২০২৪ সালে প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে এখন অনলাইনে আবেদন করা যায়। প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪ শুরু হয়ে গেছে এবং এর জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি এই আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই আপনার আবেদন জমা দিতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে, আপনাকে www.mis.bhata.gov.bd.online application ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এখানে আপনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও ফর্ম পাবেন।
আপনার আবেদন চেক করার জন্য, প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন চেক করার প্রক্রিয়া জানা প্রয়োজন। এটি আপনাকে নিশ্চিত করবে যে আপনার আবেদন সফলভাবে জমা হয়েছে।
এছাড়া, প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম pdf ডাউনলোড করার পদ্ধতি এবং প্রতিবন্ধী কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কিত তথ্যও এখানে পাওয়া যাবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড চেক করার নিয়মও জানা গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনাকে নিশ্চিত করবে যে আপনার ভাতা কার্ড আপডেট আছে বা চালু রয়েছে।
তাহলে চলুন জেনে নেয় প্রতিবন্ধী বলতে কি বুঝায় এবং প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়মসহ।
প্রতিবন্ধী ভাতা কি?
প্রতিবন্ধী ভাতা হলো একটি আর্থিক সহায়তা প্রোগ্রাম যা বাংলাদেশ সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই ভাতার উদ্দেশ্য হলো শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যাতে তারা সমাজে পূর্ণাঙ্গভাবে চলতে পারে এবং অবহেলিত না হয়।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে অনেক মানুষ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। তাদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এবং জীবনের মান উন্নত করতে, সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করে। এই ভাতা সাধারণত প্রতি ৩ মাসে একবার নির্দিষ্ট পরিমাণ হিসাব অনুযায়ী দেওয়া হয়।
সরকারের এই বিশেষ কার্যক্রমের মাধ্যমে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের খরচগুলি বহন করতে সাহায্য পায়, যা তাদের সমাজের অঙ্গ হিসেবে থাকতে সহায়ক।
আর বাংলাদেশ সরকারের এই বিশেষ কার্যক্রম কে বলা হয়ে থাকে, প্রতিবন্ধী ভাতা।
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদনের যোগ্যতা কি?
উপরের আলোচনায় আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা সম্পর্কে জেনেছি, তবে এর জন্য আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি।
প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। এখন আমরা দেখবো, কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন:
- স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে: আবেদনকারীর অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে: সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন” অনুযায়ী নিবন্ধিত হতে হবে। সেই সাথে উক্ত কার্যালয় থেকে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
- জেলার নিবন্ধন: যেখান থেকে আবেদন করছেন, সেই জেলার নাগরিক হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে এবং সেই স্থান থেকে পরিচয়পত্র নিতে হবে।
- বার্ষিক আয়ের সীমা: আবেদনকারীর বার্ষিক আয় ৩৬,০০০ টাকার কম হতে হবে। আয় এর বেশি হলে, ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকবে না।
- অর্থনৈতিক অবস্থা: আবেদনকারীকে অবশ্যই আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে। অর্থাৎ, তার দুস্থ এবং সহায়কহীন অবস্থা প্রমাণিত হতে হবে।
- বাছাই কমিটির যাচাই: যখন আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন, তখন একটি বাছাই কমিটি আপনার আবেদন যাচাই করবে। এরপর আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হবে কিনা, তা নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে হলে উপরোক্ত শর্তগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। যদি আপনার অবস্থা এই শর্তগুলোর সাথে মিলে যায়, তাহলে আপনি এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্য কারা?
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার কথা। এবার আলোচনা করা যাক, কারা এই ভাতার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে, যেগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তবে আপনি এই ভাতা পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- সরকারি চাকরিজীবী: আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী হলেও সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত থাকেন অথবা পেনশন ভোগী হন, তাহলে আপনি এই ভাতার জন্য অযোগ্য হবেন।
- সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ব্যক্তি: যদি আপনি অন্য কোনও সরকারি অনুদান ইতোমধ্যে পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রেও আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাবার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- বেসরকারি অনুদান: যদি আপনি কোন বেসরকারি সংস্থা থেকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন, তবে সেই পরিস্থিতিতেও আপনি এই ভাতার জন্য যোগ্য হবেন না।
উপরে উল্লেখিত শর্তগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তবে বুঝতে হবে যে, আপনি সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে যা লাগবে
প্রতিটি সরকারি কাজের মতো, প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার সময়ও নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস বা নথির প্রয়োজন হয়। নিচে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলোর তালিকা দেওয়া হলো, যা আবেদন প্রক্রিয়ায় বাধ্যতামূলক:
- জাতীয় পরিচয়পত্র: যদি আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হয়, তবে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ: যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়, তবে জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে।
- সুবর্ণ নাগরিক কার্ড: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া ”সুবর্ণ নাগরিক কার্ড” অবশ্যই জমা দিতে হবে।
- চালু মোবাইল নম্বর: বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং চালু থাকা একটি মোবাইল নম্বরও আবেদনের জন্য প্রয়োজন হবে।
উপরের তালিকায় উল্লেখিত ডকুমেন্টসগুলোই আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার সময় প্রয়োজন হবে। আবেদন করার আগে সবগুলো ডকুমেন্ট আপনার সাথে রাখুন।
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জেনেছেন প্রতিবন্ধী ভাতা কি এবং প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য কেমন যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে জানতে পারলেন।
তবে যদি উপরের আলোচনা গুলো পড়ারপরে আপনার মনে হয় যে, আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য একজন ব্যক্তি। তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য www.mis.bhata.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করুন। এরপর ফরমটি প্রিন্ট করে নিন এবং আপনার এলাকার চেয়ারম্যান বা পৌরসভা কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিন।
প্রিন্ট করা এবং স্বাক্ষরিত ফরমটি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। সেখানে কর্মকর্তারা আপনার আবেদন যাচাই-বাছাই করবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর, যদি আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধা পাবেন।
ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সফল হলে, প্রতি ৩ মাস পর সরকার নির্ধারিত অর্থ আপনার মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন বিকাশ, নগদ) এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
এই সহজ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
উপরের আলোচনায় আমি আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেছি। আর সেটি হলো, যদি আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার যোগ্য প্রার্থী হন, তাহলে সবার আগে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এবং এই অনলাইনে আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঠিকভাবে জমা দিতে হবে। এখন আমি আপনাকে সেই নিয়মগুলো স্টেপ-বাই-স্টেপ দেখিয়ে দেব। যেমন:
- সবার প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট এই ওয়েবসাইট-এ যেতে হবে।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ফিলাপ করতে হবে।
- তারপর আপনার আবেদন কপি ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করতে হবে।
- প্রিন্ট করা কপি আপনার এলাকার চেয়ারম্যান বা উপজেলা কাউন্সিলের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত করতে হবে।
- সবশেষে, সেই আবেদনপত্রটি সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
তবে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। আপনি যখন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, তখন অনেক সময় সার্ভারের সমস্যার কারণে ওয়েবসাইট ডাউন হতে পারে। এই সময়ে আপনি “সিস্টেম উন্নয়নের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত” বার্তাটি দেখতে পারেন।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে চিন্তার কিছু নেই, আপনাকে বারবার চেষ্টা করতে হবে। যখন আপনি এই বার্তাটি দেখতে পাবেন না, তখন বুঝতে পারবেন যে এখন আপনি ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্টেপ ০১; প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইন আবেদন করুন
আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে এই https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর, আপনাকে বেশ কিছু নির্দেশনাবলী দেওয়া হবে। আপনি অবশ্যই সেই নির্দেশনাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এরপর, “আমি বুঝছি” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
তার আগে, বাম দিকে থাকা বক্সে টিক মার্ক করে নিশ্চিত করুন।
এবং এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি কেমন ইন্টারফেস দেখতে পারবেন তা উপরের পিকচারে দেখানো হয়েছে। আপনি অবশ্যই এই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। এবং তারপরে আপনি পরবর্তী পেজে প্রবেশ করবেন।
এরপর আপনি “কার্যক্রম” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখন এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে কিছু অপশন চলে আসবে।
আর আপনি যেহেতু প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন। সেহুতু অবশ্যই আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতা নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ০২; জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিন
আপনি যখন উপরের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করবেন। তারপরে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন।
তো আপনার নিকট যদি জাতীয় পরিচয় পত্র থাকে। তাহলে আপনি সেই অপশনে ক্লিক করে নিচে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করবেন।
যদি আপনার নিকট ভোটার আইডি কার্ড না থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি জন্ম নিবন্ধন অপশনের মধ্যে ক্লিক করে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নম্বর টি বসিয়ে দিবেন।
এবং আপনার যে জন্ম সাল হয়েছে, সেটি প্রদান করার পরে “যাচাই করুন” নামক অপশনে ক্লিক করবেন।
স্টেপ ০৩; আপনার আরো কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিন
যদি আপনি উপরের এই কাজ গুলো সঠিকভাবে করতে পারেন। তারপরে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো দেখতে পারবেন।
যেমন, আপনার নাম, আপনার জন্ম তারিখ এবং আপনার মাতা ও পিতার নাম ইত্যাদি দেখতে পারবেন। তো এখানে যে তথ্য গুলো অটোমেটিক ভাবে পূরণ হবে। সে গুলো আপনাকে আর এডিট করতে হবে না।
বরং যে ঘর গুলো ফাঁকা থাকবে, সে গুলো আপনাকে সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। আর এই ধাপে আপনাকে আরো বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- আপনার বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা।
- আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা দিতে হবে।
- আপনার পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যা কত, সেটি জানিয়ে দিতে হবে।
- বর্তমানে আপনি কোন পেশায় যুক্ত আছেন, তা উল্লেখ করতে হবে।
- আপনার বার্ষিক আয় এর পরিমাণ কত. সেটি জানিয়ে দিতে হবে।
- এর পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থা কিংবা আপনার কর্মক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
- আপনি যদি কোন সরকারি কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান পেয়ে থাকেন কিংবা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। তাহলে সেটি অবশ্যই উল্লেখ করে দিবেন।
- আপনার বর্তমান বাসস্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবেন।
- বর্তমানে আপনার কতটুকু ভূমি বা জমি রয়েছে তা উল্লেখ করবেন।
- আপনার প্রতিবন্ধীর ধরন প্রদান করতে হবে।
- আপনার প্রতিবন্ধীর মাত্রা উল্লেখ করে দিতে হবে।
মনে রাখবেন, এখানে আপনি যে তথ্য গুলো প্রদান করবেন। সে গুলো যেন কোন ভাবেই ভুল ইনফরমেশন না হয়। কেননা আপনি যদি ভুল ইনফরমেশন প্রদান করেন। তাহলে কিন্তু আপনার আবেদন টি গ্রহণ যোগ্যতা পাবে না।
স্টেপ ০৪; প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঠিকানা ও যোগযোগ নম্বর
উপরের কয়েক টি ধাপ ফলো করার পর চতুর্থ ধাপে আপনাকে আপনার ঠিকানা এবং যোগাযোগের নম্বর ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। যেমন, আপনি কোন জেলায় অবস্থান করছেন, আপনার বিভাগ কি, থানা কি, কোন ইউনিয়নে আছেন এই যাবতীয় তথ্য গুলো দিতে হবে।
তবে সবার নিচে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার সেই মোবাইল নম্বর টি দিবেন।
যে মোবাইল নম্বরে বিকাশ, নগদ এর মত মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা আছে। এবং সবশেষে যদি আপনার একটি ইমেইল এড্রেস থাকে। তাহলে আপনি সেটি প্রদান করবেন।
আর তারপরে আপনাকে আপনার অনলাইন আবেদন টি সাবমিট করতে হবে। কিন্তু যখন আপনি আপনার আবেদন টি সাবমিট করবেন।
তখন অবশ্যই পুনরায় আপনার প্রদান করা তথ্য গুলো কে যাচাই বাছাই করবেন। কেননা এখানে একবার তথ্য প্রদান করার পরে পরবর্তী সময়ে সে গুলো আর এডিট করা সম্ভব হয় না।
স্টেপ ০৬; আবেদন কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করুন
উপরে উল্লেখিত ধাপ গুলো ফলো করার পর যখন আপনি আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন। তারপরে আপনাকে সেই প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে।
আর আপনি যখন সেই আবেদন কপি ডাউনলোড করবেন। তখন সেটি পিডিএফ ফাইল এর মধ্যে ডাউনলোড হবে। এবার আপনাকে সেই প্রতিবন্ধী আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল টি প্রিন্ট করতে হবে।
অথবা আপনি চাইলে সবার নিচের অপশনে থাকা প্রিন্ট নামক অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথেই সেটি আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনের শর্তাবলী
আমি আপনাদের একটা কথা বলে রাখি। সেই কথাটি হল, উপরেই আমি বলেছি যে যারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রকারের অনুদান কিংবা ভাতা পাচ্ছেন।
তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। কেননা বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান। যেমন,
- বিধবা ভাতা,
- বয়স্ক ভাতা,
- হিজড়া ভাতা,
- বেদের জনগোষ্ঠী শিক্ষা উপবৃত্তি,
- শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা উপবৃদ্ধি,
- চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের ভাতা,
- বেদে জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন ধরনের ভাতা,
মূলত আপনি যদি উপরোক্ত ভাতা গুলো ইতিমধ্যেই পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে আর নতুন করে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে না।
এবং আপনি যদি এই সকল ভাতার আওতাভুক্ত থাকার পরেও পুনরায় প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার আবেদন টি গ্রহণ করা হবেনা।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন শেষ তারিখ
FAQS
Q: প্রতিবন্ধী ভাতা কিভাবে পাব?
A: আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য যোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এবং সেই আবেদন কপি সমাজ সেবা কার্যালয় এ জমা দিতে হবে।
আর তারপরে আপনি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা নিতে পারবেন।
Q: প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা 2024
A: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটি আছে সেটি হল। প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা পাওয়া যায়। তো যখন আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন গ্রহণ করা হবে। তখন আপনি প্রতি ৩ মাস পর ৮৫০ টাকা করে পাবেন। এবং পরবর্তী সময়ে এই টাকার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
Q: প্রতিবন্ধী ভাতা কয় মাস পর পর দেয়?
A: প্রতিবন্ধী ভাতা মূলত তিন মাস পর পর প্রদান করা হয়। আর এই প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা গুলো আপনি তিন মাস পর পর আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। যেমন, বিকাশ কিংবা নগদ এর মধ্যে অটোমেটিক ভাবে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা চলে আসবে।
প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন কিভাবে করতে হয়?
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে mis.bhata.gov.bd/onlineApplication ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়। প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হয়।
প্রতিবন্ধী সনদের আবেদন কিভাবে করে?
প্রতিবন্ধী সনদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা নির্দিষ্ট সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
সুবর্ণ নাগরিক কার্ড কি?
সুবর্ণ নাগরিক কার্ড হলো প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্র, যা বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্তির জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রতিবন্ধী সনদ কোথায় পাওয়া যায়?
প্রতিবন্ধী সনদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যায়।
শারীরিক প্রতিবন্ধী কি?
শারীরিক প্রতিবন্ধী হল এমন ব্যক্তি, যার শরীরের কোনো অঙ্গ বা ক্ষমতা সীমিত বা বিকল হয়েছে, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে।
প্রতিবন্ধি ভাতা নিয়ে আমাদের শেষকথা
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে তাদের জন্য, যারা প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক। এখানে আমি ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি কিভাবে অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করতে হয়।
আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। যদি আপনি এই ধরনের তথ্য সহজ ভাষায় জানতে চান, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
আর্টিকেলগুলো সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে, কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।