকে আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার প্রয়োজন পড়বে। যেমন, আপনার পিতা অথবা মাতার তথ্য, আপনার পাসপোর্ট এর ধরন।
এর পাশাপাশি আপনি কোন ধরনের ডেলিভারির নিতে চান। তা আপনাকে নির্ধারণ করে দেওয়ার পরে আবেদন টি সম্পন্ন করতে হবে। এবং যখন আপনি এই তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তখন লক্ষ্য রাখবেন যেন উক্ত তথ্য গুলোর মধ্যে কোন প্রকারের ভুল না থাকে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
যখন আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার বেশ কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়বে।
আর পাসপোর্ট রিনিউ করতে কোন কোন ধরনের কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়। সে গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়াটা আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, একজন ব্যক্তি যখন পাসপোর্ট রিনিউ করবে। তখন তার কোন ধরনের কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে।
- আপনি যে অনলাইন এর মধ্যে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের কপি টি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এবং অবশ্যই আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ যুক্ত করে দিতে হবে।
- যে ব্যক্তির পাসপোর্ট সেই ব্যক্তি কে শনাক্ত করার জন্য। উক্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর কিংবা জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর প্রদান করতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই এ চালান কিংবা ব্যাংক সার্টিফাইড চেক প্রদান করতে হবে।
- যদি আপনার নিকট পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে তার ডাটা পেজ এর প্রিন্ট কপি দিতে হবে।
- আপনি যদি কোন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চাকরির সনদ প্রদান করতে হবে।
- তথ্য সংশোধন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রদান করতে হবে।
মূলত যখন আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার বেশ কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে। আর সেই সময় আপনার যে সকল কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে। তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেয়ার নিদের্শনা
আপনি আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় অবশ্যই আপনাকে একটি রিনিউ ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এবং উক্ত ফর্ম টি আপনাকে পাসপোর্ট অফিস বরাবর জমা দিতে হবে। তবে এই ধরনের পাসপোর্ট ফরম জমা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
আর একজন পাসপোর্ট ব্যবহারকারী হিসেবে অবশ্যই আপনাকে সেই নির্দেশনা গুলো সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে। যেমন:
- আপনি যখন অনলাইন এর মধ্যে আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে সেই আবেদন কপি টি একটি A4 সাইজের কাগজের মধ্যে উভয় পাশে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
- এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার যে ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। আপনাকে সেটি পরিশোধ করে দিতে হবে।
- সেই সাথে আপনার যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সে গুলো আপনাকে সংযুক্ত করে দিতে হবে।
- তবে আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট রি-ইস্যু করেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পুরাতন পাসপোর্ট টি দেখাতে হবে।
- যদি কোনো কারণে আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে যায়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিকটস্থ থানা থেকে জিডির কপি দাখিল করতে হবে।
- কোন কারনে যদি আপনার পাসপোর্ট চুরি হয়ে যায়। তাহলে আপনাকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। এবং সেই ডায়েরির কপি দাখিল করতে হবে।
উপরে আপনি পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেওয়ার নির্দেশনা গুলো দেখতে পাচ্ছেন। মূলত একজন পাসপোর্ট ব্যবহারকারী হিসেবে অবশ্যই আপনাকে এই নির্দেশনা গুলো মেনে রিনিউ ফরম জমা দিতে হবে।
বিদেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবেন। যারা মূলত বিদেশে অবস্থান করে আছেন। এবং তারা বিদেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চান।
তো আপনি যদি বিদেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে।
আপনার জন্য আরোও লেখা…
- ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম
- বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায়
- সরকারি চাকরিজীবিদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে যে দেশ গুলো তে ই পাসপোর্ট এর কার্যক্রম চালু আছে। সেই দেশ থেকে আপনি ই পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আর এই কাজ টি করার জন্য আপনি যখন বাংলাদেশ এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করবেন। তখন আপনাকে আসলে কি কি কাজ করতে হবে।
সেগুলো তারা আপনাকে বলে দিবে। এবং তাদের দেয়া নিয়ম অনুসারে আপনাকে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি বিদেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন।
ই-পাসপোর্ট নবায়ন করার খরচ
এখন আপনাদের মধ্যে অনেকেই ই পাসপোর্ট নবায়ন করার খরচ সম্পর্কে জানতে চাইবেন। আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।
তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, একটি নতুন ই পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে যেমন খরচ হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন ই পাসপোর্ট নবায়ন করতে যাবেন।
তখনও আপনার একই প্রকারের খরচ পড়বে। এবং এই নবায়ন করার ক্ষেত্রেও আপনি ৫ বছর মেয়াদী এবং ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট দেখতে পারবেন।
এর পাশাপাশি যে ৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট রয়েছে। সেরকম পাসপোর্ট নবায়ন করার ক্ষেত্রে দেখতে পারবেন।
সেই সাথে আপনি আসলে কত দ্রুত তার সাথে আপনার ই পাসপোর্ট নবায়ন করতে চান। সেটার উপরে কিন্তু আপনার খরচ নির্ভর করবে।
আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ
তো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবেন। যারা মূলত আমেরিকা তে বসবাস করে আছেন। আর যেহেতু সেই মানুষ গুলো আমেরিকা তে বসবাস করছে।
সেহেতু অবশ্যই তাদের কে আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রয়োজন হবে। আর সে কারণেই সেই মানুষ গুলো জানতে চায় যে। কিভাবে আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করব।
তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে। প্রথমত আপনাকে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
এবং সেখানে গিয়ে আপনি ID Documents নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। সেই অপশন থেকে আপনাকে MRP সিলেক্ট করার পরে পরবর্তী আবেদন করার কাজ গুলো সম্পন্ন করতে হবে। যে কাজ গুলো সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।
পাসপোর্ট রিনিউ সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন
কিভাবে আপনি দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। সে নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তবে এর বাইরেও আমাদের মনে পাসপোর্ট রিনিউ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর জেনে নেয়া টা আমাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
আর সে কারণেই এবার আমি সেই সব গুলো প্রশ্ন কে একত্রে করেছি। এবং এখন সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
কিভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করব?
যদি আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এবং সেই ওয়েব সাইটের মধ্যে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সবশেষে আপনাকে পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি পরিশোধ করতে হবে।
কত দিন আগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে?
সত্যি বলতে পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধা ধরা নিয়ম নেই। যদি আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকে।
তাহলেও আপনি আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই রিনিউ করার জন্য আবেদন করা উচিত।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে কিনা?
যদি আপনার বয়স এক বছর থেকে ২০ বছর এর মধ্যে হয়। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন।
অপর দিকে যদি আপনার বয়স ২০ বছর এর বেশি হয়ে থাকে। তাহলে আপনি এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত?
মূলত একটি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন হয়। ঠিক সেই পরিমাণ টাকা আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় ব্যয় করতে হবে। যদিও বা পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য কোন প্রকার টাকা নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
কিন্তু আপনি যেহেতু নতুন একটি পাসপোর্ট পাচ্ছেন। সেহেতু আপনাকে ওই নতুন পাসপোর্ট এর জন্য পুনরায় আপনাকে টাকা প্রদান করতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত টাকা লাগে?
সহজ কথায় বলতে গেলে একটি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার সময় যে টাকা প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি ভাবে একটি পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে ওই একই টাকা প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে করণীয় কি?
যখন আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হবে। তখন আপনাকে উক্ত পাসপোর্ট টি নবায়ন করতে হবে। এবং এই কাজটি করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ফরম কোথায় পাবো?
পাসপোর্ট রিনিউ করার ফরম আপনি বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে খুজে পাবেন। মূলত এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনি অনলাইনে একটি ফরম দেখতে পারবেন। এবং সেই ফরম এর পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করার পরে আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
পাসপোর্ট নিয়ে আরোও দেখতে পারেন…
- ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম
পাসপোর্ট রিনিউ নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তবে আপনাকে আজকের এই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলো কে ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি।
তো আপনি যদি পাসপোর্ট সম্পর্কিত আরো অজানা কিছু সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান।
তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।