সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম : বর্তমান সময়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যাংক কর্তৃক চেক এর মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে।
কিন্তু আপনি আরো ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে আজকের দিনে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে চেক এর ব্যবহার করে থাকেন।
ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি একটি সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন। তখন সে ব্যাংক থেকে আপনাকে বাধ্যতামূলক একটি চেক প্রদান করা হবে।
এবং সেই চেক বইয়ের মাধ্যমে আপনি সেই সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি সোনালী ব্যাংক এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম
- সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে না জেনে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সেই চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
এর পাশাপাশি চেক লেখার সময় আরও বিশেষ কিছু সতর্কতা আছে, যেগুলো আপনার মেনে চলতে হবে।
এবং এই সতর্কতা গুলো না মানলে পরবর্তী সময়ে আপনার সেই চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম অবৈধ কাজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো আপনি যদি একজন সোনালী ব্যাংক গ্রাহক হয়ে থাকেন।
তাহলে আপনাকে সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর আপনি যদি সেই সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান।
তাহলে আজকের এই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
তাহলে আজকের পর থেকে আপনার এই রিলেটেড কোন অজানা বিষয় থাকবে না। তো আর দেরি কেন চলুন, সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কেনো জানবেন?
এখন অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি জেগে থাকবে যে, সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কেন জানতে হবে। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে আপনাকে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে।
আপনি যদি সঠিক নিয়মে চেক না লিখেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সেই চেক বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কেননা একটি চেক যখন ভুল ভাবে পূরণ করা হয়, তখন কিন্তু সেই চেক দিয়ে আর্থিক লেনদেন করার সময় সেটি বারবার বাউন্স হয়।
আর যখন আপনার চেক বারবার বাউন্স হবে। তখন কিন্তু আপনি সেই চেক দিয়ে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না।
এবং আপনি আপনার যে চেক টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে দিবেন, সেটি পুনরায় আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে। কেননা সেক্ষেত্রে আপনি আর সেই চেক দিয়ে কোন লেনদেন করতে পারবেন না।
আর সে কারণেই মূলত চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
সোনালী ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম
তো যদি আপনি সোনালী ব্যাংক চেক ব্যবহার করতে চান। তাহলে যখন আপনি একটি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন।
ঠিক তখনই কিন্তু আপনাকে একটি চেক প্রদান করা হবে। তবে অনেকেই আছেন, যারা মূলত সোনালী ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম সম্পর্কে জানতে চান।
এখন আপনি যদি সে সম্পর্কে জেনে নিতে চান, তাহলে আপনাকে বলবো যে। সোনালী ব্যাংক আবেদন ফরম আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আর আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে ডাউনলোড করতে চান।
তাহলে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে। আর যখন আপনি সেই লিঙ্কে ক্লিক করবেন তখন আপনি সরাসরি সোনালী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
এবং প্রবেশ করা মাত্রই আপনার সোনালী ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম অটোমেটিক ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
আর ডাউনলোড করার পরে যখন আপনি সেই পিডিএফ ফাইলটি ওপেন করবেনম তখন আপনি সেখানে আপনার সোনালী ব্যাংক চেক বই আবেদন ফরম দেখতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কি?
তো এবার আসা যাক মূল বিষয়ে, এতক্ষণ আপনি সোনালী ব্যাংক চেক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন।
আশাকরি আলোচিত এই আলোচনা গুলো বুঝতে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। তবে এবার আমি আপনাকে সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
এবং আপনি যদি একজন সোনালী ব্যাংক গ্রাহক হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক এর সাহায্য লেনদেন করতে চান।
তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম কি।
আপনি আরোও পড়তে পারেন…
- সোনালী ব্যাংক মোবাইল নাম্বার | Sonali Bank Mobile Number
- ডিপিএস কি | কত ধরনের ডিপিএস আছে এবং সুবিধা ও অসুবিধা জানুন
- ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম
সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে একটি চেক হল বিশেষ এক ধরনের কাগজ। যার ওপর কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংকিং রিলেটেড বিভিন্ন রকমের তথ্য উল্লেখ করা থাকে।
যেমন সেই ব্যক্তির ব্যাংকের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, তারিখ, সিগনেচার ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এই বিষয় গুলো শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংকের ক্ষেত্রেই নয়।
নোটঃ আপনাদের বোঝার সুবধার জন্য পুরাতন চেক বইয়ের ছবি দিয়েছ ।
বরং আপনি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করুন না কেন। সবগুলো ব্যাংক এর ক্ষেত্রে আপনি একই রকম বিষয় গুলো দেখতে পারবেন।
- তো সোনালী ব্যাংকের চেক এর সবার উপরেই আপনি তারিখ দেখতে পারবেন। মূলত এই তারিখের অপশনে আপনি আপনার সঠিক তারিখ দেয়ার চেষ্টা করবেন।
- তবে এই তারিখের ক্ষেত্রে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা উচিত। আর সেই কথাটি হলো যে, এখানে আপনি যে তারিখ দিবেন। সেটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে যদি লেনদেন করা না হয়। তাহলে কিন্তু সেই চেকটি অবৈধ বলে গণ্য করা হবে।
- এরপর আপনি আসলে সেই চেকের মাধ্যমে কোথায় টাকা পাঠাতে চান, সেটি আপনাকে উল্লেখ করে দিতে হবে। তবে আপনি যদি নিজেই নিজের একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি এই অপশনে Self লিখে দিবেন।
- যদি আপনি উপরের কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারেন। তার পরবর্তী ধাপে আপনাকে টাকার অংক কে কথায় লিখতে হবে। যেমন ধরুন আপনি কোন ব্যক্তি বা কোন সংস্থাকে 10 হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি এই জায়গাতে আপনার টাকার পরিমাণ কে কথা লিখবেন। যেমন, দশ হাজার টাকা।
- পরবর্তী ধাপে আপনি কোন ব্যক্তি বা কোন সংস্থাকে যে পরিমাণ টাকা দিতে চান। সেটি আপনাকে অংকে লিখতে হবে।
- যেমনটা আপনি উপরে কথায় লিখেছিলেন, তার পাশেই আপনি এই টাকার পরিমাণ কে অংকে লিখবেন। যেমন, আপনি সেই ব্যক্তিকে 10 হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে চান।
- সেক্ষেত্রে আপনি এখানে 10,000 টাকা লিখে দিবেন।
- সবশেষে সেই চেকের মাধ্যমে আপনাকে সিগনেচার দিতে হবে এবং যখন আমি সিগনেচার দিবেন তখন আপনার কাজ সম্পন্ন হবে।
উপরের আলোচনায় আমি সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম গুলো কে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আলোচনা গুলো থেকে আপনি সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সোনালী ব্যাংক চেক লেখার সময় সর্তকতা
যেহেতু আপনি সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহেতু আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আর সেটি হল যে চেক লেখার সময় কি কি সর্তকতা অনুসরণ করতে হবে। কেননা আপনি যদি আপনার আর্থিক লেনদেন করার চেক লেখার সময় সর্তকতা অবলম্বন না করেন।
তাহলে কিন্তু আপনার নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, চেক লেখার সময় কি কি সর্তকতা অনুসরণ করতে হবে।
উপরে আমি সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম এর মধ্যে একটা কথা বলেছি যে। আপনি আপনার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কোন সংস্থাকে যে পরিমাণ টাকা পাঠাবেন।
সেটি আপনাকে অংকে লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি তাকে 10 হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে চান। তাহলে আপনাকে সেই টাকার পরিমাণ কে অংকে লিখে দিতে হবে।
এখন এই টাকার পরিমাণ তোমাকে দেখার পরে আপনাকে এই (/-) চিহ্নটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন, ১০,০০০/-
কেননা আপনি যখন এই (/-) চিহ্নটি ব্যবহার করেন। তখন কোন অসৎ ব্যক্তি আপনার সেই টাকার পরিমাণ কে বাড়িয়ে দিতে পারবে না।
কিন্তু আপনি যদি এই চিহ্নটি ব্যবহার করতে না পারেন। তাহলে কিন্তু কোন অসৎ ব্যক্তি আপনার সেই টাকার পরিমাণ কে আরো বাড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই অবশ্যই এই বিষয়টি বিশেষভাবে নজর রাখবেন।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, একজন সোনালী ব্যাংক গ্রাহক হিসাবে যখন আপনি সেই ব্যাংকের মাধ্যমে চেকের সাহায্য লেনদেন করবেন।
তখন আপনাকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এবং আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম গুলো কি কি। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।
তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।