আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ২০২৩ সালে কত তারিখ ও কোন দিন ঈদ পালন করা হবে। সে সম্পর্কে আজকে সঠিক তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আর আপনি যদি সেই তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়তে হবে। তো আর দেরী না করে চলুন, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
২০২৩ সালের কবে রমাজান মাস শুরু | ২০২৩ রোজা কবে?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চান যে, ২০২৩ সালে কবে রোজা শুরু হবে। তো যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, চলতি বছর এর মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে রমজান শুরু হবে। আর এই দিন সেহরি খেয়ে প্রত্যেকটা ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা তারা তাদের রোজা রাখতে পারবে।
এবং এই রোজার মাস চলমান থাকবে এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত। আর তার পরের দিন অর্থ্যাৎ, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে সারাবিশ্বে পালন করা হবে ঈদ-উল-ফিতর। আর এই বিশেষ দিনে গোটা বিশ্বের মধ্যে পালিত হবে ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব। তো ২০২৩ সালে রমজান মাস কবে আশা করি, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন।
২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর কবে/ রমজানের ঈদ কবে?
যদিওবা ঈদ কবে হবে সেটা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দেওয়া তথ্য হিসেবে। চলতি বছর অর্থ্যাৎ ২০২৩ সালে প্রথম রোজা শুরু হবে মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে। আর যদি মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে রোজা শুরু হয়। তাহলে হিসেব অনুযায়ী ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর / রমজানের ঈদ শুরু হবে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে।
২০২৩ সালের ঈদুল আযহা কবে/ করবানীর ঈদ কবে?
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, ২০২৩ সালে কবে রমজান ঈদ হবে। তো এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমাদের আরো একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হলো, ২০২৩ সালের ঈদুল আযাহ কবে/ করবানীর ঈদ কবে।
তো যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, ২০২৩ সালে কোরবানির ঈদ পালন করা হবে জুন মাসের ২৯ তারিখে রোজ বৃহস্পতিবার। যদিওবা ঈদ কবে হবে সেটা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী। চলতি বছর আমরা জুন মাসের ২৯ তারিখে ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদ পালন করতে পারবো।
ঈদুল ফিতরে করনীয় ও বর্জনীয় বিষয় গুলো কি কি?
এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, ২০২৩ সালে কবে ঈদ পালন করা হবে। আর এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে সবার শুরুতে আমি আপনাকে ঈদুল ফিতরে করনীয় ও বর্জনীয় কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারনা দিবো। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
আমরা যারা মুসলিম আছি, তারা বেশ ভালো করেই একটা বিষয় জানি। সেটি হলো, ঈদ আমাদের প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে বড় একটা নিয়ামত। মূলত এই বিশেষ দিনে আমরা আমদের বেশ কিছু কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার সুযোগ থাকে। আর এবার আমি আপনাকে সেই কাজ গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।
- ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা।
- ঈদের দিনে সকালে গোসল করা।
- পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করা।
- ঈদের দিনে খাবার গ্রহন করা।
- একে অন্যের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা।
- আকাশে ঈদের চাঁদ দেখার পর তাকবির পাঠ করা।
- ঈদের দিনে নতুন কিংবা পরিস্কার কাপড় পরিধান করা।
- ঈদের খুতবা শ্রবন করা।
- দোয়া ও ইস্তেগফার।
- ফিতরা দেওয়া।
- মুসাফাহা ও মুআনাকা করা।
- গরিব ও খাবার অভাবী মানুষদের কে খাবার খাওয়ানো।
- দুরের কিংবা কাছের আত্মীয়দের খোজ খবর নেওয়া।
- প্রতিবেশিদের খোজ খবর নেওয়া।
- মনোমালিন্য দুর করা।
- আনন্দ প্রকাশ করা।
তো একজন মুসলাম হিসেবে ঈদের দিনে আমাদের কি কি করা উচিত। সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো আমাদের সবার মেনে চলা উচিত।
ঈদের দিনে বর্জনীয় বিষয় গুলো কি কি?
পবিত্র ঈদের দিনে মুসলমানদের কি কি করা উচিত, সেগুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবে এই সব করনীয় কাজ বাদে এমন অনেক কাজ রয়েছে। যে কাজ গুলো থেকে ঈদের দিন আমাদের বিরত থাকা উচিত। আর উক্ত কাজ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। আর আপনি সেই কাজ গুলো থেকে অবশ্যই দুরে থাকার চেষ্টা করবেন। যেমন,
- ঈদের দিনে রোজা পালন করা থেকে বিরত থাকুন।
- কখনই বিজাতীর প্রতি খারাপ আচরন প্রদর্শন করবেন না।
- নিজের ঘরের নারীদের খোলামেলা পোশাকে বাইরে বের হতে দিবেন না।
- আপনারা কখনই গান বাজনা করবেন না।
- ঈদের দিনে অশ্লীল সিনেমা বা নাটক দেখা থেকে বিরত থাকুন।
- এইদিনে নারীদের সাথে ঘুরাঘুরি করবেন না।
- কখনই জুয়া কিংবা নেশা করবেন না।
- উক্ত দিনে মানুষকে কষ্ট দিবেন না।
- নামাজ বাদ দিয়ে শুধু আনন্দ ফুর্তি করবেন না।
তো পবিত্র ঈদের দিনে আমাদের কোন কাজ গুলো থেকে বিরত থাকা উচিত। সেই কাজ গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো আমাদের অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
ঈদের দিন, বার ও তারিখ নিয়ে আমাদের শেষকথা
২০২৩ সালে পবিত্র ঈদ কোন দিন, কত তারিখ ও কি বারে হবে, আজকে সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, আপনি ২০২৩ সালের ঈদের দিন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তো আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। এবং নিয়মিত নামাজ আদায় করুন।