আজকের দিনে টাকার প্রয়োজন হঠাৎ করেই হতে পারে। কোনো অপ্রত্যাশিত খরচ, জরুরি কাজ, বা অন্য কোনো কারণে আপনার দ্রুত নগদ টাকার প্রয়োজন হতে পারে।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিকাশ আপনার পাশে আছে। বিকাশের মাধ্যমে আপনি সহজেই এবং দ্রুত ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
আপনি কি অনলাইনে ১০ হাজার টাকা লোন পেতে চান? বিকাশ থেকে লোন পাওয়া এখন সহজ এবং দ্রুত। সহজ কিস্তিতে লোনের মাধ্যমে আপনি আপনার জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারেন।
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হলে সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। যদি আপনি ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চান, তবে সিটি ব্যাংক বিকাশ লোনের অনলাইন আবেদন পদ্ধতিও আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।
এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন, কিভাবে বিকাশ থেকে লোন নেওয়া যায়, বিকাশ লোন কারা পাবে, বিকাশ লোন পরিশোধ করার নিয়ম এবং টাকা লোন নেওয়ার উপায়সহ City Bank bKash loan apply online সম্পর্কেও সবকিছু জানতে পড়তে থাকুন।
তাহলে চলুন বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম এবং এর থেকে বেশি টাকা লোন নেওয়া যাবে কিনা এই সকল নিয়েও জানতে পারবেন।
বিকাশ লোন কি (What is bkash Loan)
বিকাশ লোন হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, বিকাশ, দ্বারা প্রদত্ত একটি দ্রুত ও সহজ ঋণ সুবিধা। এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপের দ্বারা একাউন্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন। এটি এক ধরনের ব্যক্তিগত ঋণ যা আপনার জরুরি প্রয়োজন মিটাতে সহায়তা করে।
বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য, গ্রাহকদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয় এবং ঋণটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। সহজ আবেদন প্রক্রিয়া এবং দ্রুত লোন প্রদানকারী হওয়ায়, বিকাশ লোন একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিকাশ লোন কারা পাবে?
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। সাধারণত, যাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লেনদেন হয় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেনের ইতিহাস রয়েছে, তারাই এই লোনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হন।
এছাড়াও, লোন পাওয়ার জন্য বয়সের সীমা এবং নাগরিকত্বের বিষয়েও কিছু শর্ত থাকতে পারে। বিকাশ লোন পেতে হলে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে এবং নির্ধারিত শর্তাবলী মানতে হবে।
বিকাশ লোনের জন্য যোগ্য কিনা তা যাচাই করতে হলে বিকাশের নির্দিষ্ট শর্তাবলী ও নীতিমালা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এই Bkash Loan সুবিধা পাবেন তা সঠিকভাবে জানার জন্য আপনার Bkash App ব্যবহার করে জানতে পারবেন।
আপনি বিকাশ গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য কিনা তা জানতে হলে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে যান। সেখানে আপনি ইন্টারেস্ট রেট, প্রসেসিং ফি, লোন লিমিট, এবং লোন পরিশোধের নিয়মাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা এবং ক্রেডিট পলিসি নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক কর্তৃক সংরক্ষিত থাকে, তাই এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেবেন?
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া অনেক সহজ এবং সুবিধাজনক। আবেদন করার সাথে সাথেই লোন পেয়ে যাবেন, যা আপনার জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক।
৩ মাস মেয়াদী এই লোনের জন্য কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা জামানত লাগবে না, এমনকি কোনো কাগজপত্রও প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-কিস্তি পরিশোধ করা যাবে, তাই আপনি সময়মতো কিস্তি পরিশোধের চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবেন।
লোনের উপর প্রসেসিং ফি মাত্র ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট), যা অনেকেই সহনশীল মনে করেন।
বিকাশ থেকে কতো টাকা লোন নিতে পারবেন?
বিকাশ থেকে আপনি ৫০০ থেকে সর্বাধিক ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন, তবে এটি নির্ভর করবে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের ব্যবহার এবং লেনদেনের ইতিহাসের ওপর।
এই লোন সুবিধা শুধুমাত্র যোগ্য গ্রাহকদের জন্য প্রদান করে থাকে, এবং প্রাথমিকভাবে কম টাকার লোন পাওয়ার পর আপনার সময়মতো পরিশোধের রেকর্ডের ভিত্তিতে বেশি পরিমাণের লোন পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই জানতে পারবেন , এবং লোন পাওয়ার যোগ্যতা ও শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন বিকাশের অ্যাপ থেকে।
বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। প্রথমত, এই লোন সুবিধাটি বাংলাদেশ সিটি ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত কিছু বিশেষ বিকাশ গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য। আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে চেক করতে পারেন যে, আপনি এই লোনের জন্য যোগ্য কিনা।
সাধারণত, নিয়মিত বিকাশ ব্যবহারকারীরা, যাদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত লেনদেন করে এবং তাদের একাউন্ট প্রতিনিয়ত একটিভ, তাদের এই সুবিধা পেতে বেশি সম্ভাবনা থাকে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) সম্পন্ন বিকাশ একাউন্ট থাকা লাগে অনেক সময়।
এছাড়াও, লোন গ্রহণ এবং পরিশোধের নিয়মাবলী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি, যেমন লোনের কিস্তির পরিমাণ, সময়সীমা, এবং সুদের হার। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে লোন গ্রহণ প্রক্রিয়াটি খুব সহজ এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে আপনি ৩ মাসে শুধু একবার Bkash Loan নিতে পারবেন।
বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম ২০২৪ (City Bank bKash loan apply online)
City Bank bKash loan apply online এর মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবেন। বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য আপনার একটি একটিভ বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
যদি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট না থাকে, তবে সহজেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। বিকাশ লোন পেতে, বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। বিকাশ অ্যাপের হোমপেজে যাওয়ার জন্য আপনার অ্যাপটি আপডেটেড থাকা উচিত।
আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। লগইন না করলে লোনের অপশনগুলো দেখতে পাবেন না।
লোন অপশন নির্বাচন করুন: লগইন করার পর হোমপেজে যান এবং ‘লোন‘ অপশনটি সিলেক্ট করুন। এখানে আপনি লোনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পাবেন।
তথ্য শেয়ারের অনুমতি দিন: লোন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে যেতে তথ্য শেয়ারের অনুমতি প্রদান করুন। এটি আপনার লোনের আবেদন সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজন।
লোনের পরিমাণ সিলেক্ট করুন: প্রদর্শিত লোনের পরিমাণ থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি পরিমাণ নির্বাচন করুন। এটি হবে সেই টাকা যা আপনি লোন হিসেবে পেতে চান।
কিস্তির মেয়াদ নির্ধারণ করুন: এখন আপনার লোনের পরিমাণ অনুযায়ী কিস্তির মেয়াদ নির্বাচন করুন। এটি কতদিনের মধ্যে আপনি লোন পরিশোধ করবেন তা নির্ধারণ করে।
তার পর নিচের ইন্টারপেজ দেখতে এমন হবে। আর আপনি নিজেই বোঝতে পারবেন যে কি করতে পারবেন।
শর্তাবলী দেখুন: সিটি ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন পাবেন এবং কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা দেখে নিন। এরপর “এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন।
সম্মতি প্রদান করুন: শর্তাবলী পড়ে, রাজি থাকলে সম্মতি দিন লেখায় ক্লিক করুন এবং সামনে এগিয়ে যান।
পিন নাম্বার দিন: আপনার বিকাশ পিন নাম্বার প্রদান করুন। এটি লোনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তার একটি ধাপ। পিন দেওয়ার পর ট্যাপ করে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন।
সবশেষে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং সিটি ব্যাংক থেকে লোনের অর্থ আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হবে।