গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম: বেশিরভাগ ব্লগারের স্বপ্ন থাকে যে ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার।
তবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ক্রিয়েটিভিটির মাধ্যমে জায়গা করে নিতে হবে।
যারা নতুন ব্লগিং শুরু করে তাদের টার্গেট থাকে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার।
তবে দিনের সাথে তাল মিলিয়ে গুগল এডসেন্স তার বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রাইভেসি পলিসি যুক্ত করেছে।
আবার অনেকেই জানে না কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয় বা কিভাবে গুগল এডসেন্সে ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট আবেদন করতে হয়।
আর গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য তাদের বেঁধে দেওয়া কিছু নিয়মাবলী মেনে আবেদন করতে হবে।
তাই আপনি যদি একজন নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন এবং ব্লগিং করে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য হেল্পফুল হবে।
হ্যালো ভিউয়ারস ওয়েলকাম টু বাংলা আইটি ব্লগ। আজকে আলোচনা করব কিভাবে একটি গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন অথবা আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট গুগল এডসেন্সের এর কাছে আবেদন করবেন।
আর কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্সের টাকা হাতে পাবেন এই নিয়ে সকল কিছু আজকের আর্টিকেলে। তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়লে আপনি এডসেন্স নিয়ে অনেক কিছু জানতে পাড়বেন।
[Premium Note: Google Adsense কি? গুগল এডসেন্সে আবেদন করার নিয়ম এবং কিভাবে এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করবেন বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।]
গুগল এডসেন্স এর কাজ কি?
আসলে আমরা যদি সহজ ভাবে বলি তাহলে গুগল এডসেন্স এ কাজ হলো টাকা ইনকাম করা এবং টাকা ইনকাম করিয়ে দিয়া।
কি বুঝতে পারলেন না তাই না? – আচ্ছা থাক আমি বোঝিয়ে দিচ্ছি গুগল এডসেন্স এর কাজ কি।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোক প্রচুর পরিমাণে ঘরে বসেই ইনকাম করতেছে। আচ্ছা বলুন তো আপনি কি কখনো শুনেছেন ব্লগিং করে আয় অথবা ইউটিউব থেকে ইনকাম করার কথা?
হ্যাঁ অবশ্যই শুনেছেন এবং আমি ইতিমধ্যেই জেনে গেছি যে আপনার একটি ব্লগ সাইট রয়েছে এবং সে ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুগোল অ্যাডসেন্স দ্বারা ইনকাম করতে চান।
আপনি আরও দেখন…
- দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সমুয়
- ব্লগার ব্লগ সাইটে আর্টিকেল লিখার উপায়
- ইউটিউবের নতুন নিয়ম কানুন দেখুন
তবে আপনি কি জানেন যে কীভাবে এই গুগল এডসেন্স থেকে আপনি ইনকাম করা করবেন? কেন গুগল এডসেন্স আপনাকে টাকা দিবে আর গুগল এডসেন্স কোথায় থেকে টাকা আপনাকে দিবে।
আমি মনে করি আপনি হয়তো গুগল কে চেনেন এবং এটা পুরো বিশ্বের ভিতরে খুব জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান।
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি অংশ। আর এর কাজ হল বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে বিজ্ঞাপনের টাকা বুঝিয়ে নেয়।
তার পর গুগল এডসেন্সের যেসকল পাবলিশার রয়েছে তাদের দ্বারা ব্লগ অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার দ্বারা টাকা প্রদান করে থাকে।
[Article Note: গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে যারা বিজ্ঞাপন প্রদান করে বা যে পরিমাণ টাকা গুগল এডসেন্স কে দেয়। গুগল তার কিছু অংশ গুগল এডসেন্স নিজে রাখে এবং কিছু অংশ গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের কে প্রদান করে থাকে]
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
আচ্ছা আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ কি বা কিভাবে বা কেন টাকা প্রদান করবে। তবে অনেকেই জানেনা যে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে গেলে কোন কোন ইনফরমেশন বা তথ্য গুলো লাগে।
প্রথমত আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে গুগল এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই আপনার সঠিক নাম ঠিকানা এবং তথ্য প্রদান করতে হবে।
কেননা পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে আপনার আইডিটি ভেরিফিকেশনের জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
যে সকল ইনফরমেশন বা তথ্য ছাড়া গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলা যাবে না তা নিম্নে একটি লিস্ট আকারে দেয়া হল।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে প্রয়োজনীয় তথ্য।
- সম্পুর্ন ফ্রি জিমেইল অ্যাকাউন।
- ওয়েব সাইট অথবা ব্লগ সাইট/ ইউটিউব চ্যানেল।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্টিকেল রয়েছে এমন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সা…
- আর গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই আপনার বয়স 18 হতে হবে।
- সর্বশেষে আপনার Mobile নাম্বার।
[Inportant Note: আপনার যদি 18 বছর না হয়ে থাকে অথবা ভোটার হয়ে না থাকেন তাহলে আপনার পরিবারের যে কারো পরিচয় পত্র ইনফরমেশন দিয়ে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারবেন.]
গুগল এডসেন্স একাউন্ট কত প্রকার?
অনেকেই দেখি যে প্রশ্ন করে ভাই গুগল এডসেন্স কত প্রকার বা গুগল এডসেন্সের প্রকার গুলো কি কি? ২০১৮ আগের সময়ে গুগল এডসেন্স ২টি ভাগে ভাগ করা যেত।
তবে দুই প্রকার গুগল এডসেন্সের কাজে কিন্তু একই ধরনের ছিল । তবে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান ছিল যেগুলো গুগল এডসেন্স থেকে যুক্ত করে দিয়েছিল।
চলুন দেখে নেয়া যাক গুগল এডসেন্স কত প্রকার এবং কি কি? গুগল এডসেন্স একাউন্ট দুই ধরনের ছিল যথা,
- গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট
- গুগল নন-হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট
#01- গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট কি?
Bloger/blogspost , Youtube and Apps এর জন্য যে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলা হত তাকে গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট এর ভিতরে যুক্ত করা ছিল।
কারণ এই প্লাটফর্ম গুলো গুগলের নিজস্ব সার্ভিস বিদায় গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট বলা হয।
তবে আপনার ব্লগার থেকে বানানো ওয়েবসাইট থেকে বানানো ব্লগে কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করলে হোস্টেড গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে বাদ দেওয়া হত।
আরও সহজভাবে বললে বলা যায়, যখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন টপ-লেভেল ডোমেইন যুক্ত করবেন যেমন (.com .net. info .org) বা যুক্ত আছে সেসকল ওয়েবসাইটের জন্য গুগল non-hosted এডসেন্স একাউন্ট হয়ে থাকে।
আগের কার সময়ে গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট থেকে একের অধিক ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদান করা যেত না।
তবে আপনি যদি গুগলের ব্লগার থেকে ওয়েবসাইট বানিয়ে সেই ডোমেইন থেকে এডসেন্স এ আবেদন করতে তাহলে হত।
#02- গুগল নন-হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট কি?
গুগলের ব্লগার ব্লগস্পট এর সাব ডোমেইন এবং ইউটিউব চ্যানেল অথবা এডমোব এর একাউন্ট ব্যতীত যেসকল টপ লেভেল ডোমেইন দ্বারা এডসেন্স একাউন্ট খোলা হয়।
সে সকল এডসেন্স একাউন্ট কে নন-হোস্টেড এডসেন্স বলা হয়ে থাকে।
[Premium Note: বর্তমান সময়ে গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট এবং গুগল নন-হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট দিয়ে অনেকগুলা ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ সাইট যুক্ত করতে পারবেন]
কখন গুগল এডসেন্সে আবেদন করবেন?
একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট বানানোর পর ডিজাইন করে কিছু আর্টিকেল পাবলিশ করার সাথে সাথেই অনেকেই আছেন গুগল এডসেন্স আবেদন করে বসে থাকে।
কিন্তু গুগল এডসেন্স আবেদন করার জন্য যে সকল ট্রাম্স এবং কন্ডিশন থাকে – সেগুলো পূরণ না করে আবেদন করলে গুগল এডসেন্স কখনো অ্যাপ্রুভ করবে না।
আর আমি দেখেছি অনেক ব্লগার ব্লগিং ছেড়ে যায় যখন দেখে গুগল এডসেন্স তাদের আবেদন অ্যাপ্রভাল দিচ্ছে না। তবে আমার ব্লগিং লাইফের তিন বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু নির্দেশনা বলব।
যেগুলো ফলো করে আমি অনেকগুলো ওয়েবসাইট গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিয়েছি।
গুগল এডসেন্স আবেদন করার আগে নিচের ট্রামস এন্ড কন্ডিশন গুলো অবশ্যই দেখে নেবেন-
- চেষ্টা করবেন আপনার ওয়েবসাইটটি রেস্পন্সিভ ডিজাইন করতে।
- ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় পেজগুলা অবশ্যই তৈরি করে নিবেন।
- যদি ক্যাটাগরি যুক্ত করে রাখেন তাহলে সে ক্যাটাগরিগুলো খালি রাখবেন না।
- আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো যাতে কপিরাইট মুক্ত হয়।
- ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলো অবশ্যই ৬০০ ওয়ার্ড এর উপরে রাখতে চেষ্টা করবেন।
- ওয়েবসাইটে কিছু ট্রাফিক থাকা ভালো যেগুলো গুগল থেকে আসে।
- গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদনের পূর্বে ৩০টি আর্টিকেল থাকা ভালো।
[Pro Note: ওয়েবসাইটের প্রয়োজনে পেজগুলো বলতে হলো About us, Contact us এবং Privacy policy যে গুলা থাকতেই হবে।]
এছাড়াও গুগল এডসেন্স এর নীতিমালা গুলো এখান থেকে পড়ে নিতে পাড়েন।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম
আর্টিকেল এর শুরুতে আমরা জেনে গেছি গুগোল এডসেন্স কি? কিভাবে কাজ করে? গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে। এখন দেখাবো কিভাবে গুগোল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট খুলতে হয়।
এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে দেখানো হবে। যার জন্য আপনি যদি একজন নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তবুও আপনি খুব সহজেই গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
আপনি যদি ফাস্ট টাইম গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে গুগলের এডসেন্স প্রোগ্রামের লিংক থেকে প্রয়োজনীয় ফরম ফিলাপ করে সাবমিট দিতে হবে।
তার জন্য প্রথমে এই লিংকে Google Adsense প্রবেশ করতে হবে। তারপর নিচের ছবির মত একটি পেজ দেখতে পাবেন। এটা মূলত গুগল এডসেন্সের হোম পেজ বলা হয়ে থাকে।
#01 – Singin for Old User
আপনি যদি ইতিমধ্যে গুগল অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে থাকেন অথবা ইতিপূর্বে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকে।
তাহলে আপনাকে প্রথম সাইনআপ অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার সেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগিন করলে আপনার এডসেন্স একাউন্টের ড্যাশবোর্ড চলে যাবেন।
- Google adsense কি ? গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
- গুগল এডসেন্সের আয় বাড়ানোর উপায় – এডসেন্স ইনকাম বৃদ্ধি করার টিপ্স
- ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম | নতুন Email Account খোলার নিয়ম
সেজন্য আপনাকে নতুন করে কোন গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে না। একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট এর ভিতর আপনার অনেকগুলো ওয়েবসাইট ব্লগ সাইট খুব সহজে যুক্ত করতে পারবেন।
#02- Get Started for New User
আপনি যদি ইতিপূর্বে কোন গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে না থাকেন তাহলে আপনার জন্য Get Started (শুরু করুন) অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
Get Started ক্লিক করার পর ছোট একটি ফ্রম দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের নাম আপনার জিমেইল একাউন্ট এবং একটি টিকমার্ক দিয়ে একটু continue-তে ক্লিক করতে হবে নিচের স্ক্রীনশটএর মত।
উপরের স্কিনশর্টের অনেকেরই কান্ট্রি সিলেক্ট করার একটি অপশন থাকে। আপনি যদি ইন্ডিয়া থাকেন তাহলে আপনার দেশ সিলেক্ট করবেন। আর আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে অবশ্যই কান্টি বাংলাদেশ দিবেন।
উপরের স্ক্রীনশটএর মত হুবহু আপনার ইনফর্মেশন দিয়ে বক্সটি ফিলাপ করে Save and Continue তে ক্লিক করবেন। তবে আপনার ওয়েবসাই যদি blogger.com থেকে তৈরি করে থাকেন।
এবং কাস্টম ডোমেইন সেট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই URL এর সাথে https://www.domain.com এভাবে লিখে আপনার ইনফরমেশন গুলো পূরণ করবেন।
[Alart Note: উপরের দেখানো স্ক্রিনশটে আমার ওয়েবসাইট এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন ফিলাপ করেছি। অবশ্যই আপনি আপনার টা দিয়ে পরিবর্তন করে নিবেন]
যে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইনফরমেশন সেভ কন্টিনিউ দিয়েছেন সেই জিমেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন।
আপনি আরো পড়ুন…
- ট্রেডমার্ক কি? ট্রেডমার্ক করার নিয়ম
- অনলাইন মার্কেটিং কি? কিভাবে অনলাইনে মার্কেটিং করতে হয়?
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
জিমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর Get Started লেখা আসলে ক্লিক করে নিবেন। তার পর আরও একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন এখানে আপনার প্রয়োজনীয় অনেকগুলো তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
- Account Type দিবেন Individual
- আপনার Text Info লেখা আসবে না তাই এটা এভোইড করুন
Name and Address
- Name: এর জায়গাতে আপনার NID এর সাথে মিল আছে সেই নাম দিন ইংরেজিতে।
- Address 1: NID এর সাথে মিল রেখে আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানাটি লিখুন।
- City: এই বক্সে আপনার সিটি বা শহরের নাম লিখবেন।
- Post Code: আপনি যে City তে থাকেন সেখানকার পোস্ট কোড দিতে হবে।
- ফোন নাম্বার এর জাইগাতে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে দিবেন।
- তার পর Submit বাটনে ক্লিক দিতে হবে।
#03 – Verify mobile number in adsense
গুগল এডসেন্স একাউন্টে আপনার এড্রেস এবং নাম সম্পূর্ণ ফর্ম বক্সটি ফিলাপ করা হলে আপনাকে ফোন নুম্বার ভেরিফিকেশন করতে হবে।
গুগল অ্যাডসেন্সে ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনি যে পেজটি দেখতে পাবেন। ওইখানে যদি বাংলাদেশ কান্ট্রি সিলেক্ট করা থাকে তাহলে সরাসরি আপনার ফোন নম্বরটি বসিয়ে দিবেন।
আর যদি বাংলাদেশ লেখা না থাকে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ লেখা টি সিলেক্ট করতে হবে। তার পর ফোন নম্বরটি সচল থাকে এমন ফোন নুম্বার দিতে হবে।
[Pro Tips: আপনি যদি ইন্ডিয়া থাকেন তাহলে ইন্ডিয়া সিলেক্ট করবেন।]
তারপর আপনাকে Text Message (SMS) box সিলেক্ট করে দিতে হবে। তার পর Get Verification Code বাটনে ক্লিক করলে আপনি মোবাইলে Verification Code ফোনে পেয়ে যাবেন।
গুগল এডসেন্স থেকে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠিয়ে দিবে। সেই কোডটি ““Enter verification code” বক্সে Verification Code সাবমিট দিলেই ভেরিফাই হয়ে যাবে।
#04 – Connect Your Website for review
এখন হয়তো ভাবতেছেন যে গুগোল অ্যাডসেন্সে আমার ওয়েব সাইট দিয়েতো একাউন্ট খুললাম। তাহলে আবার কেন আমার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর জন্য রিভিউ করতে হবে?
তাহলে শুনুন, প্রতিদিন গুগলের কাছে হাজার হাজার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করে থাকে। কিন্তু গুগল এডসেন্সের পক্ষের সকল ধরনের ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর আবেদন একসেপ্ট করা সম্ভব নয়।
তাই যে সকল ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করা হয়ে থাকে । সে সকল ওয়েবসাইটগুলো গুগল এডসেন্সের কর্মকর্তা দ্বারা অথবা রোবট দ্বারা পর্যবেক্ষণ করে দেখে।
যে এই ওয়েবসাইটটি গুগল এডসেন্স এর জন্য উপযুক্ত কিনা। যদি গুগল এডসেন্স এর সকল টার্মস এন্ড কন্ডিশন মেনে আবেদন করে থাকে।
তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর আওতায় অ্যাপ্রুভ করে নেবে।
তবে তার জন্য গুগল এডসেন্স আপনাকে ভেরিফাই করে নিবে। যে আপনি আসলেই কি সেই ওয়েবসাইটের মালিক কিনা।
সে জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে আপনাকে একটি HTML code দিবে।
যা আপনার ওয়েবসাইটের <Head> এ বসাতে হবে। তারপর গুগল এডসেন্সে ভেরিফাই অথবা সাবমিট নামক বাটনে ক্লিক করে জানাতে হবে যে আপনি সেই ওয়েবসাইট এর আসল মালিক।
#Connect your site to AdSense
এখানে মূলত আপনার ওয়েবসাইটের নাম এবং নিচে HTML code দেখতে পাবেন । যে কোডটি আপনার ব্লগার ব্লগ সাইট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর হেড সেকশনে সাবমিট করতে হবে।
তো কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব সাইটে সাবমিট করবেন এবং কিভাবে ব্লগার ব্লগস্পট ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স সাবমিট করবেন তা নিচে দেখানো হলো।
#05- Bloger ব্লগে এডসেন্সের কোড বসানোর নিয়ম
অনেকেই জানে না কিভাবে ব্লগার ব্লগ সাইট দিয়ে বানানো ব্লগসাইটে এডসেন্সের কোড বসাতে হয়। তাদের জন্য এই লেখা অনেক উপকারী হবে আশা করি।
প্রথমে Connect your site to AdSense পেজ থেকে HTML code কপি করে নিন।
অথবা গুগল এডসেন্স একাউন্ট লগইন করার পর এড কোড অপশন থেকে HTML code পেয়ে যাবেন।
তার পর bloger থেকে লগিন করে থিম এডিট অপশনে যেতে হবে। তার পর Edit Html থেকে আপনাকে খুজতে হবে কোথায় </Head> ট্যাগটি আছে।
<Head> এর ভিতরে</Head>আপনার কপি করা কোডটি পেস্ট করে থিম সেভ করে নিন।
তার পর আবার আপনার এডসেন্স একাউন্ট থেকে I’ve pasted the code into my site লেখাতে টিক দিন আর Done লেখাতে ক্লিক দিন।
বাস আপনার ওয়েবসাইট রিভিউতে চলে যাবে এবং কিছুদিনের ভিতর আপনার ওয়েবসাইট গুগল অ্যাডসেন্সে এপ্রুভ হয়েছে। নাকি এডসেন্স এপ্রুভ হয়নি তারা মেইল করে বলে দিবে।
এবার যদি না হয়ে থাকে কি কি করলে এডসেন্স এপ্রুভ বিষয়ে আপনাকে একটি মেইল করে জানিয়ে দিবে
#06-Wordpressx ব্লগে এডসেন্সের কোড বসানোর নিয়ম
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছে কিভাবে ব্লগার ব্লগস্পট দিয়ে বানানো ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের Code বসানো যায়। এবার জানবো কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানানো ব্লগ সাইটে গুগল এডসেন্স এর কোড বসানোর উপায়।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানানো ব্লগ সাইটে খুব সহজে গুগল এডসেন্স এর কোড বসানোসহ নানারকম কাস্টমাইজ গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন এর এড গুলো করতে পারবেন।
আপনার জন্য লেখা…
- গুগল পেনাল্টি কি? Google Pelanty দিলে করণীয় কি?
- Keyword density কি? আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি দেখার নিয়ম
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি ? কিভাবে এবং কেন করবেন
প্রথমে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস এর ড্যাশবোর্ড থেকে প্লাগিনে যাবেন । তারপর অ্যাড নিউ প্লাগিনে যাওয়ার পর Insurt header and Footer নামে প্লাগিন ইন্সটল করে এক্টিভ করে নিন।
তারপর এই প্লাগইনটি ওপেন করবেন ওপেন করার পর হেডার নামে যে একটি ফাংশন রয়েছে। সেখানে আপনার কপি করা এইচটিএমএল গুগল এডসেন্সের কোডটি সাবমিট দিন।
সাবমিট দেয়ার পর সাত দিন ৭-১৪ দিনের মধ্যে জানিয়ে দিবে।
[pro Note: কিভাবে দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল নেয়া যায় এই নিয়ে আমার আর্টিকেল ইতিমধ্যে আর্টিকেল শেয়ার করা হয়েছে আপনি চাইলে এখান থেকে দেখে নিতে পাড়েন]
আমাদের শেষ কথা
কিভাবে গুগল এডসেন্সে ব্লগসাইট/ওয়েবসাইট আবেদন করতে হয় জেনে গেছেন। আপনি যদি আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন। তাহলে গুগল এডসেন্স নিয়ে অনেক কিছু ইতিমধ্যে যেনে গেছেন।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধমে আমাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমরা কমেন্টর সঠিক উত্তর খুব দ্রুত জানিয়ে দিব।
অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক আর্টিকেল আমাদের বাংলা আইটি ব্লগ সাইটে আছে। আপনি অনলাইন ইনকাম ক্যাটাগরি থেকে চাইলে দেখে নিতে পারেন।
আপনার ব্লগের সব লিখা গুলা অনেক সুন্দর সাজানো গুছানো । ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে বুঝিয়ে লিখার জন্য।আমার সাইটে আমি,৪৬ টা আর্টিকেল লিখেছি দেড় মাস হয়েছে সাইট খোলেছি।এখন কি আমার এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করা উচিত?নাকি আরও কিছুদিন পর করা উচিত?
কিছু পোস্ট ইনডেক্স হয়ে থাকলে আবেদন করতে পারেন।
ধন্যবাদ
আপনাকেই ধন্যবাদ
আপনাকেউ ধন্যবাদ
ভাইয়া এন্ড্রোয়েড এর ব্যপারে ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছি বাংলাতে তৈরি করলে কেমন হবে
আপনি যেকোন বিষয়ে কাজ করুন, তাতে সমস্যা নেই। তবে আপনার দেওয়া ইনফরমেশন থেকে ভিজিটররা যেন উপকৃত হতে পারে। সেইদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
কারন, যখন কোন ভিজিটর আপনার সাইটে তার প্রশ্নের উত্তর জানতে আসবে। তখন যদি সে তার সঠিক উত্তর জানতে না পারে। তাহলে তা গুগলের কাছে খারাপ ইফেক্ট ফেলবে।
আশা করি, আপনি আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়েছেন।
ধন্যবাদ।