ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলার নিয়ম | ব্লগসাইট বানানোর সহজ উপায়

সম্প্রতি, ব্লগিং আমাদের কাছে একটি পরিচিত শব্দ হয়ে উঠেছে। কারণ বর্তমান ইন্টারনেট জগতে ব্লগিং আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, যারা ব্লগিং এর জগতে নতুন, তারা প্রায়শই বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে যান।

ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলার নিয়ম | ব্লগসাইট বানানোর সহজ উপায়
ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলার নিয়ম

অনেকেরই ইচ্ছা থাকে ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলে নিজের মতো করে লেখালেখি করার। কিন্তু অনেকেই জানেন না কিভাবে শুরু করবেন। আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ফ্রিতে ব্লগ সাইট তৈরির সহজ উপায় এবং সেই ব্লগ থেকে আয় করার টিপস।

সেই সাথে এই লেখার মাধ্যমে আমি তাদের জন্য ব্লগিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি খুব সহজেই ফ্রিতে ব্লগসাইট তৈরি করতে পারেন। এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্লগ মানে কি ? (What is blog meaning in bengali)

আপনার মনের ভাবনাগুলো, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা – সবকিছুই লেখার মাধ্যমে অনলাইন দ্বারা মানুষের সাথে ভাগ করে নেওয়ার এক অসাধারণ সুযোগ! ব্লগ (Blog) হলো ঠিক তেমনই এক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি নিজের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি লেখার মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।

সহজ কথায়, ব্লগ হলো আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট যেখানে আপনি নিয়মিত নতুন নতুন লেখা প্রকাশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে যিনি ব্লগ লিখেন কিংবা ব্লগে পোস্ট করেন তিনি ব্লগার (blogger) হিসেবে পরিচিত।

তিনি নিজের ইচ্ছেমত তাঁর নিজস্ব Blogsite বা Website এ কন্টেন্ট বা আর্টিকেল পোস্ট করে থাকেন। সেখানে ব্যবহারকারীরা কন্টেন্টটি পড়ে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ এবং নিজেদের মন্তব্য পেশ করতে পারেন।

বর্তমান যুগে ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা ও সুব্যবস্থার ফলে ব্লগ (blog) অনলাইন ভিত্তিক সাংবাদিকতার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কেননা এর মাধ্যমে এখন খুব সহজেই  টাকা আয় করা সম্ভব।

প্রধানত প্রায় সব ধরনের ব্লগই লেখা ভিত্তিক (Text Based) হয়ে থাকে। যেটি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভিজিটরদের ধারণা বা তথ্য প্রদান করে থাকে। তবে আরও কিছু ভিন্ন ধরনের ব্লগও রয়েছে। যেমন- আর্টব্লগ, ফটোব্লগ, ভিডিও ব্লগিং, এমপিথ্রি ব্লগ ইত্যাদি।

তাছাড়া মাইক্রো ব্লগিং নামে আরও একটি ব্লগিং সিস্টেম রয়েছে যেখানে পোস্টের আকার তুলনামূলক ভাবে ছোট হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত অনলাইনে অসংখ্য ব্লগসাইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

ব্লগিং কেন করবেন ? (Why you will do blogging)

জীবনের যাত্রাপথে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি প্রধান লক্ষ্য হলো নিজের ক্যারিয়ার যথাসম্ভব সমৃদ্ধ করা। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়া খুবই জনপ্রিয় ও একটি ফলপ্রসূ মাধ্যম। এর মধ্যে ব্লগিং একটি উল্ল্যেখযোগ্য মাধ্যম।

যারা লেখালেখি করতে ভালোবাসেন এবং লেখালেখির মাধ্যমেই Career গড়তে চান তাদের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম।এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং নিজেকে Cuccessful বা সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

তাছাড়া এটি আপনার মেধা বিকাশেও সহায়তা করবে। তবে আপনি শুধুমাত্র ব্লগ লিখেই যে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তেমনটি নয়। এর জন্য অনেক উপায় রয়েছে। এদের মধ্যে গুগল এ্যাডসেন্সই সেরা।

তবে আপনার ব্লগটিকে গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।কেননা পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। এর জন্য আপনাকে হতে হবে প্রচুর অধ্যবসায়ী,পরিশ্রমী ও ধৈর্য্যশীল।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগিং করা অত্যন্ত সহজ একটি ব্যাপার হলেও গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে। যেমন- আপনার ব্লগসাইটটিতে কিছু প্রয়োজনীয় পেইজ যেমন- About us, Contact us, terms and conditions, disclaimer, Privacy policy ইত্যাদি পেইজগুলো অবশ্যই থাকতে হবে।

প্রয়োজনীয় ও ভালো মানসম্মত পোস্ট থাকতে হবে। কারন ভিসিটর না থাকলে আপনার আয় হবে না আর ভিজিটরের জন্য অবশ্যয় ভাল কন্টেন্ট আপনার ব্লগে থাকতে হবে।

তাহলে আপনি অনেক সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে গুগল এ্যাডসেন্স (adsence) পেয়ে যাবেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র ব্লগিং (blogging) এর মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে।

কেননা ব্লগিং এখন কেবল ইংরেজি ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বের বেশিরভাগ ভাষাতেই এখন ব্লগিং করা যায়। তাই এতে টাকা উপার্জন করা অনেক সহজ।

তাছাড়া এটি আপনার মেধা বিকাশেও সাহায্য করবে এবং ব্লগিং হলো এমন একটি বিষয় যেটি আপনি ঘরে বসে নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমেই করে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনাকে অনেক ধৈর্য ধারণ করে কাজের পিছনে লেগে থাকতে হবে।

কারণ সাথে সাথেই আপনি এর থেকে টাকা আয় করতে পারবেন না বা রাতারাতি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন না। আপনাকে গুগল এর প্রাইভেসি পলেসি (privacy policy) গুলো পূরণ করতে হবে।

কিন্তু যখন এর মাধ্যমে আপনার কাছে টাকা আসতে শুরু করবে তখন আপনি নিজেই এর গুরুত্বটা অনুধাবন করতে পারবেন।

ব্লগিং (Blogging) থেকে টাকা উপার্জন করার মাধ্যমগুলো কি কি ?

আমরা যারা ব্লগিং করি বা করতে চাই তাদের বেশিরভাগেরই মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো টাকা ইনকাম করা। কিন্তু এর জন্য আপনাকে এর উৎসগুলো সম্পর্কে খুবই সচেতন থাকতে হবে।

কেননা এসব বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা না থাকলে আপনি কখনওই আপনার আশানুরূপ পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনাকে এর সবগুলো উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

তাহলে চলুন এবার সেগুলো জেনে নেয়া যাক।

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা

গুগল এ্যাডসেন্স থেকে আয় (Google Adsense): ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করার সর্ববৃহৎ যে মাধ্যমটি সেটি হল Google Adsense তো আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে গুগল এ্যাডসেন্স টি আসলে কি?

আচ্ছা আপনি যখন কোনো ব্লগসাইট (Blogsite) কিংবা ওয়েবসাইটে (Website) ভিজিট করেন তখন দেখে থাকবেন যে কোনো আর্টিকেল ভিউ করার সময় সেখানে নিচের ছবিটির মত একধরনের বিজ্ঞাপন Show করছে।

Google Adsense ads photo Google Adsense ads photo

ছবিটির উপরে ডানপাশের কোনায় যে চিহ্ন দুটি দেখতে পাচ্ছেন এরূপ থাকলেই সেটি একটি বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপনগুলো মূলত গুগল এর পক্ষ থেকে দেয়া হয়। কিন্তু গুগল এমনিতেই আপনার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দেখাবেনা।

এর জন্য তারা আপনাকে Pay করবে এবং সেটাই হবে আপনার ব্লগিংয়ের আয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় (Affiliate Marketing): এটি আপনার আয়ের একটি অন্যতম বৃহৎ উৎস হতে পারে যদি আপনি এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়

ব্যাপারটা এরকম যে,ধরুণ আপনি কোনো পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে আর্টিকেল লিখে সেটি পোস্ট করলেন এবং তাতে কোনো কোম্পানিকে রেফার করলেন। তো তখন আপনার সাইটে যখন হাজার হাজার ভিজিটর আসবেন তখন কেউ হয়তো সেই কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয় করল।

তখন আপনিও ঐ পণ্যের লভাংশ থেকে ঐ কোম্পানির পক্ষ থেকে কমিশন পাবেন।

যেমন ধরুন আপনি মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কিত কোনো আর্টিকেল পোস্ট করলেন এবং সেই সাথে নগদ কোম্পানিটিকে রেফার করলেন। তো কিছু ভিজিটর সেখান থেকে তাদের সার্ভিসটি নেয়া শুরু করল। তাহলে আপনিও ঐ নগদ কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি কমিশন পেতে শুরু করবেন।

ব্যাকলিংক বিক্রয় করে আয়

Backlink selling: এক্ষেত্রে ধরুণ কেউ একজন একটি নতুন ওয়েবসাইট শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটির মার্কেটিং এর জন্য আপনি আপনার ব্লগে এর লিংক শেয়ার দিতে পারেন।

ব্যাকলিংক বিক্রয় করে আয়

এর জন্য তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।

বিজনেস প্রোমোট করে আয়

বিজনেস প্রোমোট (Business promoting): এ পর্যায়ে কোনো নতুন লোকাল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তাদের মার্কেটিং প্রোমোট করার জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে কেবল আপনার ব্লগের মাধ্যমে তাদের বিজনেসটি প্রোমোট(promote) করা।

বিজনেস প্রোমোট করে আয়

তো বন্ধুরা! আশা করছি বুঝাতে পেরেছি যে আপনারা কীভাবে ব্লগিং থেকে আয় করবেন।

ব্লগার (blogger) কি ? (what is blogger Platform)

মূলত ব্লগার হল google এর একটি ফ্রি হোস্টিং (hosting Service) যেটি বিনামূল্যে ব্লগসাইট (blogsite) বানানোর সুবিধা প্রদান করে। এটি ব্যবহার করে যে কেউ খুব সহজে একটি ফ্রি ব্লগসাইট open করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ এতে আপনার কোনো প্রকার টাকা খরচ করতে হবে না।

শুধু মাত্র কয়েকটি নিয়ম বা পদ্ধতি খুব ভালোভাবে follow করতে হবে। সুতরাং আর্টিকেলটি সঠিকভাবে ফলো করলেই কারোর থেকে কোন রূপ সাহায্য নেয়া ছাড়াই আপনি একটি ফ্রি ব্লগসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

কেন ব্লগার ব্লগই ব্যাবহার করব ?

বন্ধুরা! নেট দুনিয়ায় এমন অনেক প্লাটফর্মই রয়েছে যেখান থেকে আপনি একটি ব্লগসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। তবে তাদের সবাই আপনাকে ফ্রি সার্ভিস দেবে না। তাদের মধ্যে কোনোটি ফ্রি এবং কোনোটি পেইড।

কিন্তু যেহেতু আমরা ফ্রি ব্লগসাইট বানাবো সেজন্য আমাদের একটি ফ্রি হোস্টিং select করতে হবে। কিন্তুু আপনারা যারা একেবারেই নতুন তারা স্বাভাবিকভাবেই একটি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে যান যে কোন হোস্টিংটি ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি একটি ফ্রি ব্লগসাইট খুলতে পারবেন।

তাই আমি আপনাদের বলব একটি ফ্রি ব্লগসাইট বানাতে আপনারা চোখ বন্ধ করে blogger.com এর সাহায্য নিতে পারেন. কারণ যেহেতু আমরা ফ্রি ব্লগসাইট বানাবো তাই আমি বলব ব্লগার (blogger.com) ই আপনার জন্য সেরা। এখন সেরা কেন বলছি চলুন তা একবার দেখে নায়া যাক।

  • ব্লগার এমন একটি প্লাটফর্ম যেটি আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি সার্ভিস প্রদান করবে। তাই যারা প্রাথমিকভাবে কোনো টাকা খরচ করতে চাইবেন না তাদের জন্য ব্লগার ফার্স্ট চয়েস।
  • যেহেতু ব্লগার গুগলের একটি প্লাটফর্ম তাই এটিকে প্রায় শতভাগ বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হয়।
  • ব্লগার ব্লগে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি সাবডোমেন (subdomain) পাবেন। তাই আপনাকে ডোমেইন (domain) কেনার জন্য কোনো বাড়তি টাকা খরচ করা লাগবে না। এই সাবডোমেন(blogspot.com) টি ব্যবহার করেই আপনি আপনার ব্লগ পরিচালনা করতে পারবেন।
  • ব্লাগারে একটি ব্লগ ওপেন করার সিস্টেম খুবই সহজ। তাই যে কেউ কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই একটি ফ্রি ব্লগসাইট বানিয়ে নিতে পারে ও ব্যবহার করতে পারে।
  • ব্লগার ব্লগে আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু থিম (theme) পাবেন। যেগুলো দিয়ে আপনি আপনার ব্লগসাইটটি অনেক আকর্ষণীয় করে সাজাতে পারবেন।
  • ব্লগার আপনাকে গুগল এ্যাডসেন্স (Google Adsence) এ আবেদন করার সুযোগ প্রদান করবে। যে কারণে আপনি খুব সহজেই Google adsence এ আবেদন (Application) করে টাকা আয় করতে পারবেন।

তাই আমরা আজকে কীভাবে ব্লগার ব্লগ ব্যবহার করে একটি ফ্রি ব্লগসাইট বানানো যায় তা শিখবো। সুতরাং আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ব্লগারে ব্লগসাইত বানানোর জন্য কি কি প্রয়োজন?

তো প্রথমেই আপনাদের যে প্রশ্নটি থাকতে পারে তা হলো, blogger ব্যবহার করে ব্লগসাইট open করার জন্য আপনাদের কি কি লাগতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টি একদমই সহজ।

তো আপনাদের পূর্বেও যেটি বলেছি,যেহেতু এটি একটি google এর নিয়ন্ত্রণাধীন product তাই এটি অনেক বিশ্বাসযোগ্য ও কোনো প্রকার ঝামেলা মুক্ত। তো পর্যায়ক্রমে আপনাদের যেসকল বিষয়ের প্রয়োজন হতে পারে তাদের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল একটি G-mail বা Google account.

অর্থাৎ একটি জিমেইল (gmail) account ছাড়া কিন্তু আপনি blogsite টি বানাতে পারবেন না। তাই যদি আপনার কোনো জিমেইল আইডি না থেকে থাকে তো প্রথমেই একটি জিমেইল account খুলে নিবেন যেটি খুবই easy একটি বিষয়।

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ব্লগারে কীভাবে একটি ফ্রি ব্লগসাইট বানাবেন সে পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

কিভাবে ব্লগারে একটি ফ্রি ব্লগ বানাবো (ব্লগ তৈরি করার নিয়ম)

Blogger-এ ব্লগ বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে internet connection দেয়া আছে এমন একটি computer বা laptop অথবা মোবাইল থাকা লাগবে এবং পূর্বে যেমনটি বলেছি,তাতে অবশ্যই একটি Google বা g-mail account লাগবে।

উল্লিখিত বিষয়গুলো যদি আপনার তৈরি থাকে তাহলে এই মুহূর্তে আমি যে সকল নিয়মগুলো সম্পর্কে বলতে চলেছি সেগুলো যদি সঠিকভাবে follow করেন তবেই আপনি successfully একটি ব্লগসাইট নিজের জন্য যখন ইচ্ছে বানিয়ে নিতে পারবেন।

তাহলে চলুন এর নিয়মগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ধাপ-১:

এটি আপনার কার্যক্রমের সর্বপ্রথম একটি ধাপ। প্রথমে আপনাকে যেকোনো একটি ব্রাউজার থেকে blogger.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যাওয়ার পর নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন।

Create free blogsite 1 Create free blogsite 1

এটি মূলত ব্লগারের একটি হোম পেইজ (home page). এখন Page টির নিচের দিকে যেখানে Create your blog অথবা Sing in এ ক্লিক করতে হবে। এই বাটনটিতে ক্লিক করার পর আপনি Gmail Login Page নামক একটি Page দেখতে পাবেন।

এখানে আপনাকে প্রথমেই আপনার Google Account টি log in করতে হবে। তো এক্ষেত্রে আপনাকে যেটি করতে হবে আপনার জিমেইল আইডি এবং পাসওয়াড দিয়ে লগিন করতে হবে।

আপনার Gmail and Password দিয়ে লগিন করার পর নিচের মত কিছু স্টেপ দেখতে পাবেন যে গুলা আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এ পর্যায়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর নিচের ছবির Page এর মত একটি Page আপনার সামনে ওপেন হবে।

Create blog Title

এখানে আমার ওয়েবসাইট বা ব্লগের টাইটেল নাম দিয়েছি “TechinfoBDX” আপনি যে ব্লগ খুলবেন সেখানে আপনার ব্লগের টাইটেল দিবেন। বাংলা বা ইংরেজি কোন ব্যাপার না তার পর Next এ ক্লিকদিন। তবে ব্লগের সাথে মিল রেখে আপনার ব্লগের টাইটেল দেওয়া ভাল।

Title এই টাইটেল মূলত আপনার ব্লগটি সম্পর্কে প্রথমেই একটি ধারণা প্রদান করবে। সুতরাং এই জায়গাটিতে আপনার ব্লগটি সম্পর্কে ছোট করে একটি লেখা দিন।

এখন এই Account login page এ আপনার g-mail আইডি এবং একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড(strong password) দিয়ে গুগল account এ লগ ইন করুন।মনে রাখবেন এখানে আপনার জিমেইল account এ লগ ইন করা মানেই হল blogger এর account এ লগ ইন করা।আপনাকে আর আলাদা করে ব্লগারে লগ ইন বা সাইন আপ করতে হবে না।

ধাপ-২: 

ব্লগ সাইটের জন্য যে এড্রেস দেবেন সে এড্রেসটি দেয়ার জন্য একটি বক্স দেখতে পাবেন। Address এই স্থানে আপনাকে আপনার ব্লগার ব্লগের একটি URL (A Uniform Resource Locator) Address দিতে বলা হবে।

blogsite name blogsite name

এক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি ব্লগ Address দিতে হবে যেটি সম্পূর্ণ available. কেননা কোনো unavailable নাম দিয়ে ব্লগসাইট খোলা যাবে না।

তাই যদি আপনার URL Address টি Available হয়ে থাকে তো আপনাকে” The blog address is available” লেখা দেখতে পাবেন। অর্থাৎ আপনার ব্লগের address টি দিয়ে ব্লগসাইট খুলতে পারবেন তার পর Save লেখাতে ক্লিক দিন।

আপনার ব্লগসাইটের ঠিকানা বা নাম হবে এরকম- www.blogname.blogspot.com এখানে blogname এর জায়গাতে আপনার ব্লগের নাম থাকবে।

যেমন আমার ব্লগের নাম হয়েছে www.TechinfoBDX.blogspot.com কিন্তু এরপর আপনি চাইলে যে কোন কাস্টম ডোমাইন সেট করে নিতে পারবেন। কাস্টম ডোমাইন বলতে যে ডোমাইন গুলা কিনে নিতে হয় যেমন .com, .in, .info, .org সহ আরো অনেক ডোমাইন আছে।

ধাপ-৩: 

এই ধাপে  আপনার প্রফাইল নেইম সেট করতে বলা হবে। মানে ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করার পর আপনার যে নাম দেখা যাবে ঐ নামটি লিখতে হবে।

Admin name Admin name

এর পরে যখন আপনার ব্লগার ব্লগে এডমিন হয়ে ব্লগে যেতে চাইবেন তখন জিমেইল আইডি দিয়ে blogger.com  এ লগ ইন করলে Automatically ব্লগারে লগ ইন করা হয়ে যাবে।

ব্লগারের ড্যাশবোর্ড পরিচিতি

তাহলে এখন আপনি একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করে ফেলেছেন অবশ্যই আপনার ব্লগ সাইটটি দেখার জন্য ড্যাশবোর্ড এর নিচে থাকা View Blog থেকে দেখতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি যে নামে ব্লগ সাইট খুলেছিলেন দেখার জন্য যে কোন ব্রাউজারে টাইপ করে ভিজিট করলে আপনার ব্লগ সাইটে কিরকম হয়েছে দেখতে পারবেন।

এখন তো আমাদের নিজেদের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে ফেলেছি কিন্তু জানিনা কোনটি কি কাজের জন্য ব্যবহার করতে হয়।

তাহলে দেখে নিন নিচের স্ক্রীনশট থেকে এবং প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা বিবরণ থেকে বুঝতে পারবেন যে ব্লগের ড্যাসবোর্ড এর কোন ফাংশনটি কোন কাজের জন্য ব্যবহার করতে হয়।

ব্লগ ড্যাশবোর্ড পরিচিতি

এখানে প্রত্যেকটি ফাংশন এর পয়েন্ট আকারে আপনার সুবিধার জন্য নিচে লেখা হলোঃ

  • New Post: আপনার ব্লগ সাইটে নতুন কোন আর্টিকেল লেখার জন্য এখানে ক্লিক করলে আর্টিকেল লেখার ড্যাশবোর্ড পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ নতুন কোন পোস্ট করার জন্য এই New Post লেখাতে ক্লিক করতে হয়।
  • Posts: আপনার ব্লগ সাইটে যতগুলো পোস্ট করেছেন সকল পোস্টের লিস্ট এই Posts ফাংশন থেকে দেখতে পারবেন। নতুন বা পুরাতন সকল পোস্ট আপডেট করতে পারবেন এই পোষ্ট ফাংশন এ ক্লিক দেওয়ার পরে।
  • Stats: এই ফাংশনটি দ্বারা আপনার ব্লগ সাইটের যে পোস্ট আছে সে সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন অর্থাৎ আপনার প্রতিদিন ওয়েবসাইটে কত গুলা ভিজিটর আসে। কতটি পেজভিউ হয় বা কোন পোস্ট থেকে বেশি ভিজিটর পান সকল তথ্য পাবেন এখান থেকেই।
  • Comments: অপশনের কাজ হলো আপনার ব্লগে মোট কতটি কমেন্টে রয়েছে কোন পোস্টে কতটি কমেন্ট আছে জানতে পারবেন। এবং কোন স্পামি কমেন্ট থাকলে তার রিমুভ করতে পারবেন অথবা কমেন্ট গুলো এডিটও করতে পারবেন এই অপশন থেকে।
  • Earning: এই অপশনটি মূলত গুগল এডসেন্স এর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিজিটর এবং কনটেন্ট থাকে তাহলে গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করার পর এডসেন্স রিলেটেড ফাংশন এখান থেকে পেয়ে যাবেন।
  • Pages: এখান থেকে ব্লগের জন্য প্রয়োজনীয় পেজগুলো ক্রিয়েট করা হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কন্ট্রাক্ট আস, প্রাইভেসি পলিস্‌ এবাউট আস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পেজ ক্রিয়েট করতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য কাজে পেজ ক্রিয়েট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে আর সে সকল ব্লগ পেজ গুলি এর অপশন থেকে করতে পারবেন।
  • Layout: ব্লগ সাইট কে পুরোপুরি কাস্টমাইজ করার জন্য Layout ফাংশনটি ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার ব্লগের জন্য প্রয়োজনীয় কাস্টমাইজ নতুন কোন জিনিস যোগ করতে অথবা অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু অপশন রিমুভ করার জন্য লে-আউট অপশনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • Theme: ফাংশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এখান থেকে আপনার  ব্লগ সাইটের জন্য প্রয়োজনীয় থিম আপলোড করা সহ নানা ধরণের কাস্টমাইজ করতে পারবেন। নতুন থিম আপলোড করা অথবা আপনার ব্লগের ডিজাইন পরিবর্তন করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • এ ছারাও এখান থেকে আপনার থিমটি খুব সহজেই এডিট করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় কোড গুলো খুজে বের করতে পারবেন।
  • Settings: এখান থেকে কি করা যাবে আপনি বোঝে গেছেন আশা করি। তার পরও বলি আপনার ব্লগের যাবতীয় Setting এর কাজ এখান থেকে করতে পারবেন। এমনকি আপনার ব্লগের নাম পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ এখান থেকে করতে পারেবন।
  • Reading List: এখানে মূলত আপনি যদি কোন ব্লগার সাইট সাবস্ক্রাইব করে থাকেন তাহলে সেই ব্লগে সাইটের পোস্টগুলো এখানে ক্লিক দেয়ার পর দেখতে পাবেন। আর যদি আপনি কোন ব্লগ সাইট সাবস্ক্রাইব করে না থাকেন তাহলে ব্লগস্পট এর অফিসিয়াল ব্লগ সাইটের আর্টিকেলগুলো দেখা যাবে।
  • Help: এটা যারা মূলত গুগোল ব্লগার ডেভলপারদের সাথে যোগাযোগ করার কোন দরকার হলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং আপনার সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেন। মোটকথা ব্লগারের ডেভলপারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এই মাধ্যমটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • View Blog: আপনার ব্লগার ব্লগ টি দেখতে কেমন হয়েছে বা হবে দেখার জন্য এখান থেকে ক্লিক করলেই দেখা যাবে।

আর এই হল ব্লগের সংক্ষিপ্ত ফাংশনগুলো আলোচনা আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন বিস্তারিত লিখে আরও একটি আর্টিকেল প্রকাশ করবো যদি আপনারা চান।

আপনি চাইলে ব্লগারের দেয়া সাবডোমেইনের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন কিন্তু আপনার ব্লগকে ব্র্যান্ড আকার করতে চাইলে অবশ্যই একটি কাস্টোম ডোমেইন কিনে সেটা পড়তে পারেন। এতে করে আপনার ব্লগের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি পাবে।

সুতরাং উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনার সঠিকভাবে follow করেন ও সঠিক way তে কাজ করেন তাহলে খুব সহজেই আপনারা ফ্রি ব্লগসাইটটি বানিয়ে নিতে পারবেন।

আশা করছি এবার আপনাদের ব্লগসাইট বানানো নিয়ে আর ভাবতে হবে না। যদি আপনারা নিজেদেরকে একজন সফল ব্লগার হিসেবে দেখেতে চান তাহলে আরও কয়েকটি বিষয় খুব ভালো করে আপনাদের মাথায় গেঁথে রাখতে হবে। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে বিষয়গুলো আমি সুন্দর ও সাবলীলভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।

ব্লগে বেশি ভিজিটর পাওয়ার উপায়

সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ব্লগসাইটটির জন্য একটি সঠিক ও কার্যকরী নিস (niche) নির্বাচন করতে হবে। কেননা বর্তমান সময়ে ব্লগিংয়ের দুনিয়ায় অসংখ্য নিস রয়েছে। তবে আপনাকে সেগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন একটি নিস নির্বাচন করবেন।

মনে রাখবেন একটি ব্লগ শুরু করার পূর  আপনাকে খুব ভালোভাবে রিসার্চ করে । একটি নিস নির্বাচন করে নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি একটি ব্লগসাইটে একটি নিস নিয়েই আর্টিকেল লিখেন।

তাছাড়া খেয়াল করবেন আপনার ব্লগটি যেন ইউনিক হয় এবং আপনার পোস্টগুলি যেন কার্যকরী হয়। তবেই আপনার পেইজে ভিজিটর এর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবেআপোনি ভার

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার ব্লগটি যেন কী-ওয়ার্ড পূর্ণ হয়। এর জন্য আপনি ধৈর্য ও সময় নিয়ে নেট এ রিসার্চ করে দেখে নিতে পারবেন। এ কাজের জন্য আপনি কিছু টুলস ব্যবহার করতে পারেন।

Google Keyword Planner , Ubersuggest. এই দুটি টুলস আমি এককথায় বলব সেরা। আপনি ট্রাই করে দেখে নিতে পারেন।

দ্বিতীয় আরেকটি যে বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো আপনার ব্লগটি যেন 100% SEO (Search Engine Optimization) বেজড (based) হয়।

অর্থাৎ আপনাকে আপনার ব্লগের টপিক সম্পর্কিত এমন কী-ওয়ার্ড গুলো খুঁজে নিতে হবে যেগুলো মাসে ১০০-১০০০ বারের মধ্যে সার্চ করা হয়েছে। এবার আপনি আপনার টপিক এর ওপর SEO বেজড পোস্ট লিখুন।

ব্লগটি লেখার সময় ব্লগের ওপর যথেষ্ট মনোযোগী হন। টপিক এর ওপর যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ করার ও তথ্য সংগ্রহ করার মানসিকতা অর্জন করুন। কেননা আপনার ব্লগটি যত বেশি তথ্যবহুল হবে তত বেশি এর ভিউয়ারস (viewers) এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

এক একটি ব্লগ ২০০০ প্লাস শব্দে লেখার চেষ্টা করুন এবং এমনভাবে গুছিয়ে লিখুন যাতে ভিজিটররা আপনার লেখার প্রতি আকৃষ্ট হয়। লেখার মধ্যে সৃজনশীলতা অব্যাহত রাখুন। টাইটেল এবং সাব টাইটেল খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে প্রদান করুন এবং নিয়মিতভাবে সাইটে পোস্ট করতে থাকুন

তাহলেই আপনার সাইটে ভিজিটর (visitor) এর সংখ্যা তর তর করে বাড়তে থাকবে এবং আপনিও সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা

উপরিউক্ত যে বিষয়গুলো এতক্ষণ বর্ণনা করলাম সেগুলো যদি সঠিকভাবে ফলো করেন তাহলে আশা করছি ব্লগ সম্পর্কিত কোনো সমস্যাই আর আপনাদের থাকবে নাহ্ এবং খুব সহজেই একটি ব্লগার ব্লগ বানিয়ে নিতে পারবেন।

এরপর ধৈর্য ও পরিশ্রম নিয়ে এর পেছনে লেগে থাকুন। তাহলে আপনিও একদিন বিশ্বের অন্যান্য সফল ব্লগারদের পাশে নিজের নামটি দেখতে পাবেন। আপনার সফলতা কেবল আপনার হাতেই।

সুতরাং ধৈর্য ও সাহস নিয়ে লেগে থাকুন। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ার পর ব্লগসাইট বানানো নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন কিংবা সমস্যা থাকবে না।

তারপরও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে নিয়েছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আশা করি খুব দ্রুত আপনার কমেন্টের উত্তর পেয়ে যাবেন।

আজকের এই ফ্রি ব্লগ সাইট বানানোর আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যাতে সেও আপনার মত একটি ফ্রি ব্লগ সাইট খুলে আয় করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top