সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম : যদি আপনি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জানতে চান, তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গাতে চলে এসেছেন।
কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আর আপনি একজন সোনালী ব্যাংক গ্রাহক হয়ে কিভাবে ডিপিএস খুলবেন, সে সম্পর্কে যেসব খুটিনাটি বিষয় আছে তার সমস্ত বিষয় গুলি নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
তাই অবশ্যই আপনি আজকের এই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনার মধ্যে আর কোন কিছুই অজানা থাকবে না।
আপনি যদি আপনার অর্থ কে জমা বা সঞ্চয় করে রাখার জন্য সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস করে রাখতে চান।
তাহলে আমি বলব আপনি একবারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা সোনালী ব্যাংক হলো বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংক গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি ব্যাংক।
যেখানে আপনি যদি ডিপিএস করেন তাহলে বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। এবং আপনির সঞ্চয়ী হিসাব একেবারেই ঠিক থাকবে।
আর সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস থেকে নানাবিধ সুবিধা পাওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে আপনার আমার মত এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা মূলত সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস খুলে আসছে।
কিন্তু সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস খোলার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
যেমন, সোনালী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম (how to create sonali bank dps account), সোনালী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে?
কিভাবে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলা যায় (how to open Sonali Bank DPS account) ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান, তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো একটু মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
তাহলে আপনি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
এবং এরপরও যদি আপনার সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে একটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস কি?
সহজ কথায় বলতে গেলে ডিপিএস হল প্রতিটা ব্যাংকের এক ধরনের বিশেষ স্কিম। যেখানে আপনি আপনার সঞ্চিত অর্থকে জমা করে রাখতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনার সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক ধরনের বিশেষ স্কিম তৈরি করবেন। যেখানে আপনি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা সঞ্চয় করে রাখতে পারবেন।
তবে এই টাকা শুধু সঞ্চয় এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং আপনি যে পরিমাণ টাকা সেই ডিপিএস এর মধ্যে সম্পর্ক থাকবে, সেখান থেকে আপনাকে উক্ত ব্যাংক হতে সুদ প্রদান করবে।
যেমন, আপনি যদি 10 বছর মেয়াদী একটি ডিপিএস খুললেন, এবং সেই ডিপিএস এর প্রতি মাসে এক হাজার করে টাকা জমা রাখলেন।
তাহলে সেই দশ বছর পরে আপনার যে পরিমাণ টাকা জমা হবে। সেখান থেকে আপনাকে 1% থেকে 8% সুদ প্রদান করবে।
যা আপনার জমাকৃত অর্থের থেকে বেশি টাকা হতে সহায়তা করবে। মূলত এই পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে ডিপিএস।
এবং আপনি যখন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে টাকা সঞ্চয় করে রাখবেন। তখন তাকে বলা হবে, সোনালী ব্যাংক ডিপিএস।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস কত বছরের জন্য করা যায়?
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন যে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস কাকে বলে। এই বিষয়টি জানার পর এখন আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আর সেই বিষয়টি হলো যে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস কত বছরের জন্য করা যায়। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন মেয়াদের ডিপিএস রয়েছে।
যেমন, আপনি চাইলে তিন বছর মেয়াদী ডিপিএস করতে পারবেন, অথবা আপনি চাইলে 5 বছর মেয়াদী ডিপিএস করতে পারবেন।
তবে সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস করার জন্য সর্বনিম্ন মেয়াদ 3 বছর এবং সর্বোচ্চ মেয়াদ 10 বছর।
অর্থাৎ আপনি চাইলে এখন তিন বছর অথবা 10 বছর অথবা এর থেকে কম বা বেশি মেয়াদী ডিপিএস খুলতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনার সেই ডিপিএস মেয়াদ এর মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর হতে হবে।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার জন্য কি কি কাগজ পাতি লাগবে?
আর্টিকেল এর এই পর্যন্ত এসে আপনি জানতে পারলেন যে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস কি এবং সোনালী ব্যাংক এর ডিপিএস কত বছর মেয়াদী হয়ে থাকে।
আশা করি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তো এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার জন্য কি কি কাগজ পাতি লাগবে।
অর্থাৎ যখন আপনি একটি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খুলবেন, তখন আসলে আপনার নিকট কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।
তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, এমন কোন কোন ধরনের কাগজ পাতি রয়েছে যেগুলো সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস খোলার সময় প্রয়োজন হয়।
- যদি আপনি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বয়স 18 কিংবা তার থেকে বেশি হতে হবে।
- কিন্তু যদি আপনার বয়স 18 কিংবা এর থেকে বেশি না হয় এবং আপনি যদি নাবালোক হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পিতা-মাতার স্বীকৃতি নিয়ে নিজের জন্ম নিবন্ধন এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খুলতে পারবেন।
- যদি আপনি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খুলতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। অন্যথায় আপনি কোনো ভাবেই বাংলাদেশের কোন ব্যাংকে নিজের ডিপিএস খুলতে পারবেন না।
- যদি আপনি আপনার নিজের নামে ডিপিএস করতে চান, সে ক্ষেত্রে এই ডিপিএস খোলার সময় অবশ্যই আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন ছবি দেয়ার প্রয়োজন হবে।
- যদি আপনার বয়স 18 বছর কিংবা তার থেকে বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই ডিপিএস খোলার সময় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে। যদি আপনার কাছে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পাসপোর্ট এর কপি প্রদান করতে হবে।
- যখন আপনি একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখন অবশ্যই আপনার সেই একাউন্টের একজন নমিনি থাকতে হবে। এবং সেই নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র সহ এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দেয়ার প্রয়োজন পড়বে।
সত্যি বলতে সোনালী ব্যাংক থেকে একটি ডিপিএস খোলার জন্য আপনার খুব বেশি একটা কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়বে না।
তবে যেগুলো ছাড়া আপনি একটি ডিপিএস খুলতে পারবেন না, সে বিষয় গুলো নিয়ে আমি উপরে আলোচনা করেছি।
এবং যখন আপনি একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবেন, তখন অবশ্যই আপনার সাথে এই কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
নতুবা আপনি কোনো ভাবেই একটি ডিপিএস খুলতে পারবেন না।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সময়ের আগে ভেঙ্গে ফেলা যাবে কি?
যখন আপনি একটি ডিপিএস খুলবেন এবং সেই ডিপিএস এর নির্দিষ্ট একটা মেয়াদ থাকবে। কিন্তু আপনি সেই ডিপিএস এর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই সেটি ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন কিনা!
বিশেষ করে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের মনে এই প্রশ্নটি বারবার জেগে থাকে যে, একটি ডিপিএস এর মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে ফেলা যাবে কিনা।
যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে তাহলে আমি আপনাকে বলব, আপনি আপনার প্রয়োজন মতো আপনার ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন।
তবে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের ডিপিএস এর মধ্যে আপনার জমা করা অর্থের উপর যে পরিমাণ সুদ প্রদান করার চুক্তি থাকবে সেটা থেকে আপনি বঞ্চিত থাকবেন।
কেননা আপনার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনি যদি সেটি ভেঙে ফেলেন তাহলে আপনাকে অনেক কম পরিমাণ সুদ প্রদান করা হবে।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, আপনি আপনার জমা করা অর্থের উপর কোন প্রকার সুদ পাবেন না। এবং আপনার যেটুকু অর্থ জমা হয়েছে শুধুমাত্র সেটুকু অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার জন্য কোন সাক্ষী বা নমনি লাগে কি?
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস খোলার জন্য নমিনি বা সাক্ষী এর প্রয়োজন হয় কিনা।
আসলে শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংক নয় বরং আপনি যেকোনো ব্যাংকের আওতায় যখন ডিপিএস খুলবেন, তখন অবশ্যই আপনার সেই ডিপিএস এর নমিনি প্রয়োজন হবে।
এবং আপনি যখন একটি ডিপিএস করবেন, তখন অবশ্যই সেই সাক্ষীর জাতীয় পরিচয় পত্র সহো সেই সাক্ষীর 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
আর সেদিক থেকে বলা যায় যে, আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস খোলার কথা চিন্তা করেন, তাহলে অবশ্যই আপনার সেই ডিপিএস এর জন্য নমিনি প্রয়োজন হবে।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম
তো উপরের আলোচনা গুলো থেকে আপনি ডিপিএস কি, ডিপিএস খোলার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে, এবং মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে কোনো ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলা যাবে কিনা।
সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এখন আপনাকে যে বিষয়টি জেনে নিতে হবে, সেটি হলো যে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম কি কি।
মূলত আপনি খুব সহজেই সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খুলতে পারবেন, তবে একটি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম গুলো কি কি সে সম্পর্কে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আর আপনি যদি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস করতে চান, তাহলে অবশ্যই নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো মনোযোগ সহকারে দেখবেন।
যদি আপনি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খুলতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে আপনার নিকটস্থ কোনো সোনালী ব্যাংক এর ব্রাঞ্চে যেতে হবে।
এরপর যখন আপনি সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় যাবেন, তখন আপনাকে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
এসব কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে সেই ব্যাংকের একজন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে যে। আপনি তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ডিপিএস করতে চান।
যখন আপনি কোন সোনালী ব্যাংকের কর্তৃপক্ষকে ডিপিএস খোলার কথা বলবেন, তখন তারা আপনাকে এটি ফর্ম প্রদান করবে।
এবং আপনাদের সেই ফর্মে থাকা যাবতীয় তথ্য গুলো পূরণ করে দিতে হবে।
আর যখন আপনি আপনার তথ্য গুলো পূরণ করার পর তাদেরকে জমা দিবেন, তার কিছুক্ষণ পরেই তারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার ডিপিএস একাউন্ট টি খুলে দিবে।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস ফরম / sonali bank dps form
যদি আপনি খুব সহজ ভাবে সোনালী ব্যাংক এর ডিপিএস করতে চান, তাহলে আপনাকে সোনালী ব্যাংক এর ডিপিএস ফরমটি অনলাইন এর মাধ্যমে ডাউনলোড করে নিতে হবে।
এবং সেটিতে ডাউনলোড করার পর উক্ত ফরমটি প্রিন্ট করে নিবেন। এবং সেটি প্রিন্ট করার পরে সেখানে যে তথ্য গুলো দিতে হবে, সে গুলো আপনি ফিলাপ করে দিবেন।
আর সে গুলো ফিলাপ করার পরে আপনার যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো নিয়ে আপনি সরাসরি চলে যাবেন সোনালী ব্যাংকের কোন শাখাতে।
এবং সোনালী ব্যাংকের কোন শাখায় গিয়ে যখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ দিবেন, তখন কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুততার সাথে আপনার সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস খুলে দিবে।
আর আপনি যদি সেই অনলাইন ফর্ম টি ডাউনলোড করতে চান। তাহলে নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস ফরম: Click Here
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার পর কিভাবে টাকা জমা দিবেন?
যখন আপনি একটি সোনালী ব্যাংক থেকে ডিপিএস খুলবেন তখন সেই ডিপিএস এর মধ্যে কিভাবে টাকা জমা রাখবেন, সে বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানি না।
তো যদি আপনি এই বিষয়টি না জেনে থাকেন। তাহলে আপনাকে বলবো যে আপনি আপনার সদ্য তৈরি করা নতুন ডিপিএস এর মধ্যে টাকা সঞ্চয় করে রাখার জন্য অবশ্যই আপনার নির্ধারিত টাকা নিয়ে সোনালী ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে।
এবং সেখানে গিয়ে আপনাকে আপনার সেই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে টাকা জমা করতে হবে।
যদি এ সম্পর্কে আপনার কোন প্রকার ধারণা না থাকে, তাহলে আপনি সরাসরি চলে যাবেন সোনালী ব্যাংকের শাখায় এবং সেখানে গিয়ে যেকোন কর্তৃপক্ষকে বলবেন।
যে আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে টাকা জমা করতে চান। আর এরপরে আপনাকে কি কি করতে হবে সেটা সেই কর্তৃপক্ষ থেকেই বলে দিবে।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস ৫ বছর
ডিপিএস হলো দীর্ঘমেয়াদী টাকা সঞ্চয় করার বিশেষ একটি মাধ্যম।
তবে আপনি যদি সোনালী ব্যাংকে 5 বছর মেয়াদী ডিপিএস খুলেন, সেক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে 500 টাকা থেকে শুরু করে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করে রাখতে পারবেন।
এবং আপনি যদি সেই পাঁচ বছর এভাবে আপনার অর্থকে সঞ্চয় করে রাখেন, তাহলে সোনালী ব্যাংক থেকে আপনার জমা থাকা অর্থের উপর ভিত্তি করে 8.50% হারে সুদ পাবেন।
কিন্তু আপনি যদি সঞ্চয়ী হিসাব খুলেন সেক্ষেত্রে আপনি 6.50% হারে সুদ পাবেন।
Faq’s
বাংলাদেশে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো যাবে কি
হ্যাঁ, বাংলাদেশে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো যাবে। এটি করার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন, যেমন: ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং।
NPSB তে টাকা পাঠালে কত সময় লাগে?
NPSB তে টাকা পাঠালে সাধারণত 24 ঘন্টা বা তার কম সময় লাগে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি 48 ঘন্টা বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে কত টাকা ট্রান্সফার করা যায়?
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একবারে সর্বোচ্চ 1 কোটি টাকা ট্রান্সফার করা যায় কারণ দেখিয়ে। তবে, প্রতিদিনের লেনদেনের সীমা 50 লাখ টাকা।
Npsb কিভাবে কাজ করে?
NPSB হল National Payment Switch Bangladesh এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি একটি কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলিকে একে অপরের সাথে টাকা স্থানান্তর করতে দেয়।
সোনালী ব্যাংক কি এনপিএসবি সমর্থন করে?
হ্যাঁ, সোনালী ব্যাংক NPSB সমর্থন করে। আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে অন্য যেকোনো ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারেন।
ফান্ড ট্রান্সফার কত প্রকার?
ফান্ড ট্রান্সফার প্রধানত তিন প্রকার: ইন্টার ব্যাংক ট্রান্সফার: এটি এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর একটি পদ্ধতি। এনপিএসবি ট্রান্সফার: এটি NPSB এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর একটি পদ্ধতি। ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সফার: এটি একটি দেশের ব্যাংক থেকে অন্য দেশের ব্যাংকে টাকা পাঠানোর একটি পদ্ধতি।
Bacps কি?
Bacps হল Bangladesh Automated Clearing House System এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি একটি কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলির মধ্যে চেক পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে ইএফটি স্থানান্তর কি?
ইএফটি হল Electronic Fund Transfer এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি একটি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি যা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলা নিয়ে আমাদের শেষকথা
আপনার অর্থকে জমা করার জন্য ডিপিএস হল সবচেয়ে অন্যতম একটি মাধ্যম। যেখানে আপনি দীর্ঘ মেয়াদী আপনার টাকা গুলো সংগ্রহে রাখতে পারবেন।
এবং সেই টাকা জমা করার মেয়াদ শেষ হলে আপনি আপনার জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করার পাশাপাশি সেই অর্থের বিনিময়ে বাড়তি কিছু টাকা সুদ হিসেবে লাভ করতে পারবেন।
তবে এই ডিপিএস এর দিক থেকে সোনালী ব্যাংক হল অন্যতম একটি ব্যাংক যেখানে আপনি ডিপিএস করার সময় বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
কিন্তু এই সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস করার আগে আপনাকে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আর আজকের আর্টিকেলে আমি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।