গুগল বর্তমানে আমাদের জীবনে অনবদ্য হয়ে পড়েছে। কোনো অজানা বিষয়কে জানার জন্য গুগল এর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে যতো মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তার প্রায় এক তৃতীয়াংশই Google এর দখলে ৷
সেদিক থেকে বিবেচনা করলে, অনলাইন জগতে গুগল সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত কোম্পানি। অপরদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় Advertising Network হলো গুগল।
যার আওতায় কাজ করে লক্ষ লক্ষ পাবলিশার। সততা ও জনপ্রিয়তার খাতিরে গুগল আজ এমন অবস্থানে এসেছে। যার সাথে কেউ প্রতিযোগীতা করতে চাইলে তাকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়।
হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি কথা বলবো অনলাইন জগতের টেক জায়েন্ট কোম্পানি গুগল সম্পর্কে। যদি আপনার গুগল সম্পর্কে জানার ইন্টারেস্ট থাকে। যেমন – গুগল কি, গুগল কেন এত জনপ্রিয় এই রকম নানান তথ্য জানতে পারবেন।
তাহলে হাতে কিছু সময় নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি গুগল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
গুগল কি (What is google in bengali)
গুগল একটি সার্চ ইঞ্জিন, যেখানে আপনার কোনো প্রশ্ন লিখে দিলেই তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। সেদিক থেকে গুগলকে একটি তথ্যভান্ডার ও বলা যেতে পারে।
তাহলে গুগল কি শুধুই সার্চ ইঞ্জিন? – না, সার্চ ইন্জিনের পাশাপাশি গুগলের অফলাইন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। যেখানে কাজ করে লক্ষ লক্ষ প্রোগ্রামার। যে প্রতিষ্ঠান থেকে হাজারো রকমের প্রোডাক্ট রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো Google Map ,Gmail,Google play store, Pixel, YouTube সহো গুগলের অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে।
তবে বর্তমানে গুগল এর হাজারো প্রডাক্ট থাকলেও, এর সূচনা হয়েছিলো মূলত সার্চ ইন্জিন থেকেই। এছাড়াও মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজতর করার জন্য গুগল সর্বদাই কাজ করে চলছে।
গুগল এর অর্থ কি?
সত্যি বলতে গুগল কি এই শব্দটির অফিশিয়ালি কোনো অর্থ নেই। যেমন কোনো কোম্পানির নামের পেছনে কিছু অর্থ বহন করে। অপরদিকে গুগল শব্দটি সেরকম কোনো অর্থের ইঙ্গিত প্রকাশন করেনা। তবে Google এর পূর্নরুপ হলো, Global Organisation of Oriented Group Language of Earth.
সাধারনত Google নামটির উৎপত্তি হয়েছে Googol শব্দ থেকে। তবে অর্থগত দিক থেকে Googol শব্দটি কোনো অর্থ বহন না করলেও, গানিতিক দিক থেকে Googol শব্দের কিছু অর্থ প্রকাশ করে।
যখন আপনি গুগলে কোনো কিছু সার্চ করবেন ৷ তখন নিচের দিকে একটু স্ক্রল করলে দেখতে পারবেন গুগল এর লোগোতে G এর পরে অনেক গুলো O রয়েছে। আপনার কাছে এই বিষয়টা সাধারন মনে হলেও, এটি মোটেও সাধারণ বিষয় নয়।
G এর পরে অনেক গুলো O থাকার মুল কারন হলো। যখন কেউ কোনো বিষয়ে গুগল এ সার্চ করে। তখন সার্চ করা সেই ব্যক্তি যেন সঠিক তথ্য পায় ৷ সেজন্য গুগল বৃহৎ আকারে সেই ব্যক্তিকে সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করে ৷
এই O আসলে নির্দেশ করে যে, আপনার সার্চ করা বিষয় সম্পর্কে আরও ভিন্ন ভিন্ন তথ্য গুগলের পরবর্তী পেজেও রযেছে। এবং পরবর্তী পেজে গেলে আপনি আপনার সার্চ করা বিষয় রিলেটেড সেই তথ্য গুলোই পাবেন।
গুগল এর ইতিহাস
পৃথিবীতে সব কিছুর জন্মের পেছনে কিছু ইতিহাস থাকে। ঠিক তেমনি গুগলের উৎপত্তির পেছনেও বিরাট ইতিহাস রয়েছে। আজকের দিনে আমরা গুগলকে যেমনটি দেখছি। আজ থেকে ১০ বছর আগে গুগল তেমন ছিলো না।
খুব সাদামাটা একটি সার্চ ইন্জিন নিয়েই সূচনা হয়েছিলো গুগলের ৷ বর্তমানে যেমন গুগলে কোনো কিছু সার্চ করলে সাথে সাথেই যেকোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। কয়েকবছর আগের ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যাবে, সেই সময়ে গুগলে এতো তথ্যই জমা ছিলো না।
চলুন এবার গুগলের প্রাম্ভরিক জানা-অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। মানে গুগলের ইতিহাস সমূহ নিয়ে সকল কথা।
কিভাবে গুগল এর উৎপত্তি হয়েছে?
Stanford University যা ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত। এই ইউনিভার্সিটিতে Larry Page এবং Sergey Brin নামে দুজন শিক্ষার্থী ছিলো।
যারা মূলত PhD (পিএইচডি) তে অধ্যায়নরত ছিলো। ঠিক এই সময়ে Larry page এবং Sergey Brin নামের এই দুই শিক্ষার্থী একটি সার্চ ইন্জিন তৈরি করার কথা চিন্তা করে।
এরপর এই দুই শিক্ষার্থী মিলে একটা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেন। যার নাম দেয়া হয় BackRub. আপনি জানলে অবাক হবেন, শুরুর দিকে Backrub ছিলো একটি প্রজেক্ট। যা শুধু রিসার্চ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিলো।
সেই সময়ে Backrub এর কোনো নিজস্ব ডোমেইনও ছিলোনা। তাই এই সার্চ ইঞ্জিনের জন্য স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধীনে ব্যবহার করা হতো। যার ঠিকানা ছিলো, google.stanford.edu এবং z.stanford.edu.
পরবর্তীতে সেই Backrub সার্চ ইঞ্জিনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Googol. কিন্তু এই নামের বানান এর মধ্যে কিছু ভুল ছিলো। আসলে Googol শব্দের অর্থ হলো, একটি সংখ্যার পেছনে ১০০শ টি শূন্য। যা বিশাল কোনো তথ্য প্রদানের ইঙ্গিত প্রদান করে থাকে।
তবে এই ভুল বানান বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৯৭ সালে ১৫ ই সেপ্টেম্বর নতুন ডোমেইন (www.google.com) কিনে পুনরায় নামকরন করা হয় Google.
শুরুর দিকে গুগলের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অফিস ছিলোনা। তাই গুগলকে পরিচালনা করার জন্য তাদের একটি বন্ধুর গ্যারেজকে ব্যবহার করা হয়েছিলো। সেই বন্ধুর নাম ছিলো সুজান ওজচিচকি।
গুগলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের মে মাসে গুগলের নতুন ভিজিটর ছিলো এক বিলিয়নেরও বেশি। যা ছিলো রিতীমত অবাক হওয়ার মতো। এছাড়াও ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই বছরে গুগলের বাৎসরিক আয় ছিলো ৫০ বিলিয়ন এরও বেশি।
ভেবে দেখেছেন, শুরু থেকেই গুগল কি পরিমান ইনকাম করতে পেরেছে। তবে গুগল একটি প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছিলো ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। যার মূল প্রতিষ্ঠতা ছিলো ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন।
এরপর সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানকে যুগোপযোগী করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিজের কোম্পানির বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্টকে কিনে নিয়েছে গুগল। সততার সাথে বিজ্ঞাপন প্রচার করে নিজের অবস্থানকেও সুদৃঢ় করতে পেরেছে।
গুগল এর উদ্দেশ্য কি?
দেখুন কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে কিছু না কিছু উদ্দেশ্য থাকে। তেমনি গুগল এরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। তবে গুগলের মূল উদ্দেশ্য হলো ২ টি। মূলত এই দুইটি উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য গুগল সর্বদাই কাজ করে থাকে। যথাঃ
- ব্যবহারকারী বৃদ্ধি করা এবং
- বিজ্ঞাপন প্রচার করা।
আমি আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছিলাম, গুগলের যতো গুলো ব্যবহারকারী রয়েছে। পৃথিবীর কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এতো বেশি ব্যবহারকারী নেই। আর এটি নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষন করতে পারবেন না।
তবে কথা সেটি নয়, মূল কথা হলো গুগল কেন এই দুটি উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দিয়েছে? – এই প্রশ্নের উওর হলো, ব্যবহারকারী এবং বিজ্ঞাপন এই দুটোই হলো অনলাইনে বিজনেস করার মূল হাতিয়ার ৷
আর গুগল এই হাতিয়ারকে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে। শুরু থেকেই গুগলের টার্গেট ছিলো, তাদের তৈরি করা সার্চ ইন্জিনের অনুসারী বৃদ্ধি করা। আর এই কাজটি খুব সহজেই করতে পেরেছে তাদের সার্চ ইঞ্জিনের বদৌলতে।
বিষয়টা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন। গুগল প্রতিষ্ঠতা তাদের সার্চ ইঞ্জিনকে এমনভাবে প্রস্তুুত করেছেন। যেন কেউ কোনো কিছু সার্চ করলে যেন ১০০% সঠিক তথ্য পেয়ে যায়। আর এজন্যই তারা তাদের Search Engine Algorithm কে প্রতিনিয়ত আপডেট করে থাকেন।
আর এর ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর সংখ্যাটাও ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, বর্তমানে গুগল ছাড়াও আরও অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। কিন্তুু অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যদি গুগলের তুলনা করি।
তাহলে গুগলের ধারের কাছেও কেউ আসতে পারবে না। এর কারন কি জানেন? – এর মূল কারন হলো, গুগলে আপনি যে বিষয়ে জানতে চাইবেন। গুগলও আপনাকে Exactly সেই তথ্য গুলোই প্রদান করবে।
মূলত এই কারনেই গুগলের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, গুগল কেন এতো ব্যবহারকারী বৃদ্ধি করছে?
এর উওর হলো, ইনকাম করার জন্য, যা সবার ক্ষেএেই হয়। সবাই চায় যেন কোনো কিছু করার মাধ্যমে ইনকাম জেনারেট করা যায়, যেমনটা গুগলও করেছে।
তবে এখানে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, গুগল কিভাবে ইনকাম করে। কারন আপনি এতোক্ষনে জানলেন গুগল একটি সার্চ ইন্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিন থেকে আবার ইনকাম কিভাবে হবে। তো চলুন এবার এই বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
গুগল কিভাবে ইনকাম করে?
যদি আপনি গুগলের উদ্দেশ্যটি বুঝে থাকেন। তাহলে গুগল কিভাবে ইনকাম করে। সেটিও খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। দেখুন গুগলের প্রথম টার্গেট হলো অডিয়্যান্স জেনারেট করা।
গুগল যখন এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পেরেছে। তখন গুগলের ইনকাম করার পথও প্রসারিত হয়েছে। গুগলের ইনকাম করার প্রধান উৎস হলো, বিজ্ঞাপন প্রচার করা। তারা মূলত Advertising এর মাধ্যমেই ইনকাম করে থাকে। চলুন বিষয়টি একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করি।
দেখুন, গুগলের মেইন হাতিয়ার হলো অডিয়্যান্স। আর কোনো কোম্পানি বা প্রডাক্টের প্রসারের জন্য প্রচারের কোনো বিকল্প নেই। তাই বড় বড় কোম্পানিরা তাদের পন্যের প্রসারের জন্য একমাএ উপায় হিসেবে গুগলকেই বেছে নেয়।
কারন, গুগলের Advertising Algorithm এতোটাই আপডেট। যা আপনার পন্যের বিজ্ঞাপন একবারে সঠিক অডিয়্যান্সের কাছেই প্রচার করতে পারে।এর বাস্তব উদাহরণ হলো, Google Analytics. এটি হলো এমন এক ধরনের সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর সম্পর্কে যাবতীয় খুটিনাটি জানা যায়।
যেমন ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর কোন সোর্স থেকে এসেছে, তার বয়স কত,সে কোন কোন বিষয়ে আগ্রহী ইত্যাদি বিষয়গুলো গুগল এনালিটিক্সের মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারা যায়।
আর এর ফলে গুগল কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন একেবারে সঠিক ব্যক্তির কাছে প্রচার করতে পারে। আর বিজ্ঞাপন প্রচার করে গুগল ও প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারে।
গুগল কত টাকা ইনকাম করে?
আপনারা এতোক্ষনে জেনে গেছেন যে, গুগলের ৯৯% ইনকাম আসবে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে। ২০০৬ সালে গুগলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাএ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে গুগল ১১২ মিলিয়ন ডলার ইনকাম করেছিলো।
এছাড়াও আপনি জানলে অবাক হবেন, গুগল প্রতি সেকেন্ডে $২৩৭৮.২৩ (Dollar) আয় করে থাকে।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? সত্যি বলতে আমি এই আর্টিকেলটি লেখার সময়, যখন এইসব তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। তখন আমিও আপনার মতোই অবাক হয়েছিলাম।
২০১৩ সালের গুগলের আয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বছরে গুগলের আয় ছিলো ১৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার। যা আগের ইনকামের তুলনায় প্রায় ১২% বেশি। যা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
অপরদিকে ২০১৪ সালের গুগলের আয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের সেই বছরে ইনকাম ছিলো ১০৭.০৬ বিলিয়ন ডলার।গুগলের এই আয়ের দিক থেকে বর্হিবিশ্বের কোনো অনলাইন কোম্পানি গুগলের ধারের কাছেও যাওয়া সম্ভব নয়।
Google এর কি কি প্রডাক্ট রয়েছে?
আজকের দিনে গুগল যতোটা স্বয়ংসম্পূর্ণ, আজ থেকে ১০ বছর আগে তেমনটা ছিলোনা। গুগলের প্রতিষ্ঠতা সর্বদাই তাদের কোম্পানিকে প্রসারিত করার প্রচেস্টা করেছে।
সেজন্য তাদের যেসব অনুসারী রয়েছে, তাদেরকে ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবন করেই চলেছে। মানব কল্যানের কাজে আসবে, এমন সব প্রডাক্ট গুলোকেও নিজের দখলে করে নিয়েছে।
এবার আপনি সেইসব অত্যাধুনিক প্রডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেগুলো গুগল মানব কল্যানের জন্য উদ্ভাবন করেছে। গুগল এর যতোগুলো প্রডাক্ট রয়েছে। সেই সবগুলো প্রডাক্টকে ৩ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমনঃ
- For Everyone
- For Business
- For Developers
গুগল প্রডাক্টের মধ্যে কিছু প্রডাক্ট আছে, যেগুলো সর্ব সাধারনের জন্য উন্মুক্ত। আবার কিছু কিছু প্রডাক্ট আছে যে গুগল ব্যবসা করার জন্য তৈরি করেছে।
এবং সর্বশেষ কিছু প্রডাক্ট তাদের কোম্পানির ডেভলোপ করার জন্য তৈরি করেছে। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি গুগলের সবগুলো প্রডাক্ট সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জানতে পারবেন।
Google Product For Everyone
গুগল আমাদের জন্য এমন কিছু প্রডাক্ট তৈরি করেছে। যা আপনার আমার মতো সব ধরনের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। অর্থ্যাৎ এগুলো আমজনতার জন্য উন্মুক্ত। এখন সেরকম কিছু প্রডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
Gmail
বর্তমানে আমরা সবাই কমবেশি কোনো File বা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য জিমেইল ব্যবহার করে থাকি। যা সম্পূর্ন বিনামূল্যে Webmail এর সুবিধা দিয়ে থাকে। এই জিমেইলের সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ২০০৪ সালে।
এরপর ২০০৭ সালে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিলো। আপনি জানলে অবাক হবেন,বিশ্বের প্রায় ১০৫ টি ভাষাতে জিমেইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Google Translate
এটি হলো এক প্রকার অনুবাদক সফটওয়্যার। যেখানে আপনি কোনো একটি ভাষার Text কে আপনার প্রয়োজনীয় ভাষাতে অনুবাদ করতে পারবেন।
এই অনুবাদক বিশ্বের ১০৯ টি ভাষাকে অনুবাদ করতে সক্ষম। অবাক করা বিষয় হলো, দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন এরও বেশি মানুষ Google Translate ব্যবহার করে থাকে।
Google Map
এটি হলো একটি ওয়েব ভিওিক মানচিএ। যেখানে আপনি বিশ্বের যেকোনো স্থানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে কতটা সময় লাগবে। এইসব বিষয়গুলো আগে জানতে পারবেন।
Google Play Store
গুগলের এই প্রডাক্টটি সেইসব মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। যাদের হাতে Android mobile আছে। আমরা মোবাইল ব্যবহার করতে গেলে বিভিন্ন Apps এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এইসব Apps গুলো আপনি প্লে স্টোর থেকে মাএ এক ক্লিকে ডাউনলোড করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, Google play store এ আপনি যে এপস পাবেন। সেগুলো সম্পূর্ণ ভাইরাস ফ্রী।
YouTube
ইউটিউব হলো মার্কিন অনলাইন ভিওিক একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। যার প্রতিষ্ঠতা ছিলো, চড হারলি, স্টিভ চেন, এবং বাংলাদেশি বংশধর জাওয়েদ করিম।ইউটিউব এর যাএা শুরু হয়েছিলো ২০০৫ সালে। এরপর ১.৬৫ মার্কিন ডলারে ২০০৮ সালে YouTube কে কিনে নিয়েছিলো গুগল।
Google Photos
এর মূল কাজ হলো,আপনার প্রয়োজনীয় photo কে শেয়ার করা এবং জমা করে রাখার একটি সফটওয়্যার। এর শুরু হয়েছিলো ২০১৫ সালে।
শুরুর দিকে Google Photos এ ব্যবহারকারীর জন্য আনলিমিটেড Storage প্রদান করেছিলো। কিন্তুু ২০২১ সালের নতুন আপডেটে তা লিমিটেড করা হয়।
Snapseed
এটি হলো গুগল কর্তৃক একটি ফটো এডিটিং এপস। যেটি Android ও IOS এ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত কোনো ফটোকে আর্কষনীয় Filter প্রদান করতে এই এপসটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ২০১১ সালে Snapseed App টি সর্বসাধারনের জন্য পাবলিশ করা হয়েছিলো।
Chrome Browser
গুগল ক্রম একটি অসাধারণ ওয়েব ব্রাউজার। যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো ওয়েবসাইটকে ভিজিট করতে পারবেন। এই ব্রাউজারকে প্রত্যক্ষভাবে Devlop করে গুগল নিজেই। এই Browser টি সর্বপ্রথম পাবলিশ করা হয়েছিলো ২০০৮ সালে।
Google Drive
গুগল ড্রাইভ হলো একটি ভার্চুয়াল মেমোরি। যেখানে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য জমা করে রাখতে পারবেন। যেমন, Audio,Video, Photo, Application ইত্যাদি।
এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিলো ২০১২ সালে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আপনার প্রতিটা Gmail Account থেকে সর্বোচ্চ 15GB করে ভার্চুয়াল মেমোরি পেয়ে যাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
Google Earth
গুগল আর্থ কিছুটা Google Map এর মতোই। তবে Google Earth এ আপনি পৃথিবীর যেকোনো স্থানের বর্তমান পরিস্থিতি জানার পাশাপাশি, সেই স্থানকে 3D Image এও দেখতে পারবেন। যা সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত।
Find My Device
কখনও যদি আপনার শখের Android ফোনটি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায়। তাহলে আপনার ফোনটির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দিবে Google Find My Device.
এটি মূলত আপনার ফোনকে রিমোটলি ট্রাক করবে। তবে তার আগে আপনার ফোনে আপনার পারসোনাল Gmail Account দিয়ে লগ ইন করা থাকতে হবে। এবং সেই জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের, বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
Google Classroom
করোনা চলাকালীন সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে Google Classroom. করোনার সময় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও।শিক্ষার্থীরা এই এপসটির সাহায্য অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পেরেছে। আর এই এপসটির মূল কাজ হলো, অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করা।
All Google Products For Everyone
তো আমরা গুগলের যেসব প্রডাক্ট নিয়মিত ব্যবহার করি। সেগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক প্রডাক্ট রয়েছে। যে প্রডাক্ট গুলো Google সর্ব সাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। যেমন,
- Android Auto
- Android TV
- Android OS
- Calendar
- Cardboard
- Chrome Enterprise
- Chromebook
- Chromecast
- Connected Home
- Contacts
- Digital Wellbeing
- Docs
- Finance
- Forms
- Gboard
- Google Alerts
- Google Arts & Culture
- Google Assistant
- Google Authenticator
- Google Chat
- Google Duo
- Google Expeditions
- Google Family Link
- Google Fi
- Google Files
- Google Fit
- Google Flights
- Google Fonts
- Google Groups
- Google Home App
- Google Input Tools
- Google Lens
- Google Meet
- Google One
- Google Pay
- Google Play Books
- YouTube Kids
- YouTube Music
- YouTube TV
- YouTube VR
এবার আপনি এমন কিছু প্রডাক্ট সম্পদ জানতে পারবেন। যেগুলো গুগল তাদের বিজনেস কে দৃঢ় করার জন্য তৈরি করেছে৷ তো এবার সেই প্রডাক্ট গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
Google Product For Business
গুগল সর্ব সাধারণের পাশাপাশি এমন কিছু প্রডাক্ট তৈরি করেছে। যে প্রডাক্ট গুলোর মাধ্যমে তারা ব্যবসা করতে পারে। এখানে ব্যবসা শব্দটি ব্যবহার এজন্যই করছি যে, গুগল যেন ইনকাম করতে পারে। সেরকম কিছু প্রডাক্ট তারা তৈরি করেছে। যেমন,
Google AdSense
গুগল এডসেন্স নিয়ে আমার ওয়েবসাইটে বেশ কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে। আপনি চাইলে সেই আর্টিকেল গুলো পড়ে AdSense সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স হলো একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট, যার মাধ্যমে পাবলিশার এবং বিজ্ঞাপনদাতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। যদি আপনার কোনো YouTube Channel অথবা আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন৷
Google AdMob
গুগল এডসেন্স এবং গুগল এডমোব কিছুটা একই রকমের। এই দুটো পদ্ধতিতে আপনি গুগল থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো একটু ভিন্ন।
Google AdSense থেকে যেমন আপনি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অপরদিকে Google AdMob থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার নিজের তৈরি এক বা একাধিক Android Apps থাকতে হবে।
Blogger
যদি আপনার লেখালেখি করার প্রতি আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনার জন্য গুগল ব্লগার উপযুক্ত একটি মাধ্যমে হতে পারে।Blogger এর মাধ্যমে আপনি মাএ কয়েক মিনিটেই আপনি একটা ব্লগ সাইট/ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই ব্লগ/ওয়েবসাইট কে মনিটাইজ করে বিপুল পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Analytics
আমার দেখা গুগলের অন্যান্য প্রডাক্টের চেয়ে, Google Analytics সবচেয়ে অবাক করেছে। যদি আপনার ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে এটি হবে সবচেয়ে উপকারী একটি প্রডাক্ট ৷
এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেমন, সেই ভিজিটর কোথা থেকে আসছে, তার বয়স কত, সে পুরুষ নাকি মহিলা, তার কোন কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বেশি ইত্যাদি।
Search Console
কখনও ভেবে দেখেছেন, আমরা যখন গুগলে কোনো কিছু সার্চ করি। তখন গুগল যে তথ্য গুলো দেয় ৷ সেই তথ্য গুলো গুগল কোথা থেকে সংগ্রহ করে।
তাহলে শুনুন, গুগল এই তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে। আর এই ওয়েবসাইট গুলোতে যেসব তথ্য Published করা হয়। সেগুলো সর্বপ্রথম Search Console এর মাধ্যমে গুগল তাদের নিজস্ব Data Center এ জমা করে রাখে। এবং পরবর্তীতে এই জমা তথ্য গুলোই আমরা দেখতে পাই।
Google Ads
এটি গুগলের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে কোনো বিজ্ঞাপনদাতা এবং গুগলের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
যদি আপনি আপনার কোনো পন্যের প্রচার করতে চান৷ তাহলে আপনি Google Ads এর মাধ্যমে গুগলকে টাকা প্রদান করবেন ৷ এরপর গুগল আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্সকে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখাবে।
এগুলো ছাড়াও আরও অনেক প্রডাক্ট রয়েছে। যা গুগল তাদের বিজনেসকে দৃঢ় করার লক্ষ্যে তৈরি করেছে। চলুন এবার সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
All Google Product For Business
এমন অনেক প্রডাক্ট রয়েছে যেগুলো Google বিজনেস করার জন্য তৈরি করেছে। যেমন,
- Android
- Business Messages
- Chrome Enterprise
- Chrome Remote Desktop
- Data Studio
- Google Assistant
- Google Cloud
- Google Digital Garage
- Google Domains
- Google Manufacturer Center
- Google Maps Platform
- Google Marketing Platform
- Google Meet
- Google Merchant Center
- Google My Business
- Google Podcasts Manager
- Google Trends
- Google Web Designer
- Optimize
- Pixel for Business
- Waze Local
- Tag Manager
এবার আমরা জানবো, গুগলের এমন কিছু প্রডাক্ট সম্পর্কে। যেগুলো শুধুমাএ গুগলের ডেভলপারদের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
All Google Product For Developers
যেহুতু এই প্রডাক্ট গুলো শুধুমাএ ডেভলোপারদের জন্য। তাই এগুলো সম্পর্কে আমাদের তেমন বিস্তারিত না জানলেও চলবে ৷ তো ডেভলোপারদের জন্য ব্যবহৃত হয়, এমন কিছু প্রডাক্টের নাম হলো,
- Web
- TensorFlow
- Interactive Media Ads
- Search
- Google Pay
- Firebase
- Analytics
আশা করি এই স্বল্প আলোচনা থেকে গুগলের সব ধরনের প্রডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এবার আমরা জানবো যে, Google এর CEO সম্পর্কে।
গুগল এর CEO কে?
এই আর্টিকেলটি আমি লিখছি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। এই সময়ে গুগলের CEO হিসেবে নিযুক্ত আছে, ভারতের চেন্নাইতে জন্ম নেয়া একজন ব্যক্তি। যার নাম সুন্দর পিচাই, পুরো নাম হলো পিচাই সুন্দারারাজান।
পিচাই ভারতের একটা মধ্যবিও পরিবারে ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি উপাদান বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এর উপর এমএস করেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তিনি গুগলে যোগদান করেন ২০০৪ সালে ৷
গুগলের যখন টেক জগতে ভরাডুবি চলছিলো। ঠিক সেই সময়ে গুগলকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে পিচাই সুন্দারারাজান। তিনি একের পর এক নতুন প্রডাক্ট যুক্ত করে গুগলের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছৃ প্রডাক্ট হলো,
- Android
- Gmail
- Google Map
- Chrome book
সহো অনেক প্রডাক্টের সূচনা হয় তার হাত ধরেই। এছাড়াও তিনি Google Drive, Chrome নিয়ে কাজ করেছেন।
পিচাইয়ের এই অভাবনীয় উদ্ভাবন দেখে ২০১৪ সালে Microsoft এর CEO হওয়ার প্রস্তাব করেছিলো ৷ কিন্তু তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর ২০১৫ সালে পিচাইকে গুগল এর পরবর্তী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
গুগল নিয়ে কিছু মজার তথ্য
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল সম্পর্কে তো অনেক কিছু জানলেন। এবার গুগল সম্পর্কে বেশ কিছু মজার তথ্য সম্পর্কে জেনে নিন।
- পৃথিবীর যতো মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তার প্রায় ৯৯% মানুষ একবার হলেও গুগলের সার্চ ইন্জিন ব্যবহার করেছেন।
- কোনো স্বরণীয় দিবস বা ঘটনার দিনে গুগল এর হোমপেজে তার Photo দেখা যায় ৷ যাকে বলা হয় গুগল ডুডল ৷
- গুগলের হেডকোয়ার্টার এর নাম ‘গুগলপ্লেক্স’। যেটি ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত।
- গুগল এর মেইন অফিসটি অনেক বড় আকারের। আর এই অফিসের ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সবুজ ঘাস ৷ এই ঘাস কাটার জন্য কোনো ধরনের মেশিন ব্যবহার করা হয়না। বরং বাইরে থেকে সেই ঘাসকে খাওয়ার জন্য ছাগল ভাড়া করে আনা হয়।
- ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল জিমেইলকে অফিশিয়ালি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তুু সবাই ভেবেছিলো এটা মনে হয় রসিকতা।
- সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, গুগলের জন্মদিন রয়েছে ৬টি ৷ কিন্তুু গুগল পরবর্তীতে সিন্ধান্ত নেয় শুধুমাএ ২৭ সেপ্টেম্বর কে তারা চুড়ান্ত জন্মদিন হিসেবে উৎযাপন করবে।
- গুগলের অফিসে যারা কাজ করে৷ তারা চাইলে তাদের সাথে কুকুরকে নিয়েও অফিসে যেতে পারবে।
- গুগল একটি সার্চ ইন্জিন হলেও, এটি আরও ৭০+ কোম্পানিকে কিনে নিজের দখলে করে নিয়েছে।
- ১৯৯৯ সালে গুগলকে ১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করতে চেয়েছিলো। কিন্তুু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই সময়ে গুগলকে কিনে নেয়ার মতো কেউ ছিলো না।
আমাদের শেষকথা
বন্ধুরা, আশা করি এই স্বল্প আলোচনা থেকে গুগল কি ? গুগল কেন এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং গুগলের ইতিহাস সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে গেছেন।
এরপরও যদি আপনার কোথায় বুঝতে অসুবিধা হয়। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি যথাসাধ্য চেস্টা করবো, আপনাদের হেল্প করার জন্য। ধন্যবাদ