ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়মঃ একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে তেমন কাঠঘর পোড়াতে হয়না ৷ আপনি মাএ ২-৩ মিনিটেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। কিন্তুু যখন আপনি একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন।
তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখতে হবে। একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
হ্যালো বন্ধু ওয়েলকাম টু বাংলা আইটি ব্লগ আজকের নতুন আর্টিকেল প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম নিয়ে দেখানো হয়েছে। আমি যথেষ্ট চেস্টা করেছি এই আর্টিকেলের মধ্যে প্রত্যেকটা বিষয় স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার।
তাই যারা একেবারেই নতুন, যাদের ইউটিউব সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই। তারাও যদি এই আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকে। তাহলে আশা করা যায়, YouTube Channel Create করা নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যা হবেনা।
ইউটিউব কি?
YouTube হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আমরা মূলত ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে পাই। ইউটিউব এর সূচনা হয়েছিলো ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে।
বর্তমানে ইউটিউবে এতো বেশি ভিডিও আছে যে, একটি শিশু জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শুধু একনাগরে ভিডিও দেখে। তারপরও ইউটিউবের ভিডিও দেখে শেষ করতে পারবে না। তাহলে YouTube এ কতগুলো ভিডিও থাকতে পারে তা একবার অনুমান করে দেখুন।
আপনি আরো পড়ুন…
- ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
- ইউটিউব এসইও কি ? Youtube ভিডিও এসইও করার উপায়
- ইউটিউব মার্কেটিং কি ? কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করবেন ?
তবে শুরুর দিকে ইউটিউবের অনুসারীর সংখ্যা খুব বেশি ছিলো না ৷ কিন্তুু বর্তমানে youtube user এর সংখ্যা দেখলে আপনি রিতীমত অবাক হবেন। বর্তমানে ইউটিউব ব্যবহার করে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন এরও বেশি।
ইউটিউব মূলত ৩ টি মাধ্যমে পরিচালিত হয়। একটি মাধ্যম ইউটিউব নিজেই, আর বাকি মাধ্যম গুলো হলো, Content Creator এবং Advertiser.
ইউটিউব চ্যানেল কি?
একটা কথা চিন্তা করুন, “আমরা যে ইউটিউবে ভিডিও দেখি ৷ Youtube এ সেই ভিডিও গুলো কিভাবে আসে”?
Right যারা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, মূলত তারাই এই ভিডিও গুলো আপলোড করে থাকে। অর্থ্যাৎ আপনার মতো বা আমার মতো মানুষরাই এই ভিডিও গুলো ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে Upload করে থাকে।
তবে প্রশ্ন হলো, সবাই কি ইউটিউবে ভিডিও আপনলোড করতে পারবে?
হ্যাঁ! সবাই ভিডিও আপলোড করতে পারবে ৷ কিন্তুু তার আগে অবশ্যই সেই ব্যক্তির একটি YouTube Channel থাকতে হবে। আর যতক্ষণ না আপনার কোনো ইউটিউব চ্যানেল থাকবে না ৷ ততোক্ষ আপনি কোনো প্রকার ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না।
আমরা যেমন টিভিতে বিভিন্ন চ্যানেলে নানারকম ভিডিও দেখি। ঠিক তেমনি আপনারও ইউটিউবে একটি চ্যানেল থাকবে। যেই চ্যানেল এর মূল পরিচালক হবেন আপনি নিজেই। আর আপনি সেই চ্যানেলে আপনার দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করবেন।
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কি?
আমরা জানি, বর্তমানে YouTube হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এখন আপনি যদি সেই ইউটিউব প্লাটফর্মে একটি Channel Create করতে চান। তাহলে আপনাকে ইউটিউব এর বেশ কিছু Guidelines মেনে চলতে হবে।
তো যখন আপনি YouTube এর সকল Terms & Condition মেনে একটি চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন সেই চ্যানেলকে বলা হবে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল।
যেহুতু আপনি ইউটিউব প্লাটফর্মে একটি চ্যানেল খুলবেন। সেহুতু অবশ্যই আপনাকে ইউটিউবের সকল গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
কারন যখন আপনি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করবেন। তখন আপনি নিজেকে একজন ইউটিউবার বললেও ভুল হবেনা। আর একজন সফল ইউটিউবার হতে হলে, আপনাকে লং টাইম কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল খোলার সময় YT Guidelines গুলো না মানেন। তাহলে আপনার এই প্লাটফর্মে টিকে থাকতে বেশ হিমশিম খেতে হবে।
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে?
মূলত যারা এই সেক্টরে একেবারেই নতুন, তাদের ধারনা একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। কিন্তুু তাদের সেই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কারন একটি চ্যানেল তৈরি করার জন্য আদতে তেমন কোনো কিছুর ই প্রয়োজন হয়না।
এবং খুব সহজেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি Channel তৈরি করা সম্ভব। সেজন্য সবার আগে আপনার একটি ডিভাইসের প্রয়োজন পড়বে। সেটা হতে পারে কম্পিউটার/ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল হলেও চলবে।
এরপর আপনার একটি Verified Gmail Account এর প্রয়োজন পড়বে। এবং এই জিমেইল এর সাহায্য আপনাকে Channel তৈরি করতে হবে।
তো আপনার কাছে শুধুমাএ এই কয়েকটা জিনিস থাকলেই যথেষ্ট একটি Youtube channel তৈরি করার জন্য। তবে এগুলো ছাড়াও আপনাকে বেশ কিছু টিপস & ট্রিকস জানতে হবে। যেগুলো আমি পর্যায়ক্রমে আলোচনা করার চেস্টা করবো।
কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন
আশা করি আপনি এতক্ষনে জেনে গেছেন যে, একটি YT Channel তৈরি করার জন্য আপনার একটি Gmail Account থাকতে হবে। কিন্তুু প্রশ্ন হলো, “কোন ধরনের Gmail Account লাগবে এবং কিভাবে সেই জিমেইল একাউন্ট তৈরি করবেন”?
তো আপনি যেই Gmail এর মাধ্যমে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করবেন। সেই জিমেইলটি অবশ্যই Verified হতে হবে। এর পাশাপাশি সেটি অবশ্যই Security Protect থাকতে হবে।
এখন আপনার মনে হতে পারে যে, ভাই আমি তো YT channel খোলা শিখাতে এসে Gmail account তৈরি করা শেখাচ্ছি কেন। -এর কিছু কারন আছে,
শুনুন, Gmail আপনার YouTube channel সর্বপ্রকারের সুরক্ষা প্রদান করবে। ভবিষ্যতে আপনার চ্যানেলটি যদি কেউ হ্যাক করতে চায়। তাহলে সবার আগে আপনার জিমেইল কে হ্যাক করতে হবে।
এখন আপনি যদি আপনার Gmail account কে সুরক্ষা করতে পারেন। তাহলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো, যে আপনার ইউটিউব চ্যানেল কোনদিনও হ্যাক হবে না।
তে যদি আপনি একটি সিকিউরিটি প্রটেক্ট ভেরিফাইড Gmail Account তৈরি করতে চান। তাহলে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন –
Create a verified Gmail account
- Step-1: সবার আগে আপনাকে যেকোনো একটি Browser অপেন করতে হবে।
- Step-2: এরপর আপনার ব্রাউজার এর Address Bar এ গিয়ে সার্চ করুন, ” Gmail Account Create”. অথবা আপনি Create Gmail account এখানে ক্লিক করে নতুন জিমেইল খুলে নিন।
- Step-3: এরপর আপনি একটা ফর্ম দেখতে পারবেন। যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো দিয়ে ফিলআপ করতে হবে। যেমন, আপনার First Name, Last Name, User name দেয়ার পরে পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
[💡PRO Tips: আপনার Gmail তৈরি করার সময় অবশ্যই কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার চেস্টা করবেন। আমরা পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের মোবাইল নম্বর কিংবা নিজের নাম ব্যবহার করি, যা একেবারেই ভুল।
সবসময় চেস্টা করবেন Letter+Sign+Number এর সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করার। যেমন, (Banglait@@007++) ]
- Step-4: যখন আপনার সকল ইনফরমেশন দেয়া সম্পন্ন হবে। তখন আপনি ” Next” বাটনে ক্লিক করবেন।
- Step-5: এরপর আপনার ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে। মনে রাখবেন, এখানে আপনি সেই নম্বরটি দেয়ার চেস্টা করবেন। যে নম্বরটি আপনি সার্বক্ষনিক ব্যবহার করেন।
- Step-6: মোবাইল নম্বর দেয়ার পরে আপনি আরও কিছু Option দেখতে পারবেন। যেমন, Date of birth এবং Gender.
[💡PRO Tips: মনে রাখবেন যেন আপনার বয়স ১৮ বছর হয়। কারন ১৮ বছরের নিচে বয়স দিলে, পরবর্তীতে YouTube Monetize এ নানা রকম সমস্যা হয়]
তো সবকিছু ওকে হওয়ার পরে, আপনার ফোন নম্বরে Gmail থেকে একটি Confirmation SMS পাঠিয়ে দিবে। আপনি সেই কোডটি বসিয়ে দিয়ে আপনার জিমেইল একাউন্টকে Verified করে নিবেন।
Make Your Gmail Security Protect
এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারন আপনি যে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। সেই চ্যানেলের সমস্ত সুরক্ষা প্রদান করবে আপনার Gmail account.
অর্থ্যাৎ, আপনার জিমেইল যতক্ষন সুরক্ষিত থাকবে। ততোক্ষণ কোনো Hacker আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে হ্যাক করতে পারবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই Gmail account কে সিকিউরিটি প্রটেকশন দিতে হবে।
আপনার জন্য আরো লেখা…
- মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার উপায়
- কন্টেন্ট রাইটিং কি ? কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায়
- লোকাল এসইও কি? কিভাবে লোকাল এসইও করতে হয়
তো কোনো একটি জিমেইল একাউন্টকে Security Protection দেওয়ার জন্য, 2-Step Verification খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার জিমেইলে বাধ্যতামূলক টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন ON রাখতে হবে।
আপনি এই অপশনটি চালু করতে চাইলে, নিচের Step গুলো ফলো করুন,
- Step-1: এবার Gmail.com এ গিয়ে আপনার username এবং Password দিয়ে পুনরায় লগ ইন করুন।
- Step-2: একাউন্টে প্রবেশ করার পর সরাসরি চলে যাবেন Setting অপশনে। সেখান থেকে Security tab নামের অপশনে ক্লিক করবেন।
- Step-3: ক্লিক করার পরে একটু নিচের দিকে স্ক্রল করলে “2-Step Verification.” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- Step-4: এবার Get Started বাটনে ক্লিক করবেন।
- Step-5: এখন আপনাকে পুনরায় একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। কারন আপনার ঐ নম্বরে একটি Code পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আপনি চাইলে সেই Confirmation Code টি কল অথবা মেসেজের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
- Step-6: এবার সেই কোডটি বসিয়ে দিয়ে Verified করে নিন।
আশা করি আপনি এতোক্ষনে জেনে গেছেন, কিভাবে একটি Gmail Account তৈরি করা যায়। এবং কিভাবে সেই জিমেইল একাউন্টকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। সেটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এবার আমরা দেখব, “কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়”।
কিভাবে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন?
যদি আপনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার YouTube Channel টি প্রফেশনাল হতে হবে। কারন দর্শকরা একটি চ্যানেলের সবকিছু দেখে যদি ভালো লাগে। তখন সেই চ্যানেলকে Subscribe করে।
আর ইউটিউবে আপনি যতোদিন Subscribers আর Views বৃদ্ধি করতে পারবেন না। ততোদিন আপনি যতো চ্যানেল খুলুন না কেন। সেগুলো আর কোনো কাজে আসবে না।
তাই চ্যানেল তৈরি করা থেকে শেষ পর্যন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো রয়েছে। সেগুলো এখন পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই এই আর্টিকেল এর উপরের অংশগুলো না পড়লেও, এখন থেকে একটু মনযোগ সহকারে পড়বেন।
তো সাধারনত একটি ইউটিউব চ্যানেল ২ ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ
- Personal YouTube Channel
- Brand YouTube Channel
আপনি চাইলে Personal অথবা Brand যেকোনো ধরনের চ্যানেল খুলতে পারবেন। কিন্তুু আমার দৃষ্টিকোন থেকে যদি আপনি লং টাইম ইউটিউব সেক্টরে কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই Brand Channel তৈরি করতে হবে।
তো চলুন এবার আমরা জানবো, কিভাবে Personal YouTube Channel তৈরি করা যায়।
Create A Personal YouTube Channel
একটি পারসোনাল বা ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চাইলে, নিচের Step গুলো অনুসরণ করুন।
- Step-1: সবার আগে আপনার পছন্দের একটি Browser On করুন। [Recommend: Chrome Browser]
- Step-2: এরপর ব্রাউজারের এড্রেস বারে গিয়ে টাইপ করুন, “www.youtube.com“.
- Step-3: আপনি একটু আগে যে Gmail Account টি তৈরি করেছেন। সেই জিমেইল দিয়ে ইউটিউবে Log In করুন।
- Step-4: যখন আপনি জিমেইল দিয়ে লগ ইন করবেন। তখন ডানপাশে সবার উপরে আপনার Gmail এর একটি icon দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই আইকনে ক্লিক করতে হবে।
তো যদি আপনি সঠিকভাবে আপনার Gmail account দিয়ে Log in করবেন। এবং সবার উপরে থাকা gmail এর আইকনটিতে ক্লিক করবেন। তখন ঠিক নিচের পিকচারের মতো অপশন দেখতে পারবেন।
যদি আপনি উপরের পিকচারের মতো Option দেখতে পান। তাহলে নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন,
- Step-5: উপরের পিকচারে মার্ক করা ” Create Channel”- এই অপশনে ক্লিক করুন।
- Step-6: এবার আপনি একটি নতুন Window দেখতে পারবেন। যেখানে উপরে লেখা থাকবে, “Your Creator Journey Begins” অথবা How you’ll appear.
- Step-7: এরপরে আপনার Gmail Account টিতে যে নাম দেয়া আছে, সেই নামে চ্যানেল খুলতে পারবেন। আবার আপনার পছন্দের নাম দিয়েও চ্যানেল খুলতে পারবেন।
- Step-8: যদি আপনি উপরের window তে থাকা ” name” অপশনে থাকা নাম নিয়ে ক্লিক করেন। তাহলে অটোমেটিক আপনার জিমেইলের নামের সাথে মিল রেখে একটি নতুন Personal YouTube Channel তৈরি হয়ে যাবে।
- Step-9: কিন্তুু আপনি যদি ” name ” লেখাতে ক্লিক করেন। তাহলে পুনরায় এখানে আপনার পছন্দমতো নাম দিয়ে Continue করুন।
উপরে আলোচিত Step গুলো যখন সঠিকভাবে ফলো করবেন। তখন আপনি ঠিক নিচের মতো একটা ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। এরমানে হলো, আপনি একটি Personal ইউটিলিটি চ্যানেল খুলতে সক্ষম হয়েছেন।
কিভাবে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে একটি Personal YT Channel খুলবেন। আশা করি এতোক্ষনে সে সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন।
এবার আমরা জানবো, কিভাবে একটি Brand YouTube Channel তৈরি করতে হয়।
Create A Brand YouTube Channel
আমরা এতোক্ষণ ধরে একটি পারসোনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলা নিয়ে আলোচনা করছি। এবার আমরা আলোচনা করবো, কিভাবে একটি Brand YouTube Channel তৈরি করা সম্ভব।
তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে, কেন আমরা Brand YouTube Channel তৈরি করবো। এবং Brand Channel এর আলাদা কোনো বেনিফিট পাবো কিনা।
দেখুন, যখন আপনি সরাসরি আপনার ইমেইলে থাকা যাবতীয় তথ্যের মাধ্যমে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন তাকে বলা হবে, Personal YouTube Channel.
আপনি অবশ্যয় পড়বেন…
- ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করার উপায়
- অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? | কোনটি আপনি করবেন?
- টেকনিক্যাল এসইও কি? টেকনিক্যাল এসইও এর প্রয়োজনীয়তা কি?
অপরদিকে যখন আপনি আপনার জিমেইলের তথ্য গুলো বাদে আলাদাভাবে একটি চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন তাকে বলা হবে, Brand Youtube Channel.
তবে প্রশ্ন হলো, কেন আমাদের ব্রান্ড চ্যানেল তৈরি করা উচিত? এই ধরনের চ্যানেল থেকে আমরা কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবো?
Benifit Of Brand YouTube Channel
হ্যাঁ! আপনার মনে এমন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, পারসোনাল হোক কিংবা ব্রান্ড। এই দুটোই তো ইউটিউব চ্যানেল। তাহলে কেন আমরা Brand Channel কে এতোটা গুরুত্ব দিচ্ছি?
তাহলে শুনুন, এবার আপনাকে Professional এবং Unprofessional এর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। আপনি যখন আপনার জিমেইলে থাকা তথ্যের ভিওিতে একটি চ্যানেল তৈরি করবেন ৷ তখন সেই চ্যানেলটি হবে Unprofessional. কারন, এই চ্যানেলটি শুধুমাএ আপনি পারসোনাল কাজে ব্যবহার করার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
অপরদিকে আপনি যদি আপনার জিমেইলে থাকা তথ্য ছাড়াও অন্যভাবে আরও একটি চ্যানেল তৈরি করেন ৷ তাহলে সেই চ্যানেলটি হবে একটি Professional YouTube Channel.
আর ইউটিউব সেক্টরে লং টাইম কাজ করতে হলে আপনার কাছে অবশ্যই একটি প্রফেশনাল চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
How To Create A Brand YouTube Channel
একটি প্রফেশনাল ব্রান্ড ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য নিচের Step গুলো ফলো করুন,
- Step-1: সবার আগে আপনার পছন্দের যেকোনো একটি Browser অপেন করুন।
- Step-2: এবার ব্রাউজারের সার্চ বক্সে গিয়ে টাইপ করুন,( https://www.youtube.com/account) কিংবা এখানে ক্লিক করুন।
- Step-3: এবার আপনি অনেক গুলো অপশন দেখতে পারবেন। মূলত এই অপশন গুলো হলো, আপনার পূর্বে তৈরি করা কোনো ইউটিউব চ্যানেলের যাবতীয় তথ্য।
- Step-4: আপনি এই অপশন গুলোকে উপেক্ষা করে Create a new channel অপশনে ক্লিক করুন।
- Step-5: Create a new channel এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি Page Open হবে। নিচের ছবির মত খালি বক্স দেখতে পাবেন।
- এখানে আপনার ব্র্যান্ড বা প্রফেশনাল নাম দিয়ে বা লিখে I Understand লিখাতে টিক মার্ক দিয়ে Create লিখাতে ক্লিক দিলেই আপনার ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল হয়ে গেল।
[💡PRO Tips: যখন আপনি নতুন চ্যানেলের জন্য Name set করবেন। তখন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখবেন। আপনার দেয়া চ্যানেলের নামটি যেন ইউনিক হয়। যেন পরবর্তী সময়ে আপনার চ্যানেলের নাম লিখে যদি কেউ ইউটিউবে সার্চ করে। তখন সবার আগে আপনার চ্যানেলের নাম চলে আসবে]
ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন
একটি YT Channel তৈরি করার পরে আপনাকে সেই চ্যানেলটিকে পূর্নাঙ্গভাবে কাস্টমাইজড করে নিতে হবে। কারন শুধু চ্যানেল তৈরি করার পর বসে থাকলে হবে না। সেই চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে উক্ত চ্যানেলকে সাজিয়ে নিতে হবে।
যেমন, সেই চ্যানেলে কোন ধরনের Logo ব্যবহার করবেন, Channel art কেমন হবে, About অপশনে কি কি লিখবেন, চ্যানেল এর Targeted Keyword গুলো সেট করতে হবে ইত্যাদি।
আমি পরের আর্টিকেলে Channel Customize নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করবো। সেখানে আমি কোনো চ্যানেলের লোগো কিভাবে সেটআপ করতে হবে ৷ লোগো এর Daimentuon কেমন হবে।ইউটিউব চ্যানেল Art এর জন্য আপনাকে কেমন Size এর ফটো সিলেক্ট করতে হবে। ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আমি আরেকটি আর্টিকেলে কভার করবো।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করবেন?
সাধারনত যারা ইউটিউবের Content Creator তারা ভিন্ন উপায়ে ইনকাম করে থাকে। তবে বেশিরভাগ কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা Google Adsense এর Ad দেখিয়ে ইনকাম করে থাকে।
এছাড়াও আপনি আরও ভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপায় হলো, এফিলিয়েট প্রোগ্রাম। হ্যাঁ! আপনি চাইলে আপনার ভিডিওতে Affiliate Marketing করেও প্রচুর পরিমানে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিলিটি চ্যানেল থেকে ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো, স্পন্সরশিপ ৷ যখন আপনার YouTube Channel টিতে অনেক বেশি পরিমানে Subscribers থাকবে।
আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলোতে যখন প্রচুর পরিমানে Views হবে। তখন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আপনার কাছে স্পন্সর করার জন্য নক করবে।
অর্থ্যাৎ, আপনি সেই কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রোমোশন করবেন আপনার ভিডিওর মাধ্যমে। আর সেই প্রোমোশনের বিনিময়ে আপনি অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব সম্পর্কে জানা অজানা কিছু প্রশ্ন ও তার উওর
এমন অনেকেই আছেন, যারা মূলত ইউটিউব সেক্টরে একবারে নতুন। তাদের মনে ইউটিউব সম্পর্কে অনেক রকমের প্রশ্ন জেগে থাকে। তবে বেশিরভাগ সময় এই প্রশ্নের উওর গুলো খুজে পাওয়া যায়না।
আমি অনেক খোজাখুজি করার পরে সেই প্রশ্ন গুলোকে সংগ্রহ করেছি। এবং সেই প্রশ্নের উওর গুলো এখন পর্যায়ক্রমে দেয়ার চেস্টা করবো।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার ছাড়া কি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায়না?
উওরঃ আমাদের মধ্যে যারা Mobile User আছে। তারা অনেকেই মনে করে যে, কম্পিউটার ছাড়া ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায়না।
আসলে এটা সম্পূর্ন একটা ভ্রান্ত ধারনা। আপনি মোবাইল/কম্পিউটার যেকোনো Device থেকেই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার কতদিন পরে টাকা ইনকাম করতে পারবো?
উওরঃ যখন আপনি নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন YouTube Community থেকে একটা টার্গেট দেওয়া হবে। সেই টার্গেটে বলা হবে, পরবর্তী যেকোনো ১ বছরে অর্থ্যাৎ সর্বশেষ ৩৬৫ দিনে আপনার চ্যানেলে ১ হাজার Subscribers এবং ৪ হাজার ঘন্টা Watch Time থাকতে হবে।
যখন আপনার এই টার্গেট পূরন হবে। তখন আপনাকে ইউটিউব Community তে আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজ করার জন্য Apply করতে হবে। এরপর ইউটিউব যদি আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজ প্রদান করে। ঠিক তখন থেকে আপনার ইনকাম শুরু হবে।
প্রশ্নঃ YouTube কত ভিউতে কত টাকা দেয়?
উওরঃ এটি বেশ কমন একটি প্রশ্ন। যারা ইউটিউব সেক্টরে নতুন পা ফেলে, তাদের মনে এই প্রশ্নটি বেশি জেগে থাকে। আসলে ইউটিউবের এলগরিদম অনুযায়ী, আপনার View হিসেবে কোনো টাকা প্রদান করবে না।
আপনি মূলত কত টাকা আয় করতে পারবেন, তা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনি আসলে কোন নিশে/টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করছেন। সেই নিশ অনুযায়ী যে CPC, RPM এর পরিমান দেয়া থাকবে। আপনিও সেই পরিমান ইনকাম করতে পারবেন৷
প্রশ্নঃ Copyright কি?
উওরঃ মনে করুন একজন ইউটিউবার তার চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করেছে। এখন আপনি যদি সেই ভিডিওটি Download করে পুনরায় আপনার চ্যানেলে Upload করেন। তাহলে সেই ভিডিও Copyright এর আওতায় পড়বে।
অর্থ্যাৎ, যখন আপনি অন্যের কোনো Materials কে অবৈধভাবে আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন৷ তখন সেইসব ম্যাটেরিয়্যাল Copyright এর আন্ডারে পড়বে।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি ইউটিউবিং করা সম্ভব?
উওরঃ হ্যাঁ! অবশ্যই, আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েই ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। আপনাকে এমন শত শত ইউটিউবারের নাম বলতে পারবো, যারা মোবাইল দিয়েই Youtubing শুরু করে আজ সফলতা পেয়েছে।
প্রশ্নঃ আমি ভিডিও আপলোড করি কিন্তুু ভিডিওতে View হয়না কেন?
উওরঃ আপনার চ্যানেলে শুধু ভিডিও আপলোড করলেই যে সেই ভিডিওতে View হবে এমনটা কোথাও লেখা নেই। তবে আপনি যদি Proper SEO করার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করেন। তাহলে আপনার ভিডিওতে প্রচুর পরিমানে View হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো দেখুন…
- ডোমেইন কি ? ডোমেইন কত প্রকার ? – ডোমেইন সম্পর্কে জানুন
- সার্চ ইঞ্জিন কি ? সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে ? – বাংলা আইটি ব্লগ
- Google AdMob কি ? গুগল এডমোব থেকে আয় করার উপায়
কিভাবে YouTube SEO করে আপনার ভিডিওতে ভিউ নিয়ে আসবেন। সেটি নিয়ে আমার ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি চাইলে সেই আর্টিকেল থেকে ইউটিউব এসইও সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
আমাদের শেষকথা
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায়। সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও কিভাবে Brand YouTube Channel তৈরি করা হয় এবং কিভাবে Peraonal YouTube Channel তৈরি করা যায়। সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এরপরও যদি আপনার কোনো প্রকার সমস্যা থাকে কিংবা কোথাও বুঝতে না পারেন। তাহলে এই আর্টিকেলের কমেন্ট সেকশনে ছোট্ট করে একটা Comment করবেন। আমি যথাসাধ্য চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার জম্য
বাংলা আইটি ব্লগের সাথেই থাকুন৷ ধন্যবাদ
Thanks
Vi
ওয়েলকাম আপনার মতামতের জন্য …
Thanks
you are welcome…
খুব সুন্দর লেখার ধরন । আশা করি আপনার কাছ থেকে আরো ভালো কিছু শিখতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ … জ্বি নিয়মিত আমাদের ব্লগসাইট ভিজিট করতে থাকুন…
আসসালামুআলাইকুম ভাই দয়া করে কি আপনার সাথে আমি যোগাযোগ করতে পারব । প্লিজ আমাকে একটু হোয়াটসঅ্যাপে আমার সাথে একটু কথা বলবেন আমার অনেক উপকার হত 01825416624
আমাকে মেইল করুন অথবা ফেসবুকে মেসেজ দিন Bangla it blog fb page
Kindly give ur cell phone number?
কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন বা আমাকে ইমেইল করুন [email protected]
মনে করেন, আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে রাখলাম, কিন্তু কোন ভিডিও আপলোড করলাম না বা পরে করব, তাহলে কি কোন সমস্যা হবে
আপনি বলেছেন যে, ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরে তারা একটা টার্গেট দিবে কমপ্লিট করার জন্য, যদি আমি তা কমপ্লিট করতে না পারি তখন কি হবে, আশা করছি এর উত্তর পাব, ধন্যবাদ।
উদাহরণ হিসাবে ।। আজকের দিন থেকে লাস্ট ১২ মাসের ভিতরে ফিলাপ করতে হবে ।। আপনি যদি ২ বছর পর ফিলাপ করেন তাবুও হবে … তবে লাস্ট ১২ মাসে ফিলাপ করতে হবে
ইংরেজি ভাষা নিয়ে শিক্ষামূলক ভিডিও এর জন্য কি ধরনের কি ওয়ার্ড লিখতে হবে
আপনার ভিডিওর টপিক রিলেটেড
thnaks
welcome….
Very much resourceful and guiding I think. Thanks a lot.