যারা ব্লগিং করেন কিংবা এসইও সেক্টরে কাজ করে আসছেন। তাদের জন্য Technical SEO সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান রাখা উচিত। কারন কোনো একটি ওয়েবসাইট কে গুগলের Top Position এ নিয়ে আসার জন্য টেকনিক্যাল এসইও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা এসইও বলতে On page seo এবং Off page seo কে বুঝে থাকি। আপনি যদি এসইও সম্পর্কে গুগলে সার্চ করেন।
তাহলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে, বেশিরভাগ ব্লগ গুলোতে শুধুমাএ অফ পেজ এবং অন পেজ এসইও নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
কিন্তুু আপনার জেনে রাখা উচিত যে, আপনি যতোই এসইও করুন না কেন। যদি আপনি Technical SEO কে গুরুত্ব না দেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল সার্চ রেজাল্টে Rank করা সম্ভব না।
এসইও এক্সপার্ট Brain Dean, তার একটি আর্টিকেলে বলেছিলো, “If you avoid technical seo, you couldn’t rank your website in google search result”.
এই যুক্তির সাথে আপনি একমত হতে পারবেন কিনা, তা আমার জানা নেই। তবে Brain Dean এর এই কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।
কারন আমি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এসইও নতুন কাজ করছি। সেই সুবাদে আমি ভালোভাবে বুঝতে পারি যে, একটি ওয়েবসাইট কে Rank করার জন্য টেকনিক্যাল এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
টেকনিক্যাল এসইও কি (What is technical SEO in bangla)
কোনো একটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরিন স্ট্রাকচারকে সার্চ ইঞ্জিনের সমন্বয় রেখে অপটিমাইজেশন করার পদ্ধতিকে বলা হয় টেকনিক্যাল এসইও। একটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরিন স্ট্রাকচার বলতে আপনি বুঝলেন? শুধু ওয়েবসাইটের ডিজাইন?
না! একটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরিন Structure বলতে শুধুমাএ ডিজাইন কে ধরা হয়না। বরং ডিজাইন ছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে। যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ।
যেমন, আপনি যে ওয়েবসাইটের এসইও করতে চাচ্ছেন। সেই ওয়েবসাইট এর Loading Speed কেমন হবে, সেই ওয়েবসাইটটি Mobile Friendly কিনা, সেই ওয়েবসাইটে কোনো Broken Link আছে কিনা।
এসবকিছু নিয়ে একটি ওয়েবসাইটের Structure হিসেবে ধরা হয়। যখন আপনি এই বিষয় গুলোকে গুরুত্বের সাথে অপটিমাইজ করবেন। তখন সেই অপটিমাইজেশন কে বলা হবে, Technical SEO.
টেকনিক্যাল এসইও কেন করবেন?
একটু ভেবে দেখুন, আপনি কি জন্য এসইও করবেন? নিশ্চই আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনে Rank করার জন্য, তাইনা?
এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, “গুগল কি এমন কোনো তথ্য দিয়েছে, যেগুলো ফলো করলে ওয়েবসাইট কে Rank করা সম্ভব”? এমন কোনো Source দিতে পারবেন?
না! আপনি সেরকম কোনো Source দেখাতে পারবেন না। কারন গুগল এমন কিছু প্রকাশ করেনি। যেগুলো ফলো করার সাথে সাথেই আপনার ওয়েবসাইট Rank করে যাবে।
আর কিভাবে গুগলের এলগরিদম কাজ করে, যদি এই বিষয়টি কেউ জানতো। তাহলে সে রাতারাতি কোটিপতি বনে যেত।
এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তাহলে আমরা কিসের জন্য এসইও শিখছি?
ভাই শোনেন, এমন কোনো এসইও এক্সপার্ট খুজে পাবেন না। যিনি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে, আপনার ওয়েবসাইট কে ১০০% Rank করাবে। এটা অসম্ভব।
এসইও করার মূল কারন হলো, আপনি গুগলের গাইডকে গুলো কতটুকু অনুসরন করছেন। আপনি যদি গুগলের গাইডলাইন ফলো না করেন। তাহলে আপনি যতোই Content Publish করুন না কেন, আপনি যতোই এসইও করুন না কেন।
আপনার সব পরিশ্রম বৃথা যাবে। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন, একটি ওয়েবসাইট কে Rank করার জন্য গুগলের যতোগুলো Guidelines আছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ গাইডলাইন গুলো টেকনিক্যাল এসইও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
অর্থ্যাৎ, কোনো একটি ওয়েবসাইট Rank করার আগে। গুগল যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখে। এসইও এক্সপার্টরা সেই বিষয় গুলোকে একএে করে আলাদা একটি নাম দিয়েছেন। এবং সেই নামটি হলো, Technical SEO.
এখন একটু ভেবে দেখুন, টেকনিক্যাল এসইও তে থাকা গুগলের যেসব গাইডলাইন আছে। আপনি যদি সেগুলোকে অনুসরন না করেন। তাহলে কি গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে Rank করাবে?
না! কখনোই না। আর সেজন্যই আপনাকে অবশ্যই টেকনিক্যাল এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। Technical Seo তে যে টেকনিক গুলো আছে, সেই টেকনিক গুলো আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করতে হবে।
টেকনিক্যাল এসইও কিভাবে করবেন?
আমি উপরে বলেছিলাম যে, গুগলের কিছু Guidelines এর সমন্বয়ে টেকনিক্যাল এসইও গঠিত। তো কিভাবে আপনি এই এসইও নিয়ে কাজ করবেন। সেটি জানার আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সেই গাইডলাইন গুলো আসলে কি কি।
কারন আপনি যদি গুগলের গাইডলাইন কি কি সেটাই না জানেন ৷ তাহলে কিভাবে আপনি সেগুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে Improve করবেন?
তো একটি ওয়েবসাইটকে Rank প্রদান করার আগে গুগল বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখে। যেমনঃ-
- Visitor Friendly Design
- Website Loading Speed
- Mobile Usability
- Https Protect
- Thin /Copy Content
- Broken Link
- Fix Crawler error
- 404-page error fixing
- URL structure
হ্যাঁ! মূলত গুগল কোনো একটি ওয়েবসাইট কে Rank করার আগে উপরোক্ত এই বিষয় গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।
উপরে বিবেচিত বিষয় গুলোর মধ্যে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি আজকে সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তবে একটা কথা বলে নেয়া উচিত যে, আপনি এতোক্ষন থেকে যতোটুকু জানতে পারলেন। তার সবটুকু জলে ভেসে যাবে, যদি আপনি পরবর্তী আলোচনা গুলো স্কিপ করে যান।
তাই আপনার কাছে অনুরোধ রইলো, আগে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তারপর চিন্তা করবেন এবং সবশেষে মন্তব্য করবেন।
Visitor Friendly Design
একটা কথা বলুন তো, Google সম্পর্কে বুঝতে আপনার কতক্ষন সময় লেগেছে? – খুব বেশি হলেও ৩০ সেকেন্ড সময় লাগতে পারে। কারন, গুগলে শুধু একটি সার্চ বক্স আছে আর সেখানে কিছু একটা লিখে সার্চ করতে হয়।
মূলত এই বিষয়টিকে বলা হয়, User Experiment. যার অর্থ হলো, যখন কোনো একজন নতুন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। তখন সেই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের খুটিনাটি সম্পর্কে জানতে কতটুকু সময় ব্যয় করছে।
আর আপনাকে এই User Experiment কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। কারন যখন কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন সম্পর্কে বুঝতে না পারে। তাহলে সেই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে বেশি সময় ধরে Stay করবে না।
বিষয়টি একটু ভেবে দেখুন, Google Search Engine এর ডিজাইনটা যদি কঠিন হতো। সাধারন মানুষের কাছে গুগলের ডিজাইনটা কঠিন মনে হতো। তাহলে কিন্তুু গুগল আজকের দিনে এতোটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারতো না।
ঠিক তেমনি আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করতে হবে। যেন ভিজিটর খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো খুজে নিতে পারে।
মনে রাখবেন, ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট এর ডিজাইন দেখার জন্য আসবে না। তারা আসবে তাদের কোনো সমস্যা সমাধান করার জন্য।
তাই চেস্টা করবেন Visitor Friendly Theme ব্যবহার করার। মনে রাখবেন, ডিজাইন যেন সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস হয়।
Website Loading Speed
একটু চিন্তা করে দেখুন, আপনি একটা নতুন মোবাইল সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করলেন। সেক্ষেএে কোনো একটি Title দেখে আপনার ভালো লাগলো। কিন্তুু সেই লিংকে ক্লিক করার পর ওয়েবসাইটে না গিয়ে শুধু Loading নিতে থাকলো।
তখন আপনি কি করবেন? -নিশ্চই সেই ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইট এ চলে যাবে, তাইনা?
ঠিক একই Case যখন আপনার ওয়েবসাইটের সাথে ঘটবে। তখন আপনার সাইট থেকেও ভিজিটর অন্যান্য সাইটে চলে যাবে। এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়।
আর জেনে নেয়া উচিত যে, Google Ranking এর জন্য Loading Speed বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা গুগল এর Guidelines এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
তবে এখন প্রশ্ন হলো যে, কোনো একটি ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কত হওয়া স্বাভাবিক?
Website Loading Speed এর তেমন কোনো নির্দিষ্টতা নেই। আপনি যতো বেশি Fast & Smooth করতে পারবেন। আপনি এসইওতে ঠিক ততোটুকুই প্রফিট পাবেন।
তো এসইও নিয়ে বিভিন্ন Case Study করার পরে আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, কোনো একটি ওয়েবসাইটের Loading Speed সর্বোচ্চ ২-৩ সেকেন্ড হওয়া উচিত।
Loading Speed কে অপটিমাইজ করার জন্য অনলাইনে এমন অনেক ধরনের Tools আছে। আপনি চাইলে সেই টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
Mobile Usability
আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট এর Analytics Check করবেন। তখন একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে, আপনার সাইটে যে ভিজিটর গুলো আসে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ভিজিটর মোবাইল ব্যবহারকারী।
এর প্রধান কারন হলো, এখনও সবার হাতে হাতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার পৌঁছায়নি। তাছাড়া অনেকেই আছেন যারা মোবাইলের মাধ্যমে বেশি নেট ব্রাউজিং করে থাকে।
এখন এই মোবাইল থেকে আসা ভিজিটর গুলোর দিকে আপনি খেয়াল না রাখলেও, গুগল কিন্তুু তাদের দিকটা বেশ গুরুত্বের সাথে নজরে রাখে।
এখানে Mobile Usability কথাটির অর্থ হলো, আপনার ওয়েবসাইটটি যখন কেউ মোবাইল দিয়ে ভিজিট করবে। তখন সে Smoothly Visit করতে পারছে কিনা। সেই বিষয়টিকে সংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল ইউসাবিলিটি।
অনলাইনে এমন অনেক Tools আছে। যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি Mobile Friendly কিনা। তা খুব সহজেই চেক করা যায়।
তো যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ গুলো করবেন। তখন মোবাইল ইউজারদের কথাটা মাথায় রেখে কাজ করবেন।
মোবাইল দিয়ে আপনার সাইটটি ভিজিট করার সময় ডিজাইন কেমন হচ্ছে। সাইটের লোডিং স্পিড বেশি সময় নিচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো একটু নজরে রাখতে হবে।
প্রয়োজনে আপনি Amp Tools গুলো ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট কে Improve করতে পারবেন। তবে টুলসের উপরে এতোটা নির্ভর না করে চেস্টা করবেন এই কাজ গুলো ম্যানুয়ালি করার।
Https Protection
যেহুতু আপনি টেকনিক্যাল এসইও পর্যন্ত এসে গেছেন। সেহুতু আশা করা যায় আপনি Http এবং Https এর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন।
তাহলে এটিও জেনে রাখুন যে, একটি ওয়েবসাইটের Https এর Protection বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা, ভিজিটরকে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি বিশ্বস্ততা অর্জন করার জন্য Https বা SSL Certificate এর কোনো বিকল্প নেই।
যখন আমরা কোনো Website কে ব্রাউজ করি। তখন সেই ব্রাউজারের Url Box এ Secure বা Not Secure লেখাটি নজরে আসে। যদি আপনার ওয়েবসাইটটি https protect থাকে। তাহলে ব্রাউজারের ইউআরএল বক্সে Secure লেখাটি শো করবে।
আর যদি Https Protect না থাকে কিংবা SSL certificate না থাকে। তাহলে ব্রাউজারের ইউআরএল বক্সে দেখাবে Not Secure.
এই Not Secure কথাটির অর্থ হলো, ভিজিটরদের জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি Safe না। আপনার সাইটের মাধ্যমে সেই ভিজিটর গুলো যেকোনো সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
আর এমন কোনো ওয়েবসাইট কে Google কখনই Ranking প্রদান করবে না।
Thin Content Or Copy Content
এখানে একটা কথা বলে নেই যে, থিন কন্টেন্ট এবং কপি কন্টেন্ট দুটোই দুই রকম বিষয়। যদি আপনি এই দুটো বিষয়কে এক মনে করেন। তাহলে আপনি ভুল করবেন।
যখন কোনো একটি কন্টেন্টে খুব কম শব্দ থাকে। তখন সেই কন্টেন্টকে বলা হয় Thin Content. সত্যি বলতে গুগল এই জাতীয় কন্টেন্টকে তেমন Valu Provide করেনা।
গুগল এসব কন্টেন্টকে মূল্যহীন মনে করে। যার কারনে সার্চ রেজাল্টে এসব কন্টেন্টকে Rank করা বেশ কষ্টকর হয়ে উঠে।
অপরদিকে, যখন আপনি অন্য কোনো সোর্স থেকে লেখা কপি করে। সেই লেখা গুলো নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন। তাহলেও কিন্তুু আপনার সেই কন্টেন্টকে Rank করানো অসম্ভব।
কারন, গুগল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের যেমন গুরুত্ব দেয়। তার চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয় ভিজিটরকে। এবং একটা কথা ভালোভাবে মাথায় রাখবেন, ভিজিটর বিভ্রান্তি বোধ করুক এটা গুগল কখনোই চায় না।
আর এজন্যই ভিজিটরদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে গুগল প্রতিনিয়ত তাদের এলগরিদমকে আপডেট করে।
এখন আপনি যদি অন্যের লেখা কন্টেন্টকে কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন। আর মনে মনে চিন্তা করেন যে গুগলে সেই কন্টেন্টকে Rank করাবেন। তাহলে আপনার আশায় ধুলোবালি ছাড়া কিছুই জুটবে না।
কারন কোনো প্রকার কপি কন্টেন্টকে গুগল আদৌ Ranking প্রদান করেনা। আর Ranking তো দুরের কথা, বর্তমানে Copy Content কে ইনডেক্স করাই বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছে।
Broken Link
কোনো একটি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা Link গুলো যখন Death হয়ে যায়। তখন সেই লিংক গুলোকে বলা হয় ব্রোকেন লিংক।
অন পেজ এসইও করার সময় আমার কন্টেন্টের মধ্যে ইন্টারন্যাল লিংক থেকে শুরু করে ভিন্ন ভিন্নভাবে Linking করে থাকি। কিন্তুু যখন এই লিংক গুলো Death হয়ে যায়। তখন এই লিংক গুলোই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে।
যেমন, আপনি এসইও নিয়ে একটি আর্টিকেলকে অন্য একটি আর্টিকেলে Internal linking করলেন। এখন কোনো কারনে আপনার এসইও নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি ডিলিট হয়ে গেলো।
এখন সেটি ডিলিট হওয়ার ফলে আপনি যে আলাদা একটি আর্টিকেলে Linking করছিলেন। সেই লিংকটা আর কাজ করবে না। মূলত কাজ না করা সেই Link কে বলা হবে Death Link.
আর এই Death Link এর সংখ্যাটা যখন অতিমাত্রায় আপনার ওয়েবসাইটে বিদ্যমান থাকবে। তখন আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি গুগলের কাছে একটা নেগেটিভ সিগন্যাল প্রদান করবে।
এর মানে, গুগল মনে করবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি তেমন যত্নশীল না। আপনি নিয়মিত আপনার সেই ওয়েবসাইট কে Update করেন না।
আর এই নেগেটিভ সিগনালের কারনে আপনার ওয়েবসাইটকে Google এ Ranking করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়বে। তবে সমস্যা হলো, আপনার কোন লিংকটি ব্রোকেন।
তা যদি আপনি একটার পর একটাতে ক্লিক করে চেক করতে যান। তাহলে আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। কিন্তুু আপনার এই কাজটি মাএ কয়েক মিনিটেই করতে পারবেন। যদি আপনি অনলাইনে কোনো Tools এর মাধ্যমে করে থাকেন।
বর্তমানে অনলাইনে Broken Link Check করার জন্য এমন অনেক টুলস আছে। আপনি প্রয়োজনে সেই টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
Crawler ERROR
আমি এই ওয়েবসাইটে এসইও রিলেটেড অনেক গুলো আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। এবং প্রত্যেকটি আর্টিকেলে গুগল ইনডেক্সার এবং ক্রলার সম্পর্কে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে ইনডেক্স করবেন। তখন গুগলের ক্রলার নিজে থেকেই নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে।
এবং আপনার ওয়েবসাইটে কোনো প্রকার Update হওয়ার পর তা পুনরায় গুগল ইনডেক্সার এর কাছে পাঠিয়ে দিবে।
এখন আপনি যদি ভুলবশত বা নিজে থেকে গুগলের সেই ক্রলারকে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বাধা প্রদান করেন। তাহলে এই বাধা আপনার এসইওতে বেশ Bad Effect ফেলবে।
কারন আপনার কোনো পেজকে যদি গুগল Bot Entire করতে না পারে। তাহলে গুগল জীবনেও আপনার সেই পেজকে Ranking প্রদান করবে না।
এখন প্রশ্ন হলো, গুগল আপনার ওয়েবসাইটের কোন পেজকে ক্রলিং করতে পারছে আর কোন পেজকে ক্রলিং করতে ব্যর্থ হচ্ছে, তা আপনি বুঝবেন কিভাবে?
আপনি চাইলে খুব সহজেই এই Error গুলো চেক করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে Google Search Console এ যেতে হবে ৷ তারপর Coverage নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনি সেই অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে যদি কোনো Error থাকে। তাহলে তা দেখতে পারবেন।
Fixing 404 Error Page
যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো কন্টেন্ট পাবলিশ করার পর, সেই কন্টেন্টকে ডিলেট করে দেন। এবং সেই Content যদি গুগল সার্চ কনসোলে ইনডেক্স হয়ে যায়।
তাহলে আপনার ডিলিট করা সেই কন্টেন্ট এর লিংক সার্চ রেজাল্টে শো করবে। এখন কোনো ভিজিটর যদি আপনার সেই Link এ ক্লিক করে। তাহলে সেই ভিজিটর আপনার উক্ত Content কে আর খুজে পাবে না।
মূলত এই লিংকটিকে বলা হয় 404 Error Page. তবে মনে রাখবেন যে, এরকম কোনো Page আপনার ওয়েবসাইটে থাকলে তা আপনার এসইওতে বেশ ইফেক্ট ফেলবে।
কারন যখন কোনো ভিজিটর সেই লিংকে ক্লিক করবে। তখন সেই ভিজিটর Page Not Found নামের একটি পপআপ মেসেজ দেখতে পারবে। এরফলে আপনার সাইটে আসা সেই ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করামাএই আবার চলে যাবে।
যার কারনে আপনার ওয়েবসাইটের Bounch Rate বাড়বে। আর গুগল মনে করবে, আপনার সাইটে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। যার কারনে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসার সাথে সাথেই আবার বের হয়ে যাচ্ছে।
আপনার ওয়েবসাইটে এমন কোন কন্টেন্ট আছে, যেগুলো পাবলিশ করার পর ডিলিট করা হয়েছে। সেগুলো আপনি Google Search Console থেকে দেখে নিতে পারবেন।
এবং এখান থেকেই আপনি সেই লিংক গুলোকে সার্চ কনসোল থেকে Remove করতে পারবেন।
Url Structure
যখন আমরা কোনো কন্টেন্ট পাবলিশ করি। তখন ব্রাউজার এর সার্চ বক্সে আমরা একটি url দেখতে পাই। মূলত আমরা সেই url কে পার্মালিংক (Permalink) বলে থাকি।
অন্যান্য বিষয় গুলোর মতো সমানভাবে এই url কে গুরুত্বের সাথে অপটিমাইজ করতে হবে। কারন ভিজিটর যখন কোনো তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করে।
তখন একসাথে বেশ কয়েকটি ট্যাবে ভিন্ন ভিন্ন কন্টেন্ট কে অপেন করে রাখে। এরপর যে Content টি তার কাছে হেল্পফুল মনে হয়, সেই কন্টেন্ট পড়তে থাকে।
শুধু তাই নয়, যখন গুগল তার সার্চ রেজাল্টে কোনো ওয়েবসাইটকে শো করে ৷ তখন সবার প্রথমে আপনার Content এর টাইটেল কে শো করে। এবং টাইটেলের পরেই আপনার কন্টেন্টের পার্মালিংক কে শো করে থাকে।
সেদিক থেকে বোঝা যায়, কোনো একটি Content কে এসইও করার জন্য url কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রশ্ন হলো যে, কিভাবে আপনার কন্টেন্টের Url কে অপটিমাইজ করবেন?
কিছু কিছু বিষয় আছে, যে বিষয় গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই সেই url কে অপটিমাইজ করা সম্ভব। যেমন,
- সেই url কে এমনভাবে তৈরি করবেন, যেন সেটি আপনার কন্টেন্টে থাকা Title এর সাথে ম্যাচিং হয়।
- আপনি যে কিওয়ার্ডকে ফোকাস রেখে কন্টেন্ট লিখবেন। অবশ্যই সেই Keyword টি আপনার url এ থাকতে হবে।
- চেস্টা করবেন যেন আপনার url টি Easy Readable হয়। যেন ভিজিটর সেই url এ তাকানোর সাথে সাথে সেটি পড়তে পারে।
- যারা এসইও এক্সপার্ট, তারা সর্বদাই বলে যে url কে যতো ছোট করা যায়, ততোই ভালো। তাই চেস্টা করবেন আপনার url এ ৩ থেকে ৪ শব্দ ব্যবহার করার।
- প্রথম পয়েন্টে আমি বলেছিলাম যে, url এ অবশ্যই আপনার মেইন কিওয়ার্ড থাকতে হবে।
- এরমানে এই নয় যে, আপনি একের অধিকবার মেইন কিওয়ার্ডকে ব্যবহার করবেন। যদি এমনটা করেন, তাহলে সেটি Keyword Stuffing এর আওতায় পড়বে।
এই ছোট ছোট বিষয় গুলো নজরে রাখলে, কোনো Url এ এসইও ফ্রেন্ডলি করা সম্ভব।
টেকনিক্যাল এসইও ও অনপেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য কি?
এখানে আমি আপনাকে টেকনিক্যাল এসইও ও অনপেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য কি এসব নিয়ে সংক্ষিপ্ত লিস্ট লিখে দিব। যা দেখে আপনি জনাতে পারবেন পার্থক্য কি।
অনপেজ এসইও (On Page SEO):
- কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন: কিওয়ার্ড বেঁছে নেওয়া, মানসম্পন্ন কন্টেন্ট।
- মেটা ট্যাগস: মেটা টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন।
- ইমেজ অপটিমাইজেশন: অ্যাল্ট টেক্সট, ফাইল সাইজ কমানো।
- হেডিংস: সঠিক H1, H2 ট্যাগ ব্যবহার।
- ইন্টারনাল লিঙ্কিং: সাইটের ভেতরে লিঙ্ক প্রদান করা।
টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO):
- সাইটের গতি: লোডিং টাইম কমানো।
- মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস: রেসপন্সিভ ডিজাইন।
- সাইটম্যাপ জমা দেওয়া: XML সাইটম্যাপ।
- রোবট.টেক্সট ফাইল: ক্রলিং নির্দেশনা।
- কাঠামোগত ডাটা: সার্চ ইঞ্জিনের জন্য মার্কআপ।
Technical SEO নিয়ে আমাদের শেষকথা
যদি আপনি সঠিকভাবে টেকনিক্যাল এসইও করতে চান ৷ তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো আগে ধারনা থাকতে হবে। আর একটি ওয়েবসাইট কে Rank করার জন্য Technical SEO যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি এতোক্ষনে তা ভালোভাবে বুঝে গেছেন। টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে।
অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন। আমি যথাসাধ্য চেস্টা করবো আপনাদের হেল্প করার জন্য। ইনফো পোর্টাল ব্লগের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ