শিশুর জন্মের পর তার জন্ম নিবন্ধন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম নিবন্ধন একটি ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে। এটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয়, জন্মস্থান, পিতামাতার নাম, বয়স, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়। এটি ব্যক্তির ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
জন্ম নিবন্ধন না থাকলে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে সমস্যা হয়।
বর্তমানে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায়। এতে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়। তবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
অনলাইনে যখন নতুন জন্ম নিবন্ধন করবেন। তখন আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এর প্রয়োজন হবে। এছাড়াও নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে বেশ কিছু নিয়ম ফলো করতে হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন
অধিকাংশ সময় আমরা আমাদের শিশুদের নতুন জন্ম নিবন্ধন করার প্রয়োজন হয়। তো আপনি যদি আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে চান। তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ জন্ম ও মৃত্যু আইন সম্পর্কে জানতে হবে।
আর সেই আইন এর ২০০৪ অনুযায়ী, আপনার শিশুর বয়স যখন ৪৫ দিনের মধ্যে থাকবে। তখন আপনাকে সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে হবে।
কিন্তুু বিভিন্ন কারনে যদি আপনি আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারেন। তবে অবশ্যই সেই শিশুর বয়স ৫ বছরের মধ্যে থাকা অবস্থায়, জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।
কেননা, আপনি যখন ৫ বছর পর শিশুর জন্ম নিবন্ধন করবেন। তখন আপনাকে অনেক কাগজ পএ ও ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
তাই আপনি যদি সহজ ভাবে আপনার শিশুর নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার শিশুর বয়স ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর মধ্যে নতুন জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে?
যেহুতু আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধন করবেন। সেহুতু, আপনাকে জানতে হবে, জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে। কেননা, আপনি যখন নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে যাবেন।
তখন আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। আর সেই প্রয়োজনীয় ডুকমেন্টস গুলো হলো,
- পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
- টিকা কার্ড
দেখুন, উপরে আপনি যে প্রয়োজনীয় কাগজের তালিকা দেখতে পাচ্ছেন। এখানে শুধু প্রাথমিক কাগজের কথা বলা হয়েছে। তবে শিশুর বয়স ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। আর এবার আমি বয়স ভেদে প্রয়োজনীয় কাগজের তালিকা গুলো নিচে উল্লেখ করলাম।
বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন
যদি আপনার শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হয়। তাহলে সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে খুব বেশি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়না। কারন, সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে,
- পিতা এবং মাতার যোগাযোগ নম্বর এর প্রয়োজন হবে।
- বাসা কিংবা জমির ট্যাক্স এর রশিদ কপি।
- শিশুর হাসপাতাল এর ছাড়পত্র দরকার হবে।
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। সেটি হলো, বর্তমান সময়ে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করার জন্য। পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর প্রয়োজন নেই। কারন, এখন শিশুদের তথ্য দিয়েই নতুন জন্ম নিবন্ধন করা সম্ভব।
তবে কারোও যদি ২০০০ সালের আগে জন্ম হয় তাহলে বাবা মায়ের জন্মনিবন্ধন লাগে না। কিন্তু পিতা মাথার জাতীয় পরিচয় পত্র লাগে।
বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর
তো যদি আপনি ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই পরের ৫ বছর এর মধ্যে শিশুর নতুন জন্ম নিবন্ধন করে নিবেন।
আর তখন যদি জন্ম নিবন্ধন করেন। তাহলে আপনার যে সকল কাগজ পত্র এর প্রয়োজন হবে। সেগুলো হলো,
- আপনার শিশুর হসপিটাল ছাড়পত্র দিতে হবে।
- শিশুটি যে বিদ্যালয় এর মধ্যে পড়াশোনা করছে। সেই বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এর নিকট হতে একটি প্রত্যায়ন পত্র।
- বাড়ি ভাড়া কিংবা জমির ট্যাক্স এর রশিদ কপি।
- শিশুর পিতা ও মাতার মোবাইল নম্বর।
- শিশুর ১/২ কপি রঙ্গিন ছবি।
- টিকা কার্ড
দেখুন, আপনি যতো বেশি সময় লেট করে আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন করবেন। আপনার ঠিক ততো বেশি কাগজ বা ডকুমেন্টস জমা দেয়ার প্রয়োজন পড়বে।
আর যখন আপনি ৫ বছর পরে আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন করবেন। তখন আপনার আরো বেশি কাগজ পএ এর দরকার হবে।
৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্য
যখন ৫ বছর বয়সের অধিক বয়সি শিশু কিংবা পর্যাপ্ত ব্যক্তি নতুন জন্ম নিবন্ধন করবে। তখন সেই ব্যক্তির অনেক ধরনের ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। সেই সেগুলো হলো,
- তার বর্তমান বয়স কত হয়েছে, সেটি প্রমান করতে হবে।
- আর বয়স প্রমানের জন্য চিকিৎসকের প্রত্যায়ন পত্র জমা দিতে হবে।
- যে কোনো সরকার পরিচালিত স্কুল থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। যেমন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, অষ্টম শ্রেনী কিংবা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট।
- তার নিজস্ব আবাস স্থলের ঠিকানার প্রমান পত্র দিতে হবে।
তো বিভিন্ন বয়স ভেদে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে আপনার কি কি লাগবে। তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আর যখন আপনি নিজের জন্য কিংবা নিজের শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন করবেন। তখন অবশ্যই আপনার নিকট এই প্রয়োজনীয় কাগজ পএ গুলো সাথে রাখবেন।
ছোট নোট⇒ অনেক সময় টিকার কার্ড দিয়েই জন্মনিবন্ধন করা যার আর কিছু লাগে না। তবে ২০০২ সালের পরে যারা জন্ম গ্রহন করেছে তাদের পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন লাগতে পারে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
আমাদের মতো সাধারন জনগন এর জন্য বাংলাদেশ সরকার বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে। কারন, এখন আমরা নিজের ঘরে বসে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবো।
আর কিভাবে আপনিও অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন করবেন। সেই নিয়ম গুলো কে এবার ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো।
ধাপ #১: নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
তো আপনি যদি অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে চান। তাহলে প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ জন্ম ও মৃত্যু সনদ এর মুল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। আপনি চাইলে গুগলে Bdris লিখে সার্চ করলেই খুজে নিতে পারবেন।
অথবা আপনি https://bdris.gov.bd/br/application ক্লিক করেও সরাসরি সেই ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন। আর উপরের লিংকে ক্লিক করার পর আপনি ঠিক নিচের ছবির মতো একটি পেজ দেখতে পারবেন।
আর এখানে আপনি মোট ২ টি অপশন দেখতে পারবেন। যেমন, জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা। মূলত আপনি আসলে কোন ঠিকানা থেকে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে চান। সেটি আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
আর তার সিলেক্ট করার পর “পরবর্তী” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। উক্ত অপশনে ক্লিক করার পর নিচের পিকচারের মতো একটি ফরম দেখতে পারবেন।
এখন আপনি যে ফরমটি দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে আপনার ঠিকানার সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দিতে হবে। যেমন, আপনার দেশ, জেলা, বিভাগ, উপজেলা, গ্রাম, ইউনিয়ন ইত্যাদি।
তো এই তথ্য গুলো দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন। যেন আপনার দেওয়া তথ্য গুলো তে কোন ধরনের ভুল না হয়।
তবে এখানে আপনি যে নামের অপশন দেখতে পারছেন। সেখানে যদি আপনার নামের মধ্যে ২ টি করে অংশ থাকে। তাহলে আপনি আপনার নামের প্রথম অংশটুকু প্রথমে বসিয়ে দিবেন।
এবং পরের অংশটুকু ২য় স্থানে বসিয়ে দিবেন। আর যখন উক্ত তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তখন আপনাকে আবার “পরবর্তী” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ #২: পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information
এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে পিতা ও মাতার যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। তো আপনি যখন এই ফরম এর মধ্যে থাকা পিতা ও মাতা জন্ম নিবন্ধন নম্বর গুলো প্রবেশ করবেন।
তখন অটোমেটিক ভাবে আপনার পিতা ও মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র এর নম্বর ইত্যাদি চলে আসবে। আর এখানে যে সকল তথ্য গুলো আসবে। সেই তথ্য গুলো আপনি আর পরিবর্তন করতে পারবেন না।
কিন্তুু এজন্য অবশ্যই তার পিতা বা মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল হতে হবে। নাহলে উক্ত অপশন গুলো তে কোনো ধরনের তথ্য যুক্ত হবেনা। তাই সবার আগে আপনি এই বিষয়টি যাচাই করে নিবেন।
এবং উক্ত কাজটি করার পর আপনাকে আবার “পরবর্তী” অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ #৩: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address
উপরোক্ত কাজ গুলো করার পর আপনি ঠিক নিচের পিকচারের মতো একটি পেজে প্রবেশ করবেন।
আর এখানে আপনি যে সকল অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে ”কোনোটিই নয়” এই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। এবং এবার আপনি আরো একটি নতুন পেজ এর মধ্যে প্রবেশ করবেন।
আর উক্ত পেজ এর মধ্যে আপনাকে পুনরায় আপনার ঠিকানা উল্লেখ করে দিতে হবে। যা আপনি নিচের পিকচারে দেখতে পাচ্ছেন।
তো উপরের পিকচারে দেখানো অপশনে আপনি যদি স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি “স্থায়ী ঠিকানা” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করে দিবেন। তারপর আপনার সেই ঠিকানায় যে ডাকঘর, গ্রাম/পাড়া রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে উল্লেখ করে দিবেন।
আর আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয়ে থাকে। তাহলে আপনি উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করে। পুুনরায় সেই ঠিকানার তথ্য গুলোকে প্রদান করবেন। মনে রাখবেন, এখানে দেওয়া ঠিকানা গুলো যেন একবারে নির্ভুল হয়।
ধাপ #৪: আবেদনকারীর তথ্য
আপনার নতুন জন্ম নিবন্ধন এর কাজ মোটামুটি শেষের দিকে। কারন, যখন আপনি উপরের তথ্য গুলো সঠিকভাবে পূরন করবেন। তখন আপনি আবার নিচের পিকচারের মতো একটি পেজে প্রবেশ করবেন।
তো এই অপশন এর মধ্যে যে ব্যক্তি আবেদন করেছে, সেই ব্যক্তির তথ্য দিতে হবে। আর আপনি যদি নিজের জন্য নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেন। তাহলে আপনাকে “নিজেই” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি অন্য কারো জন্য জন্ম নিবন্ধন করেন। তাহলে আপনাকে উক্ত অপশন থেকে সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।
আর এখানে আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। উক্ত অপশনে আপনি আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর দিবেন। কেননা, পরবর্তী তে এই মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন সনদ কর্তৃপক্ষ থেকে মেসেজ পাঠানো হবে।
ধাপ #৫: নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
আর এই সর্বশেষ ধাপে আপনাকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। যদি আপনার নিকট প্রিন্টার থাকে, তাহলে আপনি সরাসরি উক্ত আবেদন কপি প্রিন্ট করতে পারবেন।
নতুবা আপনি উক্ত আবেদন এর পেজটি পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করার উপায়
তো যখন আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধন করবেন। তার পরে সেই জন্ম নিবন্ধন এর কাজ কতটুকু অগ্রসর হয়েছে। তা আপনি আবার অনলাইন থেকে চেক করতে পারবেন।
আর যখন আপনি উক্ত বিষয় টি চেক করবেন। তখন আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে কতদিন সময় লাগবে। তা আপনি অনেক আগে থেকে জানতে পারবেন।
আর নতুন জন্ম নিবন্ধন এর বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
সেই সাথে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেনদ করার পর। সেই জন্ম সনদ টি অনলাইনে জমা হয়েছে কিনা। সেটি চেক করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
অনেক সময় আমরা ভুল করে একাধিক জন্ম নিবন্ধন করে ফেলি। তো যদি আপনিও এমন ভুল করেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে পারবেন। আর উক্ত কাজটি করার জন্য আপনার নিকট আবেদন এর অপ্লিকেশন আইডি থাকতে হবে।
সেই সাথে আপনি কি কারনে সেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে চান। সেই বিষয়টি সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে। আর তারপর আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে পারবেন।
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। আপনি যদি নতুন কোনো জন্ম নিবন্ধন করেন। এবং তার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে যদি সেই আবেদন জমা না দেন।
তাহলে আপনার অনলাইনের আবেদন টি অটোমেটিক ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আর তারপরে আপনি পুনরায় নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Note: এখানের কিছু ছবি Eservicesbd থেকে নেওয়া হয়েছে।
Faqs
জন্ম নিবন্ধন করার লিংক কোনটি?
যখন আপনি অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন করবেন। তখন অবশ্যই আপনার নিকট জন্ম নিবন্ধন আবেনদ করার লিংক থাকতে হবে। সেজন্য আপনি এখানে ক্লিক করুন।
পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করবো?
বর্তমান সময়ে মাতা পিতার জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায়।
বিবাহিত নারীদের জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখা থাকে?
না, জন্ম নিবন্ধন এর মধ্যে শুধু নিজের নাম ও মাতা পিতার নাম থাকে। এখানে স্বামীর নাম লেখার মতো কোনো অপশন নেই।
জন্ম নিবন্ধন কতবার করা যায়?
আপনি শুধুমাএ ১ বার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি দ্বিতীয় বার আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে ডুপ্লিকেট ইস্যু দেখাবে।
জন্ম নিবন্ধন কখন করা ভালো?
যখন আপনার শিশুর বয়স ৪৫ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে থাকবে। তখন সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা ভালো।
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?
প্রথমত আপনি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। তারপর সেই আবেদন এর কপি টি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এবং সেখানে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন নিয়ে আমাদের শেষকথা
আপনারা যারা অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান। তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। কারন, আপনি কিভাবে আবেদন করবেন, সেজন্য আপনার কি কি লাগবে।
আজকের আলোচনায় সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তো আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সবার আগে পেতে চান।
তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। আর ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।