অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম : সরকারি চাকরিজীবিদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম । বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের ই পাসপোর্ট সেবা চালু করা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর অন্য কোন দেশে যেতে চান। তাহলে আপনাকেও এখন এই ই পাসপোর্ট করতে হবে।
মূলত আমার পূর্ববর্তী আর্টিকেল গুলো তে ই পাসপোর্ট কি। এবং ই পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তবে সেই আর্টিকেল গুলো তে আপনার অনেকেই অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এর পাশাপাশি আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।
যারা মূলত সরকারি চাকরিজীবী। তো এই সরকারি চাকরিজীবী ব্যক্তিরা কিভাবে ই পাসপোর্ট করতে পারবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো কি কি সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মূলত আজকের আলোচনায় আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।
দেখুন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো কমবেশি একই রকম। তবে আমি বারংবার একটা কথা বলেছি যে আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন।
সেক্ষেত্রে আপনি আরও বিভিন্ন ধর্মী কিছু ই পাসপোর্ট দেখতে পারবেন। যেমন ধরুন, ই পাসপোর্ট এর মধ্যে আমরা ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে পাসপোর্ট দেখতে পাই।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশ যাওয়ার জন্য ই পাসপোর্ট করবেন।
আপনি আরোও দেখে নিন…
- পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কাতারের ভিসা চেক করার নিয়ম
- অনলাইনে ই-পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
তখন আপনার জন্য সেই ই পাসপোর্ট এর মধ্যে আরও কিছু প্রকারভেদ চলে আসবে। কিন্তু আমরা যারা নতুন সরকারি চাকরিজীবী ব্যক্তি হিসেবে ই পাসপোর্ট করতে চাই। তখন আমরা আসলে বুঝতে পারিনা যে কোন ধরনের ই পাসপোর্ট করা উচিত।
এবং কোন ই পাসপোর্ট এর মধ্যে কি রকম সুবিধা রয়েছে। আর আপনি যাতে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বুঝতে পারেনা সেজন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবিদের ই-পাসপোর্টের ধরণ
উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল যে, সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ই পাসপোর্ট এর ভিন্ন রকম ধরণ রয়েছে।
মূলত একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে আপনি যখন ই পাসপোর্ট করবেন। তখন আপনি মোট দুই ধরনের ই পাসপোর্ট দেখতে পারবেন।
আর এই দুই ধরনের ই পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়াটা আপনার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। তাই নিচে আমি সরকারি চাকরিজীবীদের দুই ধরনের ই পাসপোর্ট সম্পর্কে একটু আলোকপাত করব।
যাতে করে আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারেন।
অফিসিয়াল ই পাসপোর্ট
সহজ কথায় বলতে গেলে সরকারি চাকরিজীবীর যে ই পাসপোর্ট থাকবে। তা মূলত সাধারণ ব্যক্তিদের থেকে একটু হলেও আলাদা হবে।
মূলত আপনি যখন সরকারি কোন দায়িত্ব পালন করার জন্য আপনার দেশ থেকে পৃথিবীর অন্য কোন দেশে যাবেন।
তখন আপনি এই ধরনের অফিসিয়াল ই পাসপোর্ট এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সাধারণত একটি ই পাসপোর্ট এর ডেলিভারি টাইম মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি এই ধরনের সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অফিসিয়াল ই পাসপোর্ট করেন।
সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে নাম। সেই সাথে আপনি এই ধরনের ই পাসপোর্ট গুলো জরুরি ভিত্তিতে পাবেন।
অপরদিকে একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে আপনি যখন অফিসিয়াল ই পাসপোর্ট পাবেন। তখন আপনি সেই পাসপোর্ট শুধু মাত্র পাঁচ বছর মেয়াদী হিসেবে পাবেন।
অর্থাৎ অন্যান্য ই পাসপোর্ট এর মত আপনি দশ বছর পর্যন্ত অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর সুবিধা টি পাবেন না।
সাধারণ ই পাসপোর্ট | Govt Job
উপরে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো যে আপনি যখন সরকারের দায়িত্ব পালন করার জন্য।
এক দেশ থেকে অন্য আরেক টি দেশে যাবেন। সেক্ষেত্রে আপনি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে উক্ত অফিসিয়াল ই পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি কোন সরকারের দায়িত্ব পালন করার জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশ যাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণ ই পাসপোর্ট এর মত যাবতীয় কাজ গুলো করতে হবে।
যেমন, প্রথমত আপনাকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে আপনাকে ই পাসপোর্ট রেগুলার ডেলিভারি ফি প্রদান করতে হবে।
তবে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ই পাসপোর্ট করার একটি বিশেষ সুবিধা হল। তারা যখন ই পাসপোর্ট করবে তখন তাদের কোন প্রকার পুলিশ ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়বে না।
আর এগুলো ছাড়া যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো মূলত সাধারণ ই পাসপোর্ট এর মতই। এখানে খুব বেশি একটা পার্থক্য খুঁজে পাবেন না।
অফিসিয়াল পাসপোর্ট কারা করতে পারবে?
বর্তমান সময়ে যেসব সরকারি চাকরি জীবী রয়েছেন। তারা যখন ই পাসপোর্ট করতে যান তখন তাদের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণার জন্ম নেয়।
কেননা তারা সবাই ভেবে নেয় যে, যেহেতু তারা একজন সরকারি চাকরিজীবী। সেহেতু তারা সবাই অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে পারবেন আসলে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়।
বরং এখন সরকারি চাকরিজীবী হলেই যে আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে পারবেন এই ধারণা টা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ যখন আপনি সরকারের কোন দায়িত্ব পালন করার জন্য একটি দেশ থেকে অন্য আরেক টি দেশে যাবেন।
সে ক্ষেত্রে আপনার এই দায়িত্ব কিন্তু সরকারের। আর সে কারণেই উক্ত ব্যক্তিদের কে অফিসিয়াল পাসপোর্ট প্রদান করা হয়ে থাকে।
তাই বলে একজন সরকারি চাকরি জিবি হলেই যে আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে পারবেন এটা সম্পূর্ণ ভুল একটা ধারণা।
অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম
দেখুন প্রতিটা কাজ নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে সম্পন্ন করতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে যাবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত এখন পর্যন্ত জানে না যে, অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো কি কি।
সে কারণে এবার আমি আপনাকে সেই অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।
চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। যাতে করে আপনার অফিসিয়াল পাসপোর্ট সম্পর্কিত কোন কিছু অজানা না থাকে।
আপনি আরোও জানতে পারবেন…
- পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বিস্তারিত দেখুন
- সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা ও আবেদনের নিয়ম
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ওমানের ভিসা চেক করার নিয়ম
তো উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল আপনি যদি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করেন।
সেক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই পাসপোর্ট ডেলিভারির ক্ষেত্রে আপনি সাধারণ বা রেগুলার যেভাবেই আবেদন করেন না কেন।
আপনি জরুরী ভিত্তিতে সেই পাসপোর্ট টি সংগ্রহ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি উক্ত ডেলিভারি এর জন্য আপনাকে কোন প্রকার বাড়তি টাকা প্রদান করার প্রয়োজন হবে না।
বরং আপনাকে শুধু পাসপোর্ট করার জন্য যে সব ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। সেই ডকুমেন্ট গুলো আপনাকে সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
অফিসিয়াল ই-পাসপোর্টের জন্য যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন
যখন আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করবেন। তখন আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যেগুলো আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে প্রদান করতে হবে।
আর এই ধরনের অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার সময় কি কি ধরনের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। সেগুলো নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।
- সর্ব প্রথম আপনাকে সরকারি আদেশের কপি প্রদান করতে হবে। যাকে সহজ ভাষায় বলা হয়, Government Order Copy.
- এর পাশাপাশি আপনাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের অনাপত্তি সনদ প্রদান করতে হবে। যাকে সহজ ভাষায় বলা হয়, NOC.
- সবশেষে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে।
মূলত যখন আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনার এই আবেদন টি অবশ্যই এন্ডরোলমেন্টের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এবং যখন আপনি আপনার এই আবেদন টি জমা করবেন। তখন অবশ্যই তাদের কে জানিয়ে দিবেন যে।
আপনি আসলে অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন। আর এই আবেদন পত্র টি জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই Government Order Copy এবং NOC জমা দিতে হবে।
সাধারণ পাসপোর্ট
তো উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হল যে, সরকারি চাকরিজীবী মূলত দুই ধরনের ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
তবে অফিশিয়ালি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে যে সকল সুবিধা রয়েছে। তার থেকে একটু কম সুবিধা পাবেন যখন আপনি একজন সরকারের চাকরিজীবী হওয়ার পরেও সাধারণ পাসপোর্ট করবেন।
তো এতক্ষণ ধরে আমি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করাবে নিয়ম। এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়।
তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর সে কারণে এবার আমি আপনাকে এখন সাধারণ পাসপোর্ট সম্পর্কিত যাবতীয় ধারণা গুলো প্রদান করার চেষ্টা করব।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক সরকারি চাকরি জীবী যখন সাধারণ পাসপোর্ট করবে। তখন তার কি কি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। সেই সাথে তার কোন ধরনের ডকুমেন্ট গুলোর প্রয়োজন হবে।
সাধারণ পাসপোর্ট কারা করতে পারবে?
সাধারণ পাসপোর্ট মূলত তারাই করতে পারবে। যারা বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরিজীবী কিংবা সাবেক চাকরিজীবী।
তবে সরকারি চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে যারা সরকারের দায়িত্ব পালন করার জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাবে। সে ক্ষেত্রে তারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে পারবে।
কিন্তু যদি আপনি সরকারের দায়িত্ব পালন ব্যতীত একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে আপনি খুব সহজেই সাধারণ পাসপোর্ট করতে পারবেন।
তবে এই ধরনের সাধারন পাসপোর্ট করার জন্য অবশ্যই আপনাকে যাবতীয় নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। সেই সাথে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে।
আর এবার আমি আপনাকে সেই সাধারণ পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং সাধারণ পাসপোর্ট করার জন্য ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের নিয়ম
একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে যখন আপনি সাধারণ পাসপোর্ট করবেন। তখন আপনি শুধুমাত্র 5 বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সেই সাথে আপনি ডেলিভারি হিসেবে সাধারণ, নিয়মিত এবং অতি জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে আপনি যে কোনো ধরনের পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করুন না কেন। আপনি সেটি অতি জরুরী হিসেবে ডেলিভারি নিতে পারবেন।
আর সেজন্য আপনাকে কোন প্রকার বাড়তি ফি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। অর্থাৎ আপনি কোনো প্রকার বাড়তি টাকা দেওয়া ছাড়াই উক্ত সাধারণ পাসপোর্ট গুলো অতি জরুরি ধরন হিসেবে নিতে পারবেন।
সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন
যখন আপনি সাধারণ পাসপোর্ট করবেন। তখন আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। এবং যখন আপনি সেই ডকুমেন্টস গুলো প্রদান করতে পারবেন।
তখন আপনি খুব সহজেই সাধারণ ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। চলুন এবার তাহলে সাধারণ এই পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা দপ্তরের অনুপত্তি সনদ প্রদান করতে হবে (NOC).
- সেই সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে।
যখন আপনি উপরের এই ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে উক্ত আবেদন টি এন্ডরোলমেন্ট এর মধ্যে জমা দিতে হবে।
এবং তাদের কে জানিয়ে দিতে হবে যে, আপনি সরকারি চাকরিজীবী হিসাবে পাসপোর্ট করতে যাচ্ছেন। আর যখন আপনি তাদেরকে এই বিষয় টি সম্পর্কে অবগত করবেন।
তখন তারা আপনার সাধারণ ই পাসপোর্ট এর যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে দিবে।
সরকারি চাকরীজীবিদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
এতক্ষণের আলোচনায় আমি আপনাকে সরকারি চাকরি জীবীদের পাসপোর্ট নিয়ে যাবতীয় বিষয় গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি সরকারি চাকরি জীবীদের পাসপোর্ট সম্পর্কিত সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন।
তবে এরপরও আমাদের মনে আরো বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। যে গুলোর উত্তর এবার আমি খুব সংক্ষেপে দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সরকারি চাকরিজীবী পাসপোর্ট ফি কত টাকা?
যদি আপনি সরকারের কোনো দায়িত্ব পালন করার জন্য পাসপোর্ট করেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার ফি দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা সেই সময়ে আপনার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে।
অফিসিয়াল পাসপোর্ট সুবিধা গুলো কি কি?
অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর বিশেষ সুবিধা হল আপনাকে কোন প্রকার পাসপোর্ট ফি দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সেই সাথে আপনি আপনার পাসপোর্ট গুলো ডেলিভারি টাইম হিসেবে অতি জরুরী ভিত্তিতে পাবেন। এর পাশাপাশি আপনাকে পাসপোর্ট করার সময় কোন প্রকার পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে না।
পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম
আপনি যদি ভুলবশত অনলাইন এর মাধ্যমে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক বরাবর একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে। এবং সেই লিখিত আবেদনপত্র আপনাকে উল্লেখ করতে হবে যে। আপনার সেই অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করা আবেদন টি বাতিল করার জন্য
অফিসিয়াল পাসপোর্ট নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আজকের এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
কারণ একজন সরকারি চাকরিজীবী কিভাবে অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবে। তার জন্য তাকে কোন ধরনের ডকুমেন্টস গুলোর প্রয়োজন হবে।
তা নিয়ে আমি আজকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। সেই সাথে অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার নিয়ম গুলো কে আমি পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।
আপনার জন্য আরোও লেখা…
- বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায়
- ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম
- ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়
তো আশা করি আলোচিত এই আলোচনা থেকে আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
আর এই ধরনের পাসপোর্ট সম্পর্কিত অজানা বিষয় গুলো কে সহজ ভাষায় জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। আর্টিকেল এর এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।