অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় : Online Loan Kivabe Nibo? অনলাইন এই শব্দটা যেন আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত।
আর এই অনলাইন আমাদের মানব জীবনে এতটাই প্রভাব ফেলেছে। যার কারণে আমরা এখন চাইলে অনলাইনে লোন নিতে পারব।
তবে এই অনলাইন এর মধ্যে লোন নেওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় বাংলাদেশ যে নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকলে।
আপনি খুব সহজেই অনলাইনে লোন নিতে পারবেন। আর আজকে আমি আপনাকে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
লোন কি | What is a loan?
লোন এই শব্দের বাংলা অর্থ হলো ঋণ নেওয়া। অর্থাৎ লোন সাধারণত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাওয়া যায়। আর এই ব্যাংক গুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঋণ দিয়ে থাকে।
আপনি আরোও পড়তে পারেন…
- মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো
- জেনে নিন ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য সমূহ সকল কিছু বাংলাই
- অনলাইনে কিভাবে দ্রুত টাকা উপার্জন করতে পারবো
যখন আপনি এই ধরনের ঋণ নিবেন। তখন আপনাকে সুদ সহ সেই টাকা গুলো প্রতি মাসে কিংবা সাপ্তাহিক হিসেবে অল্প অল্প করে পরিশোধ করে দিতে হবে।
আর এই আর্থিক সাহায্যের ব্যাংক ভিত্তিক বিশেষ প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, লোন।
অনলাইন লোন কাকে বলে?
What is a loan : উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে। ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সাহায্য যখন সুদ সহ নির্ধারিত তারিখে পূরণ করে দিতে হয়।
তখন তাকে বলা হয়ে থাকে, লোন। আর এখন অনলাইন এর যুগে একটি মানুষ চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে লোন নিতে পারবে।
যদিওবা এই ধরনের লোন বা ঋণ গুলো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই ঋণ নেওয়ার যাবতীয় পদ্ধতি গুলো আপনি অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আর সে কারণে এই ধরনের ঋণ নেয়ার পদ্ধতিকে বলা হয়, অনলাইন লোন।
অনলাইনে লোন নিতে কি কাগজপত্র দরকার হয়?
আপনি যখন সাধারণ ভাবে কোন একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন। তখন কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন কাগজ পত্র প্রদান করতে হবে।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন অনলাইনে লোন নিবেন। তখনও কিন্তু আপনার বেশ কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে।
কেননা ডকুমেন্ট ছাড়া কোন ব্যাংক লোন দিতে সম্মতি প্রকাশ করবে না।
তো আপনি যদি অনলাইন লোন নিতে চান। তাহলে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সে গুলোর তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম।
- যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করবে সেই ব্যক্তির সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে।
- আপনি যদি কোথাও চাকরি করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই সেই কর্মস্থল এর আইডি কার্ড দেখাতে হবে।
- চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে তাদের বেতনের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- আপনার বাসায় থাকা বিভিন্ন বিল এর কপি দেখাতে হবে।
- আপনার কাছে থাকা ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।
- সবশেষে আপনার নিকট থাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
মূলত একজন ব্যক্তি যখন অনলাইনে লোন নিতে যাবে। তখন তার কোন কোন কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে। সে কাগজ পত্রের তালিকা উপরে প্রদান করা হলো।
তো যারা আসলে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য এই তথ্য টি জেনে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো কি কি ?
আলোচনার শুরু থেকে আমরা অনলাইন লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জেনেছি।
তো এই বিষয় গুলো জানার পরে এখন আপনাকে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন অনলাইনে লোন নিতে যাবেন। তখনও কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন কাজ করতে হবে।
চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।
ধাপ-১: অনলাইনে লোন পাওয়ার ওয়েবসাইট
যেহেতু আপনি অনলাইনে লোন নিতে চাচ্ছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনাকে এই যাবতীয় কাজ গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
আর সে জন্য আপনাকে এমন একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি অনলাইনে লোন নিতে পারবেন।
আর সেই ওয়েব সাইট টি হলো, (www.forms.mygov.bd). মূলত যখন আপনি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
তখন অনলাইনে লোন পাওয়ার যাবতীয় তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ধাপ-২: অনলাইনে লোন এর জন্য আবেদন করুন
উপরের লিংক থেকে যখন আপনি অনলাইন লোন পাওয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
তখন আপনি সবার ডান পাশে “অনলাইনে আবেদন করুন”- নামক অপশন টি দেখতে পারবেন। তো আপনাকে উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর যখন আপনি এই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তখন আপনি পুনরায় নতুন একটি পেজে প্রবেশ করবেন। আর সেই পেজটি সম্পূর্ণ লোডিং না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
ধাপ-৩: অনলাইন লোন এর সেবা নির্বাচন করুন
যখন আপনি নতুন পেজে প্রবেশ করবেন। তখন আপনার সামনে বেশ কিছু অপশন চলে আসবে। মূলত এগুলো হলো অনলাইন আবেদনের সেবা।
অর্থাৎ আপনি কি অনুসারে অনলাইনে লোন নিতে যাচ্ছেন। তা এখান থেকে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
তো সবার শুরুতেই আপনি দেখতে পারবেন যে। মোট তিনটি ধাপ অনুসারে অনলাইন লোন দিয়ে থাকে।
আর সে গুলো হলো দপ্তর অনুসারে, খাত অনুসারে এবং সেবা গ্রহীতা অনুসারে। এখান থেকে আপনি যেভাবে অনলাইন লোন নিতে চাচ্ছেন, তা সঠিক ভাবে নির্বাচন করবেন।
ধাপ-৪: অনলাইনে লোন এর ফরম পূরণ করুন
তো উপরের পেজ থেকে যখন আপনি আপনার ঋণ নেওয়ার ধাপ অনুসরণ করবেন। তারপরে আপনার সামনে নতুন একটি ফরম চলে আসবে।
আর এই ফর্ম গুলো তে যে তথ্য দিতে বলবে। আপনি অবশ্যই সেই তথ্য গুলো সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
কেননা আপনি যদি এই ফর্ম এর মধ্যে দেওয়া তথ্য গুলো তে ভুল করেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার অনলাইনে লোন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
কোন ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন পাওয়া যায়?
আমি শুরুতেই বলেছি যে, আপনি অনলাইনে লোন নিলেও এই ধরনের লোন গুলো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়ে থাকে।
যেমন, বাস্তব জীবনে আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য হিসেবে ঋণ নেই। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন অনলাইনে ঋণ নিতে যাবেন।
তখন কিন্তু আপনাকে এই ধরনের বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তা নিতে হবে। আর বর্তমান সময়ে অনলাইনে লোন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করছে। এমন কিছু ব্যাংকের তালিকা নিচে উল্লেখ করলাম।
- বি ব্যাংক
- এশিয়া ব্যাংক
- আল আরাফা ব্যাংক
- প্রাইম ব্যাংক
- ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংক
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি।
তো উপরের তালিকায় উল্লেখ করা ব্যাংক গুলো ছাড়াও। আরো বিভিন্ন ব্যাংক রয়েছে, যে গুলো বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে লোন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
তবে আপনি যখন অনলাইনে লোন নিবেন। তখন অবশ্যই আপনার পছন্দের ব্যাংক নির্ধারণ করে। সেখান থেকে অনলাইন লোন বা ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।
অনলাইন লোন অ্যাপস বাংলাদেশ
Online Loan apps in Bangladesh বিষয় টা শুনতে অবাক করার মতো হলেও। এখন আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন apps এর সাহায্য।
বাংলাদেশ অনলাইনে লোন নিতে পারবেন। আর এবার আমি আপনাকে অনলাইন লোন নেয়ার অ্যাপস গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করাটা কতটা সত্যি
- মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো ও সুবিধাজনক
- মেশিন লার্নিং কি | মেশিন লার্নিং কিভাবে শিখব
মূলত আপনি যখন খুব দ্রুত বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে লোন নিতে চাইবেন। তখন আপনি এই অ্যাপস গুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন।
চলুন এবার তাহলে অনলাইন লোন অ্যাপস গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
Smart Coin
এবার আমি আপনাকে এমন একটি অনলাইনে লোন নেওয়ার অ্যাপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। যেটি বর্তমান সময়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
আর সেই অনলাইন লোন নেওয়ার অ্যাপস এর নাম হলো, Smart Coin. তো আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে লোন নেওয়ার জন্য এই অ্যাপস টি ব্যবহার করেন।
সেক্ষেত্রে এই অ্যাপস টা সম্পর্কে আপনার বেশ কিছু তথ্য জেনে নিতে হবে। যেমনঃ
- উক্ত লোন নেওয়ার অ্যাপস থেকে আপনি সর্বনিম্ন ১ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
- আর আপনি যে পরিমাণ টাকা লোন নিবেন। সেই পরিমাণ টাকার উপর ভিত্তি করে ২.৫ থেকে ৩% পর্যন্ত ইন্টারেস্ট রেট দিতে হবে। অর্থাৎ আপনার টাকার উপরে সুদ প্রদান করতে হবে।
- এছাড়াও গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে এই লোন নেওয়া অ্যাপস এর রেটিং রয়েছে ৪.০০
- এখানে আপনি যে লোন গুলো নিবেন। তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধ করে দিতে হবে। কারণ এটি হলো, শট টাইম লোন।
তো আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী কিংবা চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে Smart Coin নামক অনলাইন লোন নেওয়ার অ্যাপস থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
তবে আপনি যখন এই অ্যাপ থেকে লোন নিবেন। তখন অবশ্যই তা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সুদ সহ নগদ অর্থ পরিশোধ করে দিতে হবে।
EarlySalary
এটি হলো এমন এক ধরনের অনলাইন লোন অ্যাপস। যেখান থেকে আপনি সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনলাইন লোন নিতে পারবেন।
এবং আপনি এই অ্যাপ থেকে যে টাকা লোন নিবেন। সেই টাকার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ২ থেকে ২.৫% পর্যন্ত সুদ প্রদান করতে হবে।
চলুন এবার তাহলে উক্ত অনলাইন লোন অ্যাপস সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- EarlySalary নামক অনলাইন লোন অ্যাপস থেকে আপনি সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।
- আপনি উক্ত অনলাইন লোন অ্যাপস থেকে যে টাকা লোন নিবেন। সেই টাকার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ২ থেকে ২.৫% পর্যন্ত সুদ প্রদান করতে হবে।
- গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে এই অ্যাপস এর রেটিং হল ৪.২
- উক্ত লোন অ্যাপসের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে আপনি ঋণ নিতে পারবেন।
তো অন্যান্য লোন অ্যাপস গুলোর তুলনায় EarlySalary কতটা কার্যকরী। সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
আর এই অ্যাপস এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আপনি চাইলে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনলাইন ঋণ নিতে পারবেন।
Money View
আমাদের মধ্যে যারা খুব দ্রুত অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য অন্যতম একটি লোন অ্যাপস হলো, Money View.
তো আপনি যখন এই লোন apps এর মাধ্যমে অনলাইন লোন নিতে চাইবেন। তখন একটা বিষয়ে আপনার বেশ অবাক লাগবে।
সেটি হল, এই অ্যাপস থেকে মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যেই লোন পাওয়া সম্ভব। যা সত্যি অবাক করে দেওয়ার মতো।
এর পাশাপাশি এই অ্যাপ থেকে লোন নিলে যে সুদ দিতে হয়, তার পরিমাণ খুবই কম। চলুন উক্ত অনলাইন লোন পাওয়ার অ্যাপস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- এই লোন অ্যাপস থেকে আপনি সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
- উক্ত অ্যাপস থেকে লোন নেওয়ার পরে আপনার টাকার উপর ভিত্তি করে ইন্টারেস্ট হিসাবে ১.৩৩ থেকে ২% পর্যন্ত রেট ধরা হবে।
- এই ধরনের অনলাইন লোন গুলো আপনাকে তিন মাস থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে শোধ করে দিতে হবে।
- গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে এই অনলাইন লোন অ্যাপস এর রেটিং হল ৪.৩
দেখুন উপরে আপনি যে অনলাইন লোন অ্যাপস সম্পর্কে জানতে পারছেন। এই অ্যাপ টি থেকে আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
এর পাশাপাশি উক্ত অ্যাপস থেকে ঋণ নেওয়ার পরে আপনাকে খুব কম টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে।
Flex Salary
আজকের আলোচিত সর্বশেষ লোন অ্যাপস এর নাম হল, Flex Salary. আর বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক কে খুঁজে পাবেন।
যারা মূলত অনলাইন লোন নেওয়ার জন্য এই অ্যাপ টি ব্যবহার করে থাকে। যদিও বা এই অ্যাপস এর মধ্যে ইন্টারেস্ট রেট একটু বেশি।
কিন্তু তারপরেও আপনি খুব সহজেই এই অ্যাপস থেকে অনলাইন লোন নিতে পারবেন।
- যখন আপনি এই অ্যাপস থেকে অনলাইন লোন নিবেন। তখন আপনার লোনের উপর ভিত্তি করে ৩% পর্যন্ত ইন্টারেস্ট রেট ধরা হবে।
- উক্ত অ্যাপস থেকে একজন ব্যক্তি চাইলে সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অনলাইন লোন নিতে পারবে।
- আপনি এই অ্যাপস থেকে যে টাকা লোন নিবেন। সে টাকা গুলো আপনার অগ্রিম সেলারি হিসেবে নিতে পারবেন।
- এছাড়াও গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে এই অ্যাপসের রেটিং হল ৪.১.
মূলত আপনি যদি অনলাইন লোন নেওয়ার জন্য এই অ্যাপস টি ব্যবহার করেন। তাহলে আপনাকে কি পরিমান টাকা দিতে হবে।
এছাড়াও আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত অনলাইন লোন নিতে পারবেন। তা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করার নিয়ম
তো উপরের আলোচনাতে আমি আপনাকে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় জানিয়ে দিয়েছি। আর এই বিষয় টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি।
এবার আমি আপনাকে অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।
অর্থাৎ আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত সঠিক ভাবে আবেদন করতে পারে না। আর আপনি যদি সঠিক ভাবে আবেদন করতে না পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনার অনলাইনে লোন নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই অবশ্যই আপনাকে নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।
- সবার প্রথমেই আপনাকে ব্যাংক থেকে একটি ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। এর পাশাপাশি উক্ত ফর্ম এর মধ্যে থাকা এন এফ অবশ্যই সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
- এরপরে আপনি আসলে কত টাকা ঋণ নিতে চাচ্ছেন। তার পরিমাণ উল্লেখ করে দিতে হবে।
- আর ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সময় যে সকল দরকারি কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়। আপনি অবশ্যই সেই কাগজপত্র গুলো প্রদান করবেন।
- মনে রাখবেন, আপনার প্রদান করা কাগজপত্র গুলোর মধ্যে যেন কোনো ধরনের ভুল তথ্য না থাকে।
- এরপর আপনার লোন এর উপর ভিত্তি করে কত রেটে ইন্টারেস্ট দিতে হবে তা জেনে নিতে হবে।
- যখন আপনি এই কাজ গুলো করবেন। তখন ব্যাংক থেকে সরাসরি আপনার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হবে। এবং উক্ত অনলাইন লোন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করবে।
- আর ব্যাংক থেকে কল দিয়ে আপনাকে যে প্রশ্ন গুলো করবে। আপনি অবশ্যই সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন।
- এরপর বাকি কাজ গুলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ করবে। অর্থাৎ আপনার দেওয়া কাগজ পত্র এবং তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই করবে।
- সবশেষে তারা আপনাকে লোন দেওয়ার আগে একবার ভেরিফিকেশন করে নিবে।
তো অনলাইন লোন নেওয়ার জন্য আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করতে হয়। এবং কোন কোন নিয়ম গুলো মাথায় রাখতে হয়।
সেই নিয়ম গুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আর আপনি অনলাইন লোন নেওয়ার উপায় হিসেবে অবশ্যই এই নিয়ম গুলোর দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন
অনলাইন লোন নিয়ে আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি। তারা অনেকেই অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই।
তো আপনি যদি একজন বাংলাদেশী হয়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক অনলাইন লোন পাওয়ার উপায় তৈরি করেছে।
তো আপনি যদি সেই ব্যাংক গুলো থেকে অনলাইন লোন নিতে চান। তাহলে অবশ্যই উক্ত লোন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন।
আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…
- সেভিংস একাউন্ট কি | সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি
- মোবাইল দিয়ে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো করা যাবে?
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি ? সুবিধা ও অসুবিধা এবং গুরুত্ব কি?
প্রথমত কত টাকা সুদ দিতে হয় সে সম্পর্কে জানবেন। এর পাশাপাশি যে পরিমাণ টাকা অনলাইন লোন নিবেন।
সে টাকা কত দিনের মধ্যে শোধ করতে হবে। সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়ার পরে অনলাইন লোন নেয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।
আর আপনি যদি ব্যাংকিং রিলেটেড সকল আপডেট তথ্য গুলো সবার আগে জেনে নিতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন।
কারণ আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমাদের এই লেখাটি পড়ার জন্য।
আমি কৃষি কাজ করি আমার রিন নেবো আমার নাম গোলাম রাব্বী
আপনারা যেখান থেকেই বলুন টাকাটা আমাকে লোন দেন আমি খুব বিপদে আছি আমি খুব অসহায় গরিব মানুষ আপনাদের কাছে অনেক আবেদন জানিয়েছে আমি কোনদিন পাই নাই তাই আমার মোবাইল নাম্বার টা দেখুন ০৯০৩৫৭৩৬