অনেকেই জানেন না যে, এখন আপনি খুব সহজেই অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারী কর্মচারীরা ঘরে বসেই জিপিএফ হিসাব দেখতে পারবেন।
অনলাইনে জিপিএফ দেখতে, প্রয়োজন হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাম্বার এবং মোবাইল নম্বর। সঠিক তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন কোড সাবমিট করলে, আপনি দ্রুত এবং নিরাপদভাবে আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স জানতে পারবেন।
ওয়েলকাম টু ইনফো পোর্টাল বিডি ব্লগের আজকের টপিক “অনলাইনে জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম” নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলে।
আজকে এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন, জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম, জিপিএফ এর কাজ কি এবং অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে কি কি লাগবে?
জিপিএফ কি (What is gpf in bangla)
আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার নিয়মগুলো জানবো। তবে তার আগে আমাদের জিপিএফ সম্পর্কে কিছু মৌলিক ধারণা নেওয়া উচিত।
জিপিএফ (Government Provident Fund) হলো বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি ভবিষ্যত তহবিল। এটি এমন একটি স্কিম যেখানে সরকারি কর্মচারীরা তাদের কর্মজীবনের সময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন।
ধরুন, আপনি একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে ১১,০০০ টাকা মাসিক বেতন পাচ্ছেন। এই বেতনের একটি অংশ—যেমন ১০%—আপনার জিপিএফ তহবিলে জমা হচ্ছে।
আপনি যখন চাকরি থেকে অবসর নেবেন, সরকার সেই তহবিলে জমা থাকা অর্থের সাথে সুদসহ আপনাকে ফেরত দেবে। ফলে, আপনি অবসর জীবনে আর্থিক সমস্যা থাকলে সমাধান হবে।
জিপিএফ এর কাজ কি?
উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি জিপিএফ (Government Provident Fund) কি। এবার প্রশ্ন জাগতে পারে, জিপিএফ এর কাজ কি?
মূলত, জিপিএফ হলো সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত তহবিল। এই তহবিলে কর্মচারীদের বেতন থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ কেটে রেখে দেওয়া হয়, যা তাদের অবসরকালীন সময়ে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে।
এই তহবিলে জমা থাকা অর্থের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করা হয়। কর্মচারী যখন চাকরি থেকে অবসর নেন, তখন তাদের তহবিলে জমা থাকা মূল অর্থের সাথে সেই সুদও প্রদান করা হয়। এটি তাদের অবসরকালীন জীবনে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকার একটি মাধ্যম।
মূলত, সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের জন্য জিপিএফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিকল্পনা। আশা করি, বিষয়টি এখন আরও পরিষ্কার হয়েছে।
অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে কি কি লাগবে?
এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা জিপিএফ কি এবং জিপিএফ এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে পারলাম। তো এবার আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হলো, যখন আপনি অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করবেন। তখন আপনার নিকট কি কি থাকতে হবে। যদিওবা জিপিএফ ব্যলেন্স চেক করার জন্য খুব বেশি কিছুর দরকার হয়না। তবে যেগুলোর প্রয়োজন পড়ে সে গুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। যেমন,
- আপনার নিকট একটি ডিভাইস থাকতে হবে। যেমন, মোবাইল অথবা কম্পিউটার।
- এছাড়াও আপনার সেই ডিভাইস এর মধ্যে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- আপনার নিজস্ব জাতীয় পরিচয় পত্র এর প্রয়োজন হবে।
- আপনি পে ফিক্সেশন করার সময় যে মোবাইল নম্বরটি প্রদান করেছেন। আপনাকে সেই মোবাইল নম্বরটি প্রদান করতে হবে।
তো যখন আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করবেন। তখন আপনার নিকট যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। সেগুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হলো। আর আপনি অবশ্যই এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো আপনার সাথে রাখবেন।
অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে কি কি লাগবে?
এতক্ষণে আমরা জেনেছি জিপিএফ কি এবং এর কাজ কি। এখন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা দরকার—অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে কি কি প্রয়োজন।
যদিও জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার জন্য খুব বেশি জটিল কিছু লাগে না, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডকুমেন্ট আপনার নিকট থাকা আবশ্যক। নিচে এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
- একটি ডিভাইস: আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থাকতে হবে।
- ইন্টারনেট কানেকশন: আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে।
- মোবাইল নম্বর: পে ফিক্সেশন করার সময় যে মোবাইল নম্বর আপনি প্রদান করেছিলেন, সেটি ব্যবহার করতে হবে।
এই তথ্য এবং ডকুমেন্টসগুলো সঙ্গে রাখলে আপনি সহজেই অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। সবকিছু প্রস্তুত থাকলে আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার প্রক্রিয়া হবে সহজ এবং ঝামেলামুক্ত।
জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার উপায়
আপনারা যারা অনলাইন থেকে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে চান। তাহলে আপনি মাত্র কয়েক টি ধাপ ফলো করে আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
তার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে যেতে হবে।
তারপর আপনি সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর এবং আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। মূলত তারপর আপনার মোবাইল নম্বর টি ভেরিফাই করার পর। আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার উপায়
আপনারা যারা অনলাইন থেকে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে চান। তাহলে আপনি মাত্র কয়েক টি ধাপ ফলো করে আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন। তার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে যেতে হবে।
তারপর আপনি সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর এবং আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। মূলত তারপর আপনার মোবাইল নম্বর টি ভেরিফাই করার পর। আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার উপায়
আপনারা যারা অনলাইন থেকে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে চান। তাহলে আপনি মাত্র কয়েক টি ধাপ ফলো করে আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন। তার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে যেতে হবে।
তারপর আপনি সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর এবং আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। মূলত তারপর আপনার মোবাইল নম্বর টি ভেরিফাই করার পর। আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম – www.cafopfm.gov.bd 2022
দেখুন, উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার পদ্ধতি গুলো কে সংক্ষেপে বলে দিয়েছি। তবে আপনি যখন উপরের দেখানো উপায় টি ফলো করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। আর আপনাকে আসলে কোন কোন নিয়ম ফলো করতে হবে। সেগুলো এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো। যেমন,
Loading Image, please wait….
প্রথম ধাপঃ সবার প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে যে কোনো একটি ব্রাউজার অপেন করুন। তারপর সরাসরি চলে যাবেন ব্রাউজার এর সার্চ বারে। তারপর আপনি cafopfm.gov.bd এটি লিখে সার্চ করবেন। তবে যদি আপনার সার্চ করতে সমস্যা হয়। তাহলে আপনি সরাসরি এখানে ক্লিক করেও উক্ত ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
Loading Image, please wait….
দ্বিতীয় ধাপঃ তো যখন আপনি উপরের লিংক এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি নতুন একটি পেজে প্রবেশ করবেন। এবং সেখানে আপনি অনেক গুলো অপশন দেখতে পারবেন। আর সেই সব অপশন গুলোর মধ্যে আপনাকে “GPF Information” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
Loading Image, please wait….
তৃতীয় ধাপঃ এবার আপনি ছোট একটা ফরম দেখতে পারবেন। মূলত এখানে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন, সবার উপরে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর নম্বরটি সঠিক ভাবে বসিয়ে দিন।
তার ঠিক নিচে আপনি মোবাইল নম্বর দেওয়ার একটি ফাঁকা বক্স দেখতে পারবেন। তো এখানেও আপনি আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটি প্রদান করুন। এরপর আপনি আসলে কোন বছরের জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে চান। আপনি সেই বছরটি সিলেক্ট করে দিন।
আর যখন আপনি উপরের দেওয়া তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে সবার নিচে থাকা “Submit” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
Loading Image, please wait….
চতুর্থ ধাপঃ সবশেষে আপনি যে মোবাইল নম্বরটি প্রদান করেছেন। সেই মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফাই করার কোড যাবে। আপনাকে সেই কোডটি নির্ভূল ভাবে বসিয়ে দিতে হবে। আর যখন আপনি সেই কোড টি বসিয়ে দিবেন। তারপর আপনাকে পুনরায় “Submit” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
আর কোড প্রদান করার পর যখন আপনি সাবমিট বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো দেখতে পারবেন। মূলত এখানে আপনি যে সকল তথ্য দেখতে পারবেন। সেগুলো হলো, আপনার জিপিএফ এর স্টেটমেন্ট।
তো আপনি চাইলে এই জিপিএফ এর স্টেটমেন্ট গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এবং পরবর্তী সময়ে আপনার ডাউনলোড করা স্টেটমেন্ট টি প্রিন্টার এর মাধ্যমে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
জিপিএফ হিসাব ক্যালকুলেটর
আচ্ছা কেমন হবে, যদি আপনার নিজের কাছেই একটি জিপিএফ হিসাব ক্যালকুলেটর থাকে। তো এবার আমি আপনাকে এমন একটি অনলাইন ওয়েবসাইট এর পরিচয় করিয়ে দিবো। যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি অনলাইনে জিপিএফ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি সেই জিপিএফ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনি এখানে ক্লিক করুন।
কিভাবে জিপিএফ ক্যালকুলেটরের সাহায্যে জিপিএফ এর হিসাব দেখবেন?
Loading Image, please wait….
উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এর লিংক শেয়ার করেছি। যেখান থেকে আপনি অনলাইনে জিপিএফ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। সেজন্য সবার প্রথমে আপনাকে আপনার বছরের শুরুর স্থিতি উল্লেখ করে দিতে হবে। তারপর আপনার মাসিক কর্তন করা অর্থের পরিমান উল্লেখ করে দিতে হবে।
এবার আপনার প্রতি মাসের কর্তন এর পরিমান যদি সমান হয়ে থাকে। তাহলে আপনি ইয়েস অপশন এর মধ্যে টিক মার্ক প্রদান করুন। কিন্তুু যদি আপনার প্রতি মাসের কর্তনের পরিমান সমান না হয়। তাহলে আপনাকে না অপশন টি সিলেক্ট করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি মাসের কর্তনের পরিমান আলাদা আলাদা করে দিতে হবে।
এবার যদি আপনার প্রতি মাসের ০৫ তারিখ কর্তন করা হয়ে থাকে। তাহলে আপনাকে আবার হ্যা সিলেক্ট করে দিতে হবে। এবং উপরের কাজ গুলো সঠিক ভাবে করার পর আপনাকে “ফলাফল” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। আর তারপরে আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।
আমাদের শেষকথা
আপনারা যারা সরকারি কর্মকর্তা, তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আজকে আমি আপনাকে অনলাইনে জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম গুলো দেখিয়ে দিয়েছি। আশা করি, এই নিয়ম গুলো বুঝতে আপনার কোনা সমস্যা হবেনা। আর আপনি যদি জিপিএফ সম্পর্কিত আরো কোনো তথ্য জানতে চান। তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
আর ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।