হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড- সর্বশেষ আপডেট

Get lost nid card:যদি কোনো কারণে আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায়। তাহলে সবার আগে আপনাকে আপনার আইডি কার্ড হারানো জন্য নিকটস্থ থানায় একটি সাধারন জিডি করতে হবে। আর উক্ত জিডি এর সকল কাজ গুলো আপনি অনলাইন থেকে করতে পারবেন। আর যখন আপনার জিডি এর কাজ সম্পন্ন হবে। তারপর আপনি অনলাইন থেকে আপনার হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। 

তবে এই জিডি করা থেকে শুরু করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা পর্যন্ত। আপনাকে যে সকল কাজ করতে হবে। সেই কাজ গুলো কে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। তো আর দেরী না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। 

 

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার উপায়

যখন আমাদের প্রয়োজনীয় ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায়। তখন আমরা অধিকাংশ মানুষ খুব ভয় পেয়ে যাই। তবে এখানে আসলে ভয় পাওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। বরং আপনি যদি আমার দেখানো নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তাহলে আপনি মাত্র ৭ দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার হারানো আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। 

তো আপনি যদি নতুন ভোটার রেজিষ্ট্রেশন করেন। এবং আপনার ভোটার নিবন্ধন এর সময় যদি ২০১৯ সাল এর পরে হয়ে থাকে। তাহলে আপনি বিনা খরচে অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কিন্তুু যদি আপনি এই সময়ের আগেই ভোটার নিবন্ধন করেন। তাহলে আপনাকে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে নির্ধারিত খরচ করতে হবে। 

কিন্তুু এই খরচের কথা শুনে আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ, ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেলার পর যখন আপনি পুনরায় সেটি সংগ্রহ করতে চান। তাহলে আপনাকে মাত্র ২৩০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। অর্থ্যাৎ, এই প্রক্রিয়া তে আপনাকে পুনরায় ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য রি ইস্যুর আবেদন করতে হবে। 

 

জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন করার পদ্ধতি

আমি আলোচনার শুরুতে আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেটি হলো আপনি যখন জানতে পারবেন যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে। তখন আপনি অতি দ্রুত আপনার নিকটস্থ থানায় একটি জিডি করবেন। তবে আপনি যদি সরাসরি থানায় গিয়ে জিডি করতে না পারেন। তাহলে আপনি এখন খুব সহজে অনলাইন থেকেও এই জিডি করার কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। চলুন, এবার ধাপে ধাপে সে গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

 

ধাপ ১ঃ জিডির আবেদন লিখুন অথবা, অনলাইনে জিডি করুন

আপনি অনলাইন বা অফলাইন যেখানে আপনার সুবিধা হয়। আপনি সেভাবেই থানায় জিডি করতে পারবেন। কিন্তুু যখন আপনি থানায় জিডি করবেন। তখন আপনার জিডি যে পুলিশ অফিসার গ্রহন করবেন। সেই পুলিশ অফিসার এর নাম এবং তার মোবাইল নম্বর টি নিজের কাছে সংগ্রহ করে রাখবেন। 

এর কারণ হলো, যখন আপনি আপনার হারানো আইডি কার্ড এর রিইস্যুর আবেদন করবেন। তখন কিন্তুু সেই পুলিশ অফিসার এর নাম ও মোবাইল নম্বর এর প্রয়োজন হবে। তাই আপনি জিডি করার পরে নিজ দায়িত্বে পুলিশ অফিসারের মোবাইল নম্বর ও নাম জিজ্ঞেস করে নিবেন। আর তারপর আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে। 

 

ধাপ ২ঃ জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে (NID Wing) এ রেজিস্ট্রেশন

তো যখন আপনি জিডি এর কাজ শেষ করবেন। তারপর আপনাকে পরবর্তী কাজ গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে করতে হবে। আর সেজন্য আপনাকে মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এখন উক্ত ওয়েবসাইট এর মধ্যে যদি আপনার আগে থেকে একাউন্ট বা রেজিষ্ট্রেশন করা থাকে। তাহলে আপনাকে আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে। 

কিন্তুু যদি আপনার আগে থেকে কোনো ধরনের রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে। তাহলে আপনাকে নতুন করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর কোনো কারণে যদি আপনি আপনার একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড ভুলে যান। তাহলে আপনাকে সেই ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে পারবেন। 

 

ধাপ ৩ঃ রিইস্যুর আবেদন করুন – হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের অনলাইন আবেদন

তো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটে যখন আপনি আপনার একাউন্ট এর মাধ্যমে লগ ইন করবেন। তারপর আপনি নতুন একটি পেজে প্রবেশ করবেন। আর সেই পেজটি দেখতে আসলে কেমন হবে, তা আপনি নিচের পিকচারে দেখতে পাচ্ছেন। 

Loading image, please wait……..

এখন আপনার প্রথম কাজ হলো, সবার উপরে যে “রিইস্যু” নামক অপশন টি দেখতে পাচ্ছেন। আপনাকে সেই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। তো যখন আপনি উপরে দেখানো অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার সামনে একটা আবেদন ফরম আসবে। আপনাকে সেই আবেদন ফরম এর মধ্যে থাকা তথ্য ‍গুলো সঠিক ভাবে পূরন করতে হবে।

Loading image, please wait……..

উপরে আপনি যে পিকচার টি দেখতে পাচ্ছেন। মূলত সেখানে নির্দিষ্ট একটি অংশ মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। তো এখানে আপনি যখন থানায় ভোটার আইডি কার্ড হারানোর পর জিডি করছেন। মূলত সেই তথ্য গুলো উক্ত অপশন এর মধ্যে প্রদান করতে হবে। যেমন, পুলিশ অফিসার এর নাম, তার পদবি, জিডি করার তারিখ এবং জিডি এর নম্বর গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। 

Loading image, please wait……..

তার ঠিক নিচেরই আপনি আরো কিছু অপশন দেখতে পারবেন। যেমন, এবার আপনাকে আপনার আবেদন এর ধরন উল্লেখ করে দিতে হবে। আর উক্ত অপশন এর মধ্যে আপনি “রিইস্যু” সিলেক্ট করে দিবেন। এর পাশাপাশি আপনি যে, বিতরনের ধরন নামক অপশন টি দেখতে পাচ্ছেন। সেই অপশন এর মধ্যে “Regular” সিলেক্ট করে দিবেন। তবে যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড খুব জরুরী হয়। তাহলে আপনি উক্ত অপশনে “Urgent” সিলেক্ট করে দিবেন। 

এবার আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর রিইস্যুর জন্য আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। কিন্তুু আপনাকে আসলে মোট কত টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। সেটা নির্ভর করবে আপনার আবেদন এর ধরন ও বিতরনের ধরন এর উপর। তবে স্বাভাবিক ভাবে একটি হারানো ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু করার জন্য ৩৪৫ টাকা ফি দিতে হয়। কিন্তুু জরুরী ভিত্তিতে কাজের জন্য মোট ৫৭৫ টাকা ফি প্রদান করার দরকার হয়। 

এবং যখন আপনি সবার উপরের ডানপাশে থাকা “পরবর্তী” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে জিডি এর স্ক্যান কপি প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে যখন আপনি আপনার জিডির কপি প্রদান করবেন। তখন অবশ্যই আপনার জিডির কপিটি সোজাসুজি ভাবে স্ক্যান করার চেষ্টা করবেন। আর সবশেষে আপনাকে আপনার আবেদন টি সাবমিট করে দিতে হবে। 

 

ধাপ ৪ঃ জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করুন

তো যখন আপনি উপরের কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করবেন। তারপর আপনাকে ৭ দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর যখন নির্বাচন কমিশন অফিস আপনার আবেদন টি গ্রহন করবেন। তারপর আপনি আপনার হারানো ভোটার আইডি কার্ড পুনরায় ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

আর এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। যখন আপনার আবেদন টি গ্রহন করা হবে। তারপর আপনাকে মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর যখন আপনার মোবাইলে মেসেজ যাবে। তখন আপনি সাথে সাথে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিবেন। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি আপনার ডাউনলোড করা ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। 

 

হারানো ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, কোনো কারণে যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায়। তাহলে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং আপনি যদি আজকের দেখানো পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ফলো করেন। তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

তবে এরপরও যদি আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে আপনি আপনার সমস্যাটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top