আপনি কখনও ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের কথা শুনেছেন? Amp এর সাথে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর বিশেষ মিল রয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো, মোবাইল ব্রাউজারে দ্রুততম ব্রাউজিং করার অন্যতম মাধ্যম হলো, এএমপি (Accelerated Mobile Pages).
একটি ওয়েবসাইটে যদি এই Amp নামক ফিচারটি ব্যবহার করা হয়৷ তাহলে সেই ওয়েবসাইটের মোবাইল ব্যবহারকারী ভিজিটররা বেশ কিছু দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
আর যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটররা সুবিধা ভোগ করতে পারবে। ঠিক তখনি আপনি সেই ওয়েবসাইটের জন্য কাঙ্ক্ষিত একটিভ ভিজিটর পেয়ে যাবেন। যা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
কিন্তুু আপনি যদি না জানেন যে, Amp কি। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারন আজকের আর্টিকেলে আমি এই Amp বিষয়টিকে বিষদভাবে আলোচনা করবো।
এর পাশাপাশি আপনার যদি কোনো ওয়েবসাইট থাকে। এবং সেই ওয়েবসাইটে যদি Amp যুক্ত করেন। তাহলে আপনি কি কি বেনিফিট পাবেন। আর কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। সে সবগুলো বিষয় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।
তাই কোনো প্রকার স্কিপ না করে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে এই রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
Amp কাকে বলে (What is AMP in bengali)
তো চলুন এবার আমরা মূল আলোচনায় ফিরে আসি। সবার শুরুতে আমরা জানবো, Amp কি? এরপর বাকি বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
Amp এর পূর্নরুপ হলো, Accelerated Mobile Pages. যার অর্থ হলো, আপনার ওয়েবসাইটকে যদি একটি পেজ হিসেবে ধরা হয়৷ তাহলে পেজকে মোবাইল ডিভাইসের জন্য Accelerated করা।
এটি মূলত গুগল কর্তৃক তৈরি করা একটি উন্নত প্রযুক্তি। যার মূল উদ্দেশ্য হলো, যারা মোবাইল থেকে ব্রাউজিং করে। তাদের ব্রাউজিংকে কয়েক গুন দ্রুত সম্পন্ন করা।
হয়তবা বিষয়টি এখনও ক্লিয়ার বুঝতে পারেননি, তাইনা?
এবার একটু ক্লিয়ার ভাবে আলোচনা করি। তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। দেখুন আপনি যখন গুগলে কোনো কিছু সার্চ করবেন।
তখন একটা বিষয় লক্ষ্যে করতে পারবেন যে, কিছু কিছু ওয়েবসাইটে ক্লিক করার সাথে সাথেই সাইটে প্রবেশ করা যায়। এই যে আপনি ক্লিক করার সাথে সাথেই কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন। মূলত এই বিষয়টিকেই বলা হয়, Amp.
আর বিষয়টি শুধুমাত্র Mobile User দের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। তবে এরমানে এই নয় যে, ডেক্সটপ ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। হ্যাঁ! তারাও পারবে, কিন্তুু তাদের বিষয়টি একটু আলাদা।
Amp কিভাবে কাজ করে?
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, Amp মোবাইল ওয়েবের পারফমেন্সকে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করে দেয়। তবে এটা আমার কোনো নিজস্ব অভিমত নয়, এটা গুগল নিজেই এক প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে।
আর এই কথাটি বলার বেশ কিছু কারন আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারন হলো, Amp মূলত বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন, html, js, web cache সহো ভিন্ন ভিন্ন অংশের সমন্বয়ে এএমপি গঠিত হয়ে থাকে।
তো এই বিষয় গুলো একসাথে কাজ করার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট কে Amp Html ভার্সনে রুপান্তর করে দেয়। এরপরে সেই ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি লোড নেয়ার অংশ গুলোকে পুরোপুরি ভাবে Simplify করে ফেলে।
যেমন আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন প্রয়োজনে জাভাস্ক্রিপ্ট সহো অন্যান্য Third Party Script ব্যবহার করে থাকি। কিন্তুু অনেক সময় এই স্ক্রিপ্ট গুলো আমাদের ওয়েবসাইট গুলোকে লোড করতে অনেক বেশি সময় নিয়ে থাকে।
আর এই লোড নেয়া স্ক্রিপ্ট গুলোকে Simplify করাই হলো এএমপি এর মূল উদ্দেশ্য। যখন মোবাইল থেকে বড় বড় ওয়েবসাইট ভিজিট করা হয়। তখন লোডিং নিতে অনেক সময় নেয়। কিন্তুু এই Amp টেকনোলোজি এতোটাই উন্নত যে, বড় বড় ওয়েবসাইট সব গুলো লোডিং Script কে ডিজেবল করে দেয়।
যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর Loading Speed কে কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়। সাধারনত যেসব ওয়েবসাইট Amp বিহীন। সেই ওয়েবসাইট গুলোর তুলনায় এএমপি যুক্ত ওয়েবসাইট গুলোর স্পিড ২০% থেকে ৮৫% বৃদ্ধি পায়।
এর ফলে ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইট কে খুব দ্রুততার সাথে ব্রাউজ করতে পারবে। এবং এর পাশাপাশি তাদের MB খরচটা অনেক অংশে কমে যাবে।
কারন, যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের Script ব্যবহার করবেন। তখন আপনার সেই স্ক্রিপ্ট গুলো পুরোপুরি ভাবে লোড নিবে। তখন ইউজারদের প্রচুর পরিমানে মেগাবাইট এর ব্যয় করতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি ওয়েবসাইটে Amp যুক্ত করেন। তখন এই স্ক্রিপ্ট গুলো Simplify হওয়ার কারনে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করার সময় খুব বেশি মেগাবাইট এর খরচ করতে হবে না।
আর এজন্য ইউজাররা প্রধানত দুই দিক থেকে সুবিধা পাবে। প্রথমত তারা খুব দ্রুত আপনার সাইটকে ব্রাউজ করতে পারবে। এবং দ্বিতীয়ত আপনার সাইটকে ভিজিট করতে গেলে তেমন বেশি পরিমানে MB এর ব্যয় করতে হবে না।
কেন AMP ব্যবহার করবেন?
যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ফিচারটির ব্যবহার করা উচিত। যদি আপনি এই ফিচারটি ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি অনেক দিক থেকেই বেনিফিট পাবেন।
কারন, আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে, Amp নামক এই ফিচারটি শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহার কারীদের জন্য। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ” আপনি কেন শুধুমাত্র মোবাইল ইউজারদের জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করবেন”?
যদি অপনার মনেও এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তো যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের এনালিটিক্স এর দিকে তাকান।
তাহলে একটা বিষয় দেখতে পারবেন যে, আপনার ওয়েবসাইটে যেসব ভিজিটর আসে৷ তাদের মধ্যে শতকরা ৭০%-৮০% ভিজিটর ই কিন্তুু মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে।
তবে এতো বেশি মোবাইল ইউজার হওয়ার বেশ কিছু কারন আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারন সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক।
প্রথম কারনটি হলো যে, এখনও কিন্তুু বিশ্বের প্রতিটা ঘরে ঘরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ পৌঁছায়নি। যার কারনে এখনও বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলের মাধ্যমেই অনলাইনে ব্রাউজিং করে।
দ্বিতীয় কারন গুগল নিজেই একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। তারা সেই প্রতিবেদনে বলেছিলো, শুধুমাত্র ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে মানুষ মোবাইলকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়।
এছাড়া অনেক মানুষ আছে যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকার সত্বেও মোবাইল দিয়ে ব্রাউজিং করতে পছন্দ করে। তো এখন আপনি যদি এই মোবাইল ব্যবহার কারীদের টার্গেট করে আপনার ওয়েবসাইট Amp নামক এই ফিচারটি কে যুক্ত করেন।
তাহলে কিন্তুু আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য অনেক বেশি পরিমানে ভিজিটর আনতে সক্ষম হবেন।
Amp ব্যবহার করার সুবিধা কি কি?
যদি আপনি আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটে Amp ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনি শুধুমাত্র Loading Speed এর দিক থেকেই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।
বরং এগুলো ছাড়াও আপনি আরও অনেক দিক থেকে অনেক বেশি পরিমানে বেনিফিট পাবেন। তো এবার সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এবং আপনার সাইটে Amp ব্যবহারের আগে অবশ্যই এই বিষয় গুলো জেনে নিবেন।
Amp যুক্ত ওয়েবসাইট গুলোতে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো,
- Increase Loading Speed
- Mobile Friendly
- Decrease Bounch Rate
তো এবার উপরোক্ত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার একটা ধারনা নেয়া যাক।
Increase Loading Speed
কোনো ওয়েবসাইটে Amp ব্যবহার করার সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হলো আপনার সাইটের লোডিং স্পিড পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি বেশি বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি বর্তমানে Loding Speed Checker দিয়ে আপনার সাইটের স্পিড চেক করেন। তাহলে আপনার সাইটের স্পিড কমপক্ষে ৫ সেকেন্ড, ৭ সেকেন্ড অথবা ১০ সেকেন্ড হতে পারে।
কিন্তুু আপনি যদি সেই সাইটটিতে Amp কে যুক্ত করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি অনেক ইমপ্রুভমেন্ট দেখতে পারবেন। সচারচর আমরা আমাদের শখের ওয়েবসাইট কে আর্কষনীয় করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ডিজাইন করে থাকি।
আর এই আর্কষনীয় ডিজাইনের জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের Script ব্যবহার করতে হয়। এখন আপনি জানলে অবাক হবেন, কারন আপনার সাইটে থাকা এই স্ক্রিপ্ট গুলো লোডিং স্পিড কে অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়।
যার ফলে ভিজিটররা যখন আপনার সাইটে আসবে, তখন তাদেরকে অনেক বেশি সময় পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। আর এই কারনে কিন্তুু অনেক ভিজিটর আপনার সাইটে আসার সাথে সাথেই চলে যায়। যা আপনার এসইও তে বেশ নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে।
কিন্তুু আপনি যদি অন্যদের মতো সাইটে Amp কে যুক্ত করেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে আর এই ঝামেলা পোহাতে হবে না। কারন Amp ব্যবহারে আপনার সাইটে যুক্ত করা যেসব স্ক্রিপ্ট আছে।
সেই স্ক্রিপ্ট গুলোকে পুরোপুরি ভাবে Simplify করে দেয়। আর এ Simplify করার কারনে আপনার সাইটে লোডিং টাইম নেয়ার স্ক্রিপ্ট গুলো ডিজেবল হয়ে পড়ে। যার ফলে আপনার সাইটের লোডিং স্পিড পূর্বের তুলনায় কয়েক গুন বৃদ্ধি পায়।
Mobile Friendly
কোনো একটি ওয়েবসাইট কে মোবাইল ফেন্ডলি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দেখুন যেহুতু আপনি এই সেক্টরে যুক্ত আছেন, সেহুতু আপনার SEO সম্পর্কেও বেশ ধারনা আছে।
আর এসইও করার মাধ্যমে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট কে টপ পজিশনে নিয়ে আসতে চান। তাহলে, অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট কে একটি Mobile Friendly তে পরিনত করতে হবে।
[NOTE: গুগল তাদের এলগরিদমে যতো প্রকার Update নিয়ে এসেছে। সেই সব গুলো আপডেটে মোবাইল ফেন্ডলি এর কথা উল্লেখ করা আছে। ]
এছাড়াও যে ওয়েবসাইট গুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি। সেই সাইটক গুলোকে Search Ranking এ গুগল একটু বেশি প্রাধান্য দেয়।
এর প্রধান কারন হলো, বর্তমানে এখনও তুলনামুলক ভাবে মোবাইল ইউজার এর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে এখনও সবার হাতে হাতে কম্পিউটার পৌঁছায়নি। তাছাড়া মোবাইল হলো একটা ছোট্ট ডিভাইস।
যার ফলে এই ডিভাইসটিকে মানুষ সবসময়ই কাছে রাখে।
এজন্য যখনি কোনো কিছু জানার চেস্টা করে৷ তখনি মানুষ তার মোবাইল থেকেই বেশিরভাগ সময় Browsing করে থাকে। আর এজন্যই গুগল এই Mobile User দেয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
যেহুতু গুগল তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে, তাহলে আপনি কেন দিবেন না? আর এই গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারটাকে তুলনামূলক অনেক সহজেই সমাধান করতে পারবেন যদি আপনি আপনার সাইটে Amp নামক ফিচারটি কে ব্যবহার করেন।
Decrease Bounce Rate
যখন আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেটের পরিমান বেশি থাকবে। তখন কিন্তুু আপনার সাইটের যে Ranking থাকবে। সেটি ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকবে। যা আপনার এসইও করার ক্ষেত্রে বেশ নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ” এই Bounch Rate আসলে কি “?
তাহলে শুনুন, যখন কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। এবং আসার পর পরেই কয়েক সেকেন্ড পরেই সে পুনরায় আপনার সাইট থেকে বের হয়ে যাবে।
মূলত এই যে ক্ষনিক সময়ের জন্য আসা এবং ক্ষনিক সময়ের মধ্যে চলে যাওয়ার বিষয়টিকেই বলা হয় বাউন্স রেট।
এখন একটা সাধারন বিষয় চিন্তা করে দেখুন। আপনি একটা ওয়েবসাইট কোনো তথ্য জানার জন্য প্রবেশ করলেন। কিন্তুু প্রবেশ করার পর লক্ষ্য করলেন যে সেই সাইটে লোড নিতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।
অপরদিকে আপনাকে খুব দ্রুত সেই তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে। এখন আপনি কি সেই ওয়েবসাইটের লোডিং নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। নাকি সেই ওয়েবসাইট থেকে অন্য কোনো সাইটে চলে যাবেন?
অবশ্যই অন্য সাইটে চলে যাবেন, তাইনা? তো এটাও কিন্তুু এক প্রকারের বাউন্স রেট। আর যখন আপনার ওয়েবসাইটের এই বাউন্স রেটের পরিমান অনেক বেশি হবে।
তখন গুগল মনে করবে, আপনার ওয়েবসাইটে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নেই। যার কারনে ভিজিটররা আসামাত্রই চলে যাচ্ছে।
আর যখন গুগলের কাছে এমন সিগন্যাল যাবে। তখন কিন্তুু গুগল আপনার ওয়েবসাইটের Ranking কে তুলনামূলক ভাবে পেছনে ফেলে দিবে। যা আপনার জন্য কখনই সুফল বয়ে আনবে না।
কিন্তুু এই Bounch Rate কে কমিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম হলো, সাইটে Amp যুক্ত করা।
Amp ব্যবহারে অসুবিধা কি কি?
আপনি এতোক্ষনে এএমপি রিলেটেড যাবতীয় সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারলেন। এবার আপনি এই রিলেটেড কিছু অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- প্রথম যেহুতু Amp আপনার ওয়েবসাইট এর সকল প্রকার জাভাস্ক্রিপ্ট কে ডিজেবল করে দিবে। সেহুতু আপনি পূর্বে যেসব ডিজাইন করা থাকবে৷ সেই ডিজাইন গুলো আর প্রদর্শিত হবে না।
- আবার আপনি যদি সাইটে Google Adsense নিয়ে কাজ করে থাকেন।
- তাহলে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হওয়ার কারনে অনেক সময় Adsense Ad শো করে না। আর ভিজিটরকে যদি বিজ্ঞাপন দেখাতে না পারেন।
- তাহলে আপনার ইনকাম ও তুলনামূলক কম হবে।
- Amp কিন্তুু আপনার ওয়েবসাইটের যেসব কন্টেন্ট বা পেজের ডুপ্লিকেট তৈরি করে ৷
- আপনি যদি সেই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল না রাখেন৷ তাহলে আপনার নানা প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আপাততো এই দুই ধরনের অসুবিধা দেখতে পারবেন। তবে এগুলো তেমন কোনো সমস্যা কবে না বলে আমার কাছে মনে হয়।
কিভাবে Amp ইনষ্টল করবেন?
আমরা জানি যে, ওয়ার্ডপ্রেস হলো সবথেকে জনপ্রিয় একটি ব্লগিং প্লাটফর্ম। আর সে কারনে আজকের দিনে বেশিরভাগ ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলো ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে।
তাই এবার আমরা জানবো যে, কিভাবে আপনি আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটে Amp ইন্সটল করবেন। তো আপনি যদি নিচের স্টেপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরন করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে Amp install করতে পারবেন।
- Step- 1: সবার আগে আপনাকে Amp Plugin টি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর সেই প্লাগইনকে ইনস্টল করতে হবে।
- Step- 2: এরপর আপনি কিছু সেটিং দেখতে পারবেন। তো সবার আগে আপনি General Setting নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের Logo Upload করতে পারবেন।
- Step- 3: আপনি ওয়েবসাইটের যেসব user experience কে সাজিয়ে নিতে চান। আপনাকে সেভাবে সাজিয়ে নিতে হবে৷ যেমন আপনি মোবাইল পেজের জন্য আলাদা আলাদা কালার সিলেক্ট করতে পারবেন। অন্যভাবে Footer Cradit সেট করে দিতে পারবেন।
- Step- 4: Notification মেনু নামক যে অপশনটি দেখতে পারবেন৷ সেখানে আপনি কোন কোন ধরনের নোটিফিকেশন পেতে চান। তা আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে৷
- Step- 5: সবশেষে আপনি আপনার চাহিদা মতো সাজিয়ে নিতে পারবেন। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী গুগল এডসেন্সের Ad কর বসিয়ে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের Amp আমাদের শেষকথা
আশা করা যায়, Amp রিলেটেড যাবতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এরপরও যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
এছাড়াও অনলাইন ইনকাম এবং ব্লগিং নিয়ে আরো অনেক আর্টিকেল আমার ওয়েবসাইটে আছে। আপনি চাইলে সেই আর্টিকেল গুলা পড়ে অনেক ধারনা পাবেন।
আমাদের ইনফো পোর্টাল বিডি ব্লগের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ